অনেকেই পাসপোর্ট করার সঠিক নিয়ম জানে না কিংবা কি কি প্রয়োজন হয় সেগুলো জানে
না। তাই আর্টিকেলটি পরে জেনে নিন ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? -জরুরী
পাসপোর্ট করার নিয়ম। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
পাসপোর্ট আমাদের বিভিন্ন কারণে প্রয়োজন হয়। অনেকেই চিকিৎসার জন্য, ব্যবসার
জরুরি কোন কাজে, কিংবা ভ্রমণের জন্য। বিভিন্ন কারণে দেশের বাইরে যেতে হয়
এক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট এর। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে পাসপোর্ট
করতে হয় পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।
যে সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে আজকের এই পোড়া আর্টিকেল জুড়ে। তাই বিস্তারিত জানতে
আর্টিকেলটি পড়ুন আর সম্পূর্ণ জেনে নিন কিভাবে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন
কত টাকা লাগবে কিভাবে করবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত।
আমরা যারা পাসপোর্ট করতে চাই এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের জানা দরকার পাসপোর্ট করতে
কি কি প্রয়োজন হবে। যে বিষয়ে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। অনেক সময় আমাদের
মনে প্রশ্ন জায়গা পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে। তাই এখন আমরা জানবো পাসপোর্ট
করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে। চলুন তাহলে আমরা আবার সে বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
- পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
-
আবেদনকারের জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি অথবা মূল কপি
দরকার হবে।
-
আপনি পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে যে আবেদন করেছিলেন পাসপোর্ট করার জন্য সেই
আবেদনকৃত রেজিস্ট্রেশন ফর্ম দরকার হবে।
-
আপনি যে স্থানের বাসিন্দা সেখানকার ইউনিয়ন অথবা যদি পৌরসভা হয়ে থাকে তাহলে
সেখানকার চেয়ারম্যান প্রত্যেক পাওয়া একটি নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে।
-
আমরা অনেকেই আছি যারা সরকারি চাকরিজীবী। এজন্য যারা সরকারি চাকরিজীবীরা
পাসপোর্ট করতে চাই এক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন হয় তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে
পাওয়া GO এবং NOC.
-
পাসপোর্ট করার জন্য ব্যাংকে জিপি দিয়েছিলেন সে ফি পরিশোধ করার মূল রশিদ।
- আপনি যে পেশায় কর্মরত আছেন যদি সেই পিছে প্রমাণের কোন কাগজপত্র থাকে।
-
যারা গৃহিণী রয়েছেন এক্ষেত্রে তারা যদি পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে এক্ষেত্রে
দরকার হয় তাদের স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
-
পাসপোর্ট করতে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দরকার হয়ে থাকে তাদের যে ট্রেড
লাইসেন্স রয়েছে সে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- অবশ্যই ছবি প্রয়োজন হবে আর ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হবে সাদা।
-
পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যে ফর্ম রয়েছে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হয় এবং
সেখানে স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।
-
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাগজ
প্রয়োজন হয় যেমন বিদ্যুৎ গ্যাস এবং পানি ইত্যাদি ইউটিলিটি বিলের কপি। আশা
করছি বুঝতে পেরেছেন।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
আমরা তো জানলাম পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে বিষয়ে সম্পর্কে। তাই এখন আমরা জানবো
পাসপোর্ট করতে কত টাকা প্রয়োজন হবে। সাধারণত পাসপোর্ট পাঁচ বছর মেয়াদী এবং ১০
বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। তবে মেয়াদ এবং পৃষ্ঠা ভেদে পাসপোর্ট করতে টাকার পরিমাণ
বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী এবং দশ বছর মেয়াদী ।
পাসপোর্ট এর জন্য একরকম টাকার পরিমাপ এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর অথবা ১০ বছর
মেয়াদে পাসপোর্ট করতে আবার টাকার পরিমান ভিন্ন হয়। চলুন তাহলে আমরা এ বিষয়গুলো
সম্পর্কে আবার বিস্তারিত জেনে আসি। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশটুকু ভালোভাবে
মনোযোগ দিয়ে পডুন।
পাসপোর্ট করতে খরচ কত টাকা লাগে
পাসপোর্ট করতে খরচ কত টাকা লাগে এটা আমাদের অনেকের অজানা। যে বিষয়ে সম্পর্কে
আমাদের জানা উচিত। আপনিও যদি না জেনে থাকেন পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয় তাহলে
আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন। আর ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? -জরুরী
পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
চলুন এবার আমরা জেনে আসি পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয়।
সাধারণত পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হবে এটা মূলত নির্ভর করে আপনি কত বছর মেয়াদে
এবং কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তার উপরে। আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা এ
বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমান সময়ে কেউ যদি ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে সে
ক্ষেত্রে তিনি আবেদন করার ১ এক মাস থেকে ৩ মাস সময়ের ভেতরে পাসপোর্ট নিতে
চাই তাহলে এক্ষেত্রে সরকারি ফি লাগবে ৪০২৫ টাকা এবং এর জন্য ভ্যাট প্রযোজ্য
হয় ১৫%।
-
আর কেউ যদি ৪৮ পৃষ্ঠার এই পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টটি অতি দ্রুত সময়ের
ভেতরে অর্থাৎ ১০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যদি নিতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে সরকারি ফি
৬৩২৫ টাকা এবং ভ্যাট প্রযোজ্য হয়ে থাকে ১৫%।
-
বিভিন্ন প্রয়োজনে কেউ যদি জরুরী ভিত্তিতে ৪৮ পৃষ্ঠার 5 বছর মেয়াদে পাসপোর্ট
অতি দ্রুত সময় অর্থাৎ মাত্র তিন দিন থেকে শুরু করে দশ দিনের ভিতর নিতে চায়
তাহলে এই ক্ষেত্রে ফি একটু বেশি। এজন্য সরকারি ফি দিতে হয় ৮৬২৫ টাকা। এর
সাথেও ভ্যাট প্রযোজ্য হয় আর সেই প্রযোজ্যকৃত ভ্যাট হচ্ছে ১৫%।
৪৮ পৃষ্ঠায় ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমান সময়ে কেউ যদি ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার একটি পাসপোর্ট করতে চাই আর
সে যদি ১ থেকে তিন মাস সময়ের ভেতর নিতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে সরকারি ফি দরকার
হয় ৫৭৫০ এবং এক্ষেত্রে ভ্যাট প্রযোজ্য হয়ে থাকে ১৫%।
-
বর্তমান সময়ে কেউ আবার যদি মনে করেন যে তিনি অতি সল্প সময়ে অর্থাৎ ১০ থেকে
৩০ দিনের ভেতরে তার পাসপোর্টটি নিবেন তাহলে এক্ষেত্রে তার ৪৮ পৃষ্ঠার এবং ১০
বছর মেয়াদে পাসপোর্ট এর জন্য টাকা দরকার হয় ৮০৫০ এক্ষেত্রে ভেট প্রযোজ্য
হবে ১৫ %।
-
বর্তমানকালীন সময়ে কেউ যদি তার প্রয়োজনের তাগিদে অতি স্বল্প সময় অর্থাৎ
৩-১০ দিনের ভিতরে ১০ বছর মেয়াদী এবং ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে চাই তাহলে
এক্ষেত্রে সরকারি ফি ১০,৩৫০ টাকা। এর সাথে ভ্যাট ১৫% প্রযোজ্য।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
এতক্ষণ তো আমরা জানলাম ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর পর দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত
টাকা দরকার হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট
সম্পর্কে।
-
বর্তমানে কেউ যদি ৬৪ পৃষ্ঠার এবং ৫ বছর মেয়াদকালীন একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে
চাই তাহলে এক্ষেত্রে ১-৩ তিন মাসের ভেতরে যদি পাসপোর্ট নিতে চাই তাহলে
এক্ষেত্রে সরকারি ফি ৬,৩২৫ টাকা এবং এর সঙ্গে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় ১৫%।
-
বর্তমানে কেউ যদি পাসপোর্ট আবেদন করে 10 থেকে 30 দিনের ভেতর পাসপোর্ট নিতে
চায় তাহলে এক্ষেত্রে ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী একটা পাসপোর্ট পেতে তাহলে
সরকারি ফি দিতে হবে ৮,৬২৫ টাকা সাথে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫%।
-
বর্তমান সময়ে কেউ যদি মনে করেন যে তিনি খুব দ্রুত ৩-১০ দিনের ভেতরে পাসপোর্ট
নিতে চায় তাহলে এ ক্ষেত্রে ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট নিতে
সরকারি ফি দিতে হবে ১২,০৭৫ টাকা ও এর সাথে ভ্যাট প্রযোজ্য হয়ে থাকবে ১৫%।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
-
বর্তমান সময়ে আপনি যদি ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে
এক্ষেত্রে ১ মাস থেকে ৩ মাসের ভেতরে নিতে চাইলে সরকারি ফি, ৮০৫০ টাকা সঙ্গে
ভ্যাট প্রযোজ্য ১৫%।
-
বর্তমানে আপনি যদি মনে করেন ৬৪ পৃষ্ঠার একটি ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট আবেদন
করার ১০-৩০ দিনের ভেতরে পাসপোর্ট নিবেন তাহলে সরকারি ফি ১০,৩৫০ টাকা এবং এর
সাথে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫%।
-
বর্তমানে কেউ যদি পাঁচ বছর মেয়াদি এবং ৬৪ পৃষ্ঠার একটি পাসপোর্ট পেতে চাই
অতি স্বল্প সময়ে অর্থাৎ ৩ -১০ দিনের ভেতরে নিতে চাইলে সরকারি ফি দিতে হবে
১৩,৮০০ টাকা এবং এর সঙ্গে প্রযোজ্য ভ্যাট ১৫%।
জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনা প্রধান বিষয় ছিল ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র
লাগে? -জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম। বিভিন্ন সময় আমাদের জরুরী ক্ষেত্রে পাসপোর্ট
করতে হয়। এজন্য আপনি যদি জরুরী ভিত্তিক পাসপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে
হবে সে নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে দেরি কেন চলুন আমরা এখন জেনে আসি জরুরী পাসপোর্ট
করার নিয়ম।
সাধারণত কেউ যদি জরুরী ভিত্তিক পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে এক্ষেত্রে তাকে আবেদন
করতে হবে তিন থেকে ১০ দিনের ভেতরে পাসপোর্ট নিবে এজন্য যে নির্ধারিত পরিমাণ কি
রয়েছে সেই ফি প্রদান করে। মূলত জরুরী ভিত্তিক পাসপোর্ট করার জন্য এটা নির্ভর করে
মূলত এর ফি এর উপরে। আপনি দশ বছর মেয়াদী কিংবা পাঁচ বছরের মেয়াদী।
৪৮ পৃষ্ঠার নাকি ৬৪ পৃষ্ঠার এগুলো উল্লেখ করে ফি প্রদান করলেই কতদিনের ভিতরে নিতে
চাচ্ছেন এইটার উপরে নির্ধারিত ফি প্রদান করলেই আপনি জরুরি ভিত্তিতে পেয়ে যাবেন
পাসপোর্ট। আর কিভাবে আপনি পাসপোর্ট এর আবেদন পাসপোর্ট করার নিয়ম কি সে বিষয়ে
জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
আচ্ছা আপনি কি জানেন ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? যদি না জেনে থাকেন
তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ আর্টিকেল থেকে এই অংশটি পড়লে আপনি
বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন ই পাসপোর্ট করলে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। কারণ আমরা এখন এ বিষয়ে
সম্পর্কে আলোচনা করব।
ই পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয়
-
যিনি পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন সেই পাসপোর্ট আবেদনকৃত ব্যক্তির এন আই ডি /
জাতীয় পরিচয় পত্র।
- বার্থ সার্টিফিকেট অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।
- নাগরিক সনদপত্র।
- পাসপোর্ট আবেদন পত্র ।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ই পাসপোর্ট করার জন্য বয়স ভেদে বিভিন্ন রকম নিয়ম-কানুন রয়েছে চলুন আমরা এবার
বিস্তারিতভাবে এ বিষয়গুলো জেনে আসি।
ই পাসপোর্ট করার জন্য যাদের বয়স ২০ বছরের থেকে কম তাদের জন্য এই পাসপোর্ট করার
ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ। আর যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারা যদি ই
পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে এক্ষেত্রে দরকার হয় জাতীয় পরিচয় পত্র। আপনার যদি
জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে
আবেদন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে যারা সরকারি চাকরিজীবী তারা যদি ই পাসপোর্ট করতে চায় তাহলে
এক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় NOG কিংবা GO। এবং এর সাথে প্রয়োজন পড়ে নাগরিক সনদপত্র
এবং তিনি যে পেশার মানুষ সে পেশার প্রমাণ পত্র। ই পাসপোর্ট করার সময় যাদের জন্ম
নিবন্ধনের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের নানা রকম অমিল থাকে কিংবা ভুলভাল
থাকে তাহলে ।
এক্ষেত্রে সংশোধন না করে নিলে পাসপোর্ট করার সময় আপনি বিভিন্ন রকম ভোগান্তির
মুখে পড়বেন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়?
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এতক্ষণ নিশ্চয় জেনে গেছেন ই পাসপোর্ট করতে কি কি
কাগজপত্র লাগে? -জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ই
পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়? আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই। চলুন তাহলে এখন আমরা আলোচনা থেকে জেনে আসি ই
পাসপোর্ট কতদিনে পাওয়া যায়।
সাধারণত আপনি ই পাসপোর্ট কতদিনে পাবেন এটা মূলত নির্ভর করে আপনার পাসপোর্ট ধরনের
উপরে। মূলত আপনার আবেদনকৃত পাসপোর্ট এর ধরন সাধারণ নাকি জরুরি কিংবা জরুরী এর
নির্ভর করে পাসপোর্ট পাবেন । আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে
আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নিন।
-
সাধারণ ই পাসপোর্টঃ ৫ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট পেতে
সাধারণত ১৫ দিনের ভেতরে পাওয়া যায়।
-
জরুরী ই পাসপোর্টঃ ৫ বা ১০ বছর মেয়াদে এই পাসপোর্ট যদি কেউ জরুরী
ভিত্তিতে পেতে চায় তাহলে এক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ৭ দিন।
-
অতি জরুরী পাসপোর্টঃ ৫ কিংবা ১০ বছর মেয়াদী এই পাসপোর্ট যদি কেউ অতি
জরুরী সময় নিতে চাই তাহলে এক্ষেত্রে ২ দিনের ভেতরে পেয়ে যেতে পারেন ই
পাসপোর্ট।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
আমরা তো এতক্ষণ ই পাসপোর্ট সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানলাম। অনেকেই প্রশ্ন
করেছেন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে। তাই অংশে আলোচনা করা হয়েছে ই পাসপোর্ট
করতে পারবেন যেভাবে সে বিষয়গুলো নিয়ে। চলুন তাহলে আমরা এবার এই বিষয়গুলোর
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি। আপনি যদি ই পাসপোর্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই
মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পডুন।
আপনি যখন পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন সেই আবেদনকৃত আবেদনপত্রের উপরে
দেখবেন যে এটা কবে জমা দিতে হবে সে তারিখ এবং ডেট সেখানে উল্লেখ করা আছে। এজন্য
জমা দানের জন্য যে নির্দিষ্ট তারিখ রয়েছে সেই তারিখে আর থেকে পাসপোর্ট অফিসে
যেতে হবে এবং এজন্য আপনাকে সঙ্গে কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে আর সেগুলো হচ্ছে -
আপনি অনলাইনে যে আবেদন করেছেন সেই আবেদন পত্রের কপি, আপনি যে স্থানের বাসিন্দা
সেখানকার নাগরিকত্বের সনদপত্র, ব্যাংকে যে টাকা জমা দিয়েছিলেন পাসপোর্ট করার
জন্য সেই টাকা জমা দেন রশিদ অথবা স্লিপ, আপনার এনআইডি অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্রের
ফটোকপি এবং মূল কপি, আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল কিংবা যে পানির বিল রয়েছে ।
সেই বিলের কপি এ সকল কাগজপত্র গুলো নিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানে
আপনার স্বাক্ষর উপর করার পর এগুলো জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত অফিসার
আপনার থেকে এক কাগজপত্রগুলো নিবে এবং আপনাকে একটা নির্দিষ্ট তারিখ দিবে। সেই
নির্ধারিত তারিখে আপনি উপস্থিত হলে সেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ।
আপনার মুখমন্ডলের ছবি, আপনার আঙ্গুলের ছাপ এবং স্বাক্ষর ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রদান
করা মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করার জন্য কিছু তথ্য এবং একটা রশিদ দিবে।
অবশ্যই এর রশিদটা আপনি যত্ন সহকারে রাখবেন কারণ আপনি পাসপোর্ট নেওয়ার সময় এর
রশিদ ছাড়া পাসপোর্ট নিতে পারবেন না।
এ সকল প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে আপনার ফোনে একটা এসএমএস আসবে সে
মেসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পাসপোর্ট ডেলিভারি তারিখ এবং সময় সম্পর্কে।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা তো জানলাম ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
-জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে। অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন যে ই
পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম কি। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করেছি
পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি কেন চলো আমরা এবার এ বিষয়ে
সম্পর্কে জেনে আসি।
আপনি কি পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন অনলাইন অথবা আপনার পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন
আইডি দিয়ে। আপনি দুইটি উপায়ে ই পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন। চলুন আমরা এবার এই
দুটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করতে হলে প্রয়োজন হবে
- অনলাইনে আবেদনকৃত রেজিস্ট্রেশন আইডি বা অ্যাপ্লিকেশন আইডি।
- আপনার জন্ম তারিখ।
যেভাবে চেক করবেন
-
সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে আর ওয়েবসাইটটি হচ্ছে
বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট নামে যে ওয়েবসাইট রয়েছে। অর্থাৎ www.epassport.gov.bd
ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে check status নামে যে একটা মেনু রয়েছে সে মেনু বা
লিংকে চাপ দিন।
-
দেখবেন আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে এসেছে যেখানে লেখা আছে online
registration id অথবা application ID । নিচের দিকে দেখবেন select date of
birth নামে অপশন রয়েছে সেই ঘরটি পূরণ করুন এবং।
- আই এম হিউম্যান এখানে ক্লিক করে নিচের চেক অপশনে ক্লিক করে ফেলুন।
আপনি এগুলো ঠিকঠাক ভাবে করতে পারলে আপনি দেখতে পেয়ে যাবেন আপনার আবেদনকৃত
পাসপোর্ট আবেদনের স্ট্যাটাসটি।আর এভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট
চেক করতে পারবেন। চলুন এবার আরেকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে আসুন।
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট চেক
আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এ পাসপোর্ট চেক করতে চান তাহলে আপনাকে যে
কাজগুলো করতে হবে সে বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
প্রয়োজনীয় তথ্য -
- মোবাইল ফোনে e-passport BD আ্যপ।
- প্রার্থীর জন্ম তারিখ।
- অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনকৃত আইডি কিংবা অ্যাপ্লিকেশন আইডি।
যেভাবে চেক করবেন
-
আপনি যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট চেক করতে চান তাহলে আপনাকে google
play store থেকে e-passport BD অ্যাপ ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
-
অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করুন এবং সেখানে গিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা
রেজিস্ট্রেশন আইডি দেন এবং নিচের দিকে জন্ম তারিখ দেওয়ার জন্য যে ঘরটি
রয়েছে সেটা পূরণ করুন।
- তারপর লগইন নামক যে বাটন রয়েছে সেখানে চাপ দেন।
- এবার নিজের চোখে দেখে নিন আপনার আবেদনকৃত ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাসটি।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে যেভাবে ভিসা চেক করবেন
আজকের এই আর্টিকেলের এ পর্বে আমরা জানবো পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে যেভাবে ভিসা চেক করবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে। আর আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি বিস্তারিতভাবে জেনে গেছেন ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? -জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলো। তাহলে এবার আমরা জেনে আসি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করতে পারবেন।
আপনি যে দেশের ভিসা চার্জ করতে চাচ্ছেন সেজন্য আপনাকে গুগল ক্রোমে যেতে হবে। এবং সাতবার থেকে আপনাকে চার্জ করতে হবে আপনি যে দেশের ভিসা চেক করতে চাচ্ছেন। একটি উদাহরণ দিলে আপনি ভাল বুঝতে পারবেন। ধরুন আপনি বাংলাদেশের কিংবা অন্যান্য দেশের তাহলে আপনাকে যেভাবে ভিসা চেক করতে হবে।
যেমন- Malaysia Visa Check ,Saudi Arabia Visa Check, India Visa Check। এভাবে লিখার পর শুরুতে যে ওয়েবসাইট আসবে সেখানে ক্লিক করুন। এবার আপনি সে ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং আপনার জাতীয়তা করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভিসা করে নিতে পারবেন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত হয়ে বুঝে গেছেন কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন।
10 বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কিভাবে আপনি পাসপোর্ট করবেন
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা
আলোচনা করতে যাচ্ছি 10 বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? আপনি যদি এ
বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
১০বছরের মেয়াদী ই পাসপোর্ট করতে যত টাকা লাগে
৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
-
আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদী এ পাসপোর্টটি নিতে চান এক মাসেরও কম সময়ে ২০-২২
দিনের ভেতরে তাহলে এক্ষেত্রে টাকার পরিমান ৫৭৫০ টাকা।
-
কেউ যদি মনে করেন জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট নিবেন তাহলে এক্ষেত্রে ১০ দিনের
ভেতরে নিতে চাইলে ৮০৫০ টাকা।
-
অনেক সময় অতি জরুরী পাসপোর্ট মুহূর্তে নিতে হয়। তাহলে এক্ষেত্রে মাত্র দুই
দিনের ভেতরে পাসপোর্ট নিতে ১০,৩৫০ টাকা প্রয়োজন হয়।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
-
আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর ডেলিভারি পেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ২০ থেকে
২২ দিনের ভিতর পেয়ে যাবেন ৮০৫০ টাকায়।
-
আবার জরুরী ভিত্তিতে নিতে চাইলে এক্ষেত্রে আপনি মাত্র ১০ দিনের ভেতর পাবেন
১০,৩৫০ টাকাতে।
-
কেউ যদি মনে করেন অতি জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট নিবেন তাহলে এক্ষেত্রে ৬৪
পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পেতে তাকে দিতে হবে ১৩,৮০০ টাকা। আর এই
পাসপোর্টটি ২ দিনের ভিতরে পেয়ে যাবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের শেষ কিছু কথা
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন ই পাসপোর্ট করতে কি
কি কাগজপত্র লাগে? -জরুরী পাসপোর্ট করার নিয়ম সহ পাসপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন বিষয়
সম্পর্কে। আপনি পাসপোর্ট করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্যগুলো দিবেন আপনার জাতীয়
পরিচয় পত্রের সাথে মিল করে। না হলে যদি আবেদনকৃত ফরমের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের
মিল না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ভোগান্তির স্বীকার হতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা যদি উপকৃত হয়ে
থাকেন তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ সকল তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট
করেন আমাদের
এই www.multiple.com ওয়েবসাইট টি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার
জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url