বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় -বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানিয়ে দিব আজকের এই আলোচনায়।আপনি যদি আদা চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আদার উপকারিতা সহ বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে চলুন জেনে আসা যাক।
শুধুমাত্র উপযুক্ত সময়ে আধা চাষ না করার কারণে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে
হয়েছে যে কারণে আমাদেরকে সঠিকভাবে জানতে হবে যে কোন সময়টা আদা চাষের জন্য
উপযুক্ত। আর এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আমাদের আজকের আর্টিকেলে ।.
ভূমিকা
সঠিক সময়ে যদি আদা চাষ না করা হয় তাহলে এখান থেকে আপনি খুব বেশি লাভবান হতে
পারবেন না। যে কারণে অবশ্যই আপনাকে আদা চাষ করতে হবে উপযুক্ত সময়ে আর যে
বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে যাবেন আমাদের আজকের এই আলোচনায়। আজকের আর্টিকেলটি যদি
শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জেনে যাবেন আদার রোগ বালাই দমন সহ বস্তায় আদা
চাষের সুবিধা এখন একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত।
বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময়
বর্তমান সময়ে কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে আধার আরও নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন যেগুলোর মাধ্যমে আদা চাষে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। আমাদের বাংলাদেশে বস্তায় আদা চাষ করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে মে মাস। অর্থাৎ বাংলা মাসের বৈশাখ এবং জৈষ্ঠ মাস হচ্ছে আদা চাষ করার জন্য সব থেকে উপযুক্ত সময়।
এই সময়ের ভেতরে যদি আপনার আধা চাষ করেন তাহলে কিন্তু ফলন পাবেন। এজন্য অধিক ফলন পেতে এবং উপযুক্ত সময় যদি আধা চাষ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি এপ্রিল মাসের শুরুর দিকেই আদা লাগানোর চেষ্টা করবেন। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
আদার উপকারিতা
আমরা যারা জানিনা আদার উপকারিতা কি তাদের কথা মাথায় রেখে এখন আলোচনা করবো আদার উপকারিতা সম্পর্কে। আধার কিন্তু অনেক উপকারের দিক রয়েছে
বিশেষ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক এবং বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে আদাব ব্যবহার
করা হয়। চলুন এ বিষয় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- আদা খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ গুলো প্রতিরোধ করতে ভূমিকায় রাখে।
- আদা কিন্তু এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যে কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
- আদার রস খাওয়া হলে আমাদের শরীরে অনেক শীতল থাকে।
- বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জড়িত জ্বর কাশি কিংবা গলা ব্যথা দূর করতে কিন্তু আদার অনেক ভূমিকা আছে।
- আমাদের হৃদপিন্ডের জন্যও কিন্তু আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কন্ঠ আদা যদি প্রতিদিন চিবিয়ে খাওয়া হয় তাহলে এটা হৃদপিন্ড ওকে অনেক বেশি ভালো রাখতে পারবে।
- এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাশি এবং হাঁপানি সমস্যাগুলো দূর করতে আদা রসের সঙ্গে যদি মধু এবং তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে সমাধান মিলে খুব সহজে
- আদার অন্যতম একটি উপকারের দিক হচ্ছে এটাই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কম করতে ভূমিকা রাখে।
- মাথা ধরা সমস্যা গুলো দূর করার জন্য আদা দিয়ে চা খাওয়া হলে খুব সহজেই কিন্তু এটা থেকে মুক্তি মেলে।
বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি
বলছিলাম বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় -বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
বস্তায় আদা যদি সঠিকভাবে চাষ করা হয় তাহলে কিন্তু অল্প জায়গার ভেতরেই আপনি
অনেক পরিমাণ আদা চাষ করতে পারবেন এবং অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হতে পারবেন। এজন্য
আপনারা যারা জানেন না যে বস্তায় আদা কিভাবে চাষ করবেন চলুন এখন এ বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বস্তায় আদা চাষ করার জন্য খুব বেশি বড় পরিসরে জায়গা প্রয়োজন হয় না যে কারণে
আপনি এটা বাড়ির আশেপাশে কিংবা যেকোনো পরিত্যক্ত জায়গাতেও করতে পারবেন। মূলত বাস
তাতে চাষ করার প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ এবং উৎপাদন খরচ বেশ কম যে কারণে এতে লাভবান
হওয়া যায়। বস্তায় আদা চাষ করার জন্য আপনি প্রতি বস্তা তে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টি।
প্রতি বস্তা প্রতি দুই থেকে এক কেজি আদা উৎপাদন করতে পারবেন। বিশেষ করে বস্তায়
আদা চাষ করার জন্য আরো একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে বস্তায় আদা চাষ করার সময় যদি
কোন রোগ বলাই দেখা যায় তখন কিন্তু শুধুমাত্র আক্রান্ত বস্তাটি সরিয়ে নিলেই অন্য
বস্তা গুলো ভালো থাকে। বস্তায় আদা চাষ করতে হলে নিলানি এবং অন্যান্য পরিচর্যা
গুলো খুব বেশি প্রয়োজন হয় না।
চলুন বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি গুলো পয়েন্ট আকারে জেনে আসা যাক।
- মাটি এবং আবহাওয়াঃ বাস্ততে আদা চাষ করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময় এবং মাটি কি ধরনের এটা কিন্তু আদা চাষের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আদা চাষ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি বেছে নিতে হবে কারণ এটা আদা চাষ করার জন্য উপযুক্ত।
- বস্তায় মিশ্রণ তৈরির পদ্ধতিঃ বস্তাতে আদা চাষ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিজের উল্লেখ করা আইসকল উপাদান গুলো ভালো করে মিশাতে হবে এবং এটা ১০ থেকে ১৫ দিন পূর্বে থেকে একত্রে ভালো করে পলিথিন দিয়ে ঢাকতে হবে। যাতে করে এর ভেতরে হাওয়া বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য আপনি একসাথে মাটি, টিএইচপি, কম্পোস্ট,জিংক, গোবর, ছাই এবং বরুন ভালো করে মিশিয়ে নিবেন।
- আদা রোপণের সময়ঃ আদা রোপন করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে মে মাস। এজন্য আপনারা আতা চাষ করার জন্য এই সময়টা বেছে নিবেন।
- বস্তায় মিশ্রণ ভরাট করাঃ এই পর্বে এসে আপনাকে আবার রোপন করার পূর্বে বস্তাগুলো ভালোই করে মাটি দিয়ে ভর্ক করে নিতে হবে। তবে হ্যাঁ বস্তার ওপরের অংশ ও জন্য এক থেকে দুই লিটার ইঞ্চি পর্যন্ত ফাঁকা থাকে।
- বস্তা সাজানো বা স্থাপন পদ্ধতিঃ বস্তা সাজানো বা স্থাপন করার জন্য আপনাকে একটা বেড তৈরি করতে হবে এবং এটার জন্য ৩ মিটার চওড়া দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। আর একটি থেকে অন্যটির মাঝখানে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ড্রেন রাখতে হবে। বেড অবশ্যই উঁচু করে রাখবেন যাতে করে বৃষ্টির পানি হলে পেটের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। এরপর বেড তৈরি করা হয়ে গেলে প্রতিটি বেটার মাঝখানে এমনভাবে বস্তা রাখবেন যেটা একটি থেকে অন্য বস্তুর দূরত্ব হয় ১ মিটার। এবার প্রতিটি শাড়িতে আপনি 8 থেকে 10 ইঞ্চি পর পর দুটি করে বস্তা দিয়ে দিবেন।
- বীজে আকার ও রোপণ পদ্ধতিঃ সর্বশেষ পর্যায়ে এসে আপনাকে আদ্যা চাষ করার জন্য ব্রিজের আকার দেখে নিতে হবে। প্রতিটি বস্তায় অন্তত পক্ষে ৪০ থেকে ৫০ গ্রামের একটি করে বীজ মাটির দুই থেকে তিন ইঞ্চি গভীরে দিবেন। তারপর মাটি দিয়ে ভালো করে এগুলো ঢেকে দিন।
আদা বীজ কোথায় পাবো
আপনারা অনেকেই আমাদের পক্ষে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে আদা বিজ কোথায়
পাওয়া যায়। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব যে
আপনি আদা বিজ কোথায় থেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে
উপযুক্ত সময়ে আজাবের সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে ভালো ফল হয় না এবং রসের
সম্মুখীন হতে হয়।
এজন্য আপনাকে উপযুক্ত সময়ের ভেতরে আদাবে চারুকন করতে হবে। আদা বীজ আপনি সংগ্রহ
করতে পারবেন একাধিক উচ্চ থেকে। আপনি চাইলে সরাসরি স্থানীয় বাজার থেকে আধা বীজ
সংরক্ষণ করতে পারবে এছাড়াও বিভিন্ন তো কিছু অফিস অধিদপ্তরে গিয়েও সেখানে থেকে
খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
এগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন স্টোর থেকেও কিন্তু কেনা সম্ভব। ঘরে বসে অনলাইনের
মাধ্যমে খুব সহজে কিন্তু আপনি আদা বিজ পেয়ে যাবেন। এই মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি আপনি
কিন্তু সরাসরি স্থানীয় কৃষকদের থেকে খাঁটি এবং ভেজালমুক্ত ভালো মনের আদা বীজ
সংগ্রহ করতে পারবেন।
আদার রোগ বালাই দমন
আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন বস্তায়
আদা চাষের উপযুক্ত সময়। বস্তা তে আদা চাষ করার এ বিষয়টি যেমন পাশাপাশি আপনাকে
কিন্তু জানতে হবে আদার রোগ বলাই দমন সম্পর্কে। কারণ আদা চাষ করার সময় যদি রোগ
বলাই দমন করতে না পারেন তাহলে এতে কিন্তু অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
তাই অবশ্যই কোন রোগ কিভাবে হয় এবং কোন রোগের ক্ষেত্রে কি কি চিকিৎসা বা রোগ
বালাই দমন কিভাবে করবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে চলুন নিচের দিকে জেনে আসা যাক।
- পোকামাকড় দমনঃ আদা চাষের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বড় রোগ হচ্ছে পোকামাকড়। গাছ বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে কিন্তু এখানে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করে যে কারণে সেগুলো প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আপনি স্পে ব্যবহার করবেন।
- দমন পদ্ধতিঃ আদার ক্ষেত্রে পোকামাকড় দমন করার জন্য আপনি ১০ থেকে ১২ দিন পর পর দুই থেকে তিনবার বিকেলের সময়ে পোকামাকড় দূর করার স্পে ব্যবহার করবেন। পোকামাকড় দূর করতে ব্যবহার হয় এরকম একটি স্পিডে ব্যবহার করবেন যা আপনি কীটনাশকের দোকান থেকে পেয়ে যাবেন।
- কন্দ পঁচা রোগঃ সাধারণত বর্ষাকালীন সময়ে আদাতে এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে আদা গাছের নিচে এগুলো হলুদ ভাবে দেখা যায়। আদাতে যখন পচন সৃষ্টি হয় তখন এর ভেতরে থাকার টিস্যুগুলো কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। এ যেন আদা গাছের পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝিম দিয়ে থাকে। সমস্যা গুলোর সমাধান করার জন্য আপনাকে কিন্তু ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
- দমন পদ্ধতিঃ আদার উৎপাদন যদি বেশি চান এবং ফলন যদি ভালো চান তাহলে এক্ষেত্রে আদা সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য রোগমুক্ত বীজ নির্বাচন করার পাশাপাশি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কন্ধ পঁচা রোগ থেকে বাঁচার। আপনার আদায় যদি গন্ধ পচা রোগ হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কীটনাশকের দোকানে গিয়ে আপনি দোকানদার আপনাকে যে সাজেশন দেবে সেটি মেনে চলবেন।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা
ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনেছি বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় অনেকেই
আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে বস্তায় আদা চাষ করলে কি কি সুবিধা
পাওয়া যাবে। এজন্য আমরা ভেবেছি আর্টিকেলের এই অংশে এসে আপনাদের জানিয়ে দেবো
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা।
- বস্তায় আদা চাষ করলে অতিরিক্ত কোন জমির প্রয়োজন হয় না বরং এটা যেকোনো ধরনের পরিত্যাক্ত জায়গাতেও করা যায়।
- বস্তা তে যদি আদা চাষ করা হয় তাহলে অল্প জায়গার ভেতরেই কিন্তু অনেক পরিমাণ আদা চাষ করা সম্ভব।
- বস্তায় আদা চাষ করার উৎপাদন খরচ অনেক কম এবং প্রতি বস্তায় ১৫ থেকে ২০ টাকা খরচ করার মাধ্যমে বস্তা প্রতি ১ থেকে ২ কেজি আদা উৎপাদন করা যাবে।
- বস্তা তে আধা চাষ করা হলে কন্দ পচা রোগ হয় না এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ গুলো হলে গাছসহ বস্তা সরিয়ে ফেলানো যায় যে কারণে অন্য রাস্তাগুলো ভালো থাকে।
- বস্তাতে আদা চাষ করার অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে এখানে নিড়ানি ও খুব বেশি পরিচর্যা করতে হয় না যে কারণে উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়ে থাকে।
- বস্তা তে আদা চাষ করা হলে একই জমে একাধিকবার ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
আদার অর্থনৈতিক গুরুত্ব
আপনারা যারা জানেন না যে আদার অর্থনৈতিক গুরুত্ব তাদের জন্য থাকছে আদার
অর্থনৈতিক গুরুত্ব এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। বস্তায় আদা চাষের
উপযুক্ত সময় সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন। চলুন এবার জানা যাক আদা চাষের
অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে। প্রথমেই বলে রাখি যে আদার অথনৈতিক গুরুত্ব কিন্তু
অনেক।
আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আধা কিন্তু অনেক ভূমিকা রাখে। কিন্তু তবুও আমাদের
বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে কিসের জমির পরিমাণ আদার উৎপাদনে
উত্তোলনামূলক কম হয়ে থাকে। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু এর চাহিদা
দিন দিন বেড়েই চলেছে। হাতে চাষ করার মাধ্যমে কৃষক এবং গৃহিণীরা তারা নিজেরাই
আত্মনির্ভরশীল।
হওয়ার মাধ্যমে নিজেরাই কর্মসংস্থান তৈরি করছে। এত দেশ নয় দেশের বাইরে কিন্তু
আদার অনেক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও যে কারণে চীন ইউরোপ, ভারত
পাকিস্তান সহ বাইরে সব দেশগুলোতে আদার চাহিদা অনেক। যে কারণে আদা চাষ করে
আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু ভালো একটা ইনকাম করা সম্ভব।
আদা চাষের উপযুক্ত সময়
অনেকেই দেখা যায় সঠিকভাবে জানেনা যে আদা চাষ কখন করতে হয়। সঠিক সময়ে যদি
আদা চাষ করা না হয় তাহলে কিন্তু তেমন লাভবান হওয়া সম্ভব না। এজন্য আর্টিকেলের
শেষ অংশে এসে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো আদা চাষ করার উপযুক্ত সময় কোনটি। সাধারণত
আদা চাষ করা হয়ে থাকে বৈশাখ এবং জৈষ্ঠ মাসে। এপ্রিল এবং মে মাস থেকেই
কিন্তু আদার চাষ শুরু হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
ছাদে স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি
এজন্য আপনারা যারা ভাবছেন আদা চাষ করবেন কোন সময়ে তারা কিন্তু এই সময়ে আতা চাষ
করতে পারেন এতে আদার ফলন ভালো হবে। অনেকেই দেখা যায় অবহেলা জনিত কারণে আধা চাষ
করার সঠিক সময় অবলম্বন করে না যে কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই আপনি আধা
চাষ করার জন্য অবশ্যই সঠিক সময় বেছে নিবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের পুরো আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি
বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় । আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবুও
যদি কথা বুঝতে আপনার অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আপনি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে
পারেন। আর হ্যাঁ আদা চাষ করার জন্য অবশ্যই আপনি উপযুক্ত সময়ে চাষ করবেন।
আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন বা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে
অবশ্যই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো যদি
নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
এতক্ষন ধরতে ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url