ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়- ১০ টি সেরা উপায় যেনে নিন

বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার উপায়ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করতে চান। তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়- ১০ টি সেরা উপায় যেনে নিন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।  শুধু কি তাই, আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়। অজানা এ সকল তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
multiplebd-ডিজিটাল- মার্কেটিং- করে- কিভাবে- আয় -করা -যায়- ১০ টি সেরা উপায় যেনে নিন
অনেকেই জানে না ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটর হতে চান আর ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভূমিকা 

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যোগ হওয়ার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি ঘরে বসে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় সম্পর্কে। যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের পুরো আর্টিকেলে। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

আপনার যদি পরিকল্পনা থাকে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং হওয়ার, অথবা আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় সম্পর্কে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি। এজন্য প্রথমে জেনারেট ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা সম্পর্কে।

খুব সহজভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা বিষয় যেটা সাধারণত অনলাইন এর মাধ্যমে পরিচালিত। ইন্টারনেট সেবাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের পণ্য ও সেবার প্রচার অথবা বিজ্ঞাপন চালানোর মাধ্যম এক ধরনের মার্কেটিং ব্যবস্থা। এটা হতে পারে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমেও।

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে যে বিপণের অথবা মার্কেটিং ব্যবস্থা আছে তাকে বোঝায়। Facebook, YouTube, Twitter,Google, Linkedin ইত্যাদি। আপনি যখন এ সকল মিডিয়া গুলোকে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার কাস্টমারদের কাছে পণ্য অথবা সেবা সম্পর্কে মার্কেটিং করবেন তখন এটাকে বলা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়

আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে সেখানে কি কি শেখানো হয় চলুন এগুলো আগে জেনে আসা যাক।

বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল মার্কেটে অনেক ধরনের অনলাইন বিজনেসের অন্যতম একটি ক্ষেত্র হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে অনেকগুলো সেক্টর দারুণভাবে জড়িত রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি কখনো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো আপনাকে শেখানো হবে তার নিচে বর্ণনা করা হলো।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং একটি অন্যতম সেক্টর। এর কারণ হচ্ছে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অডিয়েন্সদেরকে খুব ভালোভাবে উল্লেখ করতে পারবেন। অর্থাৎ একজন ডিজিটাল মার্কেটের তার পণ্যগুলো কাদের জন্য বেছে নিচ্ছে এবং কোন ধরনের মিডিয়া গুলো বেছে নিচ্ছে সেগুলো সবকিছুই যদি সাচ ইঞ্জিনে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রণো করা হয় তাহলে একসঙ্গে কাস্টমার বেশি পাওয়া যায় এবং বেশি বিক্রিত হয়। এজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে হবে।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। অনেকেই ভাবেন কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয়টি হলো এক ধরনের ব্লক পোস্ট। কিন্তু বিষয়টা সম্পূর্ণ তা নয়। বিভিন্ন ধরনের রিভিউ অথবা গল্প বলার মাধ্যমে আপনি প্রোডাক্টটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। লেবু অথবা গল্প বলার মাধ্যমে আপনি কন্টেন্ট মার্কেটার করতে পারবেন। আপনি ফেসবুকে খেয়াল করে দেখবেন অনেক রিয়েলস অথবা youtube এর শর্ট ভিডিওতে যে পণ্যের বিষয়গুলো রিভিউ বলা হয়ে থাকে এগুলো সাধারণত কনটেন্টক্রিয়েটাররা তাদের প্রোডাক্ট অথবা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বা স্টোরিগুলো কন্টেন্ট গুলো তৈরি করে আপনাদের সামনে উপস্থিত করে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কারণ হচ্ছে সব থেকে বেশি ট্রাফিক এবং সিগন্যাল কাস্টমার খুঁজে বের করার জন্য একমাত্র সাহায্যের জায়গা হল সার্চ ইঞ্জিন। একজন ডিজিটাল মার্কেটের সার্চ ইঞ্জিন স্ট্রাটিজি করাট পর যে সকল কাজ সম্পন্ন করে সেগুলো হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা সাস ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে কাজ করে তারা মূলত রিচার্জ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কিবোর্ড এবং পদ্ধতিগুলোকে এমন ভাবে সাজায় যেন কোন বিষয়ে সম্পর্কে সার্চ করলে সবার সামনে ওয়েবসাইটটি শো করে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কথাটি শুনে হয়তো বা আপনার মনে কমিশন এর কথাটা আসতে পারে। হ্যাঁ বিষয়টি আপনি একদম ঠিকই ধরেছেন কারন এফিলেট মার্কেটিং মূলত মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনার নিজের কোন ধরনের পুণ্য থাকবে না আপনি সরাসরি আরেকজনের পণ্য সেল করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা কমিশন পাবেন। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এক ধরনের প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্যাসিভ ইনকাম বিষয়টি হচ্ছে আপনি সরাসরি একটিভ না থেকেও কোন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন পোস্ট করার মাধ্যমে সেখান থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বিষয়টা অনেক অপটিমাইজেশনের মতো। কিন্তু এখানে যে বিষয়টার পার্থক্য হচ্ছে সেটা হচ্ছে SEO করার মাধ্যমে যদি একটি ওয়েবসাইটের রান করা হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ রিচার্জ এবং কিওয়ার্ড এবং সময় প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ আপনি একটি ওয়েবসাইটকে তালিকা শীর্ষে আনতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ব্যাকলিংক এবং কিওয়ার্ড রিসার্জ করতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট গুলো ভালো রেঙ্ক করে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন এতে কোন সময় দরকার হবে না। তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে পেট পদ্ধতিতে অ্যাড শো করাতে হবে যেন গুগল আপনার ওয়েবসাইটটিকে সবার সামনে নিয়ে আসে।
  • সিপিএ মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অন্যতম একটি উৎস হলো সিপিএ মার্কেটিং। তবে এখানে একটু ভিন্নতা আছে। এখানে আপনাকেও প্রোডাক্টের বদলে সার্ভিসের মার্কেটিং করতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন যখন আপনি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন সাচ ইঞ্জিন ঘোরাঘুরি করেন তখন আপনার সামনে মূলত অ্যাপসের বিজ্ঞাপন আসে। আর এগুলো হচ্ছে একজন সিপিএম মার্কেটটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এগুলো দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে। যে বিজ্ঞাপন গুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমে APP ইন্সটল হলে সে ক্ষেত্রে ওই সিপিএম মার্কেটের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে। এছাড়াও সিপিএ মার্কেটিং এর আরো অনেক কাজ আছে যেগুলো কারো মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • ইমেইল মার্কেটিংঃ ইমেল মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম অংশ। ইমেইল মার্কেটিং বিষয়টা হচ্ছে একটা ইমেইলের মাধ্যমে যে ধরনের মার্কেটিং গুলোকে পরিচালনা করা হয় তাকে বোঝানো হয়েছে। আপনি যখন কোন একটা ওয়েবসাইট লগইন করতে যান অথবা সাইন আপ করতে যান তখন সাধারণত এই ইমেইল ঠিকানা গুলো ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ জমা রাখে আর পরবর্তী সময় তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইমেইল ব্যবহার করে। যদিও আমাদের বাংলাদেশের পেক্ষাপট অনুযায়ী ইমেইল চেক করার প্রবণতার অনেক টাকা কম কিন্তু তবুও বাইরের দেশগুলোতে একটা প্রতিনিয়ত চেক করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে আমাদের মনে প্রশ্ন হয় যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে গেলে কত দিন সময় লাগতে পারে। তাই এখন আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে জেনে নিব। আপনি যদি জানতে চান ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে তাহলে এ কথার উত্তর সরাসরি বলা সম্ভব না। কারণ এটা মূলত নির্ভর করবে আপনার সেখার সময়,আপনার জ্ঞান ও কাজের ওপরে।

আপনার যদি কম্পিউটার বিষয়ে ধারনা থাকে,বেসিক নলেজ থাকে তাহলে এ ক্ষেত্রে সময়ই বেশি লাগবে। আর যদি আপনার অ্যাডভান্স লেভেল এর ধারণা থেকে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন খুব কম সময়ের ভিতরে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে কমপক্ষে ৬ মাস সময় নিয়ে কাজ করা উচিত। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি খুব ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে যাবেন এবং অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়

আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান তাহলে এজন্য আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন এবং কিভাবে এর মাধ্যমে আয় করবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক ১০ টি উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার টিপস।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • পে-পার- ক্লিক এডভারটাইজিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • ফোন মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং
  • কি কমার্স মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ ভাগে আছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে এসে ইন্টারনেটের ভূমিকা এবং গুরুত্ব বেশি হওয়ার কারণে কন্টেন মার্কেটিং করে আপনি অনেক টাকা করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন লিখেছে এগুলো পাবলিশ করে অথবা কনটেন্টগুলো সেল করে।

কিংবা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো নিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার কন্ঠে যখন google ওয়েবসাইটের শো হবে তখন এখানে ভিজিটর আসবে এবং ১০০ করলার মাধ্যমে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটে করে যদি টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনি এফিলেট মার্কেটিং করতে পারেন। সহজ ভাবে বলতে গেলে অন্য কারো পণ্য নিয়ে এসে আপনি যদি মার্কেটিং করে দেন এটা হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি অন্যের পণ্য যখন বিক্রি করে দিলেন তখন এখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট করবেন কমিশন পাবেন।

যাদের নিজের কোন প্রোডাক্ট থাকেনা তারা অন্যের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে দেওয়ার মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং দিয়ে অনেক টাকা আয় করে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি স্ট্যাটাজি হবে অপটিমাইজেশন। এমন একটা প্রক্রিয়া যেটার মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড রিচার্জ করার মাধ্যমে সেগুলো কে রেঙ্কে আনা হয়।

আপনি যখন গুগলে কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করেন তখন সবার সামনে যে ওয়েবসাইটগুলো শো করে এগুলোতে সাধারণত এসিও করা থাকে। এভাবে আপনি অন্যের কোন কনটেন্ট গুলো এসইও করার মাধ্যমে কিংবা নিজের এসে কর কন্টেন বিক্রি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা ডিজিটাল মার্কেটিং যেটা বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় এবং মার্কেটিং এর অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আপনি এখানে ফেসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এ আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট লিংক দিয়ে সেখানে ১০০ করার মাধ্যমে হাজার হাজার ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে শো করাতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটু অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। যদি আপনি একজন প্রফেশনাল মালের ইমেইল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে আপনার এই অভিজ্ঞতা দিয়ে মার্কেটপ্লেস বা ফাইবারে আপনি অনেক ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করতে পারবেন। মূলত এখানে ওয়েবসাইটগুলো কিংবা ওয়েব পেজের প্রস্তাবনা গুলো মার্কেটিং করার জন্য এটা ব্যবহার হয়। আপনি এই কাজটি শিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জেনেছি ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে। এজন্য আজকে আর্টিকেল এর এই পড়বে এই সামনে আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো ডিজিটাল করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ধৈর্য পরিশ্রম এবং দক্ষতা দরকার আছে। ধৈর্য সহকারে কাজ শিখবেন। শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং না বরং ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রত্যেকটা কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারী শিখতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার যেগুলো প্রয়োজন হবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে চলুন সেগুলো জেনে নিন।
  • আপনাকে সময় নিয়ে পরিশ্রম করতে হবে এবং অধ্যবসায়ী করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং যেটাই করুন না কেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটা কমিউনিকেশন স্কিল থাকতে হবে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য একটা মোটামুটি কনফিগারেশন অথবা ল্যাপট অথবা কম্পিউটার থাকলে হবে। তবে এক্ষেত্রে কনফিগার এডুকেশন থাকতে হবে কমপক্ষে ram 2 স্লটে মোট ৮ জিবি ও প্রসেসর কমপক্ষে থাকতে হবে Core i3।
  • আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে কারণ আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অনলাইন সেক্টর এর জন্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
  • কারো যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকে সেক্ষেত্রে একটা ভালো বেনিফিট পাওয়া যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায় সেটা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং তো শিখব কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর কি কোন গুরুত্ব আছে ? কেন আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখব ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কি এ প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে রাখতে পারে। চলুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে আসা যাক।
multiplebd-ডিজিটাল- মার্কেটিং- করে- কিভাবে- আয় -করা -যায়- ১০ টি সেরা উপায় যেনে নিন
বর্তমান সময়ে এসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব আকাশ ছোঁয়া। বিশ্বের প্রতিটা মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে যে কারণে তাদের পূর্ণ কেনার আগে সে সম্পর্কে তারা অনলাইনে জানতে ফেসবুক ইউটিউব এর পাশাপাশি google এ সার্চ করে। আর যে ওয়েবসাইটগুলোতে এ ধরনের তথ্য রয়েছে সেগুলো গুগল সরবরাহ করে তাদের সামনে উপস্থাপন করে।

আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে যদি একটু ওয়েবসাইট খুলেন সেখানে যদি কনটেন্ট পাবলিশ করেন গুগল থেকে এডসেন্স পেয়ে গেলে সেখান থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও সেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন দেখেও প্রচুর ডলার ইনকাম করার সুযোগ আছে। ভবিষ্যতে কোন এক সময় আসবে যখন একটা মুদির দোকানদার হয়েও আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং অর্থাৎ অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।

এজন্য আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে Marketplace, Upwork,Fiverr ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। অনেক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে যারা চায় তাদের ওয়েবসাইট গুলো ভালোভাবে এসিও করে নিতে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে সেখানে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট মালিক আছে যারা তাদের ওয়েব সাইটে জন্য কনটেন্ট কিনে থাকে।

আপনি যদি ভালো মানের ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন তাহলে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করে সেগুলো সেল করার মাধ্যমেও তাই করতে পারবেন। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কত।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার

আজকের আর্টিকেল এই পর্বে এসে আমাদের আলোচনার বিষয় ডিজিটাল মার্কেটের কত প্রকার এবং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। আপনিও যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলেন বিস্তারিত জেনে আসা যাক ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে যথা।
  • অনলাইন মার্কেটিং
  • অফলাইন মার্কেটিং
অনলাইন মার্কেটিং 

আমরা অনলাইনের মাধ্যমে যে মার্কেটিং গুলো করে সেটা হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনলাইন বিষয়টা অনেক ভাবে জড়িত। দুইটা মার্কেটিং এর এই অনলাইন মার্কেটিং সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যথা -
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  • সিপিএ মার্কেটিং 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  • পে পার ক্লিক 
  • ইমেইল মার্কেটিং 
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং 
  • কন্টেন মার্কেটিং 
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 
অফলাইন মার্কেটিং
যখন আপনি আপনার ব্যবসার পণ্য অথবা সেবা প্রচার-প্রচারণা করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার না করে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, বিজ্ঞাপন, ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে মার্কেটিং করবেন তখন এটাকে বলা হবে অফলাইন মার্কেটিং। বহু যোদ্ধার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য এই কৌশল গুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এখন ইন্টারনেটের যোগ হতে এবং ডিজিটাল ব্যবস্থা হওয়ার কারণে ডিজিটাল পদ্ধতি বেশি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে।
  • বিলবোর্ড মার্কেটিং 
  • রেডিও মার্কেটিং 
  • টেলিভিশন অ্যাডভার্টাইজিং 
  • মোবাইল এডভারটাইজিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে

অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা লাগে। এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার কত টাকা লাগতে পারে বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত টাকা ব্যয় করতে হবে।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এক্ষেত্রে প্রথমে বেসিক ধারণা পেতে আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে টিউটোরিয়াল রয়েছে সেগুলো থেকে ধারণা নিতে পারেন। তবে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এ ফ্রিল্যান্সিং বিষয় কোন আর্টিকেল পাবলিশ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটা ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে।

একটা ভাল আইডি প্রতিষ্ঠান এবং অভিজ্ঞ ট্রেনার এর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। আপনি যদি একটা ভালো আইটি সেক্টর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোর্স ফি ১৫ হাজার ২০ হাজার টাকা লাগতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা আছে। কিন্তু অনেকেই জানেনা এ সকল সুবিধা সম্পর্কে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায় এগুলো জানার পাশাপাশি তাই এখন আপনাকে জানিয়ে দেবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে।সুবিধা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
multiplebd-ডিজিটাল- মার্কেটিং- করে- কিভাবে- আয় -করা -যায়- ১০ টি সেরা উপায় যেনে নিন
  • আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং করার মাধ্যমে বেশি পরিমাণ পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সুবিধা টি হচ্ছে আপনি কাস্টমারকে টার্গেট করার মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন। যেটা এনালগ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না।
  • আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন এবং বন্ধ করতে পারবেন। যেকোনো ধরনের পণ্যের উপর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
  • আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি বিজ্ঞাপন তৈরির বাজেট কমাতে পারবেন এবং বৃদ্ধি করতেও পারবেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না।
  • আপনি স্বল্প পুঁজিতে মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। এখনতো যে কোন ব্যবসা করতে গেলে লাখ টাকার দরকার হয় কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি কয়েক হাজার টাকা দিয়েই নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং টি যেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে এজন্য আপনি যে বিজ্ঞাপন তৈরি করছেন এটা পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
  • মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে মানুষের কাছে যাওয়া লাগবে না বোন মানুষের আপনার বিজ্ঞাপন দেখে আপনার কাছে যোগাযোগ করবে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন আপনার সকল কাস্টমারদের সঙ্গে।

আমাদের পরামর্শ 

আজকের পুরো আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছিল ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ধৈর্য ধরে মার্কেটিং শিখুন এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস সফল। আর্টিকেলটি যদি কথা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছিলাম ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। এ ধরনের তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url