ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম - ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো আজকের এই আলোচনায়। আমরা এমন অনেকেই আছি যারা কিনা সঠিকভাবে জানি না যে কোন গুলো ভিটামিন ডি জাতীয় শাকসবজি এবং কোন ফলে ভিটামিন ডি আছে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা এবং ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম  সম্পর্কে জানবো আজকের এই আলোচনায়।
multiplebd-ভিটামিন-ডি-যুক্ত-ফলের-নাম
যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি আছে এগুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করতে পারবেন। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবেন আমাদের আজকের এই আলোচনায়।.

ভূমিকা 

শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তখন কিন্তু আমরা ভিটামিন ডি জাতীয় ফল এবং শাকসবজি ছেলে এই অফ গুলো পূরণ হবে। আপনাকে জানতে হবে যে কোন গুলো ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার এবং কোন খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবেন। সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের আজকের এই আলোচনায় পড়লে আপনি আরো জানতে পাবেন ভিটামিন ডি ৩ ওষুধের নাম সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। 

ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম

আপনারা যারা ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য কিন্তু আর্টিকেলের এই অংশটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আলোচনার এই অংশে এসে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন ভিটামিন ডি যুক্ত সকল ফলগুলোর নাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

multiplebd-ভিটামিন-ডি-যুক্ত-ফলের-নাম

  • তরমুজঃ তরমুজ আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। তবু যে শুধু খেতে সুস্বাদু এবং রসালো তা কিন্তু নয়। বরং ভিটামিন ডি এর সব থেকে বড় একটি উৎস হচ্ছে তরমুজ। যে কারণে ভিটামিন ডিযুক্ত ফল হিসেবে তরমুজ রয়েছে প্রথমে।
  • খেজুরঃ খেজুরে উপস্থিত আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। খেজুর হচ্ছে শক্তির অন্যতম একটি বড় উৎস যেটা আমাদেরকে সামগ্রিকভাবে সাহায্য করতে পারে। আপনারা ভিটামিন ডি পেতে চাইলে খেজুর খেতে পারেন।
  • কাঠবাদামঃ আপনারা রাতে কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রেখে এটা সকালে যদি খান তাহলে সব থেকে বেশি উপকারিতা পেয়ে যাবেন। কারণ কাঠবাদামে আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, এবং প্রোটিন সহ ক্যালসিয়াম যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • আলুবোখরাঃ আলু বোখরা হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎস।এছাড়াও এর ভেতরে আপনি পেয়ে যাবেন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কেসহ আরো অনেকগুলো ভিটামিন যা কষ্ট কঠিন সমস্যা সহ একাধিক রোগগুলো প্রতিরোধ করতে ভূমিকা আছে।
  • কিসমিসঃ কিসমিস আমরা কেউ ভিজিয়ে খেয়ে থাকি তো কেউ শুকনা ভাবেই। যেভাবে খাওয়া হোক না কেন কিসমিসে কিন্তু রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি। এজন্য আপনারা যারা ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে চান তারা কিন্তু কিসমিস খেতে পারেন।
  • শুকনা ডুমুরঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উপস্থিত আছে আছে শুকনা ডুমুরের ভিতরে। এছাড়াও এখান থেকে আপনি পেয়ে যাবেন পটাশিয়াম এবং আঁশসহ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় উপাদান যেগুলো কিন্তু আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
  • শুকনো খোবানিঃ শুকনো খবর নিতে আছে ভিটামিন এ পটাশিয়াম এবং ফাইবার সহ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। আপনি যদি নিয়ম করে প্রতিনিয়ত এই খাবারটি খেতে পারেন তাহলে কিন্তু এটা আপনার হাড়ের ক্ষয়রোধ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রাখতে পারবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি

ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম এবং ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু এগুলো থেকে অনেক পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন যে আপনার শরীরের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূলত ভিটামিন ডি আমরা পেয়ে থাকি বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর উৎস এবং সূর্যের আলো থেকে।

আরো পড়ুনঃ সেরা নিয়ম জানুন ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়

এছাড়াও কিছু উদ্ভিদজাত খাওয়ার থেকেও আপনি প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে মাশরুম এবং সবুজ শাকসবজি গুলোতে ভিটামিন ডি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। চলুন তাহলে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক। 

  • বাঁধাকপিঃ ভিটামিন ডি সমীদ্ধ একটি শব্দ হচ্ছে বাঁধাকপি। এই সবজির ভেতরে আপনি শুধুমাত্র ভিটামিন কিংবা খনিজ পদার্থ নয় বরং একসঙ্গে পেয়ে যাবেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এজন্য আপনি যদি ভিটামিন ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি খাদ্য তালিকাতে সবজি হিসেবে বাঁধাকপি যুক্ত করতে পারেন।
  • মাশরুমঃ ভিটামিন ডি জাতীয় অন্যতম একটি হলো মাশরুম্। বাইরের প্রচুর দেশেই কিন্তু মাশরুম খাওয়ার চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। বিশেষ করে মাইটেক এবং শিটা মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
  • পালং শাকঃ ভিটামিন ডি জাতীয় যদি শাক সবজি খেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি পালং শাক খেতে পারেন। কারণ ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎসাহ আছে পালং শাক। শার্টটি কেমন সুস্বাদয় নয় বড় এর ভিতরে আপনি পেয়ে যাবেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন টি এ ছাড়া অনেকগুলো উপাদান যাতে শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • মটরশুঁটিঃ যে সকল শাকসবজি কিংবা খাবার থেকে আপনি ভিটামিন ডি পাবেন তার ভিতরে অন্যতম একটি হচ্ছে মটরশুটি। মটরশুঁটির একদিকে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এর ভেতরে উপস্থিত আছে ভিটামিন ডি উপাদান।
  • দুগ্ধজাত খাবারঃ বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবারগুলোতে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম সহ অনেক পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনারা যারা ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে চান তারা কিন্তু জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে আপনারা যারা হাটের রোগে আছেন বা হার্টের সমস্যা এবং এলার্জি রয়েছে তারা কিন্তু দুগ্ধ খাবার বলবে কৃষকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনটি 

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনটি। তাই আমরা আলোচনার এই অংশে এসে আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে দেবো সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে। ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি  বিস্তারিত জেনে গেছেন।

আরো পড়ুনঃ তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

  • সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি সুবিধা খাবার হিসেবে প্রথমে যেটি বলতে হয় তা হচ্ছে ডিম। কারণ ডিম হলো ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি সেরা উৎস।
  • আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য কিন্তু খাদ্য তালিকা থেকে কমলা রাখতে পারেন। কারণ কমলা থেকে আপনি একই সঙ্গে পেয়ে যাবেন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি সহ ভিটামিন ডি।
  • দুধেও কিন্তু আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি। দুধের ভেতরে ছয়টি উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে ক্যালসিয়াম যেটা কিন্তু শিশুর বৃদ্ধিতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিশেষ করে মাছের তেল অর্থাৎ কড লিভার অয়েলে কিন্তু ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এজন্য আপনি চাইলে এ ধরনের খাবার গুলো খেতে পারেন
  • খাবার তালিকাতে আপনি মাশরুম যুক্ত করতে পারেন কারণ মাশরুম হচ্ছে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার।
  • বিশেষ করে ফ্যাটি ফিস জাতীয় যেমন সামুদ্রিক জাতীয় মাছ, টুনা ও মেক রেলসহ এই ধরনের মাঠ গুলো আপনি খাবার তালিকাতে রাখতে পারেন যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন।

ভিটামিন ডি ৩ ঔষধের নাম

ভিটামিন ডি ৩ ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে গবেষণা করে দেখতে হবে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যেগুলো খাওয়া আপনার জন্য ঠিক হবে কিনা। চলুন আমরা নিচের অংশে জেনে আসি যে ভিটামিন ডি৩ এর জন্য যে সকল ওষুধ ব্যবহৃত হয় তার কিছু নাম সম্পর্কে। 

  • D-sol
  • Calcitrol
  • Uprise D3
  • Vitamin D3 ( 100 IU / 2000 IU /  5000 IU
  • Shelcal HD
  • Cholecalciferol
  • Ostocalcium HD
  • D- Rise
  • Calcirol Sachet
উল্লেখিত এ ধরনের ওষুধ গুলো বা সম্পূরক গুলি আপনারা অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। কিন্তু ভিটামিন ডি ওষুধ খাওয়ার মাপাড়া বিভিন্ন রকম হতে পারে।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম। আপনারা অনেকেই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানতে চেয়েছিলেন যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা এর ভেতরে কিন্তু আপনি একসঙ্গে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামও পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে আমরা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর মধ্যে খাবার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

আপনি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো পেতে চাইলে কিন্তু দুগ খাবারগুলো খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি কিন্তু পনির থেকেও অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ধরনের মাছের ডিম, ফুলকপি এবং ব্রকলি থেকেও আপনি অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো পেতে চান তাহলে ডিম খেতে পারেন।

এগুলোর পাশাপাশি বাদাম ও বেজ জাতীয় খাবার গুলোতে আপনি পেয়ে যাবেন অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেকগুলো উপাদান। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি অর্থাৎ গাজর, বাঁধাকপি, কলমি শাক এবং পালং শাক জাতীয় সবজিগুলো থেকেও আপনি প্রচুর পরিমানে পেয়ে যাবেন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

ভিটামিন ডি ট্যাব্লেটের নাম

বর্তমানে কিন্তু বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ভেতর থেকে ভালো এবং কার্যকারী কিছু ভিটামিন ডি ট্যাবলেটের নাম আপনাদের জন্য নিচে তুলে ধরলাম। আপনি যদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা জানতে চান তাহলে নিচের অংশটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভিটামিন ডি ট্যাবলেট এর নাম হল:
  • D-cap capsule
  • Osteo- D Dispersible Tablet
  • D-1000 Tablet
  • D- star capsule  
  • Aristo D3 Capsule
  • D-Revive Capsule
  • D-Gain Capsule
  • D-Best Capsule 
উল্লেখিত এ সকল ভিটামিন ডি ট্যাবলেট গুলোর ভেতর থেকে আপনারা যে কোন একটা ট্যাবলেট খেলে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা কি কি।ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম গুলো সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। এবার জেনে আসি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সম্পর্কে। 
multiplebd-ভিটামিন-ডি-যুক্ত-ফলের-নাম
  • দুগ্ধ জাতীয় খাবারঃ দুগ্ধ জাতীয় খাবার গুলো যেমন - ছানা, পনির, দই ও মাখন ইত্যাদি সকল খাবার থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনারা খাবার তালিকায় এই খাবারটি রাখতে পারেন। 
  • বাদামঃ আমাদের সবারই পছন্দের একটি খাবার হচ্ছে বাদাম। বাদামে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি। এজন্য আপনি যদি নিয়মিতভাবে বাদাম খান তাহলে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনটি পেয়ে যাবেন। শুধু বাদাম নয় বরং আপনি বাদামের ভর্তা কিংবা বাদাম দিয়ে তরকারি করেও খেতে পারবেন। 
  • মাশরুমঃ বর্তমান সময়ে কিন্তু মাশরুম খাবার হিসেবে অধিক জনপ্রিয়। আরে মাশরুম কিন্তু ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎসব। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে মাশরুম খান তাহলে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আপনি পেয়ে
  •  যাবেন। 
  • ডিমের কুসুমঃ দামের দিক দিয়ে অনেক সহজলভ্য হওয়ার কারণে কিন্তু আপনি একটা ডিম কিনে সেখান থেকে ডিমের কুসুম খেতে পারেন খুব সহজেই। আপনার শরীরে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন এবং আপনার শরীর সুস্থ রাখতে ডিম অনেক কাজে দিবে। 
  • সামুদ্রিক, তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত  মাছঃ সামুদ্রিক  মাছগুলোতে আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি। এজন্য আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতে দূর করতে আপনি এ সকল মাছগুলো খেতে পারেন। 
  • কমলার জুসঃ নিয়মিতভাবে যদি কমলার জুস খান তাহলে এটা কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন। কারণ কমলা লেবুর রসে আছে অধিক পরিমাণ ভিটামিন ডি। 
  • গরুর কলিজাঃ যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি আছে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি হচ্ছে গরুর কলিজা। ভিটামিন ডি এর চাহিদা যদি পূরণ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার হিসেবে জনপ্রিয় গরুর কলিজা। 

ভিটামিন ডি 3 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তখন আমরা ভিটামিন ডি খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি৩ যদি খাওয়া হয়ে যায় তাহলে এটা কিন্তু শরীরের জন্য এক ধরনের ক্ষতি করো হতে পারে। এজন্য আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা জানবো ভিটামিন ডি 3 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

আপনি যদি অধিক পরিমাণ এই ভিটামিন ডি ৩ গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে এতে কিন্তু আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেকের  ক্ষেত্রে দেখা যায় যে হঠাৎ করে ওজন অনেক বেশি কমে যাচ্ছে, ক্ষুধা মন্দ ভাব তৈরি হওয়া বিভিন্ন সময়ে মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা। এ সকল সমস্যা গুলো দেখলে আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

এছাড়াও ভিটামিন ডি ৩ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  হিসেবে আরো যে সকল সমস্যা হতে পারে তা হল - বহুমূত্র, ডায়রিয়া, বিষন্নতা , অতিরিক্ত ঘাম, ঘন ঘন পিপাসা লাগা  এবং কষ্ট কাঠিন্যসহ আরো অনেক সমস্যা। আপনারা অবশ্যই স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে অধিক পরিমাণে গ্রহণ না করে পরিমাণ মত গ্রহণ করবেন। এগুলো বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কিছু কথা 

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাকে জানাচ্ছিলাম ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অফ হয়ে থাকে তাহলে বেশি বেশি শাকসবজি এবং ভিটামিন ডি জাতীয়  খাবার গুলো খাবেন। কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে আপনি কমেন্ট করো জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দেন এবং এই তথ্যগুলো অন্য মানুষকেও পেতে সহযোগিতা করুন। আর হ্যাঁ, এ ধরণের তথ্যগুলো যদি আপনি নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url