আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায়

SEO শিখে আয় করার ১০ উপায়আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায় আমাদের আলোচনার মূল বিষয়। আপনি যদি আউটসোর্সিং শিখে অনেক টাকা আয় করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা ও আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায় চলুন জেনে  আসা যাক।
multiplebd-আউটসোর্সিং- এর -কাজ -গুলো- কি -কি-আউটসোর্সিং- শেখার- উপায়

একজন আউটসোর্সার এর জন্য আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো জানা জরুরী। এজন্য আপনার যদি ইচ্ছে থাকে আউটসোর্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম করার তাহলে আউটসোর্সিং শেখার উপায় গুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।.

ভূমিকা 

বর্তমান সময়ে এসে প্রায় সকলে আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে। আউটসোর্সিং  করার মাধ্যমে ঘরে বসেই খুব সহজে টাকা ইনকাম করছেন অনেকই। আপনি যদি আউটসোর্সিং করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জেনে যাবেন আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট মেথড সহ আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত।

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি

আজকে আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায়। আপনি যদি আউটসোর্সিং করতে চান তাহলে অবশ্য আপনাকে জানতে হবে আউটসোর্সিং এর কাজ সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক আউটসোর্সিং এর ভেতরে কোন কোন কাজ রয়েছে।

বর্তমান সময়ে এসে চাকরি বাজারের যে অবস্থা তাতে অনেকে চাকরির পিছনে না ছুটে মনোযোগ দিয়েছে আউটসোর্সিং এ। আর এর একটা অন্যতম মূল সুবিধা বা কারণ হচ্ছে আউটসোসিং কাজটি আপনি স্বাধীনভাবে ঘরে বসে করতে পারবেন। একজন আউটসোর্সার এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার কাজগুলো।

আপনি যদি আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আউটসোর্সিং এর কাজ সম্বন্ধে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক আউটসোর্সিং এর কাজ সম্পর্কে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • লোগো ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কনটেন রাইটিং
  • সেলস এন্ড মার্কেটিং
  • প্রোগ্রামিং
  • অ্যানিমেশন
  • ওয়েবসাইট মেনটেন
  • এথিক্যাল হ্যাকিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • অ্যাপস ডেভেলপিং এবং ডিজাইনিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস
  • কল সেন্টার সার্ভিস
  • অডিও এডিটিং
  • ওয়েব ডেভেলপিং এবং ডিজাইনিং
  • টাইপোগ্রাফি
  • ভিডিও এডিটিং
  • কপিরাইটিং
  • SEO ( সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন )
  • ডাটা এন্ট্রি
উপরে যে সকল কাজের কথা বলা হয়েছে এ সকল কাজ সহ এর পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে আপনি এগুলোর মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর অনেক কাজ করে নিতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কি

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায় আমরা তো জানলাম। চলুন এবার   জেনে নেওয়া যাক আউটসোর্সিং কি এ বিষয়ে সম্পর্কে। আপনি যদি আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আউটসোর্সিং কি এটা ভালোভাবে জানতে হবে। মূলত আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি ব্যবসায়িক অনুশীলন পদ্ধতি।

যে পদ্ধতিতে কোম্পানির গুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুলোকে চালানো অথবা পরিচালনা করার জন্য বাহ্যিক সরবরাহ করেদের ব্যবহার করে থাকে। এক কথায় বলে গেলে আউটসোর্সিং বিষয়টি হচ্ছে কোন কোম্পানি তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মচারী ধারে সে সকল কাজগুলো না করে বাহির থেকে কোন যোগ্য ব্যক্তিদের হায়ার করার মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেই আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় আউটসোর্সিং।

বর্তমান সময়ে এসে আউটসোর্সিং কথাটি অনেক বেশি প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। আপনি আউটসোর্সিং শেখার মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কিভাবে আউটসোর্সিং করবেন আউটসোর্সিং এর কাজগুলো কি এবং এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের দিকে পড়ুন। 

আউটসোর্সিং শেখার উপায়

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি আউটসোর্সিং কাকে বলে এবং আউটসোর্সিং এর কাজ সম্পর্কে। আপনি যদি আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জানার দরকার আছে আউটসোর্সিং শেখার উপায় গুলো। অনেকেই জানিনা আউটসোর্সিং কিভাবে করতে হয়। আউটসোর্সিং শেখার বিষয়টা অনেকটাই প্রায় ফ্রিল্যান্সিং শেখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

আউটসোর্সিং কে ধরা হয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে এছাড়াও উপরে আমরা যে সকল কাজের বিষয়বস্তু নিয়ে জানান সেগুলো একটা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এজন্য আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন বাফারেন্সিং এর সকল বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে আপনি খুব সহজে যে কোন কোম্পানির আওতায় আউটসোর্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে আপনি আউটসোর্সিং শিখবেন কিভাবে। মূলত কেউ যদি মনে করে থাকে নিজেকে একজন দক্ষ ফিরিয়াঞ্চার অথবা আউটসোর হিসেবে গড়ে তুলবে সে ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় পর্যন্ত সময় নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আপনি যদি আউটস্টোর্সিং শিখতে চান তাহলে আমরা আপনাকে দুই ভাবে আউটসোর্সিং শিখতে বলবো।

প্রথমত আপনি বেসিক ধারণা নেওয়ার জন্য ইউটিউব এ ঘাটাঘাটি করতে পারেন। যে বিষয় নিয়ে আপনার স্বীকার আগ্রহ আছে সে বিষয়ে সম্পর্কে ইউটিউবে সার্চ নিয়ে প্রচুর পরিমাণ টিউটোরিয়াল অনলাইন ক্লাস ভিডিও দেখতে পারেন। এগুলো দেখার মাধ্যমে বেসিক ধারণাগুলো আপনি অনেকটাই পেয়ে যাবেন। তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো হয় যে আপনি যদি ইউটিউব দেখে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না।

তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা এবং বায়ার থেকে অর্ডার নেওয়ার মতো যোগ্যতাগুলো তৈরি হবে না। এজন্য আপনি যদি একজন সফল আউটসোর হতে চান তাহলে আউটসোর্সিং শেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো কোন আইডি সেন্টারে গিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে কোর্স করতে হবে। বর্তমান সময়ে এসে বাংলাদেশে আইটি সেন্টারের সংখ্যা অনেক বেশি।

এজন্য আপনাকে বুঝে শুনে একটা ভালো আইটেল সেন্টার খোঁজ করতে হবে এবং সেখানকার ট্রেনার জন্য অবশ্যই ভালো মানের হয় এবং সার্ভিস যেন ভালো দিয়ে থাকে। এভাবে আপনি একজন অভিজ্ঞ ট্রেনার এর কাছে আউটসোর্সিং শিখতে পারেন।

আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় সাইট কোনটি

আমি আশা করছি এতক্ষণ নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায়। আপনি যদি আউটসোর্সিং বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কোন সাইটগুলো থেকে কাজ করে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন অথবা কাজের অর্ডার নিতে পারবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে এখন জানাবো।
multiplebd-আউটসোর্সিং- এর -কাজ -গুলো- কি -কি-আউটসোর্সিং- শেখার- উপায়
চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে। যে সাইট গুলোতে আপনি কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস অথবা জনপ্রিয় সাইটের কথা যদি বলতে হয় তাহলে প্রথমেই নাম চলে আসবে ফাইবারের। এছাড়াও ফাইবার বাদেও আরো অনেক জনপ্রিয়সাইড রয়েছে যেগুলোতে আপনি কাজ করার মাধ্যমে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এমন কিছু সাইটগুলো হচ্ছেঃ
  • ফাইভার (Fiverr.com)
  • গুরু (Guru.Com)
  • কেওয়ার্ক (Kwork.Com)
  • আপওয়ার্ক (Upwork.com
  • টপটল (Toptal.Com)
  • ফ্রিল্যান্সার ডটকম (freelancer.com)

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

প্রত্যেকটা কাজের কিছু সুবিধা এবং কিছু অসুবিধা থাকে। এজন্য আউটসোর্সিং এর ও কিছু অসুবিধা এবং সুবিধার দিক রয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায়। বিশ্বের অনেক দেশের মতোই আমাদের বাংলাদেশেও আউটসোর্সিং সেক্টরে দারুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সংস্থা বা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষিত যুবকদের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করার চেষ্টা করেছে। চলুন তাহলে কথা না বারে জেনে আসা যাক আউটসোর্সিং এর সুবিধা এবং অসুবিধার দিকগুলো।

সুবিধা 
  • আপনি যদি একজন আউটসোর হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে কোম্পানির আউটসোর্সিং করছেন এই কোম্পানির কাজের পাশাপাশি আপনি অবসর সময়ে বাজে কোন সময় আরেকটি কোম্পানিতে কাজ করার চেষ্টা করতে পারবেন। এতে করে বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর কাজগুলো বারে বারে করার মাধ্যমে আপনার নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি একজন দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।
  • আউটসোর্সিং কাজ করার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে।
  • আপনি আউটসোর্সিং করার পাশাপাশি আপনার নিজের লেখাপড়াও চালিয়ে নিতে পারবেন।
  • আউটসোর্সিং এর কাজ আপনি বাড়িতে বসে থেকে খুব সহজেই করতে পারবেন।
  • আপনি যদি একজন ভালো মানের আউটসোর্সার হতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি আউটসোর্সিং করে অনেক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • নির্ধারিত সময় বেঁধে অথবা চকবাজার টাইম মেইনটেইন করে আউটসোসিংয়ের কাজ করতে হয় না ।
  • আপনার ইচ্ছা স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনি যেকোনো সময়ই আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন।
  • আউটসোর্সিং করার জন্য আপনার কোন নির্দিষ্ট রুম অথবা অফিসের দরকার হবেনা।
  • আউটসোর্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে স্যার বসদের কোন রকমের বকা শুনতে হয় না। অর্থাৎ কোন ধরনের ঝাড়ি খাওয়ার সুযোগ নেই।
  • আপনি যদি একজন ভালো দক্ষ মানের আউটসোর্সার হতে পারেন তাহলে আপনি হাই ডিমান্ডের প্রজেক্ট করার মাধ্যমে হাই লেভেলের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • আউটসোর্সিং এর এতগুলো সুবিধা থাকার পাশাপাশিও আছে কিছু অসুবিধা। তবে অসুবিধার দিকে তুলনায় সুবিধাগুলো অনেক বেশি। চলুন তাহলে অসুবিধার দিকগুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
অসুবিধা 
  • প্রথম অবস্থায় আউটসোর্সিং এর কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় লাগে। এবং বায়ারকে খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়।
  • আপনি যদি আউটসোর্সিং এর কাজে সুদক্ষ্যবান না হন তাহলে আপনার কাজটি যদি অযোগ্য হয় তাহলে এক্ষেত্রে পেমেন্টের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
  • আউটসোর্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় যিনি কাজ দিয়ে থাকেন তাকে এ কাজটি করানোর জন্য একটা হাইড ডিমান্ডেড ডলার ব্যয় করতে হয়।
  • বিভিন্ন সময় আউটসোর্সিং এর কাজে পেমেন্টের সমস্যা হতে পারে।
  • অনেক সময় আবার সঠিক সময়ে যদি কাজগুলো জমা দেওয়া না হয় তাহলে এক্ষেত্রে ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস এ আইডি বা প্রোফাইলের রেটিং কমে যেতে পারে।

আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি।যে বিষয় সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। আর এতক্ষণ নিশ্চয়ই আপনি জেনে গিয়েছেন আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায়। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর পার্থক্য।
  • ফ্রিল্যান্সিং যাত্রাটি শুরু হয় ১৯৯৮ সালে এবং যেটা শুরু হয়েছিল GURU নামক একটা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে। অপরদিকে ১৯৮৯ সালের দিকে এসে সর্বপ্রথম উৎপত্তি করা হয় বা উদ্ভব হয়েছিল আউটসোর্সিং শব্দটি। যাকে দেখা হয়েছিল প্রথম কোন একটি বিজনেস স্ট্রাটেজি হিসেবে।
  • আউটসোর্সিং বিষয়টা হচ্ছে out বা বাইরের কোনো উৎস থেকে কাজ করে আনা। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ফ্রি অথবা মুক্ত ভাবে নিজের কোন কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে যখন আপনি নিজের ইচ্ছামত কাজ সম্পন্ন করে তার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করলেন তখন তাকে বলা হবে ফ্রিল্যান্সিং। অপরদিকে একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে যখন আপনি কোন কাজ করে নিবেন এবং সেই কাজের বিনিময়ে তাকে অর্থ দিয়ে এই অর্থের বিনিময়ে আপনার এই কাজ হাসিল করার পদ্ধতি হলো আউটসোর্সিং।
  • আউটসোর্সিং এর জন্য কোম্পানিগুলো তাদের প্রয়োজনীয় লোকবল মার্কেটপ্লেস অথবা এর বাইরে থেকে ভাড়া করে থাকে। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে একটা চুক্তির ভিত্তিতে কোম্পানির আন্ডারে কাজ করে।
  • ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করতে পারে যখন খুশি তখন কাজ করে এটা নির্দিষ্ট টাইম এর ভেতরে কাজ জমা দিতে পারলেই তাদের কাজ হয়ে গেল। সময় মত কাজ জমা দিতে পারলে টাকা পাই না হলে টাকা পাইনা। অন্যদিকে একজন আউটসোর্স ঠিকাদার একটা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তার প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে কাজ করে নেই তা এবং তা অস্থায়ীভাবে।

আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট মেথড?

আপনি যদি একজন আউটসোর্সার হতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে। যার মাধ্যমে আপনি আর্টসোসিং করে আপনার টাকা গুলো নিবেন। এজন্য আপনার সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এখন জানাবো আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট সম্পর্কে। আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট মেথডগুলো হলঃ
multiplebd-আউটসোর্সিং- এর -কাজ -গুলো- কি -কি-আউটসোর্সিং- শেখার- উপায়
  • payonner
  • EFT
  • Paypal
  • Bank account ( credit and debit card)
  • Google pay
  • wire transfer
এগুলোর পাশাপাশি আউটসোসিংয়ের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেট ওয়ে আছে যেগুলোর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।

শেষ কিছু কথা 

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি-আউটসোর্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আপনি বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোথাও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।

আপনাদের উৎসাহ আমাদেরকে মোটিভেট করে আপনাদের সামনে নতুন নতুন বিষয় উপস্থাপন করতে।  আর হ্যাঁ, আপনি যদি এ সমস্ত তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের এইwww.multiplebd.com ওয়েবসাইটে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url