তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা-তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়টি আমাদের আজকের আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট। আপনারা যারা তিসির এসকল দিকগুলো জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য আর্টিকেলটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম এবং তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়গুলো চলুন জেনে আসি আজকের এই আলোচনায়।
তিসি থেকে আপনি কিন্তু অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন এটা আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্নে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারবে । তিসি বীজ যদি সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন। .
ভূমিকা
তিসি নামটি আমরা শুনে থাকলেও অনেকেই জানিনা তিসি ব্যবহার করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনি যদি সঠিক নিয়মে কৃষি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করবে এছাড়া ত্বক ও চুলের যত্নে দারুন কাজে দিবে। তাইতো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন তিসি থেকে আপনি কি কি উপকারিতা পাবেন।
এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো সহ তিসি তেল খাওয়া ও তিসি গুড়া করার নিয়ম সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাই আপনার প্রয়োজনীয় এ তথ্যগুলো জানতে অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা
তিসির যেমন অনেক উপকারী দিক আছে ঠিক তেমনি রয়েছে কিছু অপকারী দিক। কৃষি খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির যোগান দেবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হলে অ্যালার্জি সহ পেট ব্যথার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তিসি দিয়ে কিন্তু চুলের যত্ন নেওয়া যায় এবং তখন যত্ন রয়েছে এর দারুন ভূমিকা। আপনার মুখে থাকা কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন ফলো ভাব দূর করতে পারে এছাড়াও ত্বক থেকে মৃত কোষগুলোকে সুস্থ করতে ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ সূর্যমুখী তেলের ৯টি সেরা উপকারিতা
তিসিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টি যেটা কিন্তু ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি করতেও বাধা দিবে। কিন্তু তবুও আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু এলার্জি সমস্যা সহ মুখে ব্রণ তৈরি হতে পারে। আমরা পয়েন্ট আকারের নিচে জেনে আসি উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
তিসির উপকারিতা
তিসিতে কি কি উপকারের দিক রয়েছে এ বিষয়গুলো জানার পূর্বে আমরা প্রথমে বিতারিতভাবে জেনে নেব তিসির উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই কিন্তু তিসি নামটি শুনে থাকলেও সঠিকভাবে জানে না এর উপকারিতা কি। চলুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি। নিম্নে তিসির উপকারের কিছু দিক উল্লেখ করা হলো।
- তিসি ত্বকের জন্য ব্যবহার করা হলে তার থেকে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর হবে।
- চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কিন্তু তিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
- তিসিতে যে সকল পুষ্টিগুণ রয়েছে এগুলো কিন্তু চুলের গোড়া মজবুত রাখার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য যদি তিসির ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো অপসারণ করতে পারে।
- তিসিতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন ই যে কারণে এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
- তিসিতে কিন্তু উপস্থিত আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যে কারণে আপনার মুখে থাকা ব্রোণ সমস্যা দূর করতেও এর ভূমিকা আছে।
- তিসির দানা ভেজানো পানি যদি পান করা হয় তাহলে কিন্তু এটা ওদের নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখবে।
- আপনাদের যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে তারা কিন্তু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে তিসি ব্যবহার করতে পারেন।
- তিসির দানা কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত। ডায়াবেটিস হৃদরোগ সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে রয়েছে তিসির ভূমিকা।ডতিসিতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত আছে প্রোটিন এবং ফাইবার সহ রয়েছে ভিটামিন যে কারণে এটা শরীরে শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান গুলো যোগ করতে পারে।
- তিসি দানা থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ৬ পাওয়া যায় যে কারণে এটা কিন্তু আমাদের ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।
- তিসি কিন্তু প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎসব প্রোটিন কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তিসির অপকারিতা
বলছিলাম তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কি কি উপকারি দিক রয়েছে তিসির ভেতরে। কিন্তু তবুও এর কিছু অপকারই দিক রয়েছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমরা জেনে আসি তিসির অপকারী দিকগুলো সম্পর্কে।- তিসি আমাদের জন্য উপকারী হলেও অনেকের জন্যই কিন্তু এটা এলার্জি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- পরিমাপের বেশি যদি আপনারা তিসি ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- নিয়মিতভাবে যদি তিসি দানা ভেজানো পানি পান করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু ওষুধের কার্যক্ষমতা গুলো সম্ভাবনা রয়েছে।
- তিসিতে যেহেতু ওমেগা ৩ রয়েছে যে কারণে অতিরিক্ত পরিমাণ তিসি খাওয়া হলে এটা কিন্তু রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কারণ ওমেগা ৩ রক্ত পাতলা করতে পারে।
- বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় যদি তিসিনখাওয়া হয় তাহলে কিন্তু হরমোনের ভারসাম্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- আশা করছি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। সব সময় পরিমাণমতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর হ্যাঁ তিসি খেলে যদি আপনার কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খেতে হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
তিসি মুখে দিলে কি হয়
বিশেষ করে আমাদের মুখের ত্বক কিন্তু অনেক বেশি সংবেদনশীল যে কারণে সবকিছুই কিন্তু মুখে দেওয়া যাবে না। এজন্য এ বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তিসি মুখে দিলে কি হয়। আপনি যদি তিসি মুখে দেন তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু অনেক উপকারী দিক পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা আরো বিস্তারিত জেনে আসি।
আরো পড়ুনঃ এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা
তিসিতে আছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যে কারণে এটা মুখে দেওয়া হলে আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ গুলো পাওয়া যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি তক থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে পারে। তিসি যদি মুখে দেওয়া হয় তাহলে এক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া ভাব অথবা ইনফেকশন যদি থাকে তাহলে এগুলো খুব সহজে দূর করতে পারে।
এ ছাড়া তিসিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যে কারণে এটা ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি করতেও বাধা দিয়ে থাকে। তিসি যদি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু ত্বক থেকে যেকোনো ধরনের ডেড সেল এবং অতিরিক্ত তেলগুলো দূর করতে পারে। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতাগুলো রয়েছে যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
তিসি বীজ খাওয়ার নিয়ম
তিসি বিষ খাওয়ার সঠিক নিয়ম যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু সর্বোচ্চ পোস্টটি গুণ পাওয়া সম্ভব। তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো মূলত কিছুটা নির্ভর করে আপনি কিভাবে তিসি বীজ খাচ্ছেন তার উপরে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক তিসি বীজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
- কাঁচা অথবা ভেজেঃ আপনি তিসি বীজ কিন্তু কাঁচা অথবা ভেজে দুইভাবেই খেতে পারবেন। তবে আপনি যদি ভালো করে তিসি বীজ ভেজে খান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু এটা হজমের সাহায্য করবে এবং স্বাদেও ভালো হবে। আপনি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সালাদের সঙ্গেও এটা যোগ করে খেতে পারবেন।
- খাওয়ার পরিমাণঃ প্রতিদিনে আপনি তিশী বীজ খেতে পারবেন এক থেকে দুই টেবিল চামচ এবং এটাই কিন্তু আদর্শ নিয়ম। খাওয়া হলে এটা আপনার হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- খাবার সঠিক সময়ঃ তিসি বীজ খাবার সঠিক সময় হচ্ছে সকালের নাস্তা অথবা রাতের খাবারের আগে। এভাবে খাওয়া হলে শরীরে এলার্জি পাই এবং হজম প্রক্রিয়াও ভালো থাকে।
- রুটিঃ রুটি খাওয়ার জন্য আমরা যেই ময়দা ব্যবহার করে থাকি সেই ময়দার সঙ্গে আপনি কিন্তু কৃষি বীজের গুরু মিশিয় রুটি বানিয়ে খেতে পারবেন। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
- স্মুদিঃ তিসি বীজ আপনি কিন্তু মিক্সার ব্লেন্ডারের ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারবেন এতে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে অনেকগুলো উপকারিতা নিয়ে আসবে।
- স্যালাডঃ তিসি বীজ আপনি খেতে পারবেন স্যালাডের সঙ্গেও। এতে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি হবে এবং পুষ্টিগুলো অনেকটাই বেড়ে যাবে।
- দুধঃ কৃষি বীজ ভালো করে গুঁড়ো করে নিয়ে এটা আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে যদি পান করেন তাহলে কিন্তু শরীর চাঙ্গা রাখতে পারবে।
তিসির তেল খাওয়ার নিয়ম
আর্টিকেলটি পরে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরে গেছেন তিসির তেল আমাদের জন্য কতটা উপকারী। এই তেল থেকে যদি আপনি সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিন্তু সঠিক নিয়মে খেতে হবে। তাহলে চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেই তিসির তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
- তিসির তেল কিন্তু সরাসরিও খেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গেও খেতে পারবেন কিসের তেল মিশিয়ে।
- বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তিসির তেলের গুরুত্ব অনেক। ছোট বাচ্চাদেরকে যদি ছোটকাল থেকেই টিসের তেল খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলা হয় তাহলে কিন্তু তাদের বিকাশ করতে সাহায্য করে।
- যে সকল বাচ্চাদের বয়স এক বছর তাদের ক্ষেত্রে এক চামচ করে ত্রিষি তেল খাওয়ানো উচিত। এতে করে তারা অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাপে খাওয়ানো যাবে না।
- অনেকে আবার তিসির তেল রান্না করে খেতে চাই কিন্তু তিসের তেল রান্না করে খেলে কিন্তু এর গুনাগুন এবং উপকারিতা নষ্ট হতে পারে।
- একদমই ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিন্তু তিসির তেল খাওয়ানো ঠিক হবে না। এজন্য বাচ্চার বয়স ৬ মাস হলে তখন থেকে অল্প অল্প করে তিসির তেল খাওয়াতে পারেন।
ত্বকের যত্নে তিসির ব্যবহার
ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা। উপকারীর দিকগুলো আছে তার ভেতর থেকে অন্যতম একটি উপকৃত দিক হলো ত্বকের যত্নে এটি ব্যবহার করা যায় এবং সাফল্য অনেক। আপনি যদি আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য তিসির তেল ব্যবহার করতে চান তাহলে চলুন কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জেনে আসি।
ত্বকের যত্নে আপনি তিসির ব্যবহার করলে অনেকগুলো উপকারিতা পেয়ে যাবেন। আপনার ত্বকে এই তেলটি ব্যবহার করলে যেমন অনেক ধরনের সমস্যাগুলো দূর হবে তেমনি একটু ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। আপনাদের সুবিধার্থে ত্বকের যত্নে তিসির ব্যবহার করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে সেই বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করলাম।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কিন্তু ত্বক ফর্সা এবং লাবণ্যময় করতে ভূমিকা রাখবে।
- স্বাভাবিকভাবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা বৃদ্ধি পায়। তেল ব্যবহার করা হলে কিন্তু তাকে এই বলিরেখাগুলো কম করতে সাহায্য করে।
- দীর্ঘ সময় ধরে যখন রোদে থাকা হয় তখন কিন্তু আমাদের মুখে এক ধরনের ডার্ক সার্কেল পড়ে। এধরনের দাগ গুলো যদি দূর করতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে তিসির তেল ব্যবহার করুন এতে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন।
- প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে কিন্তু তিসির তেলের ভুমিকা অনেক কারণ এই তেলে আছে এন্টিফ্লেমেটারি উপাদান যেটা আমাদের শুষ্ক ত্বককে মশ্চারাইজ করবে।
- আমাদের ত্বকের ভিতরে এক ধরনের টিস্যু রয়েছে যেগুলো কিন্তু আমাদের ত্বক সুস্থ রাখার জন্য কাজ করে। তিসির তেল ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হলে ত্বকে টিস্যুর পানি দূর করার পাশাপাশি মশ্চারাইজ করতে পারে।
- ত্বকের কোন স্থানে যদি সংক্রামক কিংবা ফলা ভাব থাকে তাহলে এক্ষেত্রে তিসির তেল ব্যবহার করলে অনেকটাই কিন্তু সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
- আমাদের ত্বকে যে সকল মৃত কোর্স রয়েছে এই মৃত কোষগুলো দূর করতে কিন্তু তৃষির তেলের আছে দারুন এক ভূমিকা।
তিসি গুড়া করার নিয়ম
- প্রথমে একটা বিশুদ্ধ তিসি বীজ সংগ্রহ করুন।
- তারপর এই তিসি বীজ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং বীজগুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
- বীজগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
- তারপর এই বীজ গুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
- ব্যাস হয়ে গেল সঠিকভাবে তিসি গুড়া করা। এভাবে তিসি গুড়া করে রাখলে কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করা যায়।
তিসি গুড়া খাওয়ার নিয়ম
- আপনাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা কিন্তু তিসি গুড়া খাবেন প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ করে। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে।
- আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
- এছাড়াও প্রত্যেকদিন সকালে খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চামচ শিশুর গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারবেন।
- আপনি যদি মনে করেন রুটির সঙ্গে খাবেন তাহলে রুটি তৈরি করা ময়দার সঙ্গে মিশিয়েও কিন্তু তিসির গুড়া খাওয়া যায়।
- আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের স্যালাডের সঙ্গেও মাখিয়ে খেতে পারবেন।
চুলের যত্নে তিসির ব্যবহার
- আপনারা কিন্তু চুলের যত্নে তিসির জেল ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। জেলটি তৈরি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে তিসি গুলো ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে এবং এর সঙ্গে কিছু অ্যালোভেরা জেল মিক্সচার করে নিতে হবে। ব্যবহার করুন।
- তিসির জেল ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনারা কিন্তু সরাসরি তিসির তেল তৈরি করে মাথাতে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে কিন্তু আপনার মাথার চুল গুলো অনেক পষ্টু হয় এবং চুলের ফলে গুলো অনেক বেশি মজবুত থাকবে।
- তৃষি দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনারা এক চামচ কৃষির সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে একটা হিয়ার মাক্স বানিয়ে ফেলুন। তিশির এই হিয়ার মাস্ক এ আপনার মাথার চুলে লাগিয়ে মেসেজ করুন এবং 20 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
তিসি দিয়ে চুল সোজা করার উপায়
- দুই টেবিল চামচ তিসি এবং মেথি নিয়ে এর সঙ্গে আপনি তিনটা চামচ চাল নিয়ে গরম পানিতে এগুলো ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- তারপর হালকা কিছু গরম পানির ভেতরে এগুলো ঘন্টা চারেক ভিজিয়ে রেখে দিন।
- ৪ ঘন্টা পরে যখন দেখবেন পানি আঠালে হয়েছে তখন আঠালো এই পানি গুলো একটা ছেঁকনা দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিবেন।
- এবার এর সঙ্গে কিছু পরিমাণ শ্যাম্পু এবং এক চা চামচ এলোভেরা জেল বিছিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণগুলো আপনি আপনার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে আগে পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে রাখুন।
- ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে সমস্ত মাথা ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে এভাবে যদি একদিন করে ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন আপনার মাথার চুল অনেক সোজা হয়ে গিয়েছে।
আমাদের মতামত
আজকের এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন বা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো যদি আপনি পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url