৮টি সেরা ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps দিয়ে ১ ক্লিকে ফটো এডিটিং
প্রফেশনাল ভাবে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারআপনি কি ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাহলে আজকের
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে
জেনে যাবেন ছবি এডিট করার এ সকল অ্যাপ সম্পর্কে। শুধু কি তাই, আজকের আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট সম্পর্কেও। তাই
বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমরা অনেকেই ছবি এডিট করতে অ্যাপ ব্যবহার করতে চাইলেও জানিনা ছবি এডিট করার
ব্যাকগ্রাউন্ড apps কোনগুলো। তাই আপনাদের এ সকল সুবিধার কথা চিন্তা করে
আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
ভূমিকা
আমাদের কাজের প্রয়োজনে অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করার জন্য বিভিন্ন সময়
আমাদেরকে ছবি এডিটিং করতে হয়। এজন্য ছবি এডিট করার জন্য অনেকেই অ্যাপস ব্যবহার
করে থাকেন। অনেকেই জানে না ছবি এডিট করার জন্য অ্যাপস সম্পর্কে। তাই আজকে
আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জেনে যাবেন ছবি এডিট করার জন্য কিছু সেরা অ্যাপ
সম্পর্কে। এছাড়াও জানতে পারবেন ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার গুলো।
ছবি এডিট করার পদ্ধতি
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে জানার আগে চলুন প্রথমে জেনে আসা যাক
কিভাবে আপনি ছবি এডিটিং করবেন। আপনি যদি ভালোভাবে ছবি এডিটিং করতে পারেন তাহলে
খুব সহজেই আপনার ছবিগুলো ভাইরাল হবে এবং জনপ্রিয়তা ভালো পাবে। এগুলোর পাশাপাশি
অনেক সময় আমাদের সঠিক মাপের ছবি নেওয়ার জন্য ছবি এডিটিং করতে হয়।
তাই অবশ্যই জানতে হবে ছবি এডিটিং করার পদ্ধতি সম্পর্কে। ছবি এডিট করার জন্য
আপনাকে অ্যাপস এ যেতে হবে। সেখান থেকে আপনি নিজের ইচ্ছামত এডিট মডিফাই কাস্টমার
ফিল্টার করার মাধ্যমে ছবি কে আকর্ষণীয় ভাবে পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ
তার আগে অবশ্যই আপনাকে এডিটিং এর জন্য কোন ভালো অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে হবে।
এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন
তাহলে আর্টিকেলের নিচের অংশটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম
অনেক সময় আমাদের ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps ডাউনলোড করতে হয়। যেই অ্যাপস
এর সাহায্যে আমরা খুব সহজে আমাদের প্রয়োজন মত ছবি এডিট করে থাকি। কিন্তু অনেকেই
জানে না কিভাবে এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করতে হয়। এজন্য আজকে আর্টিকেলের
এই পর্বে এসে আপনাদের জানিয়ে দিব এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম
সম্পর্কে।
- ছবি এডিট করার জন্য যদি আপনি কোন ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ করতে হবে।
- এবার সেখানে গিয়ে আপনি সার্চ করুন ফটো এডিটিং অ্যাপস।
- এবার এখান থেকে আপনার ইচ্ছামত যে কোন একটি অ্যাপস বেছে নিন।
- তারপর সেখান থেকে আপনি ইনস্টল বাটনে ক্লিক করে ইনস্টল করুন।
- ডাউনলোড কমপ্লিট হয়ে গেলে এটা আপনার ফোনে ওপেন করে খুব সহজে আপনি যেকোনো ধরনের এডিটিং করতে পারেন।
- আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি এডিটিং এর জন্য অ্যাপস ডাউনলোড করবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন ভিডিও এডিটিং করার অ্যাপস কোনগুলো তাহলে আর্টিকেলের নিচের অংশগুলো পরুন।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps
আপনারা যারা ছবি এডিট করতে চান কিন্তু জানেন না ছবি এডিট করার জন্য
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস কোনগুলো তাদের জন্য আজকের আটকেলের এই পর্বটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড
apps সম্পর্কে। চলুন তাহলে সেই অ্যাপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
সাধারণত ছবি এডিট করা হয় সুন্দরভাবে ছবিগুলোকে উপস্থাপন করে সেগুলো সোশ্যাল
মিডিয়া কিংবা পরিচিতজনদের কাছে আপলোড করে দেওয়ার জন্য। ছবি এডিটিং করলে এটা
দেখতে আরো সুন্দর লাগে এবং ভিডিও আপলোড করলে ইউটিউবে এটা অনেক ভালো ফলোয়ার
পাওয়া যায় এজন্য ছবি এডিট করার প্রয়োজন ভাবে থাকে।
কিন্তু অনেকেই আছে যারা জানে না ছবি এডিট করার জন্য কোন অ্যাপস ব্যবহার করলে
ভালো হবে এডিট করা যায় এবং কোয়ালিটি ভালো থাকে। এজন্য আপনি এডিট করার জন্য যে
সকল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন চলুন সেগুলো বিস্তারিত জেনে নিন।
Photo Editor -Polish
আপনি যদি ছবি এডিটিং করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন ফটো এডিটর
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস। এই সফটওয়্যারটির অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যে সকল
এডিটিং করার টুলস রয়েছে সেগুলো দিয়ে খুব সহজেই আপনি প্রফেশনাল এবং স্টাইলিশ
ভাবে ফটো এডিটিং করতে পারবেন। ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধির ছবি ব্লার, ছবি ফিল্টার,
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ, বিউটি প্লাস ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করে আপনি
আকর্ষণীয় ভাবে ছবি এডিট করতে পারবেন ।
টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যে ছবিগুলো এডিট করবেন সেগুলো সরাসরি আপনি
অ্যাপ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে পারবেন। প্লে স্টোরে গিয়ে আপনি ফটো
এডিটর লেখাতে লিখে সার্চ করলেই আপনার সামনে এই অ্যাপসটি চলে আসবে।
Photo Editor Lumii
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করার জন্য যে সকল অ্যাপস আছে তার ভেতরে একটি বহুল
প্রচলিত এবং জনপ্রিয় অ্যাপস হলো Photo Editor Lumii. এ অ্যাপস ব্যবহার করে
যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করতে পারবেন এবং স্টাইলিশ ভাবে ছবিকে রূপান্তর
করতে পারবেন। সারা বিশ্বে ৮০০ এর বেশি মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করে। ফটো এডিট
করার জন্য অন্যান্য সকল অ্যাপ থেকে এটার অনেক জনপ্রিয় রয়েছে।
১০০ এর বেশি প্রেসেন্ট ফটো ফিল্টার সহ রয়েছে অনেক ইফেক্ট যে কারণে ইচ্ছামত পছন্দ
অনুযায়ী ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। মজাদার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি প্রফেশনাল
মানের ফটো এডিটর না হন তবুও এই অ্যাপ ব্যবহার করে খুব কম সময়ের ভিতর ছবিকে এমন
ভাবে রূপান্তর করতে পারবেন যাতে মনে হবে এটা অনেক প্রফেশনাল।
Beautyplus
ফটো এডিট করার জন্য যে সকল জনপ্রিয় অ্যাপস আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম ভুল
ব্যবহার তো একটি অ্যাপস হলো Beautyplus. এই অ্যাপসটি ব্যবহার করার মাধ্যমে
আপনি ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের
এডিটিং টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ভাবে ছবি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে
পারবেন।
বিশেষ করে তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে সকল ধরনের মোবাইল ইউজাররা এই অ্যাপটি
ব্যবহার করছে। যে কারণে এই অ্যাপস টি ব্যবহারকারীর সংখ্যা সারা পৃথিবীতে ৮০০
মিলিয়নেরও বেশি এই অ্যাপসটির ভেতরে রয়েছে ফিল্টার, ফেস এডিটর টুলস সহ আরো
অনেক টুলস যেগুলো দিয়ে সেলফি তোলা যায়।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়ার উপায়
এছাড়াও আছে 50টিরও বেশি টুলস যেগুলো দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আপনি মিষ্টি ছবি
তুলতে পারবেন এবং পুরনো ছবিগুলোকে নতুন ভাবে রূপ দিতে পারবেন। এছাড়াও ছবিতে
যদি কোন রকমের দাগ থাকে সেগুলো রিমুভ করতে পারবেন। এছাড়াও চুলের রং পরিবর্তন
এর বিভিন্ন চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন।
Picsart AI Photo Editor
সারা পৃথিবীতে বর্তমানে Picsart AI Photo Editor দেওয়ার কার্ডের সংখ্যা
ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৫০ মিলিয়নারে বেশি। যে কারণে আপনি ছবি এডিট করার জন্য
নিঃসন্দেহে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতেপারেন। যেহেতু এই সফটওয়্যারটি
হচ্ছে Picsart AI যে কারণে আপনি শুধু কমন করার মাধ্যমে ফটো এডিটিং করতে
পারবেন।
এছাড়াও অন্য যেকোনো ধরনের এডিটিং ও করতে পারবেন খুব সহজে। এই অ্যাপস
ডাউনলোড করার মাধ্যমে আপনি যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ এবং
ব্যাকগ্রাউনটা টেমপ্লেট পরিবর্তনসহ সোশ্যাল মিডিয়া যে কোন স্টাইলিশ
পোস্টগুলোকে ডিজাইন করতে পারবেন খুব সহজেই। এছাড়াও চাইলে বিভিন্ন ধরনের
ফ্রেম ব্যবহার করে ছবিকে চিতুময় করে রাখতে পারবেন।
Photo College Maker & Editor
আপনি যদি ছবি এডিট করার জন্য কোন অ্যাপস ব্যবহার করতে চান তাহলে খুব সহজেই আপনি
ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এবং ফটো একসঙ্গে কলেজ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন
Photo College Maker & Editor এই অ্যাপসটি। এই অ্যাপস ব্যবহার করে নিজের
ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে পারবেন আপনার ফটোর সঙ্গে।
এই অ্যাপসটি চাহিদা অনেক যে কারণে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করেছে ১০০
মিলিয়নেরও বেশি মানুষ। ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা থেকে শুরু করে আপনি ফটকে
একাধিক ফ্রেমে যুক্ত করতে পারবেন এবং সেটা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে
আকর্ষণীয়ভাবে আপলোড করতে পারবেন। কাজেই আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন
ফটো এডিট করার জন্য।
Air Brush
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps এর এর ভেতরে Air Brush অন্যতম। এই অ্যাপটি
বর্তমান সময়ের খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কারন এই অ্যাপস টি
ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি যেকোনো ধরনের ফিল্টার ইউজ করতে পারবেন এবং
হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি এটি ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপসের রয়েছে একাধিক টুলস
যেগুলো দিয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ফটো এডিট করতে পারবেন।
এছাড়াও গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপসের ডাউনলোড কারী সংখ্যাও ৫০+ মিলিয়ন যে কারণে
বুঝতেই পারছেন এটা অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। সকল ধরনের টুলস থাকার কারণে নিজের
ইচ্ছা অনুযায়ী ছবি ফিল্টার, ছবি ফ্রেম, ফটো ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ ইত্যাদি টুলস
ব্যবহার করে ছবি এডিট করতে পারবেন খুব সহজেই।
Photoshop
নামটি শুনে হয়তো বা ভাবছেন কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের জন্য ফটো এডিটিং বা
এডিটর অ্যাপস। কিন্তু না এটা আপনার মোবাইল ফোনেই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
মোবাইল ফোনে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে এবং এটাই
ইন্সটল করতে হবে। এই অ্যাপস ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ফটো এডিট করতে
পারবেন খুব সহজেই।
আপনি যদি ভালোভাবে ফটো এডিট করতে পারেন তাহলে মনে হবে ফটো একদম প্রফেশনাল মনির
হয়েছে। এই অ্যাপসটি অনেক জনপ্রিয় কারণ এটা এডিটিং করার সুযোগ সুবিধা বেশি যে
কারণে গুগল প্লে স্টোর থেকে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০০ মিলিয়নেরও বেশি। তাই
আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন।
Snapseed
আপনার যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি এডিটিং করতে যাচ্ছেন তারা সুন্দর এবং
প্রফেশনাল মন্দির ফটো এডিটিং করতে চাইলে Snapseed অ্যাপসটি ব্যবহার করতে
পারেন। এই অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি একদম প্রফেশনাল ভাবে খুব সহজেই
আপনি ফটো এডিট করতে পারবেন। এই অ্যাপস এ রয়েছে একাধিক এডিটিং টুলস।
যেগুলো দিয়ে ইচ্ছামত ছবি ফিল্টার করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন আকার আকৃতি
পরিবর্তন করার মাধ্যমেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে ফটো এডিট করে সেটা খুব
সহজে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করতে পারবেন। এজন্য আপনি ফোনের গুগল প্লে
স্টোরে গিয়ে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করবেন।
ছবি এডিট করে ইনকাম
প্রিয় পাঠক , এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড
apps সম্পর্কে। কিন্তু আপনাকে জানেন আপনি চাইলে ছবি এডিট করা ইনকাম করতে
পারবেন। এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো তাদের ওয়েবসাইটের জন্য আকর্ষণীয় এবং
অথেনটিক ফটেগুলো ক্রয় করে থাকে। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ফটো এডিটর হতে
পারেন।
আপনি যদি ইউনিক এবং অথেন্টিক ফটো এডিট করতে পারেন তাহলে খুব সহজে সেই সকল
ওয়েবসাইট গুলোতে ফটো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি
মার্কেটপ্লেস ফাইবার অথবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে চান তাহলে সেখানে আপনি
টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ অবশ্য এই ফটোগুলো একদম ঠিক হতে হবে কোন
প্রকার কপি করলে চলবে না।
আপনি এখন যে ওয়েবসাইটটি পড়ছেন এটা মূলত একটি ব্লগার ওয়েবসাইট এমন অনেক
ব্লগিং ওয়েবসাইট আছে যেগুলো ও তাদের ওয়েবসাইটে ফিচার পোস্ট এমনকি ওয়েবসাইটের
ফটোর জন্য মানুষের কাছ থেকে সকল অথেন্টিক ফটো ক্রয় করে থাকে আপনি চাইলে তাদের
থেকেও এ সকল ফটো সেন্ড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
ছবি এডিট করার ভালা সফটওয়ার
আপনারা যারা ফটো এডিট করতে চাচ্ছেন এবং যারা নতুন মোবাইল ইউজার তাদের জন্য ছবি
এডিট করা একটু কঠিন কাজ। যে কারণে নতুন ইউজারদের জন্য ফটো এডিট করার জন্য ভালো
সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে। তাই এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো ছবি এডিট করার
জন্য ভালো কিছু সফটওয়্যার যেগুলো আপনি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় মূলক ছবি এডিট
করতে পারবেন। চলুন বিস্তারিত যেদিন ছবি এডিট করার জন্য ভালো কিছু সফটওয়্যার
সম্পর্কে।
- আ্যডোবি লাইট রুম (Adobe Light room)
- কেনভা(Canva)
- পিক্সেআর্ট (PicsArt)
- আফটার ফোকাস (AfterFocus)
- ইউ ক্যাম মেকআপ (You cam Makeup)
- ফটোপিয়া(Photopea)
- ইনসট(Insot)
- লাইটরুম(LightRoom)
এই সকল সফটওয়্যার গুলোর ভেতরে যে সফটওয়্যারটি আপনার ভালো লাগবে কাজ করতে আপনি
সেটি ব্যবহার করবেন তাহলে আপনি ভালো মানের ফটো এডিট করতে পারবেন। আশা করছি আপনি
বুঝতে পেরেছেন।
ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন ছবি এডিট করার জন্য ভালো
সফটওয়্যার এর পাশাপাশি কোন গুলো ভালো ওয়েবসাইট এ বিষয়ে সম্পর্কে। যারা মূলত
গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন তারা খুব ভালোভাবে ছবি এডিট করতে পারেন কিন্তু আমরা
অনেকেই ছবি এডিট করার জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে অনেক সময় ওয়েবসাইটে
প্রয়োজন হয়।
এমন কিছু ওয়েবসাইট কাছে যেখানে গিয়ে আপনি ছবি আপলোড করে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে
আপনাকে নতুন করে ছবিটি এডিটিং করে দিবে যে অনেক আকর্ষণমূলক হয়। ওয়েবসাইট
গুলোর ভেতরে জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইটের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
picwish.com
ছবি এডিট করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই ওয়েবসাইটটি। এই ওয়েবসাইটে
প্রতিদিন আপনি ফ্রি আকারে ৭ টি ছবির কাজ করতে পারবেন খুব সহজেই।
আপনি যদি এর থেকেও বেশি কাজ করতে চান তাহলে টাকা দিয়ে আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে কাজ করতে হবে। তবে ওয়েবসাইটটা অনেক ভালো যে কারণে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
picozu.com
ছবি এডিট করার জন্য অন্যতম একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে picozu.com যেখানে কোন ধরনের
অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি ভালো মানের ফটো এডিট করতে পারবেন। এখান থেকে একদমই ফ্রি
আকারে আপনাদের ছবি এডিট করতে পারবেন।
ছবি এডিট করার জন্য এখানে অনেক ধরনের টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ছবিকে আপনি প্রফেশনাল মানের করতে পারবেন।
Fotor.com
ছবি এডিট করার জন্য অন্যতম একটি শক্তিশালী এবং বহু মুখে এডিটিং টুল ওয়েবসাইট
হচ্ছে Fotor.com। এখানে অনেক ধরনের টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে ছবির উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে পারবেন। ছবির ডিজাইন বৃদ্ধি করতে পারবেন
এছাড়াও আরো অনেক টুলস আছে যেগুলো দিয়ে ছবিকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করতে পারবেন।
canva
সব থেকে বেশি জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য অন্যতম একটি ছবি এডিটিং ওয়েবসাইট
হচ্ছে canva.এখানে আপনি বেশ কিছু ধরনের টেম্পলেট পাবেন যেগুলো ব্যবহার করার
মাধ্যমে ছবি এডিটিং করতে পারবেন একদম আকর্ষণীয়ভাবে। এখানে যে টেমপ্লেট গুলো
রয়েছে সেগুলো দিয়ে আপনি ছবির টেক্সট যোগ করতে পারেন।
ফিল্টার ইফেক্ট দিতে পারবেন এছাড়াও স্টেশন এবং গ্রাফিক্স করতে পারবেন। সবকিছু
মিলিয়ে আপনি আকর্ষণীয় ভাবেই সহজে ফটো এডিটিং করার জন্য এই ওয়েবসাইট ব্যবহার
করতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন
ছবি ডিলিট করার জন্য আপনি কি কি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। তবুও যদি কথা বুঝতে
অসুবিধা হয় তাহলে আপনি আর্টিকেলটি আরো একবার পড়ুন এছাড়াও আপনি চাইলে
ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করো জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছিলাম ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড
apps সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করুন আর এ ধরনের তথ্য গুলো পেতে নিয়মিত
ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url