ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়
আজকে আমরা আলোচনা করব ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। আপনি কি এসব দিক সম্পর্কে জানেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটা আপনার জন্যই। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে এসকল দিকগুলো আপনার জানা উচিত। যে বিষয়গুলো জেনে থাকলে আপনর ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতে পারে । চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন।
আমাদের অনেকেরই অজানা বিষয় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। তাই আপনি যদি এ বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে এ সকল বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেল পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আর্টিকেলটি আলোচনা হয়েছে এ বিষয়ে সম্পর্কে।
ভূমিকা
অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশেও ঘূর্ণিঝড় প্রায় লেগেই থাকে। এজন্য আমাদের জানতে হবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে আমাদের করণীয়গুলো। জানতে হবে কিভাবে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে পারি। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পুরো আর্টিকেল জুড়ে। আপনি যদি না জেনে থাকেন কিভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে হয় ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেলে তারপরে কি করনীয় বা ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন কি করতে হবে। তাহলে আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত জেনে নিন।
ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। কিন্তু এ বিষয়ে এগুলো জানতে হলে তার আগে অবশ্যই জানা উচিত ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে। তাই আমরা এখন যার বউ গুলজার কাকে বলে এ বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসি। যতগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে তার ভেতরে একটি অন্যতম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।
এজন্য ঘূর্ণিঝড়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয়। উচ্চ চাপের বায়ুর সাথে যখন জলীয় বাষ্প মিলিত হয় তখন ভূপৃষ্ঠের নিম্নচাপের স্থলভাগ অঞ্চল গুলোতে প্রবল গতি সম্পন্ন এক ধরনের চক্রাকার ঘূর্ণন দৃষ্টি হলে একে বলা হয় ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের আরো একটি নাম রয়েছে একে বলা হয়ে থাকে সাইক্লোন। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় কখনো এক জায়গায় স্থির থাকে না। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় কেন হয়
ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সময় আমাদের সবার মনেই এটি প্রশ্ন জাগে কেন এই ঘূর্ণিঝড় হয়। আসলে আমাদের মনে এই প্রশ্নটা যেন স্বাভাবিক একটা বিষয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন ঘূর্ণিঝড় কেন হয় তাহলে আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত জেনে নিন। চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে আসি ঘূর্ণিঝড় কেন হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পেছনে ২টি কারণ রয়েছে।
এই দুইটি কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়ের। এ দুটি কারণ গুলোর ভেতরে একটি হচ্ছে, সমুদ্রের পানি থেকে যখন উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় এ কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। আর অন্য একটি কারণ হচ্ছে সমুদ্রের পানি থেকে যখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। সমুদ্রে যদি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে হয় তাহলে এর জন্য পানির তাপমাত্রা দরকার হয় ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস অথবা ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি হওয়া লাগে।
এ ধরনের তাপমাত্রা বঙ্গোপসাগরে প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। সমুদ্রের ভিতরে যখন কোন ধরনের নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তাহলে এর আশপাশে যে বাতাস রয়েছে সেগুলো তীব্র বাতাসের ফলে তাপমাত্রাকে আরও বৃদ্ধি করে। উপরের অংশে আবার বাতাসে যখন তাপমাত্রা কম হয় এবং জলীয় বাষ্প অনেক বেশি হয় এর ফলে বৃষ্টিপাত হয়।
আর এই বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এখান থেকে যে জলীয় বাষ্প রয়েছে সেগুলো থেকে সুপ্ততাপ ছাড়া হয়। আর এগুলো বাষ্পীভবন এর মাত্রাকে আরও বৃদ্ধি করে। এ তাপের কারণে সমুদ্রে যে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা রয়েছে তা আরো বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বায়ুমন্ডলের চাপ এবং তাপমাত্রার মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।
এ সময় সৃষ্টি হয়ে থাকে নিম্নচাপের। যেটা কেন্দ্রমুখী হয় এবং চারদিক থেকে যে বায়ু গুলো উঠে আসে এগুলো চক্রাকারে আবর্তিত হয়। আর এসব কারণে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়ের। আশা করছি আপনি বুঝে গেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয় জানতে মনোযোগ দিয়ে নিচের অংশটুকু পড়ুন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায়
ভৌগোলিক অবস্থান কিংবা আবহাওয়াগত কারণ। যে কারণেই হোক না কেন বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে যেহেতু বঙ্গোপসাগর রয়েছে যে কারণে বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব প্রায় ঘটে। সকল মানুষই চায় ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় অনেকে জানতে চেয়েছেন চলুন তাহলে এগুলো জেনে আসি।
- যখনই ঘূর্ণিঝড়ের আবহাওয়ার সংকেত পাওয়া যাবে সাথে সাথে সর্বস্তরের জনগণকে সতর্ক করতে হবে।
- বিশেষ করে যারা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করেন তাদেরকে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিরাপদ স্থান খুব জরুরী এজন্য যারা নিম্ন এলাকায় বসবাস করে তাদের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেই আগে থেকে আশ্রয় নেওয়ার স্থান ঠিক করে রাখতে হবে।
- শুকনা খাবার থেকে শুরু করে যেগুলো প্রয়োজন তা আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন।
- তুলনামূলক প্রচুর জায়গাতে বসবাস করার জন্য বসতবাড়ি স্থাপন করুন। খেয়াল রাখবেন এ বসত বাড়িগুলো যেন শক্তিশালী হয়।
- ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পাওয়া গেলে অথবা ঘূর্ণিঝড় কালীন সময়ে জেলেদের সমুদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ঘূর্ণিঝড় যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাই এটি সম্পূর্ণভাবে আপনি মোকাবেলা করতে পারবেন না এজন্য আপনার সচেতনতাই হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার সবচেয়ে বড় উপায়।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়
আপনি কি জানেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। না জেনে থাকলে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জেনে গেছেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করার উপায় গুলো। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয় কি। যেটা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত।
আরো পড়ুনঃ ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে যেনে নিন
- ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সব সময় নজর রাখবেন সতর্কবার্তা প্রতি। আপনি যদি ঘূর্ণিঝড়ের কোন আপডেট তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে এটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
- ঘূর্ণিঝড় দৃষ্টি হলে কোন ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন কারণ এর সময় মানুষ আতঙ্ক হয়ে দিশেহারা হয় এবং অনেক সময় মানুষ মারা যায়।
- আপনার দৈনন্দিন যেসব কাজকর্ম রয়েছে এগুলো করার পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন আনুষ্ঠানিক যে আবহাওয়া বার্তা রয়েছে সেগুলোর দিকে।
- ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সমুদ্র উপকূলীয় নির্ণয় অঞ্চল অথবা উপকূলীয় অঞ্চলে যে নিম্ন অঞ্চল রয়েছে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ঘূর্ণিঝড় বৃষ্টি হলে উঁচু স্থানে যাওয়ার জন্য যে পথ রয়েছে সে পথগুলো প্লাবিত হওয়ার পূর্বেই আপনি নিরাপদে এসে স্থানে পৌঁছে যান।
- আপনার নির্মাণ করা বাড়ি যদি উঁচু এবং মজবুত হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেখানে নিরাপদ স্থান বেছে নিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করুন।
- আপনার বসত বাড়িতে যদি জানালা কাজের হয় তাহলে তা হার্ডবোর্ড দিয়ে ঢেকে রাখা ভালো হবে।
- শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করে রাখুন এবং ঢাকনাযুক্ত পাত্রের নিরাপদ পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
- ঘূর্ণিঝড়ের অতিরিক্ত বাতাসে যে সকল জিনিসপত্র উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এগুলো একটি নিরাপদ কক্ষে রেখে দিন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় করণীয়
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় করণীয় কি এটা আমাদের জানতে হবে। তাই এখন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নিব ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা তে করনীয় কি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
- ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলাতে করণীয় কাজ গুলোর ভেতরে একটি হচ্ছে যারা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ তাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করতে হবে।
- ঘূর্ণিঝড় আবহাওয়ার কোন সংকেত পাওয়া গেলে অতীশ শীঘ্রই তারা যেন দ্রুত এই আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে।
- আমাদের অনেকের বাড়িতে গৃহপালিত পশুর রয়েছে এজন্য মানুষ সহ গৃহপালিত পশু জানো রাখা যায় সেজন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান তৈরি করা লাগবে।
- আপনার বাড়ির আশেপাশে বেশি করে বড় বড় গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। জনগণকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। গভীর সমুদ্রে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় এর সতর্ক সংকেত জেনে নিতে হবে।
- আপনার বসত বাড়িতে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখুন। যেন দুর্যোগকালীন সময়ে খাবারগুলো খেয়ে জীবন যাপন করা যায়।
- সর্বোপরিব বলা যায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে আমাদের সচেতনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়
অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয় কি। তাই আমরা চিন্তা করেছি আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব এ বিষয় সম্পর্কে। যেগুলো আপনাদের জানা জরুরি। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের আগে এসব করণীয় কাজ গুলো করা হলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয় এবং ঘূর্ণিঝড় থেকে বাচার সম্ভাবনাও রয়েছে। চলুন তাহলে আমরা এবার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
- দুর্যোগ কালীন সময় কোন এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করবেন এবং গবাদি পশু কোন স্থানে রাখবেন এগুলো আগে ঠিক করে রাখতে হবে এবং জায়গাগুলো চিনে থাকতে হবে।
- আপনার বাড়ির আশপাশে গ্রামের রাস্তার পাশে গাছ লাগান।
- যখন আপনি বসতবাড়ি নির্মাণ করবেন চেষ্টা করবেন অশু জায়গায় এবং শক্ত করে নির্মাণ করার।
- পানি পান করার জন্য যখন আপনি ট্রিপল স্থাপন করবেন চেষ্টা করবেন এগুলো উঁচু জায়গায় স্থাপন করার কারণ হচ্ছে যখন জলোচ্ছ্বাস হয় তখন যেন এগুলোতে লোনা পানি এবং ময়লা পানি প্রবেশ করতে না পারে।
- যারা জেলে রয়েছেন তারা চেষ্টা করবেন নৌকাতে অথবা লঞ্চ কিংবা ট্রলারের রেডিও রাখার। অভ্যাস গড়ে তুলুন সকাল দুপুর এবং বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের খবর শোনার।
- আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো রাখুন।
- নারী পুরুষ সবারই সাঁতার শিখে রাখতে হবে। এটা দুচোখ-কালীন সময়ে আপনার কাজে দিতে পারে।
- দুর্যোগের সময়ে জীবন যাপন করার জন্য বাড়িতে আগে থোকেই শুকনো খাবার রাখুন।
- দুর্যোগকালের সময় নিরাপদ পানি পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে থাকে। এজন্য আগে থেকে শিখার এখন কিভাবে আপনার নোংরা পানিকে ফিটকারি কিংবা ফিল্টার করে খাবার উপযোগী করবেন।
- সর্বোপরি আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী করণীয়
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয় জানলেও আমরা অনেকেই জানিনা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী করণীয়। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো আমাদের জানতে হবে। আপনি যদি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ এখন আমরা আলোচনা করব এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
- ঘূর্ণিঝড় থেমে গেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি করতে হবে তা হলো খুঁজে বের করুন জানমালের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা।
- ঘূর্ণিঝড়ে যদি কেউ আহত হয় তাহলে খুব দ্রুত সময়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
- ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ পানি ব্যবস্থা করুন।
- ঘূর্ণিঝড়ে যে সকল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল এলাকায় ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণ দিতে হবে।
- যারা ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন ঘূর্ণিঝড় শেষে তাদেরকে তাদের নির্ধারিত নিজ বসত বাড়িতে পৌঁছে দিন।
- ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আপনার বাড়ির আঙ্গিনাতে যেসকল বর্জ্য পদার্থগুলো রয়েছে তার দ্রুত সরিয়ে ফেলুন।
- বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে যদি কোন তার ছেড়ে পড়ে তাহলে সতর্কতার সঙ্গে এগুলো এড়িয়ে চলুন। এবং বিদ্যুৎ অফিসের খবর দিন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের পরামর্শ
ঘূর্ণিঝড় যেহেতু এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাই ঘূর্ণিঝড় আমরা পুরোপুরি ভাবে মোকাবেলা করতে পারি না। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং পূর্বে থেকে ঘরে শুকনো খাবার রাখতে হবে। এছাড়াও আরো অনেক দিক রয়েছে যেগুলো আপনি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন। তবুও যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আর্টিকেল কে আরো একবার পড়ে আসুন। তবুও যদি বুঝতে না পারেন তাহলে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার উপায় - ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়। আশা করছে আর্টিকেলটি পরে আপনি অনেক কিছু জেনে গেছেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আপনার একটি শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদেরকেও এ সকল তথ্যগুলো পেতে সুযোগ করে দিন। আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্যগুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url