এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা জানুন
আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায়এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু সঠিকভাবে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে উপকারিতা গুলো পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম এবং অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে আজকের পুরো আর্টিকেলে। অ্যালোভেরা জেল চুলে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু অনেক উপকারিতা মিলবে।
শুধু চুল নয় বরং মুখের যত্নেও কিন্তু এলোভেরা রয়েছে দারুন উপকারিতা। অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারে সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি মুখের জন্য উপকারী দিকগুলো পেয়ে যাবেন অ্যালোভেরা থেকে। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিই মুখে এবং এলোভেরা চুলে ব্যবহার সম্পর্কে।.
ভূমিকা
চুলের যত্নে যদি অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয় তাহলে কিভাবে আপনি অ্যালোভেরা চুলে ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা কি এগুলো জানতে পারবেন আমাদের এই আজকের আর্টিকেলে। এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কিন্তু আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন কিভাবে আপনি এলোভেরা চুলে ব্যবহার করবেন। তাই অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য করে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম
চুলের যত্নে কিন্তু অনেক রকম উপায়ে এলোভেরা ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি এই উপায় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে চলুন আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই কিভাবে আপনি চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন সে নিয়ম গুলো সম্পর্কে।
- চুলের যত্নে যদি এলোভেরা ব্যবহার করতে চান তাহলে কিন্তু অ্যালোভেরা জেল এর সংকেত মেহেদী পাতা বেটে নিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে চলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে কিন্তু চুল পড়া কম হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ভাব ফিরে আসবে।
- দুই চা চামচ অলিভ অয়েল এর সঙ্গে আধা কাপ এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলে তেল ভালো করে যোগ করি মিশিয়ে নিন। এবারে মিশ্রণটি হালকা গরম করে নিন এবং গরম করার পর ঠান্ডা হয়ে গেলে তোমার বল দিয়ে এটা আপনার চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট সময় ধরে। তারপর পরিষ্কার করে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
- আপনি কিন্তু সরাসরি অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করেও সেটা আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে যেমন চুলের খুশকি ভাব দূর হবে ঠিক তেমনি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে এবং চুলে মসৃণ ভাব আসবে।
- এলোভেরা জেল এর সঙ্গে নারকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস মিশিয়েও ভালো করে একটা মিকচার তৈরি করে নিয়ে রাতে চুলে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে চুল ধুয়ে নিন দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং এর সঙ্গে চুলের আরো অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
- এছাড়াও আপনি কিন্তু টক দই এবং আলোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখতে পারেন 40 মিনিট সময় ধরে। তারপর পরিষ্কার করে মাথার চুল ধরে নিতে দেখবেন চুলের অজ্জলতা বাড়বে এবং চুল হয়ে উঠেছে অনেক বেশি মসৃণ।
- চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি কিন্তু কিছু পড়বেন মুশুরের ডাল যখন ভিজিয়ে রেখে এগুলো সুন্দর করে ব্লেন্ড করে নিয়ে তার সঙ্গে এলোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত। তারপর পরিষ্কার করে চুল ধুয়ে ফেলুন দেখবেন চুলের ঝলমলে ভাব এসেছে এবং মাথার খুশকি দূর হয়েছে।
আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। উল্লেখিত এ সকল উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনারা কিন্তু চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন ত্বকের যত্নে কিভাবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করবেন তাহলে নিচের অংশটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন
এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে সঠিকভাবে চুলের যত্ন নিতে পারবেন। কিভাবে আপনি অ্যালোভেরা এবং লেবু দিয়ে চুলের যত্ন বিষয় সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক। প্রথমে জেনে রাখুন লেবুর রস এ আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন চেয়ে যেটা আপনার চুলকে দ্রুত ভাবে বৃদ্ধি করবে।
আরো পড়ুনঃ রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
বিশেষ করে এর প্রাকৃতিক যে এসিড রয়েছে এগুলো চুলের ফলিক গুলোকে উন্মুক্ত করে এবং চুল পর সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুলের খুশকি ও দূর করতে পারে। লেবু এবং এলোভেরা দিয়ে যদি আপনি প্যাক তৈরি করে চলে যতনে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন। কারণ এলোভেরা যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এগুলো আপনার চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করবে। সুতরাং আপনার চুলকে যদি আরও সুন্দর এবং সিল্কি করতে চান তাহলে অ্যালোভেরা ও লেবুর ব্যাগ তৈরি করে সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্নে যদি অ্যালোভেরা এবং লেবুর প্যাক ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা কিন্তু তৈরি রক্ত চুলের যত্ন নেবে এবং চুল পড়া সমস্যা কম করবে।
এছাড়াও চুলের আগা-ফাটা দূর করতেও রয়েছে এর অনেক উপকারী দিক। হেয়ার প্যাক হিসেবে যদি আপনি লেবু এবং অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু এটা আপনার চুলকে অনেক বেশি ঝলমল , সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে। কিভাবে আপনি অ্যালোভেরা এর লেবুর প্যাক তৈরি করবেন চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক।
অ্যালোভেরা ও লেবুর প্যাক তৈরির নিয়মঃ
অ্যালোভেরা ও লেবুর প্যাকঃ এ প্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনি তিন চা চামচ এলোভেরা জেল এবং এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল ও লেবুর রস যোগ করে সুন্দর এগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকগুলো আপনার মাথাতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন।
তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে সমস্ত মাথা ধুয়ে ফেলুন।এভাবে ব্যবহার করলে দেখবেন খুব সহজেই আপনার মাথার তৈলাক্ত ভাব দূর হয়েছে এবং চুল পড়া সমস্যা সহ আরো অনেক সমস্যা দূর হয়েছে। চুল হয়ে উঠেছে আগের থেকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল।
এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
আমরা অনেকেই কিন্তু চুলের যত্নে এলোভেরা জেল ব্যবহারের কথা ভাবে। কিন্তু অনেকেই জানে না কিভাবে চুলের যত্নে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে হয়। এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি সঠিকভাবে জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারবেন।চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে আমরা যেদিনই কিভাবে চুলের যত্ন এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে সম্পর্কে।
- এলোভেরা জেল কিন্তু আপনি অনেকগুলো উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। চুলের যত্নে ত্বকের যত্নে এবং মুখেও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায়।
- আপনি যদি এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করতে চান তাহলে কিন্তু এলোভেরা জেল এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন এভাবে ব্যবহার করলে আপনার উজ্জ্বলতা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।
- এলোভেরা পাতা থেকে যে জেল পাওয়া যায় এটা কিন্তু সরাসরি আপনি পুরো মাথাতে মেসেজ করে ব্যবহার করতে পারবেন এতে কিন্তু চুল পড়া দ্রুত তবুও সময় বন্ধ হবে।
- এলোভেরা জেলের সঙ্গে আপনি যদি লেবুর রস কিংবা নারিকেল তেল যোগ করেন তাহলে এটা কিন্তু মাথার চুলের খুশকি দূর করার জন্য সেটা একটি উপায় হতে পারে।
- এগুলো ছাড়াও আপনি যদি এলোভেরা জেল এর সঙ্গে গাজর পেস্ট অথবা শসা যুক্ত করে ব্যবহার করেন তাহলে এটা কিন্তু আপনার মুখের কালো দাগ সহ অনেক ধরনের দাগ দূর করবে এবং ত্বক রাখবে অনেক সতেজ।
- আপনি যদি ভেবে থাকেন এলোভেরা জেল এর সঙ্গে জলপয় তল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করবেন তাহলে এভাবেও কিন্তু ব্যবহার করতে পারবেন। চুলে যদি এভাবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম
- ত্বকের মরা কোষ যদি দূর করতে চান তাহলে আপনি এলোভেরা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করার পাশাপাশি কিন্তু ত্বকের ময়লা ভাবও দূর করতে পারবে অ্যালোভেরার প্যাক। বিভিন্নভাবে আপনি অ্যালোভেরা প্যাক তৈরি করতে পারেন যেমন-
- দুই চামচ এলোভেরা জেল এবং এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ যোগ করে প্যাক তৈরি করে সেটা আপনার মুখে লাগান।
- তুলসী পাতা, এলোভেরা, গোলাপের পাপড়ি, দুধ ইত্যাদি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকে রুক্ষভাবে দূর হবে।
- এলোভেরা জেল এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে যদি তাকে ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এই প্যাকটিক তৈরি করার জন্য আপনি গোলাপ জলের সঙ্গে কিছু পরিমাণ এলোভেরা জল মিশিয়ে নিয়ে সেটা আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন।
- এলোভেরা রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং চন্দন পাউডার মিশিয়ে যদি ত্বকে ব্যবহার করা হয় তাহলে কিন্তু তাকে কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্রণের দাগও দূর হবে।
- কমলালেবুর খোসা গুরু করে নিয়ে এর সাথে তুলসী পাতা এবং মধু সহ এলোভেরা যোগ করে আপনি এগুলো ভালো করে পেস্ট তৈরি করে সেটা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে বলিয়ে রাখা দূর হবে।
- অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করার জন্য আপনি মধু শসা এবং অ্যালোভেরা সহ এর সঙ্গে গাজর পেস্ট করে একসঙ্গে মিছিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে কিন্তু তার থেকে মেছতা ভাব দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম
অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- অ্যালোভেরা জেল, হলুদ, মধু ও গোলাপজলঃ এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এর সঙ্গে মধু এবং কয়েকটা গোলাপজল মিশিয়ে একজন কি পরিমাণ হলুদের গুঁড়া দিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। একটি তৈরি করা হয়ে গেলে এটা 20 মিনিট সময় ধরে আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার মুখ হয়ে উঠেছে অনেক বেশি মোলায়েম এবং উজ্জ্বল।
- অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপজলঃ এলোমেলো জেলের সঙ্গে আপনি গোলাপ জলে বেশি হয় সেটা আপনার প্রতিদিনের গোসলের পর যদি ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু অনেক উপকার তো পেয়ে যাবেন এছাড়াও ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হবে।
- অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেলঃ দুই চামচ এলেভেরা জেলের সঙ্গে আপনি কয়েকটা নারকেল তেল মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তোকে লাগানোর বিশ মিনিট পরে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে হ্যাঁ মুখের কোনো ক্ষত কিংবা আক্রান্ত স্থানে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা ঠিক নাও হতে পারে। কারণ এতে জ্বালাপোড়া এবং যন্ত্রণা হতে পারে।
- অ্যালোভেরা জেল ও চালের গুড়াঃ অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে আপনি চালের গুড়া সুন্দর করে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে সেটা আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর কিছু সময় পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার ত্বক হয়ে উঠেছে অনেক বেশি নরম ও উজ্জ্বল।
- লেবুর রস ও এলোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ভিটামিন এ সহ আরো অনেক উপদান যেটা ত্বকে ভালোভাবে পুষ্টি জোগাতে পারে। এজন্য আপনি দুই চামচ এলোভেরা জেল এর সঙ্গে আধা পরিমাণ লেবুর রস যোগ করে ভালো করে যেটা মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন দেখবেন অনেক উপকারিতা পেয়ে গেছেন।
- অ্যালোভেরা জেল,অলিভ অয়েল এবং ওটমিলের গুড়াঃ এক চামচ এলোভেরা জেল এর সঙ্গে ওডমিলের গোড়া এবং ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে সেটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আপনার মুখে ম্যাসাজ করুন। পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবার উপকারিতা গুলো নিজের চোখেই দেখে নিন।
অ্যালোভেরা জেল মুখে মাখলে কি হয়
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক
- এলোভেরা এবং আপেল সিডার ভিনেগারঃ চুলের যত্নে আপনি ১ চামচ মধ্য এবং ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে তিনটা চামচ এলোভেরা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। এবার সেগুলোকে আপনি হালকা ভেজা চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। স্ক্যাল্প করা হয়ে গেলে ১৫-২০ মিনিট পর সুন্দর করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। কিন্তু আপনার মাথার খুশকি দূর করার জন্য অনেক উপকারী।
- এলোভেরা ও কাস্টর অয়েল প্যাকঃ ৩ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে কিছু পরিমাণ এলোভেরা জেল নিয়ে ১ টেবিল চামচ কাস্টর অয়েল যোগ করে সেগুলো ভালো করে মিক্সার করে নিন। ভালো করে মিক্স হয়ে গেলে এগুলো আপনার মাথাতে ব্যবহার করুন চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য। আপনার মাথাতে মেসেজ করুন এবং তারপরে 20 মিনিট পর ভালো করে মাইল সেম্পবাদ দিয়ে পুরো মাথা ধুয়ে ফেলুন। একবার এভাবে ব্যবহার করলে আপনার চুল অনেক শক্তিশালী হবে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
- অ্যালোভেরা জেল এবং আমন্ড অয়েলঃ ১ টেবিল চামচ আমল্ড কোয়েলের সঙ্গে একটা এলোভেরা জেল মিশিয়ে ক্যাপসুল যোগ করে একটা মিশ্রণ তৈরি করে সেটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন।
- অ্যালোভেরা জেল ও জবা প্যাকঃ কয়েকটা পরিষ্কার ভালো জবা ফুল নিয়ে সুন্দর করে কেটে একটা পেস্ট তৈরি করে সেখানে কিছু পরিমাণ এলোভেরা জেল নিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। আপনার চুলের লাগানো হলে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এটা একটি আপনার মাথার চুল নরম রক্তে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে।
- এলোভেরা ও আমলকি প্যাকঃ আমলকি ভালো করে থেতলা করে নিয়ে এর সঙ্গে আপনি অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আপনার চুলে ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি ব্যবহার করা হলে আপনার মাথার চুল পড়া অনেকটাই কমে যাবে কারণ প্র্যাকটিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্টসহ আরো অনেক বৈশিষ্ট্য যা আপনার চুলকে মজবুত করে তুলবে।
- অ্যালোভেরা এবং পেঁয়াজের রসঃ অ্যালোভেরা ও পেঁয়াজের রসের ট্যাগ তৈরি করে এটি যদি আপনার মাথার চুলে ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু চুলের খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে ভূমিকা রাখবে। একটি তৈরি করে আপনার মাথাতে ঘন্টাখানেক ব্যবহার করার পরে অবশ্যই ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে মাথায় ধুয়ে ফেলবেন।
- অ্যালোভেরা ও মেথির প্যাকঃ ৩ চা চামচ এলোভেরা জেলের সঙ্গে দুই চা চামচ মেথি পাউডার নিয়ে সুন্দর করে এটা মিক্সার করুন। সুন্দর করে যখন মিক্স করা হয়ে যাবে তখন এটা আপনার মাথাতে বৃষ্টিকে 25 মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি একদিকে যেমন আপনার মাথাতে চুল পড়ার সমস্যা দূর করবে ঠিক তেমনি কিন্তু নতুন ভূমিকা রাখবে।
- এলোভেরা এবং নারকেল দুধের প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ নারকেল দুধের সঙ্গে তিন টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং নারকেল দুধ ভালো করে মিশিয়ে আপনার চুলের ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি আপনার মাথার চুল রাখবে অনেক বেশি কমল এবং মোলায়েন।
এলোভেরা জেল সংরক্ষণের উপায়
- ১/৪ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে আপনি এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তা ব্লেন্ড করে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রাখতে পারবেন। যদি আপনি রাখতে পারেন তাহলে কিন্তু ১৫ দিন পর্যন্ত এটার মান ভালো থাকবে।
- আপনি সরাসরি অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচ দিয়েও জেল সংরক্ষণ করতে পারবেন। সংরক্ষণ করা এই জেলগুলো আপনি কিন্তু ভালো করে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিয়ে মুখ বন্ধ কোন বয়ামে করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারবেন। এভাবে রাখা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত এটা ভালো থাকে।
- অ্যালোভেরা পাতার দুই পাশের অংশগুলো ছুড়ি দিয়ে ভালো করে কেটে ফেলুন। এবার ছোট ছোট করে কি করে কেটে জিপ্লক ব্যাগ নিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে দিয়ে ভালো করে মুখ বন্ধ করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে রাখলে কিন্তু ৬ মাস পর্যন্ত জেল ভালো থাকে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url