সেরা প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়-অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়আপনার মাথাতে যদি চুল না গজায় তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানতে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জেনে যাবেন কি কি উপায় অবলম্বন করলে আপনার মাথাতে চুল গজাবে। শুধু কি তাই, আজকের আর্টিকেল টি যদি আপনি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি আরো জানতে পারবেন ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
multiplebd-প্রাকৃতিক-উপায়ে-নতুন-চুল-গজানোর-উপায়
বিভিন্ন সময় দেখা যায় চুল গজানোর জন্য অনেক উপায় অবলম্বন করেও মাথাতে চুল ওঠে না এজন্য প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো যদি আপনি অবলম্বন করেন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনার মাথাতে নতুন চুল গজাবে। চলুন তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

ভূমিকা

মাথা থেকে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ে তাহলে কিন্তু মাথাতে চুল গজাতে অনেক দেরি হয়। অনেকের আবার মাথা থেকে নতুন চুল গজাতে চায় না। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন কিভাবে আপনার মাথাতে চুল গজাবে সে উপায়গুলো। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এবং চুল পড়া বন্ধ করতে কি কি তেল ব্যবহার করবেন সেই বিষয় সম্পর্কেও।

অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি

আপনার মাথাতে যদি অনেক চুল পড়ে থাকে এবং চুল গজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে প্রথমে জেনে নি অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি। আপনি যদি এই কারণগুলো জেনে থাকেন তাহলে সচেতন থাকার ফলে একটু হলেও আপনার মাথার চুল পড়া কমতে পারে। চলুন জেনে এসে যাক অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণগুলো।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ
  • গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার
  • শরীরে ভিটামিনের অভাব
  • অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড
  • চুলে পুষ্টির অভাব

অতিরিক্ত মানসিক চাপ

অতিরিক্তভাবে যখন আমরা মানসিক চাপের সম্মুখীন হই তখন এটা আমাদের শরীরের পাশাপাশি আমাদের জন্য বিরূপ পাওয়ার ফেলতে পারে। বিভিন্ন কারণবশত কারণে যখন আমরা মানসিক চাপে ভোগী তখন সেই চাপ আমাদের শারীরিকভাবে বেহাল করে। অনেক সময় আবার মস্তিষ্কেও অনেক আঘাত ফেলে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে উত্তাই হঠাৎ করে মাথা থেকে চুল ঝরে যেতে পারে।

গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার

বর্তমান সময়ে এসে ছোট ছোট বাচ্চারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত যে কারণে তারা অসময়েই ক্ষীণ দৃষ্টির শিকার হচ্ছে এবং খুব সহজেই মাথা থেকে চুল পড়া সমস্যায় ভুগছে। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করলে একটা চাপ সৃষ্টি হয় মাথাতে যে কারণে চুল পড়া সমস্যা তৈরি হয় এবং চোখের ক্ষতি করে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা।

শরীরে ভিটামিনের অভাব

আমাদের শরীরের যখন ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তখন কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ার পাশাপাশি এর প্রভাব পরে আমাদের মাথার তেল। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন যদি না থাকে তাহলে আমরা খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়বো এবং মাথা থেকেও অধিক পরিমাণ চুল ঝরতে পারে। এছাড়া আমাদের শরীরে যখন প্রোটিনের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।

তখন কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়া সমস্যা সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবে চুল গজানোর পরিমাণ এর থেকে যদি চুল ঝরার পরিমাণ বেশি হয় তাহলে যতদিন যাবে ততই কিন্তু চুল পাতলা হবে একসময় দেখা যাবে চুলের মাস পর্যন্ত বের হয়ে যাচ্ছে। তাই শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর করে এমন খাবার খাওয়া উচিত।

অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড

ফাস্টফুড খাবার খেতে অনেক সুস্বাদু হলেও এটা কিন্তু অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে আমাদের জন্য। বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেক বেশি পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাচ্ছে। খেয়াল করে দেখবেন যে দোকানগুলোতে ফাস্টফুট তৈরি করা হয় যদি সেখানে অসস্থকর পরিবেশ থাকে তাহলে এটা কিন্তু আমাদের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়াও এই খাবারগুলোতে অনেক পরমন্দের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যে কারণে ফাস্টফুড খাওয়ালে এটা আমাদের চুল পড়া সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় মাথায় চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে এবং চুলের মাস পর্যন্ত দেখা যায়।

চলে পুষ্টির অভাব

আমাদের চলে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি না থাকে তাহলে খুব সহজেই চুলের ঘুরে নরম হবে এবং উস্কো শুষ্ক হবে যে কারণে চুল পড়া সমস্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সময়ে এসে ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত চুলের তেল দিতে চায়না যে কারণে চুলের গোড়া শক্ত থাকে না এবং চুল থাকে উস্কো শেষ কর যে কারণে চুল পড়া সমস্যা তৈরি হয়।

এজন্য চুলের গোড়া মজবুত রাখার জন্য ভালো মানের তেল ব্যবহার করবেন এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও গোসল করার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে চুল ভালোভাবে তেল দিয়ে মেসেজ করে শ্যাম্পু করুন তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসবে।

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও কিন্তু চুল পড়া সমস্যা হতে পারে তাই জানতে হবে মহিলাদের অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো। আর আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের নিজের অংশটি পড়ুন। চলন বিস্তারিত জেনে আসা যাক কোন উপায় গুলো মেনে চললে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • সর্বপ্রথম যেটা করণীয় তা হচ্ছে কোন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা উচিত না তাই এটা থেকে দূরে থাকুন আর হ্যাঁ বিশেষ করে যে শ্যাম্পু গুলো সালফেট মুক্ত এগুলো ব্যবহার করুন।
  • অনেকেই আবার বিভিন্ন ধরনের হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে এগুলো থেকে একদমই বিরত থাকুন। যেমন - রিবন্ডিং ট্রাম এবং স্টেইট্রেনিং। কারণ এগুলো তুলে স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে রাখে।
  • চুলে ব্যবহার করতে পারেন হ্যানা প্যাক অথবা গাছের মেহেদী পাতা বাটা।
  • অনেকে আবার শীতের সময় গোসল করার সময় গরম পানি ব্যবহার করে এগুলো মোটেও উচিত না।
  • আপনারা যারা চুলের স্টাইল কিংবা ফ্যাশন করতে গিয়ে চুলে হিট মেরে থাকেন এগুলোর জন্য কিন্তু চুল আরও বেশি শুষ্ক হয় তাই চলে এগুলো দেওয়া থেকে দূরে থাকুন।
  • আপনি চাইলে নারিকেল তেল এবং বাদামের তেল সহ অলিভ অয়েল তেল মিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চুলের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং চুল থাকবে মসলিন এবং ভালো। এগুলো ব্যবহার করার পরে অবশ্যই শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন।

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

আপনার মাথাতে যদি চুল পড়া পরিমাণ বেশি হয় আর যদি বেশি করে চুল উঠে যায় তাহলে এটা যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি দেখতেও খারাপ লাগে তাই আপনি মাথাতে চুল গজানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই জানে না এসব উপায়গুলো। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক প্রাকৃতিক কিছু উপায় সম্পর্কে।
  • নিয়মিতভাবে আপনি চুল মেসেজ করুন করে আপনার চুলে রক্ত সঞ্চালন অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এছাড় মাথাতে ভিটামিন এ জাতীয় চুলে মেসেজ করা হলে প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন এর অভাব ও দূর হয়।
  • নিয়মিত ভাবে আপনার চুল পরিষ্কার করুন এবং শিরোনি দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন চুল আছড়ে নিন।
  • নমিতা ভাবে আপনি মেহেদি পাতা চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে হ্যাঁ ব্যবহার করার পরে অবশ্যই শ্যাম্পু দিয়ে আপনাকে ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • ব্যবহার করতে পারেন কারো যেটা তেলে এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • আপনার চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজ বাটার ফলে পেঁয়াজ থেকে পাওয়া রস দিয়ে আপনার চুলে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে চুল গোছাতে অনেক ভূমিকা রাখবে। যে খাবারগুলোতে প্রোটিনযুক্ত খাবার রয়েছে আপনি সেই খাবারগুলো খান এতে করে চোরের জন্য অনেক ভালো হবে।
  • গোসল করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন তার আগে দেখে নিবেন চুলের জন্য এটা পজিটিভ কিনা।
  • চুলে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক অ্যালোভেরা গুলো ব্যবহার করতে পারেন এতে করে খুব দ্রুত চুল গজাবে।
  • এছাড়াও আধা কাপ পরিমাণ শসার রসের সঙ্গে তার সঙ্গে দুই চা চামচ এলোভেরা পেস্ট নিয়ে নারকেল তেল আধা কাপ পরিমাণ মতো এর সঙ্গে নিয়ে ভালো করে মিক্স করে যদি চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় তাহলে কয়েক দিনের ভেতরেই আপনি উপকার পেয়ে যাবেন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় জেনে গিয়েছেন প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়। বর্তমান সময়ে এসে মেয়েদের পাশাপাশি কিন্তু ছেলেদেরও মাথা থেকে চুল পড়া শুরু হচ্ছে এবং নতুন চুল গজাতে অনেকে দুশ্চিন্তা রয়েছেন। এজন্য ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব।
multiplebd-প্রাকৃতিক-উপায়ে-নতুন-চুল-গজানোর-উপায়
কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় খুব অল্প বয়সে মাথা থেকে অনেক পরিমাণে চুল উঠে যাচ্ছে এবং নতুন চুল গজাতে চাচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই জিনগত কারণেও কিন্তু অল্প বয়সে মাথা থেকে চুল উঠতে পারে। তবে বেশি পরিমাণে যদি মাথা থেকে চুল ওঠে আর নতুন চুল যদি না বাজায় তাহলে এটা কিন্তু একটা সমস্যা। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো।

চুলে জেল ব্যবহার করা যাবে না

বিশেষ করে ছেলেরা তাদের সৌন্দর্যবিধে করার জন্য চুলের বিভিন্ন রকম স্টাইল করার জন্য চুলে জেল ব্যবহার করে থাকে যেটা একদমই উচিত না। অনেক সময় এই জেল ব্যবহার কারণেই কিন্তু মাথা থেকে অনেক পরিমাণে চলো উঠতে পারে। আপনারো কি অতিরিক্ত চুল পড়ছে ? তাহলে আজকে থেকে মাথাতে চুলে জেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

চুলে জেল ব্যবহার করা হলে সাময়িক সময়ের জন্য এটা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও কিন্তু ভেতর থেকে ড্যামেজ করে যে কারণে চুল পড়া সমস্যা তৈরি হয়। এজন্য চলে যে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং চুলের যত্ন নিন।

পানি পান করতে হবে

আমাদের শরীরের জন্য পানি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন শরীরের এক দ্বিতীয় অংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে পানি।এজন্য শরীরে যখন পানির ঘাট দেখা দেয় তখন কিন্তু অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা ও তৈরি হতে পারে এজন্য আপনি প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করুন।

এসবের পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়া পাশাপাশি কিন্তু আরো অনেক ধরনের রোগ বালাই দেখা দিবে। এজন্য প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করুন।

চুল পরিষ্কার রাখা

মাথা থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়া এবং নতুন চুল না গজানোর অন্যতম একটি বড় কারণ হচ্ছে চুল পরিষ্কার না করা। আপনার শুনতে খারাপ লাগলেও চুল পরিষ্কার না করা কিন্তু একদমই বাজে একটা অভ্যাস। এজন্য আপনার মাথা থেকে যদি বেশি করে চুল পড়ে আর চুল যদি না গজায় তাহলে আপনি একটু ভেবে দেখুন আপনি নিয়মিতভাবে চুল পরিষ্কার করুন কিনা।

তাই অবশ্যই আপনি চুল পরিষ্কার রাখবেন এবং চুল পরিষ্কার করার জন্য যে শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করুন এগুলোর জন্য হালকা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

তেল ম্যাসাজ

মাথাতে চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে কিন্তু চুলে তেল মেসেজ করা যায়। দিনের কিছুটা সময় আপনার মাথাতে যদি এ সকল তেল মেসেজ করেন তাহলে অনেক আরাম পাবেন এবং এটা আপনার মাথা ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি চুল পড়া কমাবে এবং নতুন চুল গড়াতে সাহায্য করবে। তবে হ্যাঁ এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক তেল ব্যবহার করতে হবে । এজন্য আপনি এসেস্নিয়াল তেল ব্যবহার করতে পারেন যেমন- বাদাম তেল, অলিভ অয়েল তেল, নারিকেল তেল ইত্যাদি।

গ্রিন টি

চুল ওঠার সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনি কিন্তু গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটা গরম পানিতে সবুজ একটা গ্রিন টি ব্যাগ রেখে সুন্দর করে সেটা ভিজিয়ে নিন। চা যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন এটা আপনার চুলে ভালো হবে ব্যবহার করুন। এভাবে আধাঘন্টা ব্যবহার করার পরে মাথা সুন্দর করে ধরে নিলে সপ্তাহখানেক পর আপনি সফলতা পেয়ে যাবেন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

আপনার মাথাতে যদি চুল পড়া সমস্যা থাকে তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কি তেল ব্যবহার করা যায়। আমরা অনেকেই মাথার চুল পড়া বন্ধ করার জন্য তেল ব্যবহার করতে চাইলেও জানে না সঠিক তেলের নাম। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
  • নারকেল তেলঃ আপনার মাঝেতে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠে তাহলে আপনি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নারকেল তেল এমন একটি তেল যেটা সব রকমের চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নারকেল তেল ব্যবহার করা হলে এটা চুল সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুল থেকে খুশকি দূর করতে কিংবা চুলের পুষ্টি জোগাতে এমন কি চুল ঝলমুনা রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • অলিভ অয়েল তেলঃ আপনি জেনে অবাক হবেন অলিভ অয়েল তেল কিন্তু স্পর্শকাতর চুলের জন্য একদম পারফেক্ট এবং কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে থাকে। এই তেল মাথাতে ব্যবহার করলে কিন্তু চুল পড়া সমস্যা দূর হবে এবং এলার্জি সম্ভাবনাও খুব কম। এই তেল ব্যবহার করা হলে এটা আপনার চুলে মশ্চারাইজ রাখবে এবং চুল পড়া সমস্যা কম করবে।
    multiplebd-প্রাকৃতিক-উপায়ে-নতুন-চুল-গজানোর-উপায়
  • বাদাম তেলঃ চল উঠতে শুরু করলে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠে যায় তখন কিন্তু মাথাতে একসময় টাকের তৈরি হয়। এজন্য আপনারা যারা টাক পরা মাথা নিয়ে হতাশায় আছেন তারা কিন্তু বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ টাক পড়া মাথার জন্য বাদাম তেল অনেক উপকারী। যদি আপনি তিন মাস ধরে ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু চুল গজাতে পারে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত। এছাড়াও চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখত এর রয়েছে অনেক ভূমিকা। এজন্য সপ্তাহে চার বার আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • অ্যাভোকাডঃ ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য অ্যাভোকাডো তেলের ভূমিকা অনেক। এই তেলের ভিতরে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, এসিড এবং আয়রনসহ ফলিক এসিড। যে কারণে এটি শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের আদ্রতা ফিরে করার জন্য গরমকালে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফের তেল ব্যবহার করা হলেও চুলে প্রজাত শক্তি যোগাবে এবং ইউভি রস্টি থেকেও চুলকে রক্ষা করবে।

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় জেনে গেছেন। অবলম্বন করার মাধ্যমে কিন্তু আপনার মাথাতে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে পারেন এবং খুব সহজেই নতুন চুল গজানোর জন্য এসব গুলো অবলম্বন করতে পারেন। আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়।

তাই এখন আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে বলে রাখি চুল গজানোর জন্য কোন নির্ধারিত নির্দিষ্ট চক্বাদা কোন সময় নেই। মাথাতে চুল গজাতে পারে যেকোনো সবাই তাই খেয়াল করে দেখবে মাতৃগর্ভ থাকা সন্তানও যখন পৃথিবীতে আসে তখনও কিন্তু তার মাথাতে চুল থাকে। আবার মানুষ যখন বৃদ্ধ বয়সেও চলে যায় তখনও কিন্তু মাথাতে চুল গজায়।

এজন্য চুল গজানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নাই। তবে এটা মূলত নির্ভর করে নিয়মিত ডেইলি আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক গঠনের উপরে। আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন এবং শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলো থাকে তাহলে কিন্তু মাথাতে চুল পড়া কম হওয়ার কারণে সহজেই চুল ভালো থাকবে যে কারণে চুল গজাবে ভালো ভাবে।

সাধারণত একটা মানুষের দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি চুল পড়া স্বাভাবিক কিন্তু এর থেকে যদি বেশি পরিমাণে চুল মাথা থেকে পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেন তাহলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে ফিরে আসুন। আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চিন্তা করি।

অর্থাৎ মানসিক চাপে থাকি তখন কিন্তু খুব সহজে চুলের যত্ন নিতে পারে না এবং চুল অনেক হারে পড়তে থাকে। চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং চুলের যত্ন নিতে হবে এজন্য চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে এবং মেসেজ করতে হবে। যে সকল খাবারে বেশি পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সে খাবারগুলো খেতে হবে এছাড়া প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে অনেক।

আমাদের পরামর্শ 

আর্টিকেল পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরামর্শ থাকবে যে আপনার মাথাতে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়ে তাহলে চুল গজানোর জন্য অবশ্যই আপনি মাথাতে অতিরিক্ত পরিমাণ ক্ষতিকারক পদার্থ যুক্ত এরকম শ্যাম্পু বা জেল ব্যবহার করবেন না। চুলে হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর্টিকেলটি বুঝতে কথা অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। এই ধরনের তথ্য গুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.mulfiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url