ই-কমার্সের ১৩টি সুবিধা ও ৭টি অসুবিধা-ই কমার্স কি?

ইমেইল এর ১২টি সুবিধা ও ৬টি অসুবিধাই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে এ বিষয়ে সম্পর্কে। শুধু কি তাই, আজকে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ই-কমার্স এর প্রকারভেদ সম্পর্কেও। তাই আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবহার করতে চান বা ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
multiplebd-ই-কমার্সের- ১৩টি-  সুবিধা- ও -৭টি -অসুবিধা-ই কমার্স -কি?
বর্তমান যুগ যেহেতু ইন্টারনেটের যুগ তাই আমরা ইন্টারনেট ভিত্তিক এই ই কমার্স ব্যবহার করি প্রতিটা ক্ষেত্রে। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসে যাক।

ভূমিকা 

আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ এসে স্মার্ট বাংলাদেশে বসবাস করছি। এজন্য ই-কমার্স আমাদের সাথে জড়িত আছে প্রতিটা ক্ষেত্রেই। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ই-কমার্স কি, আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই কমার্স সাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। তাই অবশ্যই ই-কমার্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ই কমার্স এর প্রতিষ্ঠাতা কে

ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা-ই কমার্স কি? এ বিষয়গুলো জানার পূর্বে চলুন প্রথমেই আমরা জেনে আসি ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে। বিভিন্ন সময় সাধারণ জ্ঞান হিসেবে কিংবা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোন ভাইবা বোর্ডে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ই-কমার্স এর প্রতিষ্ঠাতা কে। কারণ তাহলে ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

এই কমার্স যিনি প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন তিনি হলেন মাইকেল আ্যলড্রিচ। ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা বা উদ্ভাবক হিসেবে তাকে চেনা হয়ে থাকে । তার প্রতিষ্ঠা এই কমার্স ব্যবহার করে বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি। তার এই আবিষ্কার আমাদের খুবই উপকার নিয়ে আসছে।

ই কমার্স কি?

কি কমার্স হচ্ছে ইলেকট্রনিক কমার্স। ই-কমার্স হচ্ছে একটি ডিজিটাল ব্যবসা পদ্ধতি যেখানে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা করতে পারবেন। এক কথায় বলতে হয় যে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন পূর্ণ অনলাইনে কেনাবেচার করা হবে তখন সে পদ্ধতি কিংবা তথ্য আদান-প্রদানের সেই মাধ্যমকে বলা হবে ই-কমার্স। কি কমার্সের ব্যবহার রয়েছে সব ক্ষেত্রেই। বর্তমান সময় এসে প্রায় সকলেই তাদের ব্যবসা গুলো পরিচালনা করছে ই-কমার্সের মাধ্যমে।

ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা

আজকে আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে ই-কমার্সের এসকল দিক সম্পর্কে। ভবিষ্যতে যদি কোন ই-কমার্স প্রতিষ্টান গড়ে তুলতে চান তাহলে আপনাকে আগে থেকে জেনে রাখতে হবে ই-কমার্সের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে।

তাই এখন আমি আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো ই-কমার্স ব্যবহার করলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন এবং কি কি অসুবিধা রয়েছে। তার আগে বলে রাখি ই-কমার্স বিষয় সম্পর্কে। ই-কমার্স হচ্ছে যখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার পণ্যের অর্ডার নিলন এবং ডেলিভারি দিলেন, মূল্য পরিষদ সার্ভিসিং ইত্যাদি বিষয়ের গুলো যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হবে তখন তাকে বলা হয় ইলেকট্রনিক্স কমার্স বা কি বাণিজ্য। চলুন তাহলে এবার সুবিদা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

ই কমার্স এর সুবিধা

দিন যত যাচ্ছে ততই কিন্তু ই-কমার্সের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এই কমার্সের ব্যবহার করার আছে অনেক সুবিধা। এখন আমরা জানবো কিছু সুবিধা সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ।
  • লেনদেন ব্যয় সংকোচঃ আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার লেনদেন বাই কম হবে। কারণ এই কমার্স ব্যবসা করার জন্য খুব একটা বেশি কর্মচারী দরকার হয় না। এর কারণ হলো ই-কমার্সের সকল লেনদেনগুলো এখন খাতা কলমের না লিখে ডকুমেন্ট হিসেবে তৈরি করে রাখা হয় যে কারণে কর্মচারীর সংখ্যা কম থাকে তে টাকা খরচ কম হয়।
  • খরচ হ্রাসঃ অন্যান্য সকল ব্যবসা থেকে ই-কমার্স ব্যবসার খরচ তুলনামূলক কম। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে ফেসবুক পেজ এবং ইমেইল ইত্যাদি থাকতে হবে। ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই আপনি কেনাবেচা করতে পারবেন।
  • কাস্টমার সার্ভিসঃ ই-কমার্স এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাস্টমারকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো খুব দ্রুত সময়ের ভিতরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে। বেচাকেনা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে যে ই-কমার্সের কে তারা আছে তারা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।
  • কর্ম সময় কমঃ ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়ে কেনাবেচার সময় দরকার হয় না । ক্রেতারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন সময় এখান থেকে প্রোডাক্ট কিনতে পারেন। আরেকটি মজার বিষয় হলো এখান থেকে পণ্য ক্রয় করার জন্য আপনাকে সরাসরি কথা উপস্থিত হতে হবে না,বরং আপনি সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারবেন।
  • গতিশীলতাঃ খুব অল্প সময়ের ভেতরে ই-কমার্সে আর্থিক লেনদেন করা সম্ভব। যে কারণে এই পদ্ধতিতে একজন ভোক্তা চাইলে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের যেকোন লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারেন। যে কারণে এটা তাদের জন্য অনেক উপকারী।
  • নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাঃ কি কমার্স ব্যবসার ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানে যে সকল কর্মীর যোগ হয় তারা তাদের কাজের মাধ্যমে বেতন পেয়ে থাকে এবং সেটা দিয়ে জীবন চালাতে পারে।
  • বিপণন সুবিধাঃ যখন আপনি ই-কমার্স এর মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট দিয়ে পোস্ট করবেন তখন এটা অন্যান্য মিডিয়া কিংবা ব্যানারে তুলনাতে খুব দ্রুততম সময়ের ভেতরে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। যে কারণে খুব দ্রুততম সময় প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে এবং সহজেই ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও ই-কমার্স এর আরো অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন -
  • যেকোনো ধরনের পণ্য খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এবং দূরত্বের সময়ের ভিতরে কয় বিক্রয় সম্পন্ন করা যায়।
  • যেকোনো মানুষই তার ইচ্ছা থাকলে খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন।
  • ব্যবসাগুলো প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার কারণে এই ব্যবসাতে পণ্যের গুণগত মানগুলো উন্নত থাকে ।
  • ব্যবসা করার জন্য কোন ধরনের ডেকোরেশন এর প্রয়োজন হয় না।
  • কম খরচে উন্নত মানের সেবা প্রদান করা যায়।
  • খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করা যাবে এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে সম্ভব।
  • তাৎক্ষণিকভাবে বাজার যাচাই করা এবং অর্ডার প্রদান করার সুবিধা রয়েছে।
আর্টিকেলটি পরে নিচে আপনি এতক্ষন বুঝে গেছেন সুবিধা গুলো সম্পর্কে। দিন বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে ইকো আমার সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এর কিছু খারাপ দিকে রয়েছে চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক সে বিষয়গুলো সম্পর্কে।

ই কমার্স এর অসুবিধা

বলছিলাম ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। আপনার যদি কোন ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে অথবা আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করার কথা পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে সুবিধার দিকের পাশাপাশি আপনাকে অসুবিধার দিকও জানতে হবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
  • ই-কমার্স ব্যবসাতে দক্ষ লোক বলের অভাব দেখা যায়।
  • যে সকল অর্ডার অনেক দূরের সেই অর্ডারগুলো সরবরাহ করতে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়।
  • ক্রেতা অভিজ্ঞতার মাঝে টাকা লেনদেনের নিরাপত্তা জনিত সমস্যা।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় অর্ডার সরবরাহের সমস্যা থাকে।
  • ই কমার্স ব্যবসাতে আইড প্রণয়ন এবং প্রয়োগের সমস্যা দেখা যায়।
  • ই-কমার্স ব্যবসার জন্য যে সকল প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে হয় এগুলো অনেক ব্যয়বহুল।
  • ট্রেনের সময় এমন দেখা যায় যে অনলাইনে প্রোডাক্ট দেখো অর্ডার করলেন কিন্তু যখন ডেলিভারি বয় প্রডাক্ট দিতে আসে তখন দেখা যায় প্রোডাক্টের গুণগত মান কমবেশি হতে পারে।

ই-কমার্স এর প্রকারভেদ

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা। ই-কমার্স এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে থাকলে এটা আপনাকে ই-কমার্স ব্যবসাতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে ই-কমার্স এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা যায়।

multiplebd-ই-কমার্সের- ১৩টি-  সুবিধা- ও -৭টি -অসুবিধা-ই কমার্স -কি?
  • ভোক্তা হতে ভোক্তাঃ এই কমার্সের এ পথ চেয়ে এসে ভোক্তারা সরাসরি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। পণ্য নিয়ে তাদের একে অপরের ভিতর ভালো মন্দ মত প্রকাশ করতে পারবেন। এক কথায় বলতে গেলে এখানে কোন সংস্থা জড়িত থাকবে না।
  • বিজনেস হতে ভোক্তাঃ সাধারণত এটা হচ্ছে ব্যবসার একটা ধরন যেখানে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রসাধনু থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত বিক্রি করে। এই সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যান্ডগুলো ভোক্তার নিকট তুলে ধরতে পারে। যেমন - অ্যামাজন, দারাজ, ফ্লিপকার্ট।
  • ভোক্তা হতে ব্যবসাঃ ই-কমার্সের এ মাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ ব্যক্তিরাও কোম্পানির কাছে তাদের পণ্য বা পৌরসভা গুলো বিক্রয় করতে পারেন যেমন - আপওয়ার্ক যেটা ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিতে সক্ষম।
  • বিজনেস টু বিজনেসঃ এর মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আরেকজন ব্যবসায়ী লেনদেন করতে পারেন। এই লেনদেনের মাধ্যমে উৎপাদনকারি থেকে শুরু করে খরচা বিক্রেতা এবং পাইকারি বিক্রেতারাও যোগ দিতে পারে।
  • ড্রপ শিপিংঃ এজন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট সেটআপ করুন যেখানে গ্রাহকরা তাদের ক্রেডিট কার্ড অথবা পেপাল এর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতে পারবে। একটা সরবরাহকার এর কাছ থেকে মূলত এটা সোর্সিং হিসেবে পরিচালনা হয়ে থাকে। ড্রপ শিপিং ব্যবসা পরিচালনা করে অনেক সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত।

বাংলাদেশের ই কমার্স সাইট

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশের সব থেকে বড় ই-কমার সাইটগুলো কোনগুলো। এ জন্য আজকে আটকে পড়বে এসে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের বড় ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে। সাইট গুলো হল -
  • Bikroy.com
  • BdShop.com
  • Itbazar.Net
  • Othoba.com
  • Daraz.com
  • AjkerDeal.com
  • Rokomari.com
  • Pickaboo.com
  • ClickBd.com
  • Chaldal.com
  • Shajgoj.com
  • Sapno.com
  • PrioShop.com

ই কমার্সের ব্যবহার

বর্তমান সময়ে এসে ছোট থেকে বড় যে কোন ব্যবসায়ীরাই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ই-কমার্স ব্যবহার করছে। সাধারণত আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার প্রক্রিয়াটিকে ই-কমার্স বুঝে থাকি। ই-কমার্স কে মূলত চারটি ভাগে ব্যবহার করা যায় যেমন -
  • বিজনেস টু বিজনেস অর্থাৎ ব্যবসা থেকে ব্যবসা
  • কাস্টমার টু কাস্টমার অর্থাৎ ভোক্তা থেকে ভোক্তা
  • বিজনেস টু কাস্টমার অর্থাৎ ব্যবসা থেকে ভোক্তা
  • কাস্টমার টু বিজনেস অর্থাৎ ভোক্তা থেকে ব্যবসা

ই-কমার্স ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিছু টিপস প্রয়োজন। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন এ সকল গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • আপনি ই-কমার্স এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাইলে আপনার ব্যবসার সম্পর্কে মানুষকে বেশি বেশি জানান।
  • মনে রাখবেন আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত জানবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি এগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। তবে প্রথমেই খুব বড় পরিচয় প্রচার না করে আপনি কোন ডলারের ছোট বিজ্ঞাপনের মত প্ল্যাটফর্ট বেছে নিন।
  • আপনি কি ধরনের পণ্য বিক্রি করতে চাচ্ছেন বা ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সে পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করে নিন। অর্থাৎ সেই পণ্যটি আগে থেকে বেঁচে রাখুন।
  • খেয়াল রাখবেন আপনি যে পণ্য সম্পর্কে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন আপনার প্রতিযোগিতারা এ পণ্য নিয়ে কি কি গবেষণা করছে কি কি মিডিয়া চ্যানেল ব্যবহার করছে ইত্যাদি বিষয় গবেষণা করুন।
  • আপনি কাদের নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ কোন গ্রাহকদের টার্গেট রাখছেন তাদের সম্পর্কে গবেষণা করুন এবং তাদেরকে টার্গেট রাখুন। এক্ষেত্রে টার্গেট গ্রাহকদের আপনি প্রবণতা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আকর্ষণমূলক ব্যানার কিংবা অ্যাড ব্যবহার করুন।
  • ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যবসাকে নিমন্ত্রণ করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার ব্যবসায়িক মডেলের সাথে যেটা মানাচ্ছো এবং প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং পারমিট আছে সেগুলো নিবন্ধন করে নিন।
  • আপনার একটা আকর্ষণমূলক কি কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এজন্য আপনি যে ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সে ব্যবসার সাথে যেন ডোমেনের নাম মিলে যায় এমন ওয়েবসাইট তৈরি করার চেষ্টা করুন।
  • সর্বশেষে আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট গুলো গ্রাহকরা কিভাবে খুজে পাবে, কিভাবে তাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট সেল করুন এতে বিষয় নিয়ে আপনার ব্যবসা বাজারজাত করুন।

ই কমার্স বিজনেস মডেল কি

ই-কমার্স কথাটার সঙ্গে ই-কমার্স বিজনেস মডেল কথাটি বেশ জড়িত। কিন্তু অনেকে জানে না ই-কমার্স বিজনেস মডেল কি। আপনি যদি কখনো ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান এবং ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে ই-কমার্স বিজনেস মডেল সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা যাক এই বিজনেস মডেল সম্পর্কে।

ই-কমার্স বা এই বিজনেস মডেল হচ্ছে, কিভাবে একটা প্রচেষ্টান বা ফার্ম বা সংগঠন তৈরি করবে কিভাবে তার পণ্যগুলো সরবরাহ করবে এবং কিভাবে এটা ভ্যালু আয়ত্ত করবে এর সব কিছু গাইডলাইন কে একসাথে বোঝানো হয় ই কমার্স বিজনেস মডেল। সহজ ভাবে বলতে গেলে ই-কমার্স ব্যবসা মডেল বা বিজনেস মডেল হচ্ছে এমন একটি মডেল যেটা আপনার ই-কমার্স কোম্পানির গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করার মাধ্যমে আপনার আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

ই-কমার্স ব্যবসার ওয়েবসাইট তৈরি

আপনি যদি ই-কমার্সে ব্যবসা করতে চান বা ই-কমার্স ভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান তাহলে এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা আপনাকে জানাবো ই-কমার্স ব্যবসার ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে এসে যাক।
multiplebd-ই-কমার্সের- ১৩টি-  সুবিধা- ও -৭টি -অসুবিধা-ই কমার্স -কি?
  • আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি যদি কাগজপত্র স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে এবং জীবন দিতে হয়ে থাকে তাহলে এজন্য তারপরে আপনি একটা ই-কমার্স ভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
  • যেন এই ওয়েবসাইটের গাওটা তাদের শপিং কার্ড দিয়ে ইচ্ছামত যে কোন আইটেম সামগ্রী ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করতে পারে।
  • মনে রাখবেন আপনার এই কমেন্টস ব্যবসার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা কিন্তু অনেক বেশি এবং সাফল্যের জন্য এটা বের করতে হবে না। এজন্য আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় চেষ্টা করবেন আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিল রেখে ওয়েবসাইটে ডোমের নাম দেওয়ার।
  • এবার আপনি এমন একটি প্লাটফর্ম বেছে নিন যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। অনেকের মতে একটা ই-কমার্স ভিত্তিক ওয়েবসাইট গড়ে তোলার জন্য ব্লগার ভালো হবে না।
  • এজন্য আপনারা চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসে অথবা Shofiy তো আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি যখন ডোমেন হোস্টিং কিনবেন তখন চেষ্টা করবেন এটা ভালো কোন কোম্পানি থেকে নেওয়া যাতে করে সার্ভিস ভালো পাওয়া যায় এবং ওয়েবসাইটটি ঠিকমতো কাজ করে।
  • এর পাশাপাশি আপনার প্রয়োজন হবে একটা ভালো মানের বিজনেস থিম অর্থাৎ টেমপ্লেট।

লেখক এর মতামত 

ই-কমার্স এর মাধ্যমে আমরা উপকৃত হয়ে থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে এজন্য অবশ্যই আপনি সেগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন। তবে এই কমার্সের যেহেতু উপকারি দিক অনেক বেশি এজন্য আপনি ই-কমার্স ব্যবহার করতে পারেন এবং নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। আর্টিকেলটি বুঝতে কোথাও অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পোলার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা। যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, এ সমস্ত তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url