ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত ১১টি লক্ষণ -ভিটামিন ডি 3 খাওয়ার নিয়ম
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে একদম জায়গা মত
এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয় বিষয়টিও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ যেটা জানবেন আলোচনাতে ।
শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে যে ধরনের রোগ গুলো হয় এগুল সম্পর্কে কিন্তু
আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। চলুন তাহলে এ সমস্ত বিষয়ে সহ আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে
আসি ভিটামিন ডি এর অভাব হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা দিবে। .
ভূমিকা
মূলত শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে এজন্য অবশ্যই আপনাকে
জানতে হবে যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে কিনা। মূলত আলোচনাটি যদি
বিস্তারিত ভাবে পড়েন তাহলে আপনি এই লক্ষণগুলো সহ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার উৎস
থেকে শুরু শুরু করে কিভাবে ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয় এবং ভিটামিন ডি
কিভাবে খেতে হবে সে বিষয়গুলো সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জানতে পারবেন।
ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেল এর প্রধান আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ গুলো কি কি বা কি লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। চলুন তাহলে এই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে কিন্তু শরীর স্বাভাবিক থাকবে না এবং আপনার শরীরে একজনের অস্বস্তি বোধ তৈরি হবে। পেশির যন্ত্রণা, ভার সংক্রান্ত সমস্যা এবং কোমরে ব্যথা সহ অনেকগুলো সমস্যা গুলো তৈরি হবে। চলুন তাহলে এই লক্ষণগুলোর সম্পর্কে আমরা আরো বিস্তারিতভাবে জেনে আসি সেই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
- হাড় এবং পিঠে ব্যথা তৈরি হওয়া
- হজম জনিত সমস্যা
- বিষন্নতা কিংবা ডিপ্রেশন
- হাড় খুব সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
- জয়েন্ট এবং হাত-পায়ে ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভূত হওয়া
- অনিদ্রা জনিত সমস্যা তৈরি হওয়া
- অস্বাভাবিক ভাবে মাথার চুল পড়তে থাকা
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুলো ধীরে ধীরে কম হয়ে যাওয়া
- ক্লান্তি এবং অসুস্থতা অনুভব করা
- উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা তৈরি হতে পারে
- মাংস বেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া
ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তখন কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাব
জনিত লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু জানা আছে কি কেন শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়।
চলুন তাহলে আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি শরীরে ভিটামিন ডি এর
অভাব কেন হয় সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
- শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো না পায় তখন কিন্তু আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে। আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এজন্য খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব না হয়।
- মূলত আমাদের শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জিনগত অসুখের কারণ। যে কারণে এই ভিটামিন গুলো শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
- এছাড়াও খাবারের যখন আমিষের পরিমাণ কম থাকবে তখনও কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে।
- যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে এ ধরনের খাবারগুলো যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ না খাওয়া হয় তখন স্বাভাবিকভাবে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়।
- আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যায় তাহলে কিছু কিছু লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝে যাবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে।
ভিটামিন ডি এর উৎস
আমদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তখন কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি
জাতীয় খাবার খেতে হয়। এজন্য আমাদেরকে ভালোভাবেই জানতে হবে যে ভিটামিন ডি এর উৎস
গুলো কি কি। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ভিটামিন ডি এর উৎস সমূহ কি
কি।
- ডিমঃ প্রচুর পরিমাণে কিন্তু ভিটামিন ডি উপস্থিত রয়েছে ডিমের কুসুমের ভেতরে। কিন্তু পুরো ডিমে ভিটামিন ডি যদি নাও থাকে তবুও কিন্তু পুরো ডিম খাওয়া হলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- দুধঃ বিশেষ করে প্রাকৃতিক একটি অন্যতম ভিটামিন ডি এর উৎস হচ্ছে দুধ। আপনি যদি মাত্র এক গ্লাস দুধ খান তাহলে এটাই কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি এর অনেকাংশ আপনি পেয়ে যাবেন।
- চর্বিযুক্ত মাছঃ চর্বিযুক্ত মাছগুলোতে কিন্তু অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যে কারণে আপনারা ভিটামিন ডি পেতে চাইলে চর্বিযুক্ত মাছ খেতে পারেন
- কমলা রসঃ আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে আপনি এই অভাব দূর করার জন্য কমলা রস খেতে পারেন। প্রতিদিন নিয়ম করে যদি এক গ্লাস কমলার রস খান তাহলে এতে করে আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি গুলো পেয়ে যাবেন খুব সহজে।
- শাকসবজিঃ শাকসবজির ভেতরে কিন্তু ভিটামিনটি পাওয়া যায় যে কারণে আপনারা শাকসবজি গুলো খেতে পারেন। কারণ শাকসবজি হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎস।
- বাদাম এবং বিজ জাতীয় খাবারঃ বাদাম এবং বিষ জাতীয় খাবার গুলোর অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে এ ধরনের খাবারগুলোতে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনি যদি ভিটামিন ডি পেতে চান তাহলে খাবার তালিকাতে রাখুন বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার।
- মাশরুমঃ মাশরুমের অনেকগুলো জাত রয়েছে মূলত সবগুলো জাতের ভেতরেই কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন টি আছে। কিন্তু অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে শিটাকে মাশরুমের ভেতরে সব থেকে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে।
- স্যামন মাছঃ বিশেষ করে আমরা সকলেই মাছ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই মাছ গোলের ভেতর থেকে আপনি যদি খাবার তালিকাতে স্যামন মাছ যোগ করেন তাহলে এতে করে ভিটামিন ডি গুলো পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। কারণ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ মাছ হচ্ছে স্যামন মাছ।
ভিটামিন ডি কখন খেতে হয়
ভিটামিন ডি আমরা সকলেই বিভিন্ন প্রয়োজনে খেয়ে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানে না যে
ভিটামিন ডি কখন খেতে হয়। এজন্য আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আলোচনার এই অংশে
এসে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব ভিটামিন ডি হওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। চলুন এ
বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাও। মূলত ভিটামিন ডি আপনি খেতে পারবেন সকালে
কিংবা রাতের সময়।
আরো পড়ুনঃ
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
অনেকেই কিন্তু দুপুরের সময় ভিটামিন ডি খেয়ে থাকে কিন্তু এটা কিন্তু একদমই ঠিক
হবে না। আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপকারিতা গুলো পেতে এবং শরীরে ভিটামিন ডি
এর ঘাটতি যদি পূরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়মে খেতে হবে। বিশেষ করে
রাতের সময় আপনি ভিটামিন ডি খেলে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন।
এটা আপনি কিন্তু সকাল বেলাতেও খেতে পারবেন ভিটামিন ডি। আশা করছি বিষয়গুলো খুব
ভালোভাবেই আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ কি কি। আপনার অনেকে জানতে
চেয়েছিলেন যে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়। এজন্য আপনাদের সুবিধার কথা
চিন্তা করে আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো আপনার শরীরের
যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে কোন কোন রোগ তৈরি হতে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে যে সকল রোগ হয়
- রিকেটস রোগঃ শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে যে সকল রোগ গুলো তৈরি হয় তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি রোগ হচ্ছে রিকেটস। মূলত শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আপনার হাড়ের হয় হয় এবং কার্যকলাপ গুলো ধীরে ধীরে কমে আসে।
- হাড়ের ক্ষয়ঃ দেখে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব তৈরি হবে তখন কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকবে। আর এখান থেকে তৈরি হতে পারে অস্টিওপেরোসিস রোগ সহ একাধিক রোগ গুলো। বিশেষ করে যারা বয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু হাড় ভাঙ্গার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- চুল পড়াঃ সরলে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে যে ধরনের রোগ হয় তার থেকে একটি অন্যতম হচ্ছে চুল পড়া সমস্যা তৈরি হওয়া। চুলের ফুলগুলো দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয় যখন আপনার চুলে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে।
- অস্টিওমালেশিয়াঃ বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে এই রোগটি তৈরি হয়। তৈরি হওয়ার পেছনের দায়ী দীর্ঘ মেহেদী ভিটামিন টি এর অভাব।
- ডিপ্রেশন বা মানসিক সমস্যাঃ শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অফ তৈরি হবে তখন স্বাভাবিকভাবে ডিপ্রেশন এবং মানসিক সমস্যাগুলো আপনার বেড়ে যাবে। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে অবশ্যই আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাবেন।
- বেশি দুর্বলতা ও ব্যথা অনুভূত হওয়াঃ মূলত শরীরে ভিটামিন ডি যখন কমে যাবে তখন কিন্তু আপনার পেশীতে দূর্বলতা তৈরি হবে এবং বিভিন্ন কারণে-অকারণে ব্যথা সৃষ্টি হবে।
- অত্যাধিক ক্লান্তিঃ হঠাৎ করেই আপনি যদি অত্যাধিক ক্লান্তি হয়ে যান তাহলে বুঝবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব তৈরি হয়েছে। মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত একটি রোগ হচ্ছে অত্যধিক ক্লান্তি তৈরি হওয়া।
- পিঠে ব্যথাঃ এবং পেশী শক্তিশালী করতে কিন্তু ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ভিটামিন ডি এর অভাব হলে পেটের ব্যথা তৈরি হবে এবং পেশিতে দুর্বলতা সৃষ্টি হবে। আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা গুলো তৈরি হয় তাহলে বুঝে নিবেন যে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়ঃ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুলো বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন কারণে শরীরে যখন ভিটামিন ডি কমে যায় তখন কিন্তু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন ডি 3 খাওয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি ভিটামিন ডি এর অভাব
জনিত লক্ষণ। শরীরে ভিটামিন ডি দূর করতে আমরা কিন্তু অনেক সময় ভিটামিন ডি ৩ খেয়ে
থাকি। যে কারণে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে ভিটামিন ডি ৩ খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে।
- আপনি যদি ভিটামিন ডি ৩ ঘাটতি পূরণ করতে চান তাহলে প্রতি সপ্তাহে খেতে পারবেন ৪০০০০ আইইউ পর্যন্ত। আর হ্যাঁ এটি খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত।
- আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি ৩ এর ঘাটতি হয় তাহলে এই ঘাট থেকে প্রতিরোধ করতে আপনি প্রতি চার সপ্তাহে খেতে পারবেন ২০০০০ আই ইউ।
- এক্ষেত্রে যাদের বয়স কম অর্থাৎ ১২-১৮ বছর বয়সের তারা কিন্তু ভিটামিন ডি ৩ ঘাটতি জনিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতি দুই সপ্তাহে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত খাবেন ২০০০০ আই ইউ।
আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে আপনি বুঝতে পেরেছেন। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা
যাক ভিটামিন ডি ৩ এর উপকারিতা ।
ভিটামিন ডি ৩ এর উপকারিতা
আপনার অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে ভিটামিন ডি ৩ এর উপকারিতা কি কি। চলুন
তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা সরাসরি জেনে আসি ভিটামিন ডি টিনের উপকারিতা
গুলো।
- আপনার শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করবে এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য ভিটামিন ডি ৩ কাজ করে।
- বিশেষ করে ভিটামিন ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট গুলো কিন্তু আমাদের দাঁতের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি তেইনের অন্যতম একটি উপকারিতা হচ্ছে এটি কিন্তু হাড়জনিত সমস্যা গুলোকে সমাধান করতে পারে এবং প্রতিরোধ করতে পারে।
- আপনি যদি কোন মানুষের রোগে ভুগে থাকেন যেমন -আবেগহীনতা, মানসিক সমস্যা অথবা ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক সুস্থতা দিবে ভিটামিন ডি ৩।
- ভিটামিন ডি ৩ এর অন্যতম একটি উপকারী দিক হচ্ছে এটি কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিটামিন ডি ৩ হৃদরোগে আক্রান্ত ঝুঁকি কম করতে পারে।
- এছাড়াও শরীরে কিন্তু হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কাজ করে।
- এছাড়াও আপনারা যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন বিশেষ করে যখন শরীরে ইনসুলিন মাত্র বেড়ে যায় তখন ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ভিটামিন ডি ৩।
- এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক এর বিরুদ্ধে কিন্তু সুরক্ষা দিতেও কাজ করে ভিটামিন ডি ৩।
ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন কিন্তু আমরা
ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেয়ে থাকি। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে ভিটামিন ডি
ক্যাপসুল কিভাবে খেতে হয়। চলুন তাহলে আর্টিকেলের শেষ অংশে এসে বিস্তারিত ভাবে
জেনে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন এ এর অভাবে কোন রোগ হয়
- ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খেতে হবে। কারণ বয়স ভেজে কিন্তু ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। কোন অবস্থাতে প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত আপনি ভিটামিন টি ক্যাপসুল খেতে পারবেন না।
- মূলত ভিটামিন ডি সব থেকে ভালো হয় যে সকালে কিংবা রাতে খেলে।
- আপনি যখন ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাবেন অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে এর মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে তারপরে খেতে হবে। মূলত যারা প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম এবং যারা ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশু তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন।
- এজন্য ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার সবথেকে সঠিক নিয়ম হবে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি ভিটামিন ডি
এর অভাব জনিত লক্ষণ সহ ভিটামিন ডি সম্পর্কে একাধিক বিষয় নিয়ে। আশা করছি
বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবুও যদি কোথাও বুঝতে আপনার অসুবিধা
হয় তাহলে আপনি চাইলে কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।
আর হ্যাঁ, আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর এই সমস্ত তথ্যগুলো যদি আপনি নিয়মিত পেতে
চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটিতে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url