নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন
ভূমিকা
বিভিন্ন সময় দেখা যায় নবজাতকের গায়ের রং অনেক বেশি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। গায়ের রং পরিবর্তন হওয়া বিষয়টা স্বাভাবিক হলেও অনেক সময় দেখা যায় এটা কিন্তু অনেক বড় কোন রোগের লক্ষণ পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হওয়ার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যে বিষয়গুলো রয়েছে আজকের এই আলোচনায়।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পাবেন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে এবং নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন
নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন বিষয়টা কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা। মূলত বিভিন্ন কারণে নবজাতক শিশুর গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই কারণগুলো যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক। সাধারণত নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হওয়ার পেছনে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া কাজ করে থাকে। যে বিষয়টা সম্পর্ক রয়েছে শারীরিক এবং জেনেটিক পরিবর্তনের সঙ্গে।
আরো পড়ুনঃ শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে সেরা ১০টি ঘরোয়া উপায়
- সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে সাধারণত অক্সিজেন সরবরাহ কারণে কিন্তু শিশুর জন্ম হবার পরে তার গায়ের রং অনেক সময় পরিবর্তন হয়। এই সময় শিশুর শরীরের রক্ত সঞ্চালন শুরু হওয়ার কারণে অক্সিজেন পর্যাপ্ত সরবরাহ যদি না হয় তাহলে এক্ষেত্রে গায়ের রং লাল অথবা নীল চেয়ে দেখা যায়। তবে শরীরে যখন রক্ত সঞ্চালন শুরু হয় এবং সঠিকভাবে হয়ে থাকে তখন এই পরিবর্তনগুলো কিছুদিনের ভিতরেই আবার ঠিক হয়ে যায়।
- বিভিন্ন সময় পরিবেশগত কারণে তাপমাত্রার আদ্রতা শিশুর ত্বকে কিন্তু রঙের প্রভাব ফেলবে। খুব বেশি ঠান্ডা ও শীতল পরিবেশ কিন্তু সুস্থ কে অনেক সময় ফ্যাকাসে বা নীলচে ভাব তৈরি করে। মূলত এই তাপমাত্রার পরিবর্তন জনিত কারণে কিন্তু নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয়।
- শরীরে হরমোনের পরিবর্তনও কিন্তু গায়ের রং পরিবর্তন হওয়ার জন্য দায়ী। সাধারণত গর্ব করুন সময়ে মাতৃহ হরমোন শেষে শরীরে প্রবেশ করে যে কারণে জন্মের পরে ধীরে ধীরে এ হরমোন কমে যাওয়ার ফলে শিশুর গায়ের রঙে পরিবর্তন আসতে পারে।
- এছাড়াও জেনেটিক কারণেও নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয়। কারো কারো ক্ষেত্রেই শিশুর গায়ের রং হয়ে থাকে তার পিতামাতার জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপরে। এছাড়া সন্ধায় যখন জন্ম নেয় তখন তার গায়ের ত্বক পাতলা হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘন হতে থাকে যে কারণে গায়ের রঙে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
- এই দিকগুলোর পাশাপাশি যখন ঠিক ভাবে নবজাতকের শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে না অথবা স্থিতিশীল হবে না ঠিক এই কারণে ওকে তো গায়ের রং পরিবর্তন হতে পারে।
উল্লেখিত এ সকল কারণগুলোতে কিন্তু নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হওয়ার জন্য দায়ী হতে পারি। আশা করছি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনিও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
নবজাতকের গায়ের রং বোঝার উপায়
- আপনি যদি নওজাতকের ত্বকের পক্ষে রং বুঝতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল করতে পারেন। বিশেষ করে জন্মের পরে কিন্তু এই লক্ষণগুলো খেয়াল রাখতে হবে কারণ এই সময় কিন্তু শেষের ত্বকের রং অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে । এর পেছনে কিন্তু অনেক কারণ জড়িত থাকতে পারে যেমন -রক্ত চলাচল শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন সহ প্রস্রাবের বিভিন্ন দিক।
- সাধারণত আলো এবং পরিবেশের প্রভাবের ফলেও কিন্তু ধীরে নবজাতক জন্ম নেওয়ার পর এক সপ্তাহের ভেতরে গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে থাকে। আপনি যদি নবজাতকের গায়ের রং উঠতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনি দিনের বেলাতে প্রকৃতির আলো খেয়াল করতে পারেন। তবে দিনের বেলাতে অল্প আলো বা কৃত্রিম আলোতে কিন্তু গায়ের রং বোঝা ছোট কঠিন হতে পারে।
- এজন্য আপনি শেষের শরীরের বিভিন্ন অংশে ভালো করে পরীক্ষা করতে পারেন। নবজাতকের গায়ের রং বোঝার জন্য আপনি কিন্তু বিশেষ করে শিশুর পা-হাত মুখ এবং পেটের রং আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে মুখের এবং ত্বক ও শরীরের অন্যান্য অংশের ভিতর অনেক রকম পরিবর্তন দেখা যায়।
- এসব দিক ফলো করলে কিন্তু আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন না অন্তত গায়ের রং কেমন। আপনার যদি মনে হয় শিশুর গায়ের রং অস্বাভাবিক অর্থাৎ খুব বেশি হলুদ বা নীলচে অথবা থাকে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়
আপনি যদি না জেনে থাকেন কি খাবার খেলে বাচ্চার বুক আয়রম ফর্সা হয় তাহলে চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসে যায় মূলত ক্যালসিয়াম এর আবার দূর করার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার আছে যে খাবার গুলো খাওয়া হলে কিন্তু বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার জন্য গরুর দুধ খেতে পারেন এটা কিন্তু অনেক উপকারী।
এবং গায়ের রং ফর্সা করতে পারে আপনি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কিছু পরিমাণে কলা খেতে পারেন এতে কিন্তু বাঁচার গায়ের রং ফর্সা হতে পারে শুধু যে গায়ের রং ফর সব করে বিষয়টা এমন না বডং শিশুর মেধা বিকাশেও এত সাহায্য করে। এই খাবারগুলোর পাশাপাশি আপনার কিন্তু কমলালেবু খেতে পারেন কারণ কমলালেবু তে আছে অনেক পুষ্টিগুণ।
যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং গায়ের রং পরিবর্তন করতেও ভূমিকা রাখে । চেরি ফল কিন্তু অনেক উপকারী একটি ফল আর এই চেরি ফলে আছে অনেক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যে কারণে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার জন্য এটা অনেক বেশি উপকারী। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কি খেল বাচ্চার গায়ে রং ফর্সা হবে।
বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার উপায়
- ঘরোয়া বডি প্যাকঃ বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার জন্য আপনি ঘরোয়া উপায়ে কিছু বডি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এজন্য হলুদ দুধ এবং চন্দনের গুড় ভালোভাবে মিশিয়ে তা শেষে ত্বকে ব্যবহার করবেন।
- গরম তেলঃ সরিষার তেল কিংবা অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল সহনীয় মাত্রায় কিন্তু বাচ্চার শরীরে মাসাজ করলে বাচ্চার গায়ের রং কে পরিবর্তন আসতে পারে। আপনি চাইলে এতেলের সঙ্গে কিছুটা কাঁচা হলুদ মিশাতে পারবেন।
- শিশুর ডায়পারঃ প্রতিনিয়ত শিশুর ডায়াপার চেক করতে হবে। কোন অবস্থাতেই শিশুকে ভেজা ডাইপার পড়ানো যাবে না এতে করে কিন্তু চামড়ার ক্ষতি হতে পারে। কৃষ্ণ সব সময় পরিষ্কার এবং শুকনো কাপড়ের রাখার জন্য হিসেব ব্যবহার করতে হবে কারণ এটা কিন্তু গায়ের রং পরিবর্তনের অন্যতম একটি প্রভাবক।
- মশ্চারাইজার ক্রিমঃ বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার জন্য আপনি কিন্তু কিছু মশ্চারাইজ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করা হলে বাচ্চার তাক অনেক নরম ও কোমল থাকে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কিছু গাছের গায়ের রঙে পরিবর্তন নিয়ে আসে।
- বিছানা ও কাপড়ঃ নিয়মিতভাবে শেষের বিছানা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখবেন কারণ পরিষ্কার পরিছন্নতা শিশুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং কারে এবং গায়ের রঙ্গে পরিবর্তন নিয়ে আসে।
- বেবি ওয়াইপঃ বিশেষ করে শিশু ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক ধরনের বেবি ওয়াইপ পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা কিন্তু এগুলো ব্যবহার করেই শিশুর ত্বক ফর্সা করতে পারবেন।
- দুধের সর এবং বাদামঃ শিশু ত্বক ফর্সা করার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই উপাদানগুলো কিন্তু খুব সহজেই শিশুর ত্বক ফর্সা করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়
- ডিমঃ প্রচলিত ধারণায় অনেকেই বিশ্বাস করেন যে বাচ্চা যদি ফর্সা পেতে চায় তাহলে গর্ভাবস্থায় কিন্তু বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় এই দিকগুলোর পাশাপাশি গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত ডিম সাদা অংশ খায় তাহলে এটা কিন্তু অনেক পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য উপকারী ।
- দুধঃ গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কিন্তু দুধ পালন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভকালীন সময়ে যদি দুধ খাওয়া হয় তাহলে এটা কিন্তু শিশুর সুস্থ শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এছাড়াও ত্বকের ভরসা করতে ভূমিকা রাখে।
- চেরি ও বেবি জাতীয় ফলঃ চেরি ও বেবি জাতীয় ফলগুলোতে থাকে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা তার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় থেকেও রোধ করে। এজন্য আপনারা স্ট্রবেরি ব্লুবেরি ইত্যাদি ফল গুলো খেতে পারেন এগুলো কিন্তু সুন্দর ত্বকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
- টমেটোঃ টমেটোতে থাকে এক ধরনের লাইকোপেন যেটা কিন্তু
- সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে আমাদের ত্বককে সুরক্ষা দেয় । এছাড়াও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে গর্ব অবস্থায় টমেটো খাওয়া হলে এটা বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করে ।
- জাফরান দুধঃ মনে করা হয় যে জাফরান দুধ খাওয়া হলে এটা গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী এবং গল্পের শিশুর ও গায়ের রং ফর্সা করতে পারে এজন্য অনেকেই গর্ভবতী সময়ে জাফরান দুধ খেয়ে থাকে ।
- কমলাঃ কমলা ভিটামিন সি সমার্থক এজন্য এটা কিন্তু শেষের সুরের গঠনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গর্ভবতী কালে যদি কম রাখা হয় তাহলে এটা কিন্তু সসের জন্য অনেক কিছু উপকারী তবে হ্যাঁ অবশ্যই পরিমাণমতো খেতে হবে।
- বাদামঃ গর্ভকালীন সময়ে যদি ভেজানো অথবা শুকনো আলমন্ড বাদাম খাওয়া হয় তাহলে এটা গর্ভে থাকা সন্তানের গায়ের রং ফর্সা করতে ভূমিকা রাখে।
বাচ্চাদের ঠোঁট কাপে কেন
নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ
- জন্ম জনিত ধকলঃ নবজাতক শিশুর যখন জন্ম নেয় তখন পৌঁছবে সময় শারীরিক দখলের সম্মুখীন হতে হয় এ কারণে কিন্তু ঠোঁট বা ত্বকের রঙের সামনে পরিবর্তন আসতে পারে।
- অক্সিজেনের অভাবঃ নবজাতকের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন না থাকে তাহলে কিন্তু ঠোঁট কালো অথবা নীলচে ভাব হতে পারে মূলত এটি হয়ে থাকে শরীরে অক্সিজেনের মাত্র কম হওয়ার কারণে।
- স্বাস্থ্য সমস্যাঃ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ঠোঁট যদি কালো হয় তাহলে শিশুর হৃদরোগ অথবা স্বাস্থ্য তন্তের সমস্যা কিংবা জন্মগত কোন ত্রুটি হতে পারে। আপনার সন্তানের ঠোঁট যদি দীর্ঘকাল ধরে কালো হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ঠান্ডা আবহাওয়াঃ তাপমাত্রা যদি হঠাৎ অনেক বেশি কমে যায় তাহলে কিন্তু নবজাতকের শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমে যায় । বিশেষ করে পা হাত এবং ঠোঁটে নীলচর অংকের ভাব দেখা যায়। তবে শিশুকে আবার উষ্ণ তাপমাত্রাতে রাখলে আবার এটা ঠিক হয়ে যায়।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url