কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া যেনে নিন
বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার ও দর্শনীয় স্থানআপনি কি কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে কক্সবাজারের সে সকল দর্শনীয় স্থান নিয়ে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময় সম্পর্কেও। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে যেনে আসা যাক।
অনেকেই কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চাইলেও জানেনা কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে। আপনিও যদি না জেনেই থাকেন তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভূমিকা
আপনি যদি একজন ভ্রমণ প্রেমে মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেতে
পারে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য আপনাকে মনমুগ্ধ করে তুলবে। এজন্য আজকের
আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে আপনি কক্সবাজার যাবেন এবং কক্সবাজার যাওয়ার
ভাড়ার পরিমাণ সহ কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবারসহ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে। বিস্তারিত
জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারে কি কি দর্শনীয় স্থান আছে তা জানার আগে স্মরণ প্রথমে আমরা জেনে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে। আপনি নিশ্চয়ই ছোট থেকে বিভিন্ন বই-পুস্তকে
কিংবা বড়দের মুখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাম শুনেছেন। আর শুনবেন নাই বা কেন।
কারণ এইচ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সবচেয়ে বড় এবং
আকর্ষীয় পর্যটন স্থান।
প্রতিনিয়ত এখানে হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় জমিয়ে থাকে। এ দর্শনীয় স্থানটিকে
ঘুরে এখানে আশপাশে গড়ে উঠেছে অনেক ধরনের রেস্তোরাঁ বাজার দোকান ইত্যাদি। এজন্য
ভ্রমণের কথা যদি চিন্তা করা হয় তাহলে সর্বপ্রথম মাথায় চলে আসবে কক্সবাজার এর
সমুদ্র সৈকতের কথা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম একটি দীর্ঘতম
সমুদ্র সৈকত যা ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
এখানে অনেক ধরনের ঝিনুক মার্কেট এবং বারবেজ মার্কেট সহ বাইরের দেশের অর্থাৎ চীন
কিংবা মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সামগ্রী আপনি পেয়ে যাবেন। কক্সবাজার
দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জানতে নিচের দিকে পড়তে
থাকুন।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের যত সৌন্দর্য রয়েছে তা আসলে মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে
না। আপনি যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কখনো গিয়ে থাকেন তাহলে এর আসল সৌন্দর্য
আপনি বুঝতে পারবেন। কক্সবাজারের এই সমুদ্র সৈকতটি হচ্ছে সবচেয়ে সৌন্দর্য এবং
মনমুগ্ধকর একটি জায়গা। পৃথিবীতে যতগুলো সুন্দরতম স্থান এবং মনোরম পরিবেশ আছে ।
তার ভিতরে অন্যতম একটি জায়গা হচ্ছে আমাদের এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে দারুন ভাবে। ছুটির দিনে অথবা
বিভিন্ন ধরনের সিজনে সময় কাটাতে হাজারো মানুষ এখানে ছুটে আসে। কক্সবাজার সমুদ্র
সৈকতে সারি সারি ঝাউ বন, নীল জলরাশি,আর নরম বালুর স্পর্শ আপনার মন ছুয়ে দেবে
দারুন ভাবে।
তাইতো কক্সবাজারকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম এক
লীলাভূমি। এখনকার শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যাস্ত এবং এর সঙ্গে পরিষ্কার নীল আকাশ ও মৃদু
সমুদ্রের বাতাস সহ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হলো সবকিছু মিলিয়ে এর সৌন্দর্যের
কোন অভাব নেই। এগুলোর পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য হিসেবে
এখানে সাঁতার কাটা, সানবাথিং এবং সার্ফিং সহ অনেক ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকান্ড
উপভোগ করা যায়। সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি হচ্ছে
অন্যতম মায়াবী ও রূপময় সমুদ্র সৈকত যা পর্যটকদের মন কেরে নিবে দারুণভাবে।
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল কক্সবাজার দর্শনীয়
স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া। আপনি নিশ্চয়ই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে
অনেক ধারণা পেয়ে গেছেন। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নিই কক্সবাজারের আকর্ষণীয়
কিছু স্থানগুলো সম্পর্কে।
- হিমছড়ি
- ডুলাহাজার সাফারি পার্ক
- কক্সবাজার ইনানী বিচ
- কক্সবাজার লাবনী বিচ
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- কক্সবাজার কলাতলী বিচ
- আদিনাথ মন্দির
- কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
- টেকনাফ
হিমছড়িঃ কক্সবাজারের জনপ্রিয় যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র আছে তার ভেতরে একটি
অন্যতম হচ্ছে হিমছড়ি। এই হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্রটির অবস্থান হচ্ছে কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকত হতে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে। সাধারণত এটি পাহাড়ের পাদদেশের একটি
সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের থেকে এখানকার সমুদ্র সৈকতটি দেখতে একটু
পরিচ্ছন্ন এবং নির্জন।
তবে হ্যাঁ সৌন্দর্যের দিক বিবেচনায় কোন কিছুই কম না। এই হিমছড়ি সৈকতের
রাস্তাটিও বেশ সুন্দর এবং রোমান্স কর। এর একপাশে আছে বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত আর
কোন দিকে আছে সবুজ পাহাড়ী শারি। যেটা আপনার মন ছুয়ে নিবে দারুন ভাবে ।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কঃ ডুলাহাজারী এই সাফারি পার্কটির অবস্থান
কক্সবাজার জেলার সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিনে এবং চকরিয়া থানা থেকে এর দূরত্ব
১০ কিলোমিটার। সাধারণত এটা একটা হরিণ প্রজনন কেন্দ্র যেটা ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল বন এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে। অনেক মানুষ এখানে ছুটে আসে এবং এখানকার
আটটি ব্লকে বিভক্ত থাকা পরিবেশের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব সহজে হাটাহাটি করে।
কক্সবাজার ইনানী বিচঃ কেউ বলেন ইনানী বিচ তো কেউ আবার বলেন সমুদ্র সৈকত।
এই ইনানী বিচ কিংবা ইনানী সমুদ্র সৈকতের অবস্থান হচ্ছে হিমছড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার
দূরে। এই ইনানী সমুদ্র সৈকতের প্রবাল প্রাচীর দ্বারা পরিপূর্ণ করা আছে যেটা
অনেকটাই সেন্টমার্টিন এর মত দেখা যায়। এখানে আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিশাল
সেই ঢেউ দেখতে পাবেন না।
ইদানী সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এটা অনেক শান্ত প্রকৃতির। এখানে জোয়ারের সময়
পাথরের দেখা মিলে না এবং ভাটার সময় হলে এখানে ছিল বিশাল এলাকা জুড়ে ভাসতে থাকে।
কক্সবাজার লাবনী বিচঃ এই বীজ হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি পুরাতন
সৈকত যা লাবনী পয়েন্ট নামে পরিচিত রয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রটির অবস্থান হচ্ছে
কক্সবাজারের কলাতলীতে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অন্যতম একটি দর্শনিয় স্থান হচ্ছে
এই লাবনী বিচ। এজন্য সকল সমুদ্র প্রেমীরা এখানে ছুটে আসে।
এই বিচ এর অবস্থান কক্সবাজার শহরের নিকটে হওয়ার কারণে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা
অনেক বেশি পাওয়া যায়। এই সমুদ্র সৈকতের যে সংলগ্ন এলাকা রয়েছে সেখানে আপনি
দেখতে পাবেন অনেক ছোট বড় দোকান যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার
জন্য এখানে ঝিনুকের বাজার গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে থাইল্যান্ড চীন এবং অন্যান্য
সীমান্তবর্তী দেশের বিভিন্ন পণ্য সাজানো রয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ বাংলাদেশের দক্ষিণে এবং উত্তর পূর্বে অবস্থিত এই
সেন্টমার্টিন দ্বীপ। টেকনাফ থেকে এই দ্বীপের অবস্থান প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে
এবং মিয়ানমার উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। কক্সবাজার জেলার নদ নদীর মোহনাতে
অবস্থিত হল সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এখানে অনেক পরে মানে নারিকেল থাকার জন্য
স্থানীয়ভাবে এখানকার নাম পরিচিত পেয়েছে নারিকেল বিচ নামে।
অনেকেই আবার বলেন যে প্রতিকুল আবহাওয়া জনিত কারণে একটি দারচিনি বহনকারী বণিক
জাহাজ জলের নিচে এক রাশির বিশাল পাথরের সঙ্গে সংঘর্ষ জনিত কারণে বিধ্বংস হয়। আর
যার ফলে পুরো জীবজরে দারুচিনি ছড়িয়ে পড়ে তাই এজন্য অনেকে আবার সেন্টমার্টিন
দ্বীপকে বলে থাকেন দারচিনি দ্বীপ।
সোনাদিয়া দ্বীপঃ আপনি যদি কক্সবাজারের এই সোনা দিয়া দ্বীপে যেতে চান
তাহলে আপনাকে যেতে হবে মহেশখালী উপজেলায়। অর্থাৎ কক্সবাজার জেলার মহেশখালী
উপজেলাতে এই দ্বীপের অবস্থান। এই দিব্যি ছোট এবং সুন্দর এর আয়তন প্রায় নয় বর্গ
কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলা সদর হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এই দীপ্তি
পৃথক করা হয়েছে মহেশখালী দ্বীপ থেকে।
এদিকে সৌন্দর্য হচ্ছে তিন দিকে রয়েছে সমুদ্র, ছোট বড় খাল সহ বিভিন্ন বনাঞ্চল,
সাগর লতায় ঢাকা বালিয়ারি,এছাড়াও রয়েছে অনেক ধরনের জলজ প্রাণী যা এই দিকটিকে
অনন্য করে রেখেছে অন্যান্য দ্বীপের তুলনায়। এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন
ধরনের পাখির সমাগম। এই দীপ্তি সাধারণত ঝিনুকের জন্য খুব বিখ্যাত।
কক্সবাজার কলাতলী বীচঃ কক্সবাজারের পর্যটকদের আসার জন্য অন্যতম একটি
আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে কক্সবাজারের কলাতলী বীচ। কক্সবাজারের অন্যতম একটি সী বিচ
পয়েন্ট হচ্ছে এই বীচ। প্রায় সব ধরনের মানুষেরা এখানে গোসল করতে আসেন এবং উপভোগ
করেন এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই কলা তলী সমুদ্র সৈকতে খাবারের জন্য এবং
রেস্তোরাঁসহ অনেক পর্যটন সুবিধা রয়েছে।
এখানকার সব থেকে সেরা মুহূর্ত হচ্ছে আপনি খালি পায়ে চাঁদনী রাতে এখানকার
রোমান্সকর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন। এজন্য আপনি যদি কখনো কক্সবাজারে গিয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই এখানে কক্সবাজারের এই কলাতলী বীচ যেতে ভুলবেন না।
আদিনাথ মন্দিরঃ কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ঠাকুরতলা নামক গ্রামের
মৈনাক পাহাড়ের ছড়াতে এই মন্দিরের অবস্থান। যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের কাছে
এই পাহাড়ের গুরুত্ব অনেক। সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা মহাদেবের নাম
অনুযায়ী এখানকার নামকরণ করা হয়েছিল আদিনাথ। আবার আদিনাথের অন্য নাম ছিল মহেশ যে
কারণে মহেশখালীর নাম সৃষ্টি হয়েছিল।
আপনি যদি কখনো এই মন্দিরে গিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন এই মন্দিরের কমপ্লেক্সের
ভেতরে রয়েছে রাখাইনবদ্ধ বিহার এবং মসজিদ। এ কারণে অনেকেই এই মন্দির কে বলে থাকেন
অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি প্রতীক। প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসে এখানে ১০ থেকে ১৫
দিন ব্যাপী মেলা চলে। যেখানে আগমন ঘটে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের।
কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডঃ কক্সবাজার রেডিয়ান ফিফা ওয়ার্ল্ড
সাগর এবং সাদু পানির রঙ্গিন রাজ্যে বাংলাদেশের প্রথম একটি সামুদ্রিক মাছের
আ্যকুরিয়াম। শতাধিক বড় এবং ছোট সামুদ্রিক মাছ আ্যকুরিয়ামে সাজানো হয়েছে
বিভিন্ন রকম দর্শনীয় নান্দনিক শিল্পকর্মে। এছাড়াও এখানে বৈদ্যুতিক আলো সংঘের
মতো সাজিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছ।
এটা দেখে আপনার মনে হতে পারে যেন সাগরতলের একটা রঙ্গিন রাজ্য। কক্সবাজারের
ঝাউতলায় এ কক্সবাজার অর্থাৎ আ্যকুরিয়ামটি ৮ টি ভাগে বিভক্ত। যার প্রথমটিতেই আপনি
দেখতে পাবেন থ্রিডি মুভির একটি নান্দনিক স্থান। এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন এখানে
ফটোগ্রাফিক করার জন্য রয়েছে ডিজিটাল কালার ল্যাব এবং রয়েছে শপিং করার জন্য
কনফারেন্স হল। রয়েছে পার্কিং সুবিধার জন্য রুম।
টেকনাফঃ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি উপজেলা হচ্ছে টেকনাফ।
সাধারণত বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে এই জেলার অবস্থান। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে
এখানকার দূরত্ব ৮৬ কিঃমিঃ। এই টেকনাফ উপজেলাতে দর্শন করার জন্য রয়েছে অনেকগুলো
দর্শনীয় স্থান। সাধারণ তোর নাতনদী এখানে টেকনাফ উপজেলার পূর্ব পর্যন্ত দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের নামকরণ হয়েছিল টেকনাফ।
কক্সবাজার হোটেল ভাড়া
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া জানাটা একজন পর্যটক এর জন্য
খুব জরুরী। আপনি যদি কখনো কক্সবাজার যেতে চান তাহলে সেখানকার হোটেলে যদি থাকতে
চান তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি সাহায্য
করবে। চলুন তাহলে জেনে এসে যাক কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত।
বর্তমান সময়ে এসে কক্সবাজারকে ঘিরে অনেক ভালো মানের হোটেল এবং রেস্তোরা গড়ে
উঠেছে। কক্সবাজারে যেহেতু হাজারো বাজেটকরা আসে এজন্য এখানে হোটেল এবং রুম সার্ভিস
পাওয়া একটু কষ্টকর মনে হয়। আপনি যদি কক্সবাজারে গিয়ে হোটেল ভাড়া করে থাকতে
চান তাহলে আপনি ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় লাখ টাকা দিয়ে হোটেলে থাকতে
পারবেন।
এর কারণ হলো কক্সবাজারের রয়েছে অনেক ধরনের হোটেল যেমন - ফাইভ স্টার, টু স্টার,
থ্রি স্টার হোটেল সহ অনেক নিম্ন শ্রেণীর হোটেলে পাওয়া যায়। আপনার আর্থিক অবস্থা
বা সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি হোটেল ভাড়া করে নিতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায়
কক্সবাজার গিয়ে হোটেল পাওয়াটা একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য আপনি
কক্সবাজার গিয়ে যদি হোটেলে থাকতে চান তাহলে পড়বে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে
রাখবেন।
কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে অনেক
ধারণা পেয়ে গেছেন। অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কক্সবাজার ভ্রমণের
উপযুক্ত সময় কোনটি। কক্সবাজার ভ্রমণ করার জন্য আসলে সময়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাকি সবার মত আপনার সাথে জানতে চান কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য সময় কোনটি তাহলে
চলুন জেনে আসা যাক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত |
প্রথমে বলে রাখি যে কক্সবাজার ভ্রমণ করার জন্য সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে শীতকাল।
বেশিরভাগ মানুষ এই শীতকালকে কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময় ধরে নেন। কিন্তু
কক্সবাজার এমন একটি জায়গা আপনি যেখানে যেতে পারেন বছরের যে কোন সময় এর
ভেতরেই। সময়ে সময়ে যেভাবে প্রকৃতির রূপ বদল করে ঠিক একইভাবে রক্তের গ্রুপে
প্রভাব ফেলে কক্সবাজারে।
এজন্য কক্সবাজারের এক ভিন্ন স্বাদ নিতে আপনি যেতে পারবেন ঝুম বর্ষায় কিংবা
শরতের নীল আকাশের সাথে মেশার জন্য যেতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন হেমন্তর এক
পূর্ণিমার রাতে কক্সবাজার উপভোগ করবেন তাহলে সে সময় আপনার জন্য হতে পারে
অন্যতম একটি সময় যা আপনাকে মুগ্ধ করবে ও দারুণভাবে।
তবে হ্যাঁ শীতকাল ছাড়া অন্য সময় যদি আপনি কক্সবাজার ভ্রমণ করতে যান তাহলে
একটা সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ শীতকালীন সময় ছাড়া অন্য সময় গেলে হোটেল ভাড়া
থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুর দাম একটু কম পাবেন। আমি আশা করছি আপনি খুব
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কক্সবাজার কি কারণে বিখ্যাত।
চলুন তাহলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ভিতরে
অন্যতম একটি জেলা হচ্ছে কক্সবাজার। এ কক্সবাজার জেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগে
অবস্থিত। কক্সবাজার জেলাতে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলোর একেকটার একেক
রকম সৌন্দর্য আছে।
এছাড়াও কক্সবাজারের রয়েছে অনেক বিখ্যাত খাবার এবং বিখ্যাত ব্যক্তিগণ। যে
কারণে কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিখ্যাত জেলা তবে সব থেকে সুন্দর এবং
দর্শনের স্থানের মধ্যে এক নম্বর জায়গা দখল করে নিয়েছে কক্সবাজারের সমুদ্র
সৈকত। এজন্য বলা যায় যে কক্সবাজার বিখ্যাত হওয়ার পেছনে যেটা মূল ভূমিকা রাখে
সেটা হচ্ছে এখানকার সমুদ্র সৈকত।
পৃথিবীতে যতগুলো সমুদ্র সৈকত আছে তার ভিতরে কক্সবাজার হচ্ছে দীর্ঘতম যা ১২০
দৈর্ঘ্য কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত। এক কথায় বলতে হয় যে কক্সবাজারের যে নান্দনিক
সৌন্দর্য আছে এটা এখানকার বিখ্যাত হওয়ার কারণ । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেলে
আপনার চোখে পড়বে সারি সারি সবুজ গাছ, বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, ঝরনা, সৈকতের
বুকে আছড়ে পড়া ঢেউ, সকালের সূর্য ওঠা, ঝিনুকের সমারহ,সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত,
মেঘেদের বেশি বাড়ানো ইত্যাদি সব সৌন্দর্য।
এক এক ঋতুতে জন্য সমুদ্র সৈকত একেক রূপে সাজে। তাইতো যে কোন ঋতুতে আসলে আপনি
এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যে কারণে পৃথিবীর সকল পর্যটকদের জন্য
কক্সবাজার একটি পছন্দের জায়গা । মূলত কক্সবাজারের এ সকল সৌন্দর্যের দিকগুলোই
কক্সবাজারকে বিখ্যাত করে রেখেছে।
কক্সবাজার ঐতিহ্যবাহী খাবার
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে তো আপনি জেনে
গেছেন। এখন আমরা জানবো কক্সবাজার ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে। আপনি যদি
কক্সবাজার যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কক্সবাজার গিয়ে সেখানকার এই
ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোর স্বাধ নিবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো সম্পর্কে।
- মুন্ডিঃ মুন্ডি হচ্ছে সাধারণত একটি নুডুলস জাতীয় খাবারের নাম। যেটা তৈরি করতে চালের গুড়া ব্যবহার করা হয়। টক এবং ঝাল যুক্ত ছাদের এই খাবারটি পাহাড়িদের একটি স্থানীয় খাবার। কক্সবাজার পর্যটকদের পছন্দের একটি অন্যতম খাবার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এই খাবারটি।
- চিকেন লালসুঃ কক্সবাজারের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে চিকেন লালসু। সাধারণত এটি একটি ভর্তা জাতীয় খাবার যেটা মুরগির মাংস দিয়ে ঝাল করে তৈরি করা হয়। মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা এই ভর্তাটি পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয় একটি খাবার।
- লাইট্যা ফ্রাইঃ কক্সবাজারের পর্যটকদের কাছে একটি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে লাইট্যা ফ্রাই। লাইট্যা মাছ দিয়ে এই ডিস তৈরি করা হয়। মাছটি ছোট ছোট করে কেটে তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং ময়দা দিয়ে এই খাবারটি কে তৈরি করা হয়। কক্সবাজার স্ট্রিট ঠুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফাইভ স্টার হোটেলের স্পেশাল ডিস হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই লাইট্যা ফ্রাই।
- বলা পিঠাঃ কক্সবাজারের অন্যতম একটি বিখ্যাত খাবার হচ্ছে বলা পিঠা। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটা হচ্ছে একটি পিঠার নাম। যেটা সাধারণত গরমের সময় পাওয়া যায়। প্রচন্ড গরমের ভিতরে মনের প্রশান্তি নিয়ে আসে এই বলা পিঠা। গলা পিঠার সবগুলো উপাদান ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটা গরমের সময় খুব বেশি জনপ্রিয় এবং পছন্দ কর খাবার। এই খাবারটি কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের জন্য খুবই জনপ্রিয়।
- মোচা ভাতঃ কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার হচ্ছে মোচা ভাত। পর্যটকদের কাছে এটা অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই মজা ভাত তৈরি করা হয়। এই খাবারটি পরিবেশন করা হয়ে থাকে কলাপাটা কেটে। তৈরি করা একটু কষ্টসাধ্য হলেও এর স্বাদ কিন্তু অসাধারণ।
- ছুরি শুটকিঃ আপনি যদি কক্সবাজার বীচে ঘুরতে যান তাহলে দেখবেন বিচার ভালোর ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছে অনেক ছুরি মাছ। এই ছুরি শুটকি মাছ শুধু কক্সবাজার না বরং এটা বাংলাদেশের সব জেলাতেই খুব চাহিদা রয়েছে। কক্সবাজারে যে কতটুকুগুলো আছে তারা সাধারণত সবকিছু কিনতে না পারলেও এই শুটকি কিনে বাসায় নিয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে একসাথে খাবার জন্য। এগুলো আসলে ফেলে রাখা হয় না বরং এগুলো শুকাতে দেওয়া হয়।
- মধু ভাতঃ মধু ভাত খাবারটি কক্সবাজার ঐতিহ্যবাহী খাবার। কক্সবাজার অঞ্চলে সাধারণত শীতকালে প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে এই মধুভাত খাওয়ার রেশ চলতে থাকে। এই খাবারটি সাধারণত একটু মিষ্টান্ন ধরনের খাবার। আগের দিন রাতে রান্না করে পরদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া হয় এই মধু ভাত।
এসব খাবারের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলায় আরো কিছু জনপ্রিয় খাবারঃ
- কালা ভুনা
- রূপচাঁদা মাছের ফ্রাই
- টুনা মাছ
- কোরাল মাছের শুটকি
- ট্যাং ফল
- ভেটকি পাতুরি
- ছতং (স্কুইড)
- ধুপপাইস পিঠা
কক্সবাজার ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন
করা উচিত। সতর্কতা অবলম্বন না করলে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। চলুন
তাহলে জেনে আসা যাক সতর্কতা গুলো।
- সমুদ্র সৈকতে যখন গোসল করবেন অবশ্যই নামার পূর্বে সতর্ক থাকতে হবে এবং জোয়ার ভাটার সময় যিনি তারপরে গোসল করুন।
- সমুদ্রে যখন জোয়ার ভাটা হয় তখন এ সময় গোসল করা বিপদজনক। কারণ ভাটার টানে মুহূর্তে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
- বিচে অনেক ধরনের স্পিডবোট থাকে এগুলোতে যখন উঠবেন ওঠার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- সেখানে গিয়ে আপনি যদি ফটোগ্রাফি করেন অবশ্যই ফটোগ্রাফির সময় অন্যমনস্ক হওয়া যাবে না। না হলে অন্য মানুষকে হয় আপনার অজান্তেই আপনি সমুদ্রের মধ্যে চলে যেতে পারেন।
- ফটোগ্রাফি করার পূর্বে অবশ্যই ফটোগ্রাফারদের আইডি যাচাই যাচাই করে নিন।
কক্সবাজার কীভাবে যাবেন এবং ভাড়ার পরিমান
আমি আশা করছি আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি
জেনে গেছেন কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে। যারা
কখনো কক্সবাজার যায় নি তাদের জন্য একটি প্রশ্ন থাকে যে কিভাবে কক্সবাজার যাবো
এবং ভাড়ার পরিমাণ কেমন। আপনি যদি এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন বিস্তারিত
জেনে আসা যায় কক্সবাজার কিভাবে যাবেন এবং ভাড়া পরিমান সম্পর্কে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে অসংখ্য গাড়ি প্রত্যেকদিন যাওয়া আসা করে। এজন্য আপনি ঢাকা
থেকে কক্সবাজার যেতে পারবেন খুব সহজেই। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য যে
বাসগুলো রয়েছে এগুলোতে এসি এবং নন এসির জন্য জন প্রতি টিকিটের মূল্য ভিন্নরকম।
আপনি যদি নন এসি বাসে যেতে চান তাহলে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা।
আর আপনি যদি ভেবে থাকেন এসি ইকোনমিক ক্লাসে ভ্রমণ করবেন তাহলে জনপ্রতি টিকিট
মূল্য ১৬০০ টাকা। আর আপনি যদি অনেক হাইপ লেভেলের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তো
অবশ্যই এসি বিজনেস ক্লাসে যাবেন। এজন্য আপনার টিকিট মূল্য খরচ হবে জনপ্রতি ২০০০
টাকা। বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে আপনার সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা।
আপনি জেনে খুশি হবেন যে বর্তমান সময়ে এসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল
শুরু হয়েছে। আপনি যদি ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চান তাহলে টিকিট মূল্য
নির্ভর করবে আপনি কোন টাইপের ট্রেনে যেতে চাচ্ছেন। সোনার বাংলা, তৃর্ণা-
নিশিথা,মহানগর প্রভাতী, স্নিগ্ধা ইত্যাদি সব ট্রেনে করে যাতায়াত করতে পারবেন।
মূলত এর টিকিট মূল্য নির্ভর করে শ্রেণী ভেদে যার জন প্রতি টিকিট মূল্য ৩৪০ টাকা
থকে ১৩৯৮ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়াও বিমানে করেও আপনি কক্সবাজার যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ বিমান,ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার এবং এয়ার আস্ট্রা। যে কারণে
আকাশ পথ দিয়েও ঢাকা থেকে আপনি কক্সবাজার যেতে পারবেন। এজন্য বিমান ভাড়া ৪,৫৯৯
টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত। আমি আশা করছি আপনি ধারণা পেয়ে গেছেন কক্সবাজার
কিভাবে যাবেন এবং ভাড়ার পরিমাণ সম্পর্কে।
কক্সবাজার হোটেল লিস্ট
কক্সবাজার গিয়ে আপনার হোটেলে থাকার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য কক্সবাজার
যাওয়ার আগে আপনার কক্সবাজারের হোটেল লিস্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাই
আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা আপনাকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবো কক্সবাজার
হোটেল লিস্ট সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক ।
আপনাদের সুবিধার্থে কম খরচে কক্সবাজার হোটেল এর লিস্ট তালিকা উল্লেখ করা হলো।
- সি হিল গেস্ট হাউস
- ইকরা বিচ হোটেল
- উর্মি গেস্ট হাউস
- লং বিচ হোটেল
- সি আরাফাত রিসোর্ট
- হোটেল নিশারগো
- কক্স টুডে
- ডিলাক্স টুইন
- হোটেল কোস্টাল পিস
- ডিলাক্স কাপল
- হেরিটেজ হোটেল
- ডিভাইন ইকো রিসোর্ট
- সি কক্স রিসোর্ট
- স্ট্যান্ডার্ড কাপল
- সি হবেন গেস্ট হাউস
- ওসান প্যারাডাইস
- কলাতলী হোটেল
- রয়েল টিউলিপ হোটেল
- ডিলাক্স হিলভিউ
- সায়মান বিচ রিসোর্ট
- হোটেল সি আলিফ
- সিগাল হোটেল
লেখকের শেষ কিছু কথা
আজকের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন কক্সবাজার
একটি অন্যতম পর্যটনেও স্থান যেটা আপনাকে মুগ্ধ করবেই করবে। আপনি যদি কক্সবাজার
ভ্রমণ করতে চান তাহলে আমাদের পরামর্শ থাকবে যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে
হলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আর্টিকেলটি বুঝতে কোথাও অসুবিধা হলে আমাকে
কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
সমূহ-কক্সবাজার হোটেল ভাড়া সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন
বা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।
এবং নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url