স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগেআপনি যদি আপনি জানতে চান স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট
কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকে
আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর কোথাও
খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে
পারবেন স্মার্ট কার্ড চেক অনলাইন বিষয় সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি
শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আমাদের স্মার্ট আইডি চেক করতে হয়। স্মার্ট
কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাদেরকে জানতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে। চলুন
তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি
নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ভূমিকা
আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে যাব স্মার্ট কার্ড
রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি, স্মার্ট কার্ড আবেদন, স্মার্ট কার্ড সুবিধা সহ স্মার্ট
কার্ড চেক অনলাইন ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার
করার হলে খুব সহজেই এটা নকল করা যায় না বলে এর অনেক সুবিধা আছে। চলুন তাহলে
বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জেনে আসা যাক আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ার মাধ্যমে।
স্মার্ট কার্ড কি?
স্মার্ট কার্ড কথাটি এখন বেশ প্রচলিত। এক সময় আমাদের প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে একটা
জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল। যাকে বলা হতো এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
কিন্তু আপনি কি জানেন স্মার্ট কার্ড কি ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই
কারণ নেই। স্মার্ট কার্ড কি সে বিষয়ে সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে এসে আমরা ডিজিটাল
বাংলাদেশে বাস করার কারণে পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড ও স্মার্ট হয়ে গিয়েছে।
যেখান থেকে আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নামও হয়েছে স্মার্ট কার্ড। এজন্য সহজ
ভাবে বলতে হয় যে জাতীয় পরিচয়পত্রে যে ডিজিটাল সংস্করণ হয়েছে এটাই হচ্ছে
স্মার্ট কার্ড। স্মার্ট কার্ড হচ্ছে মূলত এক ধরনের ইলেকট্রণিক কার্ড। যেখানে
রয়েছে মাইক্রোচিপ। যাতে অনেক ধরনের তথ্য সংরক্ষণ থাকে এবং এগুলোকে আবার
প্রক্রিয়াও করা সম্ভব।
অনেক সময় জাতীয় পরিচয় পত্রের এনালগ সিস্টেমটি নকল করা গেলেও বর্তমান সময়ে এসে
এই স্মার্ট কার্ড নকল করা একদমই অসম্ভব। স্মার্ট কার্ডের ভিতরে থাকে একজন
নাগরিকের বিভিন্ন তথ্য। স্মার্ট কার্ড থেকে একজন নাগরিক বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ
করতে পারেন।
স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
বলছিলাম স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার
নিয়ম সম্পর্কে। আপনি কিভাবে আপনার স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন সেই
নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। আপনি যদি স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন আর
স্মার্ট কার্ড যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনি যেভাবে ডাউনলোড করবেন।
এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যে সার্ভার আছে সেখানে যেতে
হবে এবং আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নির্বাচন অফিসের সাইট খোলা হয়ে গেলে
আপনি সেখানে রেজিস্ট্রেশন করার পরে আপনার পাসওয়ার্ড এবং ইউজার আইডি দিয়ে লগইন
করুন। লগইন করা হয়ে গেলে আপনার স্মার্ট কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ
বিষয়ে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
স্মার্ট কার্ডের সুবিধা
স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম
এখন পর্যন্ত যদি আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড হাতে না পেয়ে থাকেন তাহলে স্মার্ট
কার্ড চেক করলে আপনি জানতে পেরে যাবেন আপনার সেই কার্ডটি কবে হাতে পাবেন। স্মার্ট
কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম জানলে খুব সহজে
স্মার্ট কার্ড চেক করার মাধ্যমে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আপনি যদি স্মার্ট কার্ড চেক করতে চান তাহলে এজন্য আপনি দুইটি উপায়ে স্মার্ট
কার্ড চেক করতে পারবেন। এর ভেতরে একটি নিয়ম হচ্ছে অফলাইনে অর্থাৎ মেসেজ এর
মাধ্যমে। আর আরেকটু উপায় হচ্ছে অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক। কিভাবে আপনি অনলাইনের
মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড চেক করবেন এবং মেসেজের মাধ্যমে কিভাবে স্মার্ট কার্ড চেক
করবেন।
সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই অংশে। তাই অবশ্যই
আপনি স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় গুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
SMS এর সাহায্যে স্মার্ট কার্ড চেক
যারা অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক করতে ঠিকভাবে পারেন না তারা চাইলে হাতে থাকা যে
কোন মোবাইল দিয়েই খুব সহজে মেসেজের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি জেনে যাবেন আপনার স্মার্ট কার্ড টি আপনি কবে পাবেন এবং কোথায় পাবেন
সে বিষয়ে সম্পর্কেও। এন্ড্রয়েড ফোনের পাশাপাশি আপনি বাটন ফোন দিয়েও আপনার এই
স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারবেন এসএমএসের মাধ্যমে।
চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক আপনি কিভাবে বাটন ফোনে এসএমএস এর সাহায্যে স্মার্ট কার্ড চেক করতে পারবেন। Sms এর মাধ্যমে যদি স্মার্ট কার্ড চেক করতে চান এজন্য আপনাকে ফোনের sms অপশনে যেতে হবে। এবার আপনি সেখান থেকে SC< space< nid number লিখে105 ঠিকানাই send করুন।
বিস্তারিতঃ sms এর সাহায্যে যদি স্মার্ট কার্ড চেক করতে চান তাহলে সেজন্য
আপনাকে একটি ফোন হাতে নিতে হবে এবং ফোনের sms অ্যাপটি ওপেন করুন। এবার খেয়াল করো
দেখুন নিচের দিকে start chat নামে একটি অপশন আছে। এবার এখানে ক্লিক করুন এবং type
name, phone number or Email এই জায়গাতে আপনার ফোনের কিবোর্ড থেকে 105 লিখে ok
অথবা Enter বাটনে চাপ দিন।
এবার Text অপশন থেকে SC স্পেস NID স্পেস আপনার Nid নম্বর লিখে ক্লিক করুন Sms
আইকনে। অর্থাৎ এই ঠিকানায় মেসেজটি পাঠিয়ে দিন। sms পাঠানোর পূর্বে আপনার ফোনের
ব্যালেন্স ঠিক ভাবে চেক করে নিবেন কারণ এসএমএস সেন্ড করতে হলে আপনার ফোন থেকে খরচ
কাটা হবে। sms পাঠানোর পর ফিরতি এসএমএস আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার স্মার্ট
কার্ড সম্পর্কে যা তথ্যগুলো। আশা করছি পুরো বিষয়গুলো আপনিও খুব ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন।
স্মার্ট কার্ড চেক অনলাইন
আপনি যদি এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন আর আপনি যদি ভেবে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে
স্মার্ট কার্ড চেক করবেন তাহলে কিভাবে আপনি স্মার্ট কার্ড চেক করবেন সে
বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো। চলুন তাহলে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে এসে যাক।
- অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে
- বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটটির লিংক হচ্ছে https:// services.nidw.gov.bd/nid-pub/ card-status /
- এবার আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার অথবা ফোন নাম্বারটি লিখুন। ফর্ম নাম্বারটি লেখার সময় আপনাকে NIDFN1২২12৫৩7এভাবে লিখতে হবে।
- তারপর আপনার জন্ম তার একটি সঠিকভাবে লিখুন
- ক্যাপচা কোডের ভেতরে যে লেখাটা আছে এটা হুবহু লিখুন এবং পূরণ করুন।
- সর্বশেষে আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন এবং নিজেই যাচাই করে নিন আপনার স্মার্ট কার্ড বিষয়টি।
স্মার্ট কার্ডের সুবিধা
এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট
কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম। চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে আসি স্মার্ট কার্ডের কি কি
সুবিধা রয়েছে। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে যে সকল সুবিধা গুলো আপনি পাবেন তার
কয়েকটি দিক নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
- মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করার কাজে।
- আপনার সম্পত্তি কেনাবেচার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে রয়েছে স্মার্ট কার্ড এর ব্যবহার।
- গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যবহার করা হয় স্মার্ট কার্ড।
- ভোটার সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে।
- ব্যাংকে যেকোনো ধরনের হিসাব বিকাশ এর কাজে স্মার্ট কার্ড বা এন আই ডি কার্ড দরকার হয়।
- পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে।
- বিয়ের তালাক এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যবহার করা হয়।
- বিভিন্ন ধরনের ই টিকিটিং সংগ্রহ করার কাজে আপনি স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
- স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে এটা খুব সহজেই নকল করা যায় না।
- ব্যক্তি শনাক্তকরণের জন্য স্মার্ট কার্ডের রয়েছে ব্যবহার।
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচী ২০২৪
আপনি যদি স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে তাহলে আপনি জেনে যাবেন স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচী সম্পর্কে। চলুন তাহলে স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচি জেনে আসা যাক।- সর্বপ্রথম আপনাকে প্রবেশ করতে হবে www.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে।
- এবার আপনি সেখান থেকে NID ONLINE SERVICE লেখা লিংকে ক্লিক করুন।
- এবার অন্যান্য তথ্য ট্যাবে From No এবং জন্ম তারিখ বা NID No এর সাথে জন্ম তারিখ দিন।
- এবার নিজেই দেখে নিন স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচি গুলো।
- এভাবে সহজেই আপনি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন এবং স্মার্ট কার্ডের সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড আবেদন
আপনি যদি অনলাইনে স্মার্ট কার্ড আবেদন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই
পর্বটি আপনার জন্যই। আপনি নিশ্চয় জেনে গেছেন স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি
নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড আবেদন সম্পর্কে।
স্মার্টফোন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- অনলাইন থেকে যদি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগতে পারে চলুন এগুলো জেনে আসা যাক।
- আপনার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল হতে হবে।
- মাধ্যমিক অথবা সমমান এর স্কুল সার্টিফিকেট এর সনদপত্র।
- বাবা/মা/স্বামী বা স্ত্রীর সত্যায়িত এনআইডি কার্ডের কপি।
- আপনি যেই এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকার প্রমাণ আপনাকে ট্যাক্সের কাগজ বা বিল পরিষদের কাগজ যেমন -গ্যাস বিল, পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল।
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড আবেদন
- আপনি প্রবেশ করুন বাংলাদেশ এন আই ডি আবেদনের ওয়েবসাইটে।
- যারা নতুন ভোটার আছেন তাদের জন্য ক্লিক করে ভেতরের পেজে প্রবেশ করা লাগে।
- এবার দেখুন ইংরেজিতে আপনার সামনে একটা আবেদন ফরম চলে এসেছে সেখানে ইংরেজিতে আপনার নাম এবং জন্ম তারিখ লিখে বহাল বাটনে চাপ দিন। তারপর পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।
- এবার আপনি যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন সে মোবাইল ফোনে ব্যবহারকৃত নাম্বারটি লিখুন এবং সেন্ড করার পর এসএমএস বাটনটি ক্লিক করে পরের পেজে ঢুকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
- দেখুন আপনার মোবাইলে একটা মেসেজ এসেছে সেখান থেকে ৬ ডিজিট এর কোডটি আপনি ফমের ভিতরে লিখুন।
- তারপর আপনার একটা ইউজার আইডি এবং একটা পাসওয়ার্ড সেট করুন।
- এবার বহাল বাটনে চাপ দিয়ে দেখুন আপনার নিজের একটা প্রোফাইল বানানো হয়ে গেছে।
- এবার প্রোফাইলে প্রবেশ করুন এবং প্রোফাইল অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিন।
- এগুলো ঠিকঠাকভাবে করলে দেখুন আপনার সামনে একটা আবেদন ফরম চলে এসেছে যেখানে ইংরেজিতে আপনার তথ্যগুলো চলে এসেছে। সেখান থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, আপনার লিঙ্গ,আপনার ঠিকানা, আপনার নাম, আপনার রক্তের গ্রুপ এগুলো ঠিক করুন।
- তারপর বাংলাতে এবং ইংরেজিতে আপনার পিতা মাতার নাম বসিয়ে দিন।
- যারা বিবাহিত রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর এনআইডি দিতে পারেন।
- এবার আপনার পড়াশোনা সার্টিফিকেট এবং আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি আপনার না থাকে তাহলে সেটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- তারপর আপনার সঠিক ঠিকানা এক্ষেত্রে যদি ভুল করেন তাহলে আপনার ঠিকানা ও ভুল হয়ে থাকবে। এবার ডান পাশে থাকা নেক্সট অথবা পরবর্তী বাটনের চাপ দিলে দেখবেন আপনার থেকে কাগজ পেতে চাচ্ছে সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট এ ক্লিক করুন।
- এভাবে অনলাইন প্রক্রিয়ায় আপনি স্মার্ট কার্ড আবেদন কাজটি সম্পন্ন করলেন।
স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে
আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গিয়েছেন স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার
নিয়ম। আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন
করবেন কিভাবে। তাই এ পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় স্মার্টকার্ড রেজিস্ট্রেশন।
- স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিসে একটা ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে আপনার একটা অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রয়োজন হতে পারে।
- রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ফোন নম্বর ঘরে আপনাকে ভোটার স্লিপের যে নাম্বার রয়েছে সে ফোন নাম্বারটি বসাতে হবে। এবং অন্যদিকে আপনাকে যা স্মার্ট কার্ড টি সংশোধন করবেন অথবা হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করবেন সেই নাম্বার।
- যারা নতুন ভোটার আছেন তারা যদি সঠিক নাম্বার দেয়ার পর রেজিস্ট্রেশন না হয় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এনআইডি কার্ড এখনো অনলাইনে সাবমিট হয়নি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ফরম নম্বর ঘরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং ফর্ম নাম্বার নাম্বারটা এবং আপনার জন্ম তারিখের ঘরে আপনাড জন্ম তারিখ নাম্বারটি সঠিকভাবে বসান। এবার ক্যাপসারটিতে যে প্রতিষ্ঠিত কোড আছে সেটা প্রবেশ করান।
- তারপর আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনি এন আইডি কার্ড করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন অবশ্যই সেই ঠিকানা পূরণ করতে হবে। ঠিকানা ব্লক পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এবার মোবাইল নাম্বার অ্যাড করার অপশনে আপনার মোবাইল নাম্বারটি অ্যাড করুন।
- আপনার এই ফোন নাম্বারে একটা ওটিপি আসবে। এই কোডটি আপনি একদম নির্মল ভাবে প্রদান করুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপস টি ইন্সটল করতে হবে ইনস্টল কমপ্লিট হলে আপনার ফোনে এই অ্যাপসটি ওপেন করুন এবং কিওয়ার্ড টা স্ক্যানিং করে নিন। এটা কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে ।
- খেয়াল করে দেখুন আপনার ফেস তিন দিকে ধরতে হবে। অর্থাৎ প্রথমে ফোনটিকে আপনার ফেস বর আবার ধরুন এবার যদি ঠিক জন্য উঠে যায় তারপর আপনি আপনার মুখ ডান পাশে এবং বাম পাশে ধরে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন। সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এটা অটোমেটিকলি আপনাকে পাসওয়ার্ড অপশনে প্রবেশ করাবেন।
- খেয়াল করে দেখুন এখানে পাসওয়ার্ড অপশনে দুইটা অপশন রয়েছে একটা হচ্ছে পাসওয়ার্ড সেট করুন অন্যটি হচ্ছে পাসওয়ার্ড দিয়ে চলুন। সেখান থেকে আপনার পাসওয়ার্ড টি সেট করে নিন। পাসওয়ার্ড সেটের একটা অন্যতম সুবিধা হচ্ছে পড়াতে সময় যদি আপনার স্মার্ট কার্ডটি সংশোধন অথবা ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনাকে আর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।
- পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আপনাকে একটা ইউজার নেম এবং একটা পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি হতে হবে প্রথম অক্ষরটি বড় হাতের এবং বাকি সব অক্ষর গুলো ছোট হাতের। শেষের দিকে আপনাকে একটা চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে যেমন -Jamal123#। এভাবে আপনি ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করে সাবমিট এ ক্লিক করুন।
- আপনার পেজ যদি লগ আউট হয়ে যায় তাহলে এখান থেকে আবার আপনি লগইন করুন এবং যাদের আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা আছে তারা নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আপনার লগইন টি যদি সফলভাবে হয়ে থাকে তাহলে আপনার সামনে স্মার্ট কার্ডের যাবতীয় তথ্যগুলো প্রদর্শিত হবে। তারপর উপরের হোম অপশন থেকে আপনি ডাউনলোড অপশন এ গিয়ে আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট কার্ডটি খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
স্মার্ট কার্ড পেতে কতদিন লাগে
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে স্মার্ট কার্ড পেতে কতদিন
সময় লাগবে। তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আপনাদের জানিয়ে দেবো আপনি যদি
স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে কতদিন সময় লাগতে পারে। চলুন তাহলে
বিস্তারিত জেনে এসে আসা যাক। যারা সাধারণত ২০১৬ সালের পূর্বে ভোটার তারা এখন
পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড সেবা পায়নি।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে করণীয় কি?
এবং না পাওয়ার মূল কারণটি হচ্ছে ২০১৬ সালের আগে বাংলাদেশে স্মার্ট কার্ড
সিস্টেম চালু ছিল না। যে কারণে চোখের আইরিশ এবং দশ আঙুলের ছাপসহ ইত্যাদি তথ্য
নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় যদি আপনার দ্রুত সময় স্মার্ট কার্ড লাগে তাহলে সে
ক্ষেত্রে আপনার এলাকা নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য
দিয়ে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করুন।
২০১৬ সালের পরে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের ভেতরে অনেকেই ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড
পেয়েছেন। কারণ ২০১৬ সালের পরে এ সিস্টেম চালু হওয়ার জন্য সকল তথ্য নেওয়া
সম্ভব হয়েছে। আপনি যদি দেখেন আপনার স্মার্ট কার্ড পেতে অনেক বেশি সময় লাগছে
তাহলে বুঝবেন কোন সমস্যা রয়েছে বা প্রযুক্তিগত ভুলের জন্য এমন হতে পারে।
স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং বন্ধ থাকার কারণে আপনার স্মার্ট কার্ড পেতে লেট হতে
পারে।
লেখকের শেষ কথা
স্মার্ট কার্ড যেহেতু বর্তমানে আমাদের খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয় যে কারণে
স্মার্ট কার্ড আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট কার্ড কিভাবে চেক করবেন
কিভাবে ডাউনলোড করবেন সে বিষয়গুলো নিচে আপনি আর্টিকেলের মাধ্যমে বুঝে গিয়েছেন।
তবুও কথা বুঝতে অসুবিধা হলেও কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি স্মার্ট কার্ড চেক করার
সহজ ২টি নিয়ম-স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে
থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, আপনি যদি এ সমস্ত
তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে চান তাহলে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url