আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

ড্রাগন ফলের কার্যকরী ২০ টি উপকারিতা জানতে চাপ দিনআমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আমাদের শরীরে আমলকি অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল জুড়ে। এছাড়াও আজকে আর্টিকেল আপনি আরো জানতে পারবেন খালি পেটে আমলকি খেলে কি হয়।
multiplebd-আমলকির -২০ -টি -উপকারিতা -ও -উপকারিতা -প্রতিদিন -কয়টা -আমলকি -খাওয়া- উচিত
তাই অবশ্যই আপনার অজানা এই তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং বিস্তারিতভাবে জেনে নিন আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। আমলকি আমাদের ত্বক এবং চুলের যত্নসহ বিভিন্ন উপকার সাধন করে। বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।

ভূমিকা

আমলকি ফল নামটা অনেক পরিচিত হলেও অনেকে জানেনা আমলকির উপকারিতা গুলো। কিন্তু এই আমলকি ফলের ভেতরে রয়েছে আমাদের জন্য অনেক উপকারী গুণগুলো। সর্দি কাশি থেকে শুরু করে পেট ব্যথা এমন কি চুলের যত্ন রয়েছে এর অনেক গুণ। এছাড়াও আরো অনেক গুণাগুণ রয়েছে যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল। তাই অবশ্যই আপনার অজানাই তথ্য গুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

আমলকি খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরের অনেক উপকার সাধন করবে। কিন্তু তবুও এই ফলটি খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। না হলে অতিরিক্ত খাওয়া হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাইতো এখন আমরা আলোচনা করব আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কতটি আমলকি খাওয়া উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে। আমলকি একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল এবং ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি উৎস। প্রত্যেকদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া যাবে এটা মূলত নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি আমলকি খাওয়া উচিত।

পুষ্টিবিদরা বলছেন আমলকির যদি সর্বোচ্চ ফল পেতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে খালি পেটে ১-২ দুইটি আমলকি খাওয়া ভালো। তবে ভরা পেটেও আমলকি খাওয়া  যেতে পারে। মূলত ফল কতটুকু খাওয়া যেতে পারে এটা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপরেই। 

আমলকির উপকারিতা 

আমলকি আমাদের সবার কাছে অনেক পরিচিত একটা ফল। অনেকে আমলকি খেয়ে থাকলেও জানেনা এর উপকারিতা সম্পর্কে। আমলকি খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরে অনেক উপকার নিয়ে আসবে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ১-২ টি আমলকি খাওয়া উচিত। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলো।
  • আমলকি খাওয়া হলে এটা সর্দি কাশি এবং পেটের ব্যাথা সহ রক্তশূন্যতা দূর করতেও বেশ উপকারী।
  • প্রতিদিন যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আপনার দাঁতকে শক্ত করবে এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করবে।
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিদিন যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট গুলোকে ঝরাতে সাহায্য করে।
  • আমলকিতে উপস্থিত রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যেটা আপনার চোখ ভালো রাখতে বেশ উপকার করবে।
  • এছাড়াও আমলকির রস দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে ও রেহাইড দিবে চোখে চুলকানি এবং পানি পড়া সমস্যা থেকে।
  • শুধু যে স্বাস্থ্যের উপকার করে বিষয়টা এমন না৷ আমলকি চুলের যত বেশি উপকারী। এটা চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে থাকে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে ভূমিকা রাখে এছাড়াও চুলের বৃদ্ধিতেও করে অনন্য এক ভূমিকা।
  • একটা আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল যদি পানির ভিতরে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয় তাহলে এটা হজমের সমস্যা কাটাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন আমলকির আচার। যা দূর করবে আপনার হজমের সমস্যা কে।
  • আমলকি খাওয়া হলে এটা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখবে ব্লাড সুগার। এছাড়াও সাহায্য করবে কোলেস্টেরলের লেভেল কম করতে।
  • যারা ব্রংকাইটিস এবং অ্যাজমা রোগী আছেন তারা যদি আমলকির জুস খায় তাহলে এটা তাদের জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসবে।
  • আপনি যদি মানসিক চাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আমলকি খেতে পারেন। আমলকি খাওয়া হলে এটা দূর করবে আপনার মানসিক চাপ এবং বৃদ্ধি করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
  • শরীরের কোথাও যদি কেটে গিয়ে তাজা রক্তপাত হয় তাহলে এক্ষেত্রে সে স্থানে যদি আমলকির রস লাগানো হয় তাহলে খুব দ্রুততম সময়ের ভেতরে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।
  • যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগী আছেন তাদের জন্য আমলকি খাবার জরি মেলা ভার। আমলকি খাওয়া হলে এটা দূর করবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়াও ভূমিকা রাখবে পাইলসের সমস্যা কমাতেও।
  • আপনি কি এসিডিটি সমস্যায় ভুগছেন ? তাহলে এক গ্লাস পানি অথবা দুধের সঙ্গে আমলকির গুঁড়ো এবং চিনি মিশিয়ে দিনে ২ দুইবার খেয়ে নিন। তাহলে বুঝতে পারবেন আমলকির উপকারিতা কত।
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিদিন সকালে যদি আমলকি রসের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে এটা দূর করবে ত্বকের কালো দাগ এবং বৃদ্ধি করবে উজ্জলতা।
  • আমলকি খাওয়া হলে এটা আপনার ফুসফুসকে শক্তিশালী করবে এবং মস্তিষ্কের ও শক্তিবর্ধন করবে। আমলকির আচার কিংবা মোরব্বা খাওয়া হলে এটা মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা কমায়।
  • আপনার যদি বমি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আমলকির রসের সঙ্গে ছোট গোল মরিচ এবং মধু মিশিয়ে খেলে এটা আপনার বমি বন্ধ করবে।
  • আমলকি একটি টক জাতীয় ফল হওয়ার কারণে এর টক এবং তেতো মুখের স্বাদ বৃদ্ধি করবে এবং রুচি নিয়ে আসবে। আপনি যদি রুচি হীনতায় ভুগেন তাহলে মুখের রুচি বৃদ্ধি করার জন্য আমলকির গুলোর সাথে মিশাতে পারেন সামান্য কিছু মধু।
  • অনিদ্রা সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা এবং কফ সমস্যার কারণে আমলকি খেলে অনেক উপকার মিলে।
  • আমলকি এমন একটি ফল যা খাওয়া হলে শরীরের লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় আর যে কারণে দাঁত এবং নখ ভালো থাকে।
  • আমলকিতে উপস্থিত আছে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে ধরনের ভূমিকা পালন করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমলকির উপকারিতা কত।
আশা করছি আপনি এতক্ষণ জেনে গেছেন আমলকি খাওয়ার উপকারের দিকগুলো সম্পর্কে। এজন্য আপনি প্রতিদিন এক থেকে দুইটি আমলকি খেতে পারেন যা আপনার শরীরে অনেক উপকার নিয়ে আসবে। আপনি যদি আমলকির অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের অংশটি পড়ুন।

আমলকির  অপকারিতা

আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছিলাম আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। এতক্ষণ নিশ্চয় আপনি জেনে গেছেন প্রতিদিন কতটি আমলকি খাবেন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য আমলকি অনেক উপকারী হলেও এর রয়েছে কিছু অপকারী দিকও।

একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। তাই আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা আলোচনা করব আমলকির ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
  • যারা হার্টের রোগী আছেন তারা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি খেয়ে ফেলে তাহলে এটা শরীরে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এজন্য আপনারা যারা হার্টের রোগী আছেন তারা আমলকি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • আমলকি খাওয়া ভালো তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হলে এটা সিটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য আমলকি খাওয়ার আগে অবশ্যই এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
  • আমলকিতে রয়েছে ফাইবার যা অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আবার কখনো কখনো পায়খানা কষা করে তুলতে পারে।
  • সার্জারি সময়ে আমলকি খাওয়া একদমই ঠিক হবে না। এছাড়াও আপনারা যারা ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ সেবন করেন তারা অবশ্যই আমলকি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
  • আমলকি খাওয়া হলে এটা শরীরের তাপমাত্রা কম করে কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণ আমলকি খাওয়া হয়ে যায় তাহলে এটা অনেক সময় আমার শরীরের জ্বর সর্দি কাশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয় আপনি গেছেন আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে চুলের যত্নে আপনাকে উপকারিতা কি। চলুন তাহলে এ পর্যায়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসা যাক চুলের যত্নে আমলকির এসব উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে।

multiplebd-আমলকির -২০ -টি -উপকারিতা -ও -উপকারিতা -প্রতিদিন -কয়টা -আমলকি -খাওয়া- উচিত
  • চুলের ক্ষতি এড়াতে
  • পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে
  • চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে
  • কন্ডিশনার হিসেবে
  • চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণে
  • চুলের রং সংরক্ষণ
চুলের ক্ষতি এড়াতেঃ আমলকি এমন একটি ফল যেখানে উপস্থিত আছে ক্যালসিয়াম এবং ট্যানিন। যে কারণে চুল ঝরা সমস্যায় যদি করা হয় তাহলে খুব সহজেই চুলের ক্ষতি রুখতে পারে।

পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখতেঃ অনেকেই মাথার খুশকি সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। এর কারণ হচ্ছে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়া। আমলকিতে কলেজেন থাকার কারণে এটা চুলের ফলিকলে পুষ্টি যোগান দিতে পারে। আর এভাবেই মাথার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার মাধ্যমে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে।

চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতেঃ চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা অনেক কারণ আমলকির ভেতর উপস্থিত আছে ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়াও আমলকি তো উপস্থিত আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যেটা মাথায় রক্তে সঞ্চালনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে তোলা এবং খুব সহজেই চুল বাড়তে থাকে।

কন্ডিশনার হিসেবেঃ আমলকিতে যে ভিটামিন গুলো আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে ভিটামিন কি। এজন্য কন্ডিশনার হিসেবে শ্যাম্পু করার পর ব্যবহার করা যেতে পারে আমলকি। এছাড়াও অতিরিক্ত রুক্ষ এবং পাকা চুলের জন্য ব্যবহার করা হয় আমলকির তেল।

চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণেঃ চুলঝড়ার সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? তাহলে ব্যবহার করো আমলকির রস। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে যদি মাথাতে আমলকির রস ব্যবহার করা হয় তাহলে এটা খুব সহজেই কম করবে আপনার চুল পড়াকে। এছাড়াও হরমোন জনিত কারণেও যে চুল পড়ে থাকে সেগুলোর প্রতিরোধে হিসেবে কাজ করে আমলকি।

চুলের রং সংরক্ষণেঃ চুলের পাত্তিক রঙ ধরে রাখার জন্য আমলকির ছুরি মেলা ভার। আমলকি রস যদি চুলের গোড়াতে ব্যবহার করা হয় তাহলে তাহলে চুলের গরম মজবুত থাকবে এবং রং স্বাভাবিক থাকবে।

অমলকি খাওয়ার সঠিক সময়

অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে কোন সময় আমলকি খাওয়া ভালো। আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় কি। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা এ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। মূলত আমাদের খাদ্য মাসে সব কিছু খাওয়ার জন্য একটা সঠিক সময় আছে। চলুন তাহলে আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে আসি।

আমলকি খাওয়ার সব থেকে সঠিক সময় হচ্ছে খালি পেটে। খালি পেটে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। এছাড়াও দিনের যে কোন সময় ভরা পেটেও আমলকি খাওয়া যেতে পারে। আপনি দিনের যেকোনো সময়েই ১-২ টি আমলকি খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে যদি আমলকি খালি পেটে সকালে খাওয়া হয়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

রাতে আমলকি খেলে কি হয় 

আমরা এখন আলোচনা করব রাতে আমলকি খেলে কি হয় সেই বিষয় সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছেন যারা রাতে আমলকি খেয়ে থাকেন। তাই এ বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আর এতক্ষণ তো আমরা জেনে গেছি আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত।চলুন এবার জেনে সুযোগ রাতে আমলকি খেলে কি হবে সে বিষয় সম্পর্কে।

রাতে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আপনার ভালো ঘুমের সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া যাবেনা। শরীর থেকে ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং এসিডিটি ভাব কমায়। তবে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায় আমলকি যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া হয়। সারাদিনে আপনি ১-২ টি আমলকি খেতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

শুকনো আমলকির উপকারিতা

অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা আছে কিন্তু শুকনো আমলকি খেলে কোন উপকার হবে কি ? তাই আমরা ভেবেছি এ পর্যায়ে আপনাদেরকে জানাব শুকনো আমলকির উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
multiplebd-আমলকির -২০ -টি -উপকারিতা -ও -উপকারিতা -প্রতিদিন -কয়টা -আমলকি -খাওয়া- উচিত
  • রোগ প্রতিরোধ ও চাপ কমায়
  • পুষ্টি সমৃদ্ধ
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি
  • ব্লাডসুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
  • শরীর ঠান্ডা রাখতে
  • দৃষ্টিশক্তি উন্নতি
রোগ প্রতিরোধ ও চাপ কমায়ঃ শুকনো আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কম করে। এছাড়াও কফ এবং বমি সহ ব্যথা সমস্যার জন্য উপকারী।

পুষ্টি সমৃদ্ধঃ শুকনো আমলকি হচ্ছে ভিটামিন সি এর অন্যতম একটি উৎস। বিশ্ব করে বলছেন কমলালেবুর থেকেও ১৫-২০ গুণ বেশি ভিটামিন আছে এখানে। এজন্য শরীরে পুষ্টি দোকান দিতে এর অনেক উপকার আছে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ শুকনো আমলকি খাওয়া হলে এটা হজমে সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও কম করবে। পেটে বদহজম হলে একটা শুকনো আমলকি খেয়ে দেখুন উপকার বুঝতে পারবেন।

ব্লাডসুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ স্বপ্ন আমলকি খাওয়া হলে এটা ব্লাড সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরল লেভেলও ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

শরীর ঠান্ডা রাখতেঃ আপনি জেনে অবাক হবেন যে শুকনো আমলকি খাওয়া হলে এটা আপনার শরীর ঠান্ডা রাখবে এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি পেশিও মজবুত করবে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নতিঃ শুকনো আমলকির যতগুলো উপকারিতা আছে তার ভিতরে এটি একটি। আপনি যদি প্রতিদিন শুকনো আমলকি খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবে।

খালি পেটে আমলকি খেলে কি হয়/ খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। আমরা অনেকেই খালি পেটে আমলকি খেয়ে থাকি অনেকেই আবার জানে না খালি পেটে আমলকি খেলে কি কি উপকার মিলবে। আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা জানবো ।

খালি পেটে আমলকি খেলে কি হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে। প্রথমত খালি পেটে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করবে। খালি পেটে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা কোন ক্ষতি হবে না তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক এর উপকারিতা সম্পর্কে।

  • প্রথমত আমলকিতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান তাই আপনি যদি সকালে খালি পেটে আমলকি খান তাহলে দিনের শুরুতে সবগুলো পুষ্টি উপাদানগুলো পেয়ে যাচ্ছেন একসাথে।
  • খালি পেটে যদি আমলকির রস খাওয়া হয় তাহলে এটা পুষ্টির ভালো শোষণ হতে সাহায্য করে। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
  • খালি পেটে যদি আমলকি খাওয়া হয় তাহলে এটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ আমলকিতে আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • আমলকি যদি খালি পেটে খাওয়া হয় তাহলে এটা হজমের সাহায্য করবে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন গুলোকে বের করে দিবে।
  • আপনি যদি খালি পেটে আমলকির জুস পান করেন তাহলে এটা আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করবে এবং যা আপনার শরীরে ক্যালরির মাত্রা ঠিক রাখবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
  • অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন খালি পেটে যদি আমলকি রস খাওয়া হয় তাহলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি মিলে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কিছু কথা 

আপনি যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় জেনে গেছেন আমলকির উপকারিতা গুলো। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে দিনে আপনি দুইটি আমলকি খেতে পারেন। সব থেকে ভালো হয় সকালে যদি আমাকে খাওয়া হয়। আমলকি খাওয়া হলে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।

প্রিয় পাঠক,আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি আমলকির ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা -প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। আর্টিকেলটা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ আপনি যদি এ সকল তথ্যগুলো পেতে চান তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url