কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় কি জেনে নিন
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিমআজকের আর্টিকেলে আপনি জানবেন কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কে। এর সঙ্গে আরো থাকছে কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
ভূমিকা
বিভিন্ন সময় দেখা যায় আমাদের কোঁকড়া চুল নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি। কোঁকড়া চুল কিভাবে সিল্কি করা যাবে এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন আমাদের আজকের আর্টিকেলে। আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন কিভাবে কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে হবে এবং কোঁকড়া চুলে কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন আরো অনেক বিষয় নিয়ে সত্যনির্ভর তথ্য। তাই অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় এ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। .
কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায়

- নিয়মিতভাবে প্রতিদিন আপনাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুতে হবে যেন এর ভেতরে ধুলাবালি জপতে না পারে। কারণ চুলে ধুলোবালি জমা থাকলে চুল কিন্তু রুক্ষ হতে পারে। প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দুইবার তুলে শ্যাম্পু করবেন।
- বিশেষ করে রোদের পরে তার থেকে যেন চুল রক্ষা পায় এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
- চুল আঁচড়ানোর জন্য ভালো মানের চিরুনি ব্যবহার করুন। কারণ ভালো মনের চরণে বিয়ের চুল আঁচড়ানো হলে খুব সহজেই কিন্তু কোঁকড়া চুল সোজা হবে এবং সিল্কিও হবে।
- এসবের পাশাপাশি কিন্তু আপনার খাদ্য বসা ও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য ভাষায় আপনি পুষ্টিকর খাবার যোগ করবেন।
- হাতে চুলে ধরার অনুযায়ী আপনি শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। আর আপনার চুল যদি অনেক বেশি সুস্থ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই শুষ্ক চুলের জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এর সাথে আপনি কিন্তু ভালো মানের কন্ডিশনেরও যোগ করতে পারেন।
- অন্ততপক্ষে সপ্তাহে একদিন ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন যাতে করে চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। আপনি কিন্তু প্রতিনিয়ত চুলের তেল দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
চুল কোঁকড়া হওয়ার কারণ
আরো পড়ুনঃ শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে সেরা ১০টি ঘরোয়া উপায়
চুল যেমনি হোক না কেন আমাদের কিন্তু চুলের যত্ন নিতে হবে কারণ চুল আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বিশেষ করে যাদের চুল অনেক শুষ্ক এবং আঁকাবাঁকা এবং চুল কোপ্তা টাইপের তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যায়। এজন্য চুলের সঠিক যত না নেওয়ার কারণে কিন্তু চুল অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এর সঙ্গে চুল কিন্তু কোঁকড়াও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় যে বংশগত কারণেও কিন্তু চুল কোঁকড়া হতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে যখন চুলের ফলিক গোলাকার না হয়ে ডিম প্রাকৃতির হয় তখন কিন্তু চুল কোঁকড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারো ক্ষেত্রে আবার চলে অতিরিক্ত পরিমাণ শুষ্কতার অভাব থাকলে চুল কোঁকড়া হতে পারে।
চুল কোঁকড়া হওয়ার পেছনের যতগুলো কারণ রয়েছে তার ভেতর থেকে সব থেকে মুখ্য যে কারণটি বিবেচিত হয় তা হচ্ছে চুলে শুষ্কতা আরে চুলে শুষ্কতা থেকেই কিন্তু চুলের কোঁকড়া ভাব শুরু হয়। তবে চুল যেমনই হোক না কেন চুলের ক্ষেত্রে আমাদের কিন্তু সৌন্দর্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতে হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
কোঁকড়া চুলের শ্যাম্পুর নাম
আমরা অনেকেই কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেকেরই অজানা কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য কোন শ্যাম্পু সব থেকে ভালো হবে। মূলত কোঁকরা চুল সোজা করার জন্য এমন শ্যাম্পু আপনারা ব্যবহার করবেন যেগুলো ব্যবহার করা হলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং কোঁকড়া চুলকে সোজা ও নরম করার মাধ্যমে কোঁকড়া চুল ঠিক হবে।
কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি নিচের দিকে পড়ুন। আপনাদের সুবিধার্থে নিজে কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকরী শ্যাম্পুর নাম উল্লেখ করা হলো।
Moroccanoil curl Enhancing shampooকোকড়া চুলের যত্ন
কোঁকড়া চুল সিল্কি করার উপায় সম্পর্কে নিশ্চয় জেনে গেছেন। বিশেষ করে আমাদের যাদের মাথার চুল অনেক বেশি কোকরা তাদের ক্ষেত্রে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ কোঁকড়া চুল অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে। এজন্য চুলের যত্ন আমাদেরকে অতিরিক্ত কেয়ারিং হতে হবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে কিভাবে আমরা কোঁকড়া চুলের যত্ন নিব সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত।
- কোঁকড়া চুলে কোন অবস্থাতে অতিরিক্ত পরিমাণে হিট ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণ তাপ দিলে চুলের সুস্থতা নষ্ট হবে এবং চুলের ড্যামেজ আসতে পারে। এজন্য কোঁকড়া চুলের জন্য আমাদেরকে হিট জাতীয় সামগ্রী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে দেয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো হবে। কারণ কোঁকড়া চুল একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে মোচড়ানো থাকে। ঘন ঘন ভাবে যদি চুল আচরণ হয় তাহলে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এই চুলের স্থিতি নষ্ট হয়ে যাবে এবং এর পাশাপাশি চুল-পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
- প্রতিটা রীতায় কিন্তু কোঁকড়া চুল আমাদেরকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুতে হবে কারণ গরম পানির স্পর্শে কিন্তু কোঁকড়া চুল আরো অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে।
- চুল শুকানোর জন্য আপনারা যারা হেয়ার ডায়ার ব্যবহার করেন এর পরিবর্তে কিন্তু নরম তুলতুলের সুতি কাপড় ব্যবহার করবেন এতে করে চললে জন্য ভালো হবে।
- কোকড়ানো চুলে কিন্তু রং করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আপনারা বাড়িতে তৈরি করা ঘরে উপকরণগুলো দিয়েই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হেয়ারমাক্স চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
- নিয়মিতভাবে চুলে তেল দিতে পারেন। এজন্য আপনারা কিন্তু নারিকেল অথবা অলিভ অয়েল তেল নিয়োগ করিস প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনারা কিন্তু পিছলা কাপড়ের বালিশ ব্যবহার করতে পারেন এতে করে চলে তেমন ঘর্ষণ সৃষ্টি হবে না যার ফলে চুল ভেঙ্গে পড়া সম্ভব না থাকবে না।
- চুল যখন ভেজা অবস্থায় থাকবে তখন চুল না আচড়ানো ভালো। এজন্য আপনি চুল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন।
- কোঁকড়া চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনারা কিন্তু জেল অথবা চুলের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে চুল ভেজা অবস্থায় যদি এগুলো ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু চুলের সহজে একটা গোছানো ভাব আসে।
- সোজা চুলের থেকে কিন্তু কোঁকড়া চুলে মশ্চারাইজার বেশি প্রয়োজন হয় এজন্য আপনারা কোঁকড়া চুলের জন্য মশ্চারাইজিং ব্যবহার করবেন যাতে করে চুলের শুষ্কভাব দূর হয় এবং চুল থাকে নরম ও কোমল।
কোঁকড়া চুলের রহস্য
কোঁকড়া চুলের কাটার নিয়ম
কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায়
- আপনি যদি কোঁকড়া চুল সোজা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে চুল সবসময় মসৃণ রাখতে হবে।
- প্রয়োজনের কিন্তু নিয়মিতভাবে আপনি মাস্ক ব্যবহার করেও চুল সিল্কি করতে পারেন।
- ডিমের সঙ্গে তেলের মিশ্রণ কন্ডিশনের মত করে বানিয়ে নিয়ে কিন্তু চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর সঙ্গে আ্যভোকাডা ভালোভাবে মিশ্রিত করে নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো চুলে লাগিয়ে রাখবেন। তারপরে খুব ভালো করে চুল শ্যাম্পু দিয়ে নিবেন।
- আপনি চাইলে কিন্তু দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মোদি যোগ করে মিশ্রিত করে নিয়ে সেটা তুলে ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর গরম পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
- এছাড়াও লেবুর রসের সঙ্গে ডাবের পানি মিশ্রিত করে সারা রাতটা কে দিয়ে সকালের সময়ে চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ চুলে ৩০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে সম্পন্ন চুল ধুয়ে ফেলুন
- এই উপায় গুলোর পাশাপাশি আপনারা কিন্তু ডিম এবং অলিভ অয়েলের একটা মিশ্রণ তৈরি করে তা ৩০ মিনিটের জন্য আপনার চুলের ব্যবহার করতে পারেন। তারপরে নির্দিষ্ট সময়ের পর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url