পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে ২০২৫ সঠিক তথ্য জানুন
মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয়পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে এ বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে বিস্তারিত
থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন পুলিশের মূলনীতি কি
এ বিষয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে।
পুলিশের চাকরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে এবং
আপনার উচ্চতা ও ওজন ঠিক থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
প্রয়োজন হবে যে বিষয়গুলো জানবেন আমাদের আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার
মাধ্যমে।.
পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশ হয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে চান তাহলে একত্রে বাংলাদেশ
পুলিশ এ চাকরির জন্য মাঠ পর্যায়ে আপনার কিছু কাগজপত্র দরকার হবে। এজন্য
আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ
লাগে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত। বাংলাদেশ পুলিশে প্রবেশ করার জন্য আপনার
কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র দরকার হবে।
আরো পড়ুনঃ
সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায়
যেগুলো দিয়ে আপনি পুলিশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই
আপনার শারীরিক যোগ্যতার পাশাপাশি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু
কাগজপত্র দরকার হবে যেগুলো অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে
হবে। আপনাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় এই কাগজপত্র গুলো আমরা পয়েন্ট আকারে নিচে
উপস্থাপন করলাম।
- পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করার আগে আপনি পরীক্ষার ফিস বাবাদ যে চালান জমা দিয়েছিলেন অবশ্যই এই চালানটি আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে।
- প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- এছাড়াও নিজের যে অভিভাবক আছেন সেই অভিভাবকের সম্মতিপত্র দরকার হবে।
- যেহেতু আপনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নাগরিকত্ব সনদপত্র জমা দেওয়া লাগবে।
- পাশাপাশি আপনার আরো কিছু কাগজপত্র দরকার হবে যেমন এডমিট কার্ড ফর ফিজিক্যাল টেস্ট এটা ২ কপি প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যাবেন। আর হ্যাঁ এটা কিন্তু বাধ্যতামূলক এবং অপরিহার্য যে কারণে কাগজটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র দরকার হবে এবং এর পাশাপাশি আপনার চারিত্রিক সনদপত্র থাকতে হবে যেগুলো আপনি আপনার ইউনিয়ন বা কাউন্সিল থেকে খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
পুলিশের চাকরির বয়স কত বছর পর্যন্ত
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বিভিন্ন অবহেলার কারণে আমাদের চাকরির বয়স থাকলেও
সঠিক সময় আবেদন না করার জন্য আমাদের চাকরি হয় না। আপনার স্বপ্ন যদি থাকে
বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে তাহলে এক্ষেত্রে চাকরির বয়স কত বছর পর্যন্ত হবে এ
বিষয়টি আপনাকে জানতে হবে। চলুন তাহলে সে সম্পর্কে আবার জেনে আসা যাক।
আমাদের বাংলাদেশ পুলিশের যে চাকরির বয়সসীমা আছে এটা সাধারণত ১৮ বছর থেকে ২০
বছরের ভেতরে হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে বিশেষ কোন কোটা থাকলে সে
কোটা প্রার্থীদের জন্য এটা কিছুটা কম বেশি হতে পারে। একজনের 2018 তারিখের পর
থেকে সাধারণত মুক্তিযোদ্ধা ছেলেদের এবং সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বয়স সীমা আছে
১৮ থেকে ২০ বছরের ভিতরে।
তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদ এবং কোটার উপর নির্ভর করে বয়স সীমা কম বেশি
হতে পারে যেটা সর্বোচ্চ হয়ে থাকে 32 বছর বয়স পর্যন্ত। আশা করছি বিষয়গুলো
আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পুলিশের মাঠে কি কি করানো হয়
পুলিশের মাঠ পর্যায়ে যাওয়ার পূর্বে আমাদের সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে
যাতে করে আমরা ভালো করে সকল পরীক্ষা এবং সকল টেস্টগুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারে যে
কারণে আমাদেরকে জানতে হবে যে পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে এবং পুলিশের মাঠে কি
কি করানো হয়। চলুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জেনে আসে যাক।
বাংলাদেশ পুলিশের যোগদান করার পূর্বে প্রথমে পুলিশের মাঠগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে থাকে কারণ সেখান থেকেই কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের প্রাথমিকভাবে
যাচাই করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সর্বপ্রথম শারীরিক পরীক্ষা
নেওয়া হয়ে থাকে যেগুলোর মাধ্যমে প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হয়ে
থাকে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে প্রস্তুতি মূল্যায়ন হয়ে থাকে।
এবার পাশাপাশি পুলিশের মাঠে আরো অনেক ধরনের কার্যক্রম গুলো হয়ে থাকে যেমন -
প্রার্থীর উচ্চতা পরীক্ষা করা হয়, দৌড়ের পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতা এবং গণিত
বিষয়ে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উচ্চলা
এবং দীর্ঘলাফ সহ সাঁতার এবং লাফানোর ক্ষমতা ও ফিটনেস পরীক্ষা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন সময় রোপ ক্লামিং এবং বুকডাউন সহ একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো কিন্তু
হয়ে থাকে।
এ সকল পরীক্ষাগুলোতে যদি আপনারা সঠিকভাবে উত্তর না হতে পারেন এবং আপনার শারীরিক
সক্ষমতা যদি ঠিক থাকে আর আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশ হওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন
তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি পুলিশ হিসেবে নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি কি এ বিষয়গুলো কিন্তু আপনাদেরকে জানতে হবে।
মেয়েদের পুলিশের ট্রেনিং
পুলিশের চাকরি বিষয়টি কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং তবে এটা
কিন্তু বেশ সম্মানজনক একটি পেশা। এজন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে পুলিশের
ট্রেনিংকালিন সময়ে শারীরিক যোগ্যতা বিষয়টি কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ
সময় প্রশিক্ষণ এবং দীর্ঘ ট্রেনিং এর মাধ্যমে মেয়েরা কিন্তু শারীরিকভাবে
দক্ষ এবং শক্তিশালী হয়ে থাকেন যে কোন মাধ্যমে তারা যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি
মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়ে ওঠে ।
শুধুমাত্র উচ্চতার মানদন্ড এবং শারীরিক ঘটনা বরং দীর্ঘ পরিশ্রম এবং সঠিক
ট্রেনিং এর মাধ্যমেও কিন্তু শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি এগিয়ে থাকে। নিচে
মেয়েদের জন্য পুলিশ ট্রেনিং এর বিভিন্ন বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হলোঃ
- শক্তি এবং সহনশীলতাঃ অবশ্যই প্রার্থীদেরকে শারীরিকভাবে শক্তিবান হতে হবে এবং পাশাপাশি সহনশীলতা থাকতে হবে যেগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বন্ধ করা হয়ে থাকে যেমন দৌড় এবং লাফ এবং ওজন উত্তোলনসহ বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম ।
- হাতিয়ার ব্যবহার করার প্রশিক্ষণঃ পুলিশের চাকরি করার জন্য মেয়েদের সঠিকভাবে হাতিয়ার ব্যবহার করা প্রশিক্ষণ কিন্তু ট্রেনিংকারেন্ট সময় হয়ে থাকে। কারণ পুলিশ বাহিনীতে বিভিন্ন সময় অনেক ভারী ও মোটা অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হতে পারে যেগুলো প্রশিক্ষণকালীন সময়ে শেখানো হয়।
- সাধারণ শারীরিক ফিটনেসঃ ট্রেনিং কলেজ হবে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা অর্থাৎ শারীরিক ফিটনেস চেক করা হয়ে থাকে যার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে দৌড় এবং সাঁতার বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ। যেগুলো দিয়ে ট্রেডিং করেন সময় ফিটনেস চেক করা হয়ে থাকে।
- জন সম্পর্ক এবং মিডিয়া প্রশিক্ষণঃ সাধারণ জনগণের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো কিভাবে দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করতে হবে এছাড়াও মিডিয়ার সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করা যায় এবং তাদের সঙ্গে কার্যকলাপ গুলো কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো প্রদান করা হয়ে থাকে।
- মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতিঃ পুলিশের যেকোনো ধরনের কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য অবশ্যই মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কারণ মানসিকভাবে যদি আপনি ভেঙ্গে পড়েন তাহলে কিন্তু কোন কাজই সম্ভব না।
- নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশিক্ষণঃ যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি কিন্তু ট্রেনিং ট্রেনিং সময়ে শেখানো হয়ে থাকে।
- আইনি জ্ঞানঃ ট্রেনিং কালীন সময়ে মেয়ে প্রার্থীদেরও বিভিন্ন ধরনের আইনি জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে যেমন - সার্বিক বিধিমালা ও নিয়ম কানুন সহ আরো অনেক নিয়ম যেগুলো অফিসার কাজের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য হয়ে থাকে।
পুলিশের চাকরির বয়স কত লাগে
আপনার অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে পুলিশের চাকরির জন্য
বয়স কত হবে হবে। আপনাদের এসব কথা মাথা রেখে আলোচনার এই অংশে এসে আপনাদের
সুবিধার্থে বিশেষ সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি পুলিশের
চাকরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিক সময় আবেদন করবেন।
কারন বয়স যদি আপনার খুব বেশি হয়ে যায় অর্থাৎ নির্ধারিত যে বয়সসীমা রয়েছে
তার অধিক হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনি বাংলাদেশ পুলিশের চাকরির জন্য আবেদন করতে
পারবেন না। আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশের চাকরি করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে যে
নির্ধারিত বয়সসীমা আছে তার ভিতরে আবেদন করার চেষ্টা করবেন তা না হলে কিন্তু
আবেদন করে পরে কোন লাভ হবে না।
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
দ্রুত পুরুষের চাকরির বয়স কত লাগে অর্থাৎ কত বছর বয়স হলে আপনি আবেদন করতে
পারবেন এটা অনেক সময় নির্ভর করে থেকে যে আপনি বাংলাদেশ পুলিশের কোন পদের জন্য
আবেদন করতে চাচ্ছেন। যদি এসআই কিংবা তারও উপরোক্ত কোনো ভালো পদে আবেদন করতে চান
তাহলে অনেক সময় এটার বয়সসীমা কমবেশি হয়ে থাকে।
তাছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেনিং রেড রোড কনস্টেবল পদে যদি আপনি আবেদন করতে চান
তাহলে এক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনের বয়স হতে হবে ১৮ বছর থেকে
২০ বছর বয়সে এবং অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে পাশাপাশি আপনাকে
অবিবাহিত থাকা বাধ্যতামূলক। তবে বিভিন্ন ধরনের কোটা অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ কোটার
ক্ষেত্রে দেখা যায় যে।
আবেদনের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময় দেখা
যাচ্ছে সারা বাংলাদেশে ২০২৫ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বিভিন্ন ধরনের
কোটার হার এবং বিভিন্ন ধরনের কোটা সুযোগ সুবিধা গুলো অনেক কমে গেছে এখন
মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং আরো যে কটাগুলো রয়েছে সেগুলো অনেকটাই কমে গেছে যে কারণে
এখন চাকরির ক্ষেত্রে ও হচ্ছে আপনাকে যোগ্য হতে হবে এবং কোটার তেমন সুযোগ-সুবিধা
আগের মত নাও পাওয়া যেতে পারে।
পুলিশের চাকরির জন্য শারীরিক যোগ্যতা মেয়েদের
ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে। আর এখন আমরা
জানবো পুলিশের চাকরির জন্য শারীরিক যোগ্যতা মেয়েদের। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে
থাকেন আর পুলিশের চাকরির জন্য যদি আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
শারীরিকভাবে সক্ষমতা হতে হবে এবং আপনার ফিটনেস ভালো থাকতে হবে।
চলুন মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিচয় চাকরি করার জন্য শারীরিক যোগ্যতার বিষয়গুলো আরো
বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক। মেয়েদের জন্য পুলিশের কাজ একটু কঠিন হয়ে থাকলেও
পুলিশের কঠিন এবং এই দায়িত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য তাদের যথার্থ ট্রেনিং এর
মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আর পুলিশের এই ট্রেনিং এর সময় মেয়েদেরও
কিন্তু ছেলেদের মত।
বিভিন্ন ধরনের অনুসরণ এবং বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং করতে হয় যে কারণে তাদেরকেও
শারীরিকভাবে সহনশীলতা এবং শক্তির পাশাপাশি তাদের স্ট্যাম্যানের দিকে লক্ষ্য
রাখতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর যুদ্ধে যোগ দিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে
শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে যেমন - উচ্চতা, শারীরিক গঠন এবং আপনার ওজন।
পুলিশের চাকরি করার জন্য এই বিষয়গুলো কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ এগুলোর
পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষাতে আপনাকে সফল হতে হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে
পুলিশের চাকরি করার জন্য শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে শারীরিকভাবে বিভিন্ন
ধরনের সক্ষমতার পরীক্ষাগুলো দিতে হবে এবং এগুলোতে সফল হওয়া কিন্তু অপরিহার্য।
দূর এবং লাভের পাশাপাশি আপনাকে কিন্তু মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হবে। বাংলাদেশ
পুলিশের যদি চাকরি করতে চান তাহলে এখানে যোগ দিতে অবশ্যই আপনার অজুন যথেষ্ট
পরিমাণে থাকতে হবে অর্থাৎ যে নির্ধারিত ওজন থাকা দরকার সে পরিমাণে আপনার ওজন
থাকতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশের যোগদান করতে চান তাহলে এখন থেকেই।
কিন্তু নিয়মিত শারীরিক চর্চা এবং ব্যায়াম গুলো করা শুরু দিতে পারেন যাতে করে
মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এগুলোতে আপনি সফল হতে পারেন। বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করার
জন্য মেয়েদের আরো কিছু শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে যে যোগ্যতা গুলো আপনার ভেতরে
থাকলে আপনি কিন্তু পুলিশ পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এজন্য আপনার ফিটনেস এবং শারীরিক সক্ষমতার দিকগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে
জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করার
পর সেখানে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক চাপ গুলোর মুখোমুখি হতে হয় যে
কারণে আপনার ভেতরে এই দিকগুলো থাকতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে
বুঝতে পেরেছেন।
পুলিশের চাকরির মেয়াদ কত বছর
আপনারা যারা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন যে পুলিশের চাকরির মেয়াদ কত বছর এ বিষয়ে
সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে তাদের জন্য থাকছে আর্টিকেলের এই অংশটি। সাধারণত আপনার
বয়স যখন ১৮ হয়ে থাকে তখন তো আপনি বাংলাদেশ পুলিশ পদের জন্য আবেদন করে থাকেন আর
তখন যদি আপনি চাকরি পেয়ে যান তাহলে।
কত বছর মেয়াদ পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে এসে যাক।
বাংলাদেশ পুলিশে আবেদন করার জন্য যেহেতু বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের ভেতরে সেই
হিসেবে আপনি যদি ১৮ বছর বয়সে চাকরি পেয়ে যান তাহলে সেখান থেকে গণনা করে আপনি
চাকরি করতে পারবেন ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে পদ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের এটা কম বেশি হতে পারে। তবে
সাধারণত চাকরি হতে জয়েন করার আগে এবং চাকরি পাওয়ার পরে সর্বমোট চাকরির বয়স
অর্থাৎ চাকরি করার সুযোগ থাকে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পুলিশের মূলনীতি কি
বাংলাদেশ পুলিশের কিছু মূলনীতি আছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে
হবে। পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে এ বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি
পুলিশের মূলনীতি সম্পর্কেও আমাদের সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন এবার
বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক পুলিশের মূলনীতি কি সে বিষয় সম্পর্কে। প্রথমেই
বলতে হয় মূলনীতি হচ্ছে কোন কাজের মূল উদ্দেশ্য বা প্রতিশ্রুতি।
আমাদের বাংলাদেশ পুলিশের কিছু মূলনীতি আছে যেটি হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং
নিরাপত্তা ও অগ্রতি। পুলিশ বাহিনী এরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি
কিন্তু দেশের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের
প্রতিটা নাগরিককে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া এটা কিন্তু পুলিশের
দায়িত্ব।
এবং বাংলাদেশ পুলিশ যে কাজগুলোর দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসে।
বাংলাদেশ পুলিশ তাদের মূলনীতি অনুসরণ করে তাদের কাজগুলো করে থাকে। যেগুলোর
ভেতরে থাকে কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন ধরনের শান্তি শৃঙ্খলা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাতা
এবং যোদ্ধা ও পারস্পরিক সহানুভূতি ইত্যাদি। বাকিদের মতো আপনারও যদি স্বপ্ন থাকে
বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করার।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুলিশের নিতি এবং জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলার
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে কারণ বাংলাদেশ পুলিশের কাজের মূল
ভিত্তি হচ্ছে জনগণের সার্বক্ষণিক শান্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা এবং বিশ্বাস
গড়ে তোলা। বাংলাদেশ পুলিশের যোগদান করার পর আপনাকে কিন্তু অবশ্যই মূলনীতিগুলো
মেনে চলতে হবে।
পুলিশের চাকরির জন্য মেয়েদের উচ্চতা কত লাগে
আমরা এখন আলোচনা করব পুলিশের চাকরির জন্য মেয়েদের উচ্চতা কত লাগে এ বিষয়ে
সম্পর্কে। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন আর পুলিশের চাকরির জন্য যদি আবেদন
করতে চান তাহলে আপনার বয়স কত টাকা বাধ্যতামূলক এবং বয়স কত হলে আপনি আবেদন
করতে পারবেন চলুন এ বিষয়টি জেনে আসি।
বাংলাদেশ পুলিশে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়সের এবং উচ্চতার একটা
নির্দিষ্ট বিষয় থাকে যে কারণে উচ্চতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ
পুলিশের মেয়ে প্রার্থীদের জন্য আবেদন করতে হলে যে উচ্চতা রয়েছে তা হচ্ছে কম
করে মেয়ে প্রার্থীূ উচ্চতা থাকতে হবে ৫ ফুট ২ ইন্চি যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে
হয়ে থাকে সর্বনিম্ন ৫ ফুট ৪ ইন্চি।
তবে এটা কিন্তু ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠী এবং বিভিন্ন কোটা যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে।
আপনি যদি বাংলাদেশ পুলিশ হিসেবে কাজ করতে চান আর আপনার যদি পুলিশ হওয়ার যথেষ্ট
যোগ্যতা এবং শারীরিকভাবে ঠিক থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারেন।
পুলিশের চাকরির জন্য ছেলেদের উচ্চতা কত লাগে
ব্যাপারটা বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি
পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে। পুলিশের চাকরির জন্য ছেলেদের উচ্চতা কত লাগবে এ
বিষয়টি অনেকেরই অজানা চলুন তাহলে সরাসরি এ বিষয়ে সম্পর্কে এবার জেনে আসা যাক।
পুলিশে চাকরি করার জন্য নির্ধারিত একটা বয়স আছে যে বয়সের ভিতরে আপনাকে আবেদন
করতে হবে।
এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক পথ হতে হবে কারণ আপনার উচ্চতা যদি সঠিক না থাকে
তাহলে কিন্তু আপনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করতে পারবেন না। এজন্য বাংলাদেশ
পুলিশের যোগদান করার জন্য পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা হতে হবে অবশ্যই ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি
তবে এটা কিন্তু মেধা কোটা যারা আছেন তাদের ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম
আর এমনিতেই আপনারা যারা বীরাঙ্গনা সন্তান বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধা
তাদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ছেলেদের পুলিশের চাকরি করার জন্য উচ্চতার মাপ
হচ্ছে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে ২০২৫ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র
আন্দোলনে এই কটা বিষয়টি আর আগের মত নেই এখন বর্তমান সময়ে এসে বিভিন্ন
মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং যে কোটা গুলো আছে সেগুলোর কোটার মান অনেক কম হয়ে গেছে এখন
বর্তমানে কোটার থেকে মেধার বিষয়টি এগিয়ে রয়েছে।
পুলিশের চাকরির জন্য ওজন কত লাগে ছেলেদের
আপনারা ছেলেরা যারা পুলিশের চাকরি জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন কিন্তু অতিরিক্ত
ওজন থাকার কারণে পুলিশে চাকরির জন্য আবেদন করবেন কিনা তাদের সুবিধার্থে আমরা
এখন জানিয়ে দেবো যে ছেলেদের জন্য পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে ওজন কত হতে হবে।
আপনি যদি আনসার ক্যাডার এবং বিসিএস পুলিশের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে ।
এক্ষেত্রে আপনার ন্যূনতম ওজন হতে হবে ৫৪.৫৪ কেজি। আপনার ওজন যদি বয়সের থেকে
অনেক কম হয়ে থাকে বা ৫৪.৫৪ কেজের অধিক কম হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু
আপনি বাংলাদেশ পুলিশে চাকরির করতে পারবেন না। উচ্চতা যদি সঠিক না থেকে এবং
শারীরিক ওজন যদি অনেক কম হয়ে থাকে তাহলে আপনি আবেদন করে থাকলেও মেসেজ আসবে না।
এবং এবং আপনি সিলেক্ট হতে পারবেন না। ওজন যদি অনেক কম হয়ে থাকে তাহলে এখন থেকে
আপনি ওজন একটু বৃদ্ধি করেন এবং পুলিশে চাকরির জন্য যে যথেষ্ট উচ্চতা এবং ওজন
রয়েছে তা হয়ে থাকতে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ওকে আবেদন করতে পারেন।
শেষ কিছু কথা
বাংলাদেশ পুলিশের যোগদান করার জন্য অবশ্যই আপনাকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে এবং
আপনার উচ্চতা সঠিক থাকতে হবে। এছাড়া সকল কাগজপত্র ঠিক থাকতে হবে এবং জানতে হবে যে
পুলিশের মাঠে কি কি কাগজ লাগে। যে বিষয়গুলো সহ আরো একাধিক বিষয় নিয়ে আমরা
আলোচনা করেছে আজকের এ আর্টিকেলে। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমাদের আজকের আলোচনাটি যদি কোথাও বুঝতে আপনার অসুবিধা হয়ে
থাকে তাহলে আপনি চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনি যদি এ ধরনের
তথ্যগুলো পেতে চান তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। আর হ্যাঁ যদি বাংলাদেশ পুলিশের নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান তাহলে
অবশ্যই এখন থেকে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url