গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের অপকারিতা
সকালে আদা খাওয়ার উপকারিতা জানতে এখানে চাপ দিনআপনি কি জানতে চাচ্ছেন গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের
অপকারিতা কি ? তাহলে আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেলটি আলোচনা হয়েছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে। এছাড়াও আর্টিকেলটি পরে আপনি আরো
জানতে পারবেন তালের রসের উপকারিতা। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
আপনি যদি না জেনে থাকেন গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের
অপকারিতা সম্পর্কে তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে
তুলে ধরা হয়েছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র
অনেকে পাকা তাল খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাল কাঁচা অবস্থায় যদি কাঁচা তালের শাঁস
খাওয়া হয় তাহলে এটা শরীরের জন্য অনেক উপকার সাধন করবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায়
রয়েছে এর অনেক উপকারী দিক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস,
ভিটামিন, খাদ্যআঁশ ইত্যাদি। কিন্তু তালের শাঁস খেলে রয়েছে কিছু অপকারই দিকও। এসব
উপকারী এবং অপকারী দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।
তালের শাঁস কি
তালের শাঁসের উপকারের দিকগুলো জানার আগে চলুন তার আগে আমরা জেনে আসি তালের শাঁস
কি। সাধারণত গ্রামের মানুষ এটা ভালো চিনে থাকলেও শহরের মানুষ রা এটা ভালোভাবে
চিনে না। আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে পাটকেলটি পড়ে জেনে নিন। সাধারণত কাঁচা
তালের ভিতরে এক ধরনের সুস্বাদু এবং নরম জাতীয় কিছু অংশ পাওয়া যায় যাকে বলা হয়
তাল শাঁস।
তাল সাধারণত নরম কিংবা একটু সামান্য হালকা শক্ত ধরনের হয়ে থাকে। কেউ নরম শাঁস
খেতে ভালোবাসে তো কেউ আবার পছন্দ করে শক্ত খেতে। এটা খেতে সুস্বাদু এবং রয়েছে
অনেক পুষ্টিগুণ।
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে তার আগে চলুন আমরা জেনে আসি
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়া যাবে কি ? অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে
গর্ভাবস্থায় তাল শাঁস খেতে পারবে কিনা। আপনিও যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে
থাকেন তাহলে চিন্তার একদমই কারণ নেই। কারণ আর্টিকেলের এই অংশটি পড়লে আপনি
বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন ।
গর্ভাবস্থায় তাল শাঁস খাওয়া যায় কিনা। আপনি যদি প্রশ্ন করে থাকেন গর্ভাবস্থায়
তালের শাঁস খেতে পারবেন কিনা ? তাহলে এর উত্তর হবে হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস
খাওয়া যাবে। এতে করে তেমন কোন সমস্যা হবে না। কারণ তালশাঁস খেলে গর্ভবতী মায়ের
শরীরের যোগ হয় অনেক পুষ্টি উপাদান। এ তাল শাঁসের ভেতরে আছে অধিক পরিমাণে
সোডিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এর মতো উপাদান।
যা গর্ভকালীন সময়ে দূর করবে অনেক ধরনের সমস্যা। এছাড়াও গর্ভবতীর সময় যদি শরীর
দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে এই সময়ে যদি তাল চাষ খাওয়া হয় তাহলে শরীরে মিলে অনেক
এনার্জি। তবে গর্ভবতীর সময় যত সচেতন থাকতে হবে এজন্য আপনাকে আমি বলব, গর্ভকালীন
সময় যদি তাল শাঁস কিনে খেতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে ।
যেন ওই তালের শাঁসের ভেতরে কোন রাসায়নিক স্প্রেক না থাকে। তাল শাঁস খাওয়ার আগে
অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। আশা করছি আপনি বিস্তারিত
বিষয়গুলো জানতে সক্ষম হয়েছেন।
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলের প্রধান বিষয় ছিল গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা -
তালের শাঁসের অপকারিতা। অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভাবস্থায় তাল শাঁস খেলে কি
উপকার মিলবে। আপনার স্ত্রী অথবা পরিবারের কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তাহলে আজকের
আর্টিকেলের এই অংশ আপনার জন্য হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ
দিয়ে পড়তে থাকুন।
চলুন তাহলে প্রথমে আমরা জেনে আসি গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা কি।
গর্ভবতী কালীন সময়ে নারীদের যেমন পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় তেমনি বিরত থাকতে হয়
ক্ষতিকর খাবারগুলো থেকে। কারণ ওই সময় যদি খতকার এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
হয় তাহলে এটা গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
গর্ভকালীন সময়ে অনেকেরই বমি বমি ভাব হয়। আর এই সমস্যা সমাধান করতে তাল শাঁসের
রয়েছে অনন্য এক উপকারিতা। গর্ভকালীন সময়ে যদি তাল শাঁস খাওয়া হয় তাহলে শরীরের
এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই ই নয়, গর্ভকালীন সময়ে যদি তাল
শাঁস খাওয়া হয় তাহলে এটা গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনকে বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করে। তাই গর্ভকালীন সময়ে তাল শাঁস খাওয়া
হলে অনেক উপকার মিলবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত পরিমাণ
খাওয়া হলে এটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে যদি আপনি তাল শাঁস খেতে
চান তার আগে অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো হবে। আশা করছি
আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন গর্বঅবস্থায় তাল শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
তালের শাঁসের অপকারিতা
তালের শাঁসে যেমন অনেক উপকারী দিক আছে ঠিক তেমন কিছু অপকারি দিকও। আর একজন
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে যে বিষয়গুলো আপনার জানা উচিত। তালের শাঁসের এসব
অপকারিতা গুলো জেনে থাকলে আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার
বিস্তারিত জেনে আসা যাক তালের শাঁসের অপকারি দিকগুলো।
- তালের শাঁস খাওয়া ভালো কিন্তু যদি একসাথে খুব বেশি পরিমাণ খাওয়া হয় তাহলে এটা পেটকে গরম করে তোলে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা সৃষ্টি করে।
- খেতে সুস্বাদু হওয়ার কারণে একসাথে যদি মাপের বাইরে খাওয়া হয় তাহলে এটা বমি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত পরিমাণ না খাওয়াই ভালো হবে।
- তালের শ্বাসে উপস্থিত আছে অনেক পরিমাণ ক্যালরি। যে কারণে এটা অনেক সময় মানুষের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য তালের শাঁস এড়িয়ে চলাটাই ভালো। কারণ তালের শাঁসে আছে অনেক ক্যালোরি।
- আপনারা যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তারা তালের শাঁস খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য যারা কিডনি রোগী আছেন তারা যদি তালের শাঁস খেতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তারা যদি খেতে বলে তাহলে খেতে পারবেন।
- কিছু মানুষের তালের শাঁসে এলার্জি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তালের শাঁস খেলে যাদের এলার্জি সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে তালের শাঁস খাওয়া একদমই ঠিক হবে না।
তাল শাঁসের উপকারিতা
আর্টিকেলটি পরে আমরা জেনে গেছি গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের
শাঁসের অপকারিতা। কিন্তু শুধু গর্ভকালীন সময়েই না বরং তাল শাঁস খাওয়া হলে এটা
সবার জন্যই ভালো। চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি তাল শাঁসের উপকারিতা গুলো।
- তালের শাঁসের ভেতরে যে একটা জলীয় অংশ আছে এটা আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে অনেক সাহায্য করে।
- তালের শাঁসে উপস্থিত আছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের শরীরের হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে।
- এছাড়াও লিভারের সমস্যা সমাধান করতেও কচি তালেবর শাঁসে রয়েছে অন্যান্য এক উপকারী দিক।
- এতে যে ভিটামিন আছে এটা আমাদের দেশটির সবথেকে বৃদ্ধি করে। এজন্য তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
- কচি তালের শাঁস দারুন এক ভূমিকা রাখবে রক্তশূন্যতা দূরে করতেও।
- কচি তালে যে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স আছে এটা পানি পান করার তৃপ্তি থেকে আরও বৃদ্ধি করবে।
- যারা রুচিহীনতায় ভুগছেন এক্ষেত্রে যদি তালের শাঁস খাওয়া হয় তাহলে এটা খাবারের রুচি বৃদ্ধি করবে।
- তালের শ্বাসে আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম সহ অনেক উপাদান যা আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন তাহলে শ্বাস খাওয়ার উপকারিতা গুলো।
তালের শাঁস খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন তালের শাঁস খাওয়ার নিয়ম কি। তাই আজকে
আর্টিকেলের এই অংশে এসে আমরা জানবো তাহলে শাঁস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আর
আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন
গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের অপকারিতা সম্পর্কে
চলুন এবার জানা যাক তাহলে শাঁস খাওয়ার নিয়ম কি। তারের শাঁস খাওয়ার জন্য
নির্ধারিত ছকবাধা কোন নিয়ম নেই। আপনি চাইলে তালের শাঁস খালি মুখেও খেতে পারেন
অথবা শরবত করেও খেতে পারবেন। যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তাহলে শাঁস খেলে মিলবে
শরীরে অনেক উপকার। তাহলে সাহস খাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ।
তালের শাঁসের উপরে যে খোলস আছে এটা খুলে ফেলতে হবে। বড় তালের ভিতরে
সাধারণত ৩ টা করে তার শাঁস থাকে। আপনি খোলস ছাড়িয়ে এই অংশগুলো বের করে নিন
এবার আপনি খালি মুখেও খেতে পারেন অথবা শরবত বানিও খেতে পারেন। আপনি যদি শরবত
বানিয়ে খেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
এবার এর সঙ্গে কিছুটা ডাবের পানি এবং পরিমাণ মতো চিনি এবং লবণ দিয়ে এর সঙ্গে
যোগ করুন পরিষ্কার বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং কিছুটা বরফ কুচি। এই উপকরণগুলো দিয়ে
আপনি একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এবার এটা নামে গ্লাসে করে
খেয়ে ফেলুন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
তালের শাঁস কখন পাওয়া যায়
অনেকে জানেন না তালের শাঁসে পাওয়া যাবে কোন সময়ে। অনেকেই আবার অসময়ে গিয়ে
তালের শাঁস খোঁজ করেন। আপনি যদি তারের শাঁস খেতে চান তাহলে অবশ্যই এটা আপনাকে
সঠিক সময়ে খোঁজ করতে হবে। তাই আপনাদের এসব কথা চিন্তা করে এখন জানাবো তালের শাঁস
কখন পাওয়া যায়। আপনি যদি তালের শাঁস খেতে পছন্দ করেন তাহলে এই অংশটুকু আপনার
জন্যই।
তালের শাঁস পাওয়া যায় সাধারণত গ্রীস্মের শুরু সময় থেকে একদম শেষকালীন সময়
পর্যন্ত। অর্থাৎ এটা পাওয়া যায় বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের সময়ের ভিতরে। কিন্তু
অনেক সময় আবার তাল গাছের জাত ও আবহাওয়া ধরন অনুযায়ী এই সময়কালে একটু কম বেশি
হতে পারে। কখনো আবার ফাল্গুন মাসের শেষের দিকেও তালের শাঁস পাওয়া যেতে পারে।
কোন এলাকায় আবার এটা পাওয়া যায় শ্রাবণ মাসের শুরুর সময়েও। আপনি যদি তালের
শাঁস খেতে পারে তাহলে এটা শরীরের জন্য অনেক পুষ্টি উপাদান যোগ করবে। আশা করছি
আপনি বিস্তারিত জেনে গেছেন।
পাকা তালের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের অপকারিতা
সম্পর্কে তো আমরা এতক্ষণ জানলাম। কিন্তু শুধু তালের শাঁস না বরং পাকা তালের
উপকারিতাও অনেক। এখন আমরা জানবো পাকা তালের এসব উপকারের দিকগুলো সম্পর্কে। চলুন
তাহলে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- ফাঁকা তাল খাওয়া হলে এটাও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ক্ষুধা মন্দ সমস্যা কমায়।
- পাকা তাল দিয়ে অনেক ধরনের পিঠা, পায়েস ও পুডিং তৈরি করা হয় যা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
- পাকা তাল খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরেরর ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- পাকা তাল খাওয়ার যত উপকারিতা আছে তার ভেতরে একটি হচ্ছে এটা আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো করতে সাহায্য করে ভূমিকা রাখে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এজন্য আপনি তাল খেতে পারেন।
- পাকা তালের ভেতরে আছে প্রোটিন ফাইবার খনিজ ও ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ
অনেকেই তালে শাঁস খেতে অনেক পছন্দ করলেও জানেন না এর পুষ্টিগুণ। আবার অনেকেই
রয়েছেন যারা তালের শাঁস খেতে পছন্দ করেন না। তারা যদি এ সকল পুষ্টি গুণ জেনে
থাকেন তাহলে হয়তো তালের শাঁস খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন । তাই এখন আমরা জানব
তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ। নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন গর্ভাবস্থায় তালের
শাঁস খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের অপকারিতা।
নিচে তালের শাঁসের পুষ্টিগুণগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে -৮৭ কিলোক্যালোরি রয়েছে
- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ হচ্ছে -৮ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম আছে -২৭ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস এর পরিমাণ -৩০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি এর পরিমাণ -৫ মিলিগ্রাম
- কার্বোহাইড্রেটস আছে -১০.৯ গ্রাম
- খাদ্যআঁশ আছে -১ গ্রাম
- এছাড়াও আছে থায়ামিন -০.৪গ্রাম
- লৌহ এর উপস্থিতি -১ মিলিগ্রাম
- জলীয় অংশের পরিমাণ আছে -৮৭.৬গ্রাম
তালের রসের উপকারিতা
আর্টিকেলের শুরু থেকে যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন
তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা গুলো। এর পাশাপাশি তালের রস খাওয়া হলে শরীরে
মিলবে কিছু উপকার। অনেকে তালের রস খেতে খুব পছন্দ করেন। চলুন এবার জানা যাক
তালের রসের উপকারিতা সম্পর্কে।
- ভিটামিন বি অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এর রয়েছে অনন্য এক ভূমিকা।
- তালের মিষ্টি রস থেকে তৈরি হওয়া তার নিচের আমাদের সর্দি কাশি এবং বিভিন্ন ধরনের ঝকৃতের সমস্যা নিরাময় করার জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
- ডায়রিয়া কালীন সময়ে যদি তালের রস খাওয়া হয় তাহলে এটা পানি শূন্যতা রোধ করবে এবং ডায়রিয়াকে ভালো করবে। এর কারণ হচ্ছে তালের রসের ভেতরে উপস্থিত আছে ইলেক্ট্রোলাইট।
- তালের রসের ভেতরে উপস্থিত আছে পটাশিয়াম যা আমাদের রক্তচাপ কমাবে।
- তালের রস হচ্ছে একটি মৌসুমী ফল তাই এটা যদি আমরা নিয়মিত স্বাভাবিকভাবে খেতে পারি তাহলে এটা আমাদের চেহারাকে আরে বেশি উজ্জ্বল করে তুলবে।
- তালের রসে উপস্থিত আছে অনেক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে।
- যারা শারীরিকভাবে খুব বেশি পরিশ্রম করে তাদের জন্য তালের রস খুব উপকারী। তালের রস খাওয়া হলে এটা ক্লান্তি বোথ কমাবে এবং সতেজতা নিয়ে আসবে।
গরমে তালের শাঁসের যত উপকারিতা
গরমে তালের শাঁসের অনেক উপকারীর দিক আছে। এই তীব্র গরমে যেসব ফল আমাদের শরীরে
ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তার ভিতর একটি অন্যতম হচ্ছে তালের শাঁস। অনেকেই আবার
তালের শাঁস ফ্রিজে রেখে একটু ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। চলুন আমরা এখন জেনে
আসি গরমে তাহলে শাঁসের উপকারি দিকগুলো।
- গরমে যদি তালের শাঁস খাওয়া হয় তাহলে এটা শরীরে অনেক শক্তি যোগাবে এবং তাপমাত্রাকে কম করবে। এতে করে ভেতর থেকে শরীর অনেক ঠান্ডা থাকবে।
- অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভুগছে যদি এই তালের শাঁস খাওয়া হয় তাহলে এটা লিভারের সুরক্ষাতে অনেক ভালো কাজে দিবে।
- গরমের সময় খুব সহজে পানির শূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য তালের শাঁস খাওয়া হলে এটা আমাদের পানি শূন্যতা দূর করবে। কারণ এর ভেতরে যে জলীয় অংশ রয়েছে এটা আমাদের পানির অভাব দূর করবে।
- গরমের সময় খুব সহজে ত্বক শুষ্ক হয় এবং মাথা থেকে চুল পড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। এজন্য যদি তালের শাঁস খাওয়া হয় তাহলে এটা শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষের ক্ষয় রোধ করবে। এবং এ সকল সমস্যার সমাধানে কাজ করবে।
- শরীরকে আদ্র রাখতে তালের শাঁসে আছে অনন্য এক ভূমিকা। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ না খাওয়াই ভালো। এতে করে সমস্যা হতে পারে।
- তালের শাঁস খাওয়া হলে একটা পেটে জ্বালাপোড়া কমাবে। এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করতেও এর রয়েছে তা অনেক ভূমিকা।
আমাদের মতামত
আমাদের শরীরের জন্য তালের শাঁস উপকারী। কারণ এতে থাকা উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপকার সাধন করে। তবে তালের শাঁস খাওয়া হলে যাদের
সমস্যা সৃষ্টি হয় তাদের ক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো এবং খাওয়ার পূর্ব চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। তালের শাঁস খাওয়ার পূর্বে খেয়াল রাখবেন এর উপরে যেন
কোন রাসায়নিক স্প্রে না থাকে।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছিলাম গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস
খাওয়ার উপকারিতা - তালের শাঁসের অপকারিতা। আমি আশা করছি আপনি এ বিষয়গুলো
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে
কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন।
আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য সেবা গুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multipelbd.com ওয়েবসাইটটি।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ
থাকবেন দেখা হবে আবারও কোন বিষয় নিয়ে। আসসালামু আলাইকুম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url