ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি জানতে এখানে চাপ দিনআপনি যদি ভাইরাস জ্বর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্যই। কারণ ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মূল বিষয়। এ ছাড়া আর্টিকেলটি পরে আপনি আরও জানবেন শিশুর ভাইরাস জ্বরে করণীয় সম্পর্কেও। অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
multiplebdভাইরাস-জ্বরের -লক্ষণ- ভাইরাস -জ্বর -হলে -করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ
আমরা অনেকেই আছি যারা ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হওয়ার পরেও বুঝি না যে আমরা ভাইরাস জ্বর আক্রান্ত কিনা। তাই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি এ সম্পর্কে জেনে যাবেন। কারণ এখানে আলোচনা করা হয়েছে ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ। বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।

ভূমিকা 

ভাইরাস জ্বরে বর্তমানে আমরা সকলেই আক্রান্ত হয়ে থাকি। বিভিন্ন কারণে এই ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে এবং সঠিক সময়ে এটা প্রতিরোধ করা জরুরী। অনেকেই আছে যারা এই লক্ষণ সম্পর্কেও জানে না। যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পুরো আর্টিকেলের ভিতরে। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেল কে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন

ভাইরাস জ্বর কেন হয়

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ কি তা যদি আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে আপনার জানা উচিত ভাইরাস জ্বর কেন হয়। বর্তমান সময়ে ভাইরাস জোরে আক্রান্ত হচ্ছে আমরা সবাই। ঋতু পরিবর্ত কিংবা শীতের শুরু কিংবা শেষ যেকোনো সময়ে আমরা আক্রান্ত হয় এ ভাইরাস জ্বরে ।

চলুন তাহলে ভাইরাস জ্বর কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসে যাক। সাধারণত মানুষ যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয় আর তখন যে তার শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বর হয়ে থাকে আর এটাকে বলা হয় ভাইরাস জ্বর। বর্তমানে করোনা, ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে ।

বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস খুব সহজেই আক্রান্ত হয় শরীরে। এর ফলে আক্রান্ত হওয়ার জন্য শরীরে বেড়ে যায় তাপমাত্রা। ফলে সৃষ্টি হয় ভাইরাসের মত জ্বর। আশা করছি নিশ্চয়ই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে

আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি হলে আমরা তখন জ্বর বলে। কিন্তু এক্ষেত্রে যখন আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দিয়ে জ্বর হয় তখন সেটা ভাইরাস জ্বর বলে আমরা ধারণা করি। অনেকে জানতে চেয়েছেন ভায়রা জ্বর কতদিন থাকে। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।

তাই এখন আমরা জানবো ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে। যখন কেউ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয় তখন তার শরীরের যে তাপমাত্রা তা অনেক সময়ে পৌঁছে যায় ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। আমরা অনেকেই আছি যারা এই ভাইয়েরা জ্বরে দু একদিন কাটালে ঘাবড়ে যায়। তবে এই ক্ষেত্রে আমাদের আমাদের ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।

কারণ ভাইরাস জ্বর থাকতে পারে ৫-৭ দিন পর্যন্ত। বিভিন্ন সময় অনেকের ক্ষেত্রে ভেড়ার জ্বর ছাড়তে সময় লাগে ১০ দিন পর্যন্ত। আশা করছি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ 

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরে যাবেন ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণবিষয়গুলো সম্পর্কে। আমরা অনেকেই আছি যারা ভাইরাস জোরে আক্রান্ত হলেও বুঝতে পারি না এই লক্ষণগুলো। তাই এখন আমরা জানবো ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ। চলুন তাহলে আমরা এবার বিস্তারিত জেনে আসি।
  • ভাইরাস জ্বরের থেকে লক্ষণ হচ্ছে প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়। মাথাব্যথার যন্ত্রণাটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।
  • আপনার চোখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে যদি পানি জরার মত হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনি ভাইরাস জ্বরে। আক্রান্ত।
  • ভাইরাস জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে তাপমাত্রা। আপনি যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন তখন আপনার শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির বেশি হবে। ১০২ ডিগ্রি থেকে শুরু করে কখনো আবার ১০৪ ডিগ্রিও হতে পারে।
  • ভাইরাস জ্বর হলে আপনি যখন প্যারাসিটামল খাবেন তখনও এই জ্বর খুব সহজে কমে না।
  • ভাইরাস জ্বরের অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে এই জ্বর হলে তখন শরীরের মাংসপেশিতে এবং প্রচন্ড ব্যথা হয় গিরায় গিরায়।
  • অধিকারে মাথা ঘুরে ওর শরীর দুর্বল অনুভূত হয়।
  • কেউ যদি ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে কাশি হতে পারে অনেক এবং অনেক পরিমাণে ব্যথা শুরু হয় গলাতে।
  • বিভিন্ন সময় আবার ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকলে তার শরীরে খিচুনি তৈরি করে। 
  • ভাইরাস জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে এ জ্বর হওয়ার ফলে চোখ লাল হতে থাকে এবং চোখে চুলকানি অনুভূত হয়। বমি বমি লক্ষণ এবং খাওয়াতে অর্ধে চলে আসে ভাইরাস জ্বর হলে। 
  • অনেক সময় শরীরের চামড়া আবার মুখের ত্বকেও এলার্জির দেখা মিলে। 

ভাইরাস জ্বর হলে করণীয়

এতক্ষণ তো আমরা জানলাম ভাইরাস জ্বর কেন হয় ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ সমূহ। ভাইরাস জোরে যেহেতু যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে তাই অবশ্যই আমাদের জানতে হবে ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় কি তাহলে আরটিকেলটি পড়ে জেনে নিন। চলুন আমরা এবার বিস্তারিত জেনে নিই ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে।
  • ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে স্বাভাবিক একটা বিষয় হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই এই সময়ে একটি তোয়ালে নিয়ে তার স্বাভাবিক পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মুছে দিন। এভাবে বেশ কয়েকবার করার পর তাপমাত্রা অনেকটা কম হবে।
  • এ সময়ে মাথাতে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে দেওয়া যেতে পারে।
  • ভাইরাস জোরে আক্রান্ত অবস্থায় কখনোই আপনার আশপাশে থাকা পাড়ার কোন দোকান থেকে নিজেই নিয়ে আ্যন্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না। বিভিন্ন সময় আপনার এ রোগের জন্য ওষুধগুলো ঠিক নাও হতে পারে। অবশ্যই আপনার যদি শরীর খারাপ মনে হতো হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
  • এ সময়ে খেয়াল রাখবেন যেন গায়ে বাড়তি কোনো কাপড় না দেওয়া হয় পানি দেওয়ার সময়।
  • আপনি যদি ভাইরাস ধরে আক্রান্ত শিকড় হন তাহলে পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা করে আপনার আলাদা ঘরে থাকাই ভালো হবে। কারণ ভাইরাস আক্রান্ত জ্বর হলে সম্ভাবনা থাকতে পারে ব্যক্তির আশপাশে থাকা মানুষের সংস্পর্শেও ভাইরাস হওয়ার।
multiplebdভাইরাস- জ্বরের- লক্ষণ- ভাইরাস -জ্বর -হলে -করণীয় - ভাইরাস -জ্বরের- কারণ
  • ঘাবড়ে না গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সঠিক ট্রিটমেন্ট করুন।
  • জ্বর যদি না কমে তাহলে এক্ষেত্রে সামান্য কিছু খাওয়ার পর একটা সিরাপ কিংবা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
  • জ্বরের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় অর্থাৎ তাপমাত্রা যদি ১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে বড়দের জন্য সাপোজিটর ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন - আমলকি কমলালেবু আনারস ইত্যাদি। বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
  • ভাইরাস জ্বরের আক্রান্ত হলে সরল দুর্বল হবে এটা স্বাভাবিক এর জন্য আপনি খেতে পারেন মাল্টিভিটামিন।
  • ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হলে হাসি কাশির সময়ে অবশ্যই টিস্যু ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহার করা টিস্যুটিকে ঢাকনা যুক্ত এমন কোনো ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
  • এই সময়ে ভারী জাতীয় খাবার না খেয়ে স্যুপ কিংবা হালকা জাতীয় খাবার খান। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

ভাইরাস জ্বরের কারণ

বিভিন্ন কারণে আমরা ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ভাইরাস জ্বরের এসব পারেন সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ। চলুন আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ভাইরাস জ্বরের কারণ সম্পর্কে। 
  • ভাইরাস জ্বর হওয়ার পেছনে বাহক হতে পারে বিভিন্ন পোকামাকড় কিংবা প্রাণী। ভাইরাস রোগে আপনাকে সংক্রমণ করার জন্য এদের কামড় দায়ী হতে পারে।
  • বিন্যাস সময় আমরা যা খাই কিংবা পান করে অনেক টাইমে এগুলো দূষিত হওয়ার ফলেও ভাইরাস জ্বর হতে পারে।
  • অনেক সময় আবার নেরোভাইরাস কিংবা এন্টারোভাইরাস সংক্রমণ করতে পারে ইনজেকশন এর মাধ্যমে ।
  • বিভিন্ন সময় আবার দূষিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে ভাইরাস সংক্রমণকে। যেমন ধরুন- কেউ একজন ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। সে যদি আপনার কাছে এসে হাঁচি দেয় তাহলে অনেক সময় সেই পরিবেশে আপনি শ্বাস নেওয়ার ফলে সেটাও কারণ হতে পারে সংক্রমণের।
  • বিভিন্ন সময়ে আবার ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারিরীক মেলামেশার জন্যও হতে পারে ভাইরাস জ্বর।

ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা তো জানলাম ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ গুলো। অনেকে জানতে চেয়েছেন ভাইরাস ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে করণীয় কি। তাহলে আর দেরি কেন। চলুন এবার বিস্তারিতভাবে আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নিই।
  • আপনি যদি ভাইরাস জোরে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব জিনিসপত্র গুলো শেয়ার করা বিরত থাকুন অন্য কারো সঙ্গে।
  • আপনি দুধের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কোন কোন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে যান তাহলে অবশ্যই সেখানে গিয়ে স্যানিটাইজার দিয়ে নিজের হাত পরিষ্কার করুন।
  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান বেশি করে। কারণ এগুলো আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। আর আপনার শরীর যদি রক্ত ক্ষমতা বেশি থাকে তাহলে ভাইরাসের সংক্রমণ কম হবে। এজন্য ভাইরাস জ্বর থেকে মুক্ত হতে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
  • ঘরের বাইরে কোথাও গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • যেসব ব্যক্তি ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত সে সকল ব্যক্তির সাথে মেলামেশা বন্ধ করুন। পরিবারের যদি কেউ এই ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হয় তাহলো তাকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ অন্য একটি ঘরে রেখে দিন।
  • নিজে থেকে কোন আ্যন্টিবায়োটিক না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

শিশুর ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ

বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও মারাত্মকভাবে শিকার হয় ভাইরাস জ্বরের। খুব সহজেই শিশুদের ভাইরাসে আক্রমণ করতে সুযোগ পেয়ে যাই। আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ। চলুন আমরা তাহলে এবার জেনে নিই শিশুর ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ।
multiplebdভাইরাস-জ্বরের -লক্ষণ- ভাইরাস -জ্বর -হলে -করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ
  • শিশুদের ভাইরাস জ্বর হলে শারীরিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে বেশি হয় ।
  • কোন শিশু যদি ভাইরাসরে আক্রান্ত হয় তাহলে এক্ষেত্রে অনিয়র চলে আসবে খাবারের প্রতি।
  • হাঁচি কাশি শিশুদের জন্য কিছুই ছাড়তে চায় না।
  • বিভিন্ন সময় ভাইরাস ধরে আক্রান্ত শিশুর মুখে ঘা দেখা যায়।
  • কখনো আবার অতিরিক্ত জ্বর হওয়ার কারণে কারণে শিশুর শরীর কাঁপতে থাকে। আর এই কাপুনি খুব সহজে ভালো হয় না।
  • ভাইরাস জ্বরে যদি কোন শিশু আক্রান্ত হয় তাহলে এক্ষেত্রে পেটে প্রচুর ব্যথা হয় এবং আমাশয় কিংবা ডায়রিয়া দেখা দেয়।
  • অনেক সময় আবার এজর হওয়ার কারণে শিশু শরীরে এলার্জি ও হতে পারে।
  • এ সময়ে ছোট শিশুকে যদি প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয় তাহলে কিছুটা জ্বর কমে কিন্তু আবার পুনরায় বেড়ে যায়।
  • শিশু যদি ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হয় তাহলে এক্ষেত্রে কোন কিছু খাওয়ার সময় হঠাৎ করে বমি চলে আসে।
  • বিভিন্ন সময় আবার শিশু চোখ ও নাক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে । আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

শিশুর ভাইরাস জ্বরে করণীয়

এতক্ষণ তো আমরা জানলাম শিশুদের ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে। আমাদের জানা উচিত শিশুর ভাইরাস জ্বরে করণীয় কি । তাহলে আর দেরি কেন চলুন আমরা এবার বিস্তারিতভাবে জেনে আসি।
  • শিশু ভাইরাস জোড়ে আক্রান্ত হলে তাকে ঘনঘন মাথাতে পানি ঢালুন।
  • এ সময়ে শিশুর গায়ে ভারী কোন কাথা না দিয়ে শিশুর গায়ে আলগা করে কাপড় দিন।
  • আপনার সন্তান যদি ভাইরাস ধরে আক্রান্ত হয় তাহলে কুসুম করে গরম পানি করে তার ভিতরে গামছা ভিজানো এবং সমস্ত শরীরে ভালো করে মুছে দিন। সম্ভব হলে একটু পর পর পানি পড়তে করতে থাকুন কপালে।
  • আপনার শিশুকে এই সময় নরম খাবার দিন। যেমন - মারি ভাত, নরম খিচুড়ি, মাছ কিংবা মুরগির ঝোল, স্যুপ ইত্যাদি ধরনের খাবার দিন।
  • যেসব খাবারপুষ্টিকর শিশুকে সে সকল খাবার বেশি করে খাওয়ান।
  • যে শিবু ভাইরাস ধরে আক্রান্ত সে যদি বুকের দুধ পান করে তাহলে সে সময় বেশি করে বুকের দুধ খেতে দিন। এতে তার শরীরের রক্ত ক্ষমতা বাড়বে।
  • বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেতে দিন যেমন - আঙ্গুর, বাতাবি লেবু, মালটা, কমলা ইত্যাদি।
  • শিশুকে আলো বাতাস যুক্ত স্থানে রাখুন।
  • ছোট্ট শিশু যদি এজরে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শরীরে পানি শুন্যতা দেখা যেতে পারে। এজন্য এ সময়ে শিশুকে খেতে দেন বিভিন্ন ধরনের পানি এবং পানি জাতীয় খাবার যেমন - বিভিন্ন রকম ফলের রস,স্যালাইন, গুড়া বা চিনির শরবত ইত্যাদি।

শেষ কথা 

উপরের আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ- ভাইরাস জ্বর হলে করণীয় - ভাইরাস জ্বরের কারণ সহ ভাইরাস জ্বর নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। আপনি যদি ভাইরাস জোরে আক্রান্ত হয় তাহলে এ সময়ে সতর্কতা থাকুন এবং ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সাথে মেলামেশা বন্ধ করুন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

প্রিয় পাঠক,আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ সকল তথ্য সেবা নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url