নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম -নামজারি খতিয়ান ডাউনলোড

টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করার ৮টি উপায়নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন আমাদের আজকের এই আলোচনায়। জমি ক্রয় এবং বিক্রয় করার জন্য কিন্তু এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও খারিজ চেক করার নিয়ম ও থাকছে আমাদের আজকের আলোচনায়। নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম চলুন জেনে আসা যাক।

multiplebd-নামজারি-আবেদন-চেক-করার-নিয়মযখন নামজারি আবেদন করা হয়ে যায় তার পরবর্তী সময়ে কিন্তু আমাদের আবেদনটির অবস্থান জানতে আমাদেরকে নামজারি আবেদনটি চেক করতে হয়। আপনি কিন্তু খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমেই ভূমি অফিসে না গিয়েও এই কাজটি করতে পারবেন। বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। .

ভূমিকা

আপনারা ইতিমধ্যে যারা নামজারে আবেদন করার পরেও নাম ধরে আবেদনটি ঠিকভাবে চেক করতে পারছেন না তাদের জন্য কিন্তু আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন কিভাবে আপনি আপনার নামজারি করা আবেদনটি চেক করবেন।

এছাড়া আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জেনে যাবেন নামজারি খতিয়ান ডাউনলোড,নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। এজন্য ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে এ কাজগুলো করার জন্য বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে।

নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম

নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি নামজারি  আবেদনটি চেক করতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানে না কিভাবে সঠিকভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করা যায়। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন কিভাবে আপনি নামজারি আবেদনটি চেক করতে পারবেন। 
multiplebd-নামজারি-আবেদন-চেক-করার-নিয়ম
  • আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যেতে হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল  ওয়েবসাইটে। 
  • এবার সেখান থেকে নামজারি অপশনটি বেছে নিন এবং ক্লিক করে দেন। 
  • তারপর সেখান থেকে আপনার নিজস্ব বিভাগ বেছে নিন। 
  • এবার আপনার নামজারি করা আবেদনের আইডিটি টাইপ করুন। 
  • তারপর সেখানে আপনার এনআইডি কার্ডের সঠিক নাম্বারটি টাইপ করুন। 
  • ক্যাপচা চিহ্নিত স্থানে যে যোগফল গুলো আছে এগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন। 
  • এবার খুঁজুন বাটনে ক্লিক করলেই আপনি সরাসরি নাম জেনে আবেদন সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেখতে পাবেন।
  • ব্যাস এভাবেই মাত্র ১ মিনিটের ভিতরে আপনি খুব সহজেই কিন্তু নামজারি আবেদনটি চেক করে নিলেন। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। খারিজ চেক করার নিয়ম যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি নিচের দিকে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন। 

নামজারি কি

নামজারি আবেদন জানার পূর্বে চলুন প্রথমে জেনে আসা যাক নামজারি কি। বিক্রয় করার সময় দেখবেন বিভিন্ন সময় নাম ধরে কথাটি উচ্চারণ হয়ে থাকে। নামজারি অর্থাৎ মিউটেশন কথাটি হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক ধরনের জমির মালিকানা পরিবর্তন করার ধারা। যেখানে জমি হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম।

সরিয়ে ফেলে সেখানে নতুন মালিকের নাম যোগ করা হয়। মূলত এই প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় নামজারি। আর এই নাম জারি করার মাধ্যমে জমির আগের যে দোজমা রয়েছে সেখান থেকে খারিজ করার মাধ্যমে নতুন আবেদনকারীর নাম যুক্ত করে সেখানে নতুন হোল্ডিং অর্থাৎ নতুন সৃষ্টি করা হয়। 

নামজারি আবেদন চেক করতে কি কি লাগে?

নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি নামচারী আবেদন করে সেটা চেক করতে পারবেন। আপনি জানেন কি নামজারি আবেদন চেক করতে কি কি লাগে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারনে কারন এখন আমরা আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব নামজারি  আবেদন চেক করতে যেসব কাগজপত্র দরকার হবে।

আরো পড়ুনঃ ওয়ারিশ সম্পত্তি নামজারি করার নিয়ম

মূলত নামজারি আবেদন চেক করতে তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র কয়েকটি জিনিস থাকাই আপনি খুব সহজে নাম ধরে আবেদন চেক করতে পারবেন মাত্র কয়েক মিনিটের ভিতরেই। নাম যারে আবেদন চেক করার জন্য আপনি সর্বপ্রথম নামজারি আবেদন করার পর পেমেন্ট অপশনে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার আবেদন আইডি নাম্বারটি দিবেন।

এবার নাম জানি আবেদনটি চেক করার জন্য উক্ত আইডি নাম্বার এবং এর সঙ্গে যিনি আবেদন করে রয়েছেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিতে হবে। ব্যাস এভাবেই মাত্র কয়েকটি জিনিস দিয়ে আপনি খুব সহজেই নামজারি আবেদন চেক করতে পারবেন নিমিষেই। 

জমি খারিজ করার নিয়ম

ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম। এখন আমরা জানবো জমি খারিজ করার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা অনেকেই কিন্তু জানিনা কিভাবে জমির খারিজ করা হয়। যে কারণে অনেক সময় আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তির শিকার হতে হয়। আমাদের বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রীয় আইন রয়েছে।

সেই আইন অনুযায়ী জমির পূর্বে মালিকানা পরিবর্তন করার মাধ্যমে নতুন মালিক হলে তাকে সেই মালিকের নামে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। মূলত এই প্রক্রিয়াটাকে বলা হয়ে থাকে জমি খারিজ প্রক্রিয়া। বর্তমানে ইন্টারনেট প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ভূমি অফিসে না গিয়েও ঘরে বসেই কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই জমি খারিজ করা হচ্ছে।

এতে করে সঠিকভাবে জমি খারিজ করা হয় এবং কোন ধরনের দালাল কিংবা কোন বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় না। জমি খারিজ করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র দরকার হবে যেমন -

  • ছবি 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  •  জমির  দলিল 
  • জমির খতিয়ান নাম্বার 
  • স্বাক্ষরের ছবি 

ওই সকল তথ্য থাকলে আপনি খুব সহজেই কিন্তু জমি খারিজ করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে এভাবে জমি খারিজ করার জন্য কয়েকটি দিক ফলো করলেই খুব সহজে তুমি খারিজ করতে পারবেন তা হল।

সর্ব প্রথম ভূমি মন্ত্রণালয় এর ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।এবার সেখান থেকে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। মূলত একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে যেমন - জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার, আপনার নাম এবং ঠিকানা, ইমেল আইডি এবং আপনার পার্সোনাল ফোন নাম্বার। পূর্বে থেকে যদি আপনার কোন একাউন্ট করা থাকে তাহলে সে একাউন্টে গিয়ে আপনি লগইন করলে কিন্তু এটা খুব সহজে হয়ে যাবে।

ওয়েব সাইটে যদি লগইন করা হয় যায় তাহলে সেখানে জমি খারিজের একটি ফর্ম আসবে। সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে সঠিকভাবে ঘরগুলো পূরণ করুন। এভাবে সমস্যা তথ্য ঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করে দিলে আপনি খুব সহজেই জমি খারিজ করতে পারবেন। 

জমির খারিজ বাতিল করার নিয়ম

জমি খারিজ করার নিয়ম সম্পর্কে তো জানলেন। কিন্তু জানা আছে কি জমির খারিজ কিভাবে বাতিল করতে হয়?যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই কারণ এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো জমি খারিজ বাতিল করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।  চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে সরাসরি জেনে আসা যাক জমির খারিজ বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ এড ফি ছাড়া অনলাইন জব-ফ্রি অনলাইন জব

  • সর্বপ্রথম আপনাকে একটা দরখাস্ত দাখিল করতে হবে এসি ল্যান্ড অফিস বা ভূমি অফিসে আপনার নাম ধরে খতিয়ান বাতিল করার জন্য। এক্ষেত্রে কোর্ট ফিট ২০ টাকা দিয়ে তফসিলভুক্ত সম্পত্তির বর্ণনা এবং নাম জারি করার ফলে আপনার যে সকল স্বার্থ  ক্ষুন্ন হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে আবেদনে তুলে ধরুন। 
  • তারপরে আবেদনটি যদি এসিলেন্ট গ্রহণ করে তাহলে তিনি বিবাদী বরাবর একটা নোটিশ দিয়ে দিবে। তারপর নির্ধারিত তারিখে বিরোধী এবং সম্পত্তির তোকে যে দলের পত্র রয়েছে সেগুলো নিয়ে হাজির করার জন্য তফসিল বিষয়টি নিশ্চিত হবে। আর আবেদনটি যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে মিস কেস নাম্বারটি দিতে হবে। 
  • তারপর এসি ল্যান্ড বাদী এবং বিবাদী উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং বিষয়টি বিচার বিবেচনা করবেন। 
  • যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এসিল্যান্ড যদি  বিষয়টি সার্ভেয়ার জমির মালিকানা বিষয়ে ষড় জমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। 
  • এক্ষেত্রে যিনি তহশীলদার রয়েছেন তিনি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করবে এবং এটা এসি ল্যান্ড  অফিসে গিয়ে রিপোর্টটি জমা দিবে। 
  • উভয় পক্ষের সাথে বসার মাধ্যমে রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করবেন এবং বক্তব্য গুলো শুনবেন। আর এভাবেই এসিল্যান্ড তারাই ঘোষনা করার মাধ্যমে প্রথম পক্ষের মালিকের পক্ষে নাম যদি আসে তাহলে তিনি পরবর্তী মালিক পক্ষের নাম জারিটি বাতিল করবেন। এবং প্রথম মালিক পক্ষকে নামজারি করার জন্য আবার সুযোগ দিবেন। 

ই নামজারি করতে কতদিন সময় লাগে

আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে এই নাম্বারে করতে কত দিন সময় লাগে। যখন আমরা নামজারি করার জন্য অনলাইনে আবেদন করে তখন আমাদের মাথায় চিন্তা আসাটা স্বাভাবিক যে এটা কত দিনের ভেতরে কার্যকর হবে। চলুন এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। মূলত ই নামজারি আবেদনটি সাধারণত ২৮ দিনের ভিতরেই নিষ্পত্তি হওয়ার বিধান কিন্তু রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এই মিউটেশন মনিটরিং ড্যাশবোর্ডটি পর্যালোচনা করার মাধ্যমে দেখা যায় যে আবেদনটি নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে ৩৭-৪৫ দিন পর্যন্ত। তবে সাধারণত সকল অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ২৮ দিনের ভিতরে কিন্তু নামজারি কার্যক্রম গুলো নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আশা করছি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। 

নামজারি খতিয়ান ডাউনলোড

আমরা বিস্তারিতভাবে জেনেছি নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম কি। কিন্তু জানা আছে কি নামজারি খতিয়ান ডাউনলোড কিভাবে করে। যদি না জানা থাকে আর আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি খুব মনোযোগ দিয়ে করুন। কারণ এখন আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

  • সর্বপ্রথম আপনাকে প্রবেশ করতে হবে Land.gov.bd ওয়েব সাইটে। 
  • তারপর সেখানে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন নিচের দিকে কি নাম যার নামে একটা অপশন আছে আপনি সেখানে ক্লিক করুন। 
  • তারপর সেখান থেকে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাতে ক্লিক করার পর দেখতে পারবেন আপনার সামনে একটি ফর্ম আসছে যেখানে লেখা আছে আবেদনের সঠিক তথ্য দিন। 
  • এবার সেই ফর্মে থাকো তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন যেমন -বিভাগ, আবেদন আইডি, মোবাইল নম্বর। 
  • এজন্য বিভাগের জায়গাতে আপনার বিভাগ এবং আপনি যে আইডি দিয়ে আবেদন করেছেন সে আইডি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং মোবাইল নম্বর থাকা অপশনে আপনি যেই মোবাইল নম্বর দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেই মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে বসান। 
  • এবার নিচে থাকা ঘরটিতে যে সংখ্যাগুলো যোগ করতে বলছে এগুলো যোগ করে খুলুন বাটনে চাপ দিন। 
  • দেখবেন এবার আপনার সামনে নাম ধরে আবদার নাম্বার সহ সর্বশেষ যে অবস্থা রয়েছে সেটি একদম সঠিকভাবে চলে এসেছে। 
  • এবার ডান দিকে থাকা ঘর গুলোর ভিতরে যে ঘরটিতে খতিয়ান ডাউনলোড লেখা আছে সেখানে ক্লিক করুন নামজারির খতিয়ানটি ডাউনলোড করে নিন 
  • সকল দিকগুলোর ফলো করার মাধ্যমে আপনি কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরে নামজারী খতিয়ান ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

খারিজ চেক করার নিয়ম

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে খারিজ কিভাবে চেক করতে হয়। এজন্য আলোচনার এই অংশে এসে আপনারা জানিয়ে দিবো খারিজ চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। চেক করার নিয়ম কিন্তু একদম সহজ। যেভাবে আপনি খারিজচেক করবেন তা হলঃ

আরো পড়ুনঃ ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

multiplebd-নামজারি-আবেদন-চেক-করার-নিয়ম
  • সর্বপ্রথম আপনাকে প্রবেশ করতে হবে land.gov.bd ওয়েবসাইটে। 
  • এবার সেখানে গিয়ে নাগরিক কর্নার  নামে একটা অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। 
  • এবার সেখান থেকে ই নামজরি লেখা অপশনটিতে ক্লিক করুন।
  • অনলাইনে আবেদন করুন এবং আরেক পাশে লেখা আছে আবেদন ট্রাফিক। আপনি যত পূর্বে আবেদন করেছেন এবং বর্তমানে আবেদনের চেক করতে চাচ্ছেন এজন্য আবেদন ট্রাকিং টেকিং এ ঘরগুলো পূর্ণ করুন। 
  • এবার আবেদন ট্রাকিং ঘর ঘর থেকে যেসব তথ্য চাচ্ছে সেগুলো যথাযথভাবে পূরণ করুন। যেমন -বিভাগ এবং আপনার আবেদন আইডি নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র। 
  • এবার নিচে দেখবেন যোগ করুন নামে একটা লেখা এসেছে আপনি সেই লেখাগুলো যোগ করে খুঁজুন লেখাটিতে ক্লিক করুন।

আর এভাবে আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার কাজটি অনলাইনে রয়েছে কিনা। আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনি খারিজ চেক করবেন। 

নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা

নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম কি তা তো জানলেন। নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কি এটাও কিন্তু জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে আবেদনটি করেছিলেন সেটা সর্বশেষ অবস্থা যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে এতে কিন্তু আপনি অনেক নিশ্চিত থাকতে পারবেন। সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। 

  • নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য আপনাকে যেতে হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। অর্থাৎ আপনি ভিজিট করবেন mutation.land.gov.bd ওয়েবসাইটে। 
  • এবার সেখানে লেখা আছে দেখুন আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা আপনি সেই লেখাটিতে ক্লিক করবেন। 
  • এবার আপনার সামনে আবেদনের সঠিক তথ্য দিন নামে একটা বক্স আসবে, সেখানে যথাযথভাবে তথ্যগুলো পূরণ করুন। 
  • বিভাগের জায়গাতে আপনার বিভাগ এবং আবেদন আইডি এর জায়গা থেকে আপনার আবেদন আইডি দিবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করবেন ভুল হলে কিন্তু আবেদনটি দেখতে পাবেন না। 
  • যোগ করুন অংক গুলোকে ভালোভাবে যোগ করে খুজন অপশনে ক্লিক করলেই আপনি খুব সহজে দেখতে পেয়ে যাবেন আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কি। 

লেখকের মতামত 

আজকে আর্টিকেলে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনেছেন নামজারি আবেদন চেক করার নিয়ম -নামজারি খতিয়ান ডাউনলোড সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি নামজারির আবেদন করতে চাইলে আর্টিকেলে উল্লেখ করার নিয়ম অনুযায়ী খুব সহজে করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আলোচনাটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। আর এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো যদি আপনি পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url