দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা
হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম জানতে চাপ দিনআপনি কি দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা জানতে
আগ্রহী ? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেলে আলোচনা
করা হয়েছে দেশি মুরগির ডিম নিয়ে বিস্তারিত। এছাড়াও আজকের আর্টিকেল পড়লে
আপনি আরো জানতে পেরে যাবেন দেশি মুরগির ডিমের অপকারিতা সম্পর্কেও।
অনেকের আবার দেশি মুরগির ডিমের এলার্জি থাকতে পারে তাই প্রশ্ন করেন যে দেশের
অ্যালার্জি হবে কিনা। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত জেনে আসা যাক
দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা
ভূমিকা
বিভিন্ন সময় রোগী অসুস্থ হয়ে অথবা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য শ্রীচক্র পরামর্শ
দিন দেশি মুরগির ডিম খেতে। কারণ দেশি মুরগির ডিমের অনেক উপকারি দিক আছে। কিন্তু
অনেকেই জানে না দেশি মুরগির ডিমের সকল উপকারী দিকগুলো। তাই আজকের আর্টিকেলটি
পড়লে আপনি জেনে যাবেন দেশি মুরগির ডিমের সকল উপকারীর দিক সহ।
দেশি মুরগির ডিমে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং দেশি মুরগির ডিমের অপকারী
দিক সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই অবশ্যই আপনার অজানা এই তথ্যগুলো
জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের
উপকারিতা। চলুন তাহলে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক দেশী মুরগীর ডিম খেলে এলার্জি আছে
কিনা এ বিষয় সম্পর্কে। দেশি মুরগির ডিম খেতে আমরা সকলেই পছন্দ করি। কিন্তু অনেক
সময় মনে প্রশ্ন জাগে যে দেশি মুরগির ডিম খেলে এলার্জি হবে কিনা।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে এখন আমরা জানিয়ে দিব।
সাধারণত দেশি মুরগির ডিমের কোন এলার্জি নেই। তবে দেশি মুরগির ডিম নিয়ে
আপনার এলার্জি আছে কিনা এটা যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে দেশি
মুরগির ডিম খেয়ে দেখতে হবে। খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে অ্যালার্জির লক্ষণ গুলো
দেখা মিলে ।
তাহলে বুঝতে হবে দেশের মধ্যে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে। আর যদি লক্ষণ গুলো প্রকাশ
না পাই তাহলে বুঝতে হবে দেশী মুরগির ডিমের আপনার কোন ধরনের এলার্জি নেই।
নিঃসন্দেহে আপনি দেশি মুরগির ডিম খেতে পারেন। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ডিমের
অ্যালার্জি কিন্তু একটা গরুতর বিষয়। যদি আপনার কিংবা আপনার সন্তানের দেশি মুরগির
ডিম অ্যালার্জি হয় ।
তাহলে অবশ্যই দেশি মুরগির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আশা করছি আপনি উত্তর পেয়ে গেছেন যে দেশি মুরগির ডিম খেলে যে হবে কিনা। ডিম
ছাড়া এলার্জি হচ্ছে কিনা এই বিষয়টা অনেকে বুঝতে পারে না। তাই আপনার সুবিধার্থে
আমরা এখন জানিয়ে দিব কি কি লক্ষণ প্রকাশ পেলে বুঝবেন যে টিমে আপনার এলার্জি আছে।
এলার্জির লক্ষণ গুলো হল -
- ডিম থেকে যদি আপনি এলার্জি হয় তাহলে ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথা সহ মাথা ধরা সমস্যা সৃষ্টি হবে।
- এলার্জি জড়িত কারণে অনেক সময় চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় যেমন -চোখে চুলকানো চোখ ফুলে যা চোখ দিয়ে পানি পড়া চোখ লাল হয় ইত্যাদি লক্ষণ। ডিম খাওয়ার পর যদি আপনার এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাহলে বুঝবেন ডিম আপনার এলার্জি আছে।
- ডিম খাওয়ার পরে হঠাৎ যদি আপনার গলা ফুলে যায় কিংবা ব্যথা করে তাহলে বুঝবেন আপনার এলার্জি রয়েছে।
- অনেকের ক্ষেত্রে আবার শরীর সবসময় চুলকাতে থাকে শরীর লাল হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং বুঝে নেবেন ডিবি এলার্জি রয়েছে আপনার।
- অনেক সময় আবার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ফর্সা বের হয় হাতে কাশি এমনকি হাঁপানি সহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা মিলে এলার্জির জনিত কারণে।
- উপরে যে লক্ষণগুলো বলা হয়েছে এগুলো যদি ডিম খাওয়ার পরে আপনার প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই আপনি ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তারপরেও যদি ডিম খেতে আপনার মন চায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খেতে পারেন। ডিম খেলে সাধারণত এলার্জি হয় না তবে যাদের অ্যাজমা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি সমস্যা বেশি হয়।
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা
আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাচ্ছিলাম দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি
মুরগির ডিমের উপকারিতা। দেশি মুরগির ডিমের এলার্জির বিষয় সম্পর্কে তো আপনি জেনে
গেছেন। তাই এখন আমরা জানবো দেশি মুরগির ডিমের যে সব উপকারি দিক আছে সে বিষয়ে
সম্পর্কে। চলুম তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা যাক।
- এনার্জি বাড়াতে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
- ওজন কমাতে
- হাড় শক্ত ও মজবুত করে
- গর্ভাবস্থায় ডিমের ভূমিকা
- হার্ট ভালো রাখে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে
- দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
- প্রোটিনের উৎস হিসেবে
- ত্বক মস্তিষ্ক ভালো রাখে
- দেহের শক্তি যোগায়
এনার্জি বাড়াতেঃ মানবদেহের এনার্জি বৃদ্ধি করতে ডিমের রয়েছে খুবই
কার্যকরী উপকারী দিক। দেশি মুরগির ডিমের ভেতরে রয়েছে যেটা সাহায্য করবে আমাদের
শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করতে। নিয়মিতভাবে যদি ডিম খাওয়া হয় তাহলে এটা আমাদের
শরীরকে সুস্থ এবং সবার রাখবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ডিমে উপস্থিত আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
উপাদান যেটা খুব সহজেই আমাদের দেহের রক্ত খাওয়া থেকে বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।
যে কারণে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ দেন ডিম খেতে। এজন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ডিন করা উচিত।
কোলেস্টোরে নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ মানবদেহে ভালো এবং খারাপ দুই রকমেরই
কোলেস্টরেল থাকে। ডিম খাওয়া হলে এটা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কে কম করে
এবং ভালো কলেস্টরল বৃদ্ধি করে। এজন্য নিয়মিত করে যদি ডিম খাওয়া হয় তাহলে এটা
আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের কে নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
ওজন কমাতেঃ অনেকে ভেবে থাকেন যে ডিম খাওয়া হলে ওজন বৃদ্ধি পাবে কিন্তু এ
ধারণাটা ঠিক না। ডিম ওজন বৃদ্ধি করার থেকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ডিমের ভেতরে
যে সাদা অংশ রয়েছে সেখানে থাকে প্রচুর প্রোটিন এবং একদমই ফ্যাট থাকেনা। এজন্য
ডিম খাওয়া হলে এটা পেট ভরাতে সাহায্য করবে এবং খাওয়ারের চাহিদাও কম করে এজন্য
ডিম খাওয়া হলে এটা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে। আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে
চিন্তা থাকেন তাহলে আপনি দেশি মুরগির ডিম খেতে পারেন।
হাড় শক্ত ও মজবুত করেঃ আপনি যদি নিয়মিত দেশি মুরগির ডিম খান তাহলে এটা
আপনার হার শক্ত করবে এবং আরে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে নিয়মিত ডিম খাওয়া হলে এটা হাড়ের ব্যথা দূর করে। এছাড়া
ডিমের ভেতরে আছে প্রচুর পুষ্টিগণ যেটা আমাদের হার কি শক্তিশালী এবং মজবুত করবে।
গর্ভাবস্থায় ডিমের ভূমিকাঃ গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্য
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সময়গুলোতে শরীরে পুষ্টি যোগান দিতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ডিম। কারন শিশু জন্মানোর পর মাকে সুস্থ সবল থাকতে হয়।
ডিমে অনেক পুষ্টি রয়েছে তাই ডিম খাওয়া হলে এটা শরীর সুস্থ সকল রাখবে।
হার্ট ভালো রাখেঃ আমাদের দেহের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে
হার্ট। এজন্য হার্ট ভালো রাখা আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিম খাওয়া
হলে এটা আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমন এটা হার্টের রক্ত জমাট বাঁধতে
দিবে না এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে হার্ট ভালো রাখবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ডিমের যতগুলো উপকারীর দিক আছে তার ভিতর এটি অন্যতম।
ডিমের ভেতরে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ভিটামিন ডি সহ আরো অনেক
উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে আপনারা যারা আগে থেকে
ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত আছেন তারা অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিবেন।
দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ বর্তমান সময় এসে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে
সঙ্গে চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকে আছেন যাদের দৃষ্টিশক্তি দিনদিন অবনতি
হচ্ছে। ডিম খাওয়া হলে ডিমের যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
সাহায্য করবে। এজন্য আপনি দেশি মুরগির ডিম খেতে পারেন।
প্রোটিনের উৎস হিসেবেঃ আমাদের শরীরের যদি প্রোটিনের অভাব থাকে তাহলে ডিম
খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে প্রোটিন যোগ করতে করতে ভূমিকা রাখবে। কারণ হলো ডিমের
ভেতরের রয়েছে অনেক পরিমাণে প্রোটিন আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করবে
এবং শরীরে শক্তি যোগাবে।
ত্বক মস্তিষ্ক ভালো রাখেঃ দেশি মুরগির ডিম খাওয়া হলে এটা আমাদের
মস্তিষ্ককেও ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিমের ভেতরে যে পুষ্টিগুণ
রয়েছে এগুলো আমাদের শরীরের উপকার করবে এবং ত্বক করে তুলবে নরম এবং মসৃণ।
দেহের শক্তি যোগায়ঃ আমরা প্রতিদিনের জীবনযাত্রাতে যে কাজগুলো করে থাকি
সেগুলোর জন্য আমাদের শরীরে বিশেষ শক্তি দরকার হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডিম
খাওয়া হলে এটা শরীরের শক্তি যোগান দিবে। এজন্য আমাদের শরীর যদি একটু দুর্বল হয়
তাহলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন নিয়মিতভাবে প্রতিদিন একটি করে সকালের ডিম খেতে।
দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়।
আপনারা যারা বাসা বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করেন তাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর
জানাটা জরুরী। আপনি যদি না জেনে থাকেন দেশি মুরগি কত দিনের ডিম দেয় তাহলে
ঠিকভাবে ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন না। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক দেশি
মুরগি কতদিন ডিম দেয়।
সাধারণত দেশি মুরগি থেকে ডিম পেতে সময় একটু বেশি লাগে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে
আপনার দেশের মুরগিকে খাবার দিতে পারেন এবং মুরগির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন
তাহলে দেখা যাবে যে মুরগির পাঁচ থেকে ছয় মাস বয়সের ভেতর ডিম পাড়া শুরু করে
দিবে। দেশি মুরগি যখন থেকে ডিম পরা শুরু করবে দেখা যাচ্ছে যে একটানা ১৫ থেকে ২০
টি ডিম দিয়ে থাকে।
তারপর কয়েক মাসের জন্য বিরতি দিবে তারপরে আবার একটানা ১৫-২০ বৃষ্টি ডিম দিয়ে
থাকবে। এভাবে একটি দেশি মুরগি সাধারণত ১ বছরে ১৫০ থেকে ১৮০ ডিম দিয়ে থাকে। আপনি
চাইলে ডিম বৃদ্ধি করতে পত্রিকার খাবার বেশি বেশি করে খাওয়াতে পারেন এবং বিভিন্ন
ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
দেশি মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ
আর্টিকেলটি পাওয়ার মাধ্যমে আমরা খুব ভালোভাবে জেনে গেছি দেশি মুরগির ডিমে কি
এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা। দেশি মুরগির ডিম আমরা সকলেই খেয়ে
থাকলেও অনেকে জানে না দেশি মুরগির ডিমে কি কি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। আপনিও যদি
না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ এখন আমরা আলোচনা করব দেশি
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
দেশি মুরগির ডিম অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব
গুরুত্বপূর্ণ। দেশি মুরগি মুক্ত ভাবে বিসরন করার জন্য ভার্বের মুরগির তুলনাতে
দেশের মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি থাকতে পারে। দেশি মুরগির ডিমে যে খনিজ উপাদান
গুলো পাওয়া যায় এগুলো খুব সহজেই আমাদের দাঁত, হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ গুলো হলো।
- ক্যালসিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম
- শর্করা ৩.৫৯ গ্রাম
- কোলেস্টরেল ১৮০ মিলিগ্রাম
- প্রোটিন ১৩.৩ গ্রাম
- ভিটামিন এ ২৯ গ্রাম
- শক্তি ১৭৩ কিলো ক্যালরি
- ভিটামিন এ ২৯ গ্রাম
- লোহা ৬০ মিলিগ্রাম
- স্নেহ ২৬.৫০ গ্রাম
দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
তাই আমরা ভেবেছিরে আজকে রাতকে এই পর্বে এসে আমরা আলোচনা করব দেশি মুরগির খাদ্য
তালিকা সম্পর্কে। আপনি যদি দেশের মুরগি থেকে লাভবান হতে চান অথবা দেশি মুরগি থেকে
বেশি করে ডিম পেতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে হবে।
দেশি মুরগির খাদ্য তালিকাতে আপনি, ৪০% দানাদার খাবার এবং বাকি ৬০ শতাংশ ফিড
খাওয়াতে পারবেন।এছাড়া আপনি গম, চালের খুদ, শস্য দানা এবং ডাল খাওয়াতে পারেন
দানাদার খাদ্য হিসেবে। নিচে দশটি মুরগির জন্য এক মাসের খাবার তালিকা প্রস্তুত করা
হলো।
- ভুট্টার দানা ভাঙ্গা - ৫ কেজি।
- নারকেল ও সরিষার খৈল - ১০০ গ্রাম।
- ডিমের খোসা - ১৫০ গ্রাম
- চাউলের ভাঙ্গা গুড়া - ১০কেজি।
- লবণ ৩০-৩৫ গ্রাম
- শুটকি মাছের গুড়া অথবা ঝিনুকের ভাঙ্গা গুড়া - ১৫০ গ্রাম করে।
- গমভাঙ্গা - ৪ কেজি।
দেশি মুরগির ডিমের অপকারিতা
- দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে গেছি। আপনি যদি দেশি মুরগির ডিম খেতে পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে জানতে হবে এর অপকারীর দিকগুলোও। দেশি মুরগির ডিমের অনেক উপকারী দিক থাকলেও রয়েছে কিছু অপকারী দিয়ে। চলুন তাহলে এগুলো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- দেশি মুরগির ডিম যদি প্রত্যেক দিনে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হয় তাহলে এটা আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কম পরিমাণ ডিম খেতে হবে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় যদি বেশি ডিম খাওয়া হয়ে যায় তাহলে এটা শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণকে বৃদ্ধি করা সম্ভাবনা তৈরি করে।
- যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া একদমই ঠিক হবে না।
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন অতিরিক্ত মাত্রায় যদি ডিম খাওয়া হয় তাহলে এটা হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- এছাড়াও দেশি মুরগির ডিম খাওয়া হলে অনেকের ক্ষেত্রেই আবার এলার্জি সমস্যা হতে পারে। তবে সাধারণত ডিমে খেলে এলার্জি হয় না কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে আবার হতে পারে।
আমি আশা করছি আপনি বুঝতে পেরে গেছেন দেশি মুরগির ডিমের অপকারী দিকগুলো। তবে এর
অপকারী দিকে যে উপকারী দিকগুলোই বেশি রয়েছে। তাই আপনি খুব বেশি পরিমাণে না খেয়ে
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাবেন।
দেশি মুরগির ডিম চেনার উপায়
আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গেছেন দেশি মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা। এমন অনেকে
আছেন যারা দেশে মুরগির ডিম চিনেন না। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে দেশি মুরগির ডিম
ভেবে ফার্মের মুরগির ডিম কিনে আনা হয়।
আপনি তাদের দেশি মুরগির ডিম না চিনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই। এখন আমার
বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো দেশি মুরগির ডিম চেনার উপায়। চলুন তাহলে
বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক দেশি মুরগির ডিম কিভাবে চিনবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে।
প্রথমেই সাধারণত দেশি মুরগি দুই ধরনের হয়ে থাকে। যার ভেতরে একটি হচ্ছে ডেকি আর
অন্যটি হচ্ছে মোরগ।
ডেকি মুরগি থেকে যে ডিম পাওয়া যায় সেটাই হচ্ছে দেশি মুরগির ডিম। দেশি মুরগির
ডিম দেখতে সাধারণত ফার্মের মুরগির ডিমের মত না। দেশি মুরগির ডিম অনেকটাই ছোট এবং
দেখতে ফার্মের মুরগির মতো শতভাগ সাদা হয়না। এটা দেখতে অনেকটাই সাদার উপরে লালটি
ধরণের। দেশি মুরগির ডিম চেনার আর একটু সহজ উপায় হলো দেশি মুরগির ডিমের দাম একটু
বেশি হয়।
দেশি মুরগির ডিম কিছু আকৃতির ডিম লম্বা হয়ে থাকে আবার কিছু আকৃতির ডিম দেখতে গোল
টাইপের হয়ে থাকে। আমি আশা করছি আপনি বুঝতে দেশি মুরগির ডিম কিভাবে চিনবেন। এরপর
থেকে আপনি যখন বাজারে দেশি মুরগির ডিম কিনতে যাবেন তাহলে আপনি এই লক্ষণ গুলো দেখে
বুঝতে পারবেন যে সেটা দেশি মুরগির ডিম কিনা।
মুরগির ডিমে কি কি ভিটামিন থাকে
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে মুরগির জন্য কি কি ভিটামিন
পাওয়া যাবে। তাই আজকের আর্টিকেলের এই পড়বে এসে আমরা বিস্তারিত জানিয়ে দিব
মুরগির ডিমের কি কি ভিটামিন পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু
করা যাক। মুরগির ডিমে অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেটা আনতে স্বাস্থ্যের জন্য
বেশ উপকারী।
মুরগির ডিমের ভেতরে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন ডি,
রেটিনল, ভিটামিন ই, ফোলেট নিয়াসিন,ভিটামিন বি ১২,থিয়ামিন, রাইবোফ্লোভিন
ইত্যাদি সকল উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলছেন যেসব
মুরগি প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার গুলো খুঁজে খুঁজে বের করে এবং সেগুলো
খায় ।
এই ধরনের মুরগিগুলোর ভেতরে বেশি পরিমাণে খনিজ উপাদান, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
এবং ফ্যাট অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এজন্য আপনার স্বাস্থ্যের উপকারের
জন্য প্রতিদিন সকালে অন্তত একটি ডিম আপনি খেতে পারেন। তাহলে এটি আপনার জন্য
অনেক উপকার বয়ে আনবে।
শেষ কিছু কথা
দেশি মুরগির ডিম আমাদের সকলের জন্য বেশ উপকারী। এজন্য আপনি প্রতিদিন সকালে ডিম
খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত পরিমাণ ডিম না খাওয়াই ভালো কারণ আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। আমি আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি
খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কথা বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছিলাম দেশি মুরগির ডিমে কি
এলার্জি আছে-দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।
আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে এসব তথ্য সেবা অন্য সবাইকে পেতে সুযোগ করে দিন। এ
সমস্ত তথ্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url