সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস
বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ জানতে চাপ দিনআজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি
ভ্রমণ টিপস। আপনি যদি একজন ভ্রমণ প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়গুলো
আপনার জানতে হবে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে আরো জানিয়ে দিব সাজেক
ভ্যালির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কেও। তাই অবশ্যই আপনার অজানা এই তথ্যগুলো জানতে
আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা অনেকেই আছি যারা সাজেক ভ্যালি যেতে চাই কিন্তু জানি না সাজেক ভ্যালির
অবস্থান সম্পর্কে। সাজেক ভ্যালি কিভাবে যেতে হবে এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা যারা
জানেন না তারা আর্টিকেলটি পড়ে সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি
ভ্রমণ টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভূমিকা
বাকি সবার মত আপনিও কি সাজেক ভ্যালি যেতে আগ্রহী ? তাহলে আপনার এই চিন্তাকে আমি
সাধুবাদ জানাই। কারণ সাজেক ভ্যালি হল বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন স্থান। এজন্য
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব আপনি যদি সাজেক ভ্যালি যেতে চান তাহলে
আপনাকে কোন জেলায় যেতে হবে।
সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান এবং সাজেক সাজেক ভ্যালির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে
বিস্তারিত। তাই অবশ্যই আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসা হয়ে থাকেন আর যদি সাজেক
ভ্যালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে
এটা আপনারভ্রমণ পথে অনেক কাজে দিবে ।
সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত?
বাংলাদেশের অন্যতম এক সৌন্দর্যের নীলাভূমি হলো আচ্ছা দেখ। আপনি যদি সাজেক ভ্যালি
যেতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি
ভ্রমণ টিপস। এজন্য আজকের আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা আপনাকে জানিয়ে এ বিষয়গুলো
সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা রাঙ্গামাটি জেলাতে অবস্থিত। সাধারণত
কর্ণফুলী নদী থেকে উৎপন্ন হওয়ার কারণে সাজেক নদীর নাম অনুযায়ী এই ভ্যালির
নামকরণ করা হয়েছিল সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালিটি হচ্ছে রাঙ্গামাটি জেলার অন্যতম
একটি উপজেলা যার নাম বাঘাইছড়ি। এই বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন হচ্ছে সাজেক।
যেটা বাংলাদেশের অন্যতম একটি বৃহত্তম ইউনিয়ন যার আয়তন ৭০০ বর্গমাইল। এই সাজেক
ভ্যালির দক্ষিণ দিকে রয়েছে রাঙ্গামাটির লং গাডু উপজেলা,পশ্চিম দিকে রয়েছে
দীঘিনালা উপজেলা যেটা খাগড়াছড়ির একটি জেলা। এবং পূর্ব দিকে আছে ভারতের মিজোরাম,
এর উত্তর দিকে রয়েছে ত্রিপুরা। সৌন্দর্যের এ নীলাভূমি সাজেক রাঙ্গামাটি জেলাতে
অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ি দিয়ে গেলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
এজন্য যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে অনেক পর্যটকরা খাগড়াছড়ি সদর দিয়ে
সাজেক ভ্যালিতে যায়। কারণ খাগড়াছড়ি সদর হতে সাজেক ভ্যালির দূরত্ব ৭০
কিলোমিটার। বাংলাদেশের যতগুলো পর্যটন স্থান আছে তার ভিতরে সবথেকে সুন্দর একটি
পর্যটন হল সাজেক ভ্যালি। সাজেক উপত্যকাটি বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছপালা পাহাড় এবং
ঘন জঙ্গল দিয়ে সাজানো রয়েছে।
বর্তমান সময়ে সাজেক পেলে বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে খুব বেশি
জনপ্রিয় এবং পর্যটনের কেন্দু বিন্দু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানকার পাহাড় এবং
মেঘের মিলন মেলা দেখে আপনি সহজে গা ভাসিয়ে দিতে পারবেন। আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন সাজেক ভ্যালির অবস্থান সম্পর্কে।
সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান
আপনি যদি কখনো সাজেক ভ্যালি যেতে চান তাহলে আপনাকে সাজেক ভ্যালি কোন জেলায়
অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস জানার পাশাপাশি জেনে নিতে হবে সাথে ঘুরে
দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। তাহলে আপনি খুব সহজেই সাজেক ভ্যালির দর্শনীয়
স্থানগুলোতে যেতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক সাজেক ভ্যালির
দর্শনীয় স্থানগুলোঃ
- সাজেক ইউনিয়নঃ সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থানগুলো যদি বলতে হয় তাহলে প্রথমেই বলতে হবে হবে সাজেক ইউনিয়ন এর কথা । যার নাম আমরা সাজেক উপত্যকা কিংবা সাজেক ভ্যালি নামে চিনি। এখানে দেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। সাজেক বেলের এই সৌন্দর্য দেখে অনেকেই আবার সাজেক ভ্যালিকে মনে করেন মেঘের রাজ্য বলে। এর কারণ হলো এই ইউনিয়ন উপত্যকাটি বাংলাদেশের সব থেকে উঁচু একটি বড় ইউনিয়ন। এখানে গেলে আপনার মনে হবে যেন আপনি হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখছেন।
- রুইলুই পাড়াঃ সাজেক ভ্যালির অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে রুইলুই পাড়া। আপনি যদি কখনো সাজেক ভ্যালি যান তাহলে অবশ্যই এই স্থানটিতে যাবেন। কারণে স্থানে আছে অনেক সুন্দর সুন্দর সব জিনিস । এই গ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানটি হচ্ছে গ্রামের নিচের দিকে রয়েছে সুন্দর একটি ঝর্ণা। যার নাম হচ্ছে কমলক ঝর্ণা, যেটা আপনাকে মুগ্ধ করবে বেশ দারুণভাবে। তবে হ্যাঁ এই জায়গাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে ৩০ মিনিটের মত ট্রেকিং করে যেতে হবে।
- কংলাকপাড়াঃ কলাপ পাড়া হচ্ছে সাজেক ইউনিয়নের অন্যতম সবথেকে উঁচু গ্রাম এবং স্থান। সাজেক ভ্যালির আসল আনন্দ আপনি উপভোগ করবেন এখানে গিয়ে। এর কারণ হলো এই জায়গা থেকেই সাজেকের সকল কিছু আপনি দেখতে পাবেন। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে ৪০ -৫০ মিনিটের মত ট্রেকিং করে যেতে হবে। সাজেক ভেলের এই স্থানে গিয়ে আপনি দেখবেন এখানে রয়েছে রংধনুর খেলা।
- লুসাই গ্রামঃ লুসাইগ্রাম জায়গাটি হতে সাজেকের অন্যতম একটি সুন্দর দর্শনীয় জায়গা। পূর্বে এই গ্রামের নেশায় নামক জাতির বসবাস ছিল। আপনি এখানে গেলে এখনো তাদের সেসব বাড়ি কিংবা ব্যবহারের জিনিসপত্র এবং পোশাক দেখতে পাবেন। সে জায়গাতে ঢুকতে গেলে আবার ৩০ টাকা টিকিট কেটে যেতে হয়। আপনি যদি মনে করেন লুসাইদের পোশাক পরে তাদের গ্রামে যাবেন তাহলে আর ১০০ টাকা দিতে হবে। আপনি এই গ্রাম থেকে দাঁড়িয়ে খুব সহজেই লুসাই পাহাড়ের নান্দনিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
- এই জায়গাতে আপনি আরো দেখতে পাবেন রক গার্ডেন এবং হেলিপ্যাড। তাছাড়া এখানকার যে জিনিসটি আপনাকে সবথেকে বেশি মনোমুগ্ধ করবে তা হলো এখানকার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত। সাজিব পাহাড়ে দাঁড়িয়েও আপনি সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। কিন্তু এখান থেকে দেখার মজা হলো এই জায়গা থেকে সূর্যোদয় দেখতে বেশি ভালো লাগবে এবং এখানে দাঁড়িয়ে আপনি সূর্যটা দেখতে পাবেন।
- দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজঃ আপনি যখন সাজেক বেশি সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরবেন ঠিক সেই সময় ফেরার পথেই উপভোগ করতে পারবেন দিঘীনালা ঝুলন্ত ব্রিজের অপরূপ সৌন্দর্য। আপনি যদি কখনো সাজেক ভ্যালি ভ্রমন করেন তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটিতে যাবেন।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার সময় যেসব চোখে পড়বে
আপনারা যারা সাজেক ভ্যালি গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পথে
কি কি চোখে পড়ে । কিন্তু যারা কখনো সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করেননি তাদের এটা অজানা
যে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পথে কি কি দেখা মিলে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক সাজেক
ভ্যালি যাওয়ার সময় যেসব চোখে পড়বে। সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে।
অনেকেই আবার সাজেক ভ্যালিকে বলে পাহাড়ের রানী। আপনি যখন সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করার
জন্য খাগড়াছড়ি থেকে পথ অতিক্রম করবেন ঠিক তখনই আপনার চোখে পড়বে পাহাড়ে ঘেরা
আশপাশের অপরূপ সৌন্দর্যের পথ যেটা আপনাকে মুগ্ধ করবে দারুণভাবে। সাজেক ভ্যালিতে
যাওয়ার সময় এরপর পাড়ি দেওয়ার সময় আপনি দেখতে পারবেন দশম বাঘাইহাট পুলিশ এবং
আর্মি ক্যাম্প।
সাজেক বাড়িতে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে
যেতে হবে। এরপর আপনি আবারও যখন পাহাড়ে আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিবেন ঠিক সে সময়
আপনি দেখবেন টাইগার টিলা সেনাবাহিনী ক্যাম্প এবং মাচালং বাজার। আপনি যখন মাচালং
বাজার পাড়ি দিবেন ঠিক সেই সময় আপনি দেখবেন সাজেকের প্রথম গ্রাম যার নাম রুইলুই।
সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে বিজিবি ক্যাম্প যেটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্প।
এছাড়াও হেলিকপ্টার পড়ার জন্য সাজেক ভ্যালির উপত্যকাতে একটি হেলিপ্যাড ব্যবস্থা
রয়েছে।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমনের টিপস
সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস সম্পর্কে আমরা আপনাকে
জানাচ্ছিলাম। আর্টিকেলের শুরুতে নিশ্চয়ই আপনি সাজেক বেলের অবস্থান সম্পর্কে
ধারণা পেয়ে গেছেন। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক সাজেক ভেবে নিয়ে কিছু ভ্রমণ
টিপস সম্পর্কে। আপনি যদি কখনও সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করেন তাহলে নিচের ট্রিপসগুলো
অবলম্বন করতে পারেন।
- সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে হোটেল বুক করতে হবে।
- সাধারণত সাজেক ভ্যালিতে ছুটির দিনে একটু বেশি ভিড় জমে থাকে। এজন্য কেউ যদি মনে করে যে নির্জনতায় থাকবে তাহলে এক্ষেত্রে ছুটির সময় না যাওয়াটাই ভালো হবে।
- সাজেক ভ্যালির যে পথ রয়েছে সেগুলো অনেক আঁকাবাঁকা এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার সময় বিজিবি ( বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ) থেকে অনুমতি নিয়ে তারপরে যেতে হবে।
- সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার সঙ্গে পানি নিতে ভুলবেন না। কারণ সাজেক ভ্যালিতে পানির সংকট আছে।
- সঙ্গে অবশ্যই স্থানীয় ডুবরি পরিবহন গুলো ব্যবহার করা উচিত।
- সাজেক বাড়িতে যাওয়ার সময় আপনার সঙ্গে হালকা কিছু খাবার নিয়ে গেলে আপনার জন্য ভালো হবে।
- সাজেক ভ্যালি যেহেতু একটি প্রত্যন্ত এলাকা তাই সেখানে বিদ্যুৎ নেই। এজন্য আপনার সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো অবশ্যই নিবেন যেমন -পাওয়ার ব্যাংক, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি।
সাজেক ভ্যালি কিভাবে যাব এবং সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ
আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন
সাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস গুলো। অনেকে আমাদের
কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কিভাবে সাজেক ভ্যালিতে যেতে হবে এবং সাজেক
ভ্যালি ভ্রমণ খরচ কত। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিত জেনে আসি সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ
সম্পর্কে।
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলাতে অবস্থান করলেও আপনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা
দিয়ে খুব সহজে যেতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই প্রথমেই আপনাকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে।
আপনি যদি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে শ্যামলী, এস আলম,
সৌদিয়া পরিবহন, শান্তি পরিবহন, ঈগল ইত্যাদি সব বাস পাবেন।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করতে আপনার নন এসি বাসের খরচ হবে প্রায় ৫২০ টাকা। আপনি যদি
মনে করেন এসি বাসে যাবেন তাহলে এক্ষেত্রে বিআরটিসি বা সেন্টমার্টিন পরিবহনে খুব
সহজে যেতে পারবেন ৭০০ থেকে ৯০০ টাকাতে। এছাড়াও শান্তি পরিবহন করে আপনি সরাসরি
দীঘিনালায় যেতে পারবেন মাত্র ৫৮০ টাকাতে। এই বাসটির বিভিন্ন জায়গাতে কাউন্টার
রয়েছে।
ঢাকার গাবতলী সহ কলাবাগান ও এখনো জায়গা রয়েছে এর কাউন্টার। ছুটির দিনে যদি আপনি
যেতে চান তাহলে অবশ্যই আগে থেকে টিকিট কেটে নেবেন না হলে টিকিট পাওয়া অনেক কষ্ট
হয়ে যাবে। খাগড়াছড়ি হতে সাজেকের দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটারের মতো। আপনি
চাইলে খাগড়াছড়ি হতেও সাজেক ভ্যালি দেখতে যেতে পারবেন জিপ গাড়ি রিজার্ভ করেও।
আপনি যদি এই জিপ গাড়ি করে সাজেক ভ্যালিতে যাওয়া আশা করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে
আপনার ভাড়ার খরচ হবে ৮০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা। এই গাড়িতে সাধারণত ১২ জনের মতো
উঠতে পারে। আপনি যদি ছোট কোন গ্রুপে থাকেন তাহলে খুব কম খরচ আপনি এই গ্রুপের সাথে
যোগ দিয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি অন্য কোন গ্রুপ খোঁজেন না পান তাহলে এক্ষেত্রে সিএনজি করেও যেতে
পারবেন। সিএনজি করে যেতে আপনার খরচ হবে ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা। তবে সাজেক
ভ্যালির রাস্তা উঁচু নিচু হওয়ার কারণে সিএনজি করে না যাওয়াই ভালো হবে। আমি আশা
করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
সাজেক ভ্যালি পাহাড়ের উচ্চতা কত
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিলেন সাজেক ভ্যালি পাহাড়ের উচ্চতা কত।
তাই আমরা ভেবেছি যে আজকের এই পর্বতে এসে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব আপনি যদি সাজেক
ভ্যালি সর্বোচ্চ চূড়ায় যেতে চান তাহলে আপনাকে কত ফুট উপরে উঠতে হবে। অর্থাৎ
সাজেক ভ্যালি পাহাড়ের উচ্চতা কত।
চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক সাজেক ভ্যালি পাহাড়ি উচ্চতা সম্পর্কে।
সাজেক ভ্যালি এমন একটি পাহাড় যেখানে উঠলে আপনার মনে হবে যে আপনি মেঘের সাথে খেলা
করছেন। আপনি যদি এই পাহাড়ে উঠেন তাহলে প্রকৃতির আসল রূপ রং সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র
গুলো খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন।
সাজেক ভ্যালি পাহাড়ের উচ্চতা হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট। হয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি
সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্যগুলো আপনার জীবনের ভবনের সেরা একটি দিন হয়ে থাকবে। তাহলে
নিশ্চয়ই জানলেন তো সাজেক ভ্যালির উচ্চতা কত।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
আমি আশা করছি আপনি নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন সাজেক ভ্যালি
কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস। এমন অনেকেই আছেন যারা খাগড়াছড়ি
থেকে সাজেক ভ্যালি যেতে চান। আপনিও যদি খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি যেতে চান
তাহলে আপনাকে কত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে সে সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব।
খাগড়াছড়ি এবং সাজেকের মধ্যবর্তী দূরত্ব হচ্ছে ৭০ কিলোমিটার। ভ্রমণকারীদের জন্য
এই দূরত্বটা একটু মহরম এবং দুঃসাহসিক যাত্রা হিসেবে পরিচিত হয়েছে।। এই পথ আপনাকে
পার্বত্য চট্টগ্রামের যে শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে তার ভেতর দিয়ে
নিয়ে যাবে। এই পথগুলো পারি দেওয়ার সময় আপনি অনেক ঘেরানোর রাস্তা পাবেন এছাড়া
দেখতে পাবেন অনেকে স্থানীয় গ্রাম।
সেখানে বসবাস রয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের। যেগুলো হবে আপনার জন্য নতুন এক
সংস্কৃতি অভিজ্ঞতা। খাগড়াছড়ি থেকে যখন আপনি সাজেক সাজেক যাবেন তখন এই পথ
অতিক্রম করার সাথে সাথে আপনি শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবন পের হয়ে পাবেন প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। খাগড়াছড়ি হতে সাজেক ভ্যালিতে যখন আপনি যাবেন।
তখন এটা শুধু আপনাকে কেবল দীর্ঘ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে যাবে না বরং আপনি
এমন এক জগতের সাক্ষী হবেন যেখানে প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্যের ভেতরে সময়
দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে হবে।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার
সাজেক ভ্যালি যেহেতু চট্টগ্রাম বিভাগের ভিতর অবস্থিত এজন্য চট্টগ্রাম থেকে
সাজেক ভেলের দূরত্ব একটু কম। আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন যে চট্টগ্রাম থেকে
সাজেক কত কিলোমিটার আজকের এই অংশটি আপনাদের জন্যই। চলুন তাহলে বিস্তারিত হবে
জেনে আসা যাক। চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালির দূরত্ব হলো ১৬৯.৯ কিলোমিটার।
আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালিতে যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার সময়
লাগতে পারে ৫ ঘন্টা থেকে ছয় ঘন্টা। আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনার পার্সোনাল
গাড়িতে চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যাবেন তাহলে এক্ষেত্রে সময় কিছুটা কম রাখতে
পারে। ধরুন আপনি ইচ্ছে করলেন যে চট্টগ্রাম থেকে সাজেকে যাবেন বাসে চড়ে।
তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে ১৯৫.৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এজন্য বলা যায়
যে আপনার চট্টগ্রাম থেকে সাজেক সাজেক ভ্যালি যেতে কতটা দূরত্ব হবে এটা মূলত
নির্ভর করবে আপনি কোন মাধ্যমে সাজেক ভ্যালিতে যাচ্ছেন। আর এটার উপরে নির্ভর করে
মূলত চট্টগ্রাম থেকে কত সময় লাগবে আপনার সাজেক পৌঁছাতে।
সাজেক ভ্যালি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাতে অবস্থিত হওয়ার কারণে খুব সহজেই
আপনি চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছে যাবেন। আমি আশা করছি আপনি বিষয়গুলো
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
আমি আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে অনেক ধারণা
পেয়েছেন। তবুও কোথাও যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করে
জানাতে পারেন। সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সঙ্গে করে আপনার প্রয়োজনীয়
জিনিসগুলো নিয়ে যাবেন। তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে।
প্রিয় পাঠক,আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানিয়েছি সাজেক ভ্যালি কোন জেলায়
অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস সম্পর্কে। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ
সমস্ত তথ্য সেবা গুলো পেতে নিহত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url