সেরা ৫টি মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়-কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে

সেরা প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়আপনার মাথার সামনে থেকে যদি অনেক পরিমাণে চুল উঠে যায় তাহলে মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় গুলো জানা  আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। তাই অবশ্যই আপনার জন্য আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। তাই অবশ্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
multiplebd-মাথার-সামনের-চুল-গজানোর-উপায়
আপনারা যারা মাথাতে চুল গজানো সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারে যাবেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়। চলুন তাহলে দেরি না করে এ বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে আসি।

ভূমিকা

মাথা থেকে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠে যায় আর যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে এটা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আপনার মাথাতেও যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে কি কি উপায় মেনে চললে মাথাতে চুল গজাবে সে উপায় গুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে পেরে যাবেন চুলের গোড়া শক্ত করার উপায় গুলো।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আপনার মাথাতে যদি সামনে চুল না গজায় তাহলে মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানাটা জরুরী। কিন্তু এর পাশাপাশি আপনাকে মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে হবে তাহলে কিন্তু চুলগুলো ভালোভাবে গজাবে। কিন্তু অনেকেই জানে না কিভাবে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করা যায়। চলুন তাহলে জেনে এসে যা অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো।

  • মাথায় অতিরিক্ত গরম পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকুনঃ বিভিন্ন সময় দেখা যায় অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে কিন্তু মাথাতে অতিরিক্ত পরিমাণ গরম পানি দিলে এটা কিন্তু আত্মা চুলের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার না করে স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করুন।
  • পুষ্টিকর খাবারঃ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি কিন্তু এটা আমাদের মাথার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ভিটামিন এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া হলে এটা চুলের গরম মজবুত রাখে এবং চুল পড়া সমস্যা দূর করে। এজন্য শীতের মৌসুমে যে সকল ফল এবং শাকসবজিসহ পুস্তিকার খাবার পাওয়া যায় এগুলো বেশি বেশি খান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব সহজেই আপনার চুলকে সুরক্ষিত রাখবে।
  • শীতের ময়েশ্চারাইজারঃ বিশেষ করে শীতকালীন সময় এমন উপাদান গুলো ব্যবহার করবেন যেগুলোতে আপনার জন্য ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। যে সকল প্রোডাক্ট কেমিক্যাল যুক্ত এগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বিকল্প হিসেবে আপনি হেনা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
  • তেল দিয়ে চলে ম্যাসাজঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল যুক্ত তেল ব্যবহার না করে আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল তেল ইত্যাদি। অনেকে আবার এই তেল গুলো এক সঙ্গে মিশ্রণ করে বলে মেসেজ করে আপনি চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে হ্যাঁ তেল দেওয়ার পরের দিন গোসল করার সময় আপনি শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন।
  • চুলে হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুনঃ এখন অনেকেই আছেন যারা চুলে স্টাইল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হিট মেরে থাকে। আপনারও যদি এমন অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আজকে থেকে এটা ত্যাগ করুন। এর কারণ চুলে যদি হিট দেওয়া হয় তাহলে চুল আরো শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলের গোড়া আরো খারাপ হয় যে কারণে হিট দেওয়া যাবে না।
  • কেমিক্যাল বন্ধ করুনঃ অনেকেই আবার তুলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু চুলের জন্য এ সকল কেমিকাল একদমই ঠিক না। এজন্য চুলে যে সকল শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন এগুলো যেন সালফেট মুক্ত হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
  • ডিমের মাসাজঃ নাসা তো চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে আপনার কিন্তু ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিমে থাকো অতিরিক্ত প্রোটিন চুলের গোড়া কেক মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়। একটা ডিমের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়েও একটা ভালো ফ্যাট তৈরি করেও সেটা কিন্তু চলে ব্যবহার করা যায়। এজন্য আপনি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে করে চুল পড়া কম হবে।

চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়

নরম থাকার কারণে কিন্তু বিভিন্ন সময় খুব সহজে মাথা থেকে চুল উঠে যায়। যে কারণে মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে চুলের গোড়া কিভাবে শক্ত করা যায়। এখন আমরা আলোচনা করব এমন কিছু কার্যকারি টিপস নিয়ে যেগুলো মেনে চললে আপনি চুলের গোড়া খুব সহজেই শক্ত হবে। চলুন জেনে আসা যাক সেই উপায়গুলো।
  • চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনি যে সকল খাবারে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ আছে সে খবর গুলো বেশি বেশি করে খাবেন।অনেক সময় দেখা যায় ভেজা চুল আমরা আছড়িয়ে থাকি কিন্তু চুল পড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু এটি হতে পারে। দেখা যায় যে ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকার কারণে চুল আছড়ানোর সময় অনেক চুল উঠে যায় তাই আপনার চুল শুকানোর পরে মাথাতে চুল আঁচড়াবেন।
  • চায়ের সঙ্গে যদি সবুজ পাতা প্রতিদিন মাথাতে ঘসা হয় তাহলে কিন্তু চুল পড়া বন্ধ হবে এবং এর পাশাপাশি চুলের গোড়াও শক্ত হবে।
  • ব্যায়াম করার ফলেও কিন্তু হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকার কারণে চুলের গোড়া শক্ত হতে পারে।
  • চুলের গোড়ার শক্ত করার জন্য বিশেষ করে আমাদের প্রতিদিন অনেক পরিমাণে পানি খেতে হবে। আনিস যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি চুলের গোড়াও শক্ত করে।
  • আদার তেল কিন্তু বাজারে কিনতে পাওয়া যায় আপনি আদার তেল যদি চুলের গোড়াতে মাখেন এবং ম্যাসাজ করেন তাহলে কিন্তু চুলের বড় শক্ত হবে এবং মোটা হবে। পাশাপাশি আপনার মাথাতে নতুন চুল গজাতেও ভূমিকা রাখবে।
  • অনেকের মতে পেঁয়াজের রস যদি মাথায় লাফানো হয় তাহলে কিন্তু চুলের ঘরে শক্ত হয় এবং চুল বড় অনেকটাই কমে যায়।
  • চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য আপনি অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে চুলের গোড়া মোটা এবং শক্ত হয়।
  • চুলের ক্ষেত্রে আমলকির যত উপকারিতা রয়েছে এটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন তাই আপনি আমলকি ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য আপনি জবা ফুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই তেল যদি মাথাতে ব্যবহার করা হয় তাহলে গরম সপ্তাহ এবং মোটা হয় পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়। অপেক্ষার প্রহর শেষ এখন আমরা সরাসরি জেনে নিব মাতাল সামনে চুল কিভাবে গজাবে সে উপায় গুলো সম্পর্কে। মাথাতে যখন অতিরিক্ত পরিমাণ চুল উঠে আর যদি নতুন চুল না গজায় তাহলে এটা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক সমস্যাদায়ক।চলুন তাহলে জেনে আসা যাক উপায় গুলো।

পেঁয়াজের রস ও অ্যালোভেরা জেল

মাথার সামনে চুল গজাতে অনেক উপকারে একটি উপায় হচ্ছে পেঁয়াজের রস এবং অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা। কেয়া যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এটা খুব সহজে চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং মাথার সামনের অংশ চুল গজাতে অনেক ভূমিকা রাখে। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে যদি অ্যালোভেরা জেল যোগ করে মাথাতে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

এজন্য মাথার যে অংশে আপনার চুল পড়ে ফাঁকা হয়ে গেছে সেখানে আপনি ঘন্টাখানেক লাগিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকার পেয়ে যাবেন।

অলিভ অয়েল ও রসুনের রস

অলিভ অয়েল তেলের সঙ্গে যদি এক কোয়া রসুন যোগ করে হালসে গরম পানিতে যদি গরম পড়ে চুলের গোড়াতে মেসেজ করা হয় তাহলে এটা কিন্তু অনেক উপকারী। মাথাতে চুল পড়া সমস্যা দূর করে নতুন চুল গজাতে অনেক ভূমিকা রাখবে এই প্যাকটি। মাথাতে চুল গজানোর জন্য আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এটা ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল তেলে যে হাইড্রোজেন রয়েছে এটা কিন্তু ইউনিটি ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

ক্যাস্টর অয়েল

আপনি নিশ্চয় শুনেছেন ক্যাস্টর অয়েল এর নাম। মাথাতে নতুন চুল গজাতে কিন্তু এর থেকে ভালো উপাদান খুব কমই রয়েছে। আপনাদের যাদের মাথাতে নতুন চুল গজায় না তারা এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের ভিতরে আছে রিসিনলেইক যেটা চুল গজাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আপনি এক থেকে দুই চামচ এই কাস্টর অয়েল তেলের সঙ্গে তিনটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করতে পারেন।

ক্যাস্টর অয়েল এর সঙ্গে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল গুলো ভালো করে মিশে সেটা আপনার চুলে মাসাজ করুন। এভাবে একদিন দেখে পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন।

আলুর প্যাক

নতুন চুল গজাতে সপ্তাহে একদিন আপনি মাথাতে আলোর ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসকরা অনেক সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে চুল গজাতে আলুর প্যাক ব্যবহার করতে। এই প্যাকটি বানানোর জন্য দুইটা মাঝারি সাইজ আলুর সঙ্গে আপনি এক চা চামচ মধু এবং একটি ডিম নিন।

আলু থেকে রস বের করে নিয়ে তার সঙ্গে ডিমের কুসুম এবং মধ্যযুগ করে ভালো করে জল দিয়ে মিশিয়ে সেটা আপনার চুলে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু করে ভালো করে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস

মাথাতে চুল গজানোর জন্য যে উপায়গুলো আছে তার উপর একটি অন্যতম হচ্ছে মাথাতে পেয়াজের রস ব্যবহার করা। পেঁয়াজের রসে থাকে সালফার যেটা নতুন চুল গজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাথাতে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার জন্য প্রথমে একটা পেজ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন এবার এখান থেকে রস বের করে সেটা আপনার তুলে ভালো করে মেসেজ করে লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর দেখে নিন উপকারিতা গুলো।

কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে

অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তাই আজকে রাতে তোদের এই পর্বে এসে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো কোন ভিটামিন আপনার মাথাতে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। প্রথমে বলতে হয় যে ভিটামিন আমাদের দেহের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

শরীরের পাশাপাশি চুল বাঁধা রাখতে ও কিন্তু ভিটামিন খুব জরুরী। মাথা টেনশন পড়া সমস্যা দূর করতে এবং নতুন চুল গজাতে কিন্তু ভিটামিন এ এর রয়েছে দারুন ভূমিকা।। ভিটামিন এ ফ্রী রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং খুব সহজেই চুলের চিটচিটে ভাব কম করবে। এজন্য মিষ্টি আলু,গাজর, পালং শাক, পেঁপে ইত্যাদি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে পারেন।

এর পাশাপাশি ভিটামিন বি চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। শশা বাদাম বাওনপাতা সবচেয়ে গুরুত্বের ভিটামিন বি এ পাওয়া যায় এজন্য আপনি এগুলো খেতে পারেন। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে চুলের সাহায্য করবে গবেষণা বলছেন যারা কমপক্ষে টানা ৮ মাস ভিটামিন ই খায় তাদের চুলের বৃদ্ধি অনেক গুণ বেড়ে যায়। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়। অনেকের পক্ষে চুল পড়া সমস্যা দূর করার জন্য টাকা দিয়ে চিকিৎসা করা কিন্তু সামর্থত হয় না। এজন্য আপনারা চাইলে কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ও। চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
multiplebd-মাথার-সামনের-চুল-গজানোর-উপায়
১. নারিকেল দুধ ব্যবহার

নারিকেলের তেলের পাশাপাশি কিন্তু চুলের যত্নে নারিকেল দুধু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চুলে যদি এটা ব্যবহার করেন তাহলে চুল পড়া সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি চুল দূরত্ব লম্বা করতেও রাখবে অনেক ভূমিকা। এজন্য একটা নারিকেল কেটে সেটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে, সুতির কাপড় দিয়ে নারকেল দুধ বের করে তা হালকা গরম করে মাথাতে ম্যাসাজ করুন। মাথাতে লাগানোর ১ ঘন্টা পরে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এভাবে ব্যবহার করুন দেখে নিন সুবিধাগুলো।

২. মেথির ব্যবহার

ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অন্যতম একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে মেথির ব্যবহার। উত্তরপাড়া দূর করতে রয়েছে এর জাদুকরী ভূমিকা। শুধু তাই নয় বরং চুল পড়া সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি চুল করে আরো লম্বা এবং শক্তিশালী। মেথিতে আছে পর্যন্ত পরিমাণ প্রোটিন যেটা মাথায় ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে এছাড়াও ভিটামিন সি এবং পরটাসিয়াম সহ আয়রন থাকার কারণে চুলের অকালপক্কতা অনুরোধ করবে।

সেই সঙ্গে আপনার চুল করে তুলবে ঘন এবং মসৃণ। এই পেক ব্যবহার করার জন্য আপনি দুই চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরদিন সকালে মেথি বেটে তার সঙ্গে দুই থেকে তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে এটা আপনার মাথাতে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধরে ফেলুন।

৩. নিম পাতার ব্যবহার

ত্বকের যত্নে এবং চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। নিমপাতাতে যে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকে এটা আমাদের ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বকে অনেক উপযুক্ত ভূমিকা রাখবে। মাথার ত্বক ভালো থাকলে কিন্তু আমাদের চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হবে এবং চুল ভালোভাবে গজাবে। আপনারা যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন তারা আজকে থেকে নিম পাতার প্যাক ব্যবহার করুন।

১০ থেকে ১২টি নিমপাতা এবং এর সঙ্গে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল মাখিয়ে নিন। নিম পাতাগুলো অবশ্যই আপনাকে ভালো করে বেটির রস বের করে নিতে হবে এবং সেই রহস্যের সঙ্গে নারিকেল তেল যোগ করে মাথাতে এবং চুলে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পরে ভালো করে শ্যাম্পু ধুয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. তুলসীর হেয়ার প্যাক

তুলসীর ভিতরে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেটা আপনার মাথাতে চুল মজবুত করাটা পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও অনেক ভূমিকা রাখবে এবং এর পাশাপাশি চুল পড়া সমস্যা কম করবে। চুলের গোড়ায় শক্তি করার পাশাপাশি চুল পড়া কমাতে চাইলে আপনি তুলিসির হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

এই প্যাকটি চুলের গোড়াকে মজবুত করবে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করবে। তুলসী পাতার সঙ্গে একটা ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে তার সঙ্গে অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে আপনার চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মত।

৫. আমলকি ও লেবুর রস

ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে আমলকি ও লেবুর রস। আপনার চুলের গোড়াতে যদি এটা মাখিয়ে রাখেন তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। আমলকি হচ্ছে ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি উৎস যে কারণে মাটিতে খুশকি দূর করবে এটি। এক চা চামচ আমলকি পাউডার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে ঘন পেস্ট তৈরি করে আপনার মাথাতে আধা ঘন্টার মত লাগিয়ে রাখুন। এবং তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন আর উপকারিতা গুলো দেখে নিন।

কি কি খাবার খেলে চুল গজায়

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন চুল গজাতে সাহায্য করে এমন খাবার কোনগুলো। এই পর্বে এসে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো কি কি খাবার খেলে চুল গজায়। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিন আপনার মাথাতে যদি চুল না গজায় তাহলে দ্রুত চুল গজাতে আপনাকে কি কি খাবার খাবেন।
  • বাদামঃ বাদামের মতো পোস্টটি সময় তো খাবার কিন্তু কমই রয়েছে। বাদামের ভেতরে রয়েছে ফ্যাটি এসিড সহ বায়োটিন এবং ভিটামিন এ যে কারণে চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এটা অনেক সাহায্য করবে। এজন্য আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বাদাম খেতে পারেন।
  • শসাঃ শসা তে আছে প্রচুর পরিমাণে সালফার এবং সিলিকন। আমাদের মাথাতে চুল বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান হলো সালফার এবং সিলিকন। যেটা খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন শসা থেকে। তাই অবশ্যই প্রতিদিন আপনি কিছু পরিমাণে শসা খেতে পারেন।
  • চিনা বাদামঃ চিনা বাদামে জিংক এবং ভিটামিন ইস্ট সহ রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যে কারণে চুলের বৃদ্ধিতেও রয়েছে এর গুন। আপনার মাথাতে যদি চুল না গজায় তাহলে আপনি মাথাতে চুল গজানোর জন্য চিনা বাদাম খেতে পারেন।
  • সজনে ডাটাঃ সবজির ভেতরে কিন্তু সজনে ডাটা খুবই চমৎকার এবং সুস্বাদু একটি খাবার। দুপুরের খাবারের সাথে অথবা ডালের সঙ্গে সবজি কিন্তু খুবই মুখরোচক। খোঁজ নিতে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থ সহ রয়েছে অনেক ভিটামিন সি কারণে এটা আমাদের চুলের ফলিকল সুস্থ রাখার মাধ্যমে চুল গজাতে ভূমিকা রাখে।
  • তিল ও জিরাঃ আপনি যদি জানতে চান মাথাতে চুল গজাতে কি কি খাবার খাবেন তাহলে আমি আপনাকে বলতে পারে তিল ও জেলা খাওয়া শুরু করুন। কারণ আমাদের মাথায় চুলের বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় যে হরমোন দরকার সেটা কিন্তু জিরহাট বীজ এবং তিল থেকে খুব সহজে পাওয়া যাবে। তিলের বিজি থাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ আমাদের মাথার চুল বৃদ্ধিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায়

আজকের পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়। অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনার মাথার সামনের চুল গজাবে। অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন যে মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায় কি। তাই এখন আমরা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো।
multiplebd-মাথার-সামনের-চুল-গজানোর-উপায়
  • আপনার মাথাতে নতুন চুল গজানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনার কর্ণেও হচ্ছে আপনার মাথা কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে যাতে করে চুল পরিষ্কার থাকে। সেইসাথে নিয়মিতভাবে চুল আচরণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • সপ্তাহে একবার মাথাতে মেহেদি পাতার রস বা আমলকির রস ব্যবহার করুন আপনার চুলে। দুপুরের চুলের ঘরে শক্ত হবে এবং চুল ঝরে যাওয়ার পরিমাণ কম হবে নতুন চুল করাতে সাহায্য করবে।
  • আপনার মাথাতে চুলের গোড়ায় ভালো করে আপনি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে মাথাতে লাগে রেখে তার মিনিট 30 রেখে দিন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখুন আপনার মাথাতে নতুন চুল গজানো শুরু হবে যাবে।
  • সাধারণত ক্যারোটির নামক এসিড চুলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যেসব খাবারে পর্যন্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড আছে এই খাবার গুলো আপনি খাওয়া শুরু করুন।
  • আপনার মাথাতে নতুন চুল গজানোর জন্য মাথা থেকে কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহের তিন দিন ব্যবহার করে নিজের চোখে উপকার গুলো দেখে নিন।
  • ভিটামিন ই কিন্তু চুলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেই কারণে আপনার ভিটামিন এ মাথাতে মাসাজ করতে পারেন।

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ

বর্তমান সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে খুব অল্প বয়সেই অনেকের মাথাতে চুল উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি কি জানেন অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ কি ? অল্প বয়সে যদি মাথা থেকে চুল উঠে যায় তাহলে দেখা যাবে এক সময় মাথাতে চুলের পরিমাণ খুবই কম হয়ে গিয়েছে যেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণগুলো যদি আপনি জানতে পারেন।

তাহলে সচেতন থাকার ফলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়ার ফলে কিন্তু এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। তাই আমাদেরকে ভালোভাবে জানতে হবে অল্প বয়সে কেন আমাদের মাথা থেকে চুল পড়ে। অল্প বয়সে চুল পড়ার প্রধান যেটা কারণ সেটা হচ্ছে মানসিক অশান্তি। মানসিক অশান্তির ফলে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি কিন্তু চুলের অনেক ক্ষতি হয়।

এর পাশাপাশি অপুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং দুশ্চিন্তাসহ বিষণ্ণতার শিকার হলেও কিন্তু চুল পড়ে যেতে পারে। এগুলোর পাশাপাশি কিডনির অসুখ, জ্বর, লিভার এবং কেমথেরাপি নেওয়ার কারণেও কিন্তু রক্তস্বল্পতা কিছু ওষুধ যেগুলোর কারণেও কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় মাথা থেকে চুল পড়ে যায়। এছাড়াও মাথাতে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে খুশকি হয়।

এবং চুলে উকুনের সৃষ্টি হয় তখন কিন্তু মাথা থেকে চুল পড়ে যায়। ভাই আপনি সব সময় মাথা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। বর্তমান সময়ে এসে সমাজ দূর করার সময় ধরে রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে যেটা তাদের মানসিক চাপের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মানসিক চাপ বেশি হচ্ছে তার প্রভাব কে পড়ছে চুলে।

সকালের নাস্তা না করা এবং অতিরিক্ত পরিমাণে যখন পাসপোর্ট খাওয়া হয় এবং সবজি ও ফরমাল জাতীয় খাবার না খাওয়া হয় তখন কিন্তু অপুষ্টি সৃষ্টি হয়। এজন্য মাথা থেকে চুল পড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পোষ্টিকর খাবার খাবেন এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকবেন।

লেখক এর মতামত

আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আপনি কি জানিয়ে দিয়েছি মাথার সামনে কিভাবে আপনার চুল গজাবে সেই উপায়গুলো। আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবুও যদি কথা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনার মাথা থেকে যদি চুল বেশি পরিমাণে উঠে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পেরেছেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় গুলো। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো প্রতিনিয়ত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url