স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার ৫টি সেরা উপায়

স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় জানতে চান?তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো চুল সোজা করার ক্রিমের নাম স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায়।

যদি আপনার এ বিষয়গুলো জানা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি স্থায়ীভাবে চুল সোজা  করতে পারবেন। চলুন তাহলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। আর  সমস্ত তথ্যগুলো পেতে আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন। .

ভূমিকা

আমরা সকলেই চাই আমাদের মাথার চুল সোজা থাকুক। কিন্তু ভাগ্যক্রমে অনেকেরই মাথার চুল সোজা না হয় কোঁকড়ানো থাকে। এজন্য স্থায়ীভাবে কিভাবে মাথার চুল সোজা করবেন সেই উপায় গুলো জানতে ভিজিট করার আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন চুল সোজা করার প্রাকৃতিক উপায় সহ ঘরোয়া অনেক উপায় নিয়ে নিয়ে বিস্তারিত।

স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায়

বিশেষ করে যাদের মাথার চুল কোঁকড়ানো তারা কিন্তু চাই যে কিভাবে স্থায়ীভাবে মাথার চুল সোজা করা যায়। এই অংশে এসে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে। স্থায়ীভাবে যদি মাথার চুল সোজা করতে চান তাহলে নিচে উল্লেখিত উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন।
  • আপনি কিন্তু একদম সহজ উপায়ে ব্যান্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করেও চুল সোজা করতে পারেন। এজন্য আপনাকে মাথার চুল গুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি অংশকে ব্যান্ড দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে নিবেন। বিশেষ করে রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন ঘুমানোর পূর্বে এ কাজটি করলে সকালে দেখবেন চুল অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে।
  • স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার জন্য আপনি কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে অনেকগুলো মাস্ক কিংবা প্রাকৃতিক পেস্ট করে সেটা আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
  • স্থায়ীভাবে চুল সোজা করতে চাইলে আপনি কিন্তু এক কাপ দুধ এবং দুই টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেটা ৩০ মিনিট আপনার চলে লাগিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে এই পেস্ট চুলে ব্যবহার করলে মাথার চুল সোজা হতে পারে।
  • আপনি কিন্তু ক্যাস্টর অয়েল এবং নারিকেল তেল একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে এটা গরম করে তা চুলে ব্যবহার করলে কিন্তু চুল সোজা হয়। এজন্য আপনাকে এই মিশ্রণ গুলো তুলে ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে এবং ৩০ মিনিটের মতো সময় ধরে তোয়ালে দিয়ে এগুলো পেচিয়ে রাখতে হবে। তবে হ্যাঁ এভাবে ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনাকে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনি কিন্তু লেবুর রস ব্যবহার করে চুল সোজা করতে পারেন। লেবুতে আছে অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক অবদান যে কারণে এটা মাথার খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুল সোজা করতে পারে। অতিরিক্ত সুবিধা পেতে আপনি কিন্তু লেবুর সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে সেটা আপনার চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ভালো করে মেসেজ করে ৩০ মিনিটের মতো সময় ধরে তুলে রেখে দিবেন। তারপর পরীক্ষার ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। প্রতি সপ্তাহে একবার এভাবে ব্যবহার করলে দেখবেন খুব সহজে মাথায় চুল সোজা হয়ে উঠেছে।
উল্লেখিত উপায় গুলো ছাড়াও আপনি কিন্তু প্রাকৃতিক আরো অনেক উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনার মাথার চুল সোজা করতে পারবেন। কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে মাথার চুল সোজা করা যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলের নিচের দিকে পড়ুন।

এলোভেরা দিয়ে চুল সোজা করার উপায়

যতগুলো স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় রয়েছে তার ভিতরে অন্যতম একটু উপায় হচ্ছে অ্যালোভেরা। আপনারা কিন্তু এলোভেরা চুলে ব্যবহার করার মধ্যে চুল সোজা করতে পারবেন। এজন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলের শুরুতে বিস্তারিতভাবে জেনে নিব কিভাবে আপনি এলোভেরা দিয়ে চুল সোজা করবেন সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

আপনার চুল যদি সোজা না হয় কোঁকড়ানো হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু চুলের যত্নে আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্নে যদি অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু এটা চুলের ক্ষতি থেকে চুলকে রক্ষা করবে এছাড়া প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর মাধ্যমে চুলের গোড়া ঠিক রাখবে। মূলত চুলে যখন পোষ্টের অভাব হয় এবং চুল অনেক বেশি শুষ্ক থাকে তখন কিন্তু চুল কোঁকড়ানো হয়ে থাকে।

এজন্য কোঁকড়ানো চুল বা এলোমেলো চুল যদি আপনি সোজা করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চুলের যত্নে যদি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা চুলের জন্য বেশি উপকার নিয়ে আসবে। মাথায় ত্বকের ph এর মাত্রা ঠিক রাখবে এছাড়াও চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।

আপনি যদি এলোভেরা দিয়ে চুল সোজা করতে চান তাহলে কিছু পরিমাণ এলোভেরা জেল নিয়ে আপনার মাথাতে ব্যবহার করবেন। আপনি যদি রাতে ব্যবহার করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আধা কাপ এলোভেরা নির্যাসের এক চতুর্থাংশ কাপ আদার রস যোগ করবেন এবং এটা স্পি বোতলে বোতলে নিয়ে আপনার মাথার ত্বকে স্প্রে করুন।

তারপর ৩০ মিনিটের মতো মেসেজ করুন এবং সারারাত আপনার চুলে রেখে দেন। এভাবে যদি নিয়ম অনুযায়ী তুলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনার মাথার চুল সোজা হয়ে উঠবে। এছাড়া আপনি কিন্তু এলোভেরা জেল এর সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়েও আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন এটা কিন্তু খুব সহজেই চুল সোজা হবে। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। 

ছেলেদের কোঁকড়া চুল সোজা করার উপায়

বিশেষ করে ছেলেদের যাদের মাথার চুল কোঁকড়া তারা কিন্তু কোকরা চুল সোজা করার জন্য বিভিন্ন অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু তবুও চুল সোজা হয় না?চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ছেলেদের কোঁকরা চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে।  তবে জেনে রাখুন আপনি চাইলে কিন্তু চুল সোজা করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

চুল সোজা করার ক্রিমের নাম  যদি আপনার অজানা হয় তাহলে আর্টিকেলটি শেষের দিকে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।  স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনার মাথার কোকড়া চুল সোজা করতে পারবেন। 

কোঁকড়া চুল যেভাবে সোজা করবেন -
  • বর্তমান সময়ে বাজারে এমন সব ক্রিম এবং লোশন পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো ব্যবহার করে মাথার চুল সোজা করা যাবে। আপনারা এ সকল  ক্রিম  বা লোশন ব্যবহার করে চুল সোজা করতে পারবেন। 
  • সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মেহেদী,  টক দই, ডিম  দুই চা চামচ তেল এবং প্রয়োজন মত পানি দিয়ে একটা ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে সেটা আপনার চুলে ব্যবহার করুন। এভাবে আধা ঘন্টা ব্যবহার করার পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। 
  • এছাড়াও আপনারা কিন্তু কোকরা চুল সোজা করার জন্য আয়রন করতে পারেন। 
  • মধুর সঙ্গে পাকা কলার একটা পেস্ট বানিয়ে সেটা ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পরে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করা হলে চুল মসৃণ  হবে এবং ছেলেদের কোকড়ানো চুল সোজা হবে। 
  • এছাড়া আপনারা কিন্তু কোকরানো চুল সোজা করতে চাইলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। 
  • কোকড়ানো চুল সোজা করার জন্য ভেজা চুল দ্রুত শুকিয়ে ফেলতে হবে। 
  • এছাড়া আপনারা কিন্তু কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য শ্যাম্পুর পাশাপাশি কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। 
  • গোসল করার পরে মাথার চুল শুকানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চুলের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। 
  • নারিকেল তেলের সঙ্গে নিশিন্দা পাতার রস ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন। পরদিন সকালে ভালো করে শ্যাম্পু করে মাথার চুল ধুয়ে নিন। এতে করে মাথার চুলের খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল হবে অনেক সিল্কি এবং খুব সহজেই চুল সোজা হবে। 

চুল সোজা করার জেল

চুল সোজা করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় এবং ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি কিন্তু মাথাতে জেল ব্যবহার করতে পারেন। মাথাতে যদি জেল ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু খুব সহজে মাথার চুল সোজা হয়ে উঠবে। মাথার চুল সোজা করার জন্য কোন জেল ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। 

মাথার চুল সোজা করার জন্য অনেক ধরনের জেল পাওয়া যাচ্ছে তবে এগুলোর ভেতরে যে জেলগুলোর ভিউ ভালো এবং সকলের কাছে বিশ্বস্ত আপনারা কিন্তু এ সকল জেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল সোজা করার জন্য যে সকল জেল রয়েছে তার ভেতরে ভালো কিছু জেলের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। 

  • Farmasi hair gel 300 ml ( Hard Look)
  • Set wet hair gel
  • Gatsby 

উল্লেখিত এসব ছেলের পাশাপাশি কিন্তু চুল সোজা করার জন্য আরও অনেক জেলাদের পাওয়া যায় আপনারা এগুলো ব্যবহার করে মাথার চুল সোজা করতে পারেন। হবে set wet hair gel সব থেকে ভালো হতে পারে। এটা শুধুমাত্র মাথার চুল সোজা করে না বড় মাথার চুল ঠান্ডা ও সিল্কি রাখে। 

চুল সোজা করার প্রাকৃতিক উপায় 

আর্টিকেলের শুরুতে স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন। চুল সোজা করার এই উপায় গুলোর ভেতর থেকে আপনি কিন্তু প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করে মাথার চুল সোজা করতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক প্রাকৃতিক সেই উপায়গুলো সম্পর্কে। 
  • অ্যালোভেরা এবং তেলের প্যাকঃ প্রাকৃতিক উপায়ে চুল সোজা করার জন্য আপনি অ্যালোভেরা এবং তেলের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং এর পাশাপাশি কোঁকড়া চুল সোজা করতেও ভূমিকা রাখে। আধার কাপ এলোভেরার সঙ্গে আপনি আধা কাপ নারিকেল তেল যোগ করে এগুলো ভালো করে মিশিয়ে এক ঘন্টা সময়ের জন্য আপনার চুলের লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • মধু ও দুধঃ ত্বকের পাশাপাশি কিন্তু চুলের যত্ন রয়েছে দুধ ও মধুর দারুন উপকারিতা। দুধ ও মধুর এই কম্বিনেশন যদি আপনি চুল সোজা করার জন্য ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। এক চামচ মত সঙ্গে এক কাপ দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটা স্কাব তৈরি করুন। এবার এটা আপনার চুলে দুই থেকে তিন ঘন্টা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখার পর ভালো মনের কোন শ্যাম্পু এবং সঙ্গে কন্ডিশনার দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল অনেক সোজা হয়ে গেছে এবং এর সঙ্গে সিল্কি ভাবো চলে এসেছে।
  • নারিকেল দুধ এবং লেবুঃ এ প্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনাকে তাজা নারকেল দুধের সঙ্গে কিছু ফোটা ভালো করে মিশাতে হবে। এবারে মিশ্রণটি আপনি কয়েক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রাখবেন। দেখবেন এক ধরনের লেয়ার তৈরি হয়েছে পাত্রের উপর। আর এটা হচ্ছে আপনার চুল সোজা করার জন্য নারিকেল দুধ এবং লেবুর প্যাক। এই প্যাকটি আপনার পুরো চুলে পনের থেকে বিশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভালো চুল ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে।
  • মুলতানি মাটি ডিম এবং চালের গুড়োর মিশ্রণঃ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির যেমন অনেক উপকারীর দিক রয়েছে ঠিক তেমনি কিন্তু চলে যেতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যাবে। এজন্য আপনাকে মুলতানি মাঠের সাথে ডিমের সাদা অংশ এবং দুই চামচ চালের গুড়া নিয়ে ভালো করে পানি দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এই মিশ্রনটি পাতলা হলে আপনার সমস্ত চুলে আধা ঘন্টার জন্য লাগিয়ে রাখুন। তারপর মোটা দাঁতের কোন চিরুনি দিয়ে সমস্ত চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে নিন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার বাঁকা চুল ধীরে ধীরে সোজা হচ্ছে।
  • ক্যাস্টর অয়েলঃ চুল সোজা করার জন্য ক্যাস্টর অয়েল কিন্তু একদমই উপযোগী। ক্যাস্টর অয়েলের রয়েছে গো এবং চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাগুণ। এজন্য এই তেলটি চুলে লাগিয়ে ভালো করে মেসেজ করুন এবং তারপরে চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে নিন। যখন আপনি চুল আঁচড়াবেন তখন কিন্তু আপনাকে ব্লু ডাই করতে হবে একদম হাই হিটে। এবং ব্লু ড্রাই করার পর যখন দেখবেন চুলে তেলতেলে ভাব নেই তখন এই শুষ্ক চলে একটা ভালো ভেজা তোলে দিয়ে আধা ঘন্টার জন্য চুল জরিয়ে রাখুন। এভাবে ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত হিট থেকেও চুল রক্ষা পাবে এবং স্ট্রেইটনেট ঠিক থাকবে।

চুল সোজা করার ঘরোয়া উপায়

অর্থের অভাবে চুল সোজা করার জন্য নামিদামি ক্রিম কেনা আমাদের অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। এজন্য অনেক সময় ঘরোয়া উপায় অবরণ করতে হয়। এজন্য চুল সোজা করার ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক  ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে । 
multiplebd-স্থায়ীভাবে-চুল-সোজা-করার-উপায়
  • কলাঃ ঘরোয়া উপায়ে যদি চুল সোজা করতে চান তাহলে আপনি কিন্তু কলার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কলা তুই সোজা এবং নরম রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটা বাটিতে দুটো কলা নিয়ে আপনাকে এর সঙ্গে দুই চামচ মধু দই এবং অলিভ অয়েল যোগ করতে হবে। এরপর সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এক ঘন্টা সময় ধরে আপনার চুলের লাগিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিম এবং অলিভ অয়েলঃ চুলের জন্য কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অলিভ অয়েল এবং ডিম। ডিমে আজ অনেক প্রোটিন এবং অলিভ অয়েলে আছে চুল সোজা করার প্রাণবন্ত। এজন্য এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে আপনি চুল সোজা করতে পারবেন খুব সহজেই। এই মিশ্রণটি তৈরি করে ২০ মিনিট ধরে চুলে লাগিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
  • ভিনেগারঃ আপনারা কিন্তু ভিনেগার ব্যবহার করেও চুল সোজা করতে পারবেন। তোর সোজা করার জন্য এই উপাদানটি রয়েছে দারুন ভূমিকা। এক মগ পানিতে আপনি এক কাপ ভিনেগার ভালো করে মিশিয়ে আপনার চুলে লাগিয়ে রাখুন। তবে হ্যাঁ এটির মাথাতে লাগানোর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
  • পেঁপেঃ ঘরোয়া উপায়ে কিন্তু আপনি পেঁপে দিয়েও খুব সহজে চুল সোজা করতে পারবেন। টিপে দিয়ে চুল সোজা করার জন্য আপনাকে একটা ভালো পাকা পেঁপে বেছে নিতে হবে এবং এর সঙ্গে দই এবং মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। নিয়মিতভাবে প্যাক চুলে ব্যবহার করবেন দেখবেন ভালো ফলাফল পেয়ে গেছেন।
  • দুধঃ দুধে রয়েছে অনেক পরিমানে প্রোটিন এবং মশ্চারাইজার যে কারণে আপনার চুলে পুষ্টি যোগানোর পাশাপাশি চুলকে সোজা এবং মসৃণ করতে পারবে। এক বোতল পানিতে আপনাকে তরল দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এরপর এটা চুল স্প্রে করতে হবে। চুলের স্প্রে করার পর চুল আঁচড়াতে থাকবেন এবং চলে পুনরায় স্প্রে করবেন।এরপর সব শেষে আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করে দিবেন। এভাবে ব্যবহার করলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার চুল সোজা হয়েছে এবং এর সঙ্গে চুল অনেক মজবুত হয়েছে।
উল্লেখিত এ সকল উপায়গুল অবলম্বন করে কিন্তু আপনারা খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে মাথার চুল সোজা করতে পারবেন। চুল সোজা করার ক্রিমের নাম  যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের নিচের অংশটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন। 

চুল সোজা করার ক্রিমের নাম

চুল সোজা করার জন্য আমরা অনেকে অনেক রকম কিরিম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু তবুও অনেকেরই অচেনা যে কোন ক্রিম ব্যবহার করলে এটা চুল স্ট্রেইট করতে সাহায্য করবে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের শেষ অংশে এসে আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাকে জানিয়ে দেবো চুল সোজা করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে। 
  • LOLANE PIXXEL
চুল সোজা করার জন্য আপনারা কিন্তু এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি ব্যবহার করা হলে চুল স্টেট হবে এবং এর পাশাপাশি চুল দেখাবে আরো অনেক বিশেষ সুন্দর ও সিল্কি। । এই গেমটি ছাড়াও কিন্তু বর্তমানে মাথার চুল সোজা করার জন্য অনেক ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা যাচাই-বাছাই করে মাথার চুল সোজা করার জন্য সকল ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

পরিশেষে 

আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি বিস্তারিতভাবে জেনেছেন স্থায়ীভাবে চুল সোজা করার উপায়। মাথার চুল সোজা করার জন্য এই সকল উপায় গুলো আপনি অবলম্বন করতে পারেন আশা করছি ভালো ভালো ফল পাবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি কথা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

প্রিয় পাঠক, মাথার চুল সোজা করার জন্য আপনি কি কি করবেন তা বলা ছিল আমাদের আজকের পুরো আর্টিকেলে। আক্কেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিন আর এ ধরনের তথ্য গুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url