অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়মআপনি কি জানতে চান অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে ? তাহলে একদিন জায়গা মত এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত। আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি খুব সহজেই আপনার ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে।
multiplebd-অনলাইনে -ভোটার-আইডি -কার্ড -সংশোধন -করতে -কত- দিন- লাগে
চলুন তাহলে আপনার অজানা এই তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে আসা যাক অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত।

ভূমিকা 

জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জাতীয় পরিচয় আমাদের পরিচয় বহন করে এজন্য জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের তথ্যগুলো অবশ্যই সঠিক থাকতে হবে। কিন্তু অনেক সময় এই তথ্যগুলো ভুল হয়ে যায় এজন্য সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। তাইতো আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন করবেন কিভাবে এবং সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে এবং কি কি কাগজপত্র দরকার হবে সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাই অবশ্যই আপনার অজানা এবং এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন 

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে এটা জানার আগে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে। সাধারণত যখন আমাদের ভোটের আইডি কার্ডে কোন ভুল হয়ে যায় তখন আমাদের প্রয়োজন পরে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের। আপনি যদি জেনে থাকেন কিভাবে-

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে তাহলে আপনি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে থেকে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কারণ মেনে আবেদন করতে হবে এবং কিছু টাকা খরচ চলুন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে আসি।

  • অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার একাউন্টে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে তারপর একটা একাউন্ট খুলে নিবেন।
  • তারপর সেখানে একটি ইন্টারফেস আসবে ওইখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচাটি পূরণ করে সাবমিট করুন।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটা তথ্যসহ সকল ঠিকানা গুলো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নিন। এবার আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা গুলো ভালোভাবে লিখুন তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
  • এবার আপনার মোবাইল নাম্বারে সাজাংকার একটা ভেরিফিকেশন কোড আসবে সেই কোডটি আপনি ভেরিফিকেশন বাটানির ক্লিক করুন এবং ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হলে আপনার একাউন্টটি দেখাবে।
  • এবার আপনি সেখান থেকে আপনার ভোটের আইডি কার্ডের সকল ধরনের তথ্যগুলো সংশোধন করতে পারবেন।
  • সেখানে যে ধরনের তথ্যগুলো থাকতে পারে তা হল - আইডি কার্ড, জন্মস্থান, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, পিতা মাতার আইডি কার্ড নাম্বার, পিতা মাতার নাম সংশোধন, লিঙ্গ ইত্যাদি।
  • আপনি যেগুলো পরিবর্তন করতে চাইছেন এগুলো যদি পরিবর্তন করা হয়ে যায় তাহলে সংশোধন করার জন্য আপনাকে ফ্রি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা থেকে ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে যাতে আপনি পরিশোধ করে দিবেন ।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপলোড করার জন্য আপনার ছবি এবং আপনার পাসপোর্ট নাম্বার অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যে তথ্যগুলো চাইছে সেগুলো খুব ভালোভাবে দিবেন।
  • সবকিছু যদি সাবমিট করে থাকেন তাহলে সংশোধন করার পরে আপনার আইডি কার্ডটি আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আমরা আপনাকে জানাচ্ছিলাম অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে। আর্টিকেলের উপরের অংশটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন যে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে এজন্য আপনাকে অনলাইন ফি দিতে হবে।

কিন্তু যারা আগে কখনো অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করেননি তাদের জন্য এটা অজানা যে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কত টাকা লাগে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে যে মেসেজ যাক আপনি যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে বা কত টাকা খরচ হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত।

  • আপনি যদি প্রথমবারের জন্য আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যান তাহলে এক্ষেত্রে আবেদন লাগে ২০০ টাকা এবং এর সঙ্গে ৩০ টাকা ভেট নেয় সর্বমোট ২৩০ টাকা লাগবে।
  • আপনি যদি দ্বিতীয়বার আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যান তাহলে আপনাকে আবেদন ফি হবে ৩০০ টাকা এবং এর সঙ্গে ভ্যাট ১৫% মোট খরচ ৩৪৫ টাকা।
  • এরপর থেকে আপনি যতবার আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইবেন ঠিক ততবার আপনাকে ভ্যাট সহ মোট দিতে হবে ৫৭৫ টাকা।
  • আপনি যখন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন প্রফালে অন্য কোন কিছু তথ্য পরিবর্তন করতে চাইবেন বা সংশোধন করতে চাইবেন তখন আপনাকে ফি দিতে হবে ১১৫ টাকা।
সাধারণত ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য তিন ধরনের আলাদা আলাদা ফি আছে চলুন এগুলো জেনে আসা যাক।
  • মৌলিক তথ্য সংশোধন
  • ঠিকানা পরিবর্তন
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন
মৌলিক তথ্য সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মৌলিক তথ্য অর্থাৎ আপনার নাম বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো তথ্য পরিবর্তন আপনার পিতা-পাতার বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো তথ্য পরিবর্তন আপনার জন্মতারিখ রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি। এছাড়াও আছে
  • জন্ম নিবন্ধন তথ্য  সংশোধন 
  • জন্ম ঠিকানা সংশোধন 
  • লিঙ্গ 
  • ছবি সংশোধন 
  • স্বাক্ষর সংশোধন 
আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ডে এ সকল মৌলিক তথ্য সংশোধন করতে চাইবেন তখন আপনাকে প্রথমবার আবেদন করার জন্য ফি দিতে হবে ২০০ টাকা, দ্বিতীয় বারের জন্য ৩০০ টাকা এবং এরপর ৪০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। তবে হ্যাঁ এজন্য আপনাকে আবেদন করার জন্য প্রতিবার ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্রের মৌলিক তথ্যগুলো ছাড়াও আরো অন্যান্য বেশ কিছু তথ্য থাকে। যেগুলো আমরা খালি চোখে দেখতে না পেলেও সিম কার্ডের মত কিন্তু একটা অংশ থাকে সেখানে এ সকল ডাটা গুলো সংরক্ষিত থাকে। যেমন -
  • ধর্ম 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য 
  • মোবাইল নম্বর 
  • স্বামী স্ত্রীর নাম 
  • কর্ম
  • পাসপোর্ট তথ্য 
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স 
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের এ সকল অন্যান্য তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান তাহলে এজন্য আপনাকে সরকারের যে নির্ধারিত ফি আছে তার সঙ্গে ১৫% ভ্যাট দিতে হবে।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

আজকে আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে। আপনাদের দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলুন এবার বিস্তারিত জেনে আসার যোগ্য আপনি যদি ভোটের আইডি কার্ডে তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কেমন সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে সম্পর্কে।

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে কেমন সময় লাগবে এটা মূলত নির্ভর করবে আপনি কোন ক্যাটাগরি তথ্য সংশোধন করতে চাচ্ছেন তার উপরে। সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য সর্বোচ্চ সময় লাগবে ৪৫ দিন পর্যন্ত। যখন আপনি "ক" ক্যাটাগরির সংশোধন করবেন তখন সময় লাগবে ৭ দিন।

"খ "ক্যাটাগরি আবেদন সংশোধন করার জন্য ১৫ দিন। "গ" ক্যাটাগরি  আবেদন সংশোধনের জন্য ৩০ দিন এবং যখন আপনি "ঘ" ক্যাটাগরি  আবেদন সংশোধন করবেন তখন এক্ষেত্রে সময় লাগবে ৪৫ দিন। এখানে দিন বলতে কর্ম দিবসের কথা বোঝানো হচ্ছে। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য কত দিন সময় লাগবে এটা অফিসিয়াল ভাবে সময় দেয়া থাকলেও সংশোধনের সময় কয়েকদিন কম-বেশি হতে পারে। আশা করছি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

আপনি যদি ভেবে থাকেন অনলাইন এর মাধ্যমে ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন করবেন তাহলে এক্ষেত্রে ভোটের আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র দরকার হতে হবে সে বিষয়টা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি যথার্থ ডকুমেন্ট সাবমিট করতে না পারেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হবে না।
multiplebd-অনলাইনে -ভোটার-আইডি -কার্ড -সংশোধন -করতে -কত- দিন- লাগে
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনাকে কাগজপত্র জমা দিতে হবে তাহলে খুব দ্রুত সময়ের ভেতরে আপনার ভুলগুলো সংশোধন হয়ে যাবে। তবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন ৪ ক্যাটাগরিতে। আর সেগুলো হচ্ছে
  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  • নাম সংশোধন
  • জন্ম তারিখ সংশোধন
  • ঠিকানা সংশোধন
আপনি যখন এ সকল ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করে তথ্য সংশোধন করতে চাইবেন আপনার সামনে তখন আরো বিভিন্ন রকম তথ্য পরিবর্তন করতে পারে চলুন তাহলে জেনে আসা যাক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য কি কি তথ্য লাগতে পারে।

নাম সংশোধন

আপনি যদি আপনার নিজের নাম সংশোধন করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র দরকার হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • অনলাইন জন্ম সনদপত্র
  • আপনার পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
জন্ম তারিখ সংশোধন

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যদি জন্ম তারিখ ভুল থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি যদি সংশোধন করতে চান তাহলে যে কাগজপত্র দরকার হবে সেগুলো হল -
  • জাতীয় পরিচয় পত্র 
  • স্কুল সার্টিফিকেট 
  • আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে চাকরি 
  • আপনার বয়স ঠিকঠাক আছে কিনা তার প্রমান পত্র 
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন 
  • আপনার পাসপোর্ট (যদি থাকে) 
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে) 
স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানা সংশোধন

কোন সময় যদি এমন হয় আপনি যে ঠিকানায় আছেন সেই ঠিকানার স্থায়ী অথবা বর্তমান ঠিকানা সংশোধন করতে হবে তাহলে এক্ষেত্রে আপনার যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন পড়তে পারে তা হলঃ
  • অনলাইন অথবা ডিজিটাল সনদপত্র
  • প্রত্যয়ন পত্র
  • বাসার বিদ্যুৎ গ্যাস এবং পানিবিলের কপি
  • বাসার টেক্সট ও রশিদ কপি

ভোটার আইডি কার্ড নাম  সংশোধন 

বলছিলাম অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে। আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আবেদন করার জন্য কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য যে সকল কাগজপত্র দরকার হবে তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র 
  • পাসপোর্ট 
  • সন্তানের সার্টিফিকেট 
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ ডিজিটের)
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসার এর প্রতিবেদন কবে 
  • সন্তানের ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি 

ভোটার আইডির "ক" ক্যাটাগরির সংশোধন সমূহঃ

অনেকেই জানেন না ভোটার আইডি কলকাতা করে সংশোধন সমূহ কি কি। আপনি কোন কোন সংশোধনের জন্য কো ক্যাটাগরি সংশোধনী আবেদন করবেন চলুন এগুলো জেনে এসে যাক।
  • নামের বানান সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • বাংলা ও ইংরেজি নাম মিলকরণের জন্য আবেদন।
  • মোবাইল নাম্বার সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • রক্তের গ্রুপ সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • নামের আংশিক পরিবর্তনের জন্য আবেদন।
  • ঠিকানা সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • বৈবাহিক অবস্থা সংশোধনের জন্য আবেদন।
  • লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য আবেদন।

ভোটার আইডির "খ" ক্যাটাগরির সংশোধন সমূহঃ

আপনি যদি না জেনে থাকেন ভোটার আইডির খ ক্যাটাগরিতে কি কি সংশোধনীয় আবেদন করা যাবে চলুন তাহলে সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তনের জন্য আবেদন। 
  • ধর্ম পরিবর্তনের জন্য আবেদন। 
  • স্বামী স্ত্রীর নাম সংযোজন/বিয়োজনের জন্য আবেদন। 
  • ছবি, স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশ আপডেটের জন্য আবেদন। 
  • জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ( পাঁচ বছর পর্যন্ত)
  • অসমর্থতা/প্রতিবন্ধিতার জন্য আবেদন। 

ভোটার আইডির "গ" ক্যাটাগরির সংশোধন সমূহঃ

অনেকে জানতে চেয়েছেন যে ভোটার আইডি সংশোধনী নিয়োগ গ ক্যাটাগরিতে কি কি রয়েছে। কোন কোন সহ সংশোধন করার জন্য গ ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে চলুন সেগুলো জেনে এসে যাক।
  • সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন - আপনার পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে। 
  • জন্ম তারিখ সংশোধন (পাঁচ বছরের বেশি) 
  • তবে আপনি জন্মতারিখ সংসদের জন্য আবেদন করতে পারবেন ( চাকরির বয়সসীমা, ভোটার যোগ্যতা, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা অর্জনে বয়সসীমা, নির্বাচনে প্রার্থীর বয়সসীমা এগুলো ব্যতীত)। 

ভোটার আইডির "ঘ" ক্যাটাগরির সংশোধন সমূহঃ

আজকের আর্টিকেলের এ পর্যায়ে এসে আমরা আপনাকে জানাবো ভোটার আইডি কার্ড ঘ ক্যাটাগরি সংশোধনিয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে এসে যাক।
  • আপনার সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন - পাবলিক পরীক্ষার সনদ ছাড়াও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে।
  • জন্ম তারিখ সংশোধন ( পাঁচ বছরের বেশি), তবে এ ক্ষেত্রে আপনি আবেদন করার জন্য কোন রকমের বিধি নিষেধ নেই অর্থাৎ,( চাকরির বয়সসীমা, ভোটার যোগ্যতা, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা অর্জনে বয়সসীমা, নির্বাচনে প্রার্থীর বয়সসীমা) সকল ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে। অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক বিস্তারিত।
multiplebd-অনলাইনে -ভোটার-আইডি -কার্ড -সংশোধন -করতে -কত- দিন- লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্রে আপনার জন্ম তারিখ যদি ভুল থাকে তাহলে এটা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে নির্বাচনের ওয়েবসাইটের ভোটার আইডি কার্ড পোর্টালে লগইন করতে হবে এবং তারপর আপনার প্রোফাইলে ব্যাংক থেকে তথ্য অপশনে গিয়ে এডিট বাটনে ক্লিক করে আপনার জন্ম তারিখের ঘরে টিক দিয়ে আপনার জন্ম তারিখ টা ঠিক করতে হবে।

এজন্য সংশোধন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সংশোধন ফি জমা দিতে হবে। এরপর আপনি যে জন্ম তারিখটা সংশোধন করতে চাচ্ছেন এবং তার প্রমাণ পত্র হিসেবে যেটা দিতে চাচ্ছেন অর্থাৎ জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য সেই কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য আপনার যে সকল কাগজপত্র দরকার হতে পারে তার নিচে দেওয়া হল।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 
  • শিক্ষাগত সনদপত্র অর্থাৎ  JSC , SSC, HSC,board  certificate. 
  • আপনার যদি শিক্ষাগত সনদপত্র না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স আপলোড দিতে পারেন। 
  • আপনি যে তারিখটা সংশোধন করতে চাচ্ছেন তার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রমাণ করছেন সেটা যেন সংশোধনের আবেদনের সঙ্গে মিল থাকে। 
  • অনলাইন জন্ম সনদ (১৭ ডিজিটের)
  • ভাই বোনের এনআইডি ( যদি থাকে) 

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন

আমাদের ভোটার আইডি কার্ডের পেছনে যে ভোটার আইডির ঠিকানা থাকে এটাও কিন্তু আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন কোন একাউন্ট খুলতে চান তখন ফোন থেকে এনআইটি কার্ডের সামনের অংশের পাশাপাশি কিন্তু পেছনের অংশ জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে ঠিকানা যদি ভুল থাকে তাহলে কিন্তু ভেরিফিকেশন ফেল হতে পারে। এজন্য ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে হলে আপনার কি কি লাগতে পারে চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
  • ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন এর সনদ কপি। 
  • বাসার ইউ টেলিটক বিলের কপি (গ্যাস/পানি /বিদ্যুৎ) 
  • প্রত্যয়ন পত্র। 
  • বাসার ট্যাক্স রশিদ অথবা গ্রামের ক্ষেত্রে জমির খাজনা আদায়ের দাখিলা।  

লেখক এর মতামত 

আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি কিভাবে আপনি অনলাইনে আপনার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের মতামত থাকবে যে আপনার ভোটের আইডি কার্ডের তথ্য যদি ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি সংশোধন করে নিন। আর্টিকেলটি যদি কথা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে৷ আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। এ ধরনের তথ্য গুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url