সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ
মেদ কমানোর সেরা উপায় ও খাবার সম্পর্কে জানতে চাপ দিনআপনি কি সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ জানতে আগ্রহী ?
তাহলে আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের পুরে আর্টিকেল
জুড়ে আলোচনা করা হয়েছে শিশুর মুখের রুচি আনার বিষয় নিয়ে। শুধু কি তাই, আজকের
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের খাবারের রুচির ওষুধের
নাম সম্পর্কেও। অবশ্যই আপনার দরকারি এ বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
দীর্ঘদিন ধরে শিশুর রুচিহীনতায় থাকলে খাবার না খাবার ফলে খুব দ্রুতই অসুস্থ হয়ে
পড়তে পারে । এজন্য রুচি ফিরিয়ে আনা এবং শিশুর অরচির কারণ গুলো আমাদের জানতে
হবে। তাহলে আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক ।
ভূমিকা
কোন বাচ্চার মুখে যদি অরুচি বোধ দেখা দেয় তাহলে এক্ষেত্রে রুচি ফিরে আনতে অনেক
সময় বিভিন্ন কলকৌশল অবলম্বন করতে হয়। এজন্য আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জেনে
যাবেন রুচি ফিরে আনার উপায়গুলো। এছাড়াও আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে
পারবেন কোন ভিটামিন খেলে মুখে রুচি হবে এবং খেতে না চাইলে কি খাওয়ালে বেশি রুচি
হবে সে বিষয় সম্পর্কেও। বিস্তারিত জেনে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়
বর্তমান সময়ের প্রায় সকল বাচ্চাই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন কিছু
খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে না। দীর্ঘ সময় হলেও ক্ষুধা না লাগা একটু সমস্যা
হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় আবার বাচ্চারা না খেতে চাইলে বাবা-মা চেষ্টা করেন
তাদেরকে জোর করে খাওয়াতে দেখা যায়। বাচ্চারা ছোট এ কারণে তারা মুখপোটে বলতে
পারেনা কোন খাবার তাদের খেতে মন চাইছে।
যে কারণে এই খাবার ব্যাপারে বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হয়। আপনার বাচ্চার রুচি বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে কোন খাবারে তার অরুচিবোধ হচ্ছে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা জেনে নিব সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ গুলো। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক কি খাবার খাওয়ালে আপনার বাচ্চার রুচি বৃদ্ধি পারবে এবং রুচি বাড়ানোর সেই উপায়গুলো।
- মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়া
- সকালের খাবার বাধ্যতামূলক করা
- সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন
- খাবার কমপক্ষে আধাঘন্টা আগে পানি খাওয়ানো
- বাচ্চাকে কোন খাবার দেওয়ার পূর্বে সেটি আগে নিজে খেয়ে দেখা
- মৌসুমী ফল খাওয়ানো
- লাইসিন এমাইনো এসিড সরবরাহ করা
- জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো
- ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দেওয়া
- আলু খাওয়ানোর অভ্যাস করা
- শিশুদের মাথা এবং শরীর ঠান্ডা রাখা
- অন্তে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাব
- ২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ার খাওয়ান
- খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রতি উৎসাহ করা
- মিল শেক বানিয়ে খাওয়ানো
- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দেওয়া
- বাচ্চাদের প্রিয় খাবার গুলো বোঝার চেষ্টা করা
- ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার দেওয়া
- খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করা
- ঘরে তৈরি করা খাবারের প্রতি আগ্রহ করে তোলা
আর্টিকেলটি পড়লে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরে যাবেন সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি
আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ। চলুন তাহলে আমরা উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো সম্পর্কে
এবার বিস্তারিত জেনে আসি।
মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়াঃ বাচ্চার মুখে রুচি বৃদ্ধি করার জন্য
খাবারের পাশাপাশি হালকা খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে খেয়াল
রাখবেন সেই খাবারটা যেন বাজারের খোলা খাবার না হয় তাহলে এটা জীবনযুক্ত হতে পারে।
এজন্য বাড়িতে তৈরি করা খাবারে বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত হবে।
সকালের খাবার বাধ্যতামূলক করাঃ আপনার বাচ্চাকে সকালের একটা নির্দিষ্ট
সময়ের ভিতরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। এটা আপনার বাচ্চাকে সারাদিনের
জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দিবে এবং পচন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করবে। এজন্য সকালের
খাবার বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী।
সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করুনঃ বাঁচার জন্য সকল ধরনের সবুজ শাকসবজি বেশ
উপকারী। আপনার বাচ্চা যদি খেতে না চায় তাহলে এ ক্ষেত্রে মুখে রুচির বৃদ্ধি তৈরি
করার জন্য আপনি সবুজ শাকসবজি খাওয়াতে পারেন।
খাবার কমপক্ষে আধাঘন্টা আগে পানি খাওয়ানোঃ বিশেষজ্ঞরা বলছেন খাবার
খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে যদি পানি খাওয়া হয় তাহলে এটা প্রথম প্রক্রিয়াকে
সক্রিয় করে এবং ক্ষুধার সৃষ্টি করে। এজন্য খাবারের মধ্যখানে পানি না খাওয়াই
ভালো হবে। খাবারের আধা ঘন্টা আগে অথবা খাওয়ার খাওয়ার পর পানি খাওয়ালে এটা ভালো
কাজে দিবে।
বাচ্চাকে কোন খাবার দেওয়ার পূর্বে সেটি আগে নিজে খেয়ে দেখাঃ আপনার শিশুকে
কোন খাবার দেওয়ার পূর্বে আগে সেটা নিজে খেয়ে দেখবেন। বাবা মা যদি কোন খাবার
খেয়ে দেখায় তাহলে শিশু ঐ খাবার খেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এবং খাবারের টেস্ট ঠিক
আছে কিনা সেটা আপনিও বুঝতে পারবেন। এতে করে আপনার বাচ্চার খাবার খাওয়ার আগ্রহ
সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মৌসুমী ফল খাওয়ানোঃ মৌসুমী ফল গুলো তে প্রকৃত ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য
প্রয়োজনে উপাদান থাকে। এজন্য আপনার বাচ্চার মুখের রুচি বৃদ্ধি করার জন্য মৌসুমী
ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যে মৌসুমের যে ফল পাবেন সেই মৌসুমী সেই ফল
খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
লাইসিন এমাইনো এসিড সরবরাহ করাঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে যে অ্যামাইনো এসিড
সরবরাহ নিশ্চিত হয় তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে লাইসিন অ্যামাইনো এসিড। লাইসেন্স
ক্যালসিয়ামের শাসন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরণিত করতে
সাহায্য করে। সকল ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে এই লাইসিন পাওয়া যায়।
জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানোঃ কোন খাবারে যদি জিংকের অভাব থাকে তাহলে এটা
বাচ্চার জন্য খুবই অরুচি এবং ক্ষুধা মন্দের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এজন্য আপনার
বাচ্চার মুখে রুচি বৃদ্ধি করার জন্য জিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। জিংক সমৃদ্ধ
খাবার হলো কুমড়া, কাঠবাদাম, গম এবং যেকোনো ধরনের বিজ্ঞ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার দেওয়াঃ একটা শিশু শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
দেখা দেবে তখন তার শারীরিক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া ধীরগতি হবে এবং খাবার খাওয়ার
চাহিদা কমে যাবে। এজন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন।
ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো সূর্যের আলো। এজন্য আপনার বাচ্চা
যদি অনেক ছোট হয় তাহলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন হলেও ১০-১৫ মিনিট করে সূর্যের
আলোর নিচে ধরবেন। এতে করে বাচ্চার খাবারের রুচিও বৃদ্ধি পাবে।
আলু খাওয়ানোর অভ্যাস করাঃ আলুর ভেতরে থাকে অনেক পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট
যেটা বাচ্চার ওজন ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এজন্য আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত আলো
খাওয়াতে পারেন। শিশুর মুখে রুচি আনার জন্য আপনি ভিন্ন স্বাদে আলু পরোটা করেও
দিতে পারেন।
শিশুদের মাথা এবং শরীর ঠান্ডা রাখাঃ ছোট বাচ্চারা অতিরিক্ত ঠান্ডা বা
অতিরিক্ত গরম কোনোটি সহ্য করতে পারে না। যে কারণে আবহাওয়া জনিত কারণে বাচ্চাদের
ক্ষুধা মন্দ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়া অতিরিক্ত উষ্ণ হলে এটা শিশুদের খিদে কমিয়ে
দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ। এজন্য বাচ্চাদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে
যেন বাচ্চাদের শরীর এবং মাথা ঠান্ডা থাকে।
অন্তে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাবঃ সাধারণত আমরা যে সকল খাবার খায় সেগুলো
শোষণ করতে করতে পুণ্য ভুমিকা আছে অন্তরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার। এগুলোকে
আবার বলা হয়ে থাকে প্রবায়োটিক। টক দই পান্তা ভাত এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মানে এর
উপস্থিতি থাকে।
২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ার খাওয়ানঃ একসঙ্গে বেশি করে খাবার দেওয়া শিশুর
খাদ্যযন্ত্রের জন্য একজন উপযোগী না। এ জন্য আপনার শিশুর মুখে রুচি আনার জন্য
একসঙ্গে বেশি খাবার না দিয়ে ২ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার দিনে তো হজমে সাহায্য করবে।
খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রতি উৎসাহ করাঃ স্বাভাবিকভাবে যদি শারীরিক
পরিশ্রম করা হয় তাহলে এটা খোঁজা চেষ্টা করতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু আজকাল বাচ্চারা
মোবাইল ফোন এবং টিভির মাধ্যমে গাছপতি হওয়ার কারণে শারীরিক খেলাধুলা করতে পারে না
যে কারণে ক্ষুধামন্দ তৈরি হয় না। এজন্য বাচ্চাদেরকে খেলাধুলা এবং ব্যায়ামের
প্রতি উৎসাহ তৈরি করতে হবে এতে করে তারা হাসিখুশি থাকবে এবং খাবারের প্রতি রুচি
আসবে।
মিল্ক শেক বানিয়ে খাওয়ানোঃ আপনার বাচ্চা যদি প্রতিদিন একটানা দুধ খেতে
পছন্দ না করে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রত্যেকদিন নিয়ম করে দুধ না দিয়ে এর সঙ্গে
বিভিন্ন ধরনের ফল দুধ এবং কাজুবাদাম, কাঠবাদাম ইত্যাদি দুধ দিয়ে মিল্কশেক
বানিয়ে দিতে পারেন। এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ পুষ্টিকর এবং মুখের রুচি
বৃদ্ধি করবে।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দেওয়াঃ সাধারণত বাচ্চা শরীরে যদি ভিটামিন সি এর
অভাব থাকে তাহলে ক্ষুধা মন্দ তৈরি হয়। এজন্য আপনার বাচ্চার মুখে রুচি ফিরিয়ে
আনার জন্য আবেদন ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দিবেন।
বাচ্চাদের প্রিয় খাবার গুলো বোঝার চেষ্টা করাঃ আপনার বাচ্চার কোন খাবার
গুলো খেতে পছন্দ করছে এবং কোন খাবারগুলো খেতে ইচ্ছে করছে না সে বিষয়ে আপনি একটা
তালিকা তৈরি করুন। এভাবে আপনার বাচ্চার পছন্দ অনুযায়ী খাবারগুলো দিবেন তাহলে
খাবারের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হবে এবং রুচি ফিরে আসবে।
ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার দেওয়াঃ বাচ্চাদের মুখের অরুচি জনিত অন্যতম
একটি কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবারের অভাব। ভিটামিন বি ১২ এর অন্যতম উৎস
হচ্ছে দুধ ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি এবং সব ধরনের রঙিন শাকসবজি। এজন্য আপনার বাচ্চার
রুচি ফিরে আনতে আপনি ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার দিন।
খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করাঃ প্রতিদিন যদি আপনার বাচ্চাকে এক ধরনের খাবার
দিন তাহলে এতে বাচ্চা খাবার খেতে একঘেয়েমি বোধ করবে। এতে করে খাবার খেতে চাইবে
না। তাই আপনি খাবারের ভিন্নতা সৃষ্টি করে বাচ্চাকে খাবার দিতে পারেন যেমন
প্রতিদিন ডিম সেদ্ধ না দিয়ে ডিমের তৈরি পুডিং অথবা সুপ তৈরি করে দিতে পারেন। এতে
করে বাচ্চার সামনে আকর্ষণীয় খাবার উপস্থাপন করা হলে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ
তৈরি হবে।
ঘরে তৈরি করা খাবারের প্রতি আগ্রহ করে তোলাঃ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঘরে তৈরি
করা খাবার গুলো বাচ্চার রুচি বৃদ্ধি করা পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এজন্য
আপনি চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি করা খাবারের প্রতি বাঁচার আগ্রহ তৈরি করা ।
শিশুর অরুচির কারণ
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাচ্ছিলাম সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার
উপায়-শিশুর অরুচির কারণ। শিশুর মুখের রুচি বৃদ্ধি করা যেমন দরকার ঠিক তেমনি
শিশুর অরজ এর কারণ সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে। শিশুদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার
জনিত কারণে মুখে অরুচি তৈরি হতে পারে। চলুন জেনে আসা যাক অরুচির কারণগুলো।
- শিশুর শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে
- পেটে যদি কৃমি থাকে তাহলে অনেক সময় অরুচি তৈরি হয়
- বাচ্চাদের অন্তে ভালো ব্যাকটেরিয়ার অভাব হলে
- লাইসিন অ্যামাইনো অ্যামাইনো এসিডের ফলে
- ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে
- মন্দ অভ্যাস জনিত কারণে
- ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে
- জিংকের ঘাটতি হলে
উপরে যে সকল কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এসব কারণগুলোর জন্য বাচ্চাদের মুখে অরুচি
তৈরি হতে পারে এবং বাচ্চারা ঠিকভাবে খাবার না খাওয়ার কারণ হতে পারে। এজন্য আপনার
বাচ্চা ঠিকভাবে খেতে না চাইলে অরুচির কার্ড খুঁজে বের করুন এবং রুচি ফিরিয়ে আনার
চেষ্টা করুন।
বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে
বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর বিষয়ে মায়ের যেন কোন কমতি নেই। কখনো বাচ্চারা আবার
বলে এটা খাবে না সেটা খাবে না, এভাবে অনেক বায়না ধরে কান্না করতে থাকে। এতে
যদি একেবারে না খাই তাহলে এটা বাচ্চার জন্য খারাপ হতে পারে। এজন্য আপনাকে
জানতে হবে কি খাওয়ালে বাচ্চাদের রুচি বাড়ে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক
বাচ্চাদের কি খাওয়ালে রুচি বাড়ে।
- বাচ্চাদের রুচি ফেরাতে সব থেকে ভালো একটি মাধ্যম হচ্ছে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া হলে এটা বাচ্চার মুখে রুচি বৃদ্ধি করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বাচ্চাকে মাল্টা, পেয়ারা, টমেটো, আমলকি, কমলা ইত্যাদি খাবার দিতে পারেন।
- সকালবেলা বাচ্চা যখন ঘুম থেকে উঠবে প্রথমে আপনি অল্প একটু পানি দিতে পারেন। এভাবে রাত্রিবেলা এবং দুপুরবেলাতে খাবারের আধা ঘন্টা পূর্বে পানি দিয়ে তারপরে আর পানি দিবেন না।
- তোর বাচ্চাকে যখন খাবার খাওয়াবেন সে সময়ে জোর করে অথবা বকানি দিয়ে খাবার খাবেন না। বাচ্চাকে খাওয়ার খাওয়ানোর সময় আপনাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে সুঝিয়ে খাওয়াতে হবে।
- বাচ্চাকে একসাথে অনেক খাবার খাওয়াবেন না। অল্প অল্প করে কিছু ঘন্টা পর পর খাওয়াবেন এতে করে বাচ্চার খাবারের অরুচি বোধ হবে না।
- আপনার বাচ্চাকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর খাওয়ার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে করে পুষ্টির চাহিদা ঠিক থাকে।
- আশা করছি আপনি বুঝতে পেরে গেছেন বাচ্চাদেরকে কি খাওয়ালে তাদের খাওয়ালের প্রতি রুচি বৃদ্ধি পাবে। এভাবে আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়া দিলে রুচির সাথে খাওয়ার খেতে পারবে এবং অরুচিবোধ হবে না।
বাচ্চারা খেতে না চাইলে করণীয়
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চই আপনি জেনে গেছেন সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ। আপনার বাচ্চা যদি খেতে না চায় তাহলে আপনার করণীয় কি চলুন তাহলে আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসি। অনেকেই জানে না বাচ্চারা খেতে না চাইলে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে। বলুন তাহলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসে যাক।- বাচ্চাদেরকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন।
- খাবারের ভিতরে বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসুন।
- বাচ্চাদের ঘনঘন খাবার দিন।
- একই খাবার বারবার না দিয়ে খাবারের স্বাদ পরিবর্তন করে বাচ্চাকে খেতে দিন।
- বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেবার চেষ্টা করুন।
- বাচ্চাকে বিশেষ করে বাইরের খাবারগুলো না দেওয়াই ভালো হবে।
- আপনার বাচ্চা যদি অনেক ছোট হয় তাহলে অবশ্যই শিশু বাচ্চাকে একনাগাড়ে বেশি খাবার না দিয়ে অল্প অল্প করে ঘনঘন সময় খাওয়ার দিন।
বাচ্চাদের কি খাওয়ালে খিদে বাড়ে
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ।
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের কি খাওয়ালে তাদের খিদে
বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব
শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে যে সকল খাবার খাওয়াবেন বিষয় সম্পর্কে।
- কুমড়ার বীজঃ কুমড়া থেকে পাওয়া এই কুমড়ার বীজগুলো ফেলে না দিয়ে এগুলো শুকিয়ে সসপ্যানে ভেজে আপনার সন্তানকে দিতে পারেন। এতে করে আপনার শিশুর খাবার ইচ্ছা বৃদ্ধি হবে। এছাড়াও এই বিষ খাওয়া হলে এটাও হজম প্রক্রিয়াকেও প্রবাভিত করে।
- তেতুলঃ আপনার বাচ্চাকে যদি কিছু পরিমাণে তেঁতুল খাওয়াতে পারেন তাহলে এটা সন্তানের ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে ব্যাপক সাহায্য করে। এজন্য আপনি আপনার সন্তানকে তেতুল অথবা তেতুলের চাটনি খাওয়াতে পারেন।
- গাজরঃ গাজর এর অনেক পুষ্টি উপকারিতা আছে। গাজর খাওয়া হলে এটা ক্ষুধা বাড়ানোর প্রবণতাকে আরো এক পলক বৃদ্ধি করবে। এজন্য আপনি আপনার সন্তানকে গাজর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- লেবুঃ লেবু খাওয়া হলে এটা খুব সহজে খোদা বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি যদি আপনার সন্তানের খোদা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে লেবু অথবা লেবু পানির রস তৈরি করে আপনার সন্তানকে দিতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত সময়ের ভেতরে বাচ্চার পাচন সিস্টেম সক্রিয় হওয়ার মাধ্যমে সে খাবার খেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে।
- আদা ও তুলসীঃ একাধিক অশোক নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ক্ষুধাবৃত্তিতেও রয়েছে এর দারুন ভূমিকা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধশক্তি। এজন্য আপনার সন্তানকে আদার রস তুলসী রসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- আমলকিঃ আমলকিতে উপস্থিত আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি। এজন্য প্রতিদিন যদি খালি পেটে আমলকি আপনি আপনার সন্তানকে খেতে দিন তাহলে এটা তার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা কেউ জোরদার করবে এবং খিদা বৃদ্ধি করবে।
- দইঃ দই খাওয়া হলে এটা পাচনতন্ত্রকে ভালো রাখবে এবং উদ্দীপক করে তুলতে ভূমিকা রাখবে। খাবার তালিকাতে যুক্ত করতে পারেন। দই খাওয়া হলে এটা ক্ষুধা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতিও পূরণ করবে।
কোন ভিটামিন খেলে মুখে রুচি হবে
আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব কোন ভিটামিন খেলে মুখে
রুচি হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে। এখন প্রায় প্রত্যেকটি বাচ্চাই যেন খাবারের
অরুচিতে ভুগছে। তাই আপনাকেও জানতে হবে আপনার সন্তানের জন্য কোন ভিটামিন
খাওয়ানো হলে এটা তার মুখে রুচি তৈরি করবে। চলুন তাহলে এবার এ বিষয়ে সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসে যাক।
মুখে রুচি বৃদ্ধি করা বামুকে রুচি ফ্যারাতে যতগুলো ভিটামিন আছে তার ভিতরে একটি
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হলো ভিটামিন সি। ছোট বাচ্চা হোক কিংবা বড় মানুষ,
মুখের রুচি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকাতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
রাখলে এটা খুব সহজেই খাবারের রুচি বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো
হল-
আমলকি, গাজর, মাল্টা, টমেটো, আনারস লেবু, কমলা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি টক জাতীয়
খাবার। বাচ্চার মুখে রুচি ফেরাতে আপনি প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে সকালের সময়
আমলকির জুস করে দিতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন যদি লেবু চিপে অথবা টমেটো চাটনি
বানিয়ে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে এটা খুব সহজে মুখের রুচি
ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আমি আশা করছি আপনি বিষয়গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বাচ্চাদের খাবারের রুচির ওষুধের নাম
খাবার খাওয়ার প্রতি বাচ্চার অরুচি থাকলে অনেক সময় বাচ্চাদের মুখে রুচি
হওয়ার জন্য সিরাপ খাওয়ানোর প্রয়োজন হয়। বাচ্চা কি সিরাপ খাওয়াতে হলে
অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন। সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি
আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ তো আপনি জেনে গেছেন। বাচ্চাদের খাবারের রুচির
ওষুধের নাম সম্পর্কে।
- বিকোজিন সিরাপ
- জিংক-বি সিরাপ
- ডোরা কিট সিরাপ
- অয়েল কিড সিরাপ
- ম্যাক্সভিট সিরাপ
- বেক্সট্রাম কিডস সিরাপ
আপনার বাচ্চা যদি খাবারের প্রতি অরুচিহ্নতায় ভোগে তাহলে রুচি বৃদ্ধি করার
জন্য আপনি উপরে বর্ণিত এই ওষুধগুলো খাওয়াতে পারে। তবে হ্যাঁ যে ওষুধে খাওয়া
না কোন খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াবেন।
আমাদের পরামর্শ
আপনার ছোট বাচ্চা যদি ওরচিহ্নতায় বুকে তাহলে আপনি রুচি আনার জন্য কি করবেন তার
নিশ্চয় আর্টিকেল জেনে গেছেন। তবুও ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব ছোট বাচ্চার মুখে
রুচি আনার জন্য অবশ্যই আপনি একসঙ্গে অধিক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে কিছু
সময় অন্তর খাওয়াবেন। আর্টিকেল দিয়ে কথা বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে কমেন্ট করে
জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছিলাম সেরা ২০টি শিশুর মুখে রুচি
আনার উপায়-শিশুর অরুচির কারণ। আজকেরটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। এ সমস্ত তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত
ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url