ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি জানতে চাপ দিনআজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী
বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম সম্পর্কে। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন
তাহলে আর্টিকেলটা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আর্টিকেলটি পড়লে আপনি
আরো জানতে পারবেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কেও।
তাই অবশ্যই আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে
জেনে নিন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেল তো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভুমিকা
বিভিন্ন কারণে আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তন করতে হয়। মিটার নিতে হলে অবশ্যই আবেদন করতে হবে কিন্তু যে বিষয়টা অনেকেরই অজানা। তাই আজকের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন কিভাবে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন সে বিষয়গুলো সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নিতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
আবেদন করতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ নিতে কি কি কাগজপত্র লাগবে শুধুমাত্র এ বিষয়ে
সম্পর্কে জানলেই হবে না। এর পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে কিভাবে পল্লী বিদ্যুৎ
মিটার আবেদন করতে হয়। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
করার নিয়ম সম্পর্কে।
পল্লী বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য যে ফর্মটি আবেদন করেছেন সেই আবেদনকৃত ফর্মটিতে পল্লী
বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ থেকে সকল সত্য সময় দিয়েছে সেগুলো আপনাকে ভালোভাবে পড়তে
হবে এবং তা পূর্ণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে
ফর্মটিতে আপনি আবেদন করছেন সঠিক তথ্য দেওয়ার কারণ যদি ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন ।
আর সেটা যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য যে নিয়ম রয়েছে সে নিয়মের
বহির্ভূত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন কৈফতবিহীন আপনার যে বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে
সেটা বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এজন্য আবেদনের সকল তথ্য সঠিক দিবেন। একদম ফ্রম পল্লী
বিদ্যুৎ অফিসের জমা দেওয়া হলে তারা এ ফর্মটি পড়ে বিচার বিশ্লেষণ করার পর আপনার
সাথে যোগাযোগ করবে।
এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে চাইবে। অবশ্যই আপনাকে এগুলো সঠিক তথ্য দিতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপর আপনি কি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
নেওয়ার জন্য ১১৫ টাকা ফি দিতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস
থেকে ওয়ারম্যান গিয়ে আপনার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের মিটার দিয়ে আসবে।
এতক্ষণ তো আমরা জানলাম পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। কিন্তু
আমরা অনেকেই জানিনা পল্লী বিদ্যুতের আবেদন ফরম সম্পর্কে। চলুন এই সম্পর্কে আমরা
এবার জেনে আসি।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম সম্পর্কে। আমরা যারা পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
নিতে চাই এজন্য আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু আমরা
অনেকেই জানিনা এই আবেদন ফরম সম্পর্কে। আপনারা যদি না জেনেই থাকেন তাহলে আর কি পরে
জেনে নিন।
আপনি যদি বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ নিতে চান এজন্য আপনাকে আবেদন ফরমটি সংরক্ষণ করতে।
এজন্য আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সেখান থেকে কর্মরত অফিসারের থেকে আপনাকে
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য যে ফরম রয়েছে সেটা সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য
আপনার প্রয়োজন হবে মোবাইল নাম্বার, আপনার ঠিকানা, আপনার নাম সহ প্রয়োজনীয়
তথ্যগুলো দিতে হবে।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, আপনার ছবি, আপনার বাড়ির যে মালিকানা প্রমাণপত্র
রয়েছে সেটা দিতে হবে এবং সবকিছু নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হবে এবং আবেদন
ফরম এর জন্য বিস্তারিত তথ্যগুলো দিয়ে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আবেদনকৃত ফর্মে
দিতে হয়, আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন ।
সেই সংযোগের স্থানটি হতে বাড়িতে কেমন ধরনের সংযোগ নিতে চাচ্ছেন সেই সংযোগের ধরন
প্রয়োজন হবে। এ ফার্মে যে শর্তবালি গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাকে মানতে হবে এবং
একমত পোষণ করে আবেদন ফরমটিতে ঠিক চিহ্ন দিতে হবে। এভাবে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ
মিটারের আবেদন ফরম দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে অফিসের না গিয়েও বাড়িতে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন পল্লী
বিদ্যুৎ মিটারের জন্য। আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে নিচের
অংশটুকু পড়ে জেনে নিন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন
আমরা অনেকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নেওয়ার জন্য অফিসে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে
আবেদন করতে চাই। তাইতো আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই
এতক্ষন আপনি জেনে গেছেন পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন ফরমের বিষয় সম্পর্কে।
চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে নেই কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
নেওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। বর্তমান যুগ যেহেতু ডিজিটাল যুগের রূপান্তর হয়েছে
এজন্য আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন অনলাইনে ঘরে বসে।
এজন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে চলুন তাহলে আমরা এখন জেনে আসি সে ধাপগুলো
সম্পর্কে।
-
পল্লী বিদ্যুতের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশঃ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির
যে ওয়েবসাইট রয়েছে আপনাকে সেই সঠিক ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটে
গিয়ে আবেদন করতে হবে। আমরা অনেকেই জানি না পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অনলাইন
আবেদন করার সে ওয়েবসাইট কোনটা। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আপনাকে সেটাও
জানিয়ে দিচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনাকে
www.rebpbs.com এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এখানে গিয়ে হোমপেজ থেকে আপনি যে
আবেদন ফরম রয়েছে সেখানে চাপ দিয়ে তার ভিতরে প্রবেশ করুন।
-
আবেদনকারীর তথ্যপূরণঃ আপনি আবেদন অপশনে যাওয়ার পর দেখবেন আবেদনকারীর
তথ্যপূরণ করার জন্য আবেদন ফরমের ভিতরে যে লাল রঙ্গের (*) চিহ্নিত অপশন রয়েছে
সেগুলো নাকি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আপনি যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন
সেটা যদি আপনার কোন একক বাসাবাড়ি হয়ে থাকে তাহলে এজন্য আপনাকে তারিফ হিসেবে
সিলেক্ট করা লাগবে ‘‘এলটি-এ ’’ আবাসিক । আর সংযোগ নেওয়ার স্থানটি যদি বহুতল
ফ্ল্যাট জাতীয় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে ‘‘এমটি-এ’’
আবাসিক। অনলাইনে আবেদন করার জন্য অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার পিতার নাম সহ
যে তথ্যগুলো চেয়েছে সেগুলো অবশ্যই লাল চিহ্নিত যে কলমগুলো রয়েছে সেগুলো
পূরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি যে সকল অংশ ইংরেজিতে তথ্য চেয়েছি সেগুলো আপনি
ইংরেজিতে পূরণ করুন। যেমন- আপনার ইমেইল, জাতীয় পরিচয় পত্র, TIN নাম্বার,
জন্ম তারিখ ইত্যাদি সকল তথ্যগুলো। এখানে আপনাকে পূরণ করতে হবে আপনার স্থায়ী
ঠিকানাগুলো এবং যেখানে সংযোগ নিতে যাচ্ছেন সেই সংযোগের বিবরণ। যেখানে স্থায়ী
ঠিকানা পূরণ করার কথা বলা হয়েছে সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী
আপনার ঠিকানাটি দিতে হবে। প্রস্তাবিত স্থল নামে যে অপশনটি চেয়েছে সেখানে
আপনাকে আপনি যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন সে স্থানের অন্যান্য দিতে
হবে। আপনি আবেদন ফরমের সাথে যে দলিল ফটোকপি দিতে চাচ্ছেন সেটা এখানে সংযুক্ত
করে দিবেন।
-
জিওগ্রাফিক এবং চাহিদাকৃত লোডের তথ্যঃ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য এটা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পোল থেকে আপনার সংযোগ স্থানের দূরত্ব কত এটা অবশ্যই
ভালোভাবে পূরণ করতে হবে নয়তো যদি ভুল থেকে সংযোগ স্থান অনেক দূরে হয়ে যায়
সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আপনি যে আবেদনটি করলেন সেটা স্থায়ী কিংবা
অস্থায়ী কিনা তা পূরণ করে নিন। আবেদন ফ্রম এর এ অংশে আপনাকে নির্ধারণ করে
নিতে হবে আপনি বাসা বাড়িতে কেমন লোড কি তোর ডিভাইস ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ
আপনার বাসা বাড়িতে কতগুলো লাইট কেমন ফ্যান ফ্রিজ পেয়েছি এগুলো চলবে কিনা
ইত্যাদি বিষয়গুলো।
-
আপলোড ও সম্মতি প্রদানঃ অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য
এটা হচ্ছে শেষ পর্যায়। আপনি যে ফর্মটা পূরণ করলেন সেটা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো
বসে আপলোড করতে হবে এবং সম্মতি দিতে হবে। এখানে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়
পত্রের স্ক্যান কপি দিতে হবে। এছাড়াও এখানে আপনার খাদিজার কপিও লাগবে। এগুলো
আপনি আপলোড করে দিন। তারপর সেখানে আপনার থেকে সম্মতি চাইবে যে পল্লী বিদ্যুৎ
মিটার আবেদন করার জন্য যে শর্ত গুলো রয়েছে সেগুলোর সাথে আপনি একমত কিনা।
এজন্য আপনাকে সম্মতি দেওয়ার জন্য যে বক্স রয়েছে সেখানে ঠিক চিহ্ন দিতে হবে।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে
আমাদের অনেকেরই অজানা পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে। আচ্ছা আপনি কি
জানেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি দরকার হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে
চিন্তার একদমই কারণ নেই। কারণ আর্টিকেলের এই অংশ পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরে
যাবেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে হলে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।
-
আবেদন ফরমঃ আপনি যদি আপনার বাসা বাড়িতে নতুন মিটার পেতে চান অথবা
পুরাতন মিটারটি পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই এর জন্য আপনাকে সংযোগ নেওয়ার
জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সেখান থেকে
একটি আবেদন ফরম সংরক্ষণ করতে হবে। এবং এই ফর্মটিতে আপনাকে নির্ধারিত
বিষয়গুলো পূরণ করতে হবে।
-
গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রঃ গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্র অধ্যায়
যিনি আবেদন করবেন সেই ব্যক্তি জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ফোন নাম্বার স্থায়ী
ঠিকানা ইত্যাদি বিষয়গুলো সহ উল্লেখযোগ্য সনদপত্র গুলো দরকার হবে।
-
আবেদনকারীর ছবিঃ যিনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ নিতে চাচ্ছেন অর্থাৎ
আপনি যদি গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজন
হবে পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
-
বাড়ির মালিকানা প্রমাণ পত্রঃ আপনি যদি বাড়ির নির্দিষ্ট মালিক না হোন
অথবা যদি বাসা বাড়ি কিংবা ভাড়াটিয়া কোন স্থানে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে
আপনি যদি সংযোগ নিতে চান তাহলে আপনার সে বাড়িতে অবস্থানরত মালিকের
প্রমাণপত্র গুলো নিয়ে আবেদন কি তোর ফর্মের সাথে দিতে হবে।
-
আবেদন ফিঃ সাধারণত পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়ার জন্য আবেদন ফি অনেক
জায়গায় অনেক রকম হতে পারে। মূলত এটা নির্ভর করে আপনার সংযোগস্থানের উপর।
সাধারণত একটি পল্লী বিদ্যুতের যে আবেদনফির রয়েছে সেটা ১১৫ টাকা। আর এটা
আপনাকে রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিতে হবে।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বিভিন্ন সময় সংযোগ নিতে হলে বাড়ির নকশা দরকার হয়।
- আবেদনকারীর যে নিবন্ধন সনদ রয়েছে সেটা দরকার হয়ে থাকে।
-
আপনি পল্লী বিদ্যুতের যে আবেদন ফরমটি পূরণ করেছেন সেখানে আপনার বাড়িতে
ব্যবহারকৃত ফ্রিজ, টিভি, লাইট, এসি সহ যে সকল ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করবেন
সেগুলো উল্লেখ করা জরুরী। কারণ এগুলোর উপর নির্ভর করে আপনার বাড়িতে
বিদ্যুতের খরচ হিসাব করা হয়।
-
আপনার বাড়িতে হাউজ ওয়ারিং হয়েছে কিনা এটা প্রমাণ করতে প্রয়োজন হয়
গ্রাউন্ড টু রডের যে ক্যাশ ক্রম রয়েছে সেই মেমোটি।
আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এ সকল কাগজপত্র নিয়ে অফিসে গেলে আপনি
নির্ধারিত process কিংবা সময়ের মাধ্যমে আপনি সংযোগ পেয়ে যাবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান
অনেক সময় আমাদের দরকার হয় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান এর। তাই এই
সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। কিন্তু অনেকেই রয়েছে যারা জানেনা পল্লী বিদ্যুৎ
মিটার আবেদন অনুসন্ধান সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এবার এ সম্পর্কে জেনে আসি। আর
এতক্ষণ নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী
বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক। আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের অনুসন্ধান করতে
চান তাহলে সেজন্য আপনাকে ঠিক আগের মতই www.rebpbs.com এই ওয়েবসাইটটিতে যেতে
হবে। সেখানে গেলে দেখতে পাবেন আবেদন নামে একটি অপশন রয়েছে। এজন্য আপনাকে আবেদন
অপশনে গিয়ে সেখান থেকে বেছে নিতে হবে ‘‘আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন ’’ এই
অপশনটি।
এক্ষেত্রে আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে লগইন করে দেখতে চান তাহলে আবেদন নামক অপশনে
কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে। মোবাইল কিনবা অন্য কোন ডিভাইস যেভাবে আপনি
দেখতে চান না কেন এজন্য আপনাকে আবেদন নামক অপশনে গিয়ে আবেদনের সর্বশেষ
অবস্থাতে ক্লিক করার পর আবেদন অনুসন্ধান করুন এই ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
এবার আপনি খেয়াল করে দেখবেন এখানে ট্র্যাকিং নাম্বার এবং পিন নম্বরের জন্য
একটা স্থান রয়েছে। এবার আপনি আবেদন করার সময় যে পিন নম্বরটি পেয়েছিলেন সেই
পিন নম্বরটি এখানে সাবমিট করুন। এই কাজগুলো ঠিকঠাক ভাবে করলে আপনি দেখতে পাবেন
পল্লী বিদ্যুতের এই আবেদনটি কোন প্রক্রিয়ায় রয়েছে । এভাবেই আপনি পল্লী
বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করে নিতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
সম্পর্কে জানলেও অনেকে জানে না পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত। আচ্ছা আপনি কি
এ বিষয় সম্পর্কে জানেন যে আবেদন করতে কত টাকা লাগে ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে
এখন জেনে নিন এ বিষয় সম্পর্কে। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আলোচিত হয়েছে পল্লী
বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি সম্পর্কে।
সাধারণত কেউ যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নিতে চায় তাহলে সেজন্য আবেদন করতে হয় আর
এই আবেদনকৃত ফর্মের একটা নির্দিষ্ট ফি রয়েছে। তবে সংযোগস্থানের উপর ভিত্তি করে
অনেক সময় এটা আবার ভিন্ন রকম হতে পারে। সাধারণত ভাবে আবেদন ফি নির্ধারিত
রয়েছে ১১৫ টাকা। এই আবেদন কি আপনি দুই রকম ভাবে দিতে পারেন।
আপনি চাইলে অফিসে গিয়ে সরাসরি দিতে পারেন অথবা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এর
মাধ্যমে আপনি ফি দিতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের প্রয়োজন পরে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তন
করার। এক্ষেত্রে আপনাকেও জানতে হবে কিভাবে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তন
করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে বিষয় সম্পর্কে না জানলে আপনি আবেদন করতে
পারবেন না। এজন্য আর্টিকেলের এই অংশে আলোচিত হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার
পরিবর্তনের জন্য আবেদন সম্পর্কে ।
আপনি যেখান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন সেখান যোগাযোগ করে এ বিষয় সম্পর্কে
তথ্য নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যে আবেদন ফরম রয়েছে আপনি সেখানে নির্ধারিত
তথ্য গুলো এবং যে কারণে মিটার পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন সে বিষয়গুলো প্রদান করুন।
অনেক সময় এর সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য প্রয়োজন পড়ে যেমন - আপনার ব্যবহার কি তো
পুরনো মিটারের ছবি, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি দরকার হয়।
এভাবে যদি সঠিক তথ্যগুলো দেওয়ার মাধ্যমে আবেদন ফরম জমা দিয়ে থাকেন তাহলে
আপনাকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান থেকে মিটার পরিবর্তন
করে দিবে এবং নতুন মিটার সংযোগ করে দিবে। সাধারণত মেটার পরিবর্তন করতে খুব
বেশিদিন সময় লাগে না তবে বিভিন্ন সময় আবার লাগতেও পারে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনি আবেদন করার স্বাদ কর্ম দিবসের ভিতরে পেয়ে যেতে পারেন।
আশা করছি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করনীয়
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম বিষয়
নিশ্চয়ই আপনি আর্টিকেলটি পড়ে জেনে গেছেন। এবার আমরা জানবো বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট
হলে করনীয় কি এ বিষয়ে সম্পর্কে। আমাদের সবার বাড়িতে যেহেতু বিদ্যুৎ মিটার
রয়েছে এক্ষেত্রে জানা উচিত যে বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের কি করতে
হবে।
তাহলে চলুন আমরা এবার বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
-
মিটার সরবরাহকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগঃ আপনার বাসায় ব্যবহার কিত
বিদ্যুৎ মিটার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে
বিদ্যুৎ সংযোগকারী সংস্থার সাথে।
-
মিটারের নষ্টতা প্রমাণ করাঃ আপনার ব্যবহারকৃত মিটার টিন নষ্ট কিনা এ
সম্পর্কে আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে এর জন্য আপনি নষ্ট হওয়া মিটারের ছবি
কিংবা সক্রিয় কোন ইভেন সার্টিফিকেটটি সংরক্ষণ করুন এবং আপনার অভিযোগ জমা
দিন।
-
পূর্বের বিদ্যুৎ পেলে সংরক্ষণঃ আপনার ব্যবহার কৃত পূর্বের যে
বিদ্যুৎ বিল রয়েছে এটা অনেক সময় দরকার হতে পারে। এজন্য বিলের কাউকে
সংরক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন হলে এ বিদ্যুৎ বিল গুলো দিয়ে আবেদন করুন।
-
নতুন মিটারের জন্য আবেদনঃ মিটার নষ্ট হয়ে গেলে বিভিন্ন সময় নতুন
মিটার পাওয়ার জন্য ইনস্টলেশন আবেদন প্রয়োজন হয়। আর এই প্রক্রিয়াটি
সম্পূর্ণ হয়ে থাকে বিদ্যুৎ সংযোগকারী সেই প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থার
নির্দেশনা মোতাবেক।
আপনার বিদ্যুৎ মিটার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে উপরে বর্ণিত এসকল দিক মেনে আপনি
নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে থেকে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে সব থেকে
ভালো হবে বিদ্যুৎ সংযোগ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন ফি
অনেকেই জানতে চেয়েছেন বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন ফি কত। তাই আজকের
আর্টিকেলের এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে বিদ্যুৎ মিটার স্থান পরিবর্তন করতে ঠিক
কেমন লাগে সে বিষয়ে সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আপনি আর্টিকেলটি পড়ে জেনে গেছেন পল্লী
বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনলাইন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম সম্পর্কে ।
চলুন আমরা তাহলে এবার জেনে আসি বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন সম্পর্কে। আপনি
যদি বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন করতে চান তাহলে এক আপনাকে আবেদন করতে হবে
এবং আবেদন করতে আপনার দরকার হবে ৫০০ টাকা যা আপনাকে আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
এভাবে আবেদন করে আপনি ফির জমা দিয়ে আসলে আপনার মেয়েটার স্থানটি পরিবর্তন করে
দিবে কর্তৃপক্ষ ।
আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়ার পর সেখান থেকে যে ফর্ম রয়েছে সে ফর্মটি
সঠিকভাবে পূরণ করার পর ৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে মিটারের স্থান পরিবর্তন করতে
পারবেন। এভাবে যদি আপনি আবেদন করে আসেন তাহলে কিছুদিনের ভিতরেই পল্লী বিদ্যুৎ
অফিস থেকে লোক এসে আপনার মিটারের স্থান পরিবর্তন করে দিবে। আশা করছি আপনি বুঝতে
পেরেছেন।
আমাদের মতামত
আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি
পড়ে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। তবে অবশ্যই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার সময়
সঠিক তথ্য গুলো দিবেন। আর্টিকেলটি পরে যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি
আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়া আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ আরো
একবার পড়ে বুঝে নিতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার যদি
ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন৷ আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য
সেবা গুলো পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
www.multiplebd.com এই ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url