শিশুর ত্বক ফর্সা করার ৯টি সেরা উপায়-বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার লোশন
শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি কিভাবে আপনি আপনার শিশুর ত্বক ফর্সা করবেন সে উপায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত। শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য যে সকল দিক অবলম্বন করছেন এগুলো সঠিক না হলে কিন্তু তা বাচ্চার জন্য খারাপ হতে পারে। তাই সঠিক ও কার্যকরী উপায় গুলো জানতে পারবেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জেনে যাবেন বেবি লোশন কোনটা ভালো এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কেও। তাই অবশ্যই আপনার জন্য প্রয়োজনীয় এই তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আর বিস্তারিতভাবে জেনে নিন শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়।
ভূমিকা
মায়েরা বাচ্চাদের ত্বক ফর্সা করার জন্য কতই না পন্থা অবলম্বন করে কিন্তু এটা যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে কিন্তু তা বাচ্চার ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতি করতে পারে। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সেরা ৯টি উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনার শিশুর ত্বক সহজে ফর্সা করতে পারবেন।
এছাড়া আর্টিকেলটি যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি আরো জেনে যাবেন বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল এবং সাবান সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাই অবশ্যই অজানা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার লোশন
সকালেরই কাম্য তাদের আদরের সন্তানের ত্বক যেন ফর্সা হয়। শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় হিসেবে অনেকে লোশন বেঁচে নেই। বর্তমানে বাজারে বাচ্চাদের ফর্সা করার জন্য অনেক ধরনের লোশন পাওয়া যায় কিন্তু এর ভেতর থেকে সঠিক কোনটা এটা চেনা অনেক মুশকিল। কিন্তু এই লোশন গোলের ভেতর থেকে আপনি আসল এবং কার্যকারী ফর্সা হওয়ার লোশন কিভাবে খুঁজে পাবেন?
আরো পড়ুনঃ শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
চিন্তার কারণ নেই কারণ আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো সেই লোশন গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসা শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য কোন কোন লোশন ব্যবহার করা যাবে এবং সেই লোশন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় এমন কিছু লোশন গুলোঃ
- জনসন বেবি লোশন
- কোডোমো ফেস ক্রিম
- প্যারাসুট জাস্ট ফর বেবি
- হিমালিয়া বেবি লোশন
- বেবি মশ্চারাইজার
- ডাব বেবি লোশন
- ফেইস ক্রিম
- Dermadew Baby Lotion
প্রিয় পাঠক, উপরে যে সকল লোশন এর নাম আপনারা দেখছেন শিশুর ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করার জন্য আপনারা এ সকল লোশন ব্যবহার করতে পারেন। আমি আশা করছি বিষয়গুলো আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে কোন ধরনের লোশন আপনারা ব্যবহার করবেন।
শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়
প্রত্যেকটা মা বাবায় চাই তাদের আদরের সন্তানের ত্বক ফর্সা হোক। এজন্য সন্তানের ত্বক ফর্সা করার জন্য অনেকে অনেক রকম জিনিস ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিটা মা বাবাই তাদের বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার লোশন ও ব্যবহার করেন। এগুলোর পাশাপাশি ও শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য এমন কিছু উপায় আছে যে উপায়গুলো ফলো করলে খুব সহজেই আপনার শিশুর ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে। চলুন তাহলে এবার বিস্তারিত জেনে নিন
৯টি সেরা শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে ।
- ঘরোয়া বডি প্যাক
- ময়েশ্চার
- গরম তেল মালিশ
- দুধের সর আর বাদাম তেল
- বেবি স্ক্রাব
- ফলের রস
- শিশুর গা মোছানোর দিকে খেয়াল করা
- রোদে গোসল
- গোসল করানোর সময় খেয়াল রাখা
ঘরোয়া বডি প্যাক
আপনার শিশুর ত্বকের যত্ন করার জন্য কিন্তু আপনি ঘরোয়া ভাবে কিছু বডি প্যাক তৈরি করে তা বাচ্চার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে সাধারণত বড়দের থেকে কিন্তু শিশুদের ত্বক ১০ গুণ বেশি সমবেদনশীল হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকেও যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রেও সংবেদনশীল হওয়া লাগবে।
আপনার সন্তানের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সপ্তাহে একবার করে বডি প্যাক ব্যবহার করুন। এর জন্য প্যাক তৈরি করার জন্য আপনি হলুদ দুধ এবং এর সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ঘরোয়া বডি প্যাক আপনার শিশুর জন্য জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসবে।
ময়েশ্চারইজার
শিশু ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে শিশুর ত্বক যেন শুষ্ক না হয়। এজন্য আপনি বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করা যায় এরকম মশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো তাহলে এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। তবে ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে ব্যবহার করায় আপনার সন্তানের জন্য ভালো হবে।
বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নিতে যেগুলো উপায় আছে তার ভেতরে কিন্তু অন্যতম একটি সেরা উপায় হচ্ছে গরম তেল মালিশ করা। ছোট বাচ্চাদের তোকে গরম তেল মালিশ করা এটা কিন্তু বংশানুক্রমে চলে আসছে বছর ধরে। এভাবে যদি সন্তানের গায়ে চামড়া তে গরম তেলে মালিশ করা হয় তাহলে কিন্তু চামড়া আরো মসৃণ হবে এবং উজ্জ্বল হবে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তেল যেন অধিক গরম না হয় ,শিশুর সহনীয় মাত্রায় গরম তেল মালিশ করতে হবে।
দুধের সর আর বাদাম তেল
আপনার শেষের ত্বক ফর্সা করার জন্য কিন্তু দুধের সর আর বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই উপাদান গুলো ব্যবহার করতে পারেন। দুধের সর কিন্তু শিশুদের চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে
বেবি স্ক্রাব
আপনার সন্তানের ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করার জন্য কিন্তু বেবি স্কাবের জরিমানা ভার। তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে শিশুর সমবেদনশীল চামড়ার কথা ভেবে তারপরে এই স্কাব টা তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য সঠিক পরিমাণে বেসন এবং এর সঙ্গে কিছুটা দুধ ও হলুদ যোগ করে তার সঙ্গে গোলাপ জল দিয়ে তৈরি করুন বিশেষ এই স্ক্রাব।
ফলের রস
শিশুর জন্য ফলের রস কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এজন্য আপেল আঙ্গুর এবং কমলালেবুর সহ এ ধরনের ফলের রসগুলোকে শিশুকে খাওয়ালে তা অধিক উপকার নিয়ে আসবে। তবে শিশুর বয়স যদি তিন মাসের কম হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে রস খাওয়ানির বিপদজনক হতে পারে কারণ সেই সময়ে তারা মায়ের দুধের উপরে নির্ভরশীল থাকে।
শিশুর গা মোছানোর দিকে খেয়াল করা
গোসলের পরে কিন্তু শিশুর গা মোচনের দিকেও আপনাকে খেয়াল করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে যাতে করে অত্যাধিক ঘষাঘষি তে শিশুর গায়ে ফুসকরি না বের হয়। এজন্য অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়টি ভালোভাবে নজরে রাখতে হবে
রোদে গোসল
গোসল করানোর সময় অবশ্যই আপনাকে সুখে রোদে নিয়ে যেতে হবে কারণ রোদে আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন যা আপনার শিশুর সুস্থ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
গোসল করানোর সময় খেয়াল রাখা
শিশুর গোসল করানোর সময় আপনাকে একটি বিষয় ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে পানির তাপমাত্রা যেন অধিক বেশি না হয় আবার অধিক কমও না হয়। এর জন্য অবশ্যই সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আপনাকে সংবেদনশীল তাপমাত্রায় পানি নিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আপনার শিশু ত্বক ফর্সা করতেন তাহলে অবশ্যই উপরের এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন তাহলে অবশ্যই আপনারা সেই সুযোগ হয়ে উঠবে আরো অনেক সুন্দর এবং কমল। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরে গেছেন কিভাবে আপনার শিশুর ত্বক ফর্সা করবেন।
বেবি লোশন কোনটা ভালো
বর্তমানে বাজারে যত কোম্পানির বেবি লোশন বের হয়েছে এর ভেতর থেকে খাঁটি ভেবে লোশন খুঁজে পাওয়াটা একটু কষ্টকর। আপনার আদরের সন্তানের জন্য কোন বেবিলোশন আপনি খুঁজে নিবেন এটা কিন্তু সন্তানের ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর্টিকেল তো পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনেছেন শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়।
চলুন তাহলে এখন জেনে আসা যাক সন্তানের জন্য কোন বেবি লোশন ভালো হবে অর্থাৎ আপনি সন্তানের জন্য কোন বেবি লোশন করবেন। তবে একটি কথা বলে রাখি যে সন্তানের জন্য যে ধরনেরই বেবি লোশন কিনুন না কেন কেনার পূর্বে অবশ্যই এটার মেয়াদ দেখে নিবেন এবং এটা যেন অ্যালকোহল মুক্ত হয়। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক।
ভালো কোম্পানির কিছু বেবি লোশন এর নাম
- ম্যামাথ বেবি লোশন
- হিমালয়া বেবি লোশন
- স্টোফিল বেবি লোশন
- পার্মাস বাটার লোশন
- জনসন বেবি লোশন
উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি বেবি লোশন কিন্তু আপনার সন্তানের জন্য অনেক উপকারী। আপনার সন্তানের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি উপরে দেওয়া লোশন গুলোর ভিতর থেকে যেকোনো একটি লোশন ই ব্যবহার করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না। আপনি যদি না জেনে থাকেন জনসন বেবি লোশন দাম কেমন তাহলে চলুন আর্টিকেলের নিচের অংশটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
জনসন বেবি লোশন দাম
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে জনসন বেবি লোশনের দাম কত। আপনি যদি জেনে থাকেন এই জনসন বেবি লোশন এর দাম কেমন তাহলে যে কোন দোকান থেকে খুব সহজেই আপনি এটা কিনে নিতে পারবেন। মূলত জনসন বেবি লোশনের দাম কেমন হবে এটা নির্ভর করবে আপনি কত মিলির উপরে কিনছেন।
আরো পড়ুনঃ সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়
তবে বিভিন্ন সময় বোতলের পরিমাণ কিংবা সময় ও স্থানভেদের দাম একটু পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন সময় থেকে শীতকালীন সময়ে কিন্তু জনসন এর দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
সাইজ ভেদে জনসন বেবি লোশনের দাম
- জনসন বেবি লোশন পরিমাণ ৫০ মিলি এবং দাম ১৩০ টাকা
- জনসন বেবি লোশন পরিমাণ ১০০ মিলি এবং দাম ২০৫ টাকা
- জনসন বেবি লোশন পরিমাণ ২০০ মিলি এবং দাম ৩২০ টাকা
- জনসন বেবি লোশন পরিমাণ ৫০০ মিলি এবং দাম ৯৯০ টাকা
প্রিয় বন্ধুগণ, উপরের ভিন্ন ভিন্ন সাইজের বোতল অনুযায়ী জনসন বেবি লোশন এর দাম আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন থেকে আপনারা খুব সহজে যেকোন দোকান থেকে জনসন বেবি লোশন কিনতে পারবেন এবং দাম বেশি চাইলে আপনারা তা বুঝতে পারবেন। আপনি যদি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের দিকে পড়ুন।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল
শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় হিসেবের যতগুলো মাধ্যম আছে তার ভিতরে কিন্তু অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল। আপনার বাচ্চার ফর্সা হওয়ার জন্য ক্রিম অথবা লোশন ব্যবহার করার পাশাপাশি কিন্তু আপনি তেল ব্যবহার করতে পারেন। জানা আছে কি বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল কোনগুলো? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারনে কারন এখন আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল সম্পর্কে।
- অলিভ অয়েলঃ আপনার বাচ্চার ত্বকের সুস্থতা এবং ত্বক ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল তেল। এতে যে রয়েছে অনেক পুষ্টি অবদান যে কারণে বাচ্চার ত্বক থাকে অনেক সুন্দর এবং ফর্সা হয় যে কারণে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বাচ্চা চুলকানি এবং খুশকির সমস্যার অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার জন্য।বাদাম তেলঃ বাদাম তেলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যে কারণে শরীরে মেসেজ করা হলে বাচ্চার তো অনেক মসৃণ হয়ে ওঠে এবং উজ্জ্বলতা ভাব তৈরি হয়।
- হিমালয়াঃ বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার তেল হিসেবে যতগুলো তেল আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম তেল হলো হিমালয়া তেল।হিমালয়ের তেলের অন্যতম একটি উপকারী দিক হচ্ছে এই তেল ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে। তাই আপনি হিমালয়া তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- ডাবর তেলঃ বিশেষ করে যে বাচ্চারা অনেক বেশি দুর্বল হয়ে থাকে তাদের জন্য এই ডাবর তেল ব্যবহার করা হয়।
- নারকেল তেলঃ বিশেষ করে গরমের সময় শিশুদের যদি নারিকেল তেলের মালিশ করা হয় তাহলে এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে করে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় তেমনি উজ্জ্বলতা ভাব ফিরে আসে কারণ এই তেলে আছে অনেক পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল।
বডি লোশন কি মুখে ব্যবহার করা যায়
আপনার শিশুর যত্নে বেবি লোশন তো ব্যবহার করছেন কিন্তু কখনো কি ভেবেছন বডি লোশন কি মুখে ব্যবহার করা যায়?আপনার মাথায় যদি এই প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন বডি লোশন মুখে ব্যবহার করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সম্পর্কে। প্রথমেই বলে রাখি যে বডি লোশন মুখে ব্যবহার করলে তেমন কোন সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
তবে কারো মুখে যদি বিশেষ ধরনের কোন সমস্যা থেকে থাকে যেমন -ব্রোন, একজিমা ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা থাকলে মুখে ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এ ক্ষেত্রে মুখে জ্বালাপোড়া এবং এলার্জিজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে আপনার মুখে যদি ব্রণ অথবা একজিমা সমস্যা গুলো অতিরিক্ত সংবেদনশীল না হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি বডি লোশনও কিন্তু মুখে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ যদি বডি লোশন মুখে ব্যবহার করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে এর ঘনত্বের দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনার মুখে ত্বকের জন্য ঘন ক্রিম মানানসই যদি না হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে বডি লোশন ও ব্যবহার করা কিন্তু ঠিক হবে না। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বডি লোশন মুখে ব্যবহার করবেন কিনা ।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার সাবান
আপনারা কিন্তু বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার জন্য ক্রিম এর পাশাপাশি সাবান ব্যবহার করতে পারেন। আর্টিকেলের উপরের অংশে নিশ্চয়ই আপনি জেনেছেন শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো। আপনারা কিন্তু বাচ্চার ফর্সা খাওয়ার জন্য সাবান ও ব্যবহার করতে পারেন। যে সাবানগুলো ব্যবহার করলে আপনার বাচ্চার ত্বক পরিষ্কার থাকবে এবং ফর্সা হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার সাবান সম্পর্কে।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ৮টি বেবি সোপ
- Johnson baby Soap
- Himalaya Soap
- Chicco Baby Soap
- Tedibar
- Baby dove rich moisture soap
- Doy natural milk cream and Shia butter Soap
- Refreshing baby Soap
- Sebambed Baby Cleansing Soap
প্রিয় বন্ধুগণ, উপরে আপনারা যে সকল সাবানের নাম দেখছেন আপনার সন্তানের ত্বক ফর্সা করার জন্য এই সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরামর্শ থাকবে যে সাবান কেনার সময় অবশ্যই এর উৎপাদন এবং মেয়াদ তারিখ দেখে নিবেন এবং সব সময় সাবধানতার সাথে কিনবেন। আশা করছি বিষয় করলে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের পরামর্শ
শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য যে সকল উপায় রয়েছে তা নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন আজকে আর্টিকেলের উপরের অংশটি পড়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরামর্শ তা বুঝেই শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনি যে সকল ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন অবশ্যই সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবহার করবেন। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক, আপনাদেরকে জানিয়েছি শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। বিষয়গুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ সমস্ত তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url