সেরা ও সঠিকভাবে অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়মআপনি যদি অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন
তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন। আজকের পুর আর্টিকেল আলোচনা করা
হয়েছে বিশেষ সম্পর্কে। আর্টিকেল পরের মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন অনলাইনে
ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল প্রযুক্তির
উন্নত হওয়ার কারণেএখন অনলাইনে টিকিট কাটা সম্ভব।
আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে টিকিট কাটতে চান তাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয় অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি। তাহলে চলুন এ বিষয়ে
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে।
ভূমিকা
বিভিন্ন সময় দেখা যায় ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য টিকিট কাউন্টারে ঘন্টার পর
ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাওয়া যায় না। তাই এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে
আপনি আগে থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কেটে রাখতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানে না
কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় তাই এখন আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব।
কিভাবে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এছাড়া আজকে
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কিভাবে ট্রেনের টিকেট চেক
করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আপনার প্রয়োজনীয় এই তথ্যগুলো জানতে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বলছিলাম অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে। বর্তমান যুগ
ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ হওয়ার কারণে টিকিট কাটার জন্য আর সিরিয়ালে লাইন ধরে
থাকতে হয় না। আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও খুব সহজে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ
করতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানে না কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়।
আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন তাহলে চলুন
বিস্তারিতভাবে সঠিক নিয়ম জেনে নিন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
সম্পর্কে। অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন দুই রকম উপায় যেমন -
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে
- ই সেবার মাধ্যমে
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে
- আপনারা যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তারা চাইলে খুব সহজেই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্লে স্টোরে যেতে হবে।
- প্লে স্টোরে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগইন থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- এবার সেখান থেকে আপনি Rail Sheba এপ ডাউনলোড করে নিন।
- ডাউনলোড করা হয়ে গেলে সেটা আপনার ফোনে ইনস্টল করে নিন।
বিস্তারিতঃ
সর্বপ্রথমে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের প্লে স্টোরে যাবেন সেখানে গিয়ে সার্চ
করবেন রেল সেবা। এবার আপনার সামনে যে অ্যাপ প্রদর্শন হবে সেটা আপনি ডাউনলোড করে
ইন্সটল করবেন। এবার আপনার ফোনে যখন ইন্সটল কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন আপনি লগইন
করবেন এবং রেজিস্টার রেজিস্টার অপশন আপনার সামনে চলে আসবে।
যদি আপনি নতুন ইউজার হন তাহলে রেজিস্টার অপশন এ ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি খুব
সহজেই এই অ্যাপটি চালু করতে পারবেন। তারপর আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার অথবা
আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার সহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করে প্রোফাইলের
কাজগুলো কমপ্লিট করতে পারবেন।
তারপর সার্চ অপশনে গিয়ে খুব সহজেই আপনি কোথায় টিকিট ক্রয় করতে চান এবং
টিকিটের বগি নাম্বার সহ টিকিট নাম্বার সিলেক্ট করার মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল
ব্যাংকিং এ পেমেন্ট করার মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
ই সেবার মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- আপনি যদি ই-সেবার মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে প্রবেশ করতে হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে।
- এজন্য আপনি প্রবেশ করবেন Railway E ticketing Service ওয়েব সাইটে।
- এই ওয়েব সাইটে বয়স করার পর আপনি আরো অনেক অপশন গুলো দেখতে পারবেন।
- আপনি যদি এর আগে কখনো এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেন অর্থাৎ আপনিও যদি কোন একাউন্ট রেজিস্টার না থাকে তাহলে আপনি রেজিস্টার অপশন এ ক্লিক করে একাউন্ট খুলে নিন।
- আপনি যখন রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে বিভিন্ন রকমের তথ্য প্রদর্শন করার অপশন দেখাবে। যেমন- আপনার মোবাইল নাম্বার, ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ইত্যাদি।
- এসব তথ্যগুলো দেওয়ার পরে আপনি নিচের দিকে এসে ভেরিফাই করার পূর্বে দেখবেন আপনার সামনে একটা অপশন রয়েছে সেখানে আপনি ক্লিক করুন I.m not a robot এ অপশনে।
- তারপর ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে দেখবেন আপনার ইমেইল এড্রেস এবং পোস্ট কোড সহ আপনার ঠিকানাগুলো পূরণ করার কথা বলছি সেখানে কি তথ্যগুলো পূরণ করেন এবং রেজিস্ট্রেশন বাটন চাপ দিন।
- তারপর দেখবেন আপনার ভেরিফিকেশন করার জন্য মোবাইল নাম্বারে একটু otp কোড এসেছে সেখানে ক্লিক করলে আপনার রেজিস্ট্রেশন টি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
- তারপর খুব সহজেই আপনি ওয়েবসাইটের ভেতরে প্রবেশ করে কোন স্থান থেকে কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করুন।
- পরবর্তী সময়ে গিয়ে কোন ধরনের ক্লাসে ভ্রমণ করতে চাইছেন সেটি নির্বাচন করুন এবং বুকিং করে ফেলুন।
- সিট নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনার সিট নাম্বার এবং টাকার পরিমান পদর্শিত হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি কন্টিনিউ পার্সেস অপশন এ ক্লিক করে খুব সহজে টিকিট কাটতে পারবেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়
কখনো যদি আপনার অনলাইনে মোবাইলের টিকিট কাটার প্রয়োজন হয় তাহলে অনলাইনে
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এ বিষয়
সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়লে। চলুন তার আগে জেনে সুযোগ অনলাইনে
টিকিট কাটার সময় সম্পর্কে। আমরা অনেকেই ভেবে থেকে অনলাইনে যে কোন সময় হাতে ২৪
ঘন্টার ভিতরে যেকোন সময় ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে।
কিন্তু এই ধারণাটি সঠিক নয়। সাধারণত আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান তাহলে
অনলাইনে টিকিট কাটার সময় হলো সকাল ৮ টা থেকে রাত ১১:৪৪ পর্যন্ত। এই সময়ের
ভেতরে আপনি যেকোনো সময় টিকিট কাটতে পারবেন। তবে সাধারণত অনলাইনে বর্তমান সময়ে
এসে টিকিট পাবে আগামী ১১ দিনের টিকিট পর্যন্ত।
যেমন- 05/05/2024 হতে 16/05/2024. বিশেষ করে যখন ঈদের সময় চলে আসে তখন টিকিটের
চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে খুব সহজে টিকিট পাওয়া যায় না। আপনি যদি কখনো
অনলাইনে টিকিট কাটতে চান তাহলে আগে থেকেই কেটে নিবেন।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
আপনারা যারা জানেন না কিভাবে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় তাদের জন্য
আমাদের আজকের আর্টিকেল এর এই পর্বটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন আমরা আপনাকে
জানিয়ে দিব কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে টেনে টিকিট কাটতে
পারবেন। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে।
আপনি কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই খুব সহজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও ট্রেনের টিকিট
ক্রয় করতে পারবেন। তার আগে আপনাকে জানতে হবে এয়ার টিকিট কাটার নিয়ম
সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিশেষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন যে সকল উপায়েঃ
- মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
- বিকাশ এপের মাধ্যমে
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে
আপনারা যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তারা খুব সহজেই মোবাইল ফোনে রেল সেবা
নামে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে খুব সহজে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবে। এজন্য
আপনাকে অ্যাপ ইন্সটল করে সেখানে রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং আপনার ভোটার
আইডি কার্ড সহ বিস্তারিত তথ্য গুলো দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। কিভাবে
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলেও এটিতে টিকিট কাটতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
আপনি চাইলে মোবাইল ফোনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টেনের টিকিট নিতে পারবেন। এর জন্য
আপনাকে ফোনের ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে এবং সেখানে সার্চ করতে হবে বাংলাদেশ
রেলওয়ে ওয়েবসাইট। এবার সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
এবং রেজিস্টার করার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা দিয়ে
ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন খুব সহজে।
বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে
মোবাইল ফোনে অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আপনি কিন্তু বিকাশ অ্যাপ এর
মাধ্যমেও ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফোনে অবশ্যই বিকাশ
অ্যাপ থাকতে হবে। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনের
টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাপটি
লগইন করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে ট্রেনের টিকিটের প্রবেশ করতে হবে। কিভাবে আপনি
বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে আর্টিকেলের নিচের অংশটি পড়ুন।
বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম/বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বিকাশে লেনদেন করার পাশাপাশি আপনি কিন্তু ট্রেনের টিকিটও কাটতে পারবেন। কিন্তু
আমরা অনেকেই জানিনা বিকাশে কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে। আপনি যদি না জেনে
থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো কিভাবে
আপনি ট্রেনের টিকিট কাটবেন বিকাশের মাধ্যমে।
অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জেনে
গিয়েছেন। যেভাবে আপনি বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবেন।
- ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপটি আপনি ইন্সটল করে নিবেন।
- বিকাশ অ্যাপ আপনার ফোনের লগইন করার পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি আইকন দেখতে পারবেন এবার সেই অপশন এ ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পরে দেখবেন আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্ভিসের ওয়েবসাইট এর ভেতরে নিয়ে যাবে। তার আগে অবশ্যই আপনি i agree তে ক্লিক করবেন।
- সেখানে প্রবেশ করার পরে আপনার গন্তব্যের স্থানযাত্রার সময় টিকিটের সংখ্যা ইত্যাদি অপশন রয়েছে আপনি সেগুলো যথার্থভাবে পূরণ করেন।
- লগইন করার পরে দেখবেন উক্তরোটে যদি অনলাইনে টিকিট থেকে থাকে তাহলে Purchase নামক অপশন রয়েছে। আপনি সেখানে ক্লিক কর।
- তারপর বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটের আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট লগইন করুন। যদি একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে রেজিস্টার করে নিন।
- তারপর লগইন করা হয়ে গেলে আপনার বিকাশ পেমেন্টের জন্য একটা অপশন চলে আসবে।
- এবার আপনি পেমেন্ট গেটওয়ে অপশনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল ফোনে একটা ওটিপি আসবে।
- কোডটি আপনি ঠিক জায়গায় বসাবেন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন।
- তারপরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট এর পিন নাম্বার দিয়ে আপনি টিকিট ফি প্রদান করুন। পরবর্তী সময়ে আপনার ইমেইলে টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
- আশা করছি খুব সহজে বুঝতে পেরে গিয়েছেন কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ মোবাইল ফোন দিয়ে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটবেন।
কিভাবে ট্রেনের টিকিট চেক করবেন
আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গেছেন অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে। এখন প্রশ্ন হল
টিকিট কাটার পরে কিভাবে আপনি ট্রেনের টিকিট চেক করবেন। যে বিষয়টা অনেকের
অজানা। চলুন্ বিস্তারিতভাবে জেনে নিন কিভাবে আপনি ট্রেনের টিকিট চেক করবেন।
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য আপনি ভিজিট করুন eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে।
- এবার উপরের অংশের ডান পাশে যে verify ticket মেনু আছে সেখানে ক্লিক করুন।
- এবার আপনি জেনেটিক কাটার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বার আপনার টিকিটের উপরে থাকা PNR Number টি সঠিকভাবে লিখুন।
- এবার verify ticket নামে যে বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- আপনার টিকেট যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার টিকিটটি ticket verified লেখা দেখাবে এবং ভ্রমণের জন্য আপনার রটটিও প্রদর্শন করবে।
- এভাবেই আপনি খুব সহজে ট্রেনের টিকিট চেক করতে পারবেন। এখন থেকে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিজের ট্রেনের টিকেট নিজে চেক করুন এবং দালালের হাত থেকে মুক্ত থাকুন।
ট্রেনের টিকিট কেনার শর্তাবলী
ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো আপনাকে মানতে হবে বা পূরণ
করতে হবে। চলুন ট্রেনের টিকিট কেনার শর্তাবলী সম্পর্কে যেনে আসা যাক।
- রেলের টিকিট এসব করার জন্য সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ে পোর্টাল কার্ড তথ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের কোন সংবেদনশীল তথ্যকে সংরক্ষণ করেনা।
- গণ যাত্রী যদি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে নির্ধারিত স্টেশনে যেতে হবে এবং কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
- ৩ থেকে ১২ বছর বয়সে শিশুদের জন্য টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক রয়েছে।
- যে সকল যাত্রীদের লাগেজের ওজন নির্ধারিত ওজন সীমানার ভিতরে থাকে তাদের জন্য অতিরিক্ত কোন ফি দেওয়ার প্রয়োজন নাই।
- লাগেস্টের ওজন AC- 56kg,শোভন-28 kg,প্রথম শ্রেণি-37.5 kg,স্নিগ্ধা-23 kg.
- বিভিন্ন কারণে পরিচিতির কারণে অনেক সময় যাত্রার সময় এবং সিট পরিবর্তন হতেও পারে।
- টিকিট কয় না করে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণ করা একটি অপরাধ তাই আপনারা এ ধরনের কাছ থেকে বিরত থাকবেন।
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস
অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্ক তো জানলাম। অনেকে আমাদের
কাছে জানতে চেয়েছেন ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস সম্পর্কে। বাংলাদেশ রেলওয়ে
ওয়েবসাইটের পাশাপাশি রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি টিকিট ক্রয় করতে
পারবেন। এখন আপনাকে পরিচয় করে দিব ট্রেনের টিকিট কাটার কিছু অ্যাপ সম্পর্কে
আপনি চাইলে নিচের অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে ট্রেনের টিকিট
কিনতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম
- Rail Sheba
- Bkash
- এছাড়াও আপনি eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করেও ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে ট্রেনের টিকিট কাটার পরে ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
কিভাবে আপনি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিবেন চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
প্রথমত আপনি যদি কাউন্টার থেকে টিকিট কিনে থাকেন তাহলে কাউন্টারে গিয়ে ফেরত দিতে
পারবেন। আর আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কিনে থাকেন তাহলে কিভাবে
ট্রেনের টিকিট ফেরত দিবেন চলুন যেনে আসা যাক।
- ট্রেনের টিকিট কাটার ৪৮ ঘন্টা সময়ের ভেতরে যদি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে চান তাহলে এসি শ্রেনী ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা,প্রথম শ্রেণি ক্লাসের জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য সকল ট্রেনিং ক্লাসের জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা কাটা হয়।
- অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য আপনি সর্বপ্রথম রেল সেবা অ্যাপস এর ভেতরে প্রবেশ করুন।
- এবার খেয়াল করে দেখুন সেখানে তিনটা অপশন রয়েছে। এগুলো হলো buy ticket, my ticket, my account.
- এগুলোর ভেতর থেকে আপনি প্রবেশ করুন my ticket অপশনে। সেখানে ক্লিক করলে আপনার সামনে আরো দুটি অপশন আসবে একটাতে লেখা থাকবে view details, অন্যটিতে লেখা থাকবে Cancel Ticket.
- যেহেতু আপনি টিকেট ফেরত দিতে চাচ্ছেন এজন্য আপনি ক্লিক করবেন CANCEL TICKET .
- ক্লিক করার পরে আপনার সামনে আরো একটি অপশন আসবে সেখান থেকে আপনি confirm cancel এ ক্লিক করুন।
- cancel ticket ক্লিক করার পর একটা ভেরিফাই অপশন আসবে সেখানে আপনার ফোন নম্বর এবং জিমেইল নাম্বারে একটা ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেই কোড দিয়ে আপনি সাবমিট করুন।
- এবার আপনার সামনে একটি অপশন আসবে যেখানে লেখা থাকবে Refund in progress. সেখান থেকে ok বাটনটি প্রেস করুন। তারপর আপনি নির্ধারিত সাত কর্ম দিবসের ভেতরে আপনার টাকা পেয়ে যাবেন।
তবে হ্যাঁ টিকিট কাটার পরে যদি ৪৮ ঘণ্টা সময়ের কম অথবা ২৪ ঘন্টার বেশি হয়ে
থাকে তাহলে আপনার যে টিকিট মূল্য আছে সেখান থেকে ২৫% চার্জ কাটা হবে। এবং টিকিট
ফেরত দেওয়ার সময় যদি ২৪ ঘন্টার কম এবং ১২ ঘন্টার বেশি হয় তাহলে টিকিট মূল্য
থেকে চার্জ কাটবে ৫০%। এবং যাত্রা শুরুর ছয় ঘন্টার বেশি সময় এবং ১২ ঘণ্টার কম
সময় হলে ৭৫ শতাংশ কেটে নিবে।
টিকিট কাটার ছয় ঘন্টার কম সময়ের ভেতরে যদি টিকিট ফেরত দিতে চান তাহলে
এক্ষেত্রে আপনি আর টিকিট দিতে পারবেন না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কিছু কথা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গিয়েছেন
টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি অনলাইনে টিকিট কাটার সময় তথ্য গুলো
ভালোভাবে পূরণ করবেন। ঈদের সময় ট্রেনের টিকিটের চাপ বেশি হওয়ার কারণে আপনি
চাইলে আগে থেকে টিকিট কেটে নিতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি অনলাইনে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট
কাটার নিয়ম সম্পর্কে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।
আর হ্যাঁ এ সমস্ত তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করে আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url