সঠিক নিয়মে জানুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে করণীয়আপনি যদি না জেনে থাকেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন
কিভাবে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করা
হয়েছে এ সকল বিষয় নিয়ে। আপনারা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে জানেন
না তাদের জন্য আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এছাড়াও আজকের
আর্টিকেল টি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন অনলাইনে ড্রাইভিং
লাইসেন্সের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্ক।
তাই অবশ্যই আপনার অজানা এবং গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন আর জেনে নিন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
সম্পর্কে বিস্তারিত। সকল তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
সূচিপত্র
ড্রাইভিং লাইসেন্স আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রাস্তাঘাটে
চলাফেরা করতে গেলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকে জানে
না কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে হয় এবং কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক করতে হয় যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের পুরো আর্টিকেলে। স্যার আর্টিকেলটি
পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি দরকার হয় এবং কত
টাকা খরচ হয় সে বিষয় সম্পর্কেও।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন প্রথমে
জেনে আসা যাক আপনি কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন। অনেকেই ভেবে থাকেন ড্রাইভিং
লাইসেন্স পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এজন্য অনেকেই আবার দালালের মাধ্যমে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে।
তাই আপনি দালালের কাছে না গিয়ে নিজেই করতে পারবেন নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স। চলুন
তাহলে প্রথমে জেনে আসা যাক কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনি করতে পারবেন।
আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে এজন্য আপনাকে অনলাইনে
নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সেখানে আপনাকে আপনার এন আইডির যে তথ্যগুলো আছে সেই
তথ্যগুলো দিয়ে সঠিকভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করা লাগবে।
তারপর কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার স্থান হিসেবে যেস্থান নির্বাচন করে দেবে আপনাকে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেখানে উপস্থিত হতে হবে নির্ধারিত সময়ের ভিতরে। চলুন এ বিষয়ে
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- সর্বপ্রথম আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য বিআরটিসি-র যে অনলাইন সার্ভিস পোর্টাল আছে সেখানে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনকারীকে তার এন আই ডি আর কার্ড ব্যবহার করে একটা ইউজার একাউন্ট বানাতে হবে।
- আপনার ইউজার প্রোফাইলে গিয়ে আপনার জেলা আপনার বিভাগ এবং থানাসহ অবশ্যই যে সকল তথ্য চাইছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। সাধারণত এই থানার উপর ভিত্তি করেই আবেদনকারী স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনটি নিকটস্থ সংশ্লিষ্ট বি আর টি সার্কেল অফিসের যুক্ত হয়।
- তারপর নির্ধারিত দিনে অন্যান্য ডকুমেন্টস সহ যে সকল তথ্য চাইছে সেগুলো নিয়ে আপনাকে সহজ শরীরে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে এবং বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো দিতে হবে।
- তারপর আপনি কি পরীক্ষা দিতে হবে আর এটা সর্বোচ্চ এক কর্ম দিবসের ভিতরেই বিআরটি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় ফলাফল যেটা অনলাইনে আপলোড সহ আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল নেওয়া যায়।
- আপনারা যারা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ড্রপ টেস্ট রিপোর্ট স্ক্যান করে সেটা আপলোড করতে হয়।
- প্রত্যেক আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো যদি সংযুক্তিসহ সঠিক তথ্য পাওয়া যায় তখন সেটা অনুমোদনের জন্য প্রদান করা হয়।
- অনুমোদনের পর আবেদনকারী খুব সহজেই তার একাউন্টের জন্য অটো জেনারেট স্ক্রীপ পিন করার অপশন পেয়ে যাবে। এরপর সেটা স্মার্ট কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত সিলেটি প্রিন্ট করার মাধ্যমে গ্রাহক তার নিজের কাছে অনুসরণ করতে পারবেন এবং গাড়ি চালানোর কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন।
- পড়াতে সময় যখন স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিক কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে তখন আবেদনকারী খুব সহজেই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শর্তাবলী
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। এজন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স
পাওয়ার জন্য এ সকল যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে। চলুন জেনে নিন আপনি যদি ড্রাইভিং
লাইসেন্স পেতে চান তাহলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে বা আপনার কি কি যোগ্যতা
থাকতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তিকে অবশ্যই অন্ততপক্ষে JSC অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণী পাস হতেই হবে। কিন্তু যখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা হয় তখন এসএসসি, এইসএসসি দেখানো হয়ে থাকে।
- শিক্ষানবিশ বা লার্নার লাইসেন্স।
- প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বয়স হতে হবে ২১ বছর।
- আর আপনি যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার বয়স ১৮ হলেই হবে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য বিভিন্ন রকম নিয়ম আছে তার ভিতরে একটি হলো
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক। আমাদের আজকের আলোচনার প্রধান
বিষয়বস্তু ছিল এ বিষয় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন কিভাবে আপনি
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন।
- আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি যদি আপনি মোবাইল নাম্বার দিয়ে চেক করতে চান তাহলে এজন্য সবার প্রথমে আপনাকে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে যেতে হবে।
- এবার মেসেজ অপশনে গিয়ে আপনাকে DL রেফারেন্স নম্বরটি টাইপ করতে হবে।
- এবার পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনার সে মেসেজটি পাঠাবেন 26969 নাম্বারে।
- উপরের বর্ণিত কাজগুলো যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তারপর দেখবেন কিছু মিনিটের ভিতরেই আপনার ফোনে একটা মেসেজ এসেছে।
- এবার এই মেসেজটি মনোযোগ দিয়ে খুব ভালোভাবে পড়ুন দেখবেন এখানে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া আছে।
আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু ড্রাইভিং
লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে এ সকল সত্যগুলো আপনাকে পূরণ করতে
হবে। আপনি যদি জানতে চান ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া শর্তাবলী কি কি তাহলে
নিচের অংশটি পড়ুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পর সেটা চেক করতে হয় যে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে
কিনা। আপনি চাইলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আবেদন করতে হয়
আর ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য কিছু কাগজপত্র দরকার হয়। চলুন তাহলে
বিস্তারিতভাবে জেনে নিন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি দরকার হবে।
- যে ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছে অর্থাৎ প্রার্থীর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য ৩০০*৩০০ পিক্সেল সাইজ এর ছবি লাগবে যেটা হতে হবে ১৫০ কিলোবাইট এর ভেতরে।
- এরপর আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন কিংবা পাসপোর্ট এর কপি লাগবে।
- আবেদনকৃত ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিদ্যুৎ গ্যাস অথবা পানি বিলের কপি।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আবেদন ফ্রি দিতে হবে আবেদন কিনা দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না।
- রেজিস্টার্ড কোন চিকিৎসকের কাছ থেকে তার স্বাক্ষরকৃত আবেদনকৃত ব্যক্তির জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট। আর এই মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ফরমেট স্ক্যান কপি প্রয়োজন হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
আমি আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন কিভাবে
আপনি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবেন। অনেকে আমাদের কাছে
প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কত টাকা লাগে। আপনিও
যদি না জেনে থাকেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয় তাহলে চলুন
বিস্তারিত জেনে নিন।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফিঃ
- ক্যাটাগরি-১ যে সকল যানবাহন রয়েছে এগুলোর জন্য লাইসেন্স ফি ৫১৮ টাকা। যেমন কার এর ক্ষেত্রে।
- ক্যাটাগরি -২ যেমন - মোটরসাইকেলের জন্য লাইসেন্স ফি হয় ৭৪৮ টাকা।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ফিঃ
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং এর সঙ্গে ৫ বছর নবায়ন ফি সহ ১৬৮০ টাকা।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ১০ এর জন্য নবায়ন ফি,এক্ষেত্রে মোট ফি ২৫৪২ টাকা।
- কেউ যদি আন্তর্জাতিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে আবেদন ফি ২৫০০ টাকা।
বিআরটিসি সার্ভিস পোর্টালের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর দক্ষতা যাচাই করার জন্য যে
সকল পরীক্ষা নেওয়া হয় তার ফলাফল এবং এর জন্য নির্ধারিত ফিঃ
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ১০ বছর মেয়েদের জন্য আবেদন ফি ৪৪৯৭ টাকা
- পেশাদার ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৫ বছর মেয়াদি আবেদন ফি ২৭৭২ টাকা।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যদের কারণে ঘরে বসেই খুব সহজে আপনি
অনলাইনের মাধ্যমেও ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে পারবেন। আপনারা যারা এখনো
জানেন না কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করবেন চলুন তাহলে
এ পর্যায়ে সে বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
আপনি যদি অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে
এমন একটি ডিভাইস হাতে নিতে হবে যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে। তারপর
শুরুতেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য অফিশিয়াল যে ওয়েবসাইট
রয়েছে সেখানে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। অর্থাৎ আপনাকে যেতে হবে BSP
PORTAL ওয়েবসাইটে।
সেখানে গিয়ে আপনাকে লার্নার কার্ডের জন্য একটি আবেদন করতে হবে। তারপর আপনাকে
কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দিবে। সেই তারিখে আপনাকে নির্ধারিত স্থানে
উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক টেস্টি সম্পন্ন করে নিতে হবে। বিগত সময়ে অনলাইনে
আবেদন করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য যেমন ভাইবার টেস্ট প্রাকটিক্যাল
ইত্যাদি।
বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে BRTA অফিসে যেতে হতো কিন্তু এখন সবকিছু কমপ্লিট করে
আসা যায়। পেছনে অনলাইনে আপনি আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম অনলাইনে আপনি
লার্নার লাইসেন্স করে নিন এরপর নির্ধারিত দিনের নির্ধারিত জায়গায় পরীক্ষা
পরীক্ষা দিন। আপনার যে লার্নার কার্ড আছে সেটা আপনাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে
দেখাতে হবে।
তাহলে কার্ড আপনাকে বায়োমেট্রিকের জন্য নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে লিখিত পরীক্ষার সহ ভাইভাতে যে পরীক্ষা গুলো আছে এবং বাইকে যাওয়ার পরে যে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা আছে সেগুলোকে যথাযথভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার রেজাল্ট আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এভাবে আপনি পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নিয়ে খুব সহজে অনলাইন এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করব কিভাবে
আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গিয়েছেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম গুলো। অনেকে
জানেনা কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করতে হয়। আপনিও যদি না জেনে থাকেন
তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক এ বিষয় সম্পর্কে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে যে কোন ব্রাউজার থেকে
বি আর টি সার্ভিস পোর্টালের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে যেতে হবে। সেখান থেকে
আপনার ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে খুব সহজে আপনি ড্রাইভিং
লাইসেন্স ডাউনলোড করতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা
যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড বিস্তারিতঃ
- আপনি যত অনলাইন এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করবেন এসএমএস সর্বপ্রথম আপনি মোবাইল অথবা অন্য কোন ডিভাইস যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে সেই ডিভাইস থেকে আপনি প্রবেশ করুন BSP PORTAL অথবা সার্চ দিতে পারেন bsp.brta.gov.bd/login লিখে। এটা লিখে সার্চ করার পরে সর্বপ্রথম যে ওয়েবসাইট আসবে আপনি সেখানে প্রবেশ করুন
- এবার দেখুন আপনার সামনে ইউজার লগ ইন নামে একটা ফর্ম আসবে সেখান থেকে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যে BSP ACCOUNT রয়েছে অর্থাৎ যেখানে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছিলেন সেটার Username এবং Password দেওয়ার পরে Login অপশনে ক্লিক করুন।
- তাহলে দেখবেন আপনাকে Bsp Portal হোটেলে নিয়ে যাবে অর্থাৎ আপনার লগইন হয়ে যাবে সেখানে আপনি অনেক রকমের তথ্য দেখতে পাবেন যেমন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন, ড্রাইভার দের তথ্য, শিক্ষানবিশ লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য, রাইট শেয়ারিং মোটরযান সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি।
- এ সকল অপশন গুলো থেকে যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন লেখা আছে সেখানে আপনি ক্লিক করুন। তাহলে দেখবেন সেখানেও আপনার সামনে অনেকগুলো তথ্য চলে এসেছে যেমন - আবেদনের ধরন, সার্ভিস আইডি নাম্বার, আবেদনের তারিখ, আবেদনকারীর নাম, পরীক্ষার স্থান তারিখ এবং সময়সহ বিভিন্ন তথ্য।
- এবার আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাশ করে থাকেন এবং ই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যদি আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার সামনে চলে আসবে ই ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনটি। যেটা আপনি পেয়ে যাবেন কৃতকার্য অপশনে।
- এবার সেখান থেকে আপনি এই ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনি ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে লেখা থাকবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করার কথা।
- এবার সেখান থেকে খুব সহজেই আপনি start লেখা থেকে ক্লিক করার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য আপনি স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করে নিন।
- ডাউনলোড করার পর যখন আপনি টাইপিং লাইসেন্স ওপেন করবেন দেখবেন সেখানে একটা QR Code দেওয়া আছে যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিস্তারিত তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
- আপনার ডাউনলোড কিতো এই ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সাধারণত তিন পৃষ্ঠার হবে। প্রথম পৃষ্ঠাতে আপনার সকল ব্যক্তিদের তথ্য থাকবে এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠাতে থাকবে আপনার E-driving licence এবং তৃতীয় পৃষ্ঠাতে থাকবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সফট কপি।
- এখন আপনি আপনার ডাউনলোড কৃত এই ড্রাইভিং লাইসেন্সটির পৃষ্ঠাগুলো প্রিন্ট করে নিন। স্মার্ট কার্ড আসা পর্যন্ত আপনি এই তথ্যগুলো গাড়ির নাম্বার প্লেটে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না।
আশা করছি কিভাবে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড করবেন এ বিষয়গুলো খুব
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবুও কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে
পারেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে
আপনারা যারা নতুন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করেছেন তাদের মনে একটি প্রশ্ন
জাগে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন লাগে। অনেকেই জানেন না ড্রাইভিং
লাইসেন্স আবেদন করার পরে কতদিন সময়ের ভেতরে এটা পাওয়া যাবে। তাই আমরা
ভেবেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন লাগে এফ এ সম্পর্কে এই পড়বে জানিয়ে
দিব।
আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রে সাধারণত লার্নার
লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় যেখানে মনজুর হতে সময় লাগে ৭-১০ দিন । তবে
বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আঙ্গুলের ছাপ সহ এসকল
ডিজিটাল কাজগুলো খুব সহজে হওয়ার কারণে পরীক্ষার কার্যক্রম গুলো শেষ করতে সবকিছু
মিলিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত হয়ে যাই ১৫ দিন সময়ের ভেতরেই।
তবে কারো কারো ক্ষেত্রে আবেদনের ধরন এবং বিভিন্ন কারণবশত কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেতে আরো কিছু সময় লাগতেও পারে। পরিশেষে বলা যায় আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স
পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তাহলে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক মাসের ভেতরেই আপনি ড্রাইভিং
লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
শেষ কিছু কথা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন
ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সাজেশন থাকবে আপনি
যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই এক্ষেত্রে সঠিক
তথ্যগুলো দিবেন। আর ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিয়ম নীতিগুলো
ভালো করে জেনে যাবেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি মোবাইল নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক সম্পর্কে। আশা করছি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন আর এ ধরনের তথ্য গুলো পেতে ভিজিট
করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url