হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
চিয়া সিড এর উপকারিতা জানতে এখানে চাপ দিনআজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি জানতে পারবেন হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট
খাওয়ার নিয়ম। তাই আপনি যদি এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে
আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আর্টিকেলটি পরে আপনি
আরো জানতে পারবেন হানি নাট রেসিপি সম্পর্কেও। তাই বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
আমরা অনেকেই আছি যারা এখনো জানিনা হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার
নিয়ম। হানিনাট থেকে শরীরের জন্য উপকারী অনেক উপাদান গুলো পাওয়া যায় তাই অবশ্য
এগুলো আমাদের জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক ।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর একটি খাবার হিসেবে পরিচিত পেয়েছে
হানিনাট। এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা এসব
উপকারীর দিক সম্পর্কে এবং কিভাবে খেতে হবে কখন খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে
ইত্যাদি বিষয়গুলো। যে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই
পুরো আর্টিকেল জুড়ে। তাই বিস্তারিত জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
হানি নাট কি
হানি নাট কি প্রশ্নটা অনেকেরই অজানা। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটা
খাবার হানি নাট। তাই আমাদের জানতে হবে হাননিরহাট সম্পর্কে। চরণ তাহলে আমরা এবার এ
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি। সাধারণত হানিমাঠ হচ্ছে মধু ও বাদামের মিশ্রিত একটি
উপাদান যা আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টি জোগায়। হানির নাটে বাদামের সাথে থাকে অনেক
ধরনের বিভিন্ন উপাদান যেমন- তিল, খেজুর, চিয়াসিড,ফলমূল সহ আরো অনেক ধরনের উপাদান।
হানিনাট খাওয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল হানিনাট খাওয়ার
উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম।চলুন তাহলে প্রথমেই আমরা জেনে আসি হানিনাট
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা যদি সঠিক উপায়ে সঠিক নিয়মে হানিনাট খেতে পারি
তাহলে এটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে এই সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- আপনি যদি হানি নোট থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ গুলো পেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে সঠিক এবং স্বাস্থ্যকর হানি চয়ন করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে যে হানি পাওয়া যায় সেটা অনেক পুষ্টিকর।
- হানি নাট খাওয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধ অথবা শিশু কিংবা কেউ যদি অসুস্থ থাকে জন্য হানিনাট খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উচিত।
- হানি নাট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এর মাত্রা এবং মেয়াদগুলো ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। নয়তো আপনি যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয় নাইট খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
- আপনি হানি ব্যবহার করতে পারেন অনেক রকম ভাবে কেউ এটা খেতে পছন্দ করে রুটি অথবা পরোটার সাথে কেউ খাবার খেয়ে থাকে।
- হানিনাট খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এটা যেন পরিমাণ মতো খাওয়া হয় নয়তো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হচ্ছে হানিনাট। কিন্তু অনেকে
জানে না হানি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই আবার হানিনাট খেয়ে থাকলেও
জানে না এর উপকারিতা গুলো। চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে নিয়ে হানিনাট খেলে কি কি
উপকারিতা পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
- রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ যে কোন মানুষের জন্য রক্তস্বল্পতা মোটেও ভালো না। এতে করে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব দিক বিবেচনা করে মানুষের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খাওয়া হলে অনেকটাই এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। এজন্য আপনি হানিনাট খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে লড়াই করতে সাহায্য করে। আমরা দেশের খাবার খেয়েদেয়ে কি এই খাবারগুলো থেকে যে আন্টি অক্সিজেন উপাদান পাওয়া যায় এর কোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে থাকে। হানিনা খাওয়া হলে এতে থাকা প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করে।
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ হানিনাটে যে উপাদান রয়েছে এগুলো রক্তের দূষিত কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। আর যে কারণে উচ্চ রক্তচাপ পাওয়ার জন্য দায়ী এলইডিএল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে অতিরিক্ত শর্করাজ জমতে পারে না যে কারণে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
- প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং শক্তিঃ আমাদের শরীরে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ প্রয়োজন সেগুলো যদি পূরণ করতে চাই তাহলে শুধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ই না। এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে দরকার প্রোটিন, আয়রন, শর্করা, ফ্যাট,আমিষ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপাদান গুলো। হানিনাট খাওয়া হলে শরীরের জন্য এ সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো পেতে পারেন একসাথে।
- তারুণ্য ধরে রাখেঃ আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয় তখন খুব সহজেই চেহারাতে বয়সের ছাপ পড়ে। হানিনাট খাওয়া হলে এটা দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করবে। এজন্য নিয়মিত হানিনাট খাওয়া হলে এতে আমাদের শরীর দুর্বলতা কম হবে এবং চেহারাতে বয়সে ছাপ কমাবে।
- দাঁতের গোড়া শক্ত করেঃ হানির হাটে যে উপাদান গুলো রয়েছে এগুলো আমাদের দাঁতের গোড়া কেউ করে তুলে মজবুত এবং শক্ত। এছাড়াও যে দাঁতগুলো নড়বড়ে রয়েছে তা নড়বড়ে দাঁতের মাড়ি আরো শক্ত করে তুলে। তাহলে বুঝতে পারছেন হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা কত।
- কিডনি এবং লিভার সুস্থ রাখেঃ আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো অর্থাৎ কিডনি এবং লিভার সুস্থ থাকা জরুরি। সাইনাথ খাওয়া হলে এতে যে উপাদানগুলো রয়েছে এগুলো আমাদের লিভার এবং কিডনির সমস্যার সমাধান করে। এজন্য আপনি নিয়মিত হানিনাট খেতে পারেন।
- ঘুমের সমস্যা দূর করেঃ আমাদের শরীর যখন খুব বেশি দুর্বল ও ক্লান্ত হলে তখন যে সকল সমস্যাগুলো হয় তার ভিতরে একটি হচ্ছে বেশি বেশি ঘুম ধরে। এজন্য হানিন আর খাওয়া হলে এটা শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করবে এবং মানসিকভাবে আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে এবং সুস্থ রাখবে। হানিনাট খাওয়া হলে এটা ঘুমের সমস্যা দূর করবে এবং স্বাভাবিক ঘুম ফিরিয়ে আনবে।
হানি নাট খাওয়ার অপকারিতা
আমরা তো জেনেছি হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম। হানি নাট খাবার
যেমন উপকারী দিক অনেক তেমনি হানি নাট খাওয়ার কিছু অপকারি দিকও রয়েছে। একজন
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে যেগুলো অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। চলুন তাহলে কথা না
বাড়িয়ে আমরা এবার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।
- আপনি যদি ডায়েটে থাকেন কিংবা ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে এক্ষেত্রে যদি হানিনাট খাওয়া হয় তাহলে এটা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। কারণ হানিনাটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। আর এই ক্যালোরি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
- সাধারণত মধু একটু মিষ্টি টাইপের হয়ে থাকে এজন্য যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তাদের জন্য হানি নাট না খাওয়াই উত্তম।
- যাদের ক্ষেত্রে মধু ও বাদামে এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই হানিনাট এড়িয়ে চলুন। কারণ হানি রড খাওয়া হলে এক্ষেত্রে আপনার শরীরে অ্যালার্জি আরো বেড়ে যেতে পারে। আর আপনি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারেন।
- বিভিন্ন সময় অনেকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে তুলতে পারে।
- অনেকের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত গরম অনুভূত হতে পারে।
- বিভিন্ন সময় হানিনাট খাওয়া হলে এটাও হজম সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
হানি নাট খাওয়ার সময়
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণ জেনে গেছেন হানিনাট খাওয়ার
উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম। অনেকের প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন হানি নাট
খাওয়ার সময় কি। কোন সময়ে হানিনাট খাওয়া ভালো হবে। তাই আর্টিকেলের এই অংশে
আলোচনা করা হয়েছে খাওয়ার সময় সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে আসি।
আপনি যদি হানিন আর খেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবথেকে ভালো সময় হতে
পারে সকাল ও বিকেল। সকালের নাস্তার ২৫-৩০ মিনিট পর হানি নোট খাওয়া যেতে পারে।
আপনি চাইলে দুপুরের খাবার খাওয়ার আগেও হাতের হাট খেতে পারেন। কিন্তু সব থেকে
ভালো হয় হানিদার যদি সকালে নাস্তার পর খাওয়া হয়।
এতে করে শরীরের অনেক উপকার মিলে। আপনি যদি রাতে খাওয়ার পরে হানি নট খেতে চান
তাহলে এক্ষেত্রে আপনি এক থেকে দুই চামচ খেতে পারবেন। কেউ যদি রাতের খাবার খাওয়ার
পর পরই হানি রদ খায় তাহলে এক্ষেত্রে এটা সোহেলের জন্য ভালো হবে না। রাতের
খাওয়ার পর অন্তত আধাঘন্টা পর হানিনাট খেতে পারেন।
তবে আপনি যদি হানিনাট থেকে শরীরের জন্য পুষ্টিকর উপাদান গুলো সঠিকভাবে পেতে চান ।
তাহলে সবথেকে ভালো হবে সকালে যদি হানি নাট খাওয়া হয়। আশা করছি আপনি
বিস্তারিতভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
হানি নাট খেলে কি হয়
অনেকেই জানে না হানিনাট ছেলে কি হয়। আপনি কি জানেন হানি নাট খেলে কি হয় ? যদি
না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারন আমরা এখন আপনাকে জানিয়ে দিব
হানিনাট খেলে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে নিই
বিস্তারিত।
- হানিনাটে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরে অনেক উপকার করবে। এজন্য হানিনা খাওয়া হলে মিলতে পারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো।
- আমাদের শরীরে রক্তচাপ ওজন নিয়ন্ত্রণ সিদ্ধান্ত সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখতে হানিনাট এর ভূমিকা অনেক।
- নিয়মিতভাবে কেউ যদি হানিনাট খায় তাহলে এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে লড়াই করবে।
- শুধু তাই নয় বরং এটা শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বুস্ট আপ করবে। এটা শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
- তবে আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবেন তাহলে হানিনাট না খাওয়াই ভালো কারণ হানিনাটে রয়েছে ক্যালোরি আর এই ক্যালোরি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- বিভিন্ন সময় আবার অতিরিক্ত পরিমাণ হানিনাট খাওয়া হলে এটা শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য হানিনাট থেকে দূরে থাকাই ভালো হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
হানি নাট এর দাম
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জেনে গেছি হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা ও
উপকারিতা সহ হানিনাট খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। বর্তমান সময়ে
হানিনাটের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে অনেক জায়গাতেই। যেগুলো দেখে আমাদের ইচ্ছা হয়
হানিনাট কিনার। তাই এখন আমরা জানবো হানি নাট এর দাম।
হানি নাট এর দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কেজি প্রতি হানিনাট পেয়ে
যাতে পারেন ১০০০-১২০০ টাকয়।আপনি যদি ভাল মানের হানি নোট কিনতে চান তাহলে
এক্ষেত্রে কেজি প্রতি আপনার খরচ হতে পারে ১৫০০-২০০০ টাকা। এছাড়াও বর্তমান সময়ে
যদি আপনি অনলাইন মার্কেট থেকে হার্নি নাট কিনতে চান তাহলে বাজার ডট কম নামে ।
যে জনপ্রিয় একটি সাইট রয়েছে সেখান থেকে যদি হানিনাট কিনতে তাহলে এক্ষেত্রে
তাদের ৮০০ গ্রাম হানি নাট নেওয়ার জন্য আপনাকে দিতে হবে ১৫০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে
অবশ্য ডেলিভারি চার্জ রয়েছে। খাঁটি অর্গানিক ডট কম থেকে যদি ১ কেজি হানিনাট
কিনেন তাহলে এক্ষেত্রে দাম হবে ১২৫০ টাকা। আপনি যদি অনলাইন ব্যবহার করে থাকেন
তাহলে ।
নিশ্চয়ই সুন্নাহ ঘরের হানি নাটের বিজ্ঞাপন আপনার চোখ ফাঁকি দিতে পারিনি। তাদের
প্রোডাক্ট কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং অতি দ্রুত ডেলিভারি দিয়ে থাকে। আপনি যদি
তাদের ৪০০ গ্রাম হানিনাট নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে ৫৮০
টাকা। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ডেলিভারি চার্জ ৮০ টাকা। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বিষয়
গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
হানি নাট উপকরণ
অনেকেই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন হানি নাট উপকরণ সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলের
এ অংশ পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন হানিনাট এর উপকরণ সম্পর্কে। আর এতক্ষন
নিশ্চয় আপনি জেনে গেছি হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম। চলুন
তাহলে আমরা এবার জেনে আসি হানিনাটের এসব উপকরণ সম্পর্কে।
- কাঠ বাদামঃ কাঠবাদাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেখতে অনেক সুন্দর। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। এটা আমাদের দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
- চিনা বাদামঃ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার হল চিনা বাদাম। হানি নাটির যে উপাদান রয়েছে তার ভিতরে একটি অন্যতম হচ্ছে চিনা বাদাম।
- কাজু বাদামঃ কাজু বাদামের ভেতরে রয়েছে অনেক প্রোটিন এবং ভিটামিনসহ পটাশিয়াম। যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে।
- আখরেটঃ হানিনাটের অন্যতম একটি উপাদান আখরেট। এটা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী এবং এতে থাকা উপাদানগুলো আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য উপকারিতা বৃদ্ধি করে।
- খাঁটি মধুঃ খাঁটি মধু ছাড়া হানি নাট অপূর্ণ। হানিনাতে থাকা এই খাঁটি মধু আমাদের জন্য অনেক উপকারী। এর পুষ্টিগণ অনেক।
- পেস্তা বাদামঃ এ বাদামে আছে অনেক ক্যালরি। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক উপাদান যে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
- মাবরুম খেজুরঃ হানিনাটের অন্যতম একটি উপকরণ হলো মাবরুম খেজুর। এটা খেতে অনেক সুস্বাদুকর এবং মিষ্টি। এছাড়াও এখানে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি।
- সাদা কিশমিশঃ একটা আঙ্গুরের যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে ঠিক তেমন উপাদান রয়েছে সাদা কিশমিশ এর ভেতরে। হানি নাটের অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে এটি।
- খোরমা খেজুরঃ খোরমা খেজুরে উপস্থিত আছে ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, অ্যামিনো এসিড সহ অনেক উপাদান। হানিনাটের এই উপকরণটি আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
- চেরি ফলঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে হানি নাটের উপকরণের ভেতরের এই চেরি ফলে রয়েছে অন্যান্য এক ভূমিকা।
এছাড়াও হানি নাটের আরো অনেক উপকরণ রয়েছে । আপনাদের সুবিধার্থে এগুলোও জানিয়ে
দিলাম যেমন-
- থাই বাদাম
- ওয়াটার মেলন সিড
- কালোজিরার দানা
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ
- চিয়া সিড
- আলুবোখারা
- সাদা তিল
- নারিকেল চিড়া
- সাকুরা
হানি নাট রেসিপি
প্রিয় পাঠক, আমি নিশ্চিত যে আপনারা আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে খুব ভালোভাবে জানতে
পেরেছেন হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট খাওয়ার নিয়ম। আপনি যদি হানিনাট
রেসিপি তৈরি করতে চান তাহলে যেভাবে তৈরি করবেন এবং কি কি উপকরণ লাগবে এগুলো জানার
জন্য এই অংশটির মধ্যে দিয়ে পড়ুন।
- হানিনাট রেসিপি তৈরি করতে যে সকল উপকরণ প্রয়োজন হবে।
- কাঠবাদাম দরকার হবে -১৫০ গ্রাম
- সাদা তিল প্রয়োজন পড়বে- ২০-৩০ গ্রাম
- কাজু বাদাম দিতে হবে -২০০-৩০০ গ্রাম
- ৩ থেকে ৪ টি ত্বীন ফল দিতে হবে
- খেজুর -১৫০ গ্রাম অথবা তার থেকেও বেশি
- কিশমিশ লাগবে -১০০ গ্রাম
- আখরেটের পরিমাণ হলো -১০০ গ্রাম
- চিনা বাদাম দরকার হবে -৫০ থেকে ১০০ গ্রাম
- পেস্তা বাদাম দিবেন -১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম
- মধু পরিমাণ মতো মিশিয়ে নিবেন
- আলোবোখারা - আপনার ইচ্ছামত যতটুকু প্রয়োজন হবে দিয়ে দিবেন
যেভাবে তৈরি করবেন -
উপরে উল্লেখিত যে সকল উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলোতে যদি ধুলোবালি হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে তাহলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার এগুলো থেকে পানি সরিয়ে ফেলুন। আপনি যদি মনে
করেন তাহলে খেজুরগুলো টুকরো করতেও পারবেন আবার গোটা করেও রাখতে পারবেন। এবার আপনি
সবগুলো উপাদান একটা পাত্র ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন।
যে বাদামগুলো রয়েছে সেগুলো আপনি হালকা করে ভেজে নিতে পারেন। এবার এ উপকরণগুলোর
সাথে ভালোভাবে মধু মিশিয়ে নিন এবার এগুলো যদিও ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে এগুলো
একটা পাত্রে সংগ্রহ করুন। এভাবে আপনি ঘরে বসে তৈরি করে ফেললেন হানিনাট।
মিক্স নাট এর উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলে এই অংশে আমরা জানবো মিক্স নাট এর উপকারিতা। সাধারণত মিক্স নাট
হতে পারে অনেক ধরনের নাটস অথবা বীজ এর সংমিশ্রণে। যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ
উপকারী হতে পারে। চলুন তাহলে আমরা এবার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
- এই মিক্স নাটস হতে পারে অনেক ধরনের প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
- কিছু কিছু নাটস যেমন - ওয়ালনাট, বাদাম এগুলো ভিটামিন এ ও ফ্যাটি তেলের একটি অন্যতম উৎস হতে পারে যা একটি মৌলিক অ্যামিনো এসিডের অন্যতম একটি উৎস।
- ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর মিক্স নাট। যেমন- ক্যালসিয়াম ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, আয়রণ সহ আরো অনেক উপাদ।
- এটা অনেক এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা আমাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মতামত
আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি পুষ্টিকর খাবার হলো হানিনাট। এটা আমাদের
শরীরে বিভিন্ন উপকার সাধন করবে। তবুও হানিনাট খাওয়া হলে যদি আপনার কোন ধরনের
সমস্যা হয় তাহলে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার যদি
এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে হানিনাট খাওয়াই ভালো। হানিনাট থেকে যদি সর্বোচ্চ
উপকার পেতে চান তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে সকালের সময়ে খাওয়া।
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি হানিনাট খাওয়ার উপকারিতা-হানিনাট
খাওয়ার নিয়ম। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোথাও বুঝতে সমস্যা
হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে
বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ, এই সকল তথ্য সেবা গুলো নিয়মিত পেতে
ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url