ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর ১২টি সুবিধা ও ৬টি অসুবিধা
নতুন জিমেইল একাউন্ট খোলা ও ডিলিট করার নিয়মইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে
আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেল
জোরে আলোচনা করা হয়েছে এ সমস্ত বিষয় নিয়ে। শুধু কি তাই, আজকে আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ইমেইল কি এ বিষয় সম্পর্কেও। আপনার অজানা
এ তথ্যগুলো জানতে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমরা অনেকেই ইমেইল ব্যবহার করে থাকলেও অনেকেই জানিনা ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর
সুবিধা অসুবিধা। আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি যদি শেষ
পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আপনাকে আর কোথাও
খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক।
ভূমিকা
আপনি ইমেইল ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যেকোনো জায়গায়
খুব সহজেই তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া ইমেইল মার্কেটিং করেও অনেক
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য ইমেইল মার্কেটিং এবং সুবিধা অসুবিধা, ইমেল
মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সহ ইমেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
ইমেইল কি
ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানার আগে চলুন প্রথমেই
জেনে আসা যাক ইমেইল কি আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অনেক সুবিধা আপনি
পেয়ে যাবেন। তাই ইমেইল ব্যবহার করার পর আপনাকে জানতে হবে ইমেইল কি। তাহলে আর
দেরি কেন চলুন বিস্তারিত জেনে এসে যাক। সাধারণত ইমেইল এর পূর্ণরূপটি হচ্ছে
ইলেকট্রনিক্স মেইল।
যখন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অর্থাৎ (
কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল ফোন ইত্যাদি) এসব ডিভাইস গুলো দিয়ে যখন তথ্য আদান
প্রদান করবেন তখন এই ব্যবস্থাকে বলা হবে ইমেইল। তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য এই
ইমেইল এর ভেতরে আইপি অথবা ইন্টারনেট প্রোটকল ব্যবহার করা হয়।
আপনি ইমেইল ব্যবহার করে অনেক ধরনের ডকুমেন্ট ছবি তথ্য ভিডিও সহ যেকোনো ধরনের
ডিজিটাল ফাইলগুলো খুব সহজেই পাঠাতে পারবেন ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হয়ে।
ইমেইল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি
বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির একটি ডিজিটাল যুগ। আর এই যুগে এসে আপনিও
নিশ্চয়ই নিজেকে পরিবর্তন করে ডিজিটাল যুগে নিয়ে এসেছেন। তাই এজন্য আমরা আপনাকে
জানাবো এই ডিজিটাল যুগে আচ্ছা আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করেন তাহলে এর ভবিষ্যৎ
কি। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো মাধ্যম আছে তার ভেতরে অন্যতম একটি
মাধ্যম হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। আপনি যদি পুরোপুরি ভাবে সঠিক ভাবে এভাবে মার্কেটিং
শিখে যান তাহলে আপনি এখান থেকে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
যেখান থেকে আপনি মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি থাকে যারা ইমেইল মার্কেটারদের কাছে কাস্টমারদের
বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন কিনে থাকে। এজন্য আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং শিখতে পারেন
তাহলে এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।
ইমেইল মার্কেটিং কি
আপনি তো ইমেইল কথাটির নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন ইমেইল
মার্কেটিং কি। জানি আপনি এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। ইমেইল
মার্কেটিং করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর
সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি marketing ব্যবস্থা যেটা ডিজিটাল মাধ্যমে
পরিচালিত হয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি প্রভাবশালী মাধ্যম হচ্ছে
ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে মার্কেটাররা সরাসরি ভাবে যুক্ত
থাকতে পারে তাদের ক্লায়েন্টের সাথে। যখন কোন প্রোডাক্ট অথবা সেবা, অফার ইত্যাদি
বিষয়গুলো ইমেইলের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা কিংবা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে করা হয় তখন
তাকে বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং ।
একজন ইমেইল মার্কেটটার খুব সহজে তার গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে। সাধারণত মেইল
মার্কেটাররা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি
যোগাযোগ করার মাধ্যমের মার্কেটিং টা করে থাকে।ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে যতগুলো
কাজ আছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রকে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক বড় আকার
ধারণ করাতে সক্ষম হবেন।
এজন্য ইমেইল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অনেক। ইমেইল মার্কেটিং কে আবার এভাবেও বলা
যায় যে এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং ব্যবস্থা যেখানে ইলেকট্রনিক্স মেইল
ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট গুলোকে ইন্টারনেট মাধ্যমে করা হয়
এবং যার উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা।
যেখানে কোম্পানি গুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রচার এবং অফার গুলোর সম্পর্কে গ্রাহকদের
কাছে বাকি তাদের কাছে তথ্য প্রধান বিষয় আকৃষ্ট করা এবং তাদের বিক্রয়গুলো বৃদ্ধি
করা । একজন ইমেজ মার্কেটটার খুব ভালোভাবে জানেন কিভাবে সে তার ব্যবসাকে বড় করতে
পারবে। ইমেইল মার্কেটাররা ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে।
ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা সুসম্পর্ক করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা
গুলোকে খুব ভালো করে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। প্রত্যেকটা মানুষের কাছে এখন
email দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে অটো মেশিন প্রযুক্তি
ব্যবহার করার ফলে খুব সহজে কয়েক মিনিটের ভেতরেই ইমেইল মার্কেটিং কোম্পানিগুলো
হাজার হাজার মানুষের ইমেইল সংগ্রহ করতে পারছে।
ইমেইল এর সুবিধা
বলছিলাম ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা।আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই
আপনি এতক্ষণ জেগে গেছে ইমেইল বিষয়টা কি এবং ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে। এখন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে email। ইমেইল
ব্যবহারে রয়েছে অনেক সুবিধা। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ইমেইল এর
সুবিধা গুলো।
- পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে ইমেইল ব্যবহার করে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন একে অপরের সাথে।
- ইমেইল ব্যবহার করা অনেক সহজ। খুব দ্রুততম সময়ের ভেতরে মেসেজ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এছাড়াও এই তথ্য গুলো আপনি কম্পিউটারের সংরক্ষিত রাখতে পারবেন।
- একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ইমেইল ব্যবহার করে।
- তথ্য কিংবা ভিডিও পাঠানোর সময় যেকোনো ধরনের ছবি কিংবা প্রবন্ধ অথবা নির্দেশনা মূলক লেখা আপনি খুব সহজে পাঠাতে পারবেন।
- ইমেইল ব্যবহার করার ফলে সময় সাশ্রয় হয়।
- খুব দ্রুতভাবে কাস্টমার এবং অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। যে কারণে ফোন অথবা অন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য সময়ের অপচয় হবে না।
- যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব।
- ইমেইল ব্যবহার করে আপনার খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সেভ করে রাখতে পারবেন। যেমন - cv,ইমেজ ইত্যাদি।
- ইমেইলের সাথে এটাচ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অন্য কোন ফাইল পাঠাতে পারবেন।
- ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে লাভবন হওয়া সম্ভব।
- ইমেইল ব্যবহার করার ফলে এটা আপনার কাগজের এবং প্রিন্টিং খরচ কমাবে।
- প্রাপ্ত মেইলের বিপরীতে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোনো উত্তর পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবেন।
ইমেইল এর অসুবিধা
ইমেল ব্যবহার করার সুবিধার দিকের পাশাপাশি আছে অসুবিধাও। এজন্য আপনি যদি ইমেইল
ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে ইমেইল ব্যবহারের অসুবিধার দিকগুলো।
চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক।
- ইমেইল যেহেতু একটা ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমের এজন্য যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সুবিধা যদি না থাকে তাহলে আপনি ইমেইল পাঠাতে পারবেন না।কখনো কখনো আবার আপনার ইমেইল হ্যাক করার মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য গুলো প্রকাশ করে দিতে পারে।
- যদিও ইমেজ ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে অনেক কিন্তু তবুও এর কিছু অসুবিধা থাকতে পারে।
- বিভিন্ন সময় ইমেইলে ইমেইল আসে। এতে করে আপনি ধোঁকায় পড়তে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় সব তথ্যগুলো হারিয়ে ফেলতে পারেন।
- ইমেইলের তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
- বিভিন্ন সময় আবার আপনি যে ডিভাইসটি ব্যবহার করে ইমেইল পাঠাচ্ছেন বা ব্যবহার করছেন সেই ডিভাইসে ইমেইলের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে যে কারণে আপনার ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা
আপনি যদি একজন ইমেইল মার্কেটার হতে চান তাহলে ইমেইল মার্কেটিং করে কি কি সুবিধা পাবেন এ বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আপনাকে জানিয়ে দিব ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে রাখা যাক।- যেকোনো ডিভাইস ব্যবহারঃ ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনি যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো ধরনের ডিভাইস থেকে খুব সহজেই ইমেইলের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে পরিচালনা করতে পারবেন।
- খরচ কমঃ অন্যান্য যে সকল মার্কেটিং রয়েছে সেগুলোর তুলনাতে ইমেইল মার্কেটিং এর খরচ তুলনামূলক কম হতে মানুষ জন বেশি পরিমাণে ইমেইল মার্কেটিং করে।
- কমিশনঃ ইমেইল মার্কেটিং করে আপনি যে সকল পণ্যগুলো বিক্রয় করবেনন ঐসকল পণ্যগুলো থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা কমিশন লাভ করতে পারবেন।
- ঘরে বসে বিক্রয়ঃ ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোন অফিস কিংবা চেম্বারে না গিয়ে ঘরে বসে আপনি জিনিস বিক্রি করতে পারবেন যেখান থেকে টাকা আয় হবে।
- নতুন কাস্টমারঃ ইমেল মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক নতুন কাস্টমার আসবে যে কারণে ব্যবসার প্রসার হবে এবং কাস্টমার বাড়বে।
- চাকরিঃ এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো একটা মাসিক বেতনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ভাবে কর্মচারী রাখতে চাই। এজন্য আপনি চাইলে ঐ সকল কোম্পানিগুলোতে ইমেইল মার্কেটিংয়ে জব করতে পারেন। এ সকল কোম্পানির গুলোতে প্রতিদিন অফিস করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী ইমেইল মার্কেটিং করতে হয়।
ইমেইল লেখার নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে।
আমরা অনেকেই এমন আছি যারা জানে না কিভাবে ইমেইল লিখতে হয়। এজন্য আজকের
আর্টিকেল এই পর্বে এসে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো একটা সঠিক ইমেইল লেখার নিয়ম
সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- সঠিক ইমেইল ঠিকানা ব্যবহারঃ ইমেইল লিখতে হলে অবশ্য আপনাকে একটা সঠিক এবেল ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে আপনার এই ইমেইল ঠিকানাটি সহজে বুঝতে পারা যায়। ব্যক্তিগত ইমেল এর জন্য অবশ্যই আপনি নিজের নাম অথবা নিজের নামের অংশবিশেষ ব্যবহার করবেন।
- বিষয়ঃ আপনি যার কাছে ইমেইল পাঠাচ্ছেন সে যেন ইমেইলের লাইন দেখে বুঝতে পারে বিষয়বস্তু সম্পর্কে এইজন্য অস্পষ্ট কর কিভাবে বিভ্রান্তিকর বিষয় লাইনগুলো এড়িয়ে চলুন।
- সম্মানজনক সম্বোধনঃ ইমেইলের শুরুতেই আপনি যার কাছে ইমেইল পাঠাচ্ছেন অর্থাৎ প্রাপককে একটা সম্মানজনক উপাধি দিবেন। যেমন - প্রিয়, জনাব/জনাবা। আপনি যদি প্রাপকের নাম না জেনে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন স্যার/ম্যাডাম, যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
- সংক্ষিপ্ত এবং ইস্পষ্ট বার্তাঃ আপনার ইমেইলের ভিতরে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বাদ দিয়ে মূল বক্তব্য স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে লিখুন। দীর্ঘ বাক্য এবং জটিল শব্দ ব্যবহার করার ফলে এটা প্রাপকের কাছে বিরক্তিকর হতে পারে।
- বানান ও ব্যাকরণ পরীক্ষাঃ আপনি যখন কাউকে ইমেইল পাঠাবেন ইমেইল পাঠানোর পূর্বে আপনার ইমেল এর বানান গুলো এবং ব্যাকরণ গুলো ভুল হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে নিন । কারণ ভুল যুক্ত ইমেল আপনার অমনোযোগিতার পরিচয় দিবে।
- উপযুক্ত সমাপ্তিঃ ইমেইল লেখা হয়ে গেলে ইংলিশ শেষের দিকে আপনার প্রাপককে যথার্থ ধন্যবাদ জানাবেন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করুন যেমন- "আপনার মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম", আপনার সহযোগিতার জন্য একান্ত ধন্যবাদ জানাচ্ছি" ইত্যাদি।
- স্বাক্ষরঃ ইমেল লেখা শেষ হয়ে গেলে ইমেলে শেষে আপনার পদবী, আপনার নাম, আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম এবং যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করুন।
- সংযুক্তিঃ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট অথবা অন্যান্য ফাইল এবং ছবি যুক্ত করুন। ভাইয়ের সংযুক্ত করার পর এটা যদি বড় মাপের হয় তাহলে কমপ্রেস করুন।
- গোপনীয়তাঃ আপনার ইমেইলে যদি গোপনীয় তথ্য প্রেরণ করতে হয় তাহলে শুধুমাত্র আপনার বিশ্বস্ত প্রাপক কে পাঠান। গুরুত্বপূর্ণ ইমেজ যদি পাঠাতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন BCC(Blind carbon copy ) ।
- ফরম্যাটঃ ইমেইলের ফরমেটিং টা আপনাকে সুন্দর রাখতে হবে। ইমেইলের ধরন এবং ফন্ট সাইজ যেন পড়ার উপযোগী থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। অতিরিক্ত ইমোজি কিংবা কালার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ইমেইল এর কয়টি অংশ ও কি কি
আপনারা যারা কখনো ইমেইল ব্যবহার করেননি, অথবা যারা নতুন নতুন ইমেইল ব্যবহার
করছেন তারা হয়তো জানেন না ইমেইলের অংশ কয়টি এবং কি কি। এজন্য আমরা এখন আপনাকে
জানিয়ে দেবো ইমেইল এর কয়টি অংশ এবং কি কি । প্রথমেই বলে রাখি যে ইমেইলের
প্রধানত দুইটি অংশ আছে। যার প্রথম অংশটি কে বলা হয় ব্যবহারকারীর নাম।
এবং পরের অংশটি অর্থাৎ নামের পরের অংশটি হলো @। ইমেইল ব্যবহার করা কোন ব্যক্তির
নাম আগে প্রথমে দিতে হবে এবং তারপরে ব্যবহার করতে হয় @, এরপরে দেওয়া লাগে
ইমেইলের সংশ্লিষ্ট ডোমেন নাম।যেমন -email/gmail.com।
ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব
আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গেছেন ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন
করে জানতে চেয়েছেন যে ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কি। তাই আজকের আর্টিকেলের
সে আমাদের আলোচনার বিষয় ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে।
- কাস্টমাইজ কনটেন্টঃ ইমেইল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্ব হচ্ছে এটা আপনাকে আপনার গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজ কনটেন্ট পাঠাতে সুযোগ করে দিবে । আপনার গ্রাহকদের পছন্দ-অপছন্দ তাদের ব্যবহৃত পণ্য কিংবা পৌরসভা অনুযায়ী আপনি ইমেইল তৈরি করতে পারবেন এবং তাদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। যে কারণে ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বুঝে আপনি সহজেই গ্রাহকদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তাব রাখতে পারবেন।
- গ্রাহকদের সম্পর্ক রক্ষাঃ ইমেইল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটা আপনার গ্রাহকদের সঙ্গে একটা দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কারণ ইমেইল মার্কেটিং তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সঠিক সময় এবং নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ তৈরি করে। বিশেষ বিশেষ অফার, নতুন পণ্য অথবা সার্ভিস সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, ফিডব্যাক সংগ্রহ সহ গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাস এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক।
- পরিমাণয়োগ্য ফলাফলঃ ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব রয়েছে।কনভারসেশন রেট, ক্লিক থ্রু রেট,ইমেইল ওপেন রেট এমন সব বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রচারের ফলাফল খুব সহজে বিশ্লেষণ করা যায়। ইমেইল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্ব হচ্ছে এটা আপনার প্রচারের ফলাফল নির্ধারণ করার জন্য একটা সহজ উপায় সরবরাহ করবে।
- টার্গেটেড মার্কেটিংঃ ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট গ্রাহক কিংবা গুষ্টির কাছে সুনির্দিষ্ট বার্তা পাঠানো যাবে। এখানে আপনি কাস্টমারদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন এবং ইচ্ছা বিবেচনা করে তার উপরে কনটেন্ট কাস্টমাইজ করতে পারবেন। যার ফলে প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে এবং কনভার্সন রেড বৃদ্ধি পাবে।
- খরচ সাশ্রয়ীঃ ইমেইল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অনেক কম খরচে আপনি এটা পরিচালনা করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন ব্যানার টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের তুলনাতে এটা অনেক সস্তা। এছাড়াও আপনি ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রচারণা আরো সহজ করতে পারবেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার সুযোগ থাকে।
- উচ্চ রিটার্ন অন ইনভেসমেন্টঃ ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ব্যাপক। অন্যান্য মার্কেটিং চ্যানেল থেকে এটা উচ্চ রিটার্ন অন ইনভেসমেন্ট দিয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ইমেইল মার্কেটিং ব্যয় তো ডলার উচ্চতা রিটার্ন দিয়ে থাকে। ইমেইল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বোঝার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার আয় আরো বৃদ্ধি হতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর নিয়ম
অনেকে আমাদের কাছে বলেছেন যে ইমেইল মার্কেটিং করতে চাই কিন্তু কিভাবে ইমেইল
মার্কেটিং করবো এটা জানি না। তাই আমরা ভেবেছি যে আপনারা যারা ইমেইল মার্কেটিং
এর নিয়ম জানেন না তাদের এই নিয়মটি শিখিয়ে দেওয়ার জন্য। চলুন তাহলে ইমেইল
মার্কেটিং এর নিয়ম জানা যাক।
- আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করতে চান তাহলে এজন্য প্রথমে অবশ্যই আপনাকে ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে।
- আপনি ইমেল মার্কেটিং করার জন্য যে সকল ইমেইল সংগ্রহ করবেন সে ইমেইলগুলো যেন ভ্যালিড থাকে। অর্থাৎ যে ইমেল গুলো একটিভ রয়েছে এমন ইমেল সংগ্রহ করুন।
- কোনভাবেই ইনভেলইড ইমেল সংগ্রহ করা যাবে না হলে ইমেইল সংগ্রহ করলেও কোন লাভ হবে না।
- এবার আপনার পণ্যের জন্য একটা নির্দিষ্ট থিম তৈরি করুন। সেখানে আপনার পণ্য বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে সকল ধরনের ডিটেলস গুলো খুব ভালোভাবে তুলে ধরুন।
- যাতে করে ইমেইল ব্যবহারকারীরা আপনার ইমেইল দেখামাত্র আপনার পণ্য সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো ভালো করে জানতে পারে।
- এবার আপনি এই মেইলটিকে টুলস ব্যবহার করে একসঙ্গে হাজারেরও বেশি ইমেইলে প্রমোশন করে দিতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য
ইমেইল আমরা সবাই ব্যবহার করি। কিন্তু তবুও ইমেইল এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু
অসুবিধা রয়েছে। এজন্য অবশ্যই আপনি ইমেইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা
অবলম্বন করবেন। আর্টিকেলটি যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে আপনি
কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়া চাইলে আর্টিকেলটা আরো একবার পড়ে আসুন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম ইমেইল মার্কেটিং
কি-ইমেইল এর সুবিধা অসুবিধা। আমি আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনি অনেক উপকৃত
হয়েছেন। আপনি যদি এই সমস্ত তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে
নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url