কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা জানতে এখানে চাপ দিনআপনি কি জানেন কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত। এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই অবশ্যই আপনার অজানা এ তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 
multiplebd-কৃষি -ব্যাংক -লোন -পদ্ধতি- কৃষি -ব্যাংক- লোন -ইন্টারেস্ট -রেট
এজন্য আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিবেন। তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভূমিকা 

এমন অনেক কৃষক আছেন যারা অনেক হতদরিদ্র এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকার কারণে ঠিকভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারে না। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে কিসি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে। আপনিও যদি এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকেন তাহলে কৃষি ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিবেন এবং এটার সুদ কত হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়েই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট

আর্টিকেলটি পরে আমরা জানবো কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট। যে ধরনেরই লোন নেওয়া হোক না কেন লোন নেওয়ার পূর্বে আমাদের মাথায় চিন্তা আসে যে এটার ইন্টারেস্ট রেট কত হবে। এজন্য আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জানা উচিত কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে।


যা আপনি জানতে পারবেন আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসে যাক। সাধারণত কৃষি ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হয়ে থাকে ৩ টি মাধ্যমে। এজন্য কৃষি ব্যাংক লোন এর ইন্টারেস্ট রেট এর ধরন রয়েছে। কৃষি ব্যাংক এর স্বল্প মেয়াদি লোন মধ্য মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদি লোনের জন্য ইন্টারেস্ট ভিন্নভাবে প্রদান করা হয়।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা এখন এ বিষয়গুলো নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করব। কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো।

স্বল্প মেয়াদী ঋণ এর সুদের হার

কৃষি ব্যাংকের স্বল্প মেয়াদী ঋণ দিয়ে শস্য খাতের রিংসমূহ বাস্তবায়িত করা হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তির যদি কিছু পরিমাণ জমি থাকে তাহলে সেই জমিতে ফসল করার জন্য কৃষি ব্যাংক স্বল্প মেয়াদি ঋণের আওতাতে কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে। এর ঈদের মেয়াদকাল হয়ে থাকে ১ বছর থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত।

কৃষকগণ ঢাল, বাদাম, সবজি, আমুন ধান চাষ,ভুট্টা, মৎস্য চাষ, বারোধান, সরিষার তেল, গম, আলু ইত্যাদি সকল ফসলের আবাদ করার জন্য নিতে পারবে স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে এই সর্বমেরা দিয়ে নিতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে কোনো প্রকার জামিনদার প্রয়োজন হয় না। কৃষি ব্যাংক এর এই স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদের হার ৮% হারে নিয়ে থাকে।

মধ্যম মেয়াদী ঋণ এর সুদের হার

কৃষি ব্যাংকের মধ্যম মেয়েদের আওতায় আছে গরুর খামার, পুকুরের মৎস্য চাষ, ফলবাগান, গ্রামীণ যানবাহন, খামার যন্ত্রপাতি,কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে মেয়েদি ঋণ দিয়ে থাকে। কৃষি ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি ঋণ এর সুদ যেমন ভিন্ন ঠিক তেমনি মধ্যম মেয়াদি লোনের ক্ষেত্রেও ইন্টারেস্ট এর কিছুটা পার্থক্য আছে।

কৃষি ব্যাংকের এই মধ্যম মেয়াদি ঋণ নিতে হলে অবশ্যই কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র দরকার হতে পারে। এজন্য বন্ধুত্ব কর্মচারীর সঙ্গে কাগজপত্র বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। মধ্যম মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে যেগুলো শস্য খাতের ভেতরে পড়ে এগুলোর জন্য ইন্টারেস্ট ৮% আর যেগুলো শস্য খাতের বাইরে পড়ে এমন খাত গুলোর ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট রেট ৯ শতাংশ হয়ে থাকে।

দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের সুদের হার

আপনি তো এতক্ষণ জানলেন স্বল্প মেয়াদী এবং মধ্যম মেয়াদী দিনের সুদের হার সম্পর্কে। চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে আসি কৃষি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার সম্পর্কে। তবে তার আগে আপনাকে জানিয়ে রাখি দীর্ঘ মেয়াদি খাত গুলোর ভেতরে আছে রাবার চাষ, বড় পরিষরে গবাদি পশুর খামার, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কৃষি ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করার জন্য ৫ বছর সময় দিয়ে থাকে। তবে সময়কালের ভিত্তিতে এখানে ঋণের সুদের হার কম অথবা বেশি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এর ক্ষেত্রেও ইন্টারেস্ট হিসেবে যেগুলো শস্য খাতের ভেতরে আছে এগুলোর জন্য ৮% এবংশস্য খাতের বাইরে হয়ে থাকলে ইন্টারেস্ট রেট নিয়ে থাকে ৯%।

কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি

আপনি যদি জানতে চান কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। চলুন প্রথমেই আমরা জেনে নিই কৃষি ব্যাংকের লোন পদ্ধতির সম্পর্কে বিস্তারিত। কৃষি ব্যাংক সাধারণত যারা গ্রাম অঞ্চলের কৃষক বিভিন্ন চাষ যেমন মৎস কিংবা শস্য অথবা গবাদি পশুর খামার ইত্যাদি করার জন্য লোন দিয়ে থাকে।

এমন অনেক কিছু করে রয়েছেন যারা অর্থের অভাবে বিনিয়োগ করতে পারে না, এমন কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি ব্যাংক চালু করছে কৃষি লোন পদ্ধতি।আপনি যদি কৃষি ব্যাংকের লোন করতে চান তাহলে আপনি তিনটি উপায়ে লোন করতে পারবেন । এগুলো হচ্ছে স্বল্প মেয়াদী,মধ্যম মেয়েদের ঋণ এবং দীর্ঘমেয়াদি। কৃষি ব্যাংক থেকে এই তিন ধরনের লোন করতে পারবেন।

এই ঋণ পরিশোধ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময়কাল থাকতে পারে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটো দরকার হবে। কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সে উপজেলার বা জেলার যে কৃষি ব্যাংক আছে সেখানে উপস্থিত হতে হবে।

তার আগে অবশ্যই আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন মেয়াদি ঋণ নিতে চাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনি যদি ব্যাংকে নিয়োগ কর্মকর্তার সাথে রিম্পার জন্য প্রয়োজনীয় সত্যগুলো পূরণ করেন তাহলে ঋণ পেয়ে যাবেন। আপনি যদি জানতে চান কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য কোন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন তাহলে নিচের অংশটা পড়ুন।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা

কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ কিভাবে পাওয়া যাবে এটা জানার সাথে সাথে আপনাকে জানতে হবে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতা থাকা লাগবে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে চান তাহলে যে যোগ্যতা গুলো থাকা লাগবে তা পয়েন্ট আকারের নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই  একজন কৃষক হতে হবে। আপনি যদি কৃষক না হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিসে কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন এরকম দলিল প্রমাণ দিতে হবে।
  • জন্মসূত্রে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং বয়স সীমা হতে হবে 21 বছরের বেশি।
  • এর আগেও যদি আপনি কখনো কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তা পরিষদ না করে থাকেন তাহলে আপনি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
  • থাকার মত যদি আপনার আবাসস্থল অর্থাৎ ঘরবাড়ি যদি না থাকে তাহলে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারবেন না। এর কারণ হলো পূর্বে আপনি জর্জরিত আছেন ঋণের ভেতরে।
  • কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এ টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতা থাকতে এবং এরিন পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে। আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করার ক্ষমতা আছে এবং নমিনের ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য আছে এরকম প্রমাণ এখানেই দাখিল করা লাগবে।
আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে চান তাহলে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে চলুন এখন আমরা সেইগুলো সম্পর্কে জেনে আসি। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশটুকু পড়ুন।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট জানার পরে আপনি যদি লোন নিতে আগ্রহী হন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আজকের আর্টিকেলের এই পর্বে এসে আমরা জানবো কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
multiplebd-কৃষি -ব্যাংক -লোন -পদ্ধতি- কৃষি -ব্যাংক- লোন -ইন্টারেস্ট -রেট
কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র দরকার হয় এগুলো কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা আছে। ঋণের ধরন এবং সময়কাল অনুযায়ী সুদের হার যেমন ভিন্ন ভিন্ন হয় ঠিক তেমনি রিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও কাগজপত্রের কম বেশি হতে পারে। ঋণের ধরন অনুযায়ী কোন ধরনের ঋণের জন্য কি কি কাগজপত্র দরকার হবে এগুলো জানার জন্য নিচের দিকে ভালোভাবে পড়তে থাকুন।

শস্য  ঋণ পেতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে
  • শরীরের জন্য লোন করতে হলে আপনার সর্বপ্রথম দরকার হবে ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
  • আবেদনকারীর অর্থাৎ আপনি যদি আবেদন করে থাকেন তাহলে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রয়োজন হবে।
  • আপনি যে এলাকায় বসবাস করেন সে এলাকার চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট অথবা নাগরিক সনদপত্র।
  • শস্য খেতে ঋণ পেতে হলে কোন ধরনের দলিলপত্র দরকার হয় না।
মেয়াদী ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • ভোটার আইডি কার্ডের দুই কপি ফটোকপি লাগবে।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি দরকার হবে।
  • নাগরিক সনদপত্র অথবা চেয়ারম্যান থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
  • কৃষি ঋণ পাওয়ার জন্য যে জমির উপর লোন নিতে চাচ্ছেন সে জমির খতিয়ান জমা দিতে হবে।
  • যে জমি দিয়ে ঋণ নিবেন সেই জমির খাজনা দিতে হবে এবং অবশ্যই এক্ষেত্রে খাজনা পরিষদ থাকতে হবে।
  • আপনার জমিটি যদি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে দরকার হবে খাজনার দাখিল সহ পূর্বের দখলদারি সার্টিফিকেট।
  • আপনার এই জমিটি যদি উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা পূর্বপুরুষের থেকে পেয়ে থাকেন তাহলে মূল খতিয়ান লাগবে
  • আপনি যদি এই জমিটি কয় করে থাকেন তাহলে মূল দলিলের খারিজ খতিয়ান এবং মৌজা ম্যাপ এর ফটোকপি দিতে হবে।
  • কৃষি লোন পেতে এই জমিটি যদি আপনি ইজারার মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে খাজনার দাখিলা সহ দানপত্র।
  • আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরে গেছেন যে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে কি কি কাগজপত্র দরকার হবে।

কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের কৃষকরা সাধারণত আর্থিক দিক দিয়ে খুব বেশি প্রভাবশালী না। এজন্য হয়তো দরিদ্র কৃষকদের সাহায্য করার জন্য কৃষি ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। আপনিও যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন আর কৃষি ব্যাংক থেকে যদি লোন নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কিভাবে লোন পেতে পারবেন এটা যেন খুবই জরুরী। চলুন তাহলে এবার জেনে নিন কৃষি ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

কৃষি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু কাগজপত্র দরকার হবে এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে একজন কৃষক হতে হবে এবং ঋণ পরিশোধ করার জন্য সামর্থ্য থাকতে হবে। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনার নিকটস্থ উপজেলা অথবা জেলা পর্যায়ে কৃষি ব্যাংকের যে শাখা রয়েছে সেখানে যেতে হবে ।

আপনাকে ঝণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। কৃষি ব্যাংক সাধারণত কৃষকদের আর্থিক অবস্থা এবং চাষের ধরন অনুযায়ী কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে। যেন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কৃষি ব্যাংকে যেতে হবে এবং লোন আবেদন করার মাধ্যমে ঋণ নিতে হবে। আপনি যদি এ বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি উপরের দিকে পড়ুন। তাহলে আপনি বিস্তারিত জেনে যাবেন কিভাবে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।

কৃষি ব্যাংক পার্সোনাল লোন

কৃষি ব্যাংক পার্সোনাল লোন কথাটি নিশ্চয়ই আপনি শুনেছেন। আর আপনি যদি না জেনে থাকেন কৃষি ব্যাংক পার্সোনাল লোন কি তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই। কৃষি ব্যাংকের এ পার্সোনাল লোন সাধারণত সীমিত আয়ের কোন চাকরিজীবীদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য দিয়ে থাকে। চলুন এই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আরো কিছু জেনে আসি।

যারা সীমিত আয়ের চাকরিজীবী আছে তারা কৃষি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবে। দেশের নাগরিকের সামাজিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ছেলের জানুয়ারি মাসে জারি করেছিল পার্সোনাল লোন স্কিম সংক্রান্ত নীতিমালা। আর যেসব নীতিমালার আওতা অনুযায়ী দেশের সরকারি ।

অথবা আধা সরকারি কিংবা সাহিত্য শাসিত এমপিও ভুক্ত স্কুল কলেজের যারা স্থায়ী কর্মকর্তাবৃন্দ আছেন তারা চাইলে কৃষি ব্যাংক থেকে নিতে পারেন পার্সোনাল লোন। এসবের আওতায় কেউ যদি কৃষি ব্যাংকের পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে তাহলে তাকে কৃষি ব্যাংকের পার্সোনাল লোন দেওয়া হয় এবং এর পরিব্যতে কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট নিয়ে থাকে।

আর এই ইন্টারেস্ট রেট অনুযায়ী সুদের পরিমাণ যে পরিমাণ আসে এটা প্রতিমাসের বেতন থেকে মাসিক কিস্তির মাধ্যমে কর্তন করা হয়। আশা করছি  আপনি  বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। 

কৃষি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ

অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন কৃষি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। তাই আমরা চিন্তা করেছি আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের জানাবো কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিলে কি কি প্রকারের লোন নিতে পারবেন। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে মূলত ৩ ভাবে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আমরা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

multiplebd-কৃষি -ব্যাংক -লোন -পদ্ধতি- কৃষি -ব্যাংক- লোন -ইন্টারেস্ট -রেট
  • স্বল্প মেয়াদী ঋণ
  • মধ্যম মেহেদী ঋণ
  • দীর্ঘমেয়াদি ঋণ

কৃষি ব্যাংক সিসি লোন

কৃষি ব্যাংক সিসি লোন এই লোনটি সাধারণত পরিচিত রয়েছে ক্রেডিট কার্ড লোন নামে। এর বিশেষ একটি সুবিধা পেয়ে থাকে কৃষকগণ। তাই কৃষি ব্যাংকের এই সিসি লোন কৃষকদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করে। কৃষকগণ এ লোনের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন করার জন্য উন্নত সব যন্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় করতে পারে।

কৃষকগণ এই সিসি লোনের আওতায় কোন একটি নির্দিষ্ট কৃষি ব্যাংক লোন এর যে ইন্টারেস্ট রেট রয়েছে এটার মাধ্যমে মৌলিক সুদ পরিষদ করার সুযোগ পায়। সাধারণত অন্যান্য যে সকল ঋণ আছে সে ঋণের সুদের হারের থেকে সিসি লোনের সুদের হার অনেকটাই কম। যে কারণে এটা দিয়ে কৃষকগণ বেশি উপকৃত হয়।

কৃষি ব্যাংক গাভী লোন

কৃষি ব্যাংক গাভী লোন কথাটি শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটা গরু খামারজাতকরণের সাথে সম্পৃক্ত। কৃষি ব্যাংক গাভী লোন এর আওতায় সাধারণত পোল্টি এবং দুগ্ধগামী গাভী উৎপাদন করার বড় একটি সুযোগ আছে। এছাড়া আর কৃষি ব্যাংক গাভী লোন সার্কুলার আরো উল্লেখ রয়েছে যে কৃষগণ চাইলে এ ঋণ দিয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের যেমন -

ধান চাষ, ফলমূল চাষ, প্রাণী সম্পদ খাত ইত্যাদিও করতে পারে। কৃষি ব্যাংক কৃষকদের গাভি লোন এর জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সরল সুদে লোন দিয়ে থাকে। আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি জানতে চান কিভাবে কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হয় তাহলে নিচের অংশটুকু পড়ুন।

কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আমি আশাবাদি যে আর্টিকেলটি পাড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণ জেনে গেছেন কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে। অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম কি। তাই আজকের আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে এসে আপনাদের জানাবো কৃষি ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে।

চলুন তাহলে জেনে এসে যাক। আপনি যদি কৃষি ব্যাংক থেকে শস্য খাতে ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে শস্য খাতের ওপর মঞ্জুরকিত অর্থাৎ উক্ত জমি থাকে উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছিল সেই জমি থেকে উৎপাদিত যে ফসল আছে এগুলো বিক্রি করে সময় মতো আপনাকে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

আপনি যদি ঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করে না থাকেন তাহলে আপনাকে কৃষি ব্যাংক তাদের পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি আ্যাক্ট ১৯১৩ এর আর তাদের সার্টিফিকেট কেসের মাধ্যমে সুদ পাওনা আদায় করার ব্যবস্থা নিতে পারবে। স্বল্পমেয়াদি অথবা মধ্য মেয়াদী কিংবা দীর্ঘমেয়াদীর ঋণ পরিষদ করার জন্য নির্ধারিত যে সময়কাল আছে আপনাকে সেই সময়ের ভিতর ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 

লেখক এর শেষ কিছু কথা 

আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন আর অর্থের অভাবে যদি উৎপাদন করতে না পারেন তাহলে কিভাবে আপনি কিছুই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন সে বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি পড়ে নিন। যে ধরনের ঋণ নিতে চাচ্ছেন সেই ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই এর সুদ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জেনে নিবেন। ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক কাগজপত্র দিতে হবে নয়তো আপনি ঋণ পাবেন না। 

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি- কৃষি ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট সম্পর্কে। আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন। কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্যগুলো পেতে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiple.com ওয়েবসাইটে। সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url