পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জানতে এখানে চাপ দিনআজকে আমরা আলোচনা করব পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়।
আপনি যদি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তার নয় আজকের আর্টিকেলে আপনি আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের
অভাবে নখের সমস্যা হয়।চলুন তাহলে জেনে আসা যাক।
আমাদের সবার ই পায়ের কুনি পাকতে পারে। তাই জানতে হবে পায়ের কুনি পাকা সমস্যার
সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে
আসা যাক আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
ভূমিকা
মানুষের অসচেতনতা কিংবা অবহেলা জনিত কারণে পায়ের কুনি ফাটার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও
এর পেছনে আছে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে। তাই আপনি যদি আপনার পায়ের কোনে পাকায়
সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান তাহলে কি কি করা লাগবে এ বিষয়ে গুলো জানতে আজকের এই
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমি আশা করছি যে আপনি যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে এ বিষয়ে সম্পর্কে
জানতে আপনাকে আর কোথাও খোঁজ করতে হবে না।
পায়ের কুনি কেন ফাটে
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়
সম্পর্কে। চলুন তাহলে তার আগে আমরা জেনে আসি পায়ের কুনি কেন ফাটে। আপনি যদি
পায়ের কুনি ফাটার এ সকল কারণগুলো জেনে থাকেন তাহলে সতর্ক থাকতে পারবেন এবং
পায়ের কুনি পাকা সমস্যা থেকে নিজেকে সচেতন রাখতে পারবেন ।
চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে আসি পায়ের কেন ফাটে। সাধারণত সঠিকভাবে যত না
নেওয়ার কারণে ও পায়ের কোণে ফেটে থাকে। আমরা যেভাবে আমাদের শরীরের যত্ন নিয়ে
থাকে সেভাবে কিন্তু আমরা পায়ের যত্ন নিই না যে কারণে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি
হয়। পায়ের কুনি পেকে গেলে খুব ব্যথা হয়ে থাকে।
দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় ধরে যদি আপনার পায়ের কুনি পেকে থাকে তাহলে একসময় এটা
মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এটা নিয়ে মোটেও অবহেলা করা যাবে না। চলুন তাহলে
আমরা এবার বিস্তারিতভাবে জেনে এসে পায়ের কুনি কেন ফাটে।
- সাধারণত গরমের সময় একটু বেশি ঘামের তৈরি হয়। আর এই সময়ে পায়ের ঘামের জন্য তৈরি হতে পায়ের কুনি পাকা সমস্যা।
- অনেক সময় আবার পায়ের কোনিতে যখন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়ে থাকে এর কারণেও পায়ের কুনি পাকতে পারে পারে।
- শীতকালে সবসময় যদি পায়ে মোজা ব্যবহার করা হয় তাহলে এই কারণেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- অনেকেই আবার এমন রয়েছেন যারা একটু বেশি টাইট জুতা পরার অভ্যাস রয়েছে। এটাও কিন্তু কারণ হতে পারে পায়ের কুনি পাকার।
আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন পায়ের কেন ফাটে। এই সমস্যার চাঁদ
সাধারণত গরমের সময় বেশি দেখার দায় তাই এই সময় নিজের পা বেশি বেশি করে পুরস্কার
রাখুন। প্রতি সপ্তাহে একবার করে হলেও পায়ের খুনি ছোট করে কেটে ফেলুন। অনেকেই এমন
আছে যারা পছন্দ করে পায়ের কোনি বড় রাখতে কিন্তু এটা মোটেও ঠিক না।
এতে করে পায়ের কোনি পাকা সমস্যা আরো বাড়তে পারে। আপনি যদি পায়ের কুনি পাকা
সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন তাহলে এর সমাধান পেতে চাইলে আর্টিকেলের নিচের অংশটুকু
পড়ুন। কারণ নিচের অংশে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান
আপনি কি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না ? এর সমাধান পেতে চান ? তাহলে একজন জায়গা মত এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব পায়ের কুিন পাকার এসকল সমস্যার সমাধান গুলো নিয়ে। পায়ের কুনি পাকা এর পায়ের কুনি পাকা এটা খুব গুরুতর রোগ না হল কিন্তু অনেক কষ্টকর।
দীর্ঘদিন যাবত যদি এটি হয়ে থাকে তাহলে কখনো কখনো আবার এটি অনেক সময় মারাত্মক ধারণ করতে পারে। তাই অবশ্যই জানতে হবে খুনী পাকার এই সমাধান গুলো। আপনি যদি পায়ের কুনি পাকা দূর করতে চান তাহলে নিচের উপায় গুলো অবলম্বন করুন।
- খোলামেলা জুতাঃ পায়ের কোনি পাকা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খুব বেশি টাইট ফিটিং জুতার না পড়ে চেষ্টা করুন খোলামেলা জুতা পড়ার। কারণ হচ্ছে বি খুব বেশি আর্সাট ফিটিং জুতার পরলে এটা খুব সহজেই পায়ের কুনিকে এক সাইড থেকে খুব চাপ দিয়ে থাকে। এবং খুব সহজেই পায়ের কোণে পেকে যায় এবং লাল হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি সাইজের ছোট জুতা ব্যবহার না করে পারফেক্ট সাইজের জুতা পড়ুন।
- এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানঃ পায়ে যদি ঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হয় তাহলে এই কারণে পায়ে ঘাম জমতে থাকে আর এক সময় ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আক্রমণ করে থাকে। আর যে কারণে এক সাইড থেকে পায়ের কোণে পেকে যায় এবং অনেক ব্যথা অনুভূত হয়। যে কারণে ব্যবহার করতে হবে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করার ফলে খুব সহজে ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। তবে হ্যাঁ এর পাশাপাশি আপনাকে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে পায়ের যত্ন নিতে হবে।
- গরম পানিঃ আপনি নিশ্চয় জানেন গরম পানি প্রদাহ দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য পায়ের কুনি যদি পেকে থাকে তাহলে স্মরণীয় তাপমাত্রা তে পানি গরম করে সেখানে পা চুবিয়ে রাখুন দেখবেন ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। এজন্য আপনার পায়ের খুনি পাকা সমস্যা দেখা দিলে গরম পানির ভেতরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে কুনি পাকা সমস্যা সমাধান হবে এবং ব্যথাও কমবে।
- তোলা এবং পাতলা কাপড়ঃ আপনার পায়ের যে অংশের কুনি পেকেছে এটা তুলে ফেলবেন। এজন্য আপনি ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্মরণীয় তাপমাত্রায় গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর কোন কিছুর সাহায্যে মাংসের উপর থেকে এই কুনি তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। এবার সেখানে তোলা অথবা পাতলা কাপড় দিয়ে রাখুন। দেখবেন কুনিটি মাংসের ওপর থেকে উঠে আসছে। এভাবে আপনি খুব সহজেই পায়ের আক্রান্ত কুনি কেটে ফেলতে পারবেন।
- অলিভ অয়েলঃ কুনি পাকা রোগ সমস্যার সমাধান করতে অলিভ অয়েল তেল খুব ভালো কাজে দেয়। এছাড়াও এটা ব্যথা কমাবে এবং যন্ত্রণা দূর করবে। ২ চামচ অলিভ অয়েল তেলের সাথে ২ চামচ পাতি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং নখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার সমস্যা সমাধান হবে।
নখ ফেটে গেলে করণীয়
পায়ের কুনি পেকে থাকলে যেমন অনেক সমস্যা হয় তেমনি আবার এর সাথে যদি নখ ফেটে
যায় তাহলেও বেশ কষ্ট পেতে হয়। তাইতো আমরা আপনাকে জানাচ্ছিলাম পায়ের কুনি
পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের এই অংশে
আমরা জেনে নিই নখ ফেটে গেলে করণীয় কি।
- পরিষ্কার কাপড় লাগানোঃ সাধারণত নখের গড়তে রক্ত চলাচল অনেক বেশি হওয়ার কারণে যখন উপড়ে যায় তখন অনেক রক্তপাত হয়। তাই এই সময়ে না ঘাবড়ে প্রথমে পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে আপনার ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। আপনার বাসায় যদি আইসপ্যাক থাকে তাহলে এটা এখানে লাগিয়ে রাখুন। এতে রক্তনালী সংকচিত কম হয়। যদি নক পুকুরে যায় তাহলে নিয়মিত কিছুদিন এখানে ড্রেসিং করুন তাহলে কত স্থান খুব সহজেই শুকিয়ে যাবে।
- ভিটামিন ডি ক্যাপসুলঃ আপনি যদি পায়ের যে কোন প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেতে পারেন। তবে আপনার বয়স যদি ১৫ এর কম হয়ে থাকে তাহলে এটা খাবেন না। ১৫ বছরের বেশি হয়ে থাকলে এই ক্যাপসুলটি সেবন করুন। অনেকদিন ধরে যদি শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতে হয় তাহলে শরীর খুব সহজেই দুর্বল হয়। পায়ের নখ যদি ফেটে যায় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেলে পায়ের নখ সমস্যা সমাধান হবে।
- ভ্যাসলিনঃআপনার যদি পায়ের নখ ফেটে যায় তাহলে প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভেসলিন দিয়ে খুব ভালো হবে ম্যাসাজ করুন। ভ্যাসলিন ব্যবহার করলে এটা খুব সহজেই যে কোন প্রকার ক্ষত খুব দূত সারাতে। তাই আপনিও ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন এতে করে খুব সহজেই আপনার ব্যথা কমবে এবং নক স্ট্রং হবে।
- চিকিৎসকের কাছে যাওয়াঃ বিভিন্ন সময় নখ কেটে গেলে অনেক রক্তপাত হয় এবং ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনাকে ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন নিতে হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
কুনি পাকা রোগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন যে কুনি পাকা রোগ দূর করার ঘরোয়া উপায় কি।
তাই আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা আলোচনা করেছি ঘরোয়া উপায়ে কুনি পাকা রোগ
দূর করার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।আর নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন পায়ের কুনি
পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয় সম্পর্কে।
যেভাবে কুনি পাকা রোগ দূর করবেন ঘরোয়া উপায়ে-
- নারিকেল তেলঃ আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে কুনী পাকা রোগ দূর করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে নারিকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে নেওয়া। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে যেখানে আপনার কোন প্যাকেছে সেই অংশ এবং তার আশপাশের ব্যথাযুক্ত স্থানে ভালো করে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। এভাবে লাগিয়ে রাখার মিনিট 30 পরে আপনি ভালো কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করে সে স্থানটি ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে এবং কোন কুনি পাকা রোগ থেকে মুক্তি ও পাবেন।
- রসুনঃ আপনি নিশ্চয়ই জানেন রসুন এন্টিফাঙ্গল হিসেবে কাজ করে থাকে যা রোধ করবে আপনার পায়ের নখের ফাঙ্গাস এজন্য আপনি রসুন কুচি কুচি করে কেটে তা একটু ক্ষেত্রে করে নিন। এগুলোকে এবার হালকা গরম পানির ভেতরে দিন। আপনার পায়ের যে অংশে কুনি পেকেছে তা এ পানির ভেতরে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন।
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ আপনার যদি কুনি পাকা রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনি তা সারানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। তাছাড়া এটি ব্যবহার করার ফলে হাত এবং পায়ের নখও থাকে সুরক্ষিত। এজন্য আপনাকে ২ থেকে ৪ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং এর সঙ্গে যোগ করুন ২ চা চামচ পানি।প্রথমে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং পানির ভালো করে মিশ্রিত করুন। এবার আপনার যে অংশে ব্যথা আছে অর্থাৎ কুনি পেকেছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এবার আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। এভাবে দিনে যদি দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যায় তাহলে খুব সহজেই আপনি কুনি প্রকার রোগ থেকে ভালো হবেন।
- হলুদঃ হলুদ রোগ প্রতিকার এবং প্রতিরোধক হিসেবে ভালো কাজ করে। এছাড়াও একটি একটি অ্যান্টাসেপটিক এর উপাদান। সামান্য কিছু পানির ভিতরে এক চা চামচ হলুদের গোড়া মিশে তা আক্রান্ত স্থানে ২ থেকে ৩ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এবার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
- মাউথ ফ্রেশনারঃ মাউথ ফ্রেশ নারে আছে লিস্টার এবং ভিনেগারের রয়েছে ছত্রাক। এ দুইটি মিশ্রণ একসঙ্গে যদি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা হয় ৩০ মিনিট ধরে তাহলে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে কুনিপাকা রোগ থেকে।
- বেকিং সোডাঃ আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে কুনি পাকা রোগ দূর করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। লোক এবং এর আশপাশে থাকা ইনফেকশন গুলোকে দূর করতে রয়েছে এর অনন্য এক ভূমিকা। প্রথমে ভালো করে পা পরিষ্কার করে নিয়ে তা ভালো করে মুছে নিয়ে এর ওপরে আপনি বেকিং সোডা এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ১৫-২০ মিনিট তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনি একটা গামলার ভেতরে কিছু পরিমাণ ঠান্ডা পানি যোগ করে তার সাথে দুই চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে আক্রান্ত পা সেখানে ভিজিয়ে রাখতে পারেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এতে করে খুব সহজেই আপনার কুনি পাকা রোগ দূর হবে।
- মাথা যন্ত্রণার বামঃ মাথা যন্ত্রণার বাম কথাটি নিশ্চয়ই আপনার কাছে খুবই পরিচিত। মাথা যন্ত্রণা করলেই সাধারণত আমরা এটা ব্যবহার করি। মাথা যন্ত্রণার বাম আপনি ব্যবহার করতে পারেন কুনি পাকা রোগ দূর করতেও। খুনি পাকার রোগ দূর করতে এই মাথা যন্ত্রণার বাম এর জুড়ি মেলা ভার। এজন্য আপনার কুনি পাকা নখে ভালো করে বাম লাগালে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়
আমরা জেনেছি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়। কিন্তু আমরা
অনেকেই জানিনা কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়। যে বিষয়টা সম্পর্কে
অবশ্যই আমাদের জানা উচিত। তাই আমরা চিন্তা করেছি আজকের আর্টিকেলে এই অংশে
আপনাদের জানাবো কোন ভিটামিনের অভাবে নখের সমস্যা হয়। চলুন তাহলে জেনে আসে যাক।
আমাদের শরীরে যখন ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় তখন শরীরের সৃষ্টি হয় অনেক ধরনের
সমস্যা। যেমন ধরুন শরীরের যদি ভিটামিন সি এর ঘাটতি হয় তাহলে এর ফলে ত্বক পুষ্প
হয় এবং অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব
হয় তখন পায়ের নখের সমস্যা হতে পারে এবং এটা কালচে আকার ধারণ করে ।
কখনো কখনো আবার সৃষ্টি করে কুনি পাকা সমস্যা। অনেকেই আবার বলছেন শরীরে যখন
ভিটামিন এ এর অভাব হয় তখন সৃষ্টি হতে পারে নখের ফাটল এর মত সমস্যা। এজন্য
অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ
খাবার গুলো হচ্ছে -কমলা, মাশরুম, সজনে পাতা, সয়াবিন, গরুর দুধ, ডিমের কুসুম
ইত্যাদি।
এছাড়াও শরীরে যখন আয়রনের ঘাটতি এবং ভিটামিন বি ৭ এর ঘাটতি থাকে তাহলে সৃষ্টি
হতে পারে নখের সমস্যা। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার নখ ফেটে যেতেও পারে। তাই আপনার
ক্ষেত্রেও যদি এ সকল সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভিটামিন সময় তো খাবার খান
এবং কিভাবে আপনি এগুলো থেকে মুক্তি পাবেন তা জানতে চাইলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে
প্রথম থেকেই শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
পায়ের কুনি পাকা রোগের লক্ষণ
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জেনেছি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার সমাধান-নখ
ফেটে গেলে করণীয়। আর্টিকেলের এই পর্বে আমরা জানবো পায়ের কুনি পাকা রোগের
লক্ষণ। আপনার শরীরে যদি এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার
পায়ের কুনি পেকেছে। কিংবা আপনার পায়ের কুনি পাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন
তাহলে আমরা এবার এই লক্ষণ গুলো জেনে আসি।
- যখন দেখবেন হঠাৎ করে আপনার নখের চারপাশের অংশ ফুলে যাচ্ছে তাহলে বুঝে নিবেন আপনার পায়ের কুনি পেকেছে।
- নখের চারপাশে ব্যথা অনুভূত হবে। হাত পায়ের কুনি পাকা রোগের এটাও একটা লক্ষণ
- হঠাৎ করে নখের যে চকচকা ভাব ছিল সেটা নষ্ট হয়ে যাবে এবং উজ্জ্বলতা থাকবে না।
- আপনার নখের রং যখন পরিবর্তন হবে এবং থেকে ফ্যাকাসে ভাব হবে তাহলে বুঝতে হবে পায়ের কুনি পেকেছে অথবা পাকার সম্ভাবনা আছে।
- নখের চারপাশের অংশ যখন ফুলে যাবে। এটা একটা লক্ষণ কুনি পাকা রোগের।
- খেয়াল করে দেখবেন আপনার পায়ের নখের যে আকার রয়েছে তা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এটাও একটা লক্ষণ হতে পারে।
পায়ের কুনি পাকা রোগের ঔষুধ
অনেকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন পায়ের কুনি পাকা রোগের ঔষুধ কি কি। তাই এখন
আমরা জানাবো পায়ের কুনি পাকা রোগের এই ওষুধগুলো সম্পর্কে। আপনার পায়ে যদি
কুনি পাকে তাহলে কিভাবে সেটা ঘরোয়া উপায় সমাধান করবেন এবং সেটা জানতে
আর্টিকেলটি উপরের দিকে পড়ুন। এগুলোর পাশাপাশি আপনার প্রয়োজন পড়বে ওষুধের।
তাহলে চলুন আমরা জেনে আসি এই ওষুধগুলো সম্পর্কে।
- মাইক্রো ফ্রেম ১% ক্রিমঃ SkF ফার্মাসিটিক্যাল এর তৈরি এই ক্রিমটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন কুনি পাকা রোগ দূর করার জন্য। এটা ব্যবহার করার ফলে খুব সহজেই আপনার সমস্যা সমাধান হবে।
- টারবিন ১% ক্রিমঃ এই ক্রিম ব্যবহার করা হলে এটা নখের খুনি পাকা রোগ দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এই ক্রিমটির বাজার মূল্য হতে পারে ৯০ টাকা কিংবা তার থেকে একটু কম বেশি।
- ফিনট্রিক্র ১% ক্রিমঃ আপনি যদি পায়ের কুলি পাকা রোগ দূর করতে চান তাহলে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব এই ক্রিমটি ব্যবহার করার জন্য। এটা ব্যবহার করা হলে তা খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এবং ইনফেকশন এর জন্য ভালো কাজে দিবে।যে কারণে পায়ের কুনি পাকা রোগ দূর হবে।
- টেবিনা ১% ক্রিমঃ আপনি যদি হাত অথবা পায়ের উনি পাকা রোগ দূর করতে চান তাহলেই ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি। এই গেমটি যদি আপনি ভালোভাবে নিয়মিত নির্ধারিত নিয়মের ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব উপকার পাবেন।
- টেরবিডার্ম ১% ক্রিমঃ আপনি কি পায়ের নখের কুনি পাকা দূর করতে চান ? তাহলে ট্রিটমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিমটি। আপনি যদি চিকা শিকার পরামর্শ অনুযায়ী এই ক্রিমিটি ব্যবহার করুন তাহলে খুব সহজেই আপনার কুনি পাকা রোগ দূর হবে।
আমাদের পরামর্শ
আর্টিকেলটি পাড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কিভাবে কুুনি পাকা সমস্যার
সমাধান করবেন। কুনি পাকা সমস্যা যাতে না হয় এজন্য আপনি টাইট আটশাট জুতা
ব্যবহার না করে নির্ধারিত সাইজের জুতা ব্যবহার করুন। খুব ভালোভাবে পায়ের
যত্ন নিন এবং সপ্তাহে একবার হলেও পায়ের নখ কেটে ফেলুন। আশা করছি আপনি
ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি পায়ের কুনি পাকা সমস্যার
সমাধান-নখ ফেটে গেলে করণীয়। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি আপনার
ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং এ সমস্ত তথ্যগুলো পেতে
নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multiplebd.com
ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url