সূর্যমুখী তেলের ৯টি সেরা উপকারিতা ও ৫টি অপকারিতা
ড্রাগন ফলের কার্যকরী ২০ টি উপকারিতাআজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও
অপকারিতা। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি হতে
যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু কি তাই, আজকের আর্টিকেলটি পড়ার
মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা। তাই অবশ্যই আপনার জন্য
উপকারী এ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করলেও আমরা অনেকে জানি না সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও
অপকারিতা। সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের
জানা উচিত। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
পোস্ট সূচীপত্র
সূর্যমুখী তেলের রয়েছে বহু ধরনের উপকারী দিক। ত্বক চুল এবং স্বাস্থ্য সহ
বিভিন্ন পর্যায়ে এর অনেক উপকারিতা আছে। তাই আপনি যদি এ সকল উপকারী দিকগুলো
জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন আর বিস্তারিত জেনে নিন। এছাড়া
আজকে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কিভাবে চলে এবং তাকে যতই
সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পূর্বে চলুন জেনে আসা যাক
সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। শুধু সূর্যমুখী তেল না বরং সূর্যমুখী
বীজেরও রয়েছে দারুন কিছু উপকারী দিক। আপনি যদি এদিক গুলো জেনে থাকেন তাহলে খুব
সহজে এখান থেকে সুবিধা গুলো আপনি নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সাজনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- হাড় মজবুত করেঃ আপনি জেনে অবাক হবেন যে সূর্যমুখী ব্রিজের ভেতরে আছে অনেক পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যেটা খনিজের একটা ভালো উৎস। যে কারণে এটা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক ভূমিকা রাখে এবং হাড় সুস্থ হার গঠনে দারুন ভূমিকা পালন করে।
- বয়সের দাগ দূর করেঃ সূর্যমুখী বীজে রয়েছে এন্টি এজিং বৈশিষ্ট্য। যেটা আপনার ত্বকের বার্ধক্য লক্ষণ গুলো দেখাতে বাধা দিব এবং এর সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ই এবং বিটা রুটিন থাকার কারণে আপনার ত্বক রাখবে উজ্জ্বল এবং তার অন্য বজায় রাখবে। এছাড়াও এর ভিতরে যেব্বীটা কেরোটিন রয়েছে সেটা সূর্যের ক্ষতি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে।
- অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানঃ সূর্যমুখী বীজের যে উপকারী দিকগুলো আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম দিক হচ্ছে এটা আগলে শরীরের বিভিন্ন স্থানের প্রদাহকে কম করবে। যার কারণ হলো এর ভিতর থাকা ভিটামিন-ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আপনি যদি সূর্যমুখীর বীজ নিয়মিতভাবে সেবন করেন তাহলে এটা আপনার হাঁপানি এবং বাত ব্যাথার নিরাময়ের দারুণ ভূমিকা রাখবে।
- চুল পড়া রোধ করেঃ আপনি যদি চুল পড়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকে থেকে সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করতে পারেন।
- ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ সূর্যমুখী বেজে আছে ফাইটো স্টোরেল যেটা আপনার ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তাহলে বুঝতে পারছেন সূর্যমুখী বীজের উপকারিতা কত।
- মানসিক স্বাস্থ্যঃ আপনি যদি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চান তাহলে এক্ষেত্রেই সূর্যমুখী বীজ হতে পারে আপনার জন্য একটি অন্যতম সেরা উপায়। এর কারণ হলো সূর্যমুখী বীজে আছে ট্রিপটেপেন যেটা আপনার শরীরে সেরোটোনিন তৈরি করতে ভূমিকা রাখবে। আর এভাবেই আপনি থাকবেন বিষন্নতা মুক্ত এবং ক্লান্তি বোধ ফিল করবেন না।
- ত্বক নরম রাখেঃ সূর্যমুখী বীজ হচ্ছে ফ্যাটি এসিডের অন্যতম একটি উৎসব যে কারণে এটা আপনার ত্বক রাখবে কোমল এবং ত্বকের কোমলতা ভাব বজায় রাখবে।
- কোলেস্টরেল হ্রাসঃ টেবিলের ভিতর রয়েছে যেটা আপনার রক্তের ভেতরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করবে এবং আপনার হার্টকে রাখবে সুস্থ ।
- দাগ দূর করেঃ সূর্যমুখী বীজের ভিতরে থাকা ফ্যাটি এসিড ত্বকের ভিতরে কোলেজন এবং ইস্টালিন তৈরি করার মাধ্যমে তার থেকে বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটা আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখবে।
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
আর্টিকেলের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে যাবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। সূর্যমুখী
তেলের রয়েছে বেশ কিছু উপকারি দিক। চলুন তাহলে এ বিষয়গুলো জেনে আসা যাক।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ভরপুর সূর্যমুখী তেল কারণে সূর্যমুখী তেল আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং বিভিন্ন ধরনের থেকে বৃদ্ধি করবে।
- মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিবেঃ আপনি যদি মানসিক চাঁদ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আজ থেকে ব্যবহার করুন সূর্যমুখী তেল। গবেষকরা বলছেন সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা হলে এটা মানসিক স্বস্তি দিতে ভূমিকা রাখবে। কারণ হলো সূর্যমুখী তেলে আছে অনেক পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যেটা আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে শান্ত রাখবে।
- দুর্বলতা দূর করেঃ প্রচুর পরিমাণ শক্তি রয়েছে সূর্যমুখী তেলের ভিতরে। আপনার শরীর যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করলে আপনি শরীর দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন এবং শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষম থাকবেন।
- হাড় মজবুত করেঃ সূর্যমুখী তেলের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকার কারণে এটা আপনার শরীরের হাড় মজবুত করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে এজন্য আপনি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন সূর্যমুখী তেল এবং হাড়ের ক্ষয় থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ সূর্যমুখী তেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অন্যান্য এক ভূমিকা পালন করে এজন্য গ্যাস্ট্রিক আলসার সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতেও রয়েছে এর অনেক ভূমিকা। সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করলে এটা পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
- ওজন কমাতেঃ সূর্যমুখী তেলের অন্যতম একটি উপকারের দিক হচ্ছে এটা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাবে। এই তেলের ভিতরে থাকে ফ্যাটি এসিড যেটা আপনার শরীর থেকে চর্বি ঝরতে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করবে। আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা আজকে থেকে নিয়মিত সূর্যমুখী তেল খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে ।
- ব্যথা উপশম করেঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে এই ব্যাথা দূর করতেও কিন্তু সূর্যমুখী তেলের রয়েছে অন্য এক ভূমিকা। এজন্য শরীরের ব্যথা কমাতে আপনি সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলের যত্নেঃ সূর্যমুখী তেল শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি চুলের যত্নেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি চলে এই সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করুন তাহলে আপনার চুল ঘন হবে এবং লম্বা হবে এছাড়াও চুলের লাবণ্য ভাব বজায় থাকবে এবং ঝলমলে থাকবে।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ সূর্য মুখে তেলে রয়েছে ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসির যে কারণে এই তেল যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে এটা শরীরে বিদ্যমান রক্তে থাকা সরকারের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং আপনার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ সূর্যমুখী তেলের রয়েছে অনেক পরিমানে ভিটামিন নিয়েছে কারণে এটা আপনার হৃদ রোগের ঝুড়ি কম করবে এবং শরীরের ডায়াবেটিসের মাত্রা রাখবে নিয়ন্ত্রণে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা।
সূর্যমুখী তেলের অপকারিতা
সূর্যমুখী তেলের যেমন অনেক উপকারীর দিক আছে তেমন কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যে
বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক সূর্যমুখী
তেলের অপকারী দিকগুলো।
- সূর্যমুখে বীজে রয়েছে অল্প পরিমাণ ক্যাডারিয়াম যে কারণে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় বিষ খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা আপনার কি ক্ষতি করতে পারে।
- সূর্যমুখী বীজ যদি বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয়ে যায় তাহলে এটা আপনার বমি ভাব তৈরি করবে এবং পেটে ব্যথার সৃষ্টি করবে এছাড়াও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা।
- সূর্যমুখী বীজে যত ক্যালরি সংখ্যা বেশি থাকে এজন্য কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণ এটা দিয়ে থাকে তাহলে খুব সহজে ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- দূষিত অঙ্কুরিত যদি সূর্যমুখী বীজ খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরে এটা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ তৈরি করবে।
- বিশেষ করে যাদের ক্ষেত্রে এলার্জি রয়েছে তারা যদি সূর্যমুখি তেল অথবা সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করে তাহলে খুব সহজে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফুসকরি বের হবে এবং মুখে চারপাশে ফুলে যাওয়া সহজ ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হবে।
চুলের যত্নে সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার
ইতিমধ্যে আমরা জানিয়েছি সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। সূর্যমুখী তেল
এমন একটি তেল যেটা ত্বক সহজ চুলের যত্ন অনেক ভূমিকা রাখে। সূর্যমুখী তেল যদি
আপনি চুলে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। চলুন জেনে আসা যাক চুলের যত্নে
সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার।
- আপনারা যারা চুল পড়া সমস্যায় আছেন তারা যদি সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই চুল পড়া কমে যাবে।
- প্রতিদিন যদি আপনি চুলে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুলের গোড়া অনেক মজবুত হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা হলে মাথার ত্বক থাকবে সুস্থ এবং পাশাপাশি আপনার খুশকি ও দূর হবে।
- সূর্যমুখী তেলে আছে অনেক পরিমাণ ফ্যাটি এসিড যেটা আপনার চুলকে করে তুলবে মশ্চারাইজ।
- চুল থাকবে নরম এবং উজ্জ্বল। যে কারণে আপনি সহ্যমকে তেল ব্যবহার করতে পারেন ।
- সূর্যমুখী তেলের ভেতরে যে পুষ্টি উপাদানগুলো আছে এটা খুব সহজে আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এবং চুল লম্বা করে তুলবে।
- সূর্যমুখী তেল যদি চুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে মাথার বিভিন্ন ধরনের চুলকানি দূর হবে এবং ফুস করে দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
চুলের জন্য সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করার নিয়ম
আর্টিকেল এর উপরের অংশে আপনি জেনেছেন যে চুলের যত্নে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার
করার উপকারিতা কি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি যদি সূর্যমুখী তেল থেকে এই উপকারের
দিকগুলো পেতে চান তাহলে চুলেই সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করবেন কিভাবে। চলুন তাহলে
বিস্তারিতভাবে জেনে নিন কিভাবে আপনি এদের ব্যবহার করবেন।
প্রথমে বলে রাখি আপনি যদি সঠিকভাবে সূর্যমুখী তেল নিয়ম করে চলে ব্যবহার করুন
তাহলে অনেক উপকারিতা পেয়ে যাবেন তাই অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে
হবে। এজন্য আপনি সূর্যমুখী তেল একটা বাটিতে নিবেন এবং তারপর সেখান থেকে
সমপরিমাণ নারিকেল তেল মেশাবেন। নারকেল তেল এবং সূর্যমুখী তেল গুলো ভালোভাবে
মিশ্রণ করুন।
এবং এর সঙ্গে আপনি কিছুটা হালকা গরম করে নিন। এবার এই তেল আপনার হাতের তালুতে
নিন এবং মাথার ত্বকে লাগিয়ে ধীরে ধীরে মেসাজ করুন। এভাবে সারা রাত রেখে দিয়ে
সকালে আপনি চুল ধুয়ে ফেলবেন। তাহলে আপনি অনেক উপকার পেয়ে যাবেন আর সূর্যমুখী
তেল থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। আশা করছি
বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিগুণ
আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। এখন আমরা আলোচনা করব সূর্যমুখী বীজের
পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তাই আপনি যদি সূর্যমুখী বীজের পুষ্টিকর না জেনে থাকেন
তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।
- প্রোটিন-২০%
- অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড -৩১%
- তেল ৩৫-৪০%
- আইরন
- ম্যাগনেসিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- জিংক
- সেলেনিয়ান
- ম্যাঙ্গানিজ
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি ৬
- ভিটামিন বি ৫
- ফলিক অ্যাসিড
সূর্যমুখী তেলের দাম
সূর্যমুখী তেল আগে সেভাবে ব্যবহার করা না হলেও দেখতো কয়েক বছর থেকে সূর্যমুখী
তেল ব্যবহার হয়ে আসছে বহুবিধ কারণ সূর্যমুখী তেলের আকর্ষণীয় উপকারিতা গুলো
সম্পর্কে মানুষ এখন সচেতন। সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে নাম এর
দাম নির্ধারণের কথা সেভাবে আর নির্ধারণ করা হচ্ছে না যে কারণে বিশ্ব বাজারে এর
দাম কমলেও সঠিকভাবে লাভবান হতে পারছেন না ভক্তরা ।
সূর্যমুখী তেলের দাম গত বছরে কিছুটা কমেছে। ২০২২ সালের মে মাসে সূর্যমুখী তেলের
দাম প্রতি টনে ২১০০ ডলার বৃদ্ধি হয়েছিল যা একটি রেকর্ড। এবং ২০২৪ সালে এসে
মার্চ এবং এপ্রিলের সময় সূর্যমুখী তেলের দাম বিbশ্ব বাজারের ছিল $৯৭৫-$১০২০।
এজন্য আপনি যদি বর্তমান বাজার অনুযায়ী সূর্যমুখী তেল কিনতে যান তাহলে প্রতি
লিটারের খরচ হতে পারে ৩৩০ টাকা এবং ৫ লিটারের একটি সূর্যমুখী তেলের বোতলের দাম
১৫০০-১৬০০ টাকা। বিক্রেতারা বলে থাকেন যে দফায় দফায় এর দাম বৃদ্ধি হয়েছে যে
কারণে তেলের দাম আগে তোলাতে একটু বেশি।
ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার
আপনারা অবগত আছেন যে সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে
জানানোর চেষ্টা করছিলাম। বিষয়গুলো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। সূর্যমুখী তেলের
সদর স্বাস্থ্যকারী উপকারী নয় বরং ত্বকের যত্নে রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন
তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- ত্বক মশ্চারাইজ করেঃ আপনি যদি সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করেন তাহলে এটা আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখবে এবং লড়াই করবে ত্বকের রুক্ষ তার বিরুদ্ধে এছাড়াও সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করলে আপনার ত্বক থাকবে মশ্চারাইজ।
- তোকে সুস্থতা বজায় রাখেঃ সূর্যমুখী তেলের ভেতরে থাকে ভিটামিন মিনারেল যে কারণে এটা তাদের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চান এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তো সুস্থ রাখতে চান তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি হতে রক্ষা করেঃ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি থেকেও সূর্যমুখী তেল রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে। কারণ সূর্যমুখী তেল প্রাকৃতিক সান প্রোটেকডিভ উপাদান। তাহলে বুঝতে পারছেন উপকারিতা কত
- ব্রণ দূর করেঃ আপনি কি ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ? তাহলে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করুন। কারণ সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করা হলে এটা খুব সহজে মুখ থেকে ব্রণ দূর করে। এছাড়াও এর ভেতরে থাকা ভিটামিন কি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব সহজে ত্বকের ফ্রিজেটিক্যাল দূর করতেও ভূমিকা রাখে।
- বার্ধক্যের চাপ দূর করেঃ সূর্যমুখী তেলের যে উপাদান রয়েছে তা খুব সহজে আপনার ত্বকের বা ত্বকের ছাপ কমাতে সাহায্য করবে । সূর্যমুখী কেলেজোনের মাত্রা কে বাড়িয়ে তুলবে এবং ত্বক রাখবে উজ্জ্বল ও নরম।
ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেল ব্যবহারের নিয়ম
এ পর্যায়ে এসে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো আপনি যদি ত্বকের যত্নে
সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করতে চান তাহলে কিভাবে করবেন। মূলত সঠিকভাবে ব্যবহার
করলেই এর সঠিক উপকারিতা গুলো আপনি পাবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
ত্বকের যত্নে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম এটা আপনার তালুতে
ঘষে নিন।
তারপর তেলটি আপনার হাতের মধ্যে ঘোষণ যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা গরম হয়। এবার এই
তেলটি শেষের না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আপনি মাসাজ করে নিন । এভাবে
মাখিয়ে রেখে পড়ার দিন সকালে আপনি ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনি যদি এই
সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে লেবুর অপরিহার্য তেল যোগ করতে পারেন তাহলে আরও অনেক
বেশি ভালো ফলাফল পাবেন।
শেষ কথা
আজকের পুরো আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে সূর্যমুখী তেলের বিভিন্ন উপকারী
দিক সম্পর্কে। এছাড়াও কিছু অপকারী দিক আছে যা আপনি জেনে গেছেন আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে। তাই অবশ্যই এ সকল উপকারী এবং অপকারী দিকগুলো ভেবে সঠিক পরিমাণ
ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলটি বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকে আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন সূর্যমুখী
তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি
শেয়ার করে দিন। আর এ ধরনের তথ্য সেবা গুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com
ওয়েবসাইটে
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url