ভিটামিন এ এর অভাবজনিত ১১টি লক্ষণ
ভিটামিন এ এর অভাবে কোন রোগ হয়ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ বিষয়টি আমাদের আজকের আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট। আমরা
অনেকেই কিন্তু বুঝতে পারি না যে আমাদের শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব হয়েছে কিনা।
এজন্য আলোচনাটিতে আমরা আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো ভিটামিন এ এর উৎস এবং ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ।
ভিটামিন এ রয়েছে যেসকল খাবারে এ ধরণের খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে কিন্তু
আপনি ভিটামিন এ এর অভাব দূর করতে পারবেন। ভিটামিন ডি এর অভাবে হলে আমদের শরীরে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। তাই ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দিলে যেসব লক্ষণ দেখা দিবে এবং আরো একাধিক
বিষয় নিয়ে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।.
ভূমিকা
আমাদের শরীরে যে ভিটামিন গুলো দরকার হয় থেকে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি হচ্ছে
ভিটামিন এ। বিভিন্ন কারণে শরীরে যখন ভিটামিন এ এর অভাব হয়ে থাকে তখন আমরা
বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকে। যে কারণে আজকের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি
বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন আপনার শরীরে যদি ভিটামিন এ এর অভাব হয়ে থাকে।
তাহলে সেটা বুঝবেন কিভাবে এবং দূর করার উপায় গুলো। এছাড়াও আজকের আলোচনায় আমরা
আপনাকে জানিয়ে দেবো ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা এবং ভিটামিন এ এর
অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাই অবশ্যই
প্রয়োজনীয় এই তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ প্রকাশ পাই তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন এই জাতীয় খাবার খেতে হবে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে শরীরে ভিটামিন কে কখনো অভাব হবে তখন লক্ষণ হিসেবে কি কি লক্ষণ দেখা দিবে। চলুন তাহলে সে লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন এ এর অভাবে কোন রোগ হয়
রাতকানা রোগ
শরীরে যখন ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দিবে তখন কিন্তু রাতকানা রোগ একটি বড় সমস্যা হিসেবে প্রকাশ পাবে। আপনি যদি দেখেন রাতকানা রোগে আপনি আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে বুঝবেন যে আপনার শরীরে এর অভাব হয়েছে এবং তখন আপনাকে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে।
চোখে শুষ্ক ভাব
এর অভাব হয় তখন কিন্তু চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা গুলোর ভেতরে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চোখে শুষ্ক ভাব হওয়া। কখনো কখনো আবার শরীরে যদি পর্যন্ত পড়বেন ভিটামিন এই না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু কর্নিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
ক্ষত নিরাময়ে সমস্যা
কোন জায়গায় যদি আপনি আঘাত পেয়ে থাকেন বা ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে ভিটামিন এর অব জনিত কারণে সেই ক্ষত নিরবে অনেক দেরি লাগতে পারে। এজন্য আপনি যদি দেখেন শরীরের কোথাও কতগুলো শুকাচ্ছে বা এ ধরনের সমস্যা গুলো দেখা হয়েছে তাহলে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব রয়েছে।
বৃদ্ধি কমে যাওয়া কিংবা দেরি হওয়া
শরীরে যখন ভিটামিন এ এর অভাবে তখন কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আপনার বৃদ্ধি না হয়ে শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাবে কিংবা বৃদ্ধি হতে অনেক দেরি লাগবে। না পায় তখন কিন্তু তাদের শারীরিক বৃদ্ধি হয় না।
ত্বকের শুষ্কতা
ভিটামিন এ অর্জনই তো লক্ষণ যেগুলো আছে তার থেকে অন্যতম এক লক্ষ্য হচ্ছে ত্বকের শুষ্কতা। তাকে যদি ভিটামিন এ অভাব হয় তাহলে কিন্তু কোষ গুলো তৈরি এবং মেরামত করতে অনেক দেরি লাগে এবং স্বাভাবিকভাবে কার্যকলাপ হয় না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
গলা ও বুকে সংক্রমণ
গলা এবং বুকে যদি ঘন ঘন সংক্রমণ হয় তাহলে আপনি বুঝবেন যে শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব রয়েছে। এজন্য ভিটামিন এর অভাবজনিত যতগুলো লক্ষণ আছে তার থেকে অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে এটি। উল্লেখিত লক্ষণ গুলো ছাড়াও আরো একাধিক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব হয়েছে। আরো লক্ষণ গুলো হল-
- প্রজনন ক্ষমতা অনেক হারে কমে যাওয়া
- শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বিঘ্ন হওয়া
- গলা ফুলে যাওয়া
- ম্যালেরিয়াসহ ডারিয়ার মত সমস্যা তৈরি হওয়া
- মাংসপেশিগুলো অনেক বেশি পরিমাণে দুর্বল হয়ে যাওয়া
ভিটামিন এ এর কাজ কি
আপনার শরীরের ভিটামিন এ এর অভাব হলে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে
হবে কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি শরীরে থাকা এই ভিটামিন এ এর কাজ কি। চলুন
তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। ভিটামিন এ হচ্ছে খাদ্যে থাকা এক
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন এ এর অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
এটা কিন্তু আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো যেমন -দাঁত, কোষ
এবং অস্থির গঠন করার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ভিটামিন এ কিন্তু চোখের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে থাকে। এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে।
ভিটামিন এ এর কাজ হল আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করা সহজের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকলাপ গুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা ।
এছাড়াও ভূমিকা রাখে শারীরিক বৃদ্ধি এবং বিকাশেও। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে
পেরেছেন।
ভিটামিন এ এর উৎস
শরীরে যখন ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন কিন্তু আমাদেরকে ভিটামিন
এ জাতীয় খাবারগুলো খেতে হয়। যে কারণে ভিটামিন এ এর উৎসব কোনগুলো বিষয়টি জানা
কিন্তু আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি
ভিটামিন এ এর উংস সম্পর্কে।
- কলিজাঃ কলিজা খেতে আমরা সকলেই পছন্দ করি। খেতে সুস্বাদু এই পছন্দকর খাবারের ভেতরে আপনি পেয়ে যাবেন অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ এবং আয়রন।
- মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলোতে কিন্তু ভিটামিন এর অধিক পরিমাণ অংশ উপস্থিত আছে। এজন্য আপনি যদি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে চান তাহলে অবশ্যই খাবার তালিকাতে রাখতে পারেন মিষ্টি আলু।
- সবুজ শাকসবজিঃ বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি গুলোতে আছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ। এছাড়াও শাকসবজিতে আপনি পেয়ে যাবেন ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ আরো অনেক উপাদান।
- টমেটোঃ গ্যালারির অংশ মোটামুটি থেকে কিছু পরিমাণ কম হলেও রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ। আপনি যদি একটা মাঝারি আকারে টমেটো খান তাহলে এখান থেকে আপনার দুই দিনের চাহিদার ভিটামিন এ পেয়ে যাবেন ২০ শতাংশ।
- মাছঃ ভিটামিন এ এর অন্যতম একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে মাছ। মাছ এবং মাছের তেল থেকে আপনি কিন্তু প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পেয়ে যাবেন।
- কুমড়াঃ আপনি যদি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কুমড়া খেতে পারেন। প্রতিদিন যদি আপনি ১০০ গ্রাম কম রাখেন তাহলে এখান থেকে প্রতিদিনের চাহিদার ১৭০ শতাংশ ভিটামিন এ পেয়ে যাবেন কুমড়া থেকে।
- গাজরঃ যে সকল খাবারগুলোতে ভিটামিন এ আছে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি সবজি হচ্ছে গাজর। গাজরের যেমন আছে ঠিক তেমনি কিন্তু আছে অধিক পরিমাণে ক্যালরি এবং ভিটামিন এ।
বড়দের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ সম্পর্কে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল
খাওয়ার সঠিক নিয়ম আছে যে আমাদেরকে জানতে হবে এই সঠিক নিয়ম কি। বড়দের ভিটামিন
এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম কি। চলুন তাহলে এই নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসা যাক। দ্রুত
ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের ক্ষেত্রে একরকম নিয়ম এবং পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে
কিন্তু আরেক ধরনের নিয়ম রয়েছে।
আপনারা যারা পূর্ণবয়স্ক অর্থাৎ যারা বড় মানুষ তারা কিন্তু ভিটামিন এ
ক্যাপসুল খেতে পারবেন প্রতিদিন ৫০,০০০ আই ইউ থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ আই ইউ
পর্যন্ত। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে যদি এর থেকেও বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি
কিন্তু আপনার প্রয়োজন নিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবেন ২,০০,০০০ পর্যন্ত।
তবে হ্যাঁ বিশেষ করে আপনারা যারা রোগ আক্রান্ত রোগী আছেন বা বিভিন্ন সমস্যায়
ভুগছেন তারা ভিটামিন এই ক্যাপসুল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
নিয়ে তারপরে খাবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স
আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স
কত। আসলে ভিটামিন এ সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ যে কারণে আমাদেরকে জানতে হবে
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক বয়স। আপনি ভিটামিন এ ক্যাপসুল যদি সঠিকভাবে খান
তাহলে কিন্তু এখান থেকে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে ভিটামিন এ
ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিকভাবে সম্পর্কে জেনে আসি।
মূলত যারা শিশু অর্থাৎ যাদের বয়স ৬ থেকে ৫৯ মাস মূলত তাদেরকে ভিটামিন এ
ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ যারা ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু আছেন
তাদেরকে কিন্তু নীল রঙের একটা করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যায়। আর যাদের বয়স একটু
বেশি অর্থাৎ ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী তাদের জন্য লাল রঙের রয়েছে ভিটামিন এ
ক্যাপসুল।
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকার
আজকের আলোচনায় আমরা ভালোভাবে জেনেছি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ কি কি। এবার
আমরা জানবো ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আপনার শরীরে যদি
ভিটামিন এ এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে কি কি রোগ হতে পারে এবং সে রোগ গুলোর
প্রতিকার কি বিষয়টি জানা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- আমাদের শরীরের ভিটামিন এ যদি কম হয়ে যায় তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু ভিটামিন এ এর অভাবে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।
- এছাড়া শরীর থেকে প্রজনন ক্ষমতা অনেক হারে কম হয়ে যায়।
- তাকে শুষ্কতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায় এবং তাও অনেক খারাপ দেখায়।
- বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে ভিটামিন এ এর অভাবে অনেকেরই চোখ অন্ধ হয়ে যায়।
- ভিটামিন এ এর অভাব হলে রাতকানা রোগ হওয়া একটি বিশেষ সমস্যা।
- তখন কিন্তু দৃষ্টি শক্তি অনেক কমে যায়।
- শরিরে থাকা ক্ষতগুলো অনেক হারে বৃদ্ধি পায় এবং শুকাতে দেরি হয়।
- এগুলোর পাশাপাশি চোখে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ভিটামিন এ এর অভাব হলে এ ধরনের রোগ গুলো আপনার শরীরে হতে পারে। চলুন আমরা এবার
জেনে আসি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগের প্রতিকার সম্পর্কে। ভিটামিন এ অপজনিত রোগের
প্রতিকার সম্পর্কে নিচের অংশটি ভালো করে পড়ুন।
প্রতিকার
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে এই
অভাবজনিত রোগ প্রতিকার করার জন্য আপনি বেশি বেশি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো
খাবেন। এর পাশাপাশি আপনি কিন্তু এই অভাবজনিত রোগগুলো প্রতিকার করতে ওষুধ
কিংবা ভিটামিন খেতে পারেন। এজন্য আপনি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন।
ভিটামিন এ এর অবদানত রোগ প্রতিরোধ করতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
নিবেন।।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ হলে আমরা অনেক সময় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে
থাকি। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হলে এর
উপকারিতা কি। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর
উপকারিতা সম্পর্কে।
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হলে এটা কিন্তু শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ গুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক জীবনের থেকে রক্ষা করে।
- শরীরের রক্ত ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হলে এটা শিশুর দেহের বৃদ্ধি বিকাশ করবে এবং দেহের অস্থির কাঠামো গুলো বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল যদি খাওয়া হয় তাহলে এটা কিন্তু ভূমিকা রাখবে স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে।
- আপনাদের যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তারা কিন্তু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারবেন।
আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা কি।
কখনো যদি আপনার শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব পরে তাহলে আপনি কিন্তু ভিটামিন এ এর উৎস
যে খাবারগুলোতে আছে সেগুলো বেশি বেশি খাবেন।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হলে যেমন অনেক উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি আছে কিছু
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে যে বিষয়টি আপনার জানা
খুব গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বিশেষ করে আপনি যখন ভিটামিন এ ক্যাপসুল সংরক্ষণ সঠিকভাবে না করবেন।
তখন কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো বেশি দেখা যায়। ভিটামিন এ এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হিসেবে কিন্তু প্রেশার বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে
দেখা যায় পেটে ব্যথা কিংবা মাথা ঘোরা সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় যে
বাচ্চার বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। অনেক
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের পুরো আর্টিকেল জোরে আমরা আপনাদেরকে
জানিয়েছে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ সহ ভিটামিন এ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে
বিস্তারিত। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবুও যদি কথা
বুঝতে আপনার অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট করেও জানাতে
পারেন।
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন বা আর্টিকেলটি আপনার
যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ভিজে শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, এ
ধরনের তথ্য সেবায় গুলো যদি আপনি নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন
আমাদের
এই www.multiplebd.com
ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url