বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত জানুন
কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ ও হোটেল ভাড়া যেনে নিনআপনি যদি জানতে চান বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য
বিখ্যাত তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা
করা হয়েছে বান্দরবানের এ সকল দর্শনের স্থান সম্পর্কে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পেরে যাবেন বান্দরবানের বিখ্যাত খাবার সম্পর্কেও। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
বান্দরবান জেলার যে সকল দর্শনীয় স্থান রয়েছে এগুলো হতে মানে আপনার জন্য সেরা
দর্শনীয় স্থান। তাহলে চলুন আজকে আর্টিকেলটি পরে আমরা বিস্তারিত জেনে আসি
বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত। আপনি যদি
বান্দরবান ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন
ভূমিকা
আপনি যদি ভ্রমণপ্রেমী মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে বান্দরবান জেলার ধর্ষণের স্থানগুলো
ঘুরে আসতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে সেখানকার দর্শন স্থান সম্পর্কে।
এজন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি বান্দরবান জেলার সবচেয়ে সুন্দরতম
পর্যটন স্পট, বান্দরবান যাওয়ার উপায় সহ বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। তাই অবশ্যই
সবগুলো তথ্য পেতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ
বান্দরবান সকলের জন্য একটি সেরা দর্শনীয় স্থান। আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে ভমন
করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ -
বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত। আপনি যদি এ বিষয়গুলো জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজে
বান্দরবান ভ্রমণ করতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক বান্দরবানের
দর্শনীয় কিছু স্থানগুলো সম্পর্কে।
- নীলগিরি
- নীলাচল
- নাফাখুম
- কেউক্রাডং
- চিম্বুক পাহাড়
- দেবতাখুম
- মারায়ং তং
- আলীর গুহা বা সুরঙ্গ
- ভেলাখুম
- আমিয়াখুম
নীলগিরিঃ নীলগিরি এমন একটি জায়গা যাকে বলা হয় বাংলাদেশের দার্জিলিং। এর
কারণ হলো এই নীলগিরির জায়গাটির নয়নাভিরাম দৃশ্যটি দেখতে প্রায় দার্জিলিংয়ের
মতোই। নীলগিরি জায়গাটির অবস্থান হল পার্বত্য বন্দর বন জেলা সদর থেকে ৫০
কিলোমিটার দূরে। নীলগিরি এই পাহাড়টির উচ্চতা হল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২২০০
ফুট উঁচু।
এজন্য এ পাহাড়ে গিয়ে আপনি খুব সহজেই নয় নয়ানাভিরাম দৃশ্য উপলব্ধি করতে পারবেন।
আপনি যদি এখানে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আরো উপলব্ধি করবেন এখানকার রূপ সৌন্দর্য
এবং বিভিন্ন রকম বৈচিত্র্য সমাজ যা আপনাকে দারুন ভাবে মুগ্ধ করবে।
নীলাচলঃ বান্দরবান জেলাতে যতগুলো দর্শনীয় স্থান আছে তার ভেতরে একটি
অন্যতম হলো নীলাচল। বান্দরবান সদর থেকে আপনি যদি এখানে যেতে চান তাহলে মাত্র পাঁচ
থেকে ছয় মিনিটে টাইগার পাহাড় চূড়াতে থাকা এই নিলাচল পর্যটন কেন্দ্র যেতে
পারবেন। এই জায়গা থেকে আশপাশে আপনার যতদূর দেখবেন শুধু পাহাড় আর পাহাড় দেখতে
পাবেন এটা আবার অনেকটাই দেখতে সাগরের ঢেউয়ের মতো।
আপনি যদি একবার নীলাচলে গিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন এখানে পাহাড়ের সঙ্গে যেন মেঘের
মিলন মেলা চলছে। যেখানে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেকে নতুন রূপে সাজাতে পারবেন। আপনি যদি
একজন ভবন প্রেমী মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এ জায়গাতে ভ্রমন করবেন।
নাফাখুমঃ নাফাখম এই পর্যটনটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রোমাক্রের
একটি ইউনিয়নে অবস্থিত। যাকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় জলপ্রপাত বলা হয়।
বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক ঝরনার রং এবং বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য বৈচিত্র্য
উপভোগ করতে পারবেন এখান থেকে। নাপাকুম্পে জলপ্রপাতটি হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম
একটি ভ্রমণের জায়গা। আপনি যখন নাপাকুম ভ্রমণ করবেন সঙ্গে সঙ্গে এখানে দেখতে
পাবেন আদিবাসীদের জীবনচিত্র।
কেওক্রাডংঃ এই পাহাড়টিকে বলা হয় বাংলাদেশের পঞ্চম পর্বত শৃঙ্গ। এই নামটি
এসেছে সাধারণত মারমাদের থেকে। আপনি যদি দূর থেকে এই পাহাড়টিকে দেখেন তাহলে মনে
হবে এই পাহাড়টির চূড়া যেন শুনলে মিলে গেছে। আপনি যদি কেওক্রাডং পাহাড়ে গিয়ে
থাকেন তাহলে এখানে উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় আর মেঘের মিলন খেলা যেটা আপনাকে
আনন্দিত করবে দারুন ভাবে।
আর যখন আপনি এই পাহাড়ের চূড়াগুলো দেখবেন তখন মনে হবে এটা যেন শুনলে হারিয়ে
গেছে। এজন্য আপনি এখান থেকে খুব সহজেই আপনি প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য গুলো উপলব্ধি
করতে পারবেন।
চিম্বুক পাহাড়ঃ এই চিম্বুক পাহাড়টি হলো বান্দরবান জেলাতে অবস্থিত
বাংলাদেশের অন্যতম একটি তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড়। এই চিম্বুক পাহাড়কে আবার কালা
পাহাড়ও বলা হয়ে থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এই চিম্বুক পাহাড়ের অবস্থান প্রায়,
২৫০০ ফুট উঁচু। অনেকেই আবার এই পাহাড় কে বলে থাকেন পাহাড়ের রানী। আপনি যদি এই
চিম্বুক পাহাড়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে অসংখ্য আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিতে হবে।
আর হ্যাঁ এই পথগুলো পারি দেওয়ার সময় খুব সহজেই আপনি এর আশপাশে থাকা প্রাকৃতিক
গ্রুপগুলো উপলব্ধি করতে পারবেন যা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। এর সঙ্গে আপনি দেখতে
পাবেন সাঙ্গো নদীর সেই নয়ানাভিরান দৃশ্য। এ সকল মনমুগ্ধকর পথ পাড়ি দিতে দিতে
আপনি একসময় পৌঁছে যাবেন চিম্বুক পাহাড় চূড়াতে।
দেবতাখুমঃ আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে গিয়ে অপূর্ব বৈচিত্র উপলব্ধি করতে
চান এবং সেটা আপনার স্মৃতির অ্যালবামের আটকে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যেতে
হবে বান্দরবানের এই দেবতাখুমে। দেবতাখুম জায়গাটির অবস্থান হচ্ছে বান্দরবান জেলার
রোয়াংছড়ি উপজেলাতে। মূলত এটা হচ্ছে তারাখা খালি একটি অংশ এবং এর দুপাশ জুড়ে
রয়েছে আকাশ ছোঁয়া বিশাল পাহাড় ঘেরা।
এটা দেখে আপনার মনে হতে পারে যে নিঃশব্দ জল ধারার মতো বড় বড় পাথর হয়ে কেউ
দাঁড়িয়ে আছে। খুম শব্দটির অর্থ হচ্ছে জলধারা। এই জায়গাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থাটি
অনেক সহজ। খুন এর বিশেষত্ব হল এর দুপাশ জুড়ে রয়েছে অরণ্যের ঘেরে বিশাল পাহাড়।
যে কারণে সূর্যের আলো এখানে আসতে পারে না। তাই আপনি যতই এই পাহাড়ের গহীনে উঠবেন
তত এখানে শীতলতা উপলব্ধি করবেন। এর ভেতরে একদমই শান্ত পরিবেশ এবং কোলাহল মুক্ত।
মারায়ন তংঃ বান্দরবান জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে মারায়ন
তং। এ জায়গাটির অবস্থান হচ্ছে মেজঙ্গা রেঞ্জে অবস্থিত একটি মারায়ন তং পাহাড়
যেটা বান্দরবান জেলার আলীকদমের একটি উপজেলা। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এই পাহাড়ের উচ্চতা
১৬৫০। এ পাহাড়ের চূড়ায় বৌদ্ধদের ধর্মীয় উপসাশানালয় অবস্থিত।
আপনি যদি কখনো এই জায়গাতে গিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে চারপাশে অনেক প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য রয়েছে যেটা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। এজন্য আপনি যদি একজন ভগবান পিপাস্য
মানুষ হন তাহলে অবশ্যই আপনি এখানে বহন করতে পারবেন।
আলীর গুহা বা সুরঙ্গঃ প্রকৃতির অন্যতম এক রহস্যময় স্থান হল আলীর গুহা বা
আলীর সুরঙ্গ জায়গাটি। তাইতো যেন এই জায়গাটিকে ঘিরে রহস্যের কোন শেষ নেই। এ
রহস্যময় জায়গাটা অবস্থিত হল আলীকদম উপজেলাতে যার জেলা হলো বান্দরবান। সাধারণত
আলী পাহাড়ের নাম অনুযায়ী এই পাহাড়টির নাম হয়েছিল আলীর সুরঙ্গ বা গুহা।
এখানকার সুরঙ্গ গুলো অনেকটা শুরু এবং এখানে প্রায় তিন গুহা অথবা সঙ্গে আছে। আপনি
যদি এই গুহাগুলো ঘুরে দেখতে চান তাহলে আপনার প্রায় ২ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে।
আপনি যদি এই সুরঙ্গ তে যেতে চান তাহলে আপনাকে জিরি পথ পেয়ে যাওয়া লাগবে। যেটা
সত্যি এক ধরনের অন্যতম রোমান্সকর অনুভূতি। এজন্য আপনার জন্য এই জায়গাটি এক ধরনের
সেরা জায়গা হতে পারে।
ভেলাখুমঃ সত্যিই যদি একজন আপনি ভ্রমণ প্রেমে মানুষ হয়ে থাকেন এবং
প্রকৃতির সৌন্দর্যের রোমান্স কর মুহূর্তগুলোর মধ্যে যদি নিজেকে নিয়ে যেতে চান
তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভেলাখুমে আসতে হবে। আপনি যদি কখনো এই জায়গাতে গিয়ে থাকেন
তাহলে দেখতে পাবেন উচ্চ পাহাড়ের মাঝে স্বচ্ছ পানির উপরে যেন পানির ভেলা। যেটা
আপনি উপভোগ করবেন দারুণভাবে।
নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবেন অন্যরকম হয়ে। এছাড়াও আপনি যখন জল গিরি পথ পাড়ি
দিবেন ঠিক সেই সময় উপরের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য
যেন আপনার পাশে সুউচ্চ আকাশ ছোঁয়া পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। এজন্য আপনি বান্দরবানের
এই দর্শনের স্থানটিতে যেতে পারেন। যেটা আপনার জন্য হতে পারে অন্যতম একটি সেরা
জায়গা।
আমিয়াখুমঃ আমিয়াখুম এই জলপ্রপাত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলাতে অবস্থিত।
এখানে গেলে প্রকৃতিকে খুব কাছাকাছি দেখতে পাবেন এবং জীবনকে নতুনভাবে উপভোগ করতে
পারবেন। আমিয়াখুম জলপ্রপাত এর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে দারুন ভাবে। এটা
বাংলাদেশের অন্যতম একটি দুর্গম জায়গা হলেও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক যে কারণে
ভ্রমণ পিপাসে মানুষদের জন্য এটা অন্যতম একটি পছন্দের স্থান।
আমিয়াখুম জায়গাটি সবুজ পাহাড়ে ঘেরা যে কারণে অরণ্যের ভেতরে বিভিন্ন পাথরের পাথর
অতিক্রম করে মনে হবে দুধের ফ্যানর মতো রং এর ফেনা ছড়িয়ে প্রবেল দেখে যেন নিজের
দিকে নামছে । উপর থেকে এনেমা আসা শব্দ আপনাকে বিমহিত করবে দারুন ভাবে। যে কারণে
ভ্রান্তির পাশে মানুষরা এখানে ছুটে আসে । এজন্য আমি আপনাকে বলব আপনি যদি
বান্দরবান জেলাতে গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটি ঘুরে দেখবেন।
বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত
অনেকেরই অজানা বিষয় বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য
বিখ্যাত। এজন্য আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি বান্দরবন
জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে। এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব বান্দরবন
বিখ্যাত কি কারনে। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা যাক।
আরো পড়ুনঃ
যেনে নিন সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান
প্রথমে বলতে হয় যে বান্দরবান জেলাটি প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম একটি জেলা।
বান্দরবান এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের একটি জেলা। যেখানে উপস্থিত
রয়েছে অনেক বড় বড় পাহাড় স্বচ্ছ জলপ্রপাত এবং অনেক দর্শনীয় স্থান। যে কারণে
এগুলোর টানে হাজারো পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। বান্দরবন জেলাটির প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
এছাড়া বিখ্যাত হয়ে ওঠার কারণে এখানে সংস্কৃত অনেক প্রভাব ফেলে। অনেকেই আবার
বান্দরবান কে পাহাড়ি কন্যা বলে থাকেন। কেউ কেউ আবার বলে থাকেন বান্দরবন জেলার
তামাক এবং হিল জুস অন্যতম কারণ বান্দরবান জেলা বিখ্যাত হওয়ার জন্য। তবে একটি কথা
শতভাগ বলা যায় যে আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে গিয়ে থাকেন।
তাহলে এখানকার সৌন্দর্য আপনাকে বিখ্যাত হিসেবে পরিচয় করে দিবে বারে বার। এখানকার
নীলাগিরি নিলাচলসহ যতগুলো পর্যটন স্থান রয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটি যেন তাদের
সৌন্দর্য দিয়ে আপনাকে মুগ্ধ করে তুলতে বাধ্য করবে।
বান্দরবান ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে বান্দরবান ভ্রমণ করার জন্য
উপযুক্ত সময় কোনটি। তাই আমরা ভেবেছি যে আজকের আর্টিকেলের এই পড়বে এসে আপনাকে
জানিয়ে দেবো বান্দরবান ভ্রমণ করার জন্য আপনি কোন সময় যেতে পারেন। চলুন তাহলে
বিস্তারিত জেনে এসে যাক। প্রথমত বান্দরবান জেলাটি আপনি বহন করতে পারেন বছরের যে
কোন সময়ই।
এর মূল কারণ হচ্ছে বান্দরবান একেক ঋতুতে এক এক রকম রূপে নিজেকে সাজিয়ে তুলে।
এজন্য গ্রীষ্মকালের পাশাপাশি আপনি যদি বর্ষাকালে এখানে যান তাহলে এখানকার ঝর্ণা
খাল নদী এগুলো উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনারা যারা বান্দরবান জেলাতে গিয়ে মেঘ এবং
সতেজ প্রকৃতি দেখতে আগ্রহী তারা বান্দরবনে যেতে পারেন বর্ষার শুরু কালীন সময়
থেকে হেমন্তকালীন সময় পর্যন্ত।
অর্থাৎ এই সময়টা হচ্ছে জুন থেকে নভেম্বরের ভেতরে। আর আপনারা যারা বর্ষাকালের না
গিয়ে শুকনো মৌসুমী বান্দরবন ঘুরতে চান তাদের জন্য বান্দরবান যাওয়ার উপযুক্ত
সময় হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস।
বান্দরবানের বিখ্যাত খাবার
আমি আশা করছি আপনি বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত
বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে বান্দরবানের বিখ্যাত
খাবারগুলো সম্পর্কেও। কারণ আপনি যদি কখনো বান্দরবান জেলাতে গিয়ে থাকেন তাহলে
বান্দরবানের এই বিখ্যাত খাবারগুলোকে মিস করত পারেন।
যদি আপনার বান্দরবানের বিখ্যাত খাবারগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকে। চলুন তাহলে
বান্দরবানের বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জেনে আসা যাক। প্রথমে বলে রাখি যে বান্দরবান
জেলার যতগুলো বিখ্যাত খাবার আছে তার ভেতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারটি হচ্ছে
মুন্ডি। যেটা সেখানকার মানদের একটা অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর পাশাপাশি
বান্দরবনের আরো অনেক বিখ্যাত খাবার রয়েছে চলুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
- নরম মাছঃ নরম মাছ হচ্ছে বান্দরবানের অন্যতম একটি স্থানীয় খাবার। এ মাছটি সাধারণত ছোট মাছ এবং যা অনেক নরম হয় যেটা ভাজা অথবা ঝোল দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
- মুরগির মালাইকারিঃ বান্দরবান জেলার খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হচ্ছে মুরগির মালাইকারি। যা একটি ঝোল ও মসলাদার খাবার। এ খাবারটি কে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের মসলা দুধ এবং মুরগি দিয়ে।
- আচার ও মিষ্টিঃ আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে গিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন এখানে বিভিন্ন ধরনের আচার রয়েছে। যেগুলো মূলত তৈরি করা হয় সেখানকার সবজি এবং স্থানীয় ফল দিয়ে। এছাড়াও সেখানে আপনি দেখবেন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও রয়েছে। যা সাধারণত সেখানকার মসলা এবং স্থানীয় ফল দিয়ে তৈরি
- ইরাবতী মাছঃ বান্দরবান জেলার বিখ্যাত একটি খাবার হচ্ছে ইরাবতী মাছ। এই মাছ সাধারণত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে যেটা পরিবেশিত হয় ভাজা বা ঝোল দিয়ে।
বান্দরবান সম্পর্কে কিছু তথ্য
বান্দরবান জেলাতে ভ্রমণ করার পূর্বে আমাদের বান্দরবান জেলা সম্পর্কে বিভিন্ন
ধরনের তথ্য জানতে হয়। আপনিও যদি বান্দরবান চলাতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে তার
পূর্বে আপনার জন্য এ তথ্যগুলো জানা জরুরি। তাহলে আপনি খুব সহজে বান্দরবান জেলাতে
ভ্রমণ করতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক ।
সাধারণত বান্দরবান জেলাটি হচ্ছে বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার ভেতরে অন্যতম
একটি জেলা। এই জেলাতে গেলে দেখা মিলবে মনমুগ্ধকর ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়, পারবে
এসেছে অসংখ্য ঝরনা,দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলছে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ, রয়েছে
অসংখ্য ঝিরি। যেগুলো আপনাকে তাদের সৌন্দর্য দিয়ে মনোমুগ্ধকর দূর করে তুলবে।
একদিনে বান্দরবান ভ্রমণ
প্রিয় পাঠক, বান্দরবান জেলাতে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র যেগুলোতে আপনি যদি
ঘুরে আসতে চান তাহলে আপনাকে অনেক সময় নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে
সেখানকার সৌন্দর্যগুলো উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন এক দিনের জন্য
বান্দরবান ভ্রমণ করবেন তাহলে খুব বেশি জায়গায় ভ্রমি করতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি স্পটে বহন করতে পারবেন। আপনি যদি বান্দরবান ভ্রমণ করতে
চান একদিনে এক্ষেত্রে আপনাকে চান্দের গাড়ি ভাড়া করতে হবে। তাহলে একদিনে
বান্দরবান ভ্রমণ করার জন্য আপনি চিম্বুক পাহাড়, শৈলপ্রপাত, নীলাচল, নীলগিরি, এবং
মেঘলা এই জায়গা গুলো ঘুরতে পারবেন। আপনি চাইলে প্রাইভেট কার অথবা বেবি ট্যাক্সিও
ভাড়া করে যেতে পারেন।
বান্দরবান ভ্রমণ খরচ
আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে
গেছেন বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত। এগুলো
জানার পাশাপাশি আপনার জন্য বান্দরবান ভ্রমণ খরচ যেন গুরুত্বপূর্ণ তাহলে আপনি খুব
ভালোভাবে বান্দরবান ভ্রমণ করে আসতে পারবেন। চলুন তাহলে বান্দরবান ভ্রমণ খরচ
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
আপনি বান্দরবান জেলাতে ভ্রমণ করতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে যেমন - চান্দের
গাড়ি, সিএনজি, মহেন্দ্র জীপ। এ গাড়ি গুলোর ভেতরে ভাড়ার পার্থক্য রয়েছে।
সারাদিনের জন্য আপনি যদি সিএনজি করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে ভাড়া নিবে ২০০০-২২০০
টাকা। আপনি যদি চান্দের গাড়িতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ভাড়া নেয় ৩৫০০-
৪২০০ টাকা।
আর আপনি যদি ভেবে থাকেন যে মহেন্দ্র জিপে করে ভ্রমণ করবেন তাহলে ভাড়া হবে
২৪০০-৩০০০ টাকা। আমার সাজেশন থাকবে যে ভাড়া মিট করার সময় অবশ্যই আপনি দরদাম করে
নিবেন এবং পূর্বে থেকে বলে দিবেন যে কোন কোন জায়গাতে আপনি দাঁড়াবেন। একটা কথা
মনে রাখবেন যে চান্দের গাড়ি অথবা জিপের ভাড়া নির্ভর করবে আপনার দরদামের উপরে।
এজন্য অবশ্যই আপনি ভালোভাবে মিট করে নিবেন। আপনি যদি খুব ভোটে রওনা দিয়ে থাকেন
আর আপনার ভেতরে যদি মেঘ দেখার ইচ্ছা বেশি পরিমাণ থাকে তাহলে আপনি কোথাও না
দাঁড়িয়ে সরাসরি একদম নীলগিরিতে চলে যাবেন। এভাবে আপনি নীলগিরি থেকে ফেরার পথে
দেখতে পাবেন শৈলপ্রপাত জন্য এবং চেম্বুক ও মিলছড়ি ।
তবে হ্যাঁ আপনি যদি চিম্বুক পাহাড় এবং নীলগীতিতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে
টিকিট কাটতে হবে। আপনি চাইলে দুপুরের খাবার করে নিতে পারবেন নীলগিরিতে। এছাড়াও
সেখানে চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্রে আছে তাদের অধিবাসীদের হোটেল যেখানে আপনি খেয়ে
নিতে পারবেন। আপনি যদি খাবারের অর্ডারগুলো আগে দিয়ে থাকেন তাহলে খাবার রেডি
পাবেন নয়তো আপনাকে খাবারের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। আশা করছি আপনি
বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
বান্দরবান যাওয়ার উপায়
এমন অনেকে আছেন যারা বান্দরবান ভ্রমণ করতে চাই কিন্তু জানিনা কিভাবে বান্দরবান
যেতে হবে। সৌন্দর্যের অপরূপ এক লীলাভূমি বান্দরবানে যদি আপনি যেতে চান তাহলে
কিভাবে বান্দরবান যাবেন সেই সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আর হ্যাঁ
নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন বান্দরবান দর্শনীয় স্থান সমূহ - বান্দরবান কিসের
জন্য বিখ্যাত। বান্দরবান যাওয়ার উপায় হলঃ
আপনি যদি মনে করেন যে ট্রেনে করে অথবা আকাশপথে বান্দরবান যাবেন তাহলে প্রথমেই
আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে বান্দরবান যাওয়ার বাস পাওয়া
যায় আপনি সেই বাসে করে বান্দরবান যেতে পারবেন। আপনি যদি বান্দরবান যেতে চান
তাহলে এজন্য ঢাকা থেকে আসতে পারবেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আপনি সেন্টমার্টিন পরিবহন, এফ এ আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী
ইত্যাদি সব পরিবহন করে আপনি বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন এ সকল
বাসগুলোতে আপনি যদি ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে এসি
বাস এবং নন এসি বাসে যেতে পারবেন। নন এসি বাসের জন্য জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৫৫০ টাকা
থেকে ৬৫০।
আর আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এসি বাসে করে ঢাকা থেকে বান্দরবান যাবেন তাহলে
এক্ষেত্রে জন প্রতি বাস ভাড়া ৯৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। আপনি চাইলে ঢাকা
থেকে ট্রেনে করেও চট্টগ্রাম যে সেখান থেকে বাসে করে বান্দরবান যেতে পারবেন। ঢাকা
থেকে যে সকল ট্রেন প্রতিদিন বান্দরবান যায় সেগুলো হলো মহানগর, সোনার বাংলা,
সুবর্ণ ইত্যাদি।
এই ট্রেনগুলোতে শ্রেণি ভেদে ট্রেনের টিকিট মূল্য রয়েছে । জনপ্রতি ৩২০ টাকা থেকে
শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আপনি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন ।
আর সেখান থেকে বাস নিয়ে খুব সহজে আপনি বান্দরবান পৌঁছে যাবেন আশা করছি বুঝতে
পেরেছেন।
বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দরতম পর্যটন স্পট কোনটি
অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে বান্দরবানের সবথেকে
সুন্দরতম পর্যটন স্পট কোনটি। মূলত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এককভাবে দেওয়া
সম্ভব না। জেলার যতগুলো পর্যটন স্পট রয়েছে প্রত্যেকটি সুন্দর এবং তাদের
সৌন্দর্য দিয়ে আপনার মন দারুন ভাবে। এজন্য কোন স্পটকে একক ভাবে সুন্দরতম
হিসেবে গণনা করো কষ্ট কর।
আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন
বান্দারবনের সুন্দরতম পর্যটন স্থানগুলো সম্পর্কে। আপনি একটি স্পট থেকে যখন
অন্য একটি স্পটে যাবেন তখন তারা তাদের নান্দনিক সৌন্দর্য দিয়ে আপনাকে মুগ্ধ
করে তুলবে তবুও আপনি যদি বান্দরবানের সবথেকে সুন্দর জায়গা সম্পর্কে ধারণা
নিতে চান।
তাহলে আমি আপনাকে বলব আপনি সবগুলো জায়গাতে যেতে পারেন স্পেশালি নীলাচল,
নীলগিরি,চিম্বুক পাহাড়, শৈলপ্রপাত ঝরনা নাফাখুম এগুলোতে যেতে পারেন। তবে
হ্যাঁ যেহেতু সৌন্দর্য দিক দিয়ে প্রত্যেকটি সমান ভাগিদার এজন্য আপনি যদি
মাত্র কয়েকটি জায়গাতে ঘুরে থাকেন তাহলে বান্দারবনের পর্যটন স্থানগুলোকে
আপনি মিস করবেন।
এজন্য আমি আপনাকে বলব আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে যেতে আগুনে হয়ে থাকেন তাহলে
হাতের সময় নিয়ে যাবেন যেন সবগুলো জায়গা খুব ভালোভাবে ঘুরতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
সৌন্দর্য এবং রূপ দিয়ে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়ে ঘেরা এই বান্দরবানে যদি আপনি
যান তাহলে উপভোগ করতে পারবেন প্রকৃতির আসল রূপ। তবে হ্যাঁ ব্যক্তিগতভাবে আমাদের
মতামত থাকবে যে আপনি যদি বান্দরবান জেলাতে যেতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই সবগুলো
জায়গাতে ভ্রমণ করবেন। তা না হলে আপনার মাঝে আফসোস থেকে যাবে বান্দরবানের
দর্শনীয় এই পর্যটনীয় স্থানগুলো ঘুরতে না পারার।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছিলাম বান্দরবান দর্শনীয় স্থান
সমূহ - বান্দরবান কিসের জন্য বিখ্যাত। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ সমস্ত তথ্য সেবা গুলো যদি
আপনি নিয়মিত পেতে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url