ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার
টুথপেস্ট দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান ? তাহলে জেনে নিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে। ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে এগুলো আপনার অনেক কাজে দিবে। এছাড়াও আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা
জানতে পারবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্রিম সম্পর্কেও। তাই অবশ্যই আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতার কথা চিন্তা করে এ বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
অনেকের পক্ষেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য দামি ক্রিম ব্যবহার করা সামর্থ্যের
ভেতরে আসে না। আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে
আর্টিকেলে।
ভূমিকা
উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। বিভিন্ন বিউটি ক্রিম ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক
উপায়েও আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এজন্য আজকের আর্টিকেল পড়লে
আপনি জেনে যাবেন তাকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার ক্রিম সহজ ঘরোয়া উপায় কিভাবে তাদের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবেন। এছাড়াও কোন কোন ফল খেলে তো বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে সে
বিষয়গুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন অবশ্য বিস্তারিত জানতে গেলে মনোযোগ দিয়ে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার কারণ ও সমাধান
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার
সম্পর্কে জানার আগে চলুন প্রথমে আমরা জেনে আসি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার কারণ
এবং সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে যান তাহলে
আপনাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। চলুন
তাহলে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
শুষ্ক ত্বকঃ শুধু শরীরের বাহির থেকে না বরং ভিতর থেকেও ত্বক হতে পারে
আদ্র। আর এই আদ্রতার অভাবে খুব সহজে ত্বক বিবর্ণ হয়ে ওঠে। যে কারণে চামড়াও
ঝুলে পরে, আর এই জন্য তোকে বলিয়ে রাখা দেখা যায়।
সমাধানঃ আপনার ত্বকে এই সমস্যা হলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন এবং রসালো
জাতীয় ফল খান। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন হ্যালিউরনিক অ্যাসিডযুক্ত ফেস
সিরাম। এর পাশাপাশি প্রয়োজন হলে আপনি ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে
পারেন।
মুখে এক্সোফোলিয়েট না করাঃ আপনার ত্বক ঝর্মাল এবং উজ্জ্বল করে তুলতে
এক্সোফোলিয়েশনের ভাবি কা আছে। কিন্তু মুখে এক্সোফোলিয়েট খুব কম পরিমাণ মেয়েই
করতে হবে। নিয়মিত ভাবে যদি তোকে স্ক্রাব করা না হয় তাহলে মৃত কোষ গুলো খুব
সহজেই তোকে উপরে লেগে থাকে এবং জমে যায়। যে কারণে উজ্জ্বল দেখায় না।
সমাধানঃ প্রতি সপ্তাহে দুই বার করে তোকে এক্সোফোলিয়েট করুন। আপনার ত্বক যদি
সেনসেটিভ হয় তাহলে রূপচর্চর রুটিনে আপনি অ্যালোভেরা জেল এবং গ্রিন টি যোগ
করুন। এতে করে আপনার মুখের প্রধান খুব সহজে কম হবে।
ভিটামিনের অভাবঃ খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম কিংবা ঘুমের অভাব হলে
তা ত্বকের সমস্যা বৃদ্ধি করে। এজন্য শরীরে ভিটামিনের অভাব কিংবা অপুষ্টির
কারণেও ত্বক মলিন হতে পারে।
সমাধানঃ অবশ্যই আপনাকে সুসং খাবার খেতে হবে এবং চিকিৎসকের সাথে কথা বলে আপনার
প্রয়োজনীয় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গুলো খাওয়া শুরু করতে। যে সব খাবারে আয়রন,
জিংক, এবং কপার আছে সে সকল খাবার খান।
ত্বকে ক্লান্তির ছাপঃ ঘরে এবং বাইরের যখন একাধিক বিভিন্ন ধরনের মানসিক
চাপে থাকবেন তখন আপনার ত্বক মলিন হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যদি এরকম সময় পার করা
হয় তাহলে ত্বকের জন্য বালতি যত্ন প্রয়োজন হয়। এজন্য ক্লান্তি জনিত কারণে
ত্বক মলিন হয়ে ওঠে।
সমাধানঃ সকল ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে।
এছাড়াও ভালো মশ্চারাইজার দিয়ে আপনার মুখ মাসাজ করে ফেলুন। এতে করে রক্ত
সরবরাহন বৃদ্ধি হয় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল।
রোদঃ হাতে ত্বকের জন্য অন্যতম একটি ক্ষতির কারণ হতে পারে রোদ। ত্বকে
হাইপারপিগমেন্টেশন ও সানস্পোর্ট সমস্যা তৈরি হয় এ রোদের জন্যই।
সমাধানঃ আপনি যখন বাইরে রোদে বের হবেন তখন ত্বকে ব্রড স্পেকট্রাম সানস্কিন
মাখন। রাতে যখন ক্রিম ব্যবহার করবেন তাতে যেন অবশ্যই রেটিনল থাকে। কারণে
রেটিনাল যুক্ত লোশন অথবা ক্রিম ত্বকের কোলাজেন সুরক্ষিত রাখে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়
আমরা সকলেই চাই আমাদের ত্বক যেন উজ্জ্বল এবং ঝলমলে থাকে। এজন্য অনেক সময় আমরা
বিভিন্ন কিছু তাকে ব্যবহার করি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন প্রাকৃতিক
কিছু উপায়। আপনি যদি এই উপায় গুলো না জানেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। চলুন
তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক
উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে।
ত্বকের যত্নে ১০ টি প্রাকৃতিক উপাদান
- আ্যলোভেরাঃ ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ভেষজ গুণ ছাড়াও আছে রূপচর্চাতে দারুন ভূমিকা। অ্যালোভেরা জেল শুধুমাত্র ত্বকের জ্বালাপোড়া কম করে তা কিন্তু না। এটা আপনার ব্রণের কঠিন দাগ দূর করতেও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও কম করবে মুখের বলই রাখা। এজন্য এলোভেরা জেল যদি ত্বকে ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা আত্মত্যাগ করে তুলবে উজ্জ্বল এবং লালচে ভাগ দূর করবে।
- চন্দনঃ রূপচর্চার জন্য চন্দনের গুরুত্ব অনেক। আপনি যদি ত্বকের জন্য চন্দন ব্যবহার করেন তাহলে এটার আপনার রূপচর্চাতে আভিজাত্য নিয়ে আসবে। তাই তো বহু কাল আগে থেকে ব্যবহার করা হয় চন্দন। চন্দন ব্যবহার করা হলে এটা আপনার ত্বক টান করতে সাহায্য করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বকের দাগ কম করবে।
- মধুঃ আজকে থেকে বেশ কয়েকজন আগে থেকে তকে যত্নে মধুর ব্যবহার করা হয়ে আসছে। তাকে যত্নে মধু খুব শক্তিশালী একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটা আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করতে পারবে। মধু ত্বকের সুক্ষ্মরেখা গুলোকে কম করতে ভূমিকা রাখে। ব্রণের দাগ সব কম করা এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
- কস্তূরী হলুদঃ আমরা সকলেই জানি হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে। কিন্তু জানা আছে কি কস্তুরী হলুদের কি কি গুনাগুন আছে ? তোকে যদি আপনি কস্তুরী হলুদ ব্যবহার করেন তাহলে অন্যান্য সাধারণ হলুদের মতো এটা আপনার তোকে হলদে ছাপ ফেলবে না। সাধারণ হলুদের থেকেও আপনার ত্বকের জন্য কস্তরের হলুদ ১০ গুণ বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এটা আপনার মুখের দাগ হবে খুব দ্রুত গতিতে।
- শসাঃ ত্বকের যত্নে শসার ব্যবহার সম্পর্কিত সকলেরই জানা। শসা আপনার ত্বকের সুদিং এ কাজ করবে। কম করবে ত্বকের এচিনেচ। এছাড়াও আপনার চোখের এরিয়াতে যে ডার্ক সার্কেল আছে সেগুলো কম করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- টক দইঃ ত্বকের যত্নে উন্নত একটি কার্যকারী প্রাকৃতিক উপাদান হলো টক দই। টক দই সহজেই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলা থেকে বৃদ্ধি করবে এবং রোদে পড়া ভাব কম করবে। এছাড় তোক নরম রক্ত এবং ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এর জুড়ি মেলা ভার।
- অলিভ অয়েলঃ আপনার শুনতে অবাক লাগলেও অলিভ অয়েল কিন্তু আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এটা ব্যবহার করা হলে যে শুধু তাকে মশ্চারাইজ করবে তা কিন্তু না, বরং এটা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বৃদ্ধি করবে এবং ত্বক নারিশমেন্ট করবে। এছাড়া ত্বকের পোর মিনিমাইজ করতেও এর গুরুত্ব অনেক।
- মুলতানি মাটিঃ তোর থেকে ব্রণের দাগ দূর করার জন্য মুলতানি মাটির প্যাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুলতানি মাটিতে যে তৈলাক্ত আছে এটা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল মিশন এবং ত্বক টান টান রাতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে মুলতানি মাটির। এছাড়াও তাকে আপনি আসবে ইনস্ট্যান্ট গ্লো।
- বেসনঃ আপনার রান্নাঘরে থাকা এই সাধারণ উপাদানটি আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী তাকে আপনি জানেন ? খুব সহজেই আপনি বেসন দিয়ে যে কোন ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবে। এছাড়াও দূর করবে রোদে পড়া দাগ সহ ব্রণের কঠিন দাগ।
- টমেটোঃ টমেটো সবজি হিসেবে ব্যবহার হলেও তাকে যত্নে কিন্তু টমেটোর রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। টমেটো ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনে। এছাড়া ব্রণের দাগ কম করে। ত্বক রাখে মসৃণ এবং উজ্জল।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার
ত্বক উজ্জ্বল রাখার জন্য যেমন ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন ঠিক তেমনি ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
কোন খাবারগুলো খেলে আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।
- গাজর
- সবুজ শাকসবজি
- পানি
- টমেটো
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
- বাদাম
- গ্রিন টি
- কলা
- টক দই
- লেবুজাতীয় ফল
গাজরঃ তাদের উজ্জলতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি নিয়মিত গাজর খেতে পারেন।
কারণ গাজর খাওয়া হলে এটা আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং সজীব রাখবে। গাজর খাওয়া হলে
এটা ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে পারে এবং ক্ষতিকর সূর্যের রশ্নি থেকেও
ত্বক রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও গাজরে আছো অনেক পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন
যেটা আপনার শরীরে ভিটামিন এ এর পুষ্টি যোগান দিবে।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজি খাওয়া হলে যে এটা শুধু আপনার শরীর সুস্থ
রাখে বিষয়টা কিন্তু এমন না। বরং সবুজ শাকসবজি খাওয়া হলে এটা আপনার শরীর সুস্থ
রাখার পাশাপাশি ত্বক ভালো রকম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রান্না করা সবজির
সাথে আপনি সালাত হিসেবেও কাঁচা সবজি ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকের জন্য বেশি
উপকারী।
পানিঃ ত্বক সুন্দর করার জন্য পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত
পরিমাণ পানি খাওয়া হলে এটা আপনার ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করবে এবং উজ্জ্বলতা
নিয়ে আসবে।। কালকে যখন পানির পরিমাণ কম হয় তখন তাকে ব্রণসহ অনেক ধরনের সমস্যা
তৈরি হয়। ত্বক সুস্থ রাখার জন্য তাই প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা দরকার। এজন্য
আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অন্তত গড়ে ২ লিটার পানি পান করুন।
টমেটোঃ প্রথমেই বলতে হয় যে ত্বকের যত্নে টমেটোর কোন বিকল্প নেই। কারণ
টমেটোতে আছে অনেক পরিমাণ পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। যেটা ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টমেটোতে উপস্থিত আছে লাইসোপিন নামক একটি
গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট। যেটা ত্বকের বিভিন্ন রকমের দাগ দূর করে এবং ত্বক
মসৃণ করে তোলে। পাশাপাশি সানস্কিন হিসেবেও এর কার্যকরী ভূমিকা আছে।
ফাইভার সমৃদ্ধ খাবারঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল খাবারে
অনেক পরিমাণ ফাইবার আছে অবশ্যই আপনাকে সে সকল খাবার খেতে হবে। এ সকল খাবার
খাওয়া হলে প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। যেমন- বাদাম,
নাশপাতি, মটরশুটি ইত্যাদি।
বাদামঃ বাদামে আছে অনেক পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এ ছাড়া আছে
ভিটামিন ই। এজন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য খাদ্য তালিকায় যদি বাদাম রাখা
হয় তাহলে এর পুষ্টি অবদানগুলো খুব সহজে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় করে
তুলবে।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি পান করলে এটা শুধু স্বাস্থ্যের রক্ষা করে না বরণ
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর কারণ হচ্ছে গ্রিন টি
শুধু পানি ও নয় বরং এটা ব্যবহার হয় রূপচর্চা সামগ্রী হিসেবে। গ্রিনটিতে
উপস্থিত আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, নানাবিদ এনজাইম, এবং অ্যামাইনো এসিড
সহ বেশ কিছু উপাদান। যা আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও শরীরের জমে
থাকা টক্সিন গুলো বের করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে গ্রিন টি।
কলাঃ কলাতে উপস্থিত আছে ভিটামিন এ যেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি
উপকারী। এছাড়াও ত্বকের মরীনতা দূর করতেও রয়েছে দারুণ ভূমিকা। এজন্য কলা ত্বক
ভালো রাখার জন্য বেশি উপকারী।
ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছঃ মাসের চর্বি কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ না।
অর্থাৎ যে সকল মাছে ওমেগা ৩ এসিড আছে এ ধরনের মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে
আপনি ত্বকের জন্য উপকার পেয়ে যাবেন। ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড উপস্থিত থাকে
প্রাকৃতিক তেল আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে।
টক দইঃ টক দই স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যায় সমাধান করতে পারে। ত্বকের
শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে তাঁকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আপনি যদি লো ফ্যাট দই
খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরে ভিটামিন এ চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়াও ধরে আছে
এসিডোফিলাস নামক এক ধরনের উপাদান যেটা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করবে।
লেবু জাতীয় ফলঃ মাল্টা,কমলা, জাম্বুরা,লেবু, মোসাম্বি এগুলো খুব সহজেই
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। কারণ এ সকল ফলের ভিতরে উপস্থিত থাকে
এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি সহ আছে প্রয়োজনের ভিটামিন। যেগুলো স্কিনকে
হাইড্রেটেট রাখবে এবং ন্যাচারালি স্ক্রিনটন ব্রাইট করবে। এজন্য আপনি ত্বকের
উপরতা বৃদ্ধি করতে লেবু জাতীয় ফল খেতে পারেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ফেসপ্যাক
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জেনে গেছি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক
উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে। আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ফেসপ্যাক। চলুন তাহলে এবার
বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন
ফেসপ্যাক সম্পর্কে।
মুলতানি মাটির প্যাক
বহু যুগ ধরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য মুলতানি মাটির ব্যবহার রয়েছে।
আপনি যদি মনতালি মাটির ফেসপ্যাক তৈরি করতে চান তাহলে এজন্য আপনাকে দুইটা চামচ
মুলতানি মাটি এবং এর সঙ্গে দিতে হবে এক চা চামচ কাঁচা দুধ। এগুলোর সাথে নারিকেল
পানি এবং গোলাপজল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর আপনার গলা এবং মুখসহ
যেখানে কালো দাগ রয়েছে সেখানে প্যাকটি-১৫ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। এরপর
ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার
করেই চমক দেখে নিন।
শসার প্যাক
শসার প্যাক কথাটি শুনে অবাক হচ্ছেন। অবাক হল এটাই সত্য যে শসা একটি পুষ্টিকর
খাবার হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও রয়েছে এর দারুণ ভূমিকা। শসা দিয়ে
ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য আপনি ১০০ গ্রাম শসা গ্রেট করে কেটে নিবেন। এবার এর
সঙ্গে দুই টেবল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি হয়ে গেলে আপনার মুখে ১৫
থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে
ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন লাগিয়ে এক সপ্তাহ এভাবে ব্যবহার করুন এবং উজ্জ্বলতা
দেখে নিন।
গোলাপজল
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গোলাপজলের ভূমিকা অনেক এজন্য রূপচর্চায় আপনি
যেগুলো ব্যবহার করছেন তার সঙ্গে এই উপাদানটি রাখার রাখলে ভালো ফল পাবেন।
ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য এক কোটিতে গোলাপজল নিয়ে এবার তুলো গোলাপ জলের সঙ্গে
মিশিয়ে আপনার মুখে ঘষে নিন। এভাবে ব্যবহার করা হলে এটা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করবে।
চন্দনের প্যাক
শুধু মুখ না বরং পুরো দেহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে এই চন্দনের প্যাক।
এজন্য আপনাকে টেবিল চামচ এর চার চামচ ময়দা এবং আধা চা চামচ চন্দন গুড়া করে
নিয়ে তার সাথে এক টেবিল চামচ শসা রস এবং লেবুর রস যোগ করে এক চা চামচ কাঁচা
দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি আপনার পুরো শরীরে ১৫ মিনিট
লাগিয়ে গোসল করে ফেলুন। তাহলে অনেক উপকার পেয়ে যাবেন।
মধু ও পেঁপে
মধু ও পেঁপের ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য দুই টুকরো পেঁপে ভালো করে চটকে নিয়ে
এবারের সঙ্গে আপনি ২ চা চামচ মধ মিশ্রণ করুন। এভাবে প্যাকটি ঘন করে তৈরি করুন।
এবার এই প্যাক আপনার মুখে লাগাতে হবে এবং হালকাভাবে মাসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট
যখন হয়ে যাবে তখন আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটা শুস্ক জন্য অনেক উপকারী এবং
বয়সের ছাপ ও দূর করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া কিছু উপায়ও আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে
কিছু টিপস ফলো করতে হবে। যে বিষয়গুলো অনেকেই জানে না আপনি যদি না জেনে থাকেন
কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় ঘরোয়া উপায় তাহলে চলুন বিস্তারিত
ভাবে জেনে আসা যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
- বেসনের ফেসপ্যাকঃ ঘরোয়া উপায় আপনি বেসনের ফেসপ্যাক দিয়ে ত্বকের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারে। এজন্য আপনাকে ৩ টেবেল চামচ বেসন এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ১ টেবিল চামচ হলুদ ও ৩ টেবিল চামচ টক দই। এবার একটি পাত্রে সকল উপাদান একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আপনার ঘাড় কলা এবং মুখে ভালো করে মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিটের মত অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে যদি ঘরে বেসনের ফেসপ্যাক তৈরি করেন তাহলে খুব সহজে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- লেবু এবং মধুর মাস্কঃ ঘরো উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি লেবু এবং মধুর মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লেবু আপনার ত্বককে প্রশমিত করতে পারবে এবং লেবু উজ্জ্বলতা নিয়ে আসতে পারবে এভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটা আপনার মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে তারপর ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- নারকেল তেলঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। নারিকেল তেলে আছে অনেক পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যে কারণে এটা প্রদাহ কম করবে এবং সকল ধরনের ত্বকের জন্য উপকার নিয়ে আসবে। এটা ব্যবহার করলে আপনার ত্বক মশ্চারাইজ হবে এবং ত্বক ব্রণ মুক্ত থাকবে।
- হলুদের মাস্কঃ মুখের মরা চামড়া এবং কালচে ভাব দূর করে অন্তত বৃদ্ধি করার জন্য হলুদের মাস্ক এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য আপনি ১/২ চামচ হলুদের সঙ্গে ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং ২ চা চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশান। পাঁচ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ভালো করে মাসাজ করুন। তারপর প্রথমে কুসুম গরম পানি এবং তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ দিয়ে ফেলুন।
- সঠিক সাবান ব্যবহারঃ ত্বকের জন্য সাবানের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অবশ্যই সাবান ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক সাবান বেছে নিতে হবে। সরাসরি ত্বকে সাবান ব্যবহার না করে প্রথমে পানির সঙ্গে তারপর ব্যবহার করুন। তবে হ্যা, সাবান ক্ষার জাতীয় হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ব্যবহার না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবহার করুন।
- কমলার চিলকাঃ কমলার ছিলকা শুকিয়ে সেটা পাউডার করে এর সঙ্গে আপনি সামান্য পরিমাণ তই মিশিয়ে একটি পাত্রে রাখবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত এ রেখে দিবেন যতক্ষণ পর্যন্ত কমলার চিলকা এবং দই একসঙ্গে মিশ্রিত না হয়। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন। কিছু সময় লাগিয়ে রাখার পরে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন এটা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করছে এবং ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ দূর করেছে।
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কোন উপায় আছে কিনা। এজন্য আর্টিকেলের এই পড়বে
এসে আমরা জানিয়ে দেবো স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কিছু প্রাকৃতিক এবং
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
- টমেটো এবং মধুর প্যাকঃ আপনার মুখে যদি রোদ থেকে পোড়া দাগ বের হয় বা মুখে অতিরিক্ত কালো হতে শুরু হয় তাহলে আপনি এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। টমেটো এই দাগ গুলো খুব ভালোভাবেই হালকা করে দিতে পারে। এজন্য আপনাকে একটা টমেটো এবং চার চা চামচ মত দিতে হবে। আগে থেকে একটা পাত্রে টমেটো চটকে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে এটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিটের মত মুখে লাগে তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- আমির খোসা এবং দুধঃ আমির খসার সাথে যদি দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগানো হয় তাহলে এটা খুব সহজেই আপনার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। এ যেন পরিমাণ মতো দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণ আমির খোসা মিশিয়ে এটা ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এগুলো আপনার মুখে এবং গলায় সহ ঘাড়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন
- পুদিনা পাতার ফেসপ্যাকঃ পুদিনা পাতাতে উপস্থিত আছে আ্যসট্রিজেন্ট যেটা আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগাবে এবং খুব সহজে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। ১৫ থেকে ২০ টি পুদিনা পাতা পেস্ট করে নিয়ে এটা মুখে লাগিয়ে রাখুন। ভালো করে লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হবে তখন ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার ত্বক টান রাখবে এবং ছোট ছোট কোড গুলো ঢেকে রাখবে। তবে পুদিনা পাতাতে যদি আপনার এলার্জি থাকে তাহলে এই প্যাক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- দুধ এবং লেবুর রসঃ আপনি যদি স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন দুধ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ করার ফেসপ্যাক। এটাক তৈরি করতে আপনাকে দুধ এবং লেবু ব্যবহার করতে হবে। এজন্য ২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ৩ চা চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ চা চামচ হলুদ গুড়া মিশ্রণ করুন। এবার এই কয়েকটি মুখমন্ডল এবং হাত-পায়ে ভালো করে মেখে নিন। এভাবে এক সপ্তা ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে।
- ক্রিমঃ বর্তমান সময়ে এসে স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য অনেক উন্নত মানের ক্রিম ব্যবহার করা হচ্ছে। গুনে মানে যে সকল কিরিম ঠিক আছে সেই ক্রিমগুলো যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে স্থায়ী ভাবে ত্বক ফর্সা করতে পারবেন।
- পাকা পেঁপেঃ ত্বক ফর্সা করার জন্য আরেকটি দুর্দান্ত কার্যকরী উপাদান হচ্ছে পাকা পেঁপে। পাকা পেঁপে আপনাকে স্থায়ীভাবে গায়ের রং ফর্সা করতে নই বরং ভূমিকা রাখবে প্রাকৃতিক স্কাব হিসেবে। এজন্য আপনাকে পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করতে হবে এবং এর সঙ্গে কিছু পরিমাণ ময়দা অথবা বেসন ভালো করে মিশিয়ে ভালোভাবে আপনার ত্বকে মেসেজ করুন। মিনিট ১৫ লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারঃ আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চান তাহলে আপনি সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে সেটা ব্যবহার করতে পারেন আপনার মুখের ত্বকে। রাতে ঘুমানোর আগে এটা ভালো করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। সারারাত লাগিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে যেমন আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে এর পাশাপাশি স্থায়ীভাবেও আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।
- ত্বকে ডিম ব্যবহারঃ আপনি যদি চেহারা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান এবং স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে ডিম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই জানে না ত্বকের যত্নে ডিমের উপকারিতা। আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে সেটা না শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে উপকারী দিক গুলো দেখে নিন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্রিম
আমরা অনেকেই আছি যারা তাকে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য অনেক ধরনের কসমেটিক
ব্যবহার করে থাকে। অনেকে আবার পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ করেন। তারপরও
পর্যাপ্ত উজ্জ্বলতা পাওয়া যায় না কারণ আমরা জানি না ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির জন্য আমাদের ভালো ক্রিম কোনটা। শুনুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্রিম সম্পর্কে।
- দ্যা বডি শপ ভিটামিন ই নাইট ক্রিমঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য একটি ক্রিম হচ্ছে দা বডি শপ ভিটামিন ই নাইট ক্রিম। রাতে ঘুমানোর আগে যদি আপনি এই নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা গুলো অতি সহজেই সমাধান হবে। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কম থাকলে সেক্ষেত্রে এই লাইট ক্রিম হতে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমে আছে অনেক পরিমাণ ভিটামিন এ ছাড়াও আছে গ্লিসারিন একোয়া ইত্যাদি সব উপাদান। এজন্য এই ক্রিমটি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে ত্বকের দাগ স্পটগুলো দূর হবে।
- মামা আর্ট ওভারনাইট ফেস ক্রিমঃ আপনি যদি প্রতিদিন রাতে এই ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনি তাকে উজ্জ্বলতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। কারণ এই ক্রিমের ভেতরে উপস্থিত আছে এমন সকল প্রধান যা আমাদের তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করে। এজন্য আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে এই টিম ব্যবহার করতে পারেন।
- গার্নিয়ার লাইট কমপ্লিট ফেয়ারনেস সিরাম ক্রিমঃ আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি ব্যবহার করা হলে আপনার ত্বক থেকে কালো দাগ কম করবে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করবে এবং ত্বক করে তুলবে মসৃণ। এছাড়া ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর করার পাশাপাশি ত্বক সজীব করে।
- সিম্পল কাইন্ড ভিটাল ভিটামিন নাইট ক্রিমঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য অন্যতম একটি নাইট ক্রিম হচ্ছে সিম্পল কাহিনী ভিটাল ভিটামিন নাইট ক্রিম। ভিটামিন বি ৫ ভিটামিন এ এমনকি লেক্টিক এসিড এর মত উপাদান আছে এই ক্রিমের ভেতরে। এজন্য আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই ক্রিম তাকে ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে উদ্ধৃতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও সুস্থতা দূর করবে এবং ত্বক করে তুলবে লাবণ্যময়।
- পন্ডস হোয়াইট বিউটি স্পট- লেস ফেয়ারনেস ডে ক্রিমঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যতগুলো ক্রিম আছে তার ভেতরে একটি অন্যতম হচ্ছে পন্ডস হোয়াইট বিউটি স্পট- লেস ফেয়ারনেস ডে ক্রিম। আপনি যদি এই ক্রিমটি মুখে ব্যবহার করেন তাহলে এটা আপনার ত্বকের রং উন্নত করবে এবং ত্বকের টোন ভালো রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ কম করবে। সকালে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পর এই ক্রিমটি ভালো করে মুখ এবং গলাতে মেখে নিতে হবে।
কোন ফল খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার। অনেকে আমাদের
কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কোন ফল খেলে তোকে উজ্জ্বলতা বাড়বে। তাই
আমরা ভেবেছি যে আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে বিস্তারিত জানিয়ে দিব কোন
কোন ফল খেলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- পেঁপেঃ পেঁপে খাওয়া হলে এটা আমাদের ত্বক সুন্দর রাতে ভূমিকা রাখে। এজন্য শুধু রূপচর্চার কাজে নয় বরং পেঁপে খাওয়াও জরুরি। পেঁপে খাওয়া হলে এটা ত্বকের উজ্জ্বলাতে ফিরে আনতে অনেক সাহায্য করে ভূমিকা পালন করে। সরাসরি পিকে যদি আপনার খেতে ভালো লাগে তাহলে এক্ষেত্রে পেঁপে স্বাদ বদলাতে পারেন যেমন- স্যুদি তৈরি করতে পারেন পেঁপে দিয়ে।
- আপেলঃ ত্বকে উজ্জ্বলতা যদি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি আজকে থেকে প্রতিদিন একটা করে আপেল খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন যদি আপনি একটি করে আপেল খান এতে যেমন বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে মুক্ত থাকবেন ঠিক তেমনি এতে থাকা ভিটামিন গুলো আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে। আপেলের ভেতরে উপস্থিত থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা ত্বকের ফিরে রেডিক্যাল দূর করতে ভূমিকা রাখে। এজন্য ঝকঝকে এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আপনি নিয়মিত আপেল খেতে পারেন।
- কলাঃ কলা একটি সহজলভ্য ফল হলেও ত্বকের যত্নে রয়েছে এর কার্যকারী ভূমিকা। কলাতে আছে অ্যামাইনো এসিড এবং পানি ও পটাশিয়াম। এ যেন কলা খাওয়া হলে এটা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে পারে ও ব্রণের মত সমস্যা অনেকটাই কম করে। এজন্য অনেকেই সকালের নাস্তায় কলা খেয়ে থাকেন।
- লেবুঃ লেবু হচ্ছে ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি উৎস। প্রতিদিন আপনি লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে এতে যেমন অনেক উপকার পাবেন স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক তেমনি তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। লেবুতে থাকে প্রাকৃতিক বিলিসিং এজেন্ট। যে কারণে এটা তোকে বিভিন্ন ধরনের দাগ সব দূর করে এবং ভেতর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আপনি লেবু খেতে পারেন।
- আমঃ পুষ্টিকর খাবারের ভেতর একটি অন্যতম ফল হচ্ছে। এটার স্বাদ এবং সুগন্ধ দুটোই বেশ পরিচিতি রয়েছে। মিষ্টি জাতীয় এই আম যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার ত্বক ভালো রাখতে ভূমিকা রাখবে। আম ফলে উপস্থিত আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, পলিফেনোলিকস, জ্যান্টোফিল,বিটা ক্যারোটিন।তোকে ডিএনের ড্যামেজ লক্ষ্য করার জন্য এই উপাদান গুলো কাজ করে।
- শসাঃ ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি অনেক পরে মনে রয়েছে সাথে। আর এই উপাদান গুলো খুব সহজেই আমাদের স্কিনকে হেলদি এবং গ্লোয়িং রাখে। এছাড়াও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং বলিয়ে রাখা কম করতে এবং স্ক্রিনে হাইড্রেট রক্তের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এজন্য আপনি শসা খেতে পারেন ত্বকের জন্য তো বেড়াতে চাইলে।
- পালংশাকঃ lutein এবং zeaxanthin আছে পালং শাকে। যেগুলো আমাদের স্কিনের জন্য খুব উপকারী এছাড়াও পালং শাকের ভিতর আরো অভিমানে উপস্থিত আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই। যেগুলো ত্বকের স্ক্রিনকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখবে। এজন্য পালং শাক খাওয়া হলে এটা স্ক্রিনের তারুণ্য। বজায় রাখতে এবং পার্থক্যের ছাপ পড়তে দিবেনা।
শেষ কিছু কথা
ত্বকের উজ্জ্বলিতে বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
এছাড়া প্রাকৃতিক কিছু উপাও আপনিতো আক্রান্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন। যে
বিষয়গুলো আজকে ঠিক আলোচনা করা হয়েছে। তবু যদি কথা বুঝতে অসুবিধা হয়
তাহলে বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেলটি আরো একবার পড়ে আসুন। তবুও বুঝতে অসুবিধা
হলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির
প্রাকৃতিক উপায়-ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে। আর্টিকেলটির পরে
যদি আপনি উপকৃত হন বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে
দিন। এ সমস্ত তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url