১৫টি আকর্ষণীয় ও সেরা প্রফেশনাল ভাবে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

কিভাবে মোবাইল দিয়ে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায়আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে। যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। মূলত যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চাই তাদের জন্য এ সকল সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যা আপনি জানবেন আজকের আর্টিকেলে। এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স সম্পর্কেও।
multiplebd-মোবাইলে-ভিডিও -এডিটিং -সফটওয়্যার
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চাইলে সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে। তাই অবশ্যই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই অজানা তথ্য গুলো জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর বিস্তারিত জেনে নিন মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে।

ভূমিকা 

কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা অনেকের সামর্থ্য তে হয় না এজন্য অনেকেই আছেন যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান। এজন্য আপনারা যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার কথা চিন্তা করেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্যই। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে।

আপনিও যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে এসব সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে এবং মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিটিং করবেন ভিডিও এডিটিং এর প্রকারভেদ জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভিডিও এডিটিং কি এবং ভিডিও এডিটিং কত প্রকার

আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন প্রথমেই জেনে আসা যাক ভিডিও এডিটিং কি এবং ভিডিও এডিটিং কত প্রকার সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজে আকর্ষণীয় মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

সাধারণত ভিডিও এডিটিং বিষয়টি হচ্ছে এভাবে বলা যায় যেটা আপনি একাধিক ভিডিও ফুটেজকে নিজের ইচ্ছা মতো এডিট করে সুন্দর গল্প তৈরি করে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। বিভিন্ন সময় ওয়েডিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্মৃতি জড়িত সময় গুলোকে ধরে রাখার জন্য ভিডিও শুট করতে হয় আর এসব ভিডিও শুট গুলোকে নরমাল ভাবে সংগ্রহ করার।

পরবর্তীতে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সেগুলো এডিট করে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর এই বিষয়টিকে বলা হয় ভিডিও এডিটিং। সাধারণত যখন আপনি কোন রকম দৃশ্য অথবা ফুটেজ গুলোকে ক্যামেরায় বন্দি করে ভিডিও তৈরি করবেন সেগুলো দেখতে প্রফেশন হয় না এবং অগোছালো ভাব তৈরি হয়।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন আপনি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সেগুলো কে ইফেক্ট দিয়ে এবং বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে নতুন ভিডিও তৈরি করবেন সেটা দেখতে অনেক আকর্ষণমূলক হবে। চলুন এবার জেনে আসা যাক ভিডিও এডিটিং কত প্রকার সে বিষয়ে সম্পর্কে।

ভিডিও এডিটিং সাধারণত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত
  • প্রি-প্রোডাকশনঃ ভিডিও এডিটিং এর কাজ হচ্ছে এডিটিং পরিকল্পনা এবং আপনি কি ধরনের স্ক্রিপ্ট লিখবেন এবং শর্ট নির্বাচন করবেন সেটা প্রি প্রোডাকশন ভিডিওর কাজ।
  • প্রোডাকশনঃ এ পর্যায়ে সাধারণত ভিডিও ধারণ করতে হয় এবং সেটা সংরক্ষণ করতে হয়।
  • পোস্ট- প্রোডাকশনঃ ভিডিও এডিটিং এর এ পর্যায়ে ভিডিও শুরু করার ফটোসগুলো থেকে এডিট করার মাধ্যমে ফাইনালি একটা আউটপুট তৈরি করা।
ভিডিও এডিটিং কত প্রকারঃ

  • লিনিয়ার এডিটিংঃ এ পদ্ধতি হচ্ছে প্রাথমিক ধরনের কোন ভিডিওকে এডিট করার পদ্ধতি যেখানে আপনি অনেক ধরনের ভিডিও ফুটেজকে ধারাবাহিকভাবে একের পর শো করবেন বা এডিট করবেন।
  • নন-লিনিয়ার এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং এর এ পর্যায়ে এসে ভিডিও ক্লিপগুলোকে সংরক্ষণ করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবং সেগুলোকে ইচ্ছামত যেকোন ক্রমে এডিট করা যায় এবং এটা অনেক প্রচলিত এবং আধুনিক একটা পদ্ধতি।
  • অনলাইন এডিটিংঃ সাধারণত কোন ভিডিও চূড়ান্ত সংস্করন তৈরির জন্য এখানে উচ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে ফুটেজ এডিট করা হয়ে থাকে।
  • অফলাইন এডিটিংঃ যখন আপনি প্রাথমিকভাবে কোন লো রেজুলেশন এর ফুটেজ নিয়ে কাজ করবেন এবং এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ফুটেজের সঙ্গে মিলানোর পরে ফাইনাল আউটপুট তৈরি করবেন তখন এটা অফলাইন এডিটিং।
  • কালার কালেকশন এবং কালার গ্রেডিংঃ ভিডিও এডিটিং এর এ পদ্ধতিতে হচ্ছে যখন ভিডিওতে আপনি রং কন্টেস্ট এবং ব্রাইটনেস সমন্বয় করে ভিডিওকে আরো অনেক প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করবেন তখন এটাকে বলা হয় কালার কালেকশন এবং কালার গ্রেডিং।
  • ভিজুয়াল এফেক্টঃ সাধারণত যখন আপনি কম্পিউটার জেনারেট করে গ্রাফিক্স এবং বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করবেন তখন এটাকে বলা হয় এফেক্ট।
  • মাল্টিকাম এডিটিংঃ যখন একাধিক ক্যামেরা এঙ্গেল থেকে ধারণ করা কোন ভিডিও ফুটেজকে একসঙ্গে এডিট করা হয় তখন সেটাকে ভালো হয়ে থাকে মাল্টিকাম এডিটিং। যেমন - লাইভ ইভেন্টের ভিডিও।
  • থ্রিডি ভিডিও এডিটিংঃ মনে করুন আপনি থ্রিডি ভিডিও ফুটেজ তৈরি করবেন। এজন্য থ্রিডি ভিডিও ফুটেজ এডিট করে পরে যোগ করে যে ভিডিও তৈরি করা হয় সেটা হচ্ছে থ্রিডি ভিডিও এডিটিং।

ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ

আপনি কি জানেন ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ কি ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন আর্টিকেল এ পর্বে এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। যারা একেবারে নতুন ভিডিও এডিটিং শিখতে চাই তাদের মনে প্রশ্ন আসে কেন আমি ভিডিও এডিটিং শিখব ভিডিও এডিটিং এর ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ কি।

আমরা চেষ্টা করেছি আর্টিকেলের এই অংশে তাদের এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার। প্রথমেই বলতে হয় ভিডিও এডিটিং এ ক্যারিয়ার অনেক উজ্জ্বল। আগের সময় গুলোতে ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার শুধু মাত্র বিয়ে বারের অনুষ্ঠানগুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে দেশ উন্নত হওয়ার কারণে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ভিডিও এডিটিং এর ব্যবহার হচ্ছে।

যে কারণে ভিডিও এডিটিং এর অনেক উজ্জ্বল। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে ভিডিও এডিট করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন যা আপনার ধারণার বাইরে। আপনি যদি ক্যারিয়ার হিসেবে ভিডিও এডিটিং বেছে নিন তাহলে আপনার এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

কারণ ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ যতদিন যাবে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা তত বৃদ্ধি পাবে। তাই ভিডিও এডিটিং শিখলে আপনি লাইফ টাইম আর টেনশন করতে হবে না নতুন কোন কাজ করার জন্য। ভবিষ্যতে এই ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে এটা তো বলাই যাই। ভিডিও এডিটিং এর ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরো কিছু দিক নিচের পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • ডিজিটাল মিডিয়া প্লাটফর্মে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। instagram রিল ইউটিউব ফেসবুকসহ tik tok এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ভিডিও এডিটিং করার কাজকে আরো অনেক গুন বৃদ্ধি করে তুলেছে এজন্য এ কাজ শিখলে আপনার ক্যারিয়ার উজ্জ্বল।
  • বিজ্ঞাপন এবং সিনেমাতে স্পেশাল কিছু ইফেক্ট এবং ভিজুয়াল দরকার হয় যে কারণে সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানলে ভিডিও এডিটিং এর ক্যারিয়ার আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
  • আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানে ভিডিও এডিটর হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাইরে থেকে অনেক বায়ার আসে যারা কিনা ভিডিও এডিটরের থেকে তাদের কাজগুলো করে নেই।
  • ব্র্যান্ড এবং শিল্পীদের জন্য তাদের ভিডিওগুলোকে অনেক বেশি প্রফেশনাল এবং মিউজিক ভিডিও দিয়ে তৈরি করতে হয় বলে একজন ভিডিও এডিটরের চাহিদা অনেক বেশি।
  • ফেসবুক সহ ইউটিউবের জনপ্রিয়তার কারণে ইউটিউবে শর্ট এবং ফেসবুকের রিয়েল ভিডিও গুলো তৈরি করার জন্য পেশাদার এডিটরদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি বিভিন্ন ধরনের চ্যানেল গুলোতে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে পারবেন এবং অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

আজকে আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করবেন তাহলে কিভাবে আপনি কিভাবে ভিডিও এডিটিং করবেন এবং কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

১৫ টি জনপ্রিয় ও সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার 
  1. Quik   মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  2. Promo.com মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  3. Adobe Premier Rushমোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  4. GoPro মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  5. Horizon মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  6. Magisto মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  7. Vizamto মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  8. PicPlaypost মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  9. Movavi clips মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  10. Boomerang মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  11. KineMaster মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  12. Apple Clips মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  13. Hyperlapse মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  14. FilmoraGo মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
  15. Akash Go মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 
উপরে আমরা যে সকল সফটওয়্যার সম্পর্কে বর্ণনা করেছি আপনি এ সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। আশা করছি বিষয়গুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। চলুন এই সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। বিস্তারিত জানতে নিচের দিকে পড়তে থাকুন। 

Quik   মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন Quik অ্যাপসটি। এটা সাধারণত ios,Android এর জন্য উপলব্ধ। ফ্রিতেই আপনি খুব সহজে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। খুব দ্রুত তোমার সময়ে এবং পৃথক পৃথকভাবে ভিডিও সম্পাদন করার জন্য এই অ্যাপসটি অনেক জনপ্রিয়।

Promo.com মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

আপনি যদি চিন্তাভাবনা করে থাকেন মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করবেন এবং সেই ভিডিও এডিটিং করা ভিডিও গুলো আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহার করবেন তাহলে খুবই জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হবে এটি। Promo.com এই সফটওয়্যার টি সাধারণত ios এবং অ্যান্ড্রয়েড উপলব্ধ। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই চমৎকার কিছু বিজ্ঞাপন পেশাদার কিছু ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট তৈরি করতে পারবেন।

এই সফটওয়্যার এর অন্যতম কিছু বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সফটওয়্যার দিয়ে অডিও টুলস, সামাজিক শেয়ারিং, এইচডি রেজুলেশন, গতি সমন্বয়, বিভক্ত/একত্রিত, ভিডিও ক্যাপচার ইত্যাদি কাজ গুলো খুব সহজে করতে পারেন।এজন্য আপনার জন্য হতে পারে এটা একটা জনপ্রিয় এবং সেরা এপস।

Adobe Premier Rushমোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে বলছিলাম। এগুলোর ভেতরে দারুণভাবে জায়গা করে নিয়েছে Adobe Premier Rus। আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এ সফটওয়্যারটি। এ সফটওয়্যারটি হচ্ছে ফ্রি ভিডিও মোবাইল এডিটর। সাধারণত বেসিক মোবাইল ভিডিও এডিটিং করার জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং সেরা একটি সফটওয়্যার হচ্ছে Adobe Premier Rush. এ সফটওয়্যারটি ios এবং Android এর জন্য উপলব্ধ।

GoPro মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

আপনি যদি ফ্রি কোন ভিডিও এডিটর মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি আপনাকে বলব GoPro এই অ্যাপস এর কথা। Androi এবং ios এর জন্য উপলব্ধ এই অ্যাপসটি খুবই জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এটা আইফোন এবং এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য সব থেকে জনপ্রিয় এবং বিনামূলক ভিডিও সম্পাদন করার এপ্লিকেশনের ভেতরে অন্যতম একটি অ্যাপস। কখনো যদি আপনার খুব দ্রুত তবুও সময়ের ভিতরে ভিডিও সম্পাদনা করতে হয় তাহলে আপনি এই অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।

Horizon মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যে সফটওয়্যার গুলো আছে তার ভিতরে একটি হচ্ছে Horizon সফটওয়্যার। এই অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ইচ্ছামত আপনি ফিল্ম ক্যাপচার করতে পারবেন। Android এবং ios এর জন্য উপলব্ধ এই অ্যাপসটি। এই অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি সমস্ত ফুটেজ গুলো শট ভাবে ক্যাপচার করতে পারবেন।

Magisto মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

ios এবং Android উপলব্ধ এই অ্যাপসটি অনেকের কাছে অন্যতম একটি সেরা ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার। আর হবেই না কেন, কারণ এই অ্যাপস ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের ভেতরে পেশাদার ভাবে চেহারার ভিডিও সম্পাদন করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফটো ভিডিও সহ আরো যে ধরনের সংগীত ব্যবহার করতে যাচ্ছে ওগুলো খুব সহজে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন এবং যোগ করতে পারবেন।
multiplebd-মোবাইলে-ভিডিও -এডিটিং -সফটওয়্যার
আপনার ইচ্ছামত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও সম্পাদন করতে পারবেন এই অ্যাপস ব্যবহার করে। শুধু তাই নয় বরং আপনি Magisto এই সফটওয়্যারটা অ্যাপস ব্যবহার করে খুব দ্রুত তোমার সময়ের ভিতরে instagram পোস্ট তৈরি করতে পারবেন।

Vizamto মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

বলছিলাম মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিট করবেন যেহেতু সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে তা সম্পর্কে। এগুলোর ভিতরে অন্যতম একটি দাবিদার হচ্ছে vizamto অ্যাপস। এই অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ভয়েসকে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করতে পারবেন , নিজের ইচ্ছামত ভয়েস কে হালকাভাবে রেকর্ড করা এবং নিজের ইচ্ছের গল্প গুলো বলতে পারবেন এছাড়াও আপনি এখানে ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন।

এই অ্যাপসটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব দ্রুত সময়ের ভিতরে ভিডিও এবং স্লাইড শো এনিমেশন তৈরি করতে পারবেন। এই অ্যাপটি আপনাকে ট্রিম এবং এডিট করার অনুমতি দিবে এছাড়াও পাশাপাশি আপনি তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এফেক্ট এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফিল্টার প্রয়োগ করে সেটা HD ভাবে সম্পাদন করতে পারবেন।

PicPlaypost মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

ios এবং Android এর জন্য উপলব্ধ অন্যতম একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হচ্ছে PicPlayPos. এই অ্যাপসের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ৯ টি ফ্রেমের ভিডিও,জিফ থেকে জিআইএফ, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড টেক, বিভিন্ন ধরনের ইমেজ লোগো অথবা টেক্সট সহ বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার মার্ক যোগ করতে পারবেন। PicPlaypost এজন্য সেরা একটি ভিডিও এডিটিং এপস।

Movavi clips মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

মোবাইল ফোন দিয়ে যদি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন বিনামূল্যে ভিডিও সম্পাদন করার এই Movavi clips অ্যাপসটি। এই অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার এবং ট্রানজেকশন এড করতে পারবেন। কোন ধরনের বিজ্ঞাপন থাকে না যে কারণে এটা হতে পারে আপনার জন্য আনন্দজনক।

এছাড়াও এই অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি যে কোন অবস্থায় cut পারবেন এবং ইচ্ছামতো ঘোড়াতে পারবেন। মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ট্যাবলেটও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন এই অ্যাপস। অন্যান্য অ্যাপস এর মতো এই অ্যাপসটিও Android এবং ios উপলব্ধ।

Boomerang মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে আপনার জন্য হতে পারে Boomerang অ্যাপসটি অন্যতম একটি সেরা এপস। দ্রুত সময়ের ভিতর এটা দিয়ে আপনি ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন এবং অল্প কিছু সময়ের ভিতরেই instagram story এর জন্য শর্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ভিডিও লোক এবং ক্যামেরার রোলে ফুটে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই অ্যাপস ডাউনলোড করে আপনি ফটোগুলো ব্যবহার করেও আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। ios এবং Android উপলব্ধ অন্যতম একটি অ্যাপস এটি।

KineMaster মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

অ্যান্ড্রয়েড এবং আই ও এস উপলব্ধ অন্যতম একটি সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস KineMaster. মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনেকের কাছেই এটা খুব জনপ্রিয়। এই অ্যাপস এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে -ঘুন্নন এবং ছাটায়ের মতো মৌলিক সম্পাদনা সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন, আকর্ষণীয় সাউন্ড যোগ করা, এছাড়াও আপনি তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে এটা আপলোড করতে পারবেন। 4K রেজুলেশনে আপনি এটা সম্পাদনা করতে পারবেন।

Apple Clips মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

আপনি যদি জানতে চান মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য কোন অ্যাপস ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন আরো একটি অ্যাপস হচ্ছে Apple Clips যা ios এবং অ্যান্ড্রয়েড উপলব্ধ। এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি একই সঙ্গে ভিডিও সম্পাদন করার সময় টাইমলাইন সম্পাদনা করতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের ক্যাপশনও যোগ করতে পারবেন এবং খুব সহজেই ক্লিপ যোগ করতে পারবেন। তাই ভিডিও এডিটিং করার জন্য অন্যতম একটি সেরা সফটওয়্যার হচ্ছে এটি।

Hyperlapse মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

অ্যান্ড্রয়েড এবং আইএস উপলব্ধ একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো Hyperlapse. দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় ভাবে খুব সুন্দর ভিডিও তৈরি করার জন্য এটার অনেক ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাপস ব্যবহারের আরো একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এখান থেকে ভিডিওগুলো আপনি সরাসরি শেয়ার করতে পারবেন আপনার Instagram প্রোফাইলে। এছাড়াও সর্বোচ্চ গতি বাড়াতে পারবেন 12 xপর্যন্ত।

FilmoraGo মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস 

আপনি যদি জানতে চান মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারসম্পর্কে তাহলে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে Android এবং ios উপলব্ধ FilmoraGo এই অ্যাপসটি। মজার বিষয় হচ্ছে এই অ্যাপস ব্যবহার করলে আপনি কোন রকম ওয়াটার মার্ক এবং পেইড সাবস্ক্রিবশন ছাড়াই খুব সহজে আপনার পছন্দমত মিউজিক দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এজন্য মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।

Akash Go মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস

আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উপলব্ধ অন্যতম একটি জনপ্রিয় মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো Akash Go. মোবাইল ফোনে ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনি এই অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। বিনামূল্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যে সফটওয়্যার আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে এই সফটওয়্যারটি।

এখান থেকে খুব সহজে আপনি ইচ্ছামতো এনিমেশন এবং ক্যাপশন ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। তাই সর্বশেষে বলতে হয় যে আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে একশন কোন শর্ট ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে এই অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স

অনেকের পক্ষে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব না। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে। আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে খুব সহজে অনেকটা খাই ইনকাম করতে পারবেন।
multiplebd-মোবাইলে-ভিডিও -এডিটিং -সফটওয়্যার
এজন্য চাইলে আপনি ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারেন সেখানকার ট্রেনারা আপনাকে খুব ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং করা শিখিয়ে দিবে। আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন এ বিষয়ে আরো ভালো দক্ষতা অর্জন করার জন্য ভিডিও এডিটিং কোর্স করবেন তাহলে চলুন জেনে আসা যাক মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স সম্পর্কে। প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং ক্লোজ করায় এমন কিছু সেন্টারের নাম নিচে দেওয়া হল
  • 10 Minute School 
  • Learning Bangla 
  • eShikon
  • Ghori Learning 
  • Bohubrihi
  • Mid journey Course

শেষ কথা

আপনি জেনে গিয়েছেন মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে কোন ধরনের সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করবেন। তবুও আর্টিকেলটি বুঝতে যদি কোথাও অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আপনি কমেন্ট করে জানাবেন এ ছাড়া আর্টিকেলটি আরো একবার পড়ে আসতে পারেন। আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে ভিডিও এডিটিং শিখবেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি শেয়ার করে দিন। এ সমস্ত তথ্য গুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url