ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় 2025
এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা এবং ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক মনিটাইজেশন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিচ্ছে অনেকেই। তাই বাকি সবার মত আপনিও যদি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে চলুন কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা কত লাগবে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।.
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়
ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায় প্রশ্নটি আমাদের অনেকের মনে আছে কারণ ফেসবুক থেকে এখন টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার ফেসবুকে যদি ফলোয়ার সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
আপনার চিন্তা ভাবনা যদি থাকে যে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করবেন তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ফেসবুকে ফলোয়ার থাকতে হবে। আপনার ফেসবুকে যদি সঠিক পরিমাণে ফলোয়ার্ড থাকে এবং ওয়াচ টাইম যদি পরিপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই।
আরো পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
আপনার ফেসবুক পেইজে ৫ হাজার অথবা তারও বেশি ফলোয়ার থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু ফেসবুক মনিটাইজেশন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ ফেসবুকে ফলোয়ার থাকার পাশাপাশি আপনার সর্বশেষ ৬০ দিনে ওয়াচ টাইম থাকতে হবে ৬০০০০ মিনিট। কিছুক্ষণ শর্তগুলো যদি সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন।
তাহলে আপনি কিন্তু ফেসবুক থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এক পর্যন্ত ইনকাম শুরু হয়ে যায় তাহলে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে সেখান থেকেও কিন্তু আপনার প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা করে পেয়ে যাবেন।
ফেসবুকের ভিউ কি
- ছবি বা পোস্টঃ ছবি অথবা পোস্ট ভিউ বলতে এটা বোঝানো হয় যে কতজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার এই ছবি বা পোস্ট তাদের ফেসবুক নিউজ সিন করেছে বা দেখেছে।
- স্টোরিঃ স্টোরি ভিউ বলতে ফেসবুকে আপনার স্টোরিগুলো যখন অন্য কোন ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার ছাড়া স্টরে গুলোর আংশিক বা সম্পূর্ণ দেখে থাকে তখন এটাকে ভিউ বলে।
- ভিডিওঃ ফেসবুক ভিডিও ভিউ বলতে তখনই গণনা করা হবে যখন অন্য কেউ আপনার ভিডিও তিন সেকেন্ড সময় কিংবা তারও বেশি সময় ধরে দেখবে।
ফেসবুক রিলস কত ভিউ কত টাকা
- ১.০০০ ভিউ এর জন্য $০.০৫ থেকে $০.১০ ডলার পর্যন্ত।
- ১০,০০০ ভিউ হলে এক্ষেত্রে $০.০৫ থেকে $১.০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।
- ১,০০,০০০ ( এক লাখ) ভিউ এর জন্য $৫ থেকে $৫ থেকে $১০ ডলার মতো ইনকাম হয়ে থাকে।
- ৫,০০,০০০ ভিউ হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে আয় হয় $২৫ থেকে $ ৫০ ডলার।
- ১০,০০,০০০ ভিউ এর জন্য এক্ষেত্রে আপনি পেতে পারেন $ ৭০ থেকে ১০০০ কিংবা তার থেকেও বেশি।
- ১,০০,০০,০০০ ভিউয়ের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে আপনার আয়স হওয়া সম্ভব $৫০০ থেকে $১,০০০ ডলার বা তার থেকে বেশি হতে পারে যদি আপনার এঙ্গেজ ভালো হয়ে থাকে।
রিলস ভিডিও বানানোর এপস
- Inshot - ইনসটঃ বিশেষ করে যারা এক ধরনের নতুন তাদের জন্য কিন্তু ইনশট একদমে উপযুক্ত। এটা ইন্টারফেস একদম ফ্রেন্ডলি যে কারণে ভিডিও টিম, টেক্সট এবং স্টিকার সহ বিভিন্ন ধরনের স্পিড কন্ট্রোল ও মিউসিক সেট সহ একাধিক সুবিধা গুলো পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডস কিংবা ইনস্টাগ্রাম ভিডিওরদের সাইজ সে অনুযায়ী এখানে এক্সপার্ট করারও সুবিধা আছে।
- Capcut- ক্যাপকাটঃ বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ক্যাপ কার্ড। বিশেষ করে যারা টিক টক এবং রিলস ভিডিও তৈরি করতে চাই তাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাপ কাট। কারণ এখানে অটোমেটিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি মিউজিক, স্পেশাল ইফেক্ট, অটোমেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে।
- Vn Video Editor- ভি এন ভিডিও এডিটরঃ যতগুলো ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার আছে কিংবা ভিডিও তৈরি করার টুলস আছে তার ভেতর থেকে এটি একটি। টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই ফ্রি ভাবে ভিডিও তৈরি করা যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের কাস্টম ফিল্টার সহ টাইমলাইন বেস এডিটিংসহ একাধিক ফিচার আছে যে কারণে ভিডিও তৈরি করা খুব সহজ এবং কোয়ালিটি ও ফ্রেম নিজের মত করে করা যায়।
- Kine Master- কাইনমাষ্টারঃ যারা একটু এডভান্স তাদের জন্য এই টুলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের মাল্টিপল ভিডিও লেয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্পেশাল ইফেক্ট এবং ভয়েস চেঞ্জ সহ বিভিন্ন ধরনের গেনস্ক্রিন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ওপ্যাসিটি কন্ট্রোল করার সুযোগ পাবেন।
- Canva- ক্যানভাঃ কেন বাজে শুধুমাত্র পোস্টার ডিজাইন করার জন্যই ব্যবহার হয়ে থাকে বিষয়টা এমন না। বরং ক্যান বাদ দিয়ে আপনি কিন্তু আকর্ষণীয়মানের প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখানে আছে বিভিন্ন ধরনের টেক্সট এবং গ্রাফিক্স সহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও টেমপ্লেট।
10000 ভিউতে ফেসবুক কত টাকা দেয়
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
- ফেসবুক অ্যাডঃ আপনার নিজস্ব কোন পণ্য অথবা ফেসবুকে সেবা প্রমোট করার ক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক এড ব্যবহার করে এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
- ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমেঃ ফেসবুকে আপনি নিজস্ব কোন গ্রুপ তৈরি করে নিলেন এবং সেখানে জেদের কে সদস্য হিসেবে অ্যাড করবেন তাদের থেকে সাবস্ক্রাইবশন পেয়ে হিসেবে একটা এমাউন্ট নিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও সেখানে বিশেষ কোনো এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট রেখে আপনি গ্রুপের সদস্যদের জন্য স্পেশাল কোন কনটেন্ট প্রদান করে সেখান থেকে আপনি ফি হিসেবে টাকা নিতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে একটা টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করলেন এবং অন্য কেউ যখন এই লিঙ্কের মাধ্যমে কোন কিছু ক্রয় করে থাকবে তার কমিশন সরাসরি আপনি পেয়ে যাবেন ।
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ ফেসবুকে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা যদি অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি সরাসরি ইনফ্লুয়েঞ্জার হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড প্রমোশন করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
- ফেসবুক লাইভঃ আমি যদি খুব জনপ্রিয় হয়ে যান তাহলে এক্ষেত্রে লাইফ স্ট্রিমের মাধ্যমে আপনার ফ্যান বেসদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখার সুযোগ পাচ্ছেন এবং এখান থেকে ডোনেশন বা ব্যান্ড স্পনসরশিপ থেকো আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
- CPM: এটা দ্বারা বোঝানো হয়ে থাকে একজন বিজ্ঞাপন দাতা তার বিজ্ঞাপন গুলো দেখানোর জন্য প্রতি ১০০০ বারে কত টাকা করে দিচ্ছে সে বিষয়টিকে।
- CPC: মূলত কোন একটি বিজ্ঞাপনের ভেতরে ভিওারা যখন ভিউ করে থাকে তখন এক্ষেত্রে কত টাকা পেতে পারেন এ বিষয়কে সিপিসি বলা হয়ে থাকে।
- CTR: এটি দ্বারা বোঝানো হয়ে থাকে যে আপনার বিজ্ঞাপন গুলোতে কত হাজার মানুষ ভিজিট করেছে। অর্থাৎ কোন একটি বিজ্ঞাপনে যতগুলো মানুষ ভিউ করে বা ক্লিক করে তাকে সিটিআর বলে।
- CPM হিসেব $1: ৳1
- CPC হিসেব $0.1: $0.1 ( ১০ জন ক্লিক করে থাকলে)
- CTR হিসেব 10%: $0,1 ( যদি ১০০ জন ভিউয়ার থেকে ১০ জন ক্লিক করে)
ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি
- অবশ্যই আপনার একটা পেজ কিংবা প্রোফাইল থাকতে হবে যেখানে আপনাকে নিয়মিত ভাবে ডিটেলস ভিডিও আপলোড করতে হবে।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট ফলোয়ার থাকতে হবে। আর এই ফলোয়ার সংখ্যার পরিমাণ হচ্ছে 5000 কিংবা তার অধিক।
- যে সকল ড্রেস ভিডিও আপনি আপলোড করবেন এগুলো অবশ্যই আপনার অরজিনাল কনটেন্ট হতে হবে এবং কোন কপিরাইট যেন না থাকে।
- অন্যের কোন ভিডিও কিংবা কপিরাইট লঙ্ঘন ইত্যাদি বিষয়গুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার মনিটাইজেশন কিন্তু বন্ধ হতে পারে।
- আপনার ভিডিওগুলো অবশ্যই ফেসবুকের মনিটাইজেশন পলিসি সত্য অনুযায়ী হতে হবে।
- কোন ধরনের সহিংসতা কিংবা ঘৃণামূলক মাত্র অথবা আপত্তিকর কোন কিছু এখানে থাকা চলবে না।
- আপনার বয়স অফিসের এক্ষেত্রে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
- মনিটাইজেশন করার জন্য আপনার প্রোফাইলে কিংবা পেজে অবশ্যই পাঁচটি ভিডিও থাকতে হবে।
- আর হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচটাইম এবং যেটা হতে হবে সর্বশেষ ৬০ দিনের ভিতরে।
ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা
ফেসবুকে রিলস ভিডিও ছাড়ার নিয়ম
- আপনি যদি ফেসবুকের রিলস ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে Reels অবসরে যেতে হবে এবং Creat Reels বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার সেখানে গিয়ে ভিডিও রেকর্ড করবেন অথবা আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে কোন ভিডিও সিলেক্ট করে নিবেন। আপনি চাইলে সরাসরিও করতে পারেন অথবা পূর্বে থেকে রেকর্ড করার কিছু গ্যালারি থেকেও নিতে পারেন।
- এবার রিলস ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক অথবা টেক্সট,এবং ইফেক্ট,স্টিকার লাগাতে হবে। ভিডিওতে এগুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ভিডিওটি অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
- একবার ভিডিও আপলোড করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিডিও রেজুলেশন এবং রেসও ঠিক রাখতে হবে। সাধারণত কোন আদর্শ রিলস ভিডিও রেজুলেশন হয়ে থাকে 1080x1920 পিঞ্জেল এবং রেশিও হয় 9:6।
- ভিডিও আপলোড করার পূর্বে অবশ্যই ভিডিওর প্রথম তিন মিনিট আকর্ষণীয় কিছু রাখবেন যাতে করে দর্শকরা এটা দেখতে আকৃষ্ট হয়।কারণ প্রথম দু এক সেকেন্ডে দশটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যে আপনার এই ভিডিওটি তারা দেখবে কি দেখবে না।
- শেষ ভিডিও আপলোড করার পূর্বে এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের টাইটেল যোগ করতে পারেন। এখানে যদি সাবটাইটেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে।
- প্রাসঙ্গিক এবং টেনিং হ্যাসট্রাগ গুলো ব্যবহার করুন। এজন্য ক্যাপশনের শেষে আপনি, # Travel,# lifestyle,# Funny,#Viral ইত্যাদি ট্রেনিং ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন।
- ভিডিওতে অবশ্যই আকর্ষণীয় মানের থামবিনেল ব্যবহার করতে হবে যাতে করে লোকজন আকর্ষিত হয়ে এখানে ক্লিক করে।
- ভিডিও ছাড়ার আগে সেটিং গুলো ঠিক রাখতে হবে যেমন- public,Onle me,Friendly, আপনি এই ভিডিওগুলো কাদের জন্য তৈরি করছেন বা কাদের দেখাতে চাচ্ছেন সেই অনুযায়ী একটি বেছে নিবেন।
- সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার শেয়ার বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার রিলস ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url