কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
কোয়েল পাখির ডিমের ১২টি উপকারিতা জানতে চাপ দিনআপনি যদি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে। শুধু তাই নয় বরং আজকের আর্টিকেল ঠিক করলে আপনি আরো জানতে পারবেন কোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণ। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোয়েল পাখি পালন করে যদি লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে এবং ডিম সংগ্রহ করতে হবে। তাই চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ - কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি। আপনার অজানা তথ্য জানার জন্য অবশ্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।
ভূমিকা
কোয়েল পাখির খাবার
- স্টাটারঃ কোয়েল পাখির বয়স যখন ০ - ৩ সপ্তাহ এই সময়কে বলা হয় স্ট্যাটার পর্যায়। এই সময়ে এসে প্রতি কেজি খাবারের ভেতর ফোরটিন এবং ক্যালরি এবং দীপকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় যথাক্রমে ২৭ ভাগ এবং ২৮০০ কিলো ক্যালরি।
- গ্রোয়ারঃ কোয়েল পাখি তো বয়স ০৪-০৫ সাতটা পর্যন্ত সময়কে বলা হয় গ্রোয়ার পর্যায়। এই সময়ে এসেও শতকরা বিপাকীয় ক্যালরি প্রয়োজন হয় ২৮০০ কিলোক্যালোরি এবং প্রোটিন ২৩ ভাগ।
- লেয়ার বা ব্রিডারঃ কোয়েল পাখির ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে বিক্রি পর্যন্ত সময়কে বলা হয় লেয়ার বা ব্রিডার পর্যায়। এই পর্যায়ে এসে কঠিন প্রয়োজন হয় শতকরা ২২ থেকে ২৪ ভাগ এবং বিপাকীয় ক্যালোরি দরকার হবে ২৭০০ কিলো ক্যালরি।
- সুষম খাদ্যঃ কোয়েল পাখি যখন বাড়ন্ত অবস্থায় থাকে থেকে শহর শাসন খাদ্যের গুরুত্ব অনেক এজন্য এই সময়ের খাদ্য তালিকা। কারণ শোষণ খাদ্য যদি খাদ্য তালিকাতে রাখা হয় তাহলে খুব সহজে এটা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং এর সাথে সাথে কোয়েল পাখির দেহের জন্য বৃদ্ধি করবে। সুষম খাদ্যগুলোর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত হলো - তিলের খোইল, ঝিনুক, গমভাঙ্গা, খাদ্য লবণ, শুটকি মাছের গোড়া এবং ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স। এই খাবারগুলো আপনি কোয়েল পাখির বয়স অনুযায়ী দিবেন তাহলে এটা খুব সহজে মাংস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
- পানির পাত্রঃ কোয়েল পাখির পানির পাত্র অবশ্যই পরিষ্কার হতে হবে। সাধারণত কাপ ড্রিঙ্ক কার অথবা অটোমেটিক নিপল কিংবা মুরগির জন্য ব্যবহৃত স্বাভাবিক পানির পাত্র কোয়েলের জন্য বেশ উপযোগী। যেগুলো বাচ্চা কোয়েল রয়েছে সেগুলোর জন্য ছোট ছোট আকার এবং যেগুলো পরিপূর্ণ করে তার জন্য বড় পাত্র ব্যবহার করতে হবে। পানির জন্য যেন কোয়েল পাখির কোনরকম অসুবিধা না হয় এ বিষয়টি আপনাকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে।
কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ
- কোয়েল পাখি এই সময়ে এসে ঘন ঘন বাসা তৈরি করতে থাকে।
- কোয়েল পাখির ভিতরে যদি অস্থিরতা বুঝতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে যে কোয়েল পাখির ডিম দিবে।
- কোয়েল পাখির খাবার খাওয়ার ভেতরে অনেক রকম পরিবর্তন দেখা দিবে।
- কোয়েল পাখির যখন ডিম দেওয়ার সময় হয় ঠিক সেই সময়ে এসে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে যায়।
কোয়েল পাখি শারীরিক কিছু পরিবর্তনঃ
এই সময়ে এসে কোয়েল পাখির পেটের আকৃতিটা বৃদ্ধি হয়ে যায়।কোয়েল পাখির বুকের পলক উঠে যায়।
আরেকটি পরিবর্তন হলো কোয়েল পাখি ডিম দেওয়ার সময় এসে পিছনে ডিমের ছিদ্র হয়।
কোয়েল পাখির অন্যান্য কিছু লক্ষণঃ
- অন্য সময় তুলনাতে বেশি ডাকাডাকি করবে।
- আশপাশে প্রদীপ খড়কুটো থাকে তাহলে সেটা দিয়ে বাসা তৈরি করবে এবং বাসায় গিয়ে বসবে।তজাপানিজ কোয়েল পাখির ওজন গুলো যখন ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রামের কাছাকাছি হয় তখন বুঝতে হবে ৫-৬ দিনের ভেতরে কোয়েল পাখি ডিম দেবে।
কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
কোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পাড়ে
কোয়েল পাখির জাত
বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ছোট বাচ্চাদেরকে যদি নিয়মিত দুই থেকে তিনটি ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো হয় তাহলে এটা তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। কোয়েল পাখির ডিমে খাওয়া হল এটা শরীরে এনার্জি নিয়ে আসবে। এজন্য আপনার বাচ্চা শরীরের রক্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন।
- বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়ঃ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। আবার এমন অনেকে রয়েছেন যারা শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ করার জন্য ফার্মেসিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন নিয়ে আসে। কিন্তু ওই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চাকে যদি প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো হয় তাহলে এটা খুব সহজেই বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনারা সন্তানকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন
- হাড় ও পেশি মজবুত করেঃ বয়স্কদের তুলনা তো সাধারণত শিশু বাচ্চাদের পেশী এবং হাড় একটু দুর্বল থাকে। এজন্য আপনি শিশু বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়াতে পারেন। এতে করে তাদের পেশী এবং হার খুব সহজে মজবুত হবে। এর কারণ হলো কোয়েল পাখির ডিমে আছে অনেক পরিমাণে যৌগিক পুষ্টি উপাদান সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। যেটা আপনার শিশুর হাট মজবুত করার পাশাপাশি পেশীও স্ট্রং করতে সাহায্য করবে।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করেঃ আপনি যদি আপনার সন্তানের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি করতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন। কোয়েল পাখির ডিমের ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরান পোষ্টটি এবং ভিটামিন এ সহ রয়েছে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটা সরাসরি সাহায্য করে বাচ্চাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করতে।
কোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণ
- দৈহিক ওজনঃ কোয়েল পাখির ওজন সাধারণত যখন ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রাম হয় সেই সময় ডিম দিয়ে থাকে। সেজন্য কোয়েল পাখির ওজন পর্যাপ্ত পরিমাণের না হলে তারা ডিম দিতে পারেনা। এজন্য কোয়েল পাখির ডিম না দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে পাখির ওজন।
- অসময়ে কোয়েল পাখি ক্রয়ঃ আপনি যদি কোয়েল পাখি অসময়ে ক্রয় করে থাকেন তাহলে সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম দেবে না। অর্থাৎ শীতকালে সাধারণত কোয়েল পাখির দৈহিক বৃদ্ধি এবং ডিম দেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গরমকালীন সময়ে এরা প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সংগ্রাম করে এজন্য এই ডিম দেওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
- হরমোন জনিত সমস্যাঃ আপনার পালিত কয়েল পাখির যদি ভিটামিন জাতীয় সমস্যা ভোকে তাহলে কোয়েল পাখির হরমোন সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর যে কারণে এরা ডিম দেওয়ার উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলে এবং ডিম দিতে খুব বেশি সময় নিয়ে থাকে।কোন কোন সময় ৭০ থেকে ৯০ দিন সময় লেগে যায়।
- অনেক সময় আবার যখন আমরা কোয়েল পাখি বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসি তখন বিক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ দিনের কোয়েল পাখির বাচ্চাকে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের বাচ্চা হিসেবে বিক্রি করে। এজন্য এসব ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ওজন যদি ঠিক থাকে তাহলে উপযুক্ত বয়স না হওয়ার কারণে ডিম দিতে পারে না।
কোয়েল পাখি বেশি ডিম পাড়ার উপায়
- কোয়েল পাখির সাধারণত সুষম খাদ্যের অভাব হলে ডিম দেওয়া ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য বেশি ডিম পেতে কোয়েল পাখিকে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।
- হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য দরকার হলে হরমোন উৎপাদন করে যে সকল ওষুধ রয়েছে সেগুলো খাওয়ানো উচিত যেমন - জিংক ভিট।
- আপনার পালিত কোয়েল পাখিরে ঠান্ডা এবং আরামদায়ক পরিবেশে পালন করুন।
- কোয়েল পাখির দেহে যেন ভিটামিনের অভাব না থাকে যেন অভাব দেখা দিলে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে ভিটামিন টু (B2)।
- খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা
- ডিজিস রোগঃ কোয়েল পাখির যতগুলো রোগ আছে তার ভিতরে একটি হচ্ছে ডিসিস রোগ। সাধারণত কোয়েল পাখি যদি দূষিত খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে এই রোগটি দেখা দেয়। কোয়েল পাখি সাধারণত যখন এর আগে আক্রান্ত হয় তখন পাকা ঝুলে যায়। এছাড়াও চোখ আংশিকভাবে বন্ধ রাখে। এজন্য চিকিৎসা হিসেবে খেয়াল রাখতে হবে যেন দূষিত খাবার না খায়।
- রক্ত আমাশয়ঃ সাধারণত বাচ্চা কোয়েল পাখিদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। তবে এটা মুরগির মতো খুব মারাত্মক আকার হয় না। সঠিকভাবে চিকিৎসা মিলে এ রোগে আক্রান্ত পাখিগুলোর বেঁচে যাবে। তাকে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে দুর্বল হবে এবং ঝিমাবে। এছাড়াও পায়খানা দিয়ে রক্ত বের হবে। কোয়েল পাখির রোগ দেখা দিলে অবশ্য চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে ।
- বর্ডার নিউমোনিয়াঃ ডিম থেকে যখন কোয়েল পাখির বাচ্চা উঠানো হয় সেই সময়ে কৃত্রিম উপায়ে যদি পর্যাপ্ত তাপ না দেওয়া হয় তাহলে এই রোগ দেখা দেয়। আপনার কোয়েল পাখি যদি খাওয়া ছেড়ে দেয়, চোখ দিয়ে পানি ঝরে, শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হয় এবং চোখ লাল হয় চোখের পাতা ফুলে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোয়েল পাখি এর ওকে আক্রান্ত।
- কলিসেপ্টিসোমিয়াঃ সকল বয়সে কোয়েল পাখির ভেতরে এ রোগ দেখা যায়। সাধারণত এই রোগ হলে পাখির শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে যার কারণে এরক্তি খুব মারাত্মক। কোয়েল পাখি যখন এরোগে আক্রান্ত হবে তখন হা করে থাকে এবং মুখে ফেনা উঠতে থাকে। তাকে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
- আপনার কোয়েল পাখির ভেতরে যদি ওপরে বর্ণিত এই সকল আচরণ গুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই আপনি প্রাণীর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া আক্রান্ত পাখিগুলোকে আলাদা করে ফেলুন যাতে করে সুস্থ পাখি গুলো ভালো থাকে। এছাড়াও কোয়েল পাখির বাসস্থান এবং খাওয়ার পাত্র সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায়
- ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স
- গম ভাঙ্গা অথবা ভুট্টা ভাঙ্গা
- ঝিনুকের গোড়া
- লবণ
- তিলের খৈল
- ঝিনুকের গোড়া
- শুটকি মাছের খৈল
উপরের যে সকল উপাদান গুলোর কথা বলা হয়েছে আপনি বাসা বাড়িতে এগুলো মিশ্রণ তৈরি করে খাবার বানাতে পারবেন। কোয়েল পাখির বয়স যখন ০ থেকে ২২ দিন তখন আপনাকে দিতে হবে স্টার্টার খাবার। কোয়েল পাখির বয়স বৃদ্ধি হয়ে যখন ২৩ থেকে ৫৬ দিন হবে তখন দিবেন গ্রোয়ার খাবার। এবং লেয়ার খাবার দিবেন ৫৭ দিন থেকে বিক্রি করেন সময় পর্যন্ত।
কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা
- হাঁস কিংবা মুরগি খামার করতে যেখানে অনেক বেশি টাকা খরচ হয় সেখানে খুব কম বুঝিতেই আপনি কোয়েল পাখির খামার শুরু করতে পারবেন।
- আজ অথবা মুরগি থেকে ডিম পাওয়ার জন্য যেখানে সময় লাগে ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ সেখানে আপনি কোয়েল পাখির ডিম পেতে পাবেন মাত্র ৬ থেকে ৭সপ্তাহ বয়সে।
- কোয়েল পাখির ডিম খেতে খুব পুষ্টিকর করো এবং সুস্বাদু। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার সাধন করে।
- আপনি যদি একটি উন্নত প্রজাতির কয়েল পাখি পালন করেন তাহলে এক বছরে ২৫০-৩০০ ৩০০টি ডিম দিতে পারে যে কারণে কোয়েল পাখি পালন করে আমি খুব সহজে লাভবান হবেন।
- কোয়েল পাখি থেকে আপনি মাংস উৎপাদন করে সেটা ওর বাণিজ্যিকভাবেও বাজার করতে পারবেন।
- কোয়েল পাখির রোগ জীবাণু কম থাকে বলে চিকিৎসার জন্য বাড়তি টাকা খরচ করতে হয় না।
- কোয়েল পাখি আকারে ছোট হয় বলে পালন করার জন্য খুব বেশি জায়গা প্রয়োজন হয় না। এজন্য আপনি ছোট আকারে খাঁচাতে অথবা ফ্লোরে কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন।
- একটা মুরগি পালন করার জায়গাতে আপনি পাঁচ থেকে ছয়টি কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন। যে কারণে আপনি অল্প জায়গাতেই বেশি পরিমাণে কোয়েল পাখি পালন করতে পারবেন।
- আপনি যদি কোয়েল পাখি পালন করেন তাহলে এটা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নাই ১৭ থেকে ১৮ দিন। আর একটা কোয়েল পাখির বাচ্চা থেকে পরিণত কোয়েলের রূপান্তরিত হতে সময় নিবে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ। যে কারণে খুব অল্প সময়ে আপনি বাচ্চাও বিক্রি করতে পারবেন।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url