সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় সঠিক তথ্য নিন ২০২৫

মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয়সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় বিষয়টি যদি আপনার অজানা থাকে তাহলে এখনই বিস্তারিত জেনে নিন। অনেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকলেও জানে না যে কিভাবে সরকারিভাবে পাইলট হওয়া সম্ভব। তাই এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব মেয়েদের পাইলট হওয়ার উচ্চতা ও সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
multiplebd-সরকারিভাবে-পাইলট-হওয়ার-উপায়
আপনি যদি নিজেকে একজন পাইলট হিসেবে দেখতে চান এবং এর জন্য কিভাবে উপায় গুলো অবলম্বন করবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে চলুন তাহলে আমরা সরাসরি আর্টিকলটি পরে বিস্তারিত জেনে আসে পাইলট হওয়ার সমস্ত টিপস এবং উপায় গুলো, বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।.

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায়

সরকারিভাবে পাইলট হতে চাই এমন স্বপ্ন রয়েছে হাজারো মানুষের বুকে। আর এই স্বপ্নকে যদি বাস্তব রূপ দিতে চান তাহলে এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু যোগ্যতা এবং কিছু ধাপ অতিক্রম  হবে। তাই সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় ও  কি কি ধাপ অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সরকারী ভাবে পাইলট হতে পারবেন সে উপায় গুলোর নিচে ব্যাখ্যা করা হলো। 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনঃ সরকারিভাবে পাইলট হতে হলে সর্বপ্রথম যে ধাপটি আসবে সেটি হচ্ছে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। বিজ্ঞান থেকে পাস হতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো মানের রেজাল্ট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে ফিজিক এবং ম্যাথমেটিক্স সাবজেক্টগুলো তো যেখানে অবশ্যই ভালো মানের গ্রেড থাকতে হবে। পাইলট হওয়ার জন্য সব থেকে উপযুক্ত গ্রেড হচ্ছে ৫.০০।
  • বিমান বাহিনীতে আবেদনঃ আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন হয়ে থাকে এবং বয়স যদি শুরু থেকে ২২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে পাইলট হওয়ার জন্য বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সে আপনাকে যোগ দিতে হবে। আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু প্রতিবছরই "GD(P) অর্থাৎ general duties (Pilot) পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থেকে আর আপনাকে এই পদে আবেদন করতে হবে। আপনাকে বাংলাদেশের BAF এর যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট আছে সেখানে গিয়ে সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে।
  • বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাঃ পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে আপনাকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
  • লিখিত পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষাগুলো সাধারণত গণিত কিছু সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজি বিষয় গুলো হয়ে থাকে।
  • শারীরিক ফিটনেস টেস্টঃ পাইলট হতে হলে অবশ্যই আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে যে কারণে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষাটি খুব জরুরী। শারীরিক ফিটনেস টেস্টে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল চেকআপ এবং দৌড় ও বুকডাউন সহ একাধিক টেস্ট গুলো হয়ে থাকে।
  • চোখ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ যেহেতু আপনি পাইলট হবেন এর জন্য অবশ্যই আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি থাকতে হবে একদম নিখুঁত এবং বিভিন্ন ধরনের রং সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে যদি আপনি সঠিক ভাবে দেখতে না পান কিংবা রং চেনার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু বাতিল হয়ে যাবেন।
  • ISSB( Inter Services Selection Board): এ পরীক্ষাটি সাধারণত চার দিনের হয়ে থাকে, যেখানে প্রার্থীদেরকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং তারা মানসিকভাবে কতটা দৃঢ় এবং নেতৃত্ব গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়গুলো যাচাই করা হয়।
  • প্রশিক্ষণ গ্রহণঃ আপনি যদি ISSB নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাধারণত ১ থেকে ১.৫ বছর মেয়াদী কঠোর পরিশ্রম প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। যার ভেতরে আছে একাডেমিক এভিয়েশন ক্লাস, বেসিক মেলেটারি ট্রেনিং এবং বাস্তব উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ সহ রয়েছে ফ্লাইট সিমুলেটর ট্রেনিং।
  • কমিশন ও নিয়োগঃ আপনি যদি প্রশিক্ষণ গুলো সফল হয় সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত করা হবে এবং আপনি সরকারি ভাবে পাইলট হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
আপনারা যারা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই কাজটি কিন্তু অনেক কঠিন এবং অনেক প্রতিযোগিতামূলক। যে কারণে সরকারিভাবে পাইলট হতে হলে  আপনাকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস এবং নিজের স্বার্থ ও ধৈর্য নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে তাহলে আপনি কিন্তু সফল হতে পারবেন। স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিন।

মেয়েদের পাইলট হওয়ার উচ্চতা

ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা খাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এজন্য আপনারা মেয়েরা যারা পাইলট হতে চান এজন্য আপনাকে যথেষ্ট মেধাবী হতে হবে এবং নিজের যোগ্যতা থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে এবং শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার পাশাপাশি আপনার উচ্চতা সঠিক পরিমাণে থাকতে হবে।

মেয়েদের জন্য পালট হওয়ার উচ্চতা যেটি রয়েছে তা হচ্ছে মেয়েদের ক্ষেত্রে পাইলট হওয়ার নূন্যতম উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি যেটা ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে নূন্যতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার বয়স ১৭ হতে হবে এবং চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টির ক্ষমতা থাকতে হবে। পাইলট হওয়ার জন্য লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে।

প্রথমে সাধারণ জ্ঞানে বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি এবং এর উপর প্রশ্ন হয়ে থাকে যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যদি শারীরিকভাবে ফিট থাকেন এবং আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে এবং আপনি যদি অনেক মেধাবী হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ পাইলট এ কাজ করার জন্য আপনি একদমই পারফেক্ট।

আপনার স্বপ্ন যদি থাকে যে সরকার এভাবে আপনি পাইলট হবেন তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে উচ্চতার পাশাপাশি নিজের ওজনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে যাকে বলা হয়ে থাকে (BMI) অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স। প্রাথমিক পরীক্ষাগুলোতে যদি আপনি সফলতা লাভ করেন এবং ইন্টারভিউ করে সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন।

তারপর আপনাকে ISSB দিতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পিত করা Dimension থেকে বিভিন্ন ধরনের Task এবং বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা দ্বারা আপনাকে একদম পাইলট ক্যান্ডিডেট বিচার করা হবে। ফাইনাল পরীক্ষাতে যদি মেডিকেল টেস্টে আপনি ফাইনাল সিলেকশন যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই কিন্তু বাংলাদেশ পাইলট হওয়ার স্বপ্নটা আপনার অনেক কাছে। মেয়েদের পাইলট হওয়ার উচ্চতা সম্পর্কে আশা করছি আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার যোগ্যতা

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনার পাইলট হওয়ার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারবেন তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনার পাইলট হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি পাইলট হওয়ার জন্য যোগ্যতা কি কি। 
multiplebd-সরকারিভাবে-পাইলট-হওয়ার-উপায়
  • আপনার ইচ্ছা যদি থাকে পাইলট হওয়ার এবং এর জন্য যদি আপনি প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনার নূন্যতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।
  • অবশ্যই আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থাকতে হবে জিপিএ ৫। বিশেষ করে যেগুলো সাইন্স এর সাবজেক্ট যেমন উচ্চতর গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান এবং সাধারণ গণিত বিষয়গুলোতে আপনার জিপিএ ৫ হতে হবে।
  • যেহেতু আপনি পাইলট হবেন এজন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
  • প্রাপ্তিকে অবশ্যই শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে।
  • পাইলট হওয়ার জন্য আপনার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা সম্ভাষণ যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে সেগুলোতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আপনাকে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • পাইলট হওয়ার জন্য যোগ্যতা হিসেবে আপনার প্রদত্ত এবং গণিত বিষয়গুলোতে অন্তত বি গ্রেড থাকা লাগবে।
  • পাইলট হওয়ার জন্য অবশ্যই সঠিক উচ্চতা সম্পূর্ণ হতে হবে। যেটা মেয়েদের জন্য রয়েছে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
  • ১১ পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে শারীরিকভাবে ঠিক থাকতে হবে যে কারণে মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং এটা অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
  • বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী যে ওজন থাকা স্বাভাবিক আপনাকে অবশ্যই সেই ওজন সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
  • এগুলোর পাশাপাশি আপনার দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক থাকতে হবে।

পাইলট এর বেতন কত

আপনারা যদি অজানা থাকে পাইলট হলে বেতন কেমন পাওয়া যাবে তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। কারণ এবং প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী বেতন কিন্তু কম বেশি হয়ে থাকে । প্রথমে বলে রাখি যে একজন পাইলটের বেতন কেমন হবে এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে যে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতা আছেন।

এবং তার অভিজ্ঞতা কত বছর ও বিমান পরিচালনা করে থাকেন কোন পদে সেগুলোর উপরে। যারা সরকারিভাবে পাইলট হয়েছেন তাদের যে সুযোগ সুবিধা এবং বেতন আছে সেটা একটু বেশি এবং যারা বেসরকারি অনলাইনে কাজ করে তাদের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা কিন্তু কম যেটা সরকারি ও বেসরকারি হওয়ার জন্য অনেক আলাদা ।

যারা সবে মাত্র কমিশন প্রাপ্ত পাইলট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের জন্য শুরুতে মাসিক বেতন হয়ে থাকে ২৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এবং এগুলোর সঙ্গে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন যেমন - পোশাক ভাতা রেশন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং চিকিৎসা সুবিধা। বিভিন্ন সময় অভিজ্ঞতা এবং পদোন্নতির জন্য এই বেতন গুলো ধাপে ধাপে বৃদ্ধি হয়।

একজন স্কয়াড্রোন লিডার অথবা উইং কমান্ডার যিনি রয়েছেন তার বেতন কিন্তু অনেক অধিক যেটা পৌঁছাতে পারে ৭০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকারও বেশি। আপনি যদি সরকারিভাবে পাইলট হিসেবে নিচের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি যোগ দিতে পারেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অর্থাৎ BAF তে।

আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনার যদি না জানা থাকে পাইলট হতে হলে কোথায় পড়তে হবে তাহলে আর্টিকেলটি নিচের অংশে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

পাইলট হতে হলে কোথায় পড়তে হবে

আমরা অনেকেই পাইলট হতে চাই কিন্তু জানিনা যে পাইলট হওয়ার জন্য কোথায় পড়তে হবে। যে কারণে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা এবং সঠিক প্রশ্ন না থাকার কারণে অনেকেরই পাইলট হওয়ার স্বপ্নগুলো বৃথা হয়। আপনারা যদি ইচ্ছা থাকে পাইলট হয় তাহলে আপনি কোথায় পড়বেন এবং কোথায় পড়লে সফলতা পেয়ে যাবেন চলুন তাহলে এ বিষয় সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

আপনি যদি সরকারিভাবে পাইলট হতে চান তাহলে সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় জান্ক্ষেতে হবে।তাই পাইলট হবার জন্য আপনি আবেদন করবেন বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স অর্থাৎ "GD (P)"তে। আর এখানে যদি আপনি নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে আপনাকে প্রশিক্ষণ করার সেখান থেকে পাঠানো হবে Bangladesh Air Force Academy যেটা অবস্থিত যশোরে।

এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক ট্রেনিং এবং এভিয়েশন সংক্রান্ত বিভিন্ন একাডেমিক শিক্ষাগুলো দেওয়া হয়ে থাকবে। অনেক সময় আবার প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবেও দেখা যাচ্ছে যে ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুল অথবা বিভিন্ন ধরনের ইনিশিয়াল ট্রেনিং স্কুলে পাঠানো হবে যেখানে আপনাকে বাস্তবে উড়োজাহাজ চালানোর অনুশীলন করতে হবে।

শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনা করলে হবে না বরং আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল ট্রেডিং কঠোর পরিশ্রম এবং উড্ডয়ন সহ লিডারশিপ ট্রেনিং। পাইলট হওয়ার জন্য আপনাকে প্রাথমিক অবস্থাতে বেসিক করছে ভর্তি হওয়া লাগবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে জিপিএ 5 পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

পাইলট হওয়ার যোগ্যতা

আমরা অনেকেই হয়তো ছোট হতে স্বপ্ন দেখতাম যে কোন একদিন আমি বড় হয়ে পাইলট হব। আর বড় হয়ে যদি আপনি পাইলট হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যোগ্যতা হতে হবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে সরাসরি জেনে আসছে আপনি যদি পাইলট হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে পাইলট হওয়ার জন্য যোগ্যতা কি।

প্রথমে বলে রাখি যে পাইলট যদি আপনি হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতে ভালো ভালো উৎপন্ন হবে এবং গ্রেড থাকতে হবে এ অর্থাৎ জিপিএ ৫.এক হাজার পাশাপাশি আপনাকে সাইন্সের বিভাগ গুলো থাকতে হবে জন পদার্থবিজ্ঞান এবং উচ্চতার গণিত ইত্যাদি বিষয়গুলো পাশাপাশি আপনাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেও ফিট হতে হবে।

পাইলট হওয়ার জন্য এবং এর পাশাপাশি আপনাকে শারীরিকভাবে সবদিক থেকে ফির থাকতে হবে এবং অবশ্যই আপনার বয়স হতে হবে ১৬ বছর। এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজি ভাষাতে পারদর্শী হতে হবে। পাইলট হতে হলে এগুলোর পাশাপাশি আপনার আরো অনেক যোগ্যতা প্রয়োজন হবে। তাই এ বিষয় সম্পর্কে আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেল এর উপরের অংশে গিয়ে বাংলাদেশে পাইলট হওয়ার যোগ্যতা বিষয়টি ভালোভাবে পড়ে আসুন।

সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার খরচ

আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষন বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন যে সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় কি। এখন আমরা আলোচনা করব আপনি যদি পাইলট হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার খরচ কেমন  এই বিষয় সম্পর্কে। সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যত বাংলাদেশী এয়ার ফোর্স পাইলটে আবেদন করতে হবে এজন্য ।

আবেদন ফিঃ আবেদন ফি সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ টাকার ভিতরে হয়ে যায়। 

পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি খরচঃ পরীক্ষা ভালো ভাবে দেওয়ার জন্য যদি কোশ্চেন নাও করা হয় তবুও ISSB এবং লিখিত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল তৈরি করার জন্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের বই এবং গাইড কিনতে হয় এতে ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মত খরচ আসতে পারে। 

মেডিকেল রিপোর্ট বা চেকআপঃ আপনি যদি আগে থেকেই আপনার যোগ্য বিবাহের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে যেগুলোতে আপনি ১০০০-২০০০ টাকার ভেতরে এই ট্রেস্টগুলো করে নিতে পারবেন। 

যাতায়াত এবং থাকাঃ যেহেতু বাংলাদেশের সব জায়গা থেকেই আবেদন হয়ে থাকে এজন্য বাছাই কেন্দ্র বিভিন্ন জায়গায় হয় যে কারণে বাছাই কেন্দ্রে যাতায়াত খরচ এবং যাতায়াত করার জন্য বিভিন্ন সময় দেখা যায় হোটেল ভাড়া করে থাকতে হয় সবকিছু মিলে খরচ লাগতে পারে ১০০০-৩০০০ টাকা।

তবে সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি একবার নির্বাচিত হয়ে যান তাহলে প্রশিক্ষণকালীন  সব ধরনের খরচ যেমন থাকা খাওয়া, বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা, মাসিক ভাতা ইত্যাদি খরচ গুলো সরকার বহন করবে। তবে বর্তমানে যে দেশে প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতে পাইলট কোর্স করতে দেখা যাচ্ছে যে সবকিছু মিলে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানিক খরচ গুলো কম বেশি হতে পারে যেটা নির্ভর করে তাকে প্রতিষ্ঠান এবং কোর্সের উপরে। 

মেয়েদের পাইলট হওয়ার ওজন

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে মেয়েদের ক্ষেত্রে পাইলট হওয়ার জন্য ওজন কত হতে হবে। তাই আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি যে আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং পালার জন্য আবেদন করতে চান বা পাইলট করতে চান তাহলে ওজন কেমন হতে হবে।

সাধারণত বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কেমন হবে এটা নির্ধারিত হয়ে থাকে। বয়সের সঙ্গে উচ্চতার সামঞ্জস্য রেখে ওজনের হিসাব করা হয় যাকে বলা হয়ে থাকে BMI(Body Mass Index) এজন্য আপনার ওজনও কিন্তু বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী হতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সরকারিভাবে যেতে পাইলট হতে আবেদন করে থাকেন।

তাহলে এক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য সাধারণত আদর্শ ওজন হিসেবে গণনা করা হয় ৪৮ থেকে ৫৪ কেজির ভেতরে। উচ্চতা যদি এর থেকে অনেক কম অথবা বেশি হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে পর্যন্ত সে অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া লাগবে। আপনার ওজন যদি অনেক কম কিংবা অধিক হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়।

আপনি মেডিকেল পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন। এগুলোর পাশাপাশি আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি এবং আপনার রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক সূচক গুলো ভালো থাকতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

কম খরচে পাইলট

আপনারা যারা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে কিন্তু টাকা অনেক বেশি খরচ হয় বলে সেই স্বপ্ন পূরণ করার সাহস পাচ্ছেন না তাদের জন্য কম খরচে পাইলট হওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন কথা না বাড়িয়ে তাহলে আমরা সরাসরি জেনে আসি কিভাবে আপনি কম খরচে পাইলট হতে পারবেন বা হওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারবেন।

আপনি যদি কম খরচে পাইলট হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ করতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে কিন্তু বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আর এ ধরনের তাত্ত্বিক কোর্সের জন্য খরচ হয়ে থাকে ৬০ হাজার টাকা। এখানে যদি আপনি ফ্লাইং করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টা ফ্লাইট করার জন্য খরচ আসে ১২,০০০ টাকা।

এখানে যদি আপনি প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে শিক্ষার্থী হিসেবে অবশ্যই ১৫০ ঘন্টার ফ্লেলিং আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। তবে অবশ্যই ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া লাগবে। আর যারা স্নাতক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা আছে ২৭ বছর।

মেয়েদের পাইলট হওয়ার যোগ্যতা

এখন আমরা আলোচনা করব মেয়েদের পাইলট হওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে সম্পর্কে। আপনার যদি এ যোগ্যতা গুলো থেকে থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনিও একজন পাইলট হতে পারবেন। চলুন এবার সরাসরি জেনে নিন মেয়েদের পাইলট হতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
multiplebd-সরকারিভাবে-পাইলট-হওয়ার-উপায়
  • পাইলট হতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করতে হবে এবং আপনাকে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • জিপিএ ৫ হলে সব থেকে ভালো এবং জিপিএ ৪.৫০ বাঞ্ছনীয়। অবশ্যই আপনাকে ভগত বিজ্ঞান এবং গণিত এই সকল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
  • বয়সসীমা থাকতে হবে ১৬-২২ বছরের ভেতরে। এবং উচ্চতা থাকতে হবে ৫ ফুট ৪ ইন্চি। উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী এক্ষেত্রে যে ওজনের নির্দিষ্ট একটা মাপকাঠি আছে অবশ্যই আপনাকে সেই ওজন সম্পন্ন হতে হবে।
  • পাশাপাশি অবশ্যই দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকতে হবে যা হতে হবে ৬/৬ পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রং চেনার মত যোগ্যতা থাকতে হবে যেন কোন ধরনের রং চিনতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা না হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল টেস্ট গুলোতে আপনাকে বান্দর পূরণ করতে হবে যেমন -দৌড়, সাতার বুকডাউন, ইত্যাদি।
  • এসবের পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে একজন সৎ এবং সাহসী মানুষ হতে হবে।

পাইলট হওয়ার খরচ 

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে পাইলট হওয়ার খরচ কি। চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনার শেষ অংশে এসে আমরা বিস্তারিতভাবে সরাসরি জেনে আসি যে পাইলট হওয়ার খরচ কেমন। আপনার স্বপ্ন যদি থাকে পাইলট হয় তাহলে এই পাইলট হওয়ার সকল পূরণ করার পথটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে কিন্তু অনেক টাকা খরচ হয়ে থাকে।

তবে যদি বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয় আর যদি সরকারিভাবে করতে চান তাহলে খরচ একটু বেশি লাগে। সরকারিভাবে যদি আপনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার খরচ আসতে পারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই টাকার ভেতরে আপনি পেয়ে যাবেন গ্রাউন্ড স্কুল, বিভিন্ন ধরনের ফ্লাইট ট্রেনিং এবং একাডেমিক কভারের সহ আন্তর্জাতিকভাবে লাইসেন্স ফি।

আপনি যদি বাংলাদেশে এয়ার ফোর্সে একবার নিযুক্ত হয়েছেন অতএব নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সকল ধরনের খরচ গুলো তখন কিন্তু সরকার বহন করবে। আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের আলোচনায় আপনি নিশ্চয়ই সরকারিভাবে পাইলট হওয়ার উপায় বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। আপনার স্বপ্ন যদি থাকে পাইলট হয় তাহলে এই উপায়গুলো আপনি অবলম্বন করে দেখতে পারেন। পাইলট হওয়ার জন্য যেহেতু কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এজন্য এখন থেকে আপনি এই ধরনের প্রস্তুতি গুলো নিতে পারেন।

আজকের আলোচনা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। আর কোথাও বুঝতে যদি অসুবিধা হয় তাহলে আপনি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এ ধরনের তথ্য গুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url