সেরা নিয়ম জানুন ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়-ওটস কিভাবে খেতে হয়

হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা ও  নিয়ম জানুনআপনি যদি ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে এ বিষয়ে সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি আরো জানতে পারবেন সকালে ওটস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও। হ্যাঁ অবশ্যই আপনার অজানা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
multiplebd-ওটস -কিভাবে- তৈরি -করতে -হয়-ওটস -কিভাবে- খেতে- হয়
ওটস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার যে কারণে আমাদেরকে জানতে হবে ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়। তাই অবশ্যই আপনার জন্য উপকারী এ বিষয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন। 

ভূমিকা 

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার হল ওটস।কিন্তু অনেকেই জানে না এটা কিভাবে তৈরি করতে হয়, এবং ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে। ওটস খাওয়া হলে কি কি উপকার পাবেন এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো আজকের আলোচনার বিষয়। অবশ্যই বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়-ওটস কিভাবে খেতে হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন প্রথমেই আমরা জেনে আসি ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। ওটস এর উপকারিতা গুলো তখনই পাওয়া যাবে যখন আমরা সঠিক নিয়মে এটা খেতে পারব। তাই অবশ্য আমাদেরকে জানতে হবে ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

রান্না করেঃ আপনি চাইলে ওটস খেতে পারবেন রান্না করেও। এজন্য প্রথমে আপনাকে এক দুধ অথবা জল নিতে হবে এরপর এক থেকে দুই কাপ ওটস নিয়ে তা ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় ধরে রান্না করতে হবে এবং আপনার স্বাদ অনুযায়ী এর সঙ্গে মধু, লবণ, চিনি, বাদাম, দারচিনি, ফল, এলাচ, জিরা ইত্যাদি যোগ করতে পারবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন ওর থেকে সব থেকে বেশি উপকার তখন পাওয়া যায় যখন আপনি একটি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাবেন।

ভিজিয়ে রেখেঃ রান্না করার পাশাপাশি আপনি ওটস খেতে পারবেন ভিজিয়ে রেখেও। এভাবে খাওয়ার জন্য আপনাকে এক থেকে দুই কাপ ওটস এবং এর সঙ্গে এক কাপ দুধ অথবা দই এর ভেতরে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনি চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন এবং সকালে ফ্রিজ থেকে বের করে খেয়ে নিতে পারেন।স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য এর সঙ্গে আপনি যোগ করতে পারেন ফল, বাদাম, মধু ইত্যাদি।

পরিমাণঃ আপনি ওটস খেতে পারবেন প্রতিদিন ঘরে 40 থেকে 50 গ্রাম। অর্থাৎ প্রায় এক থেকে দুই কাপ ওটস খাওয়া যেতে পারে। আর আপনি যদি ভেবে থাকেন হজম কম করবেন এজন্য খাবেন তাহলে এক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খাওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু হ্যাঁ এটা যদি শিশুদের জন্য খাবার হয় তাহলে এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম অথবা ১ থেকে দেড় ওটস খাওয়া যেতে পারে।

সময়ঃ আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যখন ইচ্ছে তখন আপনি ওটস খেতে পারবেন এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন সকলে খাওয়া হয় তাহলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ সকালের নাস্তা যদি ওটস খাওয়া হয় তাহলে এটা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরে রাখে এছাড়া সারাদিনের এনার্জি গুলো একসঙ্গে পাওয়া যায়।

সতর্কতাঃ ওটস খাওয়ার নিয়মের ভেতরে আরেকটি বিষয় পরে যে আপনার শরীরের যদি গ্লুটেম এলার্জি থাকে তাহলে ওটস না খাওয়াই ভালো। আর যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা ওট খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওটস তাহলে আপনার যদি অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে আপনি ওটস খাওয়া বন্ধ করুন।

ওটস কিভাবে খেতে হয়

আপনি নিশ্চয়ই ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয় এ বিষয় সম্পর্কে জানার জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন। আপনি ওটস তৈরি করার পর সেই ওটস কিভাবে খাবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে চলুন জেনে আসা যাক। এই পয়েন্টে করার পরে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন কিভাবে আপনি ওটস বানাবেন।
  • আপনি ওটস আগের দিন রাতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতে পারে এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • অনেকেই আবার স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য ওটস এর সঙ্গে আম কিংবা কলা অথবা আপেল সহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম যোগ করে। আপনিও স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য এগুলো যোগ করতে পারেন।
  • ওটস এর সাথে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি মেশিন ও খিচুড়ি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। তবে হ্যাঁ ওটস এর সাথে কোন অবস্থাতেই তিনি মেশানো ঠিক হবে না। ওটস এর সঙ্গে টক দই অথবা মিষ্টি মিশিয়ে আপনি খেতে পারবেন। এছাড়াও স্বাদ বৃদ্ধি করতে মধু দেওয়া যেতে পারে।
  • ওটস এর সাথে পিনাট বাটার,এছাড়াও খেজুর যদি মেশানো হয় তাহলে এর স্বাদ আরও দ্বিগুণ হয়।
  • ওটস এর সঙ্গে যদি ডিমের সাদা অংশ যোগ করেন তাহলে এটা আরো অনেক সুস্বাদু খাবার হতে পারে তাই আপনি এভাবে ওটস খেতে পারবেন।
  • এছাড়াও এর সঙ্গে আপনি দুধ যোগ করেও খেতে পারবেন এতে পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে এবং ফাইবার যোগ হবে।

ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল কিভাবে আপনি ওটস তৈরি করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে। ওর যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার তাই এই খাবারটি আপনাকে তৈরি করতে হবে সঠিক নিয়মে। কিন্তু অনেকেই জানে না ওটস তৈরি করার সঠিক নিয়ম তাই চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

অনেকই ব্রেকফাস্ট এর সময় ওটস খেতে পছন্দ করেন। আমাদের বাংলাদেশেও ইদানিং ওটসএর জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণত ডায়ার মাটিতে ওটস রোপন করলে এটা ভালো ফলন পাওয়া যায়। অনেকেই আবার খামার পদ্ধতিতেও ওটস চাষ করছে। ওটস তৈরি করার নিয়ম হলো এজন্য আপনাকে শুকনো একটা পাত্রের ভেতরে ওটস এবং তেল গরম করে মচমচে করে এটা ভেজে নিন।

এরপর এখানে সবজি অথবা সর্ষের ফোড়ন দিন। এবার যখন সবজিগুলো হয়ে যাবে তখন রোস্টেড ওটস এর ভেতরে ঢেলে দিন। প্যানে জল দিন এবং প্রয়োজনমতো হলুদ এবং নন যোগ করুন। এবার ভালোভাবে এগুলো মেনে নিন এবং ওটসগুলোকে রান্না হতে দিন। আরেকটি বিষয় হলো আপনি যদি সবজি সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন তাহলে এটা তৈরি করতে পারবেন সবজি মিশিয়েও ৷

এজন্য সবজি হিসেবে আপনি যোগ করতে পারবেন মটর, গাজর, শিম থেকে পালং শাক এবং বাঁধাকপিও। আর আপনি যদি ওজন কম করার জন্য ওটস খেতে চান তাহলে প্যাকেটজাত মসলা জাতীয় ওটসের পরিবর্তে আপনি প্লেইন ওটস খেতে পারেন। এর কারণ হলো প্যাকেটজাত ওটস এর ভেতরে চিনে থাকে যেটা আমাদের শরীরে অপ্রয়োজনীয় callery বৃদ্ধি করতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ওটস কি রান্না করে খেতে হয়

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন যে ওটস কি রান্না করে খেতে হয় ? তাই আমরা চিন্তা করেছি আজকে আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব ওটস কি রান্না করে খেতে হবে কিনা সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। প্রথমে বলে রাখি ওটস আপনি খেতে পারবেন রান্না করেও। ওটস দিয়ে স্মুদি,পোরিজ ইত্যাদি তৈরি করেও খেতে পারবেন।

অনেকে আবার এসব খেতে অপছন্দ করেন। অনেকের কাছে আবার ওটস এর তৈরি খিচুড়ি কিংবা ইডলি বেশ পছন্দের একটি খাবার। তবে বেশিরভাগ মানুষই পছন্দ করে থাকেন সকলে ব্রেকফাস্ট এর সঙ্গে ওট খাওয়ার। দিন যত বৃদ্ধি পাচ্ছে সকলে জলখাবারের সঙ্গে ওটস খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন সবার হাতে স্মার্ট ফোন থাকার কারণে গুগলে সার্চ করে মানুষজন নিত্য নতুন রেসিপি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাচ্ছে।

কাজেই আপনি বুঝতে পারছেন ওর আপনি রান্না করেও খেতে পারবেন এতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন জলখাবার হিসেবে ওটস খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ আপনি যদি ওটস ব্রেকফাস্ট এর সঙ্গে খেতে চান বা যেভাবে খেতে চান না কেন এর সঙ্গে দুধ দেওয়ার পরে আপনি চিনি যোগ করতে পারবেন না।

আপনি বিভিন্ন ধরনের সবজি মিছেও ওর খেতে পারবেন। ফল হিসেবে এর সঙ্গে আপনি যোগ করতে পারবেন পিনাট বাটার, বাদাম ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করছি নিশ্চয়ই আপনি বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন যে আপনি রান্না করে ওটস খেতে পারবেন কিনা।

সকালে ওটস খাওয়ার নিয়ম

অনেকেই ওটস খেতে পছন্দ করেন সকালে। কিন্তু জানে না সকালে ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। এতক্ষণ নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়।চলুন তাহলে এবার চিনেন আপনি যদি সকালে ওর খেতে পছন্দ করেন তাহলে সকালে ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
multiplebd-ওটস -কিভাবে- তৈরি -করতে -হয়-ওটস -কিভাবে- খেতে- হয়
  • সারারাত ওটস ভিজিয়ে ডেকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এর সঙ্গে আপনি মধু যোগ করে ওটস খেয়ে উঠতে পারেন।
  • ওটস এ প্রচুর পরিমাণ রেজিস্টান্ট র্স্টাচ পাওয়া যায় এ কারণে সকালবেলাতে ওটস খাওয়া হলে এটা হজম শক্তি বেশি উন্নতি করে।
  • সকালে ওটস খাওয়ার জন্য আপনি এই সময়ের বিভিন্ন ধরনের ফল যোগ করতে পারেন যেমন- কলা, আপেল, আম।
  • পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করার জন্য ওটস এর সঙ্গে আপনি যোগ করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বাদাম। এতে করে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাই।
  • রাতে ভেজানো রাখা উঠছের ভেতরে আপনি কোকো পাউডার যোগ করে খেতে পারেন এতে করে স্বাদ অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
  • সকালের নাস্তা তে ওটস খাওয়ার জন্য এর সঙ্গে আপনি যোগ করতে পারেন পরিমাণ মতো দুধ এতে করে আপনার শরীরে অনেক এনার্জি পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে এর সঙ্গে এক চিয়া সিডও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
  • ওটস এর সাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের সবজি করে সকালবেলা থেকে খিচুড়ি খেতে পারেন। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের সবজি যোগ করে খেতে পারেন তাহলে অনেক পরিমাণ ফাইবার পেয়ে যাবেন যা আপনার হজম শক্তি উন্নত করবে।
  • সকালবেলায় নাস্তা হিসেবে আপনি ওটস খেতে চাইলে এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন এক মুঠো ড্রাই ফুট।
আশা করছি উপরের বিষয়গুলো পড়ে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন সকালবেলা ওটস কিভাবে খাবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে। আপনার রুচি এবং পছন্দ অনুযায়ী আপনি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে এগুলো খেতে পারেন। তবে সব থেকে বেশি উপকার পেতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারের সকালের জলখাবার হিসেবে আপনি ওটস খেতে পারেন।

রাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা জানবো রাতে ওটস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। ওটস অনেকেই রাতে খেয়ে থাকি এজন্য জানতে হবে খাবার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি রাতের সময় সঠিক নিয়মে কোর্টস না খেয়ে থাকেন তাহলে এটা আপনার শরীরে অনেক বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন তাহলে সঠিক নিয়ম জেনে আসা যাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ওটস এর ভেতরে রয়েছে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যেটাকে বলা হয় ট্রিপটোফান। এর জন্য রাতে ওটস খাওয়া হলে এটা স্নাইয়ুর উপরে এক ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য বেশি পরিমাণ না খাওয়াই ভালো। তবে হ্যাঁ রাতে ওটস খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যখন ইচ্ছে তখন আপনি খেতে পারবেন।

আপনি যদি রাতের সময়ে ভাড়ি মিল হিসেবে ওটস খেতে চান তাহলে আপনি খিচুড়ি অথবা এর সঙ্গে মিষ্টি বা টক দই যোগ করেও খেতে পারবেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন রাতের সময় যদি আপনি প্রয়োজনের বেশি অধিক পরিমাণে ওট খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা আপনার পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তাই অবশ্যই প্রয়োজনমতো খেতে হবে।

শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো

আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়। অনেকে জানতে চেয়েছেন শিশুদের জন্য কোন ওটস ভালো হবে। তাই আমরা ভেবেছি আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব শিশুদের কে আপনি কোন ওটস খাওয়াতে পারেন।

বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ওটস পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু বাচ্চাদের জন্য সব ধরনের কিন্তু উপকারী না। এমন কিছু ওটস আছে যেগুলো বাচ্চাদের না খাওয়াই ভালো তাই অবশ্যই আপনাকে বাচ্চাদেরকে সঠিক ওটস খাওয়াতে হবে। যেসকল ওটস এর এর ভেতরে লবণ এবং চীনের মাত্র একেবারে কম আপনারা বাচ্চাদেরকে এ ধরনের ওটস খাওয়াতে পারেন।

এর কারণ হলো যদি আপনি লবণ এবং অতিরিক্ত চিনি জাতীয় ওটস আপনার শিশুকে নিয়মিত ভাবে খান তাহলে বাচ্চার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু ডায়াবেটিক এমন কি কিডনি রোগ হওয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই আপনার শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে আপনি রোলড ওটস খাওয়াতে পারেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ওজন কমাতে কোন ওটস ভালো

আপনি যদি ওজন নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন আর ওজন কম করার জন্য যদি ওটস খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ওজন কমাতে চাইলে কোন ওটস আপনার জন্য ভালো। কিন্তু অনেকেই জানে না ওজন কমানোর জন্য কোন ওটস খেতে হবে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য ওটস খেতে চান তাহলে।

আপনি প্যাকেটজাতিয় মস্তাদার ওটস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন বরং এর পরিবর্তে আপনি খান প্লেইন ওটস। এতে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী গুণগুলো পেয়ে যাবেন এবং ক্ষতি থেকেও বিরত থাকতে পারবেন। আরেকটি বিষয় হল আপনি যদি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ওটস খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসবে। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন ওজন কম করার জন্য আপনি খেতে পারেন প্লেইন ওটস।

ওটস খাওয়ার উপকারিতা

আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়। অনেকেই জানিনা ওটস খাওয়ার উপকারিতা কি। আপনারা যারা ওটস খেতে পছন্দ করেন না তারা যদি এ সকল উপকারী দিকগুলো জানেন তাহলে ওটস খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন।
multiplebd-ওটস -কিভাবে- তৈরি -করতে -হয়-ওটস -কিভাবে- খেতে- হয়
ওটস খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ কিংবা নিম্ন দুই ধরনের রক্তচাপ ই কিন্তু ক্ষতিকর। এজন্য আমাদেরকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওটস খাওয়া হলে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া মানসিক চাপ এবং হাইপারটেনশন এর ঝুঁকিও কমায়।
  • কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওটস এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে আছে নামক এক ধরনের বিশেষ ফাইবার। এজন্য আপনি যদি প্রতিদিন তিন গ্রামের মতো ওটস খান তাহলে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্র কম হতে পারে।
  • হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ হার্ট আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনি যদি ওটস খান তাহলে এটা আপনার হার্ট ভালো রাখতেও অন্য এক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এখানে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করবে যে কারণে হাটের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে খুব সহজে আমরা অসুস্থ বোধ করি এজন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি ওটস খেতে পারেন। কারণ ওটস এর ভেতরে থাকা বেটার গুলো টেন আমাদের শরীরে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে বিরত তা রাখে ও শরীরের রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ ওটস খাওয়ার অন্যতম একটি উপকারের দিক হচ্ছে আপনি যদি নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মতো এটা খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখবে। বিশেষ করে লো ক্যালরি এবং সুগার ফ্রিজে হওয়ার কারণে এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনি নিয়মিতভাবে ওটস খেতে পারেন।
  • হজমে সাহায্য করেঃ হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ওটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজম সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা ওটস খাওয়া শুরু করে দিন। ওটস এর ভেতরে রয়েছে ফাইবার যেটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এছাড়াও লিভারের জন্য বেশি উপকারী।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ওটস খাওয়া হলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে যে কারণে ঘনঘন খাবার প্রয়োজন হয় না। ব্রেকফাস্ট এর সঙ্গে যদি আপনি একবারটি ওল্ড মিল্ক খেতে পারেন তাহলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত আপনার পেট ভরা থাকবে এছাড়া প্রয়োজনীয় এনার্জি পেয়ে যাবেন।

ওটস খাওয়ার অপকারিতা

ওটস খাবার যেমন অনেক উপকারী দিক আছে ঠিক তেমনি কিছু অপকারী দিক আছে। তাই আপনি যদি ওটস খেতে পছন্দ করেন বা ওটস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে সে বিষয় সম্পর্কে এবার জেনে আসা যাক।
  • এলার্জিঃ অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ওটস খাওয়া হলে অ্যালার্জি সমস্যা তৈরি হয়। যেসব কারণে তোকে ফুস করে বের হয় তোকে লাল হয়ে যায় এমনকি চুলকাতে থাকে। তাই এমন সমস্যা যদি কারো থেকে থাকে তাহলে ওটস খাওয়ার পড়বে অবশ্যই এলার্জি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
  • উচ্চ ফসফরাস সামগ্রীঃ ওটস এর ভেতরে অনেক পরিমাণ ফসফরাস থাকার কারণে কিডনির সমস্যায় যারা আক্রান্ত তাদের জন্য এটা অনেক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ফসফরা যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে এটা খনিজের ভারসাম্য হয় না তো তৈরি করবে এবং কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ করে তুলবে।
  • রক্তে শর্করা পরিমাণ বৃদ্ধিঃ আপনি যদি খুব বেশি পরিমাণে ওটস খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা আপনার শরীরের রক্তের সরকারের মাত্রা কি আর অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলবে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তি আছেন তারা যদি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভেবে থাকেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাদের জন্য কিন্তু ওটস খাওয়া হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • হজমের সমস্যাঃ ওটস প্রাকৃতিকভাবে গোল্ডেন মুক্ত হলেও অনেকের ক্ষেত্রে ওট খাওয়া হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ওটস প্রক্রিয়া আজাদ করার সময় এর ভেতরে বিভিন্ন ধরনের গম কিংবা বাড়লে ইত্যাদির মতো গণতন্ত্র হচ্ছে যে কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে এটা এটা প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কখনো কখনো আবার ফোর্স এর ভেতরে উচ্চ ফাইবার উপাদান থাকার কারণে পেটে হজম সমস্যা পেট ফাঁপা গ্যাস ইত্যাদি তৈরি হয়।

আমাদের পরামর্শ

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার নিশ্চয়ই জেনে গেছেন ওটস সম্পর্কে বিস্তারিত। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি যদি ওর থেকে বেশি পুষ্টিগুণ পেতে চান তাহলে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ না পাওয়াই ভালো। আর্টিকেলটি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়। আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, এ ধরণের তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url