কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

কোয়েল পাখির ডিমের ১২টি  উপকারিতা জানতে চাপ দিনআপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে। শুধু তাই নয় বরং আজকের আর্টিকেল ঠিক করলে আপনি আরো জানতে পারবেন কোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণ। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

multiplebd-কোয়েল -পাখির -ডিম -পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল- পাখি -পালন -পদ্ধতি

কোয়েল পাখি পালন করে যদি লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে এবং ডিম সংগ্রহ করতে হবে। তাই চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। আপনার অজানা তথ্য জানার জন্য অবশ্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।

ভূমিকা

আপনি যদি বাসা বাড়িতে কয়েল পাখি পালন করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য জরুরি যে কোয়েল পাখি কিভাবে পালন করতে হয় এবং কোন সময় কোয়েল পাখি ডিম দেয়। যে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে। পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন কোয়েল পাখির খাবার, কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত।

কোয়েল পাখির খাবার

আজকে আমরা আলোচনা করব কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। আপনি যদি কোয়েল পাখি পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোয়েল পাখির খাবার সম্পর্কে জানতে হবে। বাকি সবার মত আপনিও যদি কোয়েল পাখির খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন প্রথমেই যেন আসা যাক কোয়েল পাখির খাবার সম্পর্কে।

ডিম কিংবা মাংসের জন্য কোয়েল পাখির খাদ্য যে পুষ্টি থাকতে হবে তা সাধারণত হাঁস কিংবা মুরগি থেকে ভিন্ন রকম হতে পারে। সাধারণত একটি পরিপূর্ণ কোয়েল পাখির প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ গ্রাম করে খাবার খেয়ে থাকে। যেখানে একটি হাস প্রতিদিন খাবার খায় ১৩০ থেকে ১৫০ গ্রাম এবং মুরগি ১১০ থেকে ১২০ গ্রাম খাবার খায়।

সাধারণত কোয়েল পাখির বাচ্চা কিভাবে বাড়ন্ত কোয়েল পাখি অথবা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ড ট্রেশন সাধারণত খুব সহজে বাজারে পাওয়া যাবে না। কোয়েল পাখির বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির রেশন কে তিন ভাগে করা যায় যেমন -
  • স্টাটারঃ কোয়েল পাখির বয়স যখন ০ - ৩ সপ্তাহ এই সময়কে বলা হয় স্ট্যাটার পর্যায়। এই সময়ে এসে প্রতি কেজি খাবারের ভেতর ফোরটিন এবং ক্যালরি এবং দীপকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় যথাক্রমে ২৭ ভাগ এবং ২৮০০ কিলো ক্যালরি।
  • গ্রোয়ারঃ কোয়েল পাখি তো বয়স ০৪-০৫ সাতটা পর্যন্ত সময়কে বলা হয় গ্রোয়ার পর্যায়। এই সময়ে এসেও শতকরা বিপাকীয় ক্যালরি প্রয়োজন হয় ২৮০০ কিলোক্যালোরি এবং প্রোটিন ২৩ ভাগ।
  • লেয়ার বা ব্রিডারঃ কোয়েল পাখির ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে বিক্রি পর্যন্ত সময়কে বলা হয় লেয়ার বা ব্রিডার পর্যায়। এই পর্যায়ে এসে কঠিন প্রয়োজন হয় শতকরা ২২ থেকে ২৪ ভাগ এবং বিপাকীয় ক্যালোরি দরকার হবে ২৭০০ কিলো ক্যালরি।
কোয়েল পাখি যখন ডিম পারা যায় থাকে তখন খাবারে ক্যালসিয়াম দরকার হয় ২.৫ থেকে ৩.০%। তবে হ্যাঁ গরমের সময় যদি এটা ৩.৫% হয় তাহলে ভালো হয়। কোয়েল পাখির প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সময়তে খাবর ট্রেতে দিতে সমস্যা হয় না। কোয়েল পাখির একদমই প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ প্রথম দুই তিন পেপারে যদি খাবার দেয়া হয় তাহলে এটা সবথেকে ভালো।

আপনি কোয়েল পাখির খাবার দেয়ার জন্য প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিটি কোয়েল পাখির জন্য ৫ গ্রাম করে একটা পরিষ্কার-পাত্রী খাবার দিতে পারেন এবং এটা ক্রমান্বয়ে প্রতি সপ্তাহে বৃদ্ধি করতে হবে পাঁচগ্রাম করে। একটা পূর্ণ বয়স্ক কোয়েল পাখিকে দৈনিক আপনি খাবার দিবেন ২০-২৫ গ্রাম।
  • সুষম খাদ্যঃ কোয়েল পাখি যখন বাড়ন্ত অবস্থায় থাকে থেকে শহর শাসন খাদ্যের গুরুত্ব অনেক এজন্য এই সময়ের খাদ্য তালিকা। কারণ শোষণ খাদ্য যদি খাদ্য তালিকাতে রাখা হয় তাহলে খুব সহজে এটা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং এর সাথে সাথে কোয়েল পাখির দেহের জন্য বৃদ্ধি করবে। সুষম খাদ্যগুলোর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত হলো - তিলের খোইল, ঝিনুক, গমভাঙ্গা, খাদ্য লবণ, শুটকি মাছের গোড়া এবং ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স। এই খাবারগুলো আপনি কোয়েল পাখির বয়স অনুযায়ী দিবেন তাহলে এটা খুব সহজে মাংস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • পানির পাত্রঃ কোয়েল পাখির পানির পাত্র অবশ্যই পরিষ্কার হতে হবে। সাধারণত কাপ ড্রিঙ্ক কার অথবা অটোমেটিক নিপল কিংবা মুরগির জন্য ব্যবহৃত স্বাভাবিক পানির পাত্র কোয়েলের জন্য বেশ উপযোগী। যেগুলো বাচ্চা কোয়েল রয়েছে সেগুলোর জন্য ছোট ছোট আকার এবং যেগুলো পরিপূর্ণ করে তার জন্য বড় পাত্র ব্যবহার করতে হবে। পানির জন্য যেন কোয়েল পাখির কোনরকম অসুবিধা না হয় এ বিষয়টি আপনাকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে।

কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ

আপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন আর্টিকেল কি পরে বিস্তারিত জেনে নিন। আপনি যদি সব করে বাসা বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করেন কিংবা খাীমারে কোয়েল পাখি পালন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে কোয়েল পাখির ডিম দেওয়ার সময় হয়েছে।

কোয়েল পাখির আচরণগত কিছু পরিবর্তনঃ
  • কোয়েল পাখি এই সময়ে এসে ঘন ঘন বাসা তৈরি করতে থাকে।
  • কোয়েল পাখির ভিতরে যদি অস্থিরতা বুঝতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে যে কোয়েল পাখির ডিম দিবে।
  • কোয়েল পাখির খাবার খাওয়ার ভেতরে অনেক রকম পরিবর্তন দেখা দিবে।
  • কোয়েল পাখির যখন ডিম দেওয়ার সময় হয় ঠিক সেই সময়ে এসে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে যায়।

কোয়েল পাখি শারীরিক কিছু পরিবর্তনঃ

এই সময়ে এসে কোয়েল পাখির পেটের আকৃতিটা বৃদ্ধি হয়ে যায়।
কোয়েল পাখির বুকের পলক উঠে যায়।
আরেকটি পরিবর্তন হলো কোয়েল পাখি ডিম দেওয়ার সময় এসে পিছনে ডিমের ছিদ্র হয়।

কোয়েল পাখির অন্যান্য কিছু লক্ষণঃ

  • অন্য সময় তুলনাতে বেশি ডাকাডাকি করবে।
  • আশপাশে প্রদীপ খড়কুটো থাকে তাহলে সেটা দিয়ে বাসা তৈরি করবে এবং বাসায় গিয়ে বসবে।তজাপানিজ কোয়েল পাখির ওজন গুলো যখন ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রামের কাছাকাছি হয় তখন বুঝতে হবে ৫-৬ দিনের ভেতরে কোয়েল পাখি ডিম দেবে।

কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

আপনি যদি আপনার বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোয়েল পাখির পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা আপনাকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে। চলন তাহলে শুরু করা যাক। বর্তমান সময়ে এসে কোয়েল পাখি বাড়ানো হচ্ছে অন্যতম একটি লাভজনক ব্যবসা।

এই কোয়েল পাখি দেখতে আকাশ ছোট হলেও এটা কিন্তু অনেক উপকারী। কোয়েল পাখি যদি আপনি ঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অল্প সময়ের ভেতরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। কম খরচ করে কম সময়ের ভেতরে অল্প জায়গাতে আপনি কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। একটা মুরগি পালন করতে যতটুকু জায়গা দরকার হয় ।

সে তুলনাতে একটা মুরগির জায়গাতে আপনি পালন করতে পারবেন ৬ টি কোয়েল পাখি। কোয়েল পাখি থেকে লাভবান হতে হলে আকর্ষণ এবং খাবারসহ রোগ গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। আপনি কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন দুই ভাবে। একটি হচ্ছে খাঁচাতে আরেকটি হচ্ছে ফ্লোরে। যাদের জায়গা কম থাকে তারাও সাধারণত খাঁচা সিস্টেমে কোয়েল পাখি পালন করে।

এতে করে জায়গার পরিমাণ কম দরকার হয়। আলাদাভাবে বাসস্থান তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। ভাই আপনার যদি বাসা বাড়িতে অনেক জায়গা থাকে তাহলে ফ্লোরো করে কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। কোয়েল পাখি যেভাবে পালন করা হোক না কেন অবশ্যই এর সঠিক যত্ন নিতে হবে। আপনি যদি কোয়েল পাখি ডিম থেকে বাচ্চা বের করতে চান।

তাহলে এ ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার পরে এই সময় সঠিক তার দিতে হবে। গরমের সময় এটা দরকার হয় দুই সপ্তাহ এবং শীতকালীন সময় তিন থেকে চার সপ্তাহ তার প্রয়োজন হয়। আমি আশা করছি আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পাড়ে

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পাড়ে। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিব কোয়েল পাখির বয়স কত দিন হলে ডিম দিতে শুরু করবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত হবে জেনে আসা যাক। হাস কিংবা মুরগির মত কোয়েল পাখিরও ডিম দেয়ার জন্য একটা সময় আছে।

একটা কোয়েল পাখির বাচ্চা যখন ডিম থেকে বের হয় সেই সময় থেকে ঠিক ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ডিম দিয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার ৫০ থেকে ৫৫ দিনেও ডিম পাড়তে পারে। সাধারণত কোয়েল পাখির খাওয়ার কি পরিমান দেওয়া হয় এবং সেখানে পুষ্টিগুণ কি পর্যায়ে থাকে এর উপর ভিত্তি করে কোন কোন কোয়েল পাখি আবার ডিম দিতে সময় নেয় ৫৫ থেকে ৬০ দিন।

কোয়েল পাখির জাত

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলের শুরুতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কোয়েল পাখি পালন করার পূর্বে অনেকেই কোয়েল পাখির জাত নিয়ে চিন্তায় থাকে। কারণ কয়েল পাখি পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোয়েল পাখির জাত নির্বাচন করা জরুরী।

আপনি যদি কোয়েল পাখির জাত সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এবার কোয়েল পাখির জাত সম্পর্কে জেনে আসা যাক। প্রথমেই বলে রাখি যে এ পর্যন্ত এসে পৃথিবীতে মোট কোয়েল পাখির জাত পাওয়া যায় ১৮ টি জাতের। ডিম এবং মাংস উৎপাদনের জন্য কোয়েল পাখির ভিন্ন ভিন্ন জাত রয়েছে। এ সকল জাত গোলের ভেতরে জাপানি স্কয়েল সবথেকে বেশি পালিত হয়।

আর এ জাত কিংবা উপজাত ভেদে কোয়েল পাখির রং, ওজন, আকৃতি কিংবা ডিম পাড়ার ভিত্তি ভিন্ন রকম হয়ে। জাপানিজ কোয়েলগুলো সাধারণত দেখতে ছোট হয় এবং এদের পা খাটো হয়ে থাকে ঠোঁটগুলো ছোট হয়। ডিমের খোসার রং হয়ে থাকে হালকা বাদামের রং এর মত।

বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা

আপনার শিশু বাচ্চাকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানোর কথা ভাবছেন ? কিংবা চিন্তিত আছেন যে বাচ্চাকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো যাবে কিনা তাহলে আজকের আর্টিকেলের অংশটি পড়ে আপনার জন্য জরুরী। কারণ আজকে আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
multiplebd-কোয়েল -পাখির -ডিম -পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল- পাখি -পালন -পদ্ধতি
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ছোট বাচ্চাদেরকে যদি নিয়মিত দুই থেকে তিনটি ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো হয় তাহলে এটা তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। কোয়েল পাখির ডিমে খাওয়া হল এটা শরীরে এনার্জি নিয়ে আসবে। এজন্য আপনার বাচ্চা শরীরের রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন।
  • বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়ঃ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। আবার এমন অনেকে রয়েছেন যারা শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ করার জন্য ফার্মেসিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন নিয়ে আসে। কিন্তু ওই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চাকে যদি প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো হয় তাহলে এটা খুব সহজেই বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনারা সন্তানকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন
  • হাড় ও পেশি মজবুত করেঃ বয়স্কদের তুলনা তো সাধারণত শিশু বাচ্চাদের পেশী এবং হাড় একটু দুর্বল থাকে। এজন্য আপনি শিশু বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন। এতে করে তাদের পেশী এবং হার খুব সহজে মজবুত হবে। এর কারণ হলো কোয়েল পাখির ডিমে আছে অনেক পরিমাণে যৌগিক পুষ্টি উপাদান সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। যেটা আপনার শিশুর হাট মজবুত করার পাশাপাশি পেশীও স্ট্রং করতে সাহায্য করবে।
  • দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করেঃ আপনি যদি আপনার সন্তানের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি করতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন। কোয়েল পাখির ডিমের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরান পোষ্টটি এবং ভিটামিন এ সহ রয়েছে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটা সরাসরি সাহায্য করে বাচ্চাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করতে।

কোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণ

বিভিন্ন সময় দেখা যায় খাবার পর্যায় অনেক পরিশ্রম করেও কোয়েল পাখির ডিম দিচ্ছে না। আপনিও যদি কোয়েল পাখির ডিম না দেওয়ার এ সকল কারণ জানতে চান তাহলে চলুন জেনে আসা যাক। আর এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। কোয়েল পাখি ডিম না দেওয়ার কারণগুলো হলোঃ
  • দৈহিক ওজনঃ কোয়েল পাখির ওজন সাধারণত যখন ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রাম হয় সেই সময় ডিম দিয়ে থাকে। সেজন্য কোয়েল পাখির ওজন পর্যাপ্ত পরিমাণের না হলে তারা ডিম দিতে পারেনা। এজন্য কোয়েল পাখির ডিম না দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে পাখির ওজন।
  • অসময়ে কোয়েল পাখি ক্রয়ঃ আপনি যদি কোয়েল পাখি অসময়ে ক্রয় করে থাকেন তাহলে সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম দেবে না। অর্থাৎ শীতকালে সাধারণত কোয়েল পাখির দৈহিক বৃদ্ধি এবং ডিম দেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গরমকালীন সময়ে এরা প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সংগ্রাম করে এজন্য এই ডিম দেওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
  • হরমোন জনিত সমস্যাঃ আপনার পালিত কয়েল পাখির যদি ভিটামিন জাতীয় সমস্যা ভোকে তাহলে কোয়েল পাখির হরমোন সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর যে কারণে এরা ডিম দেওয়ার উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলে এবং ডিম দিতে খুব বেশি সময় নিয়ে থাকে।কোন কোন সময় ৭০ থেকে ৯০ দিন সময় লেগে যায়।
  • অনেক সময় আবার যখন আমরা কোয়েল পাখি বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসি তখন বিক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ দিনের কোয়েল পাখির বাচ্চাকে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের বাচ্চা হিসেবে বিক্রি করে। এজন্য এসব ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ওজন যদি ঠিক থাকে তাহলে উপযুক্ত বয়স না হওয়ার কারণে ডিম দিতে পারে না।

কোয়েল পাখি বেশি ডিম পাড়ার উপায়

আমরা তো জানলাম কোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণ। এখন আমরা জানবো কোয়েল পাখি বেশি ডিম পাড়ার উপায় সম্পর্কে। আপনারা যারা বাসা বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করেন তাদের মনে এ প্রশ্নটা তো আগে যে কোয়েল পাখি কিভাবে বেশি ডিম পারবে। আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো কোয়েল পাখি বেশি ডিপার উপায়গুলো।
  • কোয়েল পাখির সাধারণত সুষম খাদ্যের অভাব হলে ডিম দেওয়া ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য বেশি ডিম পেতে কোয়েল পাখিকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।
  • হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য দরকার হলে হরমোন উৎপাদন করে যে সকল ওষুধ রয়েছে সেগুলো খাওয়ানো উচিত যেমন - জিংক ভিট।
  • আপনার পালিত কোয়েল পাখিরে ঠান্ডা এবং আরামদায়ক পরিবেশে পালন করুন।
  • কোয়েল পাখির দেহে যেন ভিটামিনের অভাব না থাকে যেন অভাব দেখা দিলে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে ভিটামিন টু (B2)।
  • খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি 

কোয়েল পাখি পালন করার অন্যতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে খাঁচায় পালন করা। মূলত যাদের জায়গা কম থাকে তারা এই খাঁচাতে কোয়েল পাখি পালন করে। কোয়েল পাখি পালন করার সুবিধাও রয়েছে। অনেকেই জানে না কিভাবে খাজায় কোয়েল পাখি পালন করতে হয়। চলুন তাহলে জেনে আসা খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে।

কোয়েল পাখি পালন করার জন্য অনেক ধরনের খাচাও রয়েছে যেমন- বিল্ডাড খাঁচা, লেয়ার খাঁচা, বিয়ারিং খাঁচা, বর্ডার খাঁচা ইত্যাদি। মূলত কোয়েল পাখির খাচা কেমন হবে এটা নির্ভর করে কোয়েল পাখির পরিমাপের উপরে। প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক কোয়েল পাখির জন্য খাঁচা দরকার হবে ১৫০ বর্গ সেন্টিমিটার। আর মেঝেতে পালন করার জন্য ২৫০ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা দরকার।

খাঁচাতে যদি কোয়েল পাখি পালন করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে কোয়েল পাখির বয়স যখন তিন সপ্তাহ হবে তখন খাঁচার জালের ফাঁক ৩ মি.মি *৩ মি.মি এবং এক সপ্তাহ পরে ৫ মি.মি * ৫ মি.মি আঁকার প্রয়োজন। খাঁচাতে কোয়েল পাখি পালন করার জন্য খাঁচা এমন ভাবে তৈরি করবেন যাতে খাঁচা একপাশ দিয়ে পানির পাত্র এবং আরেক পাশে খাবার পাত্র রাখা যায়। 

এতে করে কোয়েল পাখি পানি এবং খাবার খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারবে। আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা

প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে পেরে গেছেন কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। কিন্তু কোয়েল পাখি পালন করার সময় বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। এজন্য আপনাকে কোয়েল পাখির রোগ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আজকে আর্টিকেলের এবং শেষে আপনাকে জানিয়ে দিব কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।
  • ডিজিস রোগঃ কোয়েল পাখির যতগুলো রোগ আছে তার ভিতরে একটি হচ্ছে ডিসিস রোগ। সাধারণত কোয়েল পাখি যদি দূষিত খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে এই রোগটি দেখা দেয়। কোয়েল পাখি সাধারণত যখন এর আগে আক্রান্ত হয় তখন পাকা ঝুলে যায়। এছাড়াও চোখ আংশিকভাবে বন্ধ রাখে। এজন্য চিকিৎসা হিসেবে খেয়াল রাখতে হবে যেন দূষিত খাবার না খায়।
  • রক্ত আমাশয়ঃ সাধারণত বাচ্চা কোয়েল পাখিদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে এটা মুরগির মতো খুব মারাত্মক আকার হয় না। সঠিকভাবে চিকিৎসা মিলে এ রোগে আক্রান্ত পাখিগুলোর বেঁচে যাবে। তাকে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে দুর্বল হবে এবং ঝিমাবে। এছাড়াও পায়খানা দিয়ে রক্ত বের হবে। কোয়েল পাখির রোগ দেখা দিলে অবশ্য চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে ।
  • বর্ডার নিউমোনিয়াঃ ডিম থেকে যখন কোয়েল পাখির বাচ্চা উঠানো হয় সেই সময়ে কৃত্রিম উপায়ে যদি পর্যাপ্ত তাপ না দেওয়া হয় তাহলে এই রোগ দেখা দেয়। আপনার কোয়েল পাখি যদি খাওয়া ছেড়ে দেয়, চোখ দিয়ে পানি ঝরে, শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হয় এবং চোখ লাল হয় চোখের পাতা ফুলে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোয়েল পাখি এর ওকে আক্রান্ত।
  • কলিসেপ্টিসোমিয়াঃ সকল বয়সে কোয়েল পাখির ভেতরে এ রোগ দেখা যায়। সাধারণত এই রোগ হলে পাখির শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে যার কারণে এরক্তি খুব মারাত্মক। কোয়েল পাখি যখন এরোগে আক্রান্ত হবে তখন হা করে থাকে এবং মুখে ফেনা উঠতে থাকে। তাকে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
  • আপনার কোয়েল পাখির ভেতরে যদি ওপরে বর্ণিত এই সকল আচরণ গুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই আপনি প্রাণীর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া আক্রান্ত পাখিগুলোকে আলাদা করে ফেলুন যাতে করে সুস্থ পাখি গুলো ভালো থাকে। এছাড়াও কোয়েল পাখির বাসস্থান এবং খাওয়ার পাত্র সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায়

অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায়। মূলত কোয়েল পাখির খাবারের উপর নির্ভর করে দৈহিক বৃদ্ধি এবং ডিম দেওয়ার বিষয়টা। আপনি যদি বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোয়েল পাখির খাবার সম্পর্কে। চলুন তাহলে জিনার সাথে কোয়েল পাখি এ কি কি খাবার খায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে।
multiplebd-কোয়েল -পাখির -ডিম -পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল- পাখি -পালন -পদ্ধতি
একটি কোয়েল পাখি সাধারণত দৈনিক খাবার খাবে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম করে। কোয়েল পাখির সঠিক বাড়তি জন্য অবশ্যই ভিটামিন এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খুব বেশি দরকার। সাধারণত একটা মুরগির যে সকল খাবার খেয়ে থাকে কোয়েল পাখির প্রায় সে ধরনের খাবার দেওয়া যেতে পারে। বাড়িতে যদি আপনার অনেকগুলো কয়েল পাখি থাকে ।

তাহলে গম কিংবা ভুট্টা ভাঙ্গিয়ে কোয়েল পাখিকে দিতে পারেন। এছাড়াও বাজারে অনেক ধরনের পশু খাদ্য হিসেবে মিক্সার খাদ্য রয়েছে যেগুলো আপনি কয়েল পাখিকে খাওয়াতে পারেন। সাধারণত কোয়েল পাখিকে তিন ধরনের খাবার দেওয়া হয় যেমন - স্ট্যাটার, গ্রোয়ার এবং লেয়ার। আপনি যদি এ সকল খাবার তৈরি করতে যান তাহলে আপনাকে যে সকল উপাদান নিতে হবে -
  • ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স
  • গম ভাঙ্গা অথবা ভুট্টা ভাঙ্গা
  • ঝিনুকের গোড়া
  • লবণ
  • তিলের খৈল
  • ঝিনুকের গোড়া
  • শুটকি মাছের খৈল

উপরের যে সকল উপাদান গুলোর কথা বলা হয়েছে আপনি বাসা বাড়িতে এগুলো মিশ্রণ তৈরি করে খাবার বানাতে পারবেন। কোয়েল পাখির বয়স যখন ০ থেকে ২২ দিন তখন আপনাকে দিতে হবে স্টার্টার খাবার। কোয়েল পাখির বয়স বৃদ্ধি হয়ে যখন ২৩ থেকে ৫৬ দিন হবে তখন দিবেন গ্রোয়ার খাবার। এবং লেয়ার খাবার দিবেন ৫৭ দিন থেকে বিক্রি করেন সময় পর্যন্ত। 

কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা

কোয়েল পাখি পালন করার পূর্বে মাথায় প্রশ্ন জাগে যে কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা রয়েছে কিনা। এজন্য কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। বর্তমানে কোয়েল পাখি হলে অন্যতম একটি লাভবান ব্যবসা। এজন্য আপনি কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা গুলো-
  • হাঁস কিংবা মুরগি খামার করতে যেখানে অনেক বেশি টাকা খরচ হয় সেখানে খুব কম বুঝিতেই আপনি কোয়েল পাখির খামার শুরু করতে পারবেন।
  • আজ অথবা মুরগি থেকে ডিম পাওয়ার জন্য যেখানে সময় লাগে ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ সেখানে আপনি কোয়েল পাখির ডিম পেতে পাবেন মাত্র ৬ থেকে ৭সপ্তাহ  বয়সে। 
  • কোয়েল পাখির ডিম খেতে খুব পুষ্টিকর  করো এবং সুস্বাদু। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার সাধন করে। 
  • আপনি যদি একটি উন্নত প্রজাতির কয়েল পাখি পালন করেন তাহলে এক বছরে ২৫০-৩০০ ৩০০টি ডিম দিতে পারে যে কারণে কোয়েল পাখি পালন করে আমি খুব সহজে লাভবান হবেন। 
  • কোয়েল পাখি থেকে আপনি মাংস উৎপাদন করে সেটা ওর বাণিজ্যিকভাবেও বাজার করতে পারবেন। 
  • কোয়েল পাখির রোগ জীবাণু কম থাকে বলে চিকিৎসার জন্য বাড়তি টাকা খরচ করতে হয় না। 
  • কোয়েল পাখি আকারে ছোট হয় বলে পালন করার জন্য খুব বেশি জায়গা প্রয়োজন হয় না। এজন্য আপনি ছোট আকারে খাঁচাতে অথবা ফ্লোরে কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। 
  • একটা মুরগি পালন করার জায়গাতে আপনি পাঁচ থেকে ছয়টি কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। যে কারণে আপনি অল্প জায়গাতেই বেশি পরিমাণে কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। 
  • আপনি যদি কোয়েল পাখি পালন করেন তাহলে এটা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নাই ১৭ থেকে ১৮ দিন। আর একটা কোয়েল পাখির বাচ্চা থেকে পরিণত কোয়েলের রূপান্তরিত হতে সময় নিবে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ। যে কারণে খুব অল্প সময়ে আপনি বাচ্চাও বিক্রি করতে পারবেন। 

আমাদের মতামত

কোয়েল পাখি পালন করা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ এটা খুব অল্প সময়ের ভেতরেই ডিম দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের মতামত থাকবে যে কোয়েল পাখি পালন করার জন্য অবশ্যই আপনি কোয়েল পাখির জাত সম্পর্কে জেনে নিবেন। না হলে আপনি যদি পুরুষ কোয়েল পাখি পালন করেন তাহলে ভালো লাভ করতে পারবেন না।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে  আমরা আলোচনা করেছিলাম কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। আর হ্যাঁ সকল তথ্য সেবা নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url