গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা যেনে নিন
কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি ও ইন্টারেস্ট রেট জানতে এখানে চাপ দিনঅনেক সময় গ্রামীণ ব্যাংকের লোন করতে চাইলেও লম্পতি না জানার কারণে অনেকেই লোন
করতে পারে না। তাই গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা
নির্দিষ্টই তো থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে। এ ছাড়া আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আরো জানতে
পারবেন গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কেও। বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পূর্বে মনে প্রশ্ন জাগে গ্রামীণ ব্যাংক লোন
পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা কি। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জানা
উচিত। তাই আপনি যদি এ বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত
জেনে নিন।
ভূমিকা
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং
তাদের জীবন জীবিকার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এজন্য
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন করতে চান তাহলে এটা কিভাবে করবেন সে বিষয়
সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেল জুড়ে।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পদ্ধতির সহ এই ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা থেকে শুরু করে গ্রামীণ
ব্যাংকের লোনের ধরন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে
আজকের আর্টিকেলে। তাই অবশ্যই আপনার অজানা এ সকল তথ্যগুলো জানতে আজকাল টি মনোযোগ
দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনা প্রধান বিষয় ছিল গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি -
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে। শুধু তাই নয় বরং এর সাথে আমরা গ্রামীণ
ব্যাংক সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানবো। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান
তাহলে জানতে হবে এই লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। চলুন তাহলে প্রথমে আমরা জেনে আসি
গ্রামীণ ব্যাংকের এই লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।
গ্রামীণ ব্যাংকের লোন পদ্ধতি অনেক প্রকার হয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন
ধরনের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামে অর্থনীতি এবং এর বিকাশকে আরো বেশি বিকশিত করে।
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে আবেদন
করতে হবে এবং এর সাথে দরকার হবে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেগুলো অবশ্যই আপনাকে
নিয়ে যেতে হবে।
আবেদন করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী ঋণের মূল্যায়ন
করবে এবং দেখবে আপনার ঋণ পরিশোধ করে সামর্থ্য আছে কিনা। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে
তাহলে আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে যাবেন। গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত বিভিন্ন
ধরনের লোন দিয়ে থাকে যেমন -
- ক্ষুদ্র ঋণ
- পশু সম্পদ ঋণ
- কৃষি ঋণ
- ব্যক্তিগত ঋণ
- হাউজিং লোন
- শিক্ষা লোন
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে উপরে বর্ণিত এ সকল পদ্ধতিতে লোন
নিতে পারবেন তবে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এ সকল ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে ঋণ
পাওয়ার জন্য যে সকল সত্য সমূহ আছে এগুলো মানতে হবে এবং ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতে
হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা
আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই
আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে যে গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা কি ? গ্রামীণ
ব্যাংক থেকে লোন নিলে কি কি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এজন্য আপনার মনের এই
প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে থাকছে আজকের আর্টিকেলে এই অংশে। চলুন বিস্তারিত জেনে
আসে যাক।
প্রথমে এক কথায় বলে রাখি যে গ্রামীণ ব্যাংকে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে অনেক। এসব
সুযোগ সুবিধা গুলোর মাধ্যমে গ্রামীন এলাকার মানুষরা খুব সহজেই তাদের জীবনকে
আরো বেশি উন্নত করছে এবং আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল হচ্ছে। এরিন এর মাধ্যমে তারা
তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো অনেক প্রসার ঘটাচ্ছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের যে সুবিধাগুলো রয়েছে তার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে কিস্তি
সুবিধা, পশু সম্পদ, ঋণ সুবিধা, মৌলিক ঋণ সুবিধা এমনকি ব্যাংক ওভারড্রাফট
সুবিধা। আপনি আরো ভালোভাবে যাতে এ বিষয়গুলো বুঝতে পারেন এজন্য আমরা এখন এই
সুযোগ সুবিধা গুলো দিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। চলুন তাহলে নিচের অংশটুকু
পড়ে আমরা এই সুযোগ সুবিধা গুলো জেনে আসি।
- কিস্তি সুবিধাঃ আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন তাহলে এটা কিস্তি আকারে পরিশোধ করার সুবিধা পাচ্ছেন। অর্থাৎ লোন নেয়া অর্থ একবারে পুরোটা পরিশোধ না করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিস্তি আকারে পরিশোধ করতে পারবেন। যা আপনার জন্য অনেক। এভাবে কিস্তি দেওয়ার ফলে লোন পরিশোধ করাটা অনেক সহজ হয় এবং ধীরে ধীরে ঋণ এর পরিমাণও কমে আসে।
- সার্ভিস অ্যাকাউন্ট সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংক এ যে গ্রাহক রয়েছে তারা গ্রামীণ ব্যাংকের এই সুবিধাটি নিতে পারবে। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকে লোন নিয়ে থাকেন তাহলে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার আয়োজিত অর্থ সঞ্চয় হিসেবে রাখতে পারবেন। আবার সেই অর্থ থেকে নির্দিষ্ট লাভ অনুসারে যে টাকা হয় তাও উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
- মৌলিক ঋণ সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংকের যে সুবিধা গুলো আছে তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে মৌলিক ঋণ সুবিধা। মূলত যারা গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন সদস্য তাদের জন্য এটা দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন তাহলে এই সুবিধাটি পেয়ে যাবেন। এই মৌলিক ঋণের পরিমাণ হয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মূলত এটা নির্ভর করে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতার উপরে।
- মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাঃ মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম একটি বড় সুবিধা। এই সুবিধাটির মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের যে গ্রাহক গন আছেন তারা খুব সহজে মোবাইল ফোন থেকে তাদের সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম গুলো সম্পাদন করতে পারেন। এতে করে আরেকটি বিষয়ের উপকৃত হওয়া যায় আর তা হচ্ছে ব্যাংকিং অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়।
- ব্যাংক ওভারড্রাফট সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংকের যতগুলো গ্রাহক আছে তারা সকলেই এই সুবিধা পেয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের অধিকতর সুবিধার কথা চিন্তা করে এই সিস্টেমটি চালু করেছে। এই সুবিধার মাধ্যমে আপনি ব্যাংকে যে পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন তার থেকেও অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যা হতে পারে আপনার জন্য একটি অনেক বড় সুবিধা।
- পশু সম্পদ ঋণ সুবিধাঃ ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধা গুলো জেনে গেছেন। গ্রামীন ব্যাংকের আরও একটা সুবিধা হচ্ছে পশু সম্পদ দিন সুবিধা। সাধারণত গ্রাহকগণ এই দিনটি নিয়ে থাকে পশু কেনা এবং পশু মোটা তাজা জাত করনি। আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এই ঋণ নিতে পারবেন ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ঋণ আপনি সাপ্তাহিক অথবা বছরের জন্য নিতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে আমাদের জানার ইচ্ছা জাগে যে সুদের হার
কেমন হতে পারে। আপনিও যদি পেমেন্ট ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই। গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ
ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা ছানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে সুদের হার সম্পর্কেও।
চলুন তাহলে জেনে আসা যাক।
গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ মানুষের আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে খুবই অল্প পরিমাণে
সুদ নিয়ে থাকে। যাতে করে গ্রামীণ জনগণ খুব সহজে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে
পারে এবং চাষাবাদ কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক
থেকে লোন নিয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পরিমাণ সুদ দিতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের সাধারণত সুদের হার দিতে হয় ৬%।
যা গ্রাহকের জন্য অন্যতম এক ব্যাপক সুবিধা। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন
নিয়ে থাকেন তাহলে এটা মাসিক কিস্তি অথবা সপ্তাহে কিংবা বাৎসরিক হিসেবেও নিতে
পারবেন। গ্রামীন ব্যাংকে যতগুলো লোন পদ্ধতিতে আছে তার ভিতরে সব থেকে
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষা দিন। এডি নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই ছাত্র-ছাত্রী
পড়াশোনা করতে পারে এবং ঋণ পরিশোধ করার জন্য রয়েছে পড়াশোনা শেষ করা পর্যন্ত
সুবিধা ।
গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি
আপনি কি জানতে চান গ্রামীণ সরকারি নাকি বেসরকারি। তাহলে একদম ঠিক জায়গায়
এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলের এ অংশে আমরা আলোচনা করেছি এ বিষয়টা নিয়ে।
প্রথমত গ্রামীণ ব্যাংক সরকারি কোন ব্যাংক না। অর্থাৎ এক কথায় উত্তর হচ্ছে
গ্রামীণ ব্যাংক সরকারি ব্যাংক না। চলুন তাহলে আমরা এ বিষয় নিয়ে আরো জেনে
আসি।
সাধারণত গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাংক। যা গ্রামীণ
অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাহায্য করে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবিকা
নির্বাহ তাদের ব্যবসা পরিচালনা ইত্যাদি কারণে লোন দিয়ে থাকে। গ্রামীণ
ব্যাংক সাধারণত একটি স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক। তবে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের এ
কাজ্য কবে নির্দেশনা বলি এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।
গ্রামীণ ব্যাংক যাতে উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম গুলো ঠিকভাবে পরিচালনা করতে
পারে এজন্য সরকার গ্রামীণ ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানিক সহায়তা এবং সমর্থন দেয়।
গ্রামীণ হলো একটি বিশেষায়িত ব্যাংক যা ক্ষুদ্র পরিসরে ঋণ দিয়ে থাকে। আশা
করছি আপনি বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা
আর্টিকেলটি পাড়ার মাধ্যমে আমরা জেনেছি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি -
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা। এখন আমরা জানবো অর্থনৈতিক উন্নয়নে
গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে আপনাকে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে অর্থনৈতিক
উন্নয়নের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা সম্পর্কে জেনে আসে যাক।
প্রথমেই বলতে হয় যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংক বেশ গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখছে। গ্রামীন এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকাশ এবং গ্রামীন
এলাকা মানুষের জীবন যাত্রার উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে। গ্রামের মানুষের
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে খুব
সহজে ছোটখাটো ব্যবসা থেকে শুরু করে ।
আবাদি ফসল পর্যন্ত সবকিছু করতে পারে এই অর্থের মাধ্যমে যেটা প্রভাব
ফেলছে অর্থনৈতিক উন্নয়নে। এছাড়াও গ্রামীন কর্মসংস্থান, সামাজিক
উন্নয়নসহ ছোটখাটো উদ্যোক্তা হওয়া এবং উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের যে সকল
পণ্য সেবা রয়েছে সেগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে। যার সরাসরি প্রভাব
ফেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা গুলো।
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা জানার পর আপনি
যদি চিন্তা করে থাকেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তাহলে একেত্রে আপনার
কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আপনি যদি এ সকল কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে না
জেনেই থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। গ্রামীণ
ব্যাংক থেকে লোন নিতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে -
- প্রথমেই বলে রাখি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র শিক্ষালয় ব্যতীত অন্যান্য যে লোনগুলো আছে এগুলো পেতে অবশ্যই গ্রহিতাকে বিবাহিত হতে হবে।
- আবেদনকারের পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি।
- যে ব্যক্তি ঋণ নিতে চায় এক্ষেত্রে অবশ্যই তার নিজস্ব ঘরবাড়ি থাকতে হবে।
- জিন নেওয়ার ক্ষেত্রে নমিনি হিসেবে যাকে দিবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি দরকার হবে।
- প্রথমবার কেউ যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে ৫০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে।
- গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য নাগরিক সনদপত্র অর্থাৎ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
- কখনো কখনো আবার চারিত্রিক সনদপত্র জমা দেওয়া লাগতে পারে।
- ঋণ নেওয়ার জন্য ৫% সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
- পাঠক আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন যে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের ধরন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের অংশটা পড়ুন।
গ্রামীণ ব্যাংক যে ধরনের লোন দেয়
আমি আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব ভালোভাবে জেনে
গেছেন গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা। অনেকে
প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের ধরন সম্পর্কে। তাই
আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করছি গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের এ ধরন
গুলো সম্পর্কে।
আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে হাউজিং লোন, শিক্ষা ঋণ , কৃষি লোন,ক্ষুদ্রঋণ,
পশু সম্পদ ঋণ এবং উদ্যোক্তা ঋণ নিতে পারবেন। চলুন তাহলে আমরা এবার
বিস্তারিতভাবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসি। বিস্তারিত জানতে নিচের
অংশগুলো পড়তে থাকুন।
গ্রামীণ ব্যাংক যে ধরনের লোন দেয় -
গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ
গ্রামীণ ব্যাংকের যতগুলো লোন সিস্টেম আছে তার ভেতরে জনপ্রিয় একটি
ঋণ হলো ক্ষুদ্র ঋণ। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এই ক্ষুদ্র ঋণ পেতে
চান তাহলে খুব সহজ প্রক্রিয়ায় এবং অল্পতম সময়ের ভেতরে এই ঋণ পেতে
পারবেন। যে কোন পেশার মানুষ এর ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।
গ্রামীণ ব্যাংকের এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র দল তৈরি করে প্রত্যেকটি দলে কমপক্ষে ৫ জন সদস্য রাখা
হয়।
গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ ঋণ
অত্যন্ত গ্রামীন এলাকার কৃষকদের জন্য পশুপালন করার উদ্দেশ্যে এবং কল করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক এই প্রশিসম্পদ লোন দিয়ে থাকে। মূলত বাংলাদেশের যে পশু পালন খাত আছে এটা কি আরো বেশি উন্নয়নশীল করতে এই ঋণ দিয়ে থাকে। যেসব পশু পালন করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অফিস সম্পদ ঋণ দেয় তা হচ্ছে -- ভেড়া পালন
- গরু পালন
- ছাগল পালন
- হাঁস মুরগি পালন
- মৎস্য পালন
গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি ঋণ
সাধারণত বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষক। এজন্য কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের
কৃষকদের কথা মাথায় রেখে গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি ঋণ দিয়ে থাকে। দেশের
কৃষি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য এবং কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজ
পরিচালনা করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক এই ঋণ দিয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংকের
এই কৃষি ঋণের আওতায় কৃষকরা যে সকল আবেদন করতে পারবে -
- কৃষির ঋণ পেতে পারবেন বীজ কীটনাশক এবং সার ক্রয় করার জন্য।
- জমি কিনা অথবা বন্দক নেওয়ার ক্ষেত্রে।
- কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম ক্রয় করতে।
- কৃষিভিত্তিক ব্যবসাগুলো বিনিয়োগ করার উদ্দেশ্যে।
গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং লোন
প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা যেমন খাদ্য ও বস্ত্র,
বাসস্থান এবং শিক্ষা, ও চিকিৎসা এগুলো প্রয়োজন। এজন্য গ্রামীণ ব্যাংক
মানুষের এই কথাগুলো চিন্তা করে বাস স্থান অর্থাৎ ঘরবাড়ি নির্মাণ করার
জন্য দিয়ে থাকে হাউজিং লোন। আর এই হাউজিং লোন প্রোগ্রামটি শুরু হয়
১৯৮৪ থেকে।
গ্রামীণ ব্যাংকের এ হাউজিং লোন প্রকল্পের আওতায় টিনশেড ঘরবাড়ি
নির্মাণ করার জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। এই লোনের
সুবিধার বিষয় হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করতে পারা যায় এবং
সর্বোচ্চ মেয়াদকাল হিসেবে ৫ বছর পর্যন্ত লোন পরিশোধ করা যায়।
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন
আর্থিকভাবে যারা অসচ্ছল, অর্থের অভাবে যারা লেখাপড়া করতে পারে না এদের
কথা চিন্তা করে গ্রামীণ ব্যাংক চালু করেছে শিক্ষা ঋণ। কারন শিক্ষায়
হচ্ছে একটি জাতির মেরুদন্ড। গ্রামীণ ব্যাংক কোন ধরনের শিক্ষার্থীদের এই
লোন দিয়ে থাকে তা আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নিচে পয়েন্ট আকারে
তুলে ধরা হয়েছে ।
- মেডিকেল পড়ুয়া স্টুডেন্টরা
- ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রী
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা
- MA/MS/MBA শিক্ষার্থী
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের আওতায় অন্তর্ভুক্ত ১৭ টি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নিতে পারেন এই
শিক্ষা ঋণ। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের এই শিক্ষা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই
১বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীর বয়স হতে
হবে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ বছর। এই ঋণের সব থেকে বড় একটি সুবিধা হচ্ছে
শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় এই ঋণ পরিশোধের প্রয়োজন হয় না।
গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা ঋণ
আপনি যদি মনে করেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা ঋণ গ্রহণ করে আপনার
ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ করবেন তাহলে নিতে পারবেন জ্ঞান ব্যাংকের
উদ্যোক্তা দিন। উদ্যোক্তারা কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের এই
উদ্যোক্তা ঋণ নিতে পারবেন তার নিচে পয়েন্ট আকারে বিশ্লেষণ করা হলো।
- বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য
- ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে পূর্ণ সামগ্রী ক্রয়
- ব্যবসা অথবা কর্ম ক্ষেত্রে কর্মচারী নিয়োগ করার জন্য
- কারখানা নির্মাণ করার জন্য
- পণ্য সামগ্রিক বিপন্ন এবং তা প্রচার-প্রচারনের জন্য
উপরে বর্ণিত পয়েন্ট গুলোর উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা ঋণ প্রদান
করে। তবে অবশ্যই এডিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
এছাড়াও ব্যবসা পরিকল্পনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আশা করছি গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি - গ্রামীণ ব্যাংকের
সুযোগ সুবিধা সহ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে সেই লোনের সুদের হার এবং
লোন নিতে কি কি কাগজপত্র দরকার হবে সবকিছু বিস্তারিতভাবে বুঝে গেছেন।
এছাড়া কোথাও বুঝতে যদি আপনার অসুবিধা হয় তাহলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে
আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। গ্রামীণ ব্যাংকের যে লোন পদ্ধতি আছে এটা
সব সময় পরিবর্তনশীল হতে পারে। আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাবো যে যখন আপনি
লোন নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন তার আগে অবশ্যই আপনি উক্ত ব্যাংকের কর্মচারী
কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তারপরে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন। আর
হ্যাঁ, এ সকল তথ্যগুলো যদি আপনি নিয়মিত পেতে চান তাহলে ভিজিট করুন
আমাদের
এই www.mtiplebd.com ওয়েবসাইটটি। সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url