এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়

জনসন বেবি অয়েলের ৭টি উপকারিতাএক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় কি এ বিষয়ে সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের আর্টিকেলের পুরো অংশ জুড়ে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা কি এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়। 
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হলে শরীরে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে তবে অবশ্যই এজন্য আপনাকে জানতে হবে কোনটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। কিভাবে আপনি  এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চিনবেন? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।.

ভূমিকা

বিভিন্ন সময় দেখা যায় আমরা বাজারে গিয়ে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের নামে নকল একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল নিয়ে আসে যে কারণে আমাদের জানতে হবে কোনটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা কি এবং এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের দাম সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায়

বর্তমান সময়ে বাজারে যে ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যাচ্ছে এগুলো সবটাই কিন্তু এক্সট্রা ভার্জিন নয় যে কারণে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি না জেনে থাকেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কোনটি তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের এই অংশে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। 
multiplebd-এক্সট্রা-ভার্জিন-অলিভ-অয়েল-চেনার-উপায়
  • স্বাদঃ অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের গন্ধ যে আপনাকে চিনতে সাহায্য করবে যে এটা আসল নাকি নকল। একটা খাঁটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল এর সাত কিছুটা তীক্ষ্ণ হতে পারে এবং ভেষজ কিংবা ঘাসের মতো হতে পারে। আপনি যদি দেখেন স্বাদের ভেতরে ফিকে অথবা মিষ্টি ভাব আছে তাহলে সেটা এক্সট্রা ভার্জিন নয় বরং তা হতে পারে অন্য কোন প্রক্রিয়াজাত অলিভ অয়েল।
  • রঙের দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর রং কিন্তু সাধারণত সোনালী রঙ্গের অথবা গারো সবুজ হয়। একটা খাঁটি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের রঙ তাজা এবং স্বাভাবিক হয়। আপনি যদি দেখেন অতিরিক্ত হাল্কা অথবা বাদামী রঙের তাহলে বুঝবেন এটা অনেক পুরনো কিংবা খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে একটা খাঁটি ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল অনেক বেশি পরিষ্কার এবং পাতলা হয়ে থাকে।
  • মূল্যঃ অন্যতম একটি বিশেষ লক্ষণ হতে পারে এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভ অয়েল এর মূল্য। অন্যান্য তেলের তুলনায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের দাম কিন্তু অনেক বেশি। কারণ একটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল তৈরির প্রক্রিয়া সমস্যাধ্য এবং অনেক কষ্টের যে কারণে খাটি জিনিস হওয়ার কারণে এর দাম অনেক বেশি হয়। আপনি যদি একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল খুব কম দামে কিনেন তাহলে সেটা ভালো নাও হতে পারে।
  • উৎপাদনের উৎস এবং দেশঃ সাধারণত ভূমধ্যসাগরের দেশগুলোতে সবথেকে বেশি উৎপাদন করা হয় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। যেমন - গিরিশ তিতালি ইত্যাদি। এজন্য প্যাকেজিংয়ের উপর যদি আপনি উৎপাদনের দেশে দেখেন তাহলে অবশ্যই এটা আপনাকে সঠিক অলিভ অয়েল দিয়ে চিনতে সাহায্য করবে।
  • গন্ধঃ একটা ভালো মানের এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের গন্ধ কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর গন্ধ অনেকটাই তাজা ফল ফুলের মত এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভেষজ বা ঘাসের মতো হতে পারে। এ দিকগুলোর পাশাপাশি এর ভেতরে গন্ধের দিক থেকে কোন অস্বাভাবিকতা নেই। আপনি যদি দেখতে পান যে তেলের ভেতর থেকে গন্ধ অথবা পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে তাহলে বুঝবেন এটা ভালো নয়।
  • লেভেল চেক করুনঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল চেনার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে এ লেভেল চেক করা। আপনি যখন এক্সট্রা অর ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল কিনবেন তখন অবশ্যই লেবেল চেক করবেন যে এখানে fast cold Pressed অথবা extra virgin লেখা আছে কিনা। এমন লেখা যদি না থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটা সঠিক নয়। কেনার পূর্বে অবশ্যই উৎপাদন তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিবেন ।
উল্লেখিত এ সকল টিপস থেকে আপনি সবসময় একটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ তেল চিহ্নিত করতে পারবেন। এখন থেকে বাজারে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল কিনতে গেলে আপনাকে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি

একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল অর্থাৎ ( EVOO) কি বিষয়টা অনেকের অজানা। এজন্য আজকের আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা জেনে নিব যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বলতে কি বোঝায়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এমন এক ধরনের অলিভ অয়েল যেটা অনেক কম তাপমাত্রাতে প্রক্রিয়াকরণ করে সেটা উৎপন্ন করা হয়।

বহুকাল ধরেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া বর্তমান সময়ে এসেও আধুনিক বিজ্ঞানও কিন্তু এই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিকগুলো প্রমাণ পেয়েছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল একদম প্রাকৃতিক যে কারণে এতে কোন ধরনের রাসায়নিক উৎপাদন অথবা পরিশোধন প্রক্রিয়ার নেই যে কারণে এসিডিটির পরিমনি এখানে তাপমাত্রায় থাকে।

এজন্য এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল রান্নার তেলের থেকেও কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। সাধারণত প্রথমে প্রক্রিয়াজাত করা অলিভ থেকে রস সংগ্রহ করার মাধ্যমে একটা ভার্জিন অলিভের রস প্রস্তুত করা হয়। বিশেষ করে তাজা গন্ধ এবং তাদের জন্য এটা কিন্তু অনেক বেশি পরিচিত। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় হলো এর রঙের ধরন এবং গন্ধ। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার নিয়ম

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি তেল হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল। কিন্তু অনেকেই জানে না কিভাবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল খেতে হয়। যে বিষয়টা আমাদের জানা দরকার। এজন্য এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে খাওয়ার নিয়মও। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক। 

আরো পড়ুনঃ শরীরের কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর নাম ও উপায়

  • বিশেষ করে সকলের খালি পেটে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়া হলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। আপনি যদি সকালে খালি পেটে এক চা চামচ অলিভ অয়েল খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার পরিপাকতন্ত্রের জন্য বেশি করে এছাড়া শরীরে ডিটেক্স প্রক্রিয়ার জন্য অনেক বেশি সাহায্যকারী ।
  • আপনি যদি ভেবে থাকেন সাত বৃদ্ধি করার জন্য অন্য কিছু দিয়ে খাবেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল খেতে পারবেন স্যালাড অথবা সুপের সঙ্গে। এতে করে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পায় এবং ভালো প্রোটিন এবং ফেটো যুক্ত হয়। সালাদের যদি আপনি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল যোগ করেন তাহলে এতে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই।
  • আপনি যদি ভেবে থাকেন রান্নার সাথে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল খাবেন তাহলে কিন্তু খেতে পারবেন কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন রান্নার সময় খুব বেশি গরম না হয় কারণ উচ্চ তাপমাত্রা তে এতে থাকে কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু সাধারণ রান্নার কাজে এটা কিন্তু ব্যবহার করা যায় যেমন তাজা সবজি অথবা পাস্তা।
  • এই নিয়মগুলোর পাশাপাশি একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল আপনি কিন্তু খেতে পারবেন রাতে খাবার খাওয়ার পরে মধু বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও। এটা আপনার হজ্বে সাহায্য করবে এবং রাতে ভাল ঘুমের জন্য বেশ সাহায্যকারি।

উপরে উল্লেখিত উপায় আপনি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খেতে পারবেন। এভাবে সঠিক নিয়মে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে এটা সাহায্য করবে। 

অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর উপকারিতা

অলিভ অয়েল খাওয়ার পাশাপাশি কিন্তু ত্বক এবং চুলের জন্য এর অনেক উপকারী দিক রয়েছে। বিশেষ করে এতে থাকা ভিটামিন এ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলোর প্রাকৃতিক ফ্যাটি এজেন্ট গুলো আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু মুখে লাগানোর অনেক উপকারিতা ও আপনি পেয়ে যাবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক। 

  • অলিভ অয়েল মুখে ব্যবহার করা হলে এটা ত্বককে গভীরভাবে প্রবাহিত করে এবং ত্বক রাখে কমল ও মসৃণ। এছাড়াও এতে থাকা যে প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে তা আমাদের ত্বকে শুষ্কতা দূর করবে এবং ত্বকে আদ্র রাখবে। বিশেষ করে আপনি যখন এটা শীতকালে ব্যবহার করবেন এটা তখন খুবই কার্যকর কারণ শেষ সময়ে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
  • হলিউডের মুখে ব্যবহার করা হলে এটা বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করবে। মুখে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে রয়েছে এর দারুন এক ভূমিকা।
  • সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও কিন্তু আমাদের ত্বক রক্ষা করতে পারে অলিভ অয়েল। এজন্য অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এটা সূর্যের uv রোশনি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।
  • বয়সের ছাপ মুছে ফেলতে রয়েছে অলিভ অয়েলের জাদুকারি ভূমিকা। আমাদের ত্বকে এটা কোলাজেন উৎপাদন এর মাত্রাকে বৃদ্ধি করে। এর পাশাপাশি ত্বক দৃঢ় ও টানটান রাখে।
  • আমাদের ত্বকের গঠন উন্নত করার পাশাপাশি ত্বকের কোষের বিকিরণে অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকারী। বিশেষ করে এটা আমাদের ত্বকের গভীর স্তরে প্রবাহিত হওয়ার মাধ্যমে ত্বক শক্তিশালী করে। আর এভাবেই ত্বকের স্বাভাবিক গঠন ও পুনরুদ্ধার হতে পারে।
  • প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসেবেও কিন্তু অলিভ অয়েলের রয়েছে অন্যান্য এক ভূমিকা। এটা আমাদের ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর করে এবং এলার্জিক উপাদান গুলি পরিষ্কার করে। যে কারণে এটা আমাদের ত্বকের ক্ষতি না করে ময়লা দূর করতে পারে।
  • অলিভ অয়েল মুখে লাগানোর যে উপকারী দিকগুলো আছে এর ভিতর একটু অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে এটা কিন্তু রূপচর্চার একটি অপরিহার্য উপাদান হয়েও কাজ করে। তাকে ব্যবহার করা হলে এটা তা খুব জল ও সতেজ রাখে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম কত

আপনার অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে একটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম কত। তাই আমরা ভেবেছি আর্টিকেল এই পর্বে এসে আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে দেবো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম সম্পর্কে। তবে বিভিন্ন সময়ে স্থান কাল ও সময়ে ভেদে দামের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের দাম নিচে উল্লেখ করা হলো 

  • ওলিটিয়া এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ১ লিটার তেলের দাম ১২৫০ টাকা
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ৫০০ মিলি দাম ৫৭৫ টাকা
  • বাসো অলিভ অয়েল ১ লিটার দাম ৮৮০ টাকা
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল - অলিভ অয়েলস ল্যান্ড ২৫০ মিলি তেলের মূল্য ৭৫০ টাকা
  • ক্যাস্টর অলিভ অয়েল ১০০ গ্রাম ১১০ টাকা
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ৫ লিটার তেলের দাম ৪৪০০ টাকা
  • কেও কারপিন অলিভ অয়েল ১০০ মিলি দাম ১৬০ টাকা

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি শরীরে ব্যবহার করা যায়

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় তো আমরা জানলাম। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরে ব্যবহার করা যাবে কিনা এ বিষয় নিয়ে অনেক সময় আমাদের মাথাতে একটা চিন্তা কাজ করে। আপনিও যদি জানতে চান আপনি যদি শরীরে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন তাহলে কি হবে বা এর উপকারিতা কি এবং ব্যবহার করা যাবে কিনা আপনার জন্যই।

আপনারা যারা ভাবছেন শরীরের জন্য একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে কিনা তাদের জন্য বলব হ্যাঁ, আপনি আপনার শরীর ও একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারবেন।চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেন তাহলে এটা আপনার ত্বক অনেক মশ্চারাইজ রাখবে এর পাশাপাশি তোকে এক ধরনের কোমলিয় ভাব দেখা যাবে।

পাশাপাশি অলিভ অয়েল তেলের ভিতরে যে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়ালসহ অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য আছে এগুলো আপনার ত্বকের আদ্রতা তৈরি করার মাধ্যমে ত্বক রাখবে হাইড্রেট। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল যদি আপনার শরীরে ব্যবহার করেন তাহলে এটা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্র কম করবে।

এতে রয়েছে একধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফ্যাটি এসিড যে কারণে এটা আপনার ওজন করা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে যদি এদের ব্যবহার করা হয় তাহলে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য এটা উন্নতি এছাড়াও ঝুঁকি কমাবে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের মত রোগের। তবে অনেকের ত্বকে এটা আবার সহনশীল নাও হতে পারে কারণ সবার ত্বক এক নয়।

এ কারণে আপনি আপনার পুরো ত্বকে ব্যবহার করার পূর্বে কোনো এক অংশবিশেষে কিছু পরিমাণ ব্যবহার করে দেখবেন। যদি দেখেন কোন সমস্যা হচ্ছে না তাহলে নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন আর যদি দেখেন তাকে ব্যবহার করার পর চুলকানি বা অ্যালার্জিজনিত কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তারপর ব্যবহার করতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি জেনে থাকেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় কি তাহলে খাঁটি অলিভ অয়েল খাওয়ার মাধ্যমে কিন্তু আপনি অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার অনেক উপকারী দিক আছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক এক্সট্রা ভার্জিন  অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। 
multiplebd-এক্সট্রা-ভার্জিন-অলিভ-অয়েল-চেনার-উপায়
  • বিশেষ করে ত্বক এবং চুলের জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এইটা আছে ভিটামিন এ ভিটামিন কে এবং এন্টিঅক্সিডেন্টসহ আরো অনেক উপাদান যেগুলো তোকে কোনদিন উৎপন্ন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়া হলে এটা চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি মাথা থেকে খুশকি দূর করে। 
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এখানে আপনি পেয়ে যাবেন ইনফ্লামেশন ক্ষমতা কমানোর উপকারী সকল উপাদান। বিশেষ করে এটি কাজ করে থেকে প্রাকৃতিক এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে যেটা আপনার শরীরের প্রদাহ কম করতে সাহায্য করবে। যে কারণে আপনি যদি একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল এলার্জি অথবা অন্য কোন প্রদাহ জনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করবে। 
  • ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধেও কিন্তু বিশেষ এক সুরক্ষা পাওয়া যাবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার মাধ্যমে। একটা ভার্জিন অলিভ অয়েললে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফিনোলিক উপাদান সমৃদ্ধ যেটা আপনার শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের কার্যক্রম গুলোকে প্রতিরোধ করবে।
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কাজ করে প্রাকৃতিক এন্টি ডায়াবেটিস হিসেবে যে কারণে এটা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে। এছাড়াও রাতে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কেউ অনেক বেশি উন্নক্ত রাখে। বর্তমান সময়ে এসে দেখা গেছে যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও এটা সক্ষম। 
  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এটা আপনার শরীরের চর্বি বার্ণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর ভেতরে যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে এটা আমাদের শরীরের বিপক্ষে কার্যক্রম গুলোকে উন্নত রাখে এবং চর্বি কম করতে ভূমিকা রাখে। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া ঠিক হবে না কারণ অতিরিক্ত খাওয়া হলে এটা কিন্তু বিরূপ ফেলতে পারে।
সুতরাং বলা যায় যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এজন্য আপনি একটা ভাবছেন অলিভ অয়েল তেল খেতে পারবেন। তবে হ্যাঁ একটা বাজে অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এর উৎপাদন তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়। 

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি মুখে ব্যবহার করা যায়

আপনার অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন অলিভ অয়েল মুখে লাগানো যায় কিনা। এজন্য আর্টিকেলের সেরা সংস এসে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আপনার মুখে এক্সট্রা ভার্জিন  অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন কিনা। প্রথমেই বলে রাখি যে হ্যাঁ আপনার মুখে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারবেন।
মুখে যদি অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয় তাহলে এতে করে বিভিন্ন উপকারী দিকগুলো পেয়ে যাবেন এছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তারপর রক্ষা করবে এবং বয়সের চাপ পড়তে দেবেনা। এছাড়াও ত্বকে এক ধরনের প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে।

এর পাশাপাশি সূর্যের অতিরিক্ত ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও আমাদের ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে এই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। তবে হ্যাঁ আপনি যদি দেখেন ব্যবহার করার পর আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করা যাবে না এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। 

পরিশেষে 

প্রিয় পাঠক আজকের পর আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে। এখন থেকে বাজারে গিয়ে আপনি এসকল দিকগুলো লক্ষ্য করে একটা খাঁটি একটা অলিভ অয়েল তেল কিনতে পারবেন। আর্টিকেলটি যদি কোথাও বুঝতে আপনার অসুবিধা হয় তাহলে আপনি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আর হ্যাঁ, ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো নিয়মিত পেতে চাইলে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। আপনাদের সকলের জন্য দোয়া ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকবেন আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url