চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয়
কাঁচা রসুন খেলে উপকারিতা কি ও খাওয়ার নিয়ম জানতে এখানে চাপ দিনচিয়া সিড এর উপকারি দিক কি জানেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে যেনে নিন চিয়া সিড
এর পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয় সম্পর্কে জেনে নিন আর্টিকেলটি পড়ে।
এছাড়াও আর্টিকেলটি পরে আপনি আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কেও। তাই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা অনেকেই জানি না চিয়া সিড খেলে কি উপকার হয়। আপনিও যদি না জেনেই থাকেন তাহলে
জেনে নিন চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয়। তাই অবশ্যই আপনার
শরীরের জন্য উপকারী এই চিয়া সিড বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।
ভূমিকা
চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। এর ভেতরে থাকা পুষ্টি
উপাদানগুলো আমাদের শরীরের উন্নতি করে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় রয়েছে এর দারুন
উপকার। আপনি যদি চিয়া সিডের এ সকল উপকার এবং পুষ্টিকারি দিক সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কারণ আর্টিকেলে আলোচনা করা
হয়েছে চিয়া সিডের বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে। এছাড়াও জানতে পারবেন কখন এটা
আমাদের জন্য খাওয়া ভালো হবে কিভাবে খেতে হবে সবকিছু নিয়মিত বিস্তারিতভাবে জেনে
নিন।
চিয়া সিড কি?
আপনি কি জানেন চিয়া সিড কি? ছিয়াশিনের উপকারিতা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে চিয়া
সিড কি। যে বিষয়টা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে
নিই চিয়া সিড সম্পর্কে সাধারণভাবে বলতে গেলে চিয়া সিড উৎপন্ন হয় চিয়া নামক
উদ্ভিদ থেকে। চিয়া সিডকে অনেকেই চিনে থাকেন চিয়া বীজ নামে। এটা অনেক পুষ্টিকর
একটি বীজ।
সাধারণত এই চিয়া সিড বেশি পাওয়া যায় আমেরিকার বিভিন্ন কিছু অঞ্চলে। অনেকেই আবার
চিয়া সিড তোকমা ভেবে থাকেন। চিয়া সিড এবং তকমা যদি এক জায়গায় রাখা হয় তাহলে
অনেকেই চিনতে ভুল করে ফেলবেন। আমাদের শরীরের জন্য চিয়া সিড বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন তাহলে এবার এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই। চিয়া সিড এর
পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয় জানতে আর্টিকেলটি নিচের দিকে পড়ুন।
চিয়া সিড খেলে কি হয়
চিয়া সিড খেলে কি হয় ? প্রশ্নটা আমাদের অনেকেরই। যে বিষয় সম্পর্কে এখনো
অনেকেরই অজানা। তাই এখন আমরা জানবো চিয়াসিড খেলে কি হয়। চিয়া সিড খাওয়া হলে এর
ভেতরে যে পুষ্টিগুণ গুলো রয়েছে তা আমাদের শরীরের জন্য বেস্ট উপকার করে। এর ভেতরে
থাকা ক্যালসিয়াম উপাদান গুলো আমাদের হাড়ের জন্য অনেক উপকারী।
এছাড়াও এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমাদের
প্রতিরোধ করে। হজম সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার সাধন করে। এর
ভেতরে যে ফাইবার অসুবিধা হলে শরীরের জন্য উপকারী। এই ব্রিজের ভেতরে উপস্থিত থাকে
ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন সব উপাদান।
যা আমাদের শরীরের উপর ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কেউ যদি প্রত্যেকদিন চিয়া সিডখায়
তাহলে এক্ষেত্রে শরীরে অনেক উপকার মিলবে। এর ভেতরে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীর
থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত টক্সিন দূর করে, শরীরে বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টের ব্যথা
কমানো থেকে শুরু করে, ভালো ঘুম হওয়াতে এমন কি ত্বকের যত্নসহ পেট পরিষ্কার করতে
দারুন ভূমিকা রাখে।
শুধু তাই নয় শরীরে বিভিন্ন ধরনের শক্তি যোগানো থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন
কার্যকলাপে এর অবদানগুলো ভূমিকা রাখে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। চিয়া সিড এর
উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ
আমরা অনেকেই জানিনা চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ কি ? অনেকেই আবার এমন রয়েছে যারা চিয়া সিড খেয়ে থাকলেও জানেনা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আপনিও যদি না জেনেই থাকেন এই পোস্টে কোনগুলো তাহলে আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত জেনে নিন। কারণ এখন আমরা আলোচনা করব চিয়াসিড এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। প্রচুর পরিমাণ গুনাগুনে ভরপুর চিয়া সিড।
যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য এটা খুব জনপ্রিয়। চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ অনেক এতে আছে অধিক পরিমাণে ফসফরাস, চর্বি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সহ বিভিন্ন সকল উপাদান। চলো আমরা এবার এ বিষয়গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি।
চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয় নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণে এ
বিষয়গুলো জেনে গেছেন। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশটুকু পড়ুন।
নিচে চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণগুলো উল্লেখ করা হলো-
- চিয়া সিডের ভেতরে অনেক পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এবং এর মাত্রা হচ্ছে ৩৩৫ মিলিগ্রাম।
- ফসফরাসের উপস্থিতি আছে ৪৮০ মিলিগ্রাম।
- এর ভেতরে যে ক্যালরি রয়েছে সেটা হচ্ছে ৪৮৬ কিলো।
- আয়রনের অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে চিয়া সিড। ৭.৭ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায় এখান থেকে।
- চর্বির উপস্থিতি রয়েছে ৩০ গ্রাম।
- চিয়া সিডের ভেতরে ভিটামিন ও রয়েছে।
- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আছে ৬৩১ মিলিগ্রাম।
- অন্যান্য সকল পুষ্টিগুণ উপাদানের মত রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। আর এর উপস্থিতি হচ্ছে ৪৩ গ্রাম।ভিটামিন বি৩ পাওয়া যায় ৮.৯ মিলিগ্রাম।
- রয়েছে ফাইবারের উপস্থিতি। ৩৫ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায় চিয়া সিড থেকে।
- এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। প্রোটিনের মাত্রাটি হচ্ছে ১৬.৫ গ্রাম।
- জিংক এর পরমাণু হচ্ছে ৪.৬ মিলিগ্রাম।
- অনেক পরিমাণে ভিটামিন বি১ পাওয়া যায়। এবং এর পরিমাণটি হলো ০.৬৪ মিলিগ্রাম।
- এ সকল উপাদানগুলোর পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম। ৪০৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায় চিয়া সিড থেকে।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ - চিয়া
সিড খেলে কি হয় । গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া হলে শরীরের মিলতে পারে অনেক
উপকার। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাহলে আর দেরি কেন। চলুন আমরা এখন
বিস্তারিতভাবে জেনে নিই চিয়া সিড খাওয়া হলে গর্ভাবস্থায় কি কি উপকার পাওয়া
যায়। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
- ক্যালসিয়ামঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়। চিয়া সিড খাওয়া হলে এর ভিতরে থাকা ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের উপাদান গুলো শিশুর দাঁত এবং সঠিকভাবে হাড় গঠনের সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধঃ বিভিন্ন সময় গর্ভাবস্থায় মেয়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়া হলে এর ভেতরে থাকা ফাইবার খুব সহজে খাদ্য হজম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের উপকারিতা অনেক।
- এন্টিঅক্সিডেন্টঃ আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন চিয়াসিডের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এর ভেতরে যে পুষ্টিগুণ গুলো রয়েছে তা এক একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে গর্ব অবস্থায় কাজ করে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ হ্রাস করে যেমন- দুর্বলতা, ডায়াবেটিস, ব্রণ, হৃদরোগ ইত্যাদি।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চিয়া সিড অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য গর্ভাবস্থায় চিয়াসিড খাওয়া হলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ চিয়া সিডের ভিতরে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলো রয়েছে এর জন্য গর্ব অবস্থায় চিয়াসিড খাওয়া হলে তা শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে এবং বৃদ্ধি করার প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডঃ গর্ভাবস্থায় অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাছ খেতে পারে না এ ক্ষেত্রে। সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এর মাধ্যমে চিয়া সিডে রয়েছে। এজন্য এর গুরুত্ব অনেক।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
আমাদের স্বাস্থ্যের কথা খেয়াল রেখে যতটুকু খাওয়া আমাদের জন্য ভালো ঠিক ততটুকু
পরিমাণ যদি খাওয়া হয় তাহলে চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারিতা নিয়ে
আসবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন চিয়া সিডের এসব উপকারের দিকগুলো সম্পর্কে তাহলে
চলুন এখন বিস্তারিত জেনে নিন।
- হাড় মজবুত করেঃ আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের দেহে যা হাড়গুলো রয়েছে সেগুলো সুস্থতা এবং মজবুত করতে ক্যালসিয়াম কতটা উপকারী। আর আপনার শরীরের জন্য এই উপকারই ক্যালসিয়ামের অনেক ভালো একটি উৎস হতে পারে চিয়া সিড। চিয়া সিডের ভেতরে যে ফসফরাস ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে তা আমাদের হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করে এবং শক্তিশালী করে।
- ওজন কম করেঃ চিয়া সিডের ভেতরে আছে অনেক পরিমাণ ফাইবার এবং প্রোটিন। যে কারণে চিয়া সিড খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে বেশ সহায়তা করে। আপনি যদি ওজন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি চিয়াসিড খেতে পারেন।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ ওমেগা থ্রি নামক একটি ফ্যাটি অফ রয়েছে এই চিয়া সিডের ভিতরে। যা আমাদের শরীরের রক্তের ভিতরে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর যে কারণে আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ড কার্যকর রাখে এবং সুস্থ সবল রাখতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কম করায়। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- ইমিউনিটি বৃদ্ধি করেঃ দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য যতগুলো খাবার আছে তার ভেতরে চিয়া সিড একটি। কারণ আমাদের সোহেলের জন্য উপকারী অনেকগুলো উপাদান আছে এর ভেতরে। এজন্য আপনি নিয়মিত চিয়া খেতে পারেন। এছাড়াও শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে দারুন এক ভূমিকা রাখে। হৃদপিণ্ডকে সচল রাখার মাধ্যমে সারা দেহে ইমিউনিটি ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে।
- মানসিক শান্তি নিশ্চিত করেঃ চিয়া সিডের যে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শরীর সুস্থ সবল রাখে। এতে করে আমাদের বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা, মানসিক অশান্তি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ সহ ইত্যাদি ধরনের কার্য পালিকা নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে আমাদের মানসিক শান্তি আসে।
- রক্তে শর্করা কমায়ঃ আমরা জানি আমাদের দেহের রক্তের ভেতরে শর্করা রয়েছে। যা আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যার আমাদের শরীরের অনেক কোষগুলোকে জীবিত রাখতে এবং হৃদপিণ্ডকে সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু শরীরে যদি এই রক্তের শর্করার মাত্রা যদি বেশি পরিমাণ হয়ে যায় তাহলে তার শরীরের ডায়াবেটিস বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য চিয়া সিড খাওয়া হলে তা আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ যে শর্করাগুলো রয়েছে তা কম করে। এজন্য এটার উপকারিতা অনেক।
- দেহের টক্সিন পদার্থ দূর করতেঃ আমাদের শরীরের ভেতরে যদি ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ গুলো বেশি পরিমাণ হয়ে যায় তাহলে এটা শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। এর জন্য চিয়াসিড খাওয়া হলে এর ভেতরে থাকা যে খনিজ লবণ ভিটামিন এবং মিনারেল পদার্থগুলো রয়েছে তা আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থগুলোকে দূর করতে ভূমিকা রাখে। যার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ এবং চাঙ্গা থাকে।
- ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমাদের শরীরের জন্য যেমন নিম্ন রক্তচাপ ভালো না তেমনি আবার উচ্চ রক্তচাপ ও ভালো না। ব্লাড প্রেসার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এজন্য চিয়া সিড খাওয়া হলে এটা আমাদের শরীরের পেশার কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি থেকে মুক্ত করে।
- প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করেঃ চিয়া সিডের ভেতরে যে প্রোটিন থাকে এটা আমাদের শরীরে প্রোটিনের মাত্রাকে ঠিক আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন চিয়া সিড এর উপকারিতা কত।
- ত্বক এবং পেশির জন্যঃ চিয়ে সিডের ভেতরে যে প্রোটিন গুলো থাকে তা আমাদের পেশী এবং ত্বক ভালো রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। শরীরের আদ্রতা কে ঠিক রাখে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা এতক্ষণ জানলাম চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয় । কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
অনেকেই অনেক রকম ভাবে চিয়া সিড খেয়ে থাকলেও সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায় যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া হয়। আপনি যদি সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেতে চান তাহলে আপনাকে একটু গরম কুসুম পানির সাথে চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখতে হবে। আচ্ছা আপনি কি জানেন কতক্ষণ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখতে হবে ?
যদি না জেনেই থাকেন তাহলে চিন্তার কারনে আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি। ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত আপনি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি চিয়া সিড পানিসহ খেতে পারে এতে বেশ উপকার মিলবে। এছাড়াও আপনি চাইলে পছন্দের কোন ফলের দোষের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনিই নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন পুডিং কিংবা স্যুপের সাথেও। এছাড়াও আপনি চাইলে খেতে পারবেন অথবা কেন করা সবজির ওপর হালকা করে ছড়িয়ে দিয়েও। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
চিয়া সিড এর অপকারিতা
চিয়া সিড এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু অপকারী দিকওরয়েছে । একজন স্বাস্থ্য
সচেতন মানুষ হিসেবে যেগুলো আপনার জানা দরকার। তাই এখন আমরা আলোচনা করব চিয়া সিড
এর অপকারিতা নিয়ে। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি তো জেনে গেছেন চিয়া সিড এর
পুষ্টিগুণ - চিয়া সিড খেলে কি হয় । চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে আসি চিয়া সিডের
অপকারিতা গুলো।
- চিয়া সিড ওজন কমাতে সাহায্য করে এজন্য কেউ যদি বেশি পরিমাণ খেয়ে ফেলে তাহলে এক্ষেত্রে ওজন একেবারে কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারে।
- কেউ যদি প্রয়োজনের বেশি হতে একটু পরিমাণ খেয়ে ফেলে তাহলে এক্ষেত্রে রক্তচাপ অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিয়া সিড বেস্ট ক্যান্সার এবং প্রটেস্ট ক্যান্সার এর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অনেকের ক্ষেত্রেই চিয়া সিড খাওয়া হলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। এজন্য চিয়া সিড খাওয়া হলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা হচ্ছে তারা না খাওয়াই ভালো এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
- চিয়ে সিডে যেহেতু অনেক পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে এ কারণে এটা কিডনিতে ও চাপ দিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টিকরতে পারে।
- অধিক পরিমাণ কেউ যদি খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন সময় পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- চিয়ে সিডে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রক্তকে পাতলা করে দিয়ে বিভিন্ন সময় আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তপাত হওয়ার।
- চিয়া সিডে এন্টি অক্সিজেন রয়েছে আর যে কারণে যদি কেউ অধিক মাত্রায় চিয়া সিড খায় তাহলে এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব আসতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন চিয়া সিডের অপকারিতা গুলো।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
আপনি কি জানেন চিয়া সিড খাওয়ার সময় কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার একদমই
কারণ নেই। অনেকেই জানতে চেয়েছেন চিয়া সিড খাওয়ার সময় সম্পর্কে। এজন্য আপনাদের
সুবিধার কথা চিন্তা করে আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে চিয়া সিড খাওয়ার
সময় সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
চিয়া যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া হয় তাহলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা বলেছেন যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন এক্ষেত্রে যদি কেউ ওজন
কমাতে চায় তাহলে এই ক্ষেত্রে প্রত্যেকদিন সকালে যদি নিয়ম করে এক গ্লাস পানির
সাথে ২-৩ চামচ চিয়া সিড ভিজে খায় তাহলে এক্ষেত্রে তার শরীরে মিলবে অনেক
পুষ্টিগুণ।
এছাড়াও ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনি চাইলে রাতেও খেতে পারেন। আপনি
যেকোনো সময়ে খেতে পারেন রান্নায় কিংবা বিভিন্ন ফলের জুসের সাথে। তবে সব থেকে
বেশি উপকার পাওয়া যাবে সকালে যদি খালি পেটে খাওয়া হয়। আমি আশা করছি আপনি
বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
আমাদের পরামর্শ
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ
- চিয়া সিড খেলে কি হয় । তবে আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না
এজন্য আপনার শরীরের জন্য যতটুকু গ্রহণযোগ্য ঠিক ততটাই আপনি চিয়া সিড খাবেন। নয়তো
অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
যা সম্পর্কে নিশ্চয় আর্টিকেলে জেনে গেছেন। প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ সকল
তথ্য সেবা গুলো নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটি। আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন
সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url