এসি চালানোর সঠিক নিয়ম - এসি রিমোট চালানোর নিয়ম
ভূমিকা
এসি ব্যাবহারকারির সংখ্যা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি। কারণ বর্তমান সময়ে যে ব্যবসা গরম শুরু হয়েছে তাতে করে এসি চালানোর সুবিধা অনেক। কিন্তু অনেকেই জানিনা কিভাবে এইচে চালাতে হয় কিভাবে এসি রিমোট ব্যবহার করতে হয় এবং তাপমাত্রা কত রাখতে হয়। যে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেলের ভেতরে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসুন আর্টিকেলে।
এসি চালানোর সঠিক নিয়ম
- তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবেঃ এসি ব্যবহার করার সময় আপনাকে এসির তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে রাখতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা হতে পারে একটা মানুষের জন্য স্বাভাবিক। এজন্য এসি ব্যবহার করার সময় তাপমাত্রা রাখুন ২৪ ডিগ্রিতে।
- এসি ফিল্টার পরিষ্কার করুনঃ সাধারণত এসি সার্ভিসিং করা হয় দীর্ঘ সময় পর অর্থাৎ বছরে একবার কিংবা দুইবার। কিন্তু উচিত হবে প্রতি মাসে এসি ফিল্টার পুরস্কার করা। এতে করে বেশি পরিমাণ ময়লা জমতে পারবে না এবং এসে ভালোভাবে কাজ করবে। সাধারণত যখন এসি ফিল্টার অপরিষ্কার থাকে আর এতে করে বেশি ময়লা জমে থাকার কারণে এসির মেশিন সঠিকভাবে কাজ করতে না পারার কারণে রুম ঠান্ডা রাখতে বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এজন্য অন্তত মাসে একবার হলেও এসে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।
- এসি সার্ভিসিং করুন নিয়মিতঃ এসি ব্যবহার করার জন্য এসির রক্ষণাবেক্ষণ খুব জরুরী। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা টাকা বাঁচাতে এসি সার্ভিসিং না করে পরে বিপাকে পড়ে। এক সময় এসি নষ্ট হয়ে যায়। এসি যদি সার্ভিসিং না করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে এসির অনেক ক্ষতি হয় এবং রুম ঠান্ডা করতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় আর যে কারণে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে।
- জানালা দরজা বন্ধ রাখুনঃ এসি ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘরে জানালা দরজা বন্ধ থাকে। এতে করে খুব সহজেই রুম ঠান্ডা হবে এবং রুম ঠান্ডা রাখতে এসির খুব কম সময় লাগবে যাতে করে বিদ্যুৎ গুলো কম আসবে। কিন্তু যদি এসি ব্যবহার করার সময় ঘরের দরজা ঝালা খোলা থাকে তাহলে এতে করে রুমের ঠান্ডা গুলো জানালা দরজা দিয়ে বের হয় এবং এতে প্রভাব পড়ে এসির উপরে। বিভিন্ন সময় আবার এসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- এসি মোড এক্সপ্লেয়ার করাঃ সাধারণত এসির ইউনিটে অনেক ধরনের মোড রয়েছে। উন্নত এসি গুলোতে ৮০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত দক্ষতার বিভিন্ন মোড পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করা হলে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম হয়। এজন্য এসি ব্যবহার করার সময় এই মোডগুলো করার ফলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
- এসির ভেতরের পাইপ ঠিক করতে হবেঃ এসি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে চেক করে নেওয়া ভালো যে এসের ভেতরের পায়ের ঠিক আছে কিনা। কারণ বিভিন্ন সময় এসির ভেতরে যে পাইপ ব্যবহার করা হয় এগুলো ব্লক হওয়ার মাধ্যমে হাইপ্রেশার তৈরি করার ফলে কম্প্রেসার বাস্ট করে থাকে। তাই অবশ্যই আপনাকে মাঝে মাঝে এগুলো চেক করতে হবে।
এসি রিমোট চালানোর নিয়ম
এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত
সাধারণত প্রচন্ড গরমে আমরা একটু শান্তি অনুভব করার জন্য বাড়িতে ব্যবহার করে থাকে এয়ার কন্ডিশনার। কিন্তু অনেকে আছি যারা বুঝতে পারে না এসে তাপমাত্রা কত রাখতে হবে। যাতে করে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারবে না। এজন্য অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে যদি ১৫ বছর বয়সের কম বয়সি কেউ থাকে ।
এজন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘরে এসির তাপমাত্রা রাখতে হবে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কিন্তু আপনার বাড়িতে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক থাকে তাহলে এক্ষেত্রে এসে তাপমাত্রা রাখতে হবে২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কারণ যখন মানুষ বয়স্ক হয়ে যায় তখন খুব সহজেই তুলনামূলকভাবে একটু বেশি ঠান্ডা লাগে। যে কারণে এসে তাপমাত্রা যদি ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয় তাহলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
এসি ব্যবহারের সুবিধা
আর্টিকেলটি পরে আমরা জেনেছি এসি চালানোর সঠিক নিয়ম - এসি রিমোট চালানোর নিয়ম। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এসি ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেকেই জানতে চান এসি ব্যবহারের সুবিধা কি। তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব এসি ব্যবহারের সুবিধা। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক।
- আপনি যদি তীব্র গরম থেকে বাঁচতে চান তাহলে এসি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন। বাইরে তাপমাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে বাসা বাড়িতে যদি ফ্যান ব্যবহার করা হয় তাহলে ফ্যানের বাতাসে গরম হয়।
- তাই এসি ব্যবহার করা হলে এটা খুব সহজেই রুম ঠান্ডা করে। এবং ঘরের ভেতরে থাকা গরম গুলো বাইরে বের করে দেয়।
- যারা বাইরে কাজ করে একেতে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে শরীর রাখার জন্য সাহায্য করে এসি। ইসি রুমে বসে থেকে যদি কাজ করা যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে ক্লান্তি বোধ হয় না।
- ভালো ঘুম হওয়ার জন্য এসির গুরুত্ব অনেক। অতিরিক্ত গরমের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালোভাবে ঘুম হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি ঘরে এসি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন।
এসি পরিষ্কার করার নিয়ম
- এসি পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে দিতে হবে। এজন্য আপনি মেন সুইচ বন্ধ করে এসএমএস অথবা ফিল্টার খুলে নিন।
- এবার আপনি এই ফিল্টারটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে থাকুন।
- আপনি যদি খুব ভালো হয় পুরস্কার করতে চান এর জন্য চাইলে একটু ব্রাশ ব্যবহার করে মহিলা গুলো বাইরে বের করে ইভাপোরেটরটি ধীরে ধীরে সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করে নিন।
- এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে কাজটি করতে হবে কারণ ইভাপোরেটর এর যে পাখা রয়েছে এটা অনেক তীক্ষ্ণ। এজন্য সতর্কতা না থাকলে এটা আপনার হাতে আঘাত করতে পারে।
- আপনি যখন ফিল্টার করতে যাবেন তখন একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে এগুলো ধুলোবালি মুক্ত করে নিতে পারেন। ফিল্টারটি ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য ট্যাবের নিচে রাখুন এবং জলে স্পিড যদি ভালো থাকে তাহলে এটা খুব সহজেই ধুলাবালি মুক্ত হবে।
- এসি ফিল্টারটি যদি ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যায় তাহলে এটা শুকিয়ে নিন। এবার এটা এসি ইউনিটে লাগিয়ে ফেলুন। লাগানো হয়ে গেলে এসির যে প্যানেল রয়েছে সেটি বন্ধ করে ফেলুন।এভাবে আপনি খুব সহজেই এসি পরিষ্কার করে ফেললেন। এবার এসি ওন করে ফেলুন। আশা করছি বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
এসি ব্যবহারের অসুবিধা
এসি ব্যবহার করার যেমন অনেক সুবিধা আছে ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধা আছে। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণ তো আমরা জানলাম এ কিভাবে এসির রিমোট চালাতে হয় কিভাবে এসি চালাতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো। চলুন তাহলে এবার এসি ব্যবহারের অসুবিধা গুলো জেনে আসি।
আরো পড়ুনঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? এর প্রভাব ও সুবিধা-অসুবিধা
- যারা বেশিরভাগ সময়ে সব সময় এসিওর রুমে থাকে তারা যদি বাই
- রে বের হয় তাহলে বাইরে তাপমাত্রার সাথে খাক খায় না এজন্য শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।এসি ব্যবহার করার ফলে মানুষের শরীরে যেমন স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিক তেমনি কখনো কখনো এটা আবার অনেক ক্ষতি করে ফেলে।
- এসি ব্যবহার করার সময় যদি সতর্কতা অবলম্বন না করা হয় তাহলে অনেক সময় এটা বিস্ফোরণ হওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
- বিভিন্ন সময় আবার এসছে থাকা মানুষের মাথাব্যথা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। চোখের সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
- এসি ব্যবহার করার সময় যদি রুমে ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে এক্ষেত্রে যদি সঠিক তাপমাত্রায় এসি চালানো না হয় তাহলে এটা খুব সহজে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে।
- এসি ব্যবহার করা যতগুলো সমস্যা আছে তার ভিতরে অন্যতম একটি বড় সমস্যা হচ্ছে এটা কিছু কিছু করে মানুষের শরীরের পানি শুষে নেয়। এতে করে শরীর থেকে যদি বেশি পরিমাণ পানি টেনে নেয় তাহলে এটা মানুষের শরীরে সৃষ্টি করতে পারে রক্ত সঞ্চালন সমস্যা।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url