স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিআপনি কি স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ? তাহলে একদম জায়গা মতো এসেছেন। আজকে আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন স্যালাইন খাওয়ার সকল উপকারী দিক সম্পর্কে।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন স্যালাইন তৈরির নিয়ম।
তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
খাবার স্যালাইন আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। এতে করে আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর
হয় এবং শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে। চলুন তাহলে বিস্তারিত হবে জেনে আসা
যাক স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে।
ভূমিকা
স্যালাইন অনেক জাতীয় হতে পারে যেমন - ওর স্যালাইন, রাইস, স্যালাইন টেস্টি
স্যালাইন কিংবা ভেতরে প্রবেশ করানো লিকুইড স্যালাইন। স্যালাইন খাওয়া হলে
আপনি কি কি উপকার পাবেন এবং স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম সহ স্যালাইন কিভাবে তৈরি
করবেন সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম
ডায়রিয়া এবং পানি শূন্যতা সমস্যায় আমরা স্যালাইন খেয়ে থাকি। ডাইরিয়া
সমস্যাতে স্যালাইন খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। এছাড়া শরীরে পানি সমস্যা দূর করতেও
রয়েছে এর অনেক ভূমিকা। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব স্যালাইন খাওয়ার ১২টি
কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম। চলুন প্রথমে জেনে আসা যাক স্যালাইন
কিভাবে খেতে হবে সেই নিয়ম সম্পর্কে।
1. স্যালাইন প্রস্তুতিকরণঃ
- সর্বপ্রথম আপনি কতটুকু স্যালাইন খেতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি ২৫০ মিলিগ্রাম স্যালাইন খেতে চান তাহলে আপনাকে সেই অনুযায়ী ২৫০ মিলিগ্রাম পানি নিতে হবে।
- এবার স্যালাইনের প্যাকেট কেটে স্যালাইনগুলো ২৫০ মিলিগ্রাম পানিতে ঢেলে দিন।
- এবার একটা চামচ দিয়ে ভালো করে স্যালাইন গুলো পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
2. স্যালাইন খাওয়ার নিয়মঃ
- ডায়রিয়া রোগীদের জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর রোগীকে ওরস্যালাইন খেতে দিন।
- রোগীর বয়স যদি দুই বছর অথবা ১০ বছর হয় তাহলে স্যালাইনের পরিমাণ হবে ১০০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত।
- রোগীর বয়স যদি ১০ বছরের বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে ২০০ মিলিগ্রাম হতে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খাওয়াতে পারবেন।
3. স্যালাইন খাওয়ার কিছু সতর্কতাঃ
- খাবার স্যালাইন তৈরি করার পর অনেক সময় ধরে রাখা ঠিক হবে না। তাহলে এটা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে না এজন্য আপনি খাবার স্যালাইন তৈরি করার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত রাখতে পারেন।
- স্যালাইন খাওয়ার পর ব্যবহারিত চামচ আবার ভালো করে ধুয়ে সেটা বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ানোর ড্রপে করে বাচ্চাদেরকে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
স্যালাইন খেলে কি ঠান্ডা লাগে
প্রতিনিয়ত আমরা স্যালাইন খেয়ে থাকি। স্যালাইন খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে পানি
শূন্যতা দূর করার পাশাপাশি শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কখনো কি ভেবে
দেখেছেন স্যালাইন খেলে ঠান্ডা লাগে কিনা। অনেকেই আবার জানতে চেয়েছেন রে স্যালাইন
খেলে ঠান্ডা লাগে কিনা। আস্তে আর্টিকেলের এই পর্বে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা
করেছি এ বিষয়ে সম্পর্কে।
মূলত স্যালাইন খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় আছে যে সময়গুলোতে যদি আপনি
স্যালাইন খান তাহলে এটা আপনাদের ঠান্ডা করে তুলবে। হেলেন খাওয়ার একদম সঠিক সময়
হচ্ছে দুপুরে কারণ এই সময় মানুষের শরীর অনেক ক্লান্ত থাকে যে কারণে পানি শূন্যতা
পূরণ করার জন্য স্যালাইন খাওয়া হয়। তবে আপনারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি করে
স্যালাইন খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা আপনাদের শরীর ঠান্ডা করে তুলতে পারে।
বিশেষ করে শীতের দিনে এবং রাত্রিতে যারা বেশি স্যালাইন খান তাদের ঠান্ডা লাগার
আকাঙ্খা বেশি থাকে। এজন্য সকল অথবা দুপুর সময় আপনি নিশ্চিন্তভাবে স্যালাইন খেতে
পারবেন এতে আপনার কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না। তবে যাদের অতিরিক্ত সর্দি -কাশি,
গলা ব্যথা, জ্বর রয়েছে তারা মূলত স্যালাইন খেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা একটু বেশি
থাকে।
স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন যে স্যালাইন খাওয়া
হলে এটা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করবে। চলুন তাহলে আমরা এবার বিস্তারিতভাবে জেনে
আসি স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম স্যালাইন
খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে বা স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- পানি শূন্যতা দূর করে
- মাথা ব্যাথা দূর করে
- ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে রাখে
- তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়
- রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখে
- ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দেয়
- পরিপাক নালী পরিষ্কার রাখে
- গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে
- জিংক সাপ্লিমেন্ট হিসেবে
- চর্মরোগ নিরাময়ে
- ঘাড়ের ব্যথা দূরীকরণ
- ব্লাড সার্কুলেশন
পানিশূন্যতা দূর করেঃ স্যালাইন খাওয়ার অন্যতম একটি উপকারি দিক হচ্ছে
এটা খাওয়া হলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দূর হয়। এজন্য যাদের শরীরে পানি
শূন্যতা দেখা দেয় তাদেরকে স্যালাইন খাওয়া দরকার। যেকোনো ধরনের পানি শূন্যতা
দূর করার জন্য স্যালাইন অতুলনীয়।মাথা ব্যাথা দূর করেঃ কখনো যদি আপনার মাথা
ব্যথা সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি একটা স্যালাইন খেয়ে নিতে পারেন। কারণ
স্যালাইন খাওয়া হলে এটা তাৎক্ষণিক মাথাব্যথা সমস্যা দূর করতে পারে।
ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ স্যালাইন খাওয়া হলে এটা
আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইট কে বজায় রাখতে সাহায্য করবে যে কারণে স্যালাইন
খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।
তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়ঃ আমাদের শরীরের যদি দুর্বলতা দেখা দেয় তাহলে শরীর
যদি দুর্বল থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়া হলে এটা তাৎক্ষণিকভাবে
আমাদের শরীরের শক্তি নিয়ে আসতে পারে।
রক্তচাপ এর মাত্রা ঠিক রাখেঃ স্যালাইন যদি খাওয়া হয় তাহলে এটা আমাদের
শরীরের রক্ত এর নাকটা কি ঠিক রাখবে। যে কারণে শরীরে রক্তচাপ সমস্যাও হবে না।
ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দেয়ঃ আপনি যদি স্যালাইন খেতে পারেন তাহলে এটা
আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দিবে। এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত স্যালাইন
পানি খাওয়া।
পরিপাক নালী পরিষ্কার রাখেঃ স্যালাইন খাওয়ার যতগুলো উপকারে দিক আছে তার
ভিতর একটি অন্যতম উপকরণ হচ্ছে স্যালাইন খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরের পরিপাক
নালিকা পরিষ্কার রাখতে ভূমিকা রাখে।
গরমে শরীর ঠান্ডা থাকেঃ গরমের সময় আমাদের শরীর বেশি ক্লান্তি হয় এবং
শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। গরমের সময় যদি স্যালাইন খাওয়া হয় তাহলে এটা
আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
জিংক সাপ্লিমেন্ট হিসেবেঃ ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানার সঙ্গে এটা
সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে। তাই পাতলা পায়খানার
সমস্যায় আপনি স্যালাইন পানি খাবেন।
চর্মরোগ নিরাময়েঃ চর্মরোগ নিরাময় করার জন্য স্যালাইনের গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আপনি স্যালাইন পানি খেতে পারেন।
ঘাড়ের ব্যথা দূরীকরণঃ কখনো যদি আপনার ব্লাড প্রেসার লো হয় তাহলে সে
ক্ষেত্রে আপনার ঘাড়ের রগ টানটান ভাব হতে পারে সেক্ষেত্রে ব্যাথা থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য স্যালাইন খেতে পারেন।
ব্লাড সার্কুলেশনঃ স্যালাইন খাওয়া হলে এটা ব্লাড সার্কুলেশন এর
ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। আপনি যদি নিয়ম তো সকাল এবং রাতে একটা করে স্যালাইন খান
তাহলে এটা আপনি ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করবে।
স্যালাইন তৈরির নিয়ম
প্রিয় বন্ধুগণ, স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে আমরা তো জানলাম। অনেকেই জানে না স্যালাইন কিভাবে তৈরি করতে হয়।
আপনি যদি না জেনে থাকেন স্যালাইন তৈরির নিয়ম সম্পর্কে তাহলে চলুন এই সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
এক প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করার নিয়ম
- এক প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটা পুরস্কার পাত্রে ৫০০ গ্রাম বিশুদ্ধ খাবার পানি নিতে হবে।
- এবার আপনি স্যালানের প্যাকেট কেটে সম্পূর্ণ স্যালাইন গুলো পানির মধ্যে ঢেলে ফেলুন।
- তারপর একটা পুরস্কার চামচ দিয়ে স্যালাইন পানি গোলক ভালো ভাবে নেড়ে নিন। যাতে করে স্যালাইন গুলো প্রাণীর সঙ্গে মিশে যায়।
ঘরে খাবার স্যালাইন তৈরি করার নিয়ম / পদ্ধতি
অনেক সময় দেখা যায় যে হাতের কাছে স্যালাইন থাকে না চেয়ে ক্ষেত্রে বাসাতে
স্যালাইন তৈরি করতে হয়। স্যালাইন তৈরি করার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে এবং
কিভাবে তার সাথে স্যালাইন তৈরি করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।বিস্তারিত হবে
যেন আসা বাড়িতে খাবার খেলেন তো এখন নিয়ম সম্পর্কে।
- বাড়িতে যদি আপনি খাওয়ার চালান তৈরি করতে চান তাহলে এজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একা পুরস্কার পাত্রে ৫০০ গ্রাম পানি নিতে হবে।
- স্যালাইন তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে স্বাভাবিক মাত্রাতে ফুটোর পানি নিতে হবে।
- এবার আপনি পানির ভেতরে আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে দিন।
- তারপর ছয় চা চামচ চিনি এই পানির সঙ্গে যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরি। তবে হ্যাঁ বাড়িতে এভাবে তৈরি করা খাবার স্যালাইন ৬ ঘন্টার ভেতরে পান করবেন। তা না হলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
স্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে স্যালাইন খেলে প্রেসার বাড়বে
কিনা। তাই আমরা ভেবেছি যে আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আপনাদের জানিয়ে দিব
স্যালাইন খাওয়া হলে এটা আপনাদের শরীরে প্রেশার বৃদ্ধি করবে কিনা। সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসে যাক। প্রথমে বলতে হয় যে স্যালাইন খাওয়া হলে এটা আপনার
শরীরের প্রেসার বৃদ্ধি করবে।
আপনি যদি দেখেন আপনার শরীর অনেক বেশি দুর্বল করছে এবং প্রেসার চেক করার পরও
আপনার প্রেশার কম রয়েছে তাহলে একটা খাবার স্যালাইন তৈরি করে সাথে সাথে
স্যালাইন খেয়ে নিন। তাহলে এটা আপনার শরীরের পেশার বৃদ্ধি করে তুলবে। কারণ
খাবার স্যালাইন এর ভেতরে আছে লবণাক্তকর পরে হয় যেটা লো পেশার রোগীদের জন্য
বেশি উপকারী।
এজন্য স্যালাইন খাওয়া হলে এটা প্রেশার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে আপনারা
যারা দুর্বল রোগী আছে এবং লো প্রেসারের রোগী রয়েছেন তারা বাঁচাতে স্যালাইন
তৈরি করে খেতে পারেন। যেমন এক গ্লাস পানির ভিতরে এক সিমটা লবণ এবং দুই চা চামচ
চিনি মিশিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন। পরিশেষে বলা যায় যে খাবার স্যালাইন আপনার
শরীরের প্রেসার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
স্যালাইন খাওয়ার অপকারিতা
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন
খাওয়ার নিয়ম। কিন্তু তবুও স্যালাইন খাওয়া হলে রয়েছে এর কিছু অপকারী দিক।
এজন্য আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে
হবে স্যালাইন খাবারের দিকগুলো। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক।
- কোষের পানি শূন্যতাঃ স্যালাইন খাওয়া হলে এটা যেমন আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা সমস্যা দূর করে ঠিক তেমনি স্যালাইন খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে কোষের পানি শুকিয়ে ফেলতে পারে। এজন্য অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণ স্যালাইন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং পরিমাণমতো খাওয়া উত্তম।
- লবনের পরিমাণ বৃদ্ধি করেঃ স্যালাইনের ভেতরে আছে অনেক পরিমানে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড। অতিরিক্ত পরিমাণ স্যালাইন খাওয়া হলে এটা সোহেলের মাত্রা বৃদ্ধি করবে। পরিমাণ মতো স্যালাইন খেতে হবে।
- কিডনি সমস্যাঃ আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে যদি স্যালাইন খাওয়া হয় তাহলে এটা আমাদের কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই স্যালাইন খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে যেন অতিরিক্ত পরিমাণ না খাওয়া হয়।
- হাইপারন্যাট্রমিয়াঃ স্যালাইনের ভেতরে যে সোডিয়াম ক্লোরাইড উপাদান রয়েছে এটা আমাদের শরীরের রক্তের সঙ্গে মিশে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসামহীনতা তৈরি করতে পারে। যা হাই ব্লাড প্রেসার সমস্যা তৈরি করে তুলতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোন স্যালাইন খাওয়া যাবে
গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন সময়ে শরীর দুর্বলতা সৃষ্টি হলে স্যালাইন খাওয়ার
দরকার হয়। তবে গর্ভকালীন সময়ে অবশ্য খাওয়া বিষয়ে একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়
যে কারণে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে গর্ভকালীন সময়ে কোন স্যালাইন খাওয়া যাবে।
তাই এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কোন স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে।
স্যালাইন খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারী এজন্য গর্ভাবস্থায় স্যালাইন খাওয়া হলে
কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু তাই বলে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ খাবেন এটা কিন্তু ঠিক
না। গর্ভকালীন সময়ে কেউ যদি শরীর দুর্বলতা, জ্বর, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি
সমস্যায় ভুগে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ওর স্যালাইন দিতে পারেন। এটা শরীরের জন্য
অনেক উপকার নিয়ে আসবে। এর পাশাপাশি আপনি টেস্টি স্যালাইন ও খেতে পারেন।
টেস্টি স্যালাইন খাওয়া হলেও এটা আপনার শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করবে এবং
পানিশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও আপনি গর্ব অবস্থায় স্যালাইন
খাওয়ার পাশাপাশি ডাবের পানিও খেতে পারেন। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি বুঝতে
পেরেছেন।
স্যালাইন খেলে কি গ্যাস হয়
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে
নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী
উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম। অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে স্যালাইন খেলে
গ্যাস হবে কিনা। আজকের আর্টিকেলের শেষ অংশে এসে আমরা জানিয়ে দিব স্যালাইন
খেলে কি গ্যাস হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে।
সাধারণত স্যালাইন হচ্ছে একটি পানীয় জাতীয় খাবার যার ভেতরে উপস্থিত আছে
পটাশিয়াম লবন, গ্লুকোজ এবং সোডিয়াম। শরীরের যখন ডাইরিয়া অথবা পানির
সমস্যা তৈরি হয় তখন চিকিৎসা গুলো পরামর্শ দিন বেশি বেশি স্যালাইন খেতে।
খাওয়া হলে যে গ্যাস হয় এরকম কোন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কিন্তু অনেক সময় আবার স্যালাইন খাওয়ার পর অনেকে পেটে গ্যাসের সমস্যায়
ভুগেন।
তাহলে বুঝতে হবে এটা মূলত আপনার খাদ্যভাস বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
বা শরীরের বিশেষ কোনো প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য যাদের পেটে
গ্যাসের সমস্যা আছে তারাও স্যালাইন খেতে পারেন স্যালাইন খাওয়া হলে গ্যাস
বাড়েনা। তবে চেষ্টা করবেন ফাঁকা পেটের স্যালাইন পানি না খাওয়ার।
শেষ কিছু কথা
যেকোনো ধরনের পানি শূন্যতা বা ক্লান্তিবোধে আমরা স্যালাইন পানি খেয়ে থাকে।
স্যালাইন পানি খাওয়া হলে আমি শরীরে অনেক উপকার মিলে। যে সম্পর্কে আজকে
আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছিল। আর্টিকেল কি বুঝতে কোথাও অসুবিধা হলে আরো একবার
পড়ুন অথবা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, স্যালাইন খাওয়ার ১২টি কার্যকারী উপকারিতা-স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম তো আপনি জানলেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর এই সমস্ত তথ্যগুলো নিয়মিত
পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ ধরে সঙ্গে
থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ
করছি।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url