পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি জানুন
বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতিপেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে আজকের এই আলোচনায়। এছাড়াও পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব আজকের এই আর্টিকেলে। পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি চলুন জেনে আসা যাক।
আপনি যদি পেঁপে চাষ করে লাভবান হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খুব
ভালোভাবে জানতে হবে যে বীজ থেকে কিভাবে চার উৎপাদন করতে হয়। যে বিষয়টি
সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আর্টিকেলের পুরো অংশ জুড়ে।.
ভূমিকা
আমরা অনেকেই পেঁপে চাষ করে থাকলেও ঠিকভাবে জানিনা যে পেঁপে বীজ থেকে
কিভাবে চারা উৎপাদন করা যায়। আপনি যদি পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে পারেন
তাহলে এক্ষেত্রে পেঁপে চাষ করার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার চারা ক্রয় করার খরচ
অনেকটাই কম হবে। এজন্য এ সকল উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন আপনাদের
আজকের এই আর্টিকেলে।
এছাড়া আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জেনে যাবেন পেঁপে লাগানোর উপযুক্ত
সময় এবং গাছের সার ব্যবস্থাপনা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। আপনার
প্রয়োজনীয় এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি
আপনারা যারা পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতিএখনো জানেন না তাদের জন্য কিন্তু আর্টিকেলের এই অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব কিভাবে আপনি পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পারবেন তার উপায় গুলো। বীজ তলাতে যে সূরাগুলো তৈরি হয় মূলত এই বীজ গুলো থেকে কিন্তু পেঁপে গাছ তৈরি হয়ে থাকে।

পেঁপে চাষ করার ক্ষেত্রে পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময় নির্বাচন এটা কিন্তু অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ উপযুক্ত সময়ে যদি লাগানো না হয় তাহলে
এতে করে গাছের ফলন এবং গাছের বৃদ্ধি কিন্তু ঠিকভাবে হয় না। এজন্য সঠিক সময় আর
পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি কি তা যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি
সঠিকভাবে চাষ করতে পারবেন।
এমন অনেকেই আছেন যারা কিনা জানে না যে কখন পেঁপে চাষ করতে হয় যে কারণে
সঠিক সময়ে চাষ না করার কারণে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। আপনি যদি
পেঁপে চাষ করার কথা ভেবে থাকেন আর যদি না জেনে থাকেন পেঁপে লাগানোর উপযুক্ত সময়
কোনটি তাহলে চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
এজন্য বীজ তলাতে চাড়া আগে থেকে লাগিয়ে রেখে সেটা মূল জমিতে লাগানোটাই অনেক বেশি সুবিধা জনক। এতে বীজ থেকে আপনি যদি চারা উৎপাদন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে সুপক্ষ এবং বড় ও নিখুঁত দেখে প্রেমে সংগ্রহ করতে হবে। এবং এই টাইপের বীজগুলোতে কিছু পরিবহন ছাই মিশিয়ে রাখবেন যাতে করে উপরে থাকা পিচ্ছিল আবরণটি নষ্ট হয়।
এবার আপনি এই ব্রিজ গুলোকে ভালো করে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে তারপর রোদে শুকিয়ে দিবেন। তোদের শুকানো হয়ে গেলে এগুলোকে এমন একটা পাত্রে রাখতে হবে যার ভেতরে বায়ু প্রবেশ করতে না পারে। এক্ষেত্রে কিন্তু বিজয়ের সঙ্গে ২০ শোধন করে ওষুধ ব্যবহার করে রাতে তা সংরক্ষণ ভালো থাকে। এজন্য আপনি চাইলে পেঁপে বিজ শোধনকারী ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার - কলা মোটা করার পদ্ধতি
এভাবে যদি বেস সংরক্ষণ করা যায় তাহলে কিন্তু তা অনেক মাস পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে চারা তৈরি করার জন্য সবথেকে উপযোগী হচ্ছে তাজা বীজ। পেঁপে বিষ যদি এক থেকে দুই দিন ভিজিয়ে রেখে বুনো হয় তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু অঙ্কুরোদগমের হওয়ার অনেক বেশি হয় এবং ছাড়াও দ্রুত বৃদ্ধি হয়ে ওঠে। লাগানোর পূর্বে অবশ্যই বীজ শোধন করে লাগানোটাই সব থেকে ভালো হবে।
এজন্য পেঁপে বীজ শোধনকারী ওষুধ যেমন মনে চান আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ভালো করে বীজগুলো যদি সংরক্ষণ করা হয় তারপর একটা কোটার ভিতরে ওষুধ এবং বীজগুলো দিয়ে মুখ বন্ধ করে একবার যদি নাড়ানো হয় তাহলে কিন্তু বীজের গায়ে ওষুধ ভালোভাবে লেগে যাবে। আর এভাবে আপনারা খুব সহজেই পেঁপে বিজ থেকে চারা উৎপাদন করতে পারবেন।
আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে গ্রীন লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি কিভাবে তাহলে আর্টিকেলের নিচের অংশে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
পেঁপে লাগানোর উপযুক্ত সময়
- বর্ষাকাল( মে থেকে জুন): সবথেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। বিশেষ করে মেয়ে থেকে জুন মাসে বর্ষার শুরুর এই সময়ে মাটিতে অনেক পরিমাণ আদ্রতা ভাব থাকে যে কারণে পেঁপের চারা গজানোর জন্য এটা অনেক উপকারে আসে। এছাড়াও এই সময় কিন্তু অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং আদ্রতা গুলো গাছের দূরত্ব বৃদ্ধি করতে এবং সুস্থতায় কাজে আসে।করা হলে পানির অভাব না হওয়ার কারণে কিন্তু দ্রুত মাটি থেকে ছাড়া উপরে উঠে আসে এবং গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
- শীতকাল ( অক্টোবর থেকে নভেম্বর): অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে কিন্তু পেঁপে চাষ করা যায় শীতকালীন সময়ে। মেসেজ করে তাপমাত্রা একটু কম হওয়ার কারণে এই সময়ে পেঁপে চাষ করা লাভজনক হতে পারে। কিন্তু শীতকালে গাছের বৃদ্ধি অনেকটা ধীর হলেও শীতের মৃত আবহাওয়া গাছ কিন্তু পোকামাকড় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা থাকে। এজন্য আপনারা চাইলে এই সময়ও পেতে চাষ করতে পারেন।
- খরা মৌসুম( গ্রীষ্মকাল): গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরা মৌসুমে যদি পেঁপে চাষ করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু একটু বেশি পরিচর্যা করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে সেচ দিতে হবে। কারণ এই সময় মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রস না থাকার কারণে গাছের বৃদ্ধি কিন্তু বাধা পায়। অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে শেষ ব্যবস্থার দিকে।
বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন যে কোন সময় লাগানো যাবে। তবে একটি বিষয় আপনাকে গুরুত্ব
দিতে হবে যে অনেক সময় আবহাওয়া এবং মাটির ধরনের ওপর নির্ভর করে কিন্তু পেঁপে
গাছের বৃদ্ধি হয়ে থাকে এবং আপনাকে রোগমুক্ত পেঁপে যারা নির্বাচন করতে হবে তাহলে
কিন্তু এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন।
পেঁপে গাছের সার ব্যবস্থাপনা
পেঁপে গাছ থেকে অধিক ফলন পেতে এবং পেঁপে গাছের বৃদ্ধি দ্রুত ভাবে পেতে চাইলে
কিন্তু সঠিকভাবে সার দিতে হবে। এজন্য পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা
বিষয়টি কিন্তু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে আর সঠিক অনুপাতে যদি পেঁপে গাছের
সার না দেওয়া হয় তাহলে এক্ষেত্রে পেঁপে গাছ কিন্তু অনেক অসুস্থ হয়ে যাবে এবং
ভালো হবে না।
চলুন তাহলে এবার আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি পেঁপে গাছের সার ব্যবস্থাপনার
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। নিচে বর্ণিত এসব নিয়মগুলো আপনারা অনুসরণ করলে কিন্তু
সঠিক ভাবে পেঁপে গাছের সার ব্যবস্থাপনা হবে এবং অনেক ভালো ফলন পাবেন।
জমি প্রস্তুতির সময় সার প্রয়োগ
পেঁপে চাষ করার আগে কিন্তু আপনাকে ভালোভাবে জমিগুলো চাষ করে নিতে হবে এবং মাটি
ঝড় ধরে রাখতে হবে। এবং পেঁপে চাষ করার জন্য আপনি যখন জমি প্রস্তুতি করবেন সেই
সময়ে আপনাকে হেক্টর পতি ১৫-২০ টোন করে পচা গোবর সার ভালো করে মাটির সঙ্গে মিশাতে
হবে। আপনি যখন বেড তৈরি করবেন তখনও কিন্তু গর্ত প্রতি ১৪ থেকে ১৫ কেজি গোবর ,
ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম, এবং এর সঙ্গে পটাশ ও টিএসপি যথাক্রমে ৫০০ গ্রাম করে
মিশিয়ে দিবেন।
গাছ রোপনের পর সার ব্যবস্থাপনা
আপনি যখন গাছের উপর করবেন তখন কিন্তু আপনাকে নির্ধারিত সঠিক নিয়মে সার প্রয়োগ
করতে হবে না হলে কিন্তু পেঁপে গাছের সঠিক বৃদ্ধি হবে না এবং গাছ মারা যাবে। এজন্য
পেঁপে চারা রোপন করার পর আপনি ৩০ দিন হয়ে গেলে তখন টিএসপি এবং পটাশ আর ও ইউরিয়া
ভালোভাবে দিবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে যখন পেঁপের চারা রোপন করার।
এক মাস হয়ে যাবে তখন প্রতি গাছের গোড়াতে আপনি ইউরিয়া এবং পটাশ দিবেন ৫০ গ্রাম
করে। এরপর যখন পেঁপে গাছের ফুল আসার মত হয়ে যাবে তখন আবারো পটাশ এবং ইউনিয়ন
দিতে হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং পরিমাণ একটু দ্বিগুণ করতে হবে।
স্যারের পূর্ণ প্রয়োগ ও সেচ
এ পর্যায়ে এসে আপনাকে আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে সার এবং সেচ দিতে হবে। বিশেষ করে
যখন আপনি সার দিবেন তারপর খেয়াল রাখতে হবে যেন জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকে।
কারণ মাটিতে যদি রস না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু রসের অভাবে পেঁপে গাছের
বৃদ্ধি হবে না এবং অনেক সময় পেঁপে গাছ মারাও যেতে পারে।
অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহ
যখন অনেকটা বড় হয়ে যাবে তখন আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন পুষ্টির অভাবে গাছের
ফলন গুলো নষ্ট না হয়। অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে আপনি প্রতি গাছের গোড়াতে
যথাক্রমে জিপসাম এবং বোরিক অ্যাসিড ওজিং সালফেট ছিটিয়ে দিবেন তাহলে এক্ষেত্রে
এটা অনেক উপকারে আসবে।
জৈব সারের ব্যবহার
গাছের বৃদ্ধি নিষেধ করার জন্য আপনাকে জৈব সারের প্রয়োগ করতে হবে। এজন্য আপনি
ভার্মি কম্পোস্ট, গোবর এবং কম্পোজ সার ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন
করে যদি আপনি সার ব্যবস্থাপনাটি করতে পারেন তাহলে গাছের বৃদ্ধি অনেক ভালো হবে এবং
ফলন অনেক বেশি হবে। চাষ করার ক্ষেত্রে সফলতার অন্যতম একটি মূল চাবিকাঠি হচ্ছে
পেঁপে গাছের যত্ন নেওয়া।
স্ত্রী পেঁপে গাছ চেনার উপায়
আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি যে পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন
পদ্ধতি কিভাবে। অনেক সময় দেখা যায় যে স্ত্রী পেঁপে গাছ সঠিকভাবে না চেনার কারণে
পুরুষ পেপে গাছ জমিতে লাগানোর কারণে আবার ভালো হয় না এবং ফলন অনেক কম হয়ে থাকে।
এজন্য আপনারা যারা জানেন না যে স্ত্রী পেঁপের গাছ চিনবেন কিভাবে।
তাদের কথা মাথায় রেখে আলোচনার এই অংশে এসে আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব
কিভাবে আপনি স্ত্রী পেঁপে গাছ চিনতে পারবেন তার উপায় গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে
কথা না বাড়িয়ে এবার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসে যাক স্ত্রী
পেঁপে গাছ চেনার উপায়। স্ত্রী পেপে গাচ্ছে তার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে এর ফুল এবং ফল।
আরো পড়ুনঃ ছাদে স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি
স্ত্রীর গাছের ফুলগুলো কিন্তু পুরুষ গাছের ফলের থেকে বড় হয়ে থাকে। তবে কিন্তু
ফুলের ডাটাটি একটু ছোট হবে এবং দেখতে অনেকটাই ঘন গুচ্ছ কারের মত। স্ত্রী গাছের
কিন্তু পুংকেশ আছে যে কারণে সক্রিয় গর্ভকেশরের মাধ্যমে এরা পরাগায়ন ঘটানোর
প্রক্রিয়া যারা ফুল থেকে ফল উৎপন্ন করে থাকে। স্ত্রী পেপে গাছ চেনার অন্যতম
আরেকটি উপায় হচ্ছে।
এটা দেখতে অনেকটা সবুজ রঙের এবং এর আকার হয়ে থাকে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা।
এছাড়াও যখন এই ফল কাছে থাকে তখন ভেতরের অংশটি সাদা হয়ে থাকে এবং যখন তাকে তখন
এটা দেখতে অনেকটা হল কিনব গাড়ো কমলে রঙের হয়ে থাকে। স্ত্রী পেঁপে গাছগুলো
কিন্তু ফল ধরার জন্য সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখে কারণ পুরুষ গাছের শুধুমাত্র
পরাগায়ন হয়।
কিভাবে স্ত্রী পেঁপের বীজ নির্বাচন করতে হয়?
আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে কিভাবে স্ত্রী পেঁপে বীজ নির্বাচন
করব। মূলত আপনারা যদি সঠিকভাবে স্ত্রী পেঁপের বীজ নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে
এক্ষেত্রে কিন্তু ভালো ফলন সম্ভব নয়। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে সরাসরি জেনে
আসা যাক কিভাবে আপনি স্ত্রী পেঁপের বীজ নির্বাচন করবেন তার উপায় গুলো।
- গাছের বয়সঃ যেসব গাছের বয়স বেশি এবং স্বাস্থ্যকর এ ধরনের স্ত্রী পেঁপে গাছগুলো থেকে বেশ সংগ্রহ করবেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন এ সকল গাছের বয়স খুব বেশি বয়স্ক বা খুব বেশি বাচ্চা না হয়।
- ফলের আকার এবং আকৃতিঃ যে ফল থেকে আপনি বিষ সংগ্রহ করবেন এটা যেন স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে এবং আকারে যেন বড় ও সুন্দর হয়ে থাকে। যেসব ফল আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা খর্বকৃতি এ ধরনের ফল গুলো থেকে বীজ নেওয়া ঠিক ঠিক হবে না।
- ফলের দৃঢ়তাঃ বীজ দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে এজন্য ফলটি অনেক দৃঢ় ও শক্ত হয়। কারণ নরম কিংবা পচা ফলের বীজ থেকে বীজ নিলে এগুলো কিন্তু নষ্ট খারাপ হবে।
- ফলের রংঃ যেসব ফলের রং পাকা এবং পরিণত এ ধরনের ফল থেকে আপনি বেশ সংগ্রহ করবেন। এ ধরনের ফলগুলো হয় থেকে লাল কিংবা হলদেটে সবুজের মত। এজন্য যেসব ফল টাকা নয় কিংবা অপরিণত এ ধরনের ফল থেকে বীজ নেবেন না।
- বীজের আকার এবং গঠনঃ যে ফলটি গোলাকার এবং নিখুঁত এবং সাইজে বড় এ ধরনের বীজ বাছাই করে নিবেন।
- ফলের ওজনঃ যেসব ফল একটু ভারী হয়ে থাকে এগুলো কিন্তু সতেজ ও টাটকা থাকে এজন্য আপনাকে ফল সংগ্রহ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ফলটি ওজনে ভারী হয়ে থাকে।
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি
ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি। পেঁপে
চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আধুনিক
পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করলে ফলন ভালো হবে এবং এখান থেকে অনেক মুনাফা লাভ করা সম্ভব।
এজন্য পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই।
কারণ এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এসব আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে। তাই আপনারা
পেঁপে চাষ করার ক্ষেত্রে স্কুল আধুনিক পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে কিন্তু
ফলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবেন। পেঁপে চাষের আধুনিক প্রযুক্তি হলোঃ
আরো পড়ুনঃ
কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার
- উন্নত জাতঃ আধুনিক পদ্ধতিতে পিপি চাষ করার অন্যতম একটি ধাপ হচ্ছে উন্নত জাত। কারণ হাইব্রিড জাতের উন্নত সকল গাছগুলো থেকে পেঁপে চাষ করা হলে এখান থেকে শতভাগ লাভবান হওয়া সম্ভব। এজন্য হাইব্রিড জাতীয় যেমন - রেড লেডি, তাইওয়ান জাত ইত্যাদি জাতীয় উন্নত এসকল জাতগুলো আপনি বেছে নিতে পারেন। সকল জাতগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি যে কারণে চাষীকে অধিক লাভবান করতে পারে।
- টিস্যু কালচার পদ্ধতিঃ আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করার জন্য কিছু কালচার পদ্ধতি ব্যবহার করে উচ্চ গুণমান এবং রোগমুক্ত পেঁপে ছাড়া উৎপাদন করার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে পেপে চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করলে অনেক ফলন পাওয়া যায় এবং ছাড়াও দ্রুত বাড়তে থাকে।
- জৈবিক কীটনাশক ব্যবহারঃ পেঁপে চাষ করার ক্ষেত্রে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার পরিবর্তে জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার হলে এটা পরিবেশের ক্ষতি কম করে এবং পাশাপাশি পেঁপের গুণগতমান বৃদ্ধি করে। এতে করে কিন্তু নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পেঁপে উৎপাদন করা সম্ভব
- ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতিঃ মূলত এই পদ্ধতিটি হচ্ছে শেষ পদ্ধতিতে এমনভাবে পানি ব্যবহার করা হয় যাতে তাদের অপচয় কম হয়ে থাকে। এতে করে কিন্তু গাছের বৃদ্ধি ও সুষম হয় এবং এর ফলে জল শাস্ত্রহী হয়ে থাকে এছাড়াও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে জমির উর্বরতও ঠিক থাকে।
পেঁপের চারা স্ত্রী না পুরুষ কিভাবে বুঝবো?
কিভাবে পেঁপের যারা স্ত্রী নাকি পুরুষ বুঝবেন? কি এটা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে
চিন্তার কোনই কারণে কারণ এখন আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো পেপে যারা
স্ত্রীর না পুরুষ তা বুঝার উপায়। এজন্য নিচে থাকা এ সকল পদ্ধতি অনুসরণ করলে
খুব সহজেই আপনি জেনে যাবেন যে পেঁপের চারা স্ত্রী নাকি পুরুষ। পেঁপে বীজ
থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি।
- ফুল দেখে চিনতে পারবেনঃ মূলত ফুল দেখে আপনি খুব ভালোভাবে চীনে যাবেন যে পেঁপের গাছের চারা স্ত্রী নাকি পুরুষ। স্ত্রী পেতে গেছে অনেক পরিমাণে ফুল ফোটে কিন্তু পুরুষ পেঁপের কাছে তেমন বেশি ফুল ফোটে না। আর যেটি স্ত্রী পেঁপে হবে তার ফুলের মাঝখানে কিন্তু একটা ছোট্ট গর্ত থাকে যেখানে হয়ে থাকে। অন্যদিকে যেটা পুরুষ পেপে গাছ শুধুমাত্র তার পাতা থাকে।
- বয়স দেখে চিনতে পারবেনঃ স্ত্রী পেপে গাছের বয়স দেখেই আপনি চেয়ে যাবেন যে এটা স্ত্রী নাকি পুরুষ গাছ। যেটা স্ত্রী গাছ হবে সেটার গঠন এবং শিকড় কিন্তু ভারী ও প্রশস্ত হয়ে থাকে।
- পুরুষ এবং স্ত্রী গাছের মালা ভিন্নঃ স্ত্রী এবং পুরুষ পেঁপে গাছের মালা কিন্তু একটু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেটা পুরুষ পেপের মালা সেটা একটু ছোট হয় আর যেটা স্ত্রী পেঁপে গাছের মালা তা একটু লম্বা হয়ে থাকে।
- ফল দেখে চিনতে পারবেনঃ পুরুষ গাছে কখনো তেমন যে কারণে আপনি এটা দেখে বুঝতে পারবেন যে স্ত্রী নাকি পুরুষ গাছ। শুধুমাত্র স্ত্রীর পেঁপে গাছের ভালো ফল ধরবে এজন্য আপনি এগুলো লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটির পরের মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন পেঁপে বীজ থেকে চারা উৎপাদন পদ্ধতি। এ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা কিন্তু খুব সহজে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে পারবেন।আর্টিকেলটি যদি একথা বুঝতে আপনার অসুবিধা হয় তাহলে আপনি চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন বা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে
আর্টিকেলটির বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো যদি আপনি
নিয়মিতভাবে পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url